WBBSE Class 6 Science Chapter 12 Solution | Bengali Medium

Class 6 Chapter 12 Solution

বর্জ্য পদার্থ

1. MCQs Question Answer

1. দৈনন্দিন জীবনে বাতিল পদার্থসমূহকে বলে-

A. বর্জ্য পদার্থ

B. দূষিত পদার্থ

C. শুদ্ধ পদার্থ

D. অপদার্থ

2. একটি ইলেকট্রনিকস বর্জ্য হল-

A. ভাঙা কাচ

B.প্লাস্টিক

C.ভাঙা CD

D. ভাঙা টেবিল

3. প্রদত্ত কোন্ বর্জ্যটি চাষের জমি থেকে পাওয়া যায়?

A.ডিডিটি

B. পচা সবজি

C.গ্লাভস

D. হেলমেট

4. জৈবভঙ্গুর বর্জ্য পদার্থটি হল-

A.ধাতু

B. প্লাস্টিক

C.সবজি

D. পলিমার

5. ফিনাইল দিয়ে ধোয়া নোংরা জল হল-

A. কঠিন আবর্জনা

B. তরল আবর্জনা

C.বিশুদ্ধ তরল

D.বিপজ্জনক বর্জ্য পদার্থ

6. গোবর গ্যাসের প্রধান উপাদান হল-

A. কার্বন ডাইঅক্সাইড

B.মিথেন

C.অক্সিজেন

D. হাইড্রোজেন

7. জৈব-অভঙ্গুর বর্জ্য পদার্থটি হল-

A. প্লাস্টিক

B. আনাজের খোসা

C. পচা ফল

D. কাগজের কাপ

৪. আবর্জনার স্তূপ থেকে যে-দাহ্য গ্যাস নির্গত হয়, তা হল-

A. অক্সিজেন

B.নাইট্রোজেন

C.মিথেন

D. কার্বন ডাইঅক্সাইড

9. 4R পদ্ধতিতে ‘Recycle’ কথাটির অর্থ হল-

A.পুনর্ব্যবহার

B. কমিয়ে আনা

C.প্রত্যাখ্যান করা

D. পুনর্নবীকরণ

10. একজন পরিবেশ সচেতন মানুষ তার দৈনন্দিন কাজের জন্য কোনো ব্যাগটি ব্যবহার করবে?

A.প্লাস্টিকের ব্যাগ

B.কাপড়ের ব্যাগ

C.নাইলনের ব্যাগ

D. চটের ব্যাগ

উত্তরমালা : 1. A. বর্জ্য পদার্থ., 2. C. ভাঙা CD., 3. A. ডিডিটি., 4. C. সবজি., 5. B. তরল আবর্জনা., 6. B. মিথেন., 7. A. প্লাস্টিক., ৪. C. মিথেন., 9. A. পুনর্ব্যবহার., 10. B. কাপড়ের ব্যাগ.

2. Very Short Question Answer

1. যেসব পদার্থ আপাতভাবে ব্যবহারের উপযোগী নয়, তাদের কী বলে?

  • বর্জ্য পদার্থ।

2. পুরোনো লোহা গলিয়ে নতুন লোহার জিনিস তৈরি করাকে কী বলে?

  • পুনর্ব্যবহার।

3. কাকে ‘নিঃশব্দ ঘাতক’ বলা হয়?

  •  তেজস্ক্রিয় বর্জ্যবস্তু।

4. ডিডিটি (DDT)-এর পুরো নাম কী?

  •  ডাইক্লোরো ডাইফিনাইল ট্রাইক্লোরো ইথেন।

5. দীর্ঘদিন জমে থাকা আবর্জনা থেকে কোন্ গ্যাস নির্গত হয়।

  • মিথেন।

6. দূষিত জলপান করলে কী কী রোগ হয়?

  • কলেরা, টাইফয়েড ইত্যাদি রোগ হয়।

7. গ্যাসীয় আবর্জনার মূল উৎস কোল্টিন্ট?

  •  কলকারখানা ও শিল্পকেন্দ্র।

8. কম্পোস্ট কী?

  • একপ্রকার জৈব সার।

9. বায়োগ্যাস কী?

