WBBSE Class 7 Geography Chapter 1 Solution | Bengali Medium

MCQs Question Answer

1. পৃথিবীকেন্দ্রিক মহাবিশ্বের সর্বপ্রথম ধারণা দেন-

Ⓐ নিউটন,

B) কোপারনিকাস,

C)গ্যালিলিও,

D) টলেমি।

উত্তর: D)টলেমি।

2. ‘পৃথিবী গতিশীল’-এই কথাটি সর্বপ্রথম বলেছিলেন-

Ⓐ নিউটন,

B) কোপারনিকাস,

C) আর্যভট্ট,

D) গ্যালিলিও।

উত্তর: C) আর্যভট্ট।

3. পৃথিবীর কক্ষপথের দৈর্ঘ্য প্রায়-

A) 94 কোটি কিমি,

B) 96 কোটি কিমি,

© 98 কোটি কিমি,

① 102 কোটি কিমি।

উত্তর: B) 96 কোটি কিমি।

4. পৃথিবী অপেক্ষা সূর্য প্রায়-

A) 3 লক্ষ,

B) 13 লক্ষ,

© 23 লক্ষ,

① 25 লক্ষ গুণ বড়ো।

উত্তর: B) 13 লক্ষ গুণ বড়ো।

5. পৃথিবীর আবর্তনের গতিবেগ সর্বাপেক্ষা বেশি –

Ⓐ মেরু অঞ্চলে 

Ⓑ ক্রান্তীয় অঞ্চলে

© নিরক্ষীয় অঞ্চলে

① মেরুবৃত্ত অঞ্চলে

(তমলুক হ্যামিলটন হাইস্কুল)

