শব্দদূষণ
Very Short Answer Question
1. শব্দের তীব্রতা মাপার এককের নাম কী?
উত্তর : ডেসিবেল (db)।
2. কত ডেসিবেলের বেশি জোরে শব্দে মানুষ অসুস্থ বোধ করে?
উত্তর : 65 ডেসিবেল।
3. শব্দের তীব্রতা মাপার যন্ত্রের নাম কী?
উত্তর : ডেসিবেল মিটার।
4. স্কুল, হাসপাতালের সামনে কীসের বোর্ড লাগানো থাকে?
উত্তর : সাইলেন্স বোর্ড।
5. উচ্চস্বরে গানবাজানোর শব্দের তীব্রতা কত?
উত্তর : 90 ডেসিবেল।
6. 130 ডেসিবেল তীব্রতার শব্দ কীসের হয়?
উত্তব় : সাইরেন-এর।
7. 300 মিটার দূরের জেটপ্লেনে শব্দের তীব্রতা কত?
উত্তব় : 100 ডেসিবেল।
৪. শহরে শব্দদূষণের প্রধান উৎস কী?
উত্তব় : যানবাহন।
9. শব্দরোধ করার জন্য দেয়ালে কী ব্যবহার করা হয়?
উত্তব় : সাইলেন্সার।
10. শব্দের আওয়াজ থেকে বাঁচার জন্য কানে কী ব্যবহার করা হয়?
উত্তব় : কানে তুলো দেওয়া হয় বা ইয়ার প্লাগ-এর ব্যবহার করা হয়।
11. সাধারণ কথাবার্তার ক্ষেত্রে শব্দের তীব্রতা কত?
উত্তব় : জন 65 ডেসিবেল।
12. লাউড স্পিকারের শব্দের তীব্রতা কত?
উত্তব় : ডের ৪০ ডেসিবেল।
13. কলকারখানায় শব্দের তীব্রতা কত থাকে?
উত্তব় : টিত্তর 110 ডেসিবেল।
14. শব্দদূষণ থেকে মানবদেহে সৃষ্ট একটি রোগের নাম লেখো।
উত্তব় : স্নায়ুর দুর্বলতা।
15. যন্ত্রপাতি তেল দিয়ে সচল রাখা উচিত কেন?
উত্তব় : যাতে বেশি শব্দ না-হয়।
Short Answer Question
1. শব্দদূষণের ফলে সৃষ্ট চারটি রোগের নাম লেখো।
উত্তব় : শব্দদূষণের ফলে সৃষ্ট চারটি রোগ হল-① মাথার যন্ত্রণা, (2) বধিরতা বা কম শুনতে পাওয়া, (3) অনিদ্রা বা ঘুম না-হাওয়া এবং ④ উচ্চরক্তচাপ।
2. শ্রুতিমধুর শব্দের মাত্রা কত হওয়া দরকার?
উত্তব় : সাধারণত যে সকল শব্দের মাত্রা 65 ডেসিবেলের কম, যা মানুষের ও অন্যান্য প্রাণীর শারীরিক ও মানসিক অসুবিধা করে না, শ্রুতিমধুর হয়। অর্থাৎ, 65 ডেসিবেলের কম শব্দ সর্বদা শ্রুতিমধুর হয়।
3. ‘সাইলেন্স বোর্ড’ (Silence board) কী?
উত্তব় : স্কুল, হাসপাতাল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে হর্ন বাজানো আইনত নিষিদ্ধ, এই বিষয়ে সতর্কীকরণের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট চিহ্নযুক্ত যে বোর্ড লাগানো থাকে, তাকে ‘সাইলেন্স বোর্ড’ বলে।
4. শব্দদূষণ বিষয়ে সরকারি স্তরে কঠোর আইন হওয়া প্রয়োজন কেন?
উত্তব় : শব্দদূষণ যেহেতু ব্যক্তি, সমাজ ও দেশের ক্ষতি করে, তাই এই দূষণ প্রতিরোধে সরকারি স্তরে কঠোর আইন হওয়া দরকার।
5. শব্দদূষণ বলতে কী বোঝো?
উত্তব় : যখন শব্দ মানুষের কাছে বেদনাদায়ক, বিরক্তিকর হয়ে ওঠে, তখন তাকে শব্দদূষণ বলে। যেমন-যানবাহনের হর্নের আওয়াজ, কলকারখানার যন্ত্রপাতি ও সাইরেনের আওয়াজ, উচ্চস্বরে মাইক বাজানোর আওয়াজ ইত্যাদি।
6. শব্দদূষণের ফলে কী হয়?
উত্তব় :শব্দদূষণের ফলে শোনার ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে। এছাড়াও হৃৎপিন্ডের রোগ, স্নায়ুর দুর্বলতা, অনিদ্রা, উচ্চ রক্তচাপ, কাজে ভুল, ক্লান্তি প্রভৃতি নানা রোগ হতে পারে।
Long Answer Question
1. শব্দদূষণের উৎসগুলি লেখো।
উত্তব় : কির শব্দদূষণের উৎস বা শব্দদূষণের কারণগুলি দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা- (1)প্রাকৃতিক কারণ এবং ② অপ্রাকৃতিক কারণ।
• প্রাকৃতিক কারণ : মেঘের গর্জন, বাজপড়ার শব্দ, জলপ্রপাত, ঝড়, অগ্ন্যুৎপাত, সুপার সাইক্লোন, ঝরনা- বাহিত হওয়ার আওয়াজ প্রভৃতি শব্দদূষণ সৃষ্টি করে।
• অপ্রাকৃতিক কারণ : যানবাহন চলাচলের শব্দ, ট্রেনের হুইসল, গাড়ির হর্ন, মাইকের শব্দ, কলকারখানার মেশিনের শব্দ, সাইরেন, সুপারসনিক জেট বিমানের শব্দ, মিটিং-মিছিলে বহুলোকের একসঙ্গে কথা বলায় শব্দদূষণ সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া কিছু বন্য জীব, যথা-বাঘ ও সিংহের গর্জন, কুকুরের ডাকও শব্দদূষণের সৃষ্টি করে।
2. মানবজীবনে শব্দদূষণের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলি কী কী?