  •  মিথেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসের মিশ্রণ।

10. একটি গ্যাসীয় বর্জ্য পদার্থের উদাহরণ দাও।

  •  রান্নাঘর বা কলকারখানার বর্জ্যপদার্থ।

11. ব্যাবসাক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত বর্জ্য পদার্থের নাম লেখো।

  •  বিভিন্ন প্যাকেট বা কাঠের গুঁড়ো, প্লাস্টিক ইত্যাদি।

12. দুটি ইলেকট্রনিকস বর্জ্যের নাম লেখো।

ভাঙা রেডিয়ো, পুরোনো ব্যাটারি।

3. Short Question Answer

1. বর্জ্য পদার্থ বলতে কী বোঝো?

যেসব কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় পদার্থ আপাতভাবে ব্যবহারযোগ্য নয়, সেইসব পদার্থকে বর্জ্য পদার্থ বলে। যেমন-ভাঙা কাচ, সবজির খোসা, রান্নাঘরের ধোঁয়া প্রভৃতি।

2. কঠিন বর্জ্য পদার্থ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

• দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের পর যেসব কঠিন পদার্থগুলি অবাঞ্ছিত অবস্থায় পড়ে থাকে, তাদের কঠিন বর্জ্য পদার্থ বলে। যেমন- প্লাস্টিক, ঠোঙা, সবজির খোসা, ভাঙা কাচ ইত্যাদি।

3.  তরল বর্জ্য পদার্থ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

• দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের ফলে উৎপন্ন অব্যবহৃত তরল পদার্থগুলিকে তরল বর্জ্য পদার্থ বলে। উদাহরণ: মানুষ ও জীবজন্তুর মলমূত্র, বাথরুম-নিঃসৃত জল ইত্যাদি।

4. গ্যাসীয় বর্জ্য পদার্থ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

• দৈনন্দিন কাজের ফলে সৃষ্ট অথবা কলকারখানা, শিল্পাঞ্চল থেকে নির্গত যেসব গ্যাসীয় পদার্থ পরিবেশে মুক্ত হয়ে পরিবেশদূষণ ঘটায়, তাদের গ্যাসীয় বর্জ্য পদার্থ বলে। উদাহরণ: রান্নাঘর থেকে নির্গত ধোঁয়া, কলকারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া ইত্যাদি।

5. জৈবভঙ্গুর বা বায়োডিগ্রেডেব্ল বর্জ্য পদার্থ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

• যেসব বর্জ্য পদার্থ অণুজীবদের ক্রিয়াশীলতায় বিনষ্ট হয় এবং তাড়াতাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে যায়, তাদের জৈবভঙ্গুর বা বায়োডিগ্রেডেবল বর্জ্য পদার্থ বলে। যেমন- তরিতরকারির খোসা, সাতা ইত্যাদি।

6. জৈব-অভঙ্গুর বা নন-বায়োডিগ্রেডেব্ল বর্জ্য পদার্থ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

• যেসব বর্জ্য পদার্থ অণুজীবদের ক্রিয়াশীলতায় বিনষ্ট হয় না বা এদের কোনোরূপ পরিবর্তন হয় না, তাদের জৈব-অভঙ্গুর বা নন-বায়োডিগ্রেডেব্ল বর্জ্য পদার্থ বলে। যেমন-প্লাস্টিক, পলিথিন ইত্যাদি।

7. ল্যান্ডফিল কী?

• যে-পদ্ধতিতে আবর্জনা দূরীকরণের জন্য কোনো নির্দিষ্ট স্থান আবর্জনার জৈব অংশ দিয়ে ভরাট করা হয়, তাকে ল্যান্ডফিল বলে।

8. প্লাস্টিককে কেন জৈব-অবিয়োজনশীল বর্জ্য পদার্থ বলা হয়?

•  অণুজীব তথা বিয়োজক, প্লাস্টিককে বিয়োজিত করতে পারে না, ফলে এগুলি দীর্ঘদিন অবিয়োজিত অবস্থায় পরিবেশে থেকে যায় এবং পরিবেশদূষণ ঘটায়। তাই একে জৈব- অবিয়োজনশীল বর্জ্য পদার্থ বলা হয়।

9. বর্জ্যের পুনর্ব্যবহার কী?