উত্তর: নিরক্ষীয় অঞ্চলে।

6. দিগন্তরেখা –

Ⓐ গোলাকার,

Ⓑ উপবৃত্তাকার,

© অভিগত গোলক

 ① চোঙের মতো হয়।

উত্তর: A) গোলাকার হয়।

7. ধ্রুবতারাকে দেখা যায়-

Ⓐ উত্তর

 B), দক্ষিণ,

C) পূর্ব,

D) পশ্চিম আকাশে।

উত্তর: Ⓐ উত্তর।

৪. পৃথিবীর পরিধি নির্ণয় করেন-

Ⓐ নিকোলাস,

B ম্যাগেলান,

© মার্কেটর,

① এরাটোস্থেনিস।

উত্তর: এরাটোস্টস্থনিস।

9. পৃথিবীর পরিক্রমণের গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে- 

Ⓐ 30 কিমি, 

B 29 কিমি, 

C 35 কিমি, 

D 40 কিমি।

উত্তর: A 30 কিমি।

10. ‘মার্গ’ কথাটির আক্ষরিক অর্থ হল- 

Ⓐ চাঁদ, 

B গ্রহ, 

C উল্কা, 

D পথ।

উত্তর: পথ।

11. পৃথিবী ও সূর্য উভয়কে প্রদক্ষিণ করে- 

Ⓐ শুক্র, 

Ⓑ মঙ্গল, 

C প্লুটো, 

D চাঁদ।

উত্তর: চাঁদ।

12. ‘কুমেরু প্রভা’ দেখা যায়-

Ⓐ কানাডায়,

B গ্রিনল্যান্ডে,

© নিউজিল্যান্ডে,

D) সুইটজারল্যান্ডে।

উত্তর: নিউজিল্যান্ডে।

13. অধিবর্ষের ক্ষেত্রে শতাব্দী বছরগুলিকে-

A ) 4 ,

B)  40,

C) 400,

D) 4000 দিয়ে ভাগ করতে হয়।

উত্তর: C) 400

14. জলবিষুবের অপর নাম হল-

Ⓐ মহাবিষুব, 

Ⓑ শারদ বিষুব,

C)বসন্তকালীন বিষুব 

,D) গ্রীষ্মকালীন বিষুব।

উত্তর: B)  শারদ বিষুব।

15. পৃথিবীর দুটি গতিই-

Ⓐ ঘড়ির কাঁটার দিকে

Ⓑ ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে, 

 © উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে, 

D কোনোটিই প্রযোজ্য নয়।

উত্তর: B) ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে।

16. উত্তর গোলার্ধে যখন বসন্তকাল, দক্ষিণ গোলার্ধে তখন-

 Ⓐ গ্রীষ্মকাল

, Ⓑ বসন্তকাল

,C) শরৎকাল,

 D)শীতকাল।

উত্তর:C) শরৎকাল।

17. ‘উদীয়মান সূর্যের দেশ’ বলা হয়-

Ⓐ জাপান,

Ⓑ জার্মানি,

C) জেনেভা,

D) জাকার্তাকে।

উত্তর: Ⓐ জাপানকে।

18. অস্ট্রেলিয়ার ক্ষুদ্রতম রাত্রি হয়-

Ⓐ 21 মার্চ,

Ⓑ 21 জুন,

C) 22 ডিসেম্বর,

D) 25 ডিসেম্বর।

উত্তর: 22 ডিসেম্বর।

19. ‘বিষুব’ কথার অর্থ-

Ⓐ দিনরাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাসবৃদ্ধি,

Ⓑ দিনরাত্রির দৈর্ঘ্য সমান,

© দিন ছোটো ও রাত্রি বড়ো,

① রাত্রি ছোটো দিন বড়ো।

উত্তর: B) দিনরাত্রির দৈর্ঘ্য সমান।

20. মুক্তিবেগের পরিমাণ সেকেন্ডে-

(নিমপীঠ রামকৃয় বিদ্যাভবন

A) 11.2 কিমি

B) 12.2 কিমি

C)13.2 কিমি

D) 14.2 কিমি।

উত্তর: Ⓐ 11.2 কিমি।

21. 21 মার্চ দিনটিকে বলে-

Ⓐ কর্কট সংক্রান্তি,

Ⓑ জলবিষুব,

© মকর সংক্রান্তি,

D)মহাবিষুব।

উত্তর: D) মহাবিষুব।

22. কুমেরু বৃত্তে 24 ঘণ্টাই অন্ধকার থাকে-

A) 21 জুন

B 22 ডিসেম্বর

© 23 সেপ্টেম্বর

① 4 জুলাই।

উত্তর: A) 21 জুন।

23. সূর্য থেকে পৃথিবীর প্রকৃত গড় দূরত্ব হল-

Ⓐ 14-70 কোটি কিমি,

B) 14.95 কোটি কিমি,

C)15-10 কোটি কিমি,

① 15-20 কোটি কিমি।

উত্তর: B) 14-95 কোটি কিমি

24. পৃথিবীর কক্ষপথটি হল-

 Ⓐ বৃত্তাকার,

B) উপবৃত্তাকার,

C) রৈখিক,

D) চৌকাকার

উত্তর: B) উপবৃত্তাকার।

25. বড়োদিন দক্ষিণ গোলার্ধে-

 Ⓐ গ্রীষ্ম,

B) শীত

C) শরৎ

D) বসন্তকালে পালিত হয়।

উত্তর: Ⓐ গ্রীষ্মকালে পালিত হয়।

26. অপসূর অবস্থান উত্তর গোলার্ধে-

 Ⓐ গ্রীষ্ম

B) শীত

C)শরৎ

D) বসন্তঋতুতে হয়।

উত্তর: Ⓐ গ্রীষ্ম ঋতুতে হয়।

Very Short Question Answer

1. 21 মার্চ, 21 জুন, 15 আগস্ট, 23 সেপ্টেম্বর

উত্তর: 15 আগস্ট।

2. সৌরদিন, আহ্নিক গতি, নক্ষত্র দিন, সৌরবছর

উত্তর: সৌরবছর।

3. নরওয়ে, সুইডেন, ব্রাজিল, ডেনমার্ক

উত্তর: ব্রাজিল।

4. রবিমার্গ, অধিবর্ষ, সৌরদিন, মহাকাশ

উত্তর: মহাকাশ।

5. পৃথিবীর গতি, আবর্তন গতি, পরিক্রমণ গতি, অনুসূর

উত্তর: অনুসূর।

1. আকাশগঙ্গা প্রকৃতপক্ষে একটি ধূমকেতু।

উত্তর: আকাশগঙ্গা প্রকৃতপক্ষে একটি ছায়াপথ।

2. কেপলার একজন মহাকাশচারী ছিলেন।

উত্তর: কেপলার একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ছিলেন।

3. 4 জুলাই তারিখে পৃথিবীর অনুসূর অবস্থান ঘটে থাকে।

উত্তর: 4 জুলাই তারিখে পৃথিবীর অপসূর অবস্থান ঘটে থাকে।

1. আমার এই বিশেষ আকৃতির জন্য পৃথিবীপৃষ্ঠে দিনরাত্রির হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে? কীরূপ আকৃতি?

উত্তর: অভিগত গোলক।

2. আমার ওপর প্রতিদিন দিনরাত্রির দৈর্ঘ্য সমান হয়। আমি কে?

উত্তর: নিরক্ষরেখা।

3. আমি একটি মহাদেশ। ভূবিজ্ঞানী ও পর্যটকরা ডিসেম্বর মাসে আমার বুকে পদার্পণ করে। আমি কে?

উত্তর: আন্টার্কটিকা।

4. আমার আক্ষরিক অর্থ হল দিনরাত্রি সমান। আমি কে?

উত্তর: বিষুব।

5. আমার অপর নাম বসন্তকালীন বিষুব। আমি কে?

উত্তর: মহাবিষুব।

6. আমি সেই বছর, যে কিনা প্রতি চার বছর অন্তর বছরে একটা অতিরিক্ত দিন নিয়ে এসে থাকে। আমি কে?

উত্তর: অধিবর্ষ।

7. আমাকে দক্ষিণ গোলার্ধে দেখা যায়। আমি একপ্রকার অরোরা। আমি কে?

উত্তর: অরোরা অস্ট্রালিস।

৪. আমি পৃথিবীর আলোকিত অর্ধাংশ ও অন্ধকার অর্ধাংশের ঠিক মাঝখানে অবস্থান করি। আমি কে?

উত্তর: ছায়াবৃত্ত।

4. ধ্রুবতারা সর্বদাই দক্ষিণ আকাশে প্রতিভাত হয়।

উত্তর: ধ্রুবতারা সর্বদাই উত্তর আকাশে প্রতিভাত হয়।

1. কত খ্রিস্টাব্দে স্যার আইজ্যাক নিউটন মহাকর্ষ সূত্রটি আবিষ্কার করেন?’

উত্তর: 1687 খ্রিস্টাব্দে।

2. কোন্ জ্যোতির্বিজ্ঞানী সূর্যকেন্দ্রিক সৌরজগতের কথা সর্বপ্রথম বলেছিলেন?

উত্তর: কোপারনিকাস।

3. কারা সর্বপ্রথম ‘অধিবর্ষ’ কথাটি আবিষ্কার করেন?

উত্তর: মিশরীয়রা।

4. মহাবিষুব ও জলবিষুবের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কত?

উত্তর: 6 মাস।

5. কর্কটসংক্রান্তি ও মকরসংক্রান্তির মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান কত?

উত্তর: 184 দিন।

6. উত্তর গোলার্ধে সর্বাপেক্ষা বড়ো দিন কোন্ তারিখে হয়?

উত্তর: 21 জুন।

7. দিনের বেলায় কখন সূর্যালোকে সোজা দাঁড় করিয়ে রাখা কোনো দণ্ডের ছায়া সবথেকে ছোটো হয়?

উত্তর: মধ্যাহ্নে।

8. 23 সেপ্টেম্বর মধ্যাহ্ন সূর্য কোথায় লম্বভাবে পতিত হয়?

উত্তর: নিরক্ষরেখায়।

9. পৃথিবীর কোন্ কোন্ স্থানে ঋতু পরিবর্তন হয় না?

উত্তর: নিরক্ষীয় অঞ্চল ও মেরু অঞ্চল।

10. কোন্ দিন থেকে সূর্যের উত্তরায়ণ শুরু হয়?

উত্তর: 23 ডিসেম্বর।

11. কোন্ দিন থেকে সূর্যের দক্ষিণায়ন শুরু হয়?

 উত্তর: 22 জুন।

12. কোন্ অঞ্চলে পৃথিবীর আবর্তন বেগ প্রায় শূন্য হয়?

 উত্তর: মেরুবিন্দু।

13. দক্ষিণ গোলার্ধের মেরু নক্ষত্রের নাম কী?

উত্তর: হ্যাডলির অকট্যান্ট।

14. 4 জুলাই চন্দননগর-কলকাতা থেকে সূর্যের আকৃতি কেমন দেখায়?

উত্তর: ক্ষুদ্রতর।

15. নরওয়ের কোন্ বন্দর থেকে ‘নিশীথ সূর্য’ পরিলক্ষিত হয়?

উত্তর: হ্যামারফেস্ট।

16. চাঁদের পৃথিবী পরিক্রমণের সময়কাল কত?

উত্তর: 27 দিন ৪ ঘণ্টা।

17. পৃথিবীর কোন্ অঞ্চলে সারাবছরই দিন ও রাত সমান থাকে? (বহরমপুর কে.এন. কলেজ স্কুল)

উত্তর: নিরক্ষীয় অঞ্চল।

18. পৃথিবীর কোন্ অংশে জুন মাসে তুষারপাত এবং ডিসেম্বর মাসে উন্নতার তীব্রতা প্রবলভাবে অনুভূত হয়?

উত্তর: দক্ষিণ গোলার্ধে।

19. কোন্ দিনটিকে বসন্তকালীন বিষুব বলা হয়?

উত্তর: 21 মার্চ।

20. ‘অয়ন’ কথার অর্থ কী?