উত্তব় : জর শব্দদূষণের ফলে মানুষের শরীরে ও মানসিক অবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হয়। যেমন-
① মানুষের শরীরে অস্বস্তি হয়, মানসিক অবসাদ আসে।
② মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় এবং অকারণে বিরক্তি আসে।
③ শোনার ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে গিয়ে বধির হয়ে যায়।
④ স্মৃতিশক্তি কমে যায়, কাজে ভুল হয়, কাজ করতে ভালো লাগে না।
⑤ গ্যাসট্রিক ও পাকস্থলির রোগ হতে পারে।
(6) উচ্চ রক্তচাপ, স্নায়ুর দুর্বলতা প্রভৃতি সমস্যারও সৃষ্টি হয়।
3. শব্দদূষণ প্রতিরোধের বা নিয়ন্ত্রণের তিনটি উপায় লেখো।
উত্তব় : শব্দদূষণ প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলি হল- ① শব্দ যেখানে সৃষ্টি হচ্ছে বা উৎসস্থলটিকে শব্দরোধী দেয়াল দিয়ে ঘিরে ফেললে বা সাইলেন্সার লাগালে শব্দদূষণ কমানো যায়।
② শব্দের উৎস ও শ্রোতার মধ্যে দূরত্ব বৃদ্ধি করতে হবে। স্কুল, হাসপাতাল ও বাড়ির চারদিকে গাছ লাগালে শব্দদূষণ কমানো যায়।
③ অকারণে হর্ন বাজানো, উচ্চস্বরে রেডিয়ো বা স্পিকার বাজানো, টিভি চালানো, শব্দবাজি ফাটানো বন্ধ করলে শব্দদূষণ কমানো যায়।
Fill in the blanks
1. বিমানবন্দরের রানওয়েতে কর্মরত ব্যক্তিদের মেজাজ সবসময়_______________থাকে।
উত্তর: খিটখিটে
2. মাত্রাতিরিক্ত ও অযাচিত শব্দ কখনোই________________হয় না।
উত্তর: শ্রুতিমধুর
3. _________________-এর তীব্রতা হল ৪০ ডেসিবল।
উত্তর: মোটরহর্ন
4. শব্দের তীব্রতা মাপার একক হল_________________।
উত্তর: ডেসিবেল
5. যে যন্ত্রের সাহায্যে শব্দের তীব্রতা মাপা হয়, তার নাম_________________।
উত্তর: ডেসিবেল মিটার
6. 110 ডেবিবেল তীব্রতা লক্ষ করা যায়-_______________ শব্দে।
উত্তর: কংকূট ভাঙার
7. 130 ডেসিবেল তীব্রতা লক্ষ করা যায় _______________-এর শব্দে।
উত্তর: সাইরেন
৪. শব্দের আওয়াজ থেকে ________________ ব্যবহার করে বাঁচা যায়।
উত্তর: ইয়ার প্লাগ
9. শব্দদূষণের ফলে সৃষ্ট একটি রোগ হল____________________।
উত্তর: অনিন্দ্রা
10. 100 ডেসিবেল তীব্রতাসম্পন্ন শব্দ হল 300 মিটার দূরের________________ -এর।
উত্তর: জেটপ্লেন
True and False
1. শব্দ যখন মানুষের সহন ক্ষমতার মাত্রা অতিক্রম করে না, তখনই দূষণের সৃষ্টি হয়।
উত্তর: অশুদ্ধ
2. খুব জোরে গানবাজনা শুনলে শোনার ক্ষমতা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
উত্তর: অশুদ্ধ
3. সিনেমা বা অডিটোরিয়াম হলে শব্দের তীব্রতা কমানোর জন্য যন্ত্র লাগানো থাকে।
উত্তর: শুদ্ধ
4. গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চলে শব্দদূষণ অনেক কম।
উত্তর: অশুদ্ধ
5. শব্দদূষণের ফলে কানের রোগ হয়।
উত্তর: শুদ্ধ
6. শুনতে পাওয়া শব্দের তীব্রতা 40 ডেসিবেল।
উত্তর: অশুদ্ধ
7. শব্দের তীব্রতা মাপার একক হল ডেসিবেল।
উত্তর: শুদ্ধ
৪. শব্দদূষণের ফলে শোনার ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যায়।
উত্তর: শুদ্ধ
9. ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করে শব্দের আওয়াজ থেকে বাঁচা যায়।
উত্তর: শুদ্ধ
10. ব্যস্ত রাস্তার যানবাহনের শব্দের তীব্রতা 70 ডেসিবেল।
উত্তর: শুদ্ধ