• বর্জ্য পদার্থকে পুনরায় কাজে লাগানোর পদ্ধতিকে পুনর্ব্যবহার বলে। যেমন-সবজির খোসাকে গর্তে ফেলে মাটি চাপা দিলে তা পচে গিয়ে কম্পোস্ট সারে পরিণত হয়।

3. Long Question Answer

1. বর্জ্য পদার্থের শ্রেণিবিভাগ করো। প্রতিক্ষেত্রে উদাহরণ দাও।

  • বর্জ্য পদার্থ প্রধানত চার প্রকার-

i. কঠিন বর্জ্য পদার্থ, যেমন-পাইপের টুকরো, অ্যাসবেস্টস।

ii. তরল বর্জ্য পদার্থ, যেমন-মলমূত্র, নর্দমার জল।

iii. গ্যাসীয় বর্জ্য পদার্থ, যেমন-কলকারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া, রান্নাঘরের ধোঁয়া।

iv. তেজস্ক্রিয় বর্জ্য পদার্থ, যেমন কলকারখানা থেকে নির্গত ইউরেনিয়াম, রেডিয়াম।

2. কম্পোস্ট সার কীভাবে তৈরি করা হয়?

>> জৈব বর্জ্য পদার্থগুলি জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা পাচিত হয়ে হিউমাস জাতীয় যে-নতুন সারে পরিণত হয়, তাকে কম্পোস্ট সার বলে। এই জাতীয় সারে উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন ও ফসফরাস থাকে।

    জৈব বর্জ্য পদার্থগুলিকে মাটি চাপা দিয়ে গর্তে রেখে বায়ুর অক্সিজেনের সংস্পর্শে বিয়োজিত করে জৈব সার প্রস্তুত করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে এক বিশেষ ধরনের লাল কেঁচোর সাহায্যে মাটির তলায় থাকা জৈবভঙ্গুর বর্জ্য পদার্থগুলিকে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানে পরিণত করা হয়।

3. ম্যানিয়োর পিট কী? এটির সম্পর্কে যা জানো লেখো।

• মাটিতে গর্ত তৈরি করে তাতে বিভিন্ন প্রকার আবর্জনা ফেলে রাখলে 2-4 মাসের মধ্যে ওই গর্তের পদার্থ পচে সার তৈরি হয়, একে ম্যানিয়োর পিট বলে। এটি গ্রামাঞ্চলে বর্জ্য অপসারণের এক বিশেষ পদ্ধতি।।

           এক্ষেত্রে বাড়ির কাছাকাছি কোনো জায়গায় প্রথমে একটি গর্ত খোঁড়া হয়। এরপর ওই গর্তে আবর্জনার সঙ্গে গোবর মিশিয়ে ফেলে রাখলে আবর্জনাগুলি পচতে শুরু করে এবং 2-4 মাসের মধ্যে তা জৈব সারে পরিণত হয়।

4. বর্জ্য পদার্থ সংক্রান্ত অসুবিধাসমূহ আলোচনা করো।

  • বর্জ্য পদার্থ সংক্রান্ত অসুবিধাসমূহ হল-

I. বিভিন্ন প্রকার দূষণের সৃষ্টি করে, যেমন-বায়ুদূষণ, জলদূষণ প্রভৃতি।

II.  বিভিন্ন প্রকার জলবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে, যেমন- টাইফয়েড, জন্ডিস প্রভৃতি।

iii. বিভিন্ন রকমের চর্মরোগ দেখা দেয়।

Iv. বাজার থেকে প্লাস্টিকের ব্যাগে গরম খাবার বা মিষ্টি আনা অনুচিত। এতে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ক্ষতিকর পদার্থ নির্গত হয় যা খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটিয়ে আমাদের শরীরের ক্ষতি করে।

V.  ক্ষতিকর গ্যাসীয় বর্জ্যগুলি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে নানারকম রোগ সৃষ্টি করে।

5. 5 4R পদ্ধতি কী? এই চারটি ‘R’ কী কী?