উত্তর: গতি বা গমন।

প্রশ্ন-২ পৃথিবীর এই আকর্ষণ বলকে কী বলে?

উত্তর: মাধ্যাকর্ষণ শক্তি।

• প্রশ্ন-3 কখন লাঠির ছায়াটি সবচেয়ে লম্বা হয়? -(সকালে/ দুপুরে/বিকেলে)

উত্তর: বিকালে।

প্রশ্ন-2 কত মিনিটে। দিন বা 24 ঘণ্টা হয়? (সূত্র: 1 ঘণ্টায় 60 মিনিট, আর। মিনিট 60 সেকেন্ড হয়।)

উত্তর: সূত্রানুসারে, 1 ঘণ্টা 60 মিনিট। আবার 1 দিন = 24 ঘণ্টা। অতএব, 1 দিন = 60 মিনিট × 24 = 1440 মিনিট।

(i) টেবিলের ওপর যে আলোর বৃত্তটা তৈরি হয়েছে, সেটা কতটা জায়গা জুড়ে আছে?

উত্তর: আলোর বৃত্তটা খুব কম জায়গা জুড়ে অবস্থান করছে।

(ii) আর দেখো আলোটা কতটা উজ্জ্বল?

উত্তর: আলোটা অনেক বেশি স্বচ্ছ ও উজ্জ্বল।

এবার টর্চটাকে একই উচ্চতায় রেখে একটু হেলিয়ে ধরো।

(i) দেখোতো এবার আলোকিত জায়গাটা বাড়ল কিনা?

উত্তর: হ্যাঁ, আলোকিত জায়গাটা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তার আকার অনেকটা উপবৃত্তের মতো দেখতে হয়েছে।

(ii) আর আলোটা আগের থেকে বেশি জোরালো না হালকা হলো?

উত্তর: এবার আলোর উজ্জ্বলতা আগের থেকে অনেকটা কমে গেছে।

▶ প্রশ্ন-1 দিবা-রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি এবং ঋতু পরিবর্তন-কী কারণে হয়? (নীচের বিকল্পগুলির মধ্যে থেকে ঠিক উত্তরটি বেছে নাও।) 1. পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথ, 2. পৃথিবীর অক্ষ হেলানো, 3. পৃথিবীর পরিক্রমণ গতি।

 উত্তর: 1, 2, 3 (সবগুলিই সঠিক)

(i) কোন্ দিন সব চেয়ে ছোটো ছায়া পড়লো?

উত্তর: 21 জুন দুপুর 12 টায়।

(ii) কোন্ দিন সবচেয়ে বড়ো ছায়া পড়লো?

উত্তর: 21 ডিসেম্বর বিকাল 4 টায়।

 প্রশ্ন-3 পৃথিবীর কোথায় সারাবছরই দিন রাত সমান থাকে? 

উত্তর: পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারাবছরই দিনরাত সমান থাকে।

• প্রশ্ন-4 21 মার্চ তারিখে স্থানীয় সময় অনুযায়ী কটার সময় টোকিয়ো, কলকাতা, সিডনিতে সূর্য উঠবে?

উত্তর: সর্বত্রই স্থানীয় সময় অনুযায়ী সকাল 6 টায় সূর্য উঠবে।

• প্রশ্ন-6 23 সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় কটার সময় নিউইয়র্ক, দিল্লি, কায়রোতে সূর্যাস্ত হবে?

উত্তর: সর্বত্রই স্থানীয় সময় সন্ধ্যা 6 টার সময় সূর্যাস্ত হবে।

হাতেকলমে

▶ প্রশ্ন-1 কোন্ কোন্ ঋতুতে বেশিরভাগ দিন নীল আকাশ দেখা যায়?

উত্তর: শীত ঋতুতে এবং শরৎ ঋতুর শেষভাগে।

• প্রশ্ন-২ কোন্ ঋতুতে মাঠের মাটি ফেটে যায়?

উত্তর: গ্রীষ্মঋতুতে।

প্রশ্ন-ও কোন্ ঋতুতে পুকুরগুলো জলে ভরতি থাকে?

উত্তর: বর্ষাঋতুতে।

• প্রশ্ন-4 কোন্ কোন্ ঋতুতে বন্যার সম্ভাবনা থাকে?

উত্তর: বর্ষাঋতুতে। তবে মাঝে মাঝে শরৎঋতুতেও বন্যা ঘটে থাকে।

• প্রশ্ন-5 কোন্ কোন্ ঋতুতে ডোবা, খাল, বিল ছেঁচে মাছ ধরা হয়?

উত্তর: শীতঋতুতে, গ্রীষ্মঋতুতে এবং শরৎঋতুতে।

• প্রশ্ন-6 কোন্ ঋতুতে সূর্য পূর্ব আকাশের সব থেকে দক্ষিণ ঘেঁষে ওঠে?

উত্তর: শীত ঋতুতে।

• প্রশ্ন-7 কোন্ ঋতুতে দুপুর 12 টায় ছায়ার দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি হয়?

উত্তর: শীত ঋতুতে।

• প্রশ্ন-৪ কোন্ ঋতুতে খুব কোকিল ডাকে?

উত্তর: বসন্তঋতুতে (ঋতুরাজ)।

প্রশ্ন-9 উত্তর গোলার্ধে কোন্ ঋতুতে সব থেকে বড়ো দিন হয়?

উত্তর: গ্রীষ্মঋতুতে।

Short Question Answer

• প্রশ্ন-1 মহাকর্ষ বল কাকে বলে?

উত্তর: মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুই পরস্পরকে আকর্ষণ করে। একে মহাকর্ষ বল বলে। যে বস্তুর ভর বেশি, আর সে যত কাছে থাকে তার আকর্ষণ শক্তিও তত বেশি হয়। ইংল্যান্ডের বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন 1687 খ্রিস্টাব্দে এই সূত্রটি আবিষ্কার করেন।

• প্রশ্ন-2 মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাকে বলে?

উত্তর: পৃথিবীর উপরিস্থিত সমস্ত বস্তু বা পদার্থসমূহকে যে বলের দ্বারা পৃথিবী তার নিজ কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে, তাকে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বলে। এই বলের প্রভাবে পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে নিক্ষিপ্ত যে-কোনো বস্তু নীচের দিকে নেমে আসে। আমরা পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ছিটকে যাই না।

• প্রশ্ন-3 অপকেন্দ্র বল (Centrifugal Force) বা অলীক বল (Pseudo Force) কাকে বলে?

উত্তর: যখনই কোনো বস্তু একটি নির্দিষ্ট বৃত্তাকার পথে ঘোরে তখন ওই বস্তুর ওপর কেন্দ্র বহির্মুখী একটি বল ক্রিয়া করে। একে অপকেন্দ্র বল বা অলীক বল বলে। এর প্রভাবে বস্তুটি বৃত্তাকার পথের স্পর্শক বরাবর ছিটকে বেরিয়ে যেতে চায়।

মুক্তিবেগ কী?