• পরিবেশে বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ কমিয়ে পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখার জন্য আমরা যে-পদ্ধতি অনুসরণ করি, সেই পদ্ধতিটির নাম হল 4R পদ্ধতি।

6. এখানে চারটি ‘R’ হল-

i. Reduce বা কমিয়ে আনা।

ii. Reuse বা আবার কাজে লাগানো।

iii. Recycle বা পুনর্ব্যবহার।

iv. Refuse বা প্রত্যাখ্যান করা।

7. স্লাজ কী? এর দুটি ব্যবহার লেখো।

  • শহরের নালানর্দমা বা নিকাশি নালা থেকে যে সমস্ত বর্জ্য- পদার্থগুলি পাওয়া যায়, সেগুলিতে চুন মিশিয়ে প্রশমিত করে একটি বড়ো ট্যাংকের মধ্যে রাখা হয়। এর ফলে বর্জ্য পদার্থে উপস্থিত ভারী কঠিন উপাদানগুলি ট্যাংকের নীচে থিতিয়ে পড়ে, এই থিতোনো উপাদানগুলিকে স্নাজ বলে।

8. প্লাস্টিকদূষণ কীভাবে কমানো যায়?

  • প্লাস্টিকদূষণ কমাতে নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি গ্রহণ করা প্রয়োজন-

 i.একই প্লাস্টিকের ব্যাগ প্রয়োজনমতো বারবার ব্যবহার করা।

ii. দোকানদারকে প্লাস্টিক ব্যাগের পরিবর্তে কাগজের ঠোঙা ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া।

iii.প্লাস্টিক ব্যাগের পরিবর্তে চটের বা কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার।

iv.বাজার থেকে প্লাস্টিকের ব্যাগে গরম খাবার বা মিষ্টি আনা অনুচিত।

9. কলকারখানা বা বিভিন্ন শিল্পের বর্জ্য পদার্থগুলির সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

  • যে-কোনো কলকারখানা থেকে বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ বেশি বা অল্পবিস্তর নির্গত হয়। এদের মধ্যে ভারী ধাতু, বিভিন্ন তরল, কঠিন বিপজ্জনক বর্জ্য পদার্থ বেশি থাকে।

।. তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য পদার্থ: তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য পদার্থের মধ্যে উড়ন্ত ছাই বা fly ash, বিভিন্ন ক্ষতিকারক গ্যাস, যেমন- সালফার ডাইঅক্সাইড (SO₂), কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO₂) প্রভৃতি প্রধান।

॥. চিনি উৎপাদন কারখানার বর্জ্য: চিনি উৎপাদন কারখানায় উৎপন্ন আখের ছিবড়ে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে জমা হয়ে পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়।

iii.পেট্রোরসায়ন শিল্পের বর্জ্য পদার্থ: পেট্রোরসায়ন শিল্প, কলকারখানা থেকে নির্গত গ্রিজ, তেল, গ্যাসোলিন, ফেনল, হাইড্রোকার্বন, বিভিন্ন ধাতু বর্জ্য হিসেবে নির্গত হয়।

iv. সার কারখানার বর্জ্য পদার্থ: সার উৎপাদন কারখানা থেকে নানান তরল ও কঠিন বর্জ্য পদার্থ এবং ভারী ধাতু, যেমন- পারদ, ক্যাডমিয়াম, সিসা, জিঙ্ক, আর্সেনিক প্রভৃতি নির্গত হয়।

V.  কীটনাশক, নির্মাণ শিল্পের বর্জ্য পদার্থ: কীটনাশক, নির্মাণ শিল্পের বর্জ্যগুলিও মারাত্মকভাবে পরিবেশদূষণ করে এবং আমাদের স্বাস্থ্যহানি ঘটায়।

Vi. সিমেন্ট উৎপাদন কারখানার বর্জ্য: সিমেন্ট, অ্যাসবেস্টস প্রভৃতি উৎপাদন কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ নির্গত হয়ে জল ও বাতাসে মেশে।

10.গৃহস্থালির বর্জ্য বা কৃষিজাত বর্জ্য বা পৌর বর্জ্য বা শিল্পকারখানার বর্জ্য বস্তুগুলিকে কীভাবে ব্যবস্থাপনা করা যায় সংক্ষেপে লেখো।

>> বিভিন্ন স্থানের নানারকম বর্জ্য বস্তুগুলিকে নিম্নোক্ত উপায়ে ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব-