উত্তর: কোনো বস্তু 11.2 কিমি/সেকেন্ড গতিবেগে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ধাবমান হলে তা পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে অতিক্রম করে মহাশূন্যে চলে যেতে পারে। এই গতিবেগকে মুক্তিবেগ (Escape Velocity) বলে। এই বস্তু কোনোদিনই আর পৃথিবীতে ফিরে আসে না। উদাহরণ: রকেট এই বেগের সাহায্যেই মহাকাশে পাঠানো সম্ভব হয়।

• প্রশ্ন-5 চান্দ্রমাস কাকে বলে?

উত্তর: 27%, দিনে বা 27 দিন ৪ ঘণ্টায় চাঁদ পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে। এই সময়কে এক চান্দ্রমাস বলা হয়। বর্তমানে 30 দিনে 2 একমাস ধরা হলেও কখনও 31 দিন অথবা 28 দিনেও একমাস হয়।

সৌরবছর বলতে কী বোঝো?

উত্তর: পৃথিবী তার নিজ অক্ষের উপর ভর করে উপবৃত্তাকার কক্ষ পথে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে আবর্তনরত অবস্থায় সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় 365 দিন 5 ঘণ্টা 48 মিনিট 46 সেকেন্ড। এই সময়কে। সৌরবছর বলা হয়।

▶ প্রশ্ন-7 সূর্যরশ্মি কোনো স্থানে লম্বভাবে পড়লে কী হবে?

উত্তর: সূর্যরশ্মি কোনো স্থানে লম্বভাবে পড়লে সেখানকার উন্নতা বেড়ে যাবে। কারণ এক্ষেত্রে সূর্যের লম্বরশ্মি কম বায়ুস্তর ভেদ করে আসায় তাপের শোষণ কম হয় এবং ভূপৃষ্ঠের স্বল্প স্থানের উপর ছড়িয়ে পড়ে। ফলে জায়গাটি খুব তাড়াতাড়ি অত্যন্ত গরম হয়ে উঠবে।

▶ প্রশ্ন-৪ পৃথিবীর কক্ষতল কাকে বলে?

উত্তর: সংজ্ঞা: পৃথিবীর কক্ষপথ বা সূর্য প্রদক্ষিণের পথটি যে কাল্পনিক সমতলে অবস্থান করে, তাকে পৃথিবীর কক্ষতল বলে।

বৈশিষ্ট্য: (i) পৃথিবীর কেন্দ্র ও সূর্যের কেন্দ্র কক্ষতলের সমতলে অবস্থান করে। (ii) পৃথিবীর মেরুরেখা কক্ষতলের সঙ্গে সর্বদাই 66%½° কোণে হেলে থাকে।

▶ প্রশ্ন-9 ছায়াবৃত্ত কী?

উত্তর: পৃথিবীর আলোকিত অংশ (দিন) ও অন্ধকার অংশের (রাত্রি) মধ্যবর্তী স্থানে যে অস্পষ্ট আলো-আঁধারের বৃত্তাকার সীমানা রেখা দেখা যায়, তাকে ছায়াবৃত্ত বলে। পৃথিবীর আবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই ছায়াবৃত্ত সর্বদাই স্থান পরিবর্তন করে।

▶ প্রশ্ন-10 সংক্রান্তি কী?

উত্তর: ‘সংক্রান্তি’ (Solstice) শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল ‘শেষ দিন’। কোনো মাস, বছর ও কোনো গ্রহ নক্ষত্রের গতিপথের শেষ দিনকে সংক্রান্তি বলা হয়। সূর্যের আপাত বার্ষিক গতির জন্য পৃথিবীতে দুটি সংক্রান্তি ঘটে থাকে। সেগুলি হল-(i) কর্কটসংক্রান্তি (21 জুন, উত্ত রায়ণের শেষ দিন) এবং (ii) মকরসংক্রান্তি (22 ডিসেম্বর, দক্ষিণায়নের শেষ দিন)।

▶ প্রশ্ন-11 ঋতু পরিবর্তন (Change of Seasons) বলতে কী

উত্তর: পৃথিবীর বার্ষিক গতি বা পরিক্রমণ গতির জন্য পৃথিবীপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানে দিনরাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাসবৃদ্ধি লক্ষ করি। এর ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে সৌরতাপের পরিবর্তন হওয়ায় উদ্বুতার তারতম্য ঘটে। স্থান ও কাল অনুসারে উষ্ণতার তারতম্যের জন্য আবহাওয়া তথা জলবায়ুর পরিবর্তনে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে অর্থাৎ পর্যায়ক্রমে ও চক্রাকারে বিভিন্ন ঋতুর আগমন ও প্রত্যাগমন ঘটে।

প্রশ্ন-12 বিষুব বলতে কী বোঝো?

উত্তর: ‘বিষুব’ এর প্রতিশব্দ ‘Equinox’ নামক একটি ল্যাটিন শব্দ,

যার আক্ষরিক অর্থ হল দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান (Equinox-Equi = equal, nox = night)। 21 মার্চ ও 23 সেপ্টেম্বর পৃথিবী তার কক্ষপথের এমন এক স্থানে আসে, যখন পৃথিবীর উভয় গোলার্ধে সূর্য

থেকে সমান দূরে অবস্থান করে। অর্থাৎ পৃথিবীর সর্বত্রই 12 ঘণ্টা দিন

ও 12 ঘণ্টা রাত্রি হয়। ফলে এই দুই দিনকে বিষুব বলা হয়।

উত্তর: সংজ্ঞা: 23 ডিসেম্বর তারিখে পৃথিবীর সর্বত্র দিনরাত্রি সমান হয়, একে জলবিষুব বা শরৎকালীন বিষুব বলে। অপর নাম: এইসময় উত্তর গোলার্ধে শরৎকাল থাকে বলে, একে শরৎকালীন বিষুব বলা হয়। বৈশিষ্ট্য: (i) মধ্যাহ্ন সূর্যরশ্মি নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে পড়ে, (ii) পৃথিবীর উভয় গোলার্ধে দিনরাত্রির দৈর্ঘ্য সমান হয় অর্থাৎ 12 ঘণ্টা দিন ও 12 ঘণ্টা রাত্রি। (iii) ছায়াবৃত্ত অক্ষরেখাগুলিকে সমদ্বিখণ্ডিত করে।

প্রশ্ন-12 জুলাই না জানুয়ারি কোন্ মাসে আমরা সূর্যের বেশি কাছে আসি?

উত্তর: জানুয়ারি মাস। কারণ 3 জানুয়ারি সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব হয় 14 কোটি 70 লক্ষ কিমি, যা একটি বছরের মধ্যে সর্বাপেক্ষা কম দূরত্ব।

▶ প্রশ্ন-10 25 ডিসেম্বর ‘বড়োদিন-এ দক্ষিণ গোলার্ধে গরম না ঠান্ডা?

উত্তর: 22 ডিসেম্বর সূর্য মকরক্রান্তিরেখার ওপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। তার 2 দিন পরেই 25 ডিসেম্বর খ্রিস্টমাস বা বড়োদিন পালিত হয়। স্বাভাবিক কারণে সূর্যের লম্বরশ্মির তীব্রতার প্রভাবে দক্ষিণ গোলার্ধে তখন প্রচণ্ড গরম পড়ে অর্থাৎ সেখানে তখন গ্রীষ্মকাল বিরাজ করে।

▶ প্রশ্ন-5 4 জুলাই, 25 জানুয়ারি, 20 সেপ্টেম্বর, বিষুবরেখার যে-কোনো জায়গায় কখন সূর্য উঠবে?

উত্তর: এই তিন দিন একই সময়ে অর্থাৎ সকাল 6 টার সময় সূর্য উঠবে। কারণ বিষুবরেখা বা নিরক্ষরেখায় সারাবছর সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয়। এর ফলে বিষুবরেখায় প্রতিদিনই 12 ঘণ্টা দিন ও 12 ঘণ্টা রাত্রি সংঘটিত হয়।

• প্রশ্ন-1 সুর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবী কতবার নিজ অক্ষের অপর আবর্তন করে?

উত্তর: 365 বার (সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ বা পরিক্রমণ করতে পৃথিবীর সময় লাগে 365 দিন)। অতিসূক্ষ্ম হিসাব অনুসারে অধিবর্ষের বছরগুলি 366 দিন ধরা হয়)।

• প্রশ্ন-1 একটা বল হাতে নিয়ে ছেড়ে দিলে কী হবে?

উত্তর: যে-কোনো আয়তন ও ওজনের একটি বলকে হাত থেকে ছেড়ে দিলে, তা মাটিতে পড়ে যাবে। স্যার আইজ্যাক নিউটন-এর মহাকর্ষ সূত্র (1687 খ্রিস্টাব্দে) অনুসারে কোনো বলকে হাত থেকে ছেড়ে দিলে তা পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে পৃথিবীপৃষ্ঠে পড়বে- কখননো মহাকাশের দিকে উঠে যাবে না। কারণ পৃথিবী প্রতিটি বস্তুকে নিজের কেন্দ্রের দিকে টানে।

• প্রশ্ন-4 ভেবে দেখো, ভারী, হালকা সব জিনিসই-নীচের দিকে পড়ে, তাইতো? কিন্তু নীচের দিক কোন্টা?

উত্তর: পৃথিবী সংলগ্ন ভারী বা হালকা-যে কোনো বস্তুই মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে আকৃষ্ট হবে। ফলে সব বস্তুই ‘নীচের দিকে’ অর্থাৎ মাটির দিকে পড়বে। পাঠ্যপুস্তকে প্রদত্ত চিত্র থেকে বলা যায়-চারজনের হাত থেকে যে চারটি ভারী বস্তু পড়ছে, তা ভূপৃষ্ঠের ওপর পড়ছে। যা নীচ থেকে, পাশ থেকে বা ওপর থেকে- সবদিক থেকেই হবে।

▶ প্রশ্ন-6 পৃথিবী তাহলে কার দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে?

উত্তর: মহাকাশের কোটি কোটি নক্ষত্রের মধ্যে সূর্য হল পৃথিবীর নিকটতম উজ্জ্বল নক্ষত্র, যা পৃথিবী অপেক্ষা 13 লক্ষ গুণ বড়ো। সেজন্য সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের মতোই পৃথিবী সর্বদাই সূর্যের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে।

• প্রশ্ন-1 কখন আমরা সূর্যের বেশি কাছে আসি?

উত্তর: প্রতি বছর 3 জানুয়ারি আমরা সূর্যের সবচেয়ে বেশি কাছে আসি। ওই দিন সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব হয় 14 কোটি 70 লক্ষ কিমি। পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যেকার এই সর্বনিম্ন দূরত্বের অবস্থানকে অনুসূর অবস্থান (Perihelion) বলে।

• প্রশ্ন-২ ঘড়ি না থাকলে সময়কে মাপার কোনো উপায় না থাকলে কি ঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছাতে পারবে?

উত্তর: হ্যাঁ, অবশ্যই পারবো। প্রাচীনকালে তো ঘড়ি ছিল না। তবুও তারা অনুমানের ওপর ভিত্তি করে মোটামুটি একটা সময় নির্ণয় করতে পারতো। আর আমি তো আমার বাড়ির সামনে ফাঁকা জায়গায় একটা সূর্যঘড়ি তৈরি করে নিয়েছি। এই সূর্যঘড়ির ছায়া দেখে আমি স্কুলে রওনা হওয়ার মোটামুটি সঠিক সময় নির্ণয় করতে পারবো এবং সঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছেও যাবো।

প্রশ্ন-1 সূর্য থেকে পৃথিবীতে প্রতিমুহূর্তে একই পরিমাণে আলো আর তাপ এসে পৌঁছায়। তবে তো রোজই একইরকম গরম বা একইরকম ঠান্ডা পড়ার কথা। কিন্তু সারাবছর ধরে কখনো ‘গরম’, কখনো ‘ঠান্ডা’ এরকম হয় কেন?

উত্তর: পৃথিবীতে সারাবছর একইরকম গরম বা একইরকম ঠান্ডা পড়ে না, তার কারণগুলি হল- পৃথিবীর অভিগত গোলাকৃতি, ii) সূর্যের লম্ব ও তির্যক রশ্মি বা সূর্যরশ্মির পতনকোণের তারতম্য, (iii) কক্ষতলের ওপর পৃথিবীর নিজ মেরুরেখার 66½° কোণ করে অবস্থান, পৃথিবীর পরিক্রমণ গতি, পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথ, দিনরাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাসবৃদ্ধি প্রভৃতি।

• প্রশ্ন-২ এক বালতি জল দুপুর রোদে আধ ঘণ্টা রেখে দিলেই গরম হয়ে যায়। কেন?

উত্তর: দুপুরবেলা সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পতিত হয়। লম্বরশ্মি কম বায়ুস্তর ভেদ করে ও কম দূরত্ব অতিক্রম করে। ফলে লম্বরশ্মি থেকে প্রাপ্ত উত্তাপ বেশি হয়। অন্যদিকে, সকালবেলা ও বিকালবেলা সূর্যরশ্মি তির্যকভাবে পড়ে। সেই রশ্মির তেজ বা তীব্রতা অনেক কম থাকে। সেই কারণে দুপুরবেলায় এক বালতি জল রৌদ্রে দিলে আধ ঘণ্টার মধ্যে গরম হয়ে যায়।

• প্রশ্ন-3 বলো তো, দিনের কোন্ সময়টা বেশি গরম লাগে?

উত্তর: সকালে সূর্য ওঠার সময়?           কম

দুপুরে সূর্য যখন মাথার উপর থাকে?     বেশি

সন্ধ্যায়-সূর্যাস্তের সময়?                         কম

রাতে-সূর্যাস্তের পর?                          অত্যন্ত কম

Long Question Answer

• প্রশ্ন-1 ঋতুগুলো কেন আসে?

উত্তর: পৃথিবীপৃষ্ঠে সূর্যরশ্মির পতনকোণের তারতম্য অনুসারে

উন্নতার পার্থক্য হয়। উয়তার তারতম্যের জন্য তাপমণ্ডলের পার্থক্য ঘটে। পৃথিবীপৃষ্ঠে এই উয়তার পার্থক্যের জন্য ঋতু পরিবর্তন হয়। এই ঋতু পরিবর্তনের প্রধান কারণগুলি হল। পৃথিবীর অভিগত গোলাকৃতি, সূর্যের লম্ব ও সূর্যরশ্মির পতন কোণের তারতম্য, (ii) কক্ষতলের 

ওপর পৃথিবীর মেরুরেখার 66%° কোণ করে অবস্থান, পরিক্রমণ গতি, পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথ, পৃথিবীর মেরুরেখার একই দিকে অবস্থিতি, (vi) দিনরাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাসবৃদ্ধি প্রভৃতি।

► প্রশ্ন-2 গ্রীষ্ম কেন শীতের থেকে গরম?

উত্তর: সূর্যরশ্মি পৃথিবীপৃষ্ঠে কোথাও লম্বভাবে, আবার কোথাও তির্যকভাবে পড়ে। পৃথিবীর পরিক্রমণ সময় সূর্য যখন যে গোলার্ধে লম্বভাবে কিরণ দেয়, তখন সেই গোলার্ধে অত্যধিক তাপ বৃদ্ধির জন্য গ্রীষ্মকাল হয়। ফলে সেইসব অঞ্চলগুলিতে অধিক গরম থাকে। অন্যদিকে, ওই একই সময়ে বিপরীত গোলার্ধে সূর্যরশ্মি তির্যকভাবে পড়ায় সূর্যশ্মির অনেকটা পথ অতিক্রমে তাপের শোষণ বৃদ্ধি পায় এবং ভূপৃষ্ঠের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কম তাপমাত্রা ছড়িয়ে পড়ে। ফলে সেই সব অঞ্চলের তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কম থাকে। সেজন্য যে কোনো অঞ্চলের গ্রীষ্মকাল শীতকাল অপেক্ষা গরম থাকে।

▶ প্রশ্ন-3 ভেবে দেখেছ? পৃথিবীও তো একটা ভারী গোলক। পৃথিবীও যদি ওই বলটার মতো পড়ে যায়, তাহলে আমাদের কী হবে? পড়ে যাওয়া মানেই তো শেষ পর্যন্ত বিন্দুর ওপর গিয়ে আছড়ে পড়া। পৃথিবী তাহলে কার দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে?

উত্তর : ইংল্যান্ডের পৃথিবীবিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন-এর মহাকর্ষ সূত্র অনুযায়ী, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মহাকর্ষ বলের প্রভাবে সব বস্তুই পরস্পরকে আকর্ষণ করে। পৃথিবীর নিকটতম সবচেয়ে ভারী নক্ষত্র সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রবল টানে পৃথিবী

অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সূর্যের পৃষ্ঠদেশে আছাড় খেয়ে টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে গিয়ে পুড়ে ছাই হয়ে যেত। তবে মহাজাগতিক নিয়ম অনুসারে এইরকম ঘটনা ঘটবে না। কারণ, সূর্যের চারপাশে অনবরত পৃথিবীর পরিক্রম ফলে পৃথিবীতে একটি অপকেন্দ্র বলের সৃষ্টি হয়, যা পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরের দিকে কাজ করে। অর্থাৎ সূর্যের আকর্ষণ শক্তির বিরুদ্ধে পৃথিবীর প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সূর্য ও পৃথিবীর এই দুটি বিপরীতধর্মী ও পরস্পরবিরোধী শক্তির ক্রিয়ার সমতার জন্য পৃথিবী কখনোই সূর্যের গায়ে আছড়ে পড়বে না। ফলে আমাদের বাসভূমি পৃথিবী সর্বদা অক্ষত থাকবে।

▶ প্রশ্ন-3 ঘড়ি থেকে তো ক-টা বাজে জানা যায়। কিন্তু কত তারিখ, কোন্ মাস, কোন্ বছর কীভাবে জানা যায়? ঠিক ধরেছ, ক্যালেন্ডার! এই ক্যালেন্ডারে তারিখ, মাস, বছর সব ঠিক ঠিক কী করে লেখা থাকে ভেবে দেখেছ?

উত্তর: একটি ক্যালেন্ডারে সাধারণত একটি বছরের তারিখ, দিন ও মাসের সমস্ত হিসাব থাকে। যেমন-① রবিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত এই 7 দিনে এক সপ্তাহ হয়। ② প্রায় 4 সপ্তাহে এক মাস হয়, ③ ফেব্রুয়ারি মাস সাধারণত 28 দিনে হয়, কিন্তু প্রতি 4 বছর অন্তর যখন ‘অধিবর্ষ’ (Leap year) হয়, সেই বছরের ফেব্রুয়ারি মাস 29 দিনে হয়, ④ একটি বছরের 4 টি মাস 30 দিনে হয়, সেগুলি হল-(i) এপ্রিল, (ii) জুন, (iii) সেপ্টেম্বর, (iv) নভেম্বর।

⑤ একটি বছরের মধ্যে 7 টি মাস 31 দিনে হয়, সেগুলি হল-(i) জানুয়ারি, (ii) মার্চ, (iii) মে, (iv) জুলাই, (v) আগস্ট, (vi) অক্টোবর, (vii) ডিসেম্বর। ⑥ ইংরেজি ক্যালেন্ডার শুরু হয় জানুয়ারি মাস দিয়ে এবং শেষ হয় ডিসেম্বর মাসে। (viii) উল্লেখ্য আমাদের পশ্চিমবঙ্গের বাংলা ক্যালেন্ডার বৈশাখ মাস দিয়ে শুরু হয় এবং চৈত্র মাসে শেষ হয়। (ix) প্রতিটি বছরের সাপেক্ষে বাংলা ক্যালেন্ডারের মাসগুলির দিনসংখ্যা হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে।

▶ প্রশ্ন-5 ওপর থেকে কোনো জিনিস পৃথিবীর আকর্ষণের টানে নীচের দিকে গড়ে। তাহলে মহাশূন্যে কী হয়? মহাকাশেও কি আকর্ষণ কাজ করে?

উত্তর: বিশ্বব্রহ্মাণ্ড বা মহাকাশের প্রতিটি বস্তুই নিজ নিজ ভর ও ক্ষমতা অনুসারে একে অপরকে আকর্ষণ করে বা নিজ কেন্দ্রের দিকে সর্বদাই টানতে থাকে। এই মহাজাগতিক নিয়ম অনুসারে যে জ্যোতিষ্কের ভর বেশি এবং যে জ্যোতিষ্ক অন্য জ্যোতিষ্কের যত কাছে আছে-তার আকর্ষণ ক্ষমতাও তত বেশি হয়ে থাকে। তবে মহাকাশে সুদীর্ঘকাল ধরে এই আকর্ষণ ও বিকর্ষণ শক্তি পরস্পরের বিপরীতে ক্রিয়াশীল থেকে বর্তমানে সমতা বিধান হয়েছে, ফলে মহাকাশে জ্যোতিষ্কদের কোনো সংঘর্ষ ঘটে না।

• প্রশ্ন-3 29 ফেব্রুয়ারি তারিখটি কি প্রতি বছর ক্যালেন্ডারে পাও? কিন্তু কোনো কোনো বছর ফেব্রুয়ারি মাসটা 28 দিনের বদলে 29 দিনে হয়। তাহলে 29 ফেব্রুয়ারি কারো জন্মদিন হলে কী হবে?

উত্তর: না, পাওয়া যায় না। সূর্যকে একবার পরিক্রমণ করতে পৃথিবীর প্রকৃত সময় লাগে 365 দিন 5 ঘণ্টা 48 মিনিট 46 সেকেন্ড বা প্রায় 6 ঘণ্টা। সেজন্য প্রতি 4 বছর অন্তর একটি সম্পূর্ণ দিন বেড়ে যায় (5) ঘণ্টা 48 মিনিট 46 সেকেন্ড বা 6 ঘণ্টা× 4 = 24 ঘণ্টা বা 1 দিন)। এই অতিরিক্ত একদিন ফেব্রুয়ারি মাসের সঙ্গে যোগ হয়ে (28+1)=29 দিনে হয় এবং ওই বছরটির মোট দিন সংখ্যা হয় 366 দিন। এই কারণে বছরটিকে অধিবর্ষ (Leap year) বলা হয়।

কারো জন্মদিন যদি 29 ফেব্রুয়ারি হয়, তাহলে সে প্রতিবছর প্রকৃতভাবে জন্মদিন পালন করতে পারবে না। তাকে প্রকৃত জন্মদিন পালন করতে হলে প্রতি 4 বছর অন্তর করতে হবে। (শুধুমাত্র অধিবর্ষের বছরগুলিতে)

• প্রশ্ন-4 কেন এমন হয়? অথবা, অধিবর্ষ বা ‘Leap Year’ কী? অথবা, অধিবর্ষ কীভাবে নির্ণয় করা যায়?

উত্তর: সূর্যকে একবার পরিক্রমণ করতে পৃথিবীর প্রকৃত সময় লাগে 365 দিন 5 ঘণ্টা 48 মিনিট 46 সেকেন্ড বা প্রায় 6 ঘণ্টা। সেজন্য প্রতি 4 বছর অন্তর একটি সম্পূর্ণ দিন বেড়ে যায় (5 ঘণ্টা 48 মিনিট 46 সেকেন্ড বা 6 ঘণ্টা × 4 = 24 ঘণ্টা বা 1 দিন)। এই অতিরিক্ত একদিন ফেব্রুয়ারি মাসের সঙ্গে যোগ হয়ে (28+ 1) = 29 দিনে হয় এবং ওই বছরটির মোট দিন সংখ্যা হয় 366 দিন। এই কারণে বছরটিকে অধিবর্ষ (Leap year) বলা হয়।

কিন্তু এতেও সমস্যার সমাধান হয়নি। কারণ (366 – 365 দিন 5 ঘণ্টা 48 মিনিট 46 সেকেন্ড) প্রতি বছর 11 মিনিট 14 সেকেন্ড সময় অতিরিক্ত ধরায় 4 বছর অন্তর (11) মিনিট 14 সেকেন্ড × 4 = 44 মিনিট

56 সেকেন্ড) সময় অতিরিক্ত হয়ে যায়। তাই এই সমস্যার সমাধানের 56 সেমেতাব্দী (যেমন-2000 সাল) ছাড়া অন্য যে বছরগুলি 4 দ্বারা বিভাজ্য তাদের অধিবর্ষ ধরা হয়। যেমন 2020 সাল, 1996 সাল, আর শতাব্দীর বছরগুলিতে 4-এর পরিবর্তে 400 দিয়ে ভাগ করা হয় এবং যদি কোনো শতাব্দীর বছর 400 দ্বারা বিভাজ্য হয় তবেই সেই শতাব্দীকে অধিবর্ষ রূপে ধরা হয়। যেমন-1600, 2000 সালগুলি অধিবর্ষ, কিন্তু 1900, 2100 সালগুলি অধিবর্ষ নয়।

► প্রশ্ন-1 সূর্যের লম্ব রশ্মি ও তির্যক রশ্মির মধ্যে পার্থক্য কোথায়?

উত্তর: প্রথমে পাঠ্যপুস্তকের চিত্রটি ভালো করে দেখো। এখানে সূর্যের লম্ব রশ্মি কম দূরত্ব ও কম বায়ুস্তর ভেদ করে পৃথিবীপৃষ্ঠের স্বল্প পরিসর স্থানের উপর পতিত হয়। ফলে এই রশ্মি কম জায়গাকে অনেক } বেশি উত্তপ্ত করে থাকে। অন্যদিকে, সূর্যের তির্যক রশ্মি অনেক বেশি

দূরত্ব ও অনেকটা বায়ুস্তর ভেদ করে আসে এবং পৃথিবীপৃষ্ঠের অনেকটা না বেশি জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। ফলে এই রশ্মি ভূপৃষ্ঠকে কম উত্তপ্ত করে থাকে।

• প্রশ্ন-1 উত্তর গোলার্ধের ‘বড়ো দিন’ কি আসলে ‘বড়ো দিন’?

উত্তর: 25 ডিসেম্বর হল জিশুখ্রিস্টের শুভ জন্মদিন। তাঁর জন্মদিনকে আমরা ‘বড়ো দিন’ হিসেবে পালন করি। অন্যদিকে সূর্যের বার্ষিক গতির জন্য 22 ডিসেম্বর সূর্য মকরক্রান্তিরেখার ওপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে সমগ্র দক্ষিণ গোলার্ধে ওই তারিখটিতে সবচেয়ে বড়ো দিন (14 ঘণ্টা) এবং সবচেয়ে ছোটো রাত্রি (10 ঘণ্টা) হয়। অন্যদিকে, উত্তর গোলার্ধে 25 ডিসেম্বর সবচেয়ে ছোটো দিন (প্রায় 10 ঘণ্টা) এবং সবচেয়ে বড়ো রাত্রি (প্রায় 14 ঘণ্টা) বিরাজ করে। এককথায়, 25 ডিসেম্বর দক্ষিণ গোলার্ধে যখন গ্রীষ্মকাল থাকে, তখন উত্তর গোলার্ধে শীতকাল চলতে থাকে। অর্থাৎ দিনের দৈর্ঘ্য উত্তর গোলার্ধে সবচেয়ে কম থাকে। সেই সময় জিশুখ্রিস্টের শুভ জন্মদিন পালন করা হয়। অতএব উত্তর গোলার্ধের ‘বড়ো দিন’ আসলে বড়ো দিন নয়।

• প্রশ্ন-1 পৃথিবীর অক্ষটা যদি পৃথিবীর কক্ষপথের ওপর লম্ব হত, তাহলে কী হত? (বৃহস্পতির অক্ষটা এরকমই কক্ষের ওপর লম্ব)

উত্তর: পৃথিবীর অক্ষটা যদি পৃথিবীর কক্ষপথের ওপর লম্বভাবে অবস্থান করত। তাহলে যেসব আনুমানিক ফলাফল দেখা যেত, সেগুলি হল- সারাবছর একই অক্ষরেখা বরাবর সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হত, আকাশপথে সূর্যের আপাতগতি বা রবিমার্গ দেখা যেত না (iii) ভূপৃষ্ঠের সর্বত্রই দিনরাত্রির দৈর্ঘ্য সমান হত বছরের বিভিন্ন সময়ে পর্যায়ক্রমে ঋতু পরিবর্তন সংঘটিত হত না পৃথিবীপৃষ্ঠের সর্বত্রই একইরকম তাপমণ্ডল ও বায়ুপ্রবাহ লক্ষ করা যেত নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারাবছর সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেওয়ায় সেখানকার উষ্ণতা অত্যধিক বৃদ্ধি পেত উভয় মেরু অঞ্চল সারাবছর অত্যধিক পুরু বরফে ঢাকা থাকতো (vi) বায়ুপ্রবাহের বিভিন্নতা লক্ষ করা যেত না (x) প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যেত নিম্ন অক্ষাংশ (নিরক্ষীয় অঞ্চল) ও উচ্চ অক্ষাংশ (মেরু সন্নিহিত অঞ্চল) মানুষের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ত। শুধুমাত্র মধ্য অক্ষাংশের অঞ্চলগুলিতে মানুষের বসবাসের অনুকূল পরিবেশ থাকায় সেখানে আবার অত্যধিক ঘনবসতির জন্য মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হত।

প্রশ্ন-2 পৃথিবীর অক্ষ যদি কক্ষপথের সমতলে থাকতো, (ইউরেনাস এর অক্ষটা এরকমই) তাহলে কী কী ঘটার সম্ভাবনা থাকতো?

উত্তর: পৃথিবীর অক্ষটা যদি পৃথিবীর কক্ষপথের ওপর সমতলে বা

অনুভূমিকভাবে অবস্থান করত, তাহলে যেসব আনুমানিক ফলাফল -দেখা যেত, সেগুলি হল উয় নিরক্ষীয় অঞ্চল চিরতুষারাবৃত হিমমণ্ডলে পরিণত হত, ⅱ হিমশীতল মেরু অঞ্চল চরমভাবাপন্ন উয় মরু অঞ্চলে পরিণত হত, (iii) বছরের প্রায় 6 মাস উত্তর গোলার্ধে প্রচুর সূর্যালোক পতিত হত এবং দক্ষিণ গোলার্ধে অন্ধকারময় থাকতো আবার বছরের পরবর্তী 6 মাস এর বিপরীত অবস্থা হত, (iv) সারাবছর একই অক্ষরেখা বরাবর সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হত, পৃথিবীর মধ্য অক্ষাংশে একটানা 6 মাস রাত্রি ও 6 মাস দিন বিরাজ করত, পৃথিবীতে কোনো অঞ্চলে একটানা গ্রীষ্মকাল বা শীতকালের প্রাধান্য লক্ষ করা যেত না, vi দিনরাত্রির হ্রাস বৃদ্ধির স্বাভাবিক নিয়ম মেনে হত না, vii) জনবসতির বিস্তার সম্পূর্ণ বিপরীতক্রমে বিন্যস্ত হত, (ix) সর্বোপরি, প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে জীববৈচিত্র্যসহ বাস্তুতান্ত্রিক ভারসাম্য ধ্বংস হয়ে যেত।

প্রশ্ন-11 বিজ্ঞানীরা আন্টার্কটিকা মহাদেশ অভিযানে ডিসেম্বর মাসে কেন যান? অথবা, আন্টার্কটিকা অভিযান ডিসেম্বর মাসে করা হয় কেন?

উত্তর: বিজ্ঞানীরা আন্টার্কটিকা মহাদেশ অভিযানে ডিসেম্বর মাসে যান। তার কারণগুলি হল- পৃথিবী তার নিজ কক্ষপথে সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করার সময় ডিসেম্বর মাসে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি চলে আসে। ফলে ওই সময় দক্ষিণ গোলার্ধে সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয়। অর্থাৎ তখন দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল বিরাজ করে। ফলে বরফমুক্ত ভূভাগের সুবিধা কিছুটা পাওয়া যায়। ⅱ 22 ডিসেম্বরের 1½ মাস আগে থেকে 1½ মাস পর পর্যন্ত এই 3 মাস (নভেম্বর-জানুয়ারি) দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল থাকায় উষুতার প্রভাবে আন্টার্কটিকা মহাদেশের উপকূলবর্তী স্থানগুলি বরফমুক্ত থাকে। আন্টার্কটিকার পার্শ্ববর্তী মহাসাগরগুলিতে বরফের গলনে ভাসমান হিমশৈলের আয়তন ও পরিমাণ অনেক কম থাকে। ফলে সহজে জাহাজ চলাচল করতে পারে। ফলে ভূ তাত্বিক গবেষণার সুবিধা হয়। (iii) আন্টার্কটিকা হল সম্পূর্ণ বরফাবৃত মহাদেশ। তবে গ্রীষ্মের উন্নতার প্রভাবে মহাদেশটির উপরিভাগ থেকে বরফের চাদর অনেকটা গলে যায়। ফলে জাহাজগুলো অ্যান্টার্কটিকার

ভিতরে প্রবেশ করতে পারে এবং সহজভাবে যাতায়াত করতে পারে। ⅳ শীতকালের ‘মতো গ্রীষ্মকালে সেখানে ততটা শীতের ও তুষার ঝড়ের (ব্লিজার্ড) প্রকোপ থাকে না। প্রাকৃতিক পরিবেশ নির্মলা ও রৌদ্রকরোজ্জ্বল হওয়ায় অনেকটা আরামদায়ক ও সহনীয় তাপমাত্রা থাকে। গ্রীষ্মকালে শীতের প্রকোপ কম থাকায় কুয়াশার পরিমাণ অনেক কম থাকে। ফলে স্বাভাবিক চোখে