।.সুনির্দিষ্ট স্থান নির্বাচন ও সেখানে স্তূপীকৃত করা: গৃহস্থালির বর্জ্য এবং পুরসভার বর্জ্যগুলি ফেলার জন্য এমন স্থান নির্বাচন করা হয়, যেন জল ও বাতাস দূষিত হতে না পারে। সেখানে মাটিতে বড়ো আকারের গর্ত করে ভ্যাটের মধ্যে বর্জ্যগুলি জমা করা হয় এবং পরে সেগুলিকে ফাঁকা স্থানে অপসারিত করা হয়।

ii. উচ্চতাপে পোড়ানো বা ভস্মীভূত করা: উচ্চতাপে বর্জ্য পদার্থকে পোড়ালে খুব সামান্যই অবশেষ পড়ে থাকে যা সমুদ্রে ফেলা হয়। এই পদ্ধতিটি আধুনিক হলেও ব্যয়সাপেক্ষ এবং বায়ুদূষণ ঘটায়।

iii. ল্যান্ডফিলের মাধ্যমে উন্নত সার তৈরি: বিভিন্ন কঠিন বর্জ্যগুলিকে ফেলার জন্য একটি পরিকল্পিত স্থান হল ল্যান্ডফিল। গৃহস্থালি, পৌরবর্জ্য বা কৃষিজ বর্জ্য, আগাছা,

পচা পাতা জমা করে গর্ত ভরাট করে স্তরে স্তরে মাটি চাপা দিয়ে উত্তম জৈব সার বা হিউমাস তৈরি করা সম্ভব।

iv. বর্জ্য পদার্থের পুনর্ব্যবহার: কাগজ, কাচ, প্লাস্টিকের থলি, পলিথিন ও ধাতব বর্জ্যগুলি পুনর্ব্যবহার করার মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব।

v. নীচু জমি ভরাট করা: বিভিন্ন বর্জ্যবস্তু, ভাঙা ইট, রাবিশ, পলিথিন, ভাঙা বোতল, প্লাস্টিক নীচু জমি ভরাট করার কাজে ব্যবহার করা যায়।

vi বর্জ্য বা আবর্জনা উৎপাদন কমানো: বর্জ্য বস্তুর উৎপাদনকে কমিয়ে এর ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব।

vii বর্জ্য পদার্থ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন: বর্তমানে আখের ছিবড়ে (ব্যাগাসি), ধানের তুষ, গোবর ও প্রাণীর মল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। এতে পরিবেশদূষণ রোধ হয় এবং বর্জ্যের পরিমাণও কমে।

4. Fill in The Blanks

1. স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত একটি বর্জ্য পদার্থ হল_______________।

2. বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা একটি __________________বর্জ্য।

3. অ্যাসিডবৃষ্টি জমির_______________ হ্রাস করে।

4. রাসায়নিক কীটনাশক____________ ক্ষেত্রের বর্জ্য।

5. পুরোনো লোহা গলিয়ে নতুন লোহার জিনিস তৈরি করাকে ______________বলে।

6. প্রত্যাখ্যান করা উচিত এমন দ্রব্যটি হল_______________।

7. কারখানা থেকে নিঃসৃত বর্জ্য পদার্থগুলি সাধারণত________________ হয়।

উত্তরমালা: 1. ব্যান্ডেজ., 2. কঠিন., 3. অম্লত্ব., 4. কৃষি., 5.পুনর্ব্যবহার., 6. প্লাস্টিক ব্যাগ., 7. তরল..

5. True And False

1. পরমাণু বিস্ফোরণে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য উৎপন্ন হয় না।

2. বাতিল ব্যাটারি হল জৈব-অভঙ্গুর বর্জ্য পদার্থ।

3. বিস্কুটের প্যাকেট পরিবেশের ক্ষতি করে না।

4. কলকারখানার চিমনি থেকে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস নির্গত

5. পুরোনো লোহা পুনর্ব্যবহার করা যায়।

6. দূষিত জলপান করলে ম্যালেরিয়া হয়।

উত্তরমালা: 1. x., 2. ✓., 3. x., 4. x., 5.✓., 6.x.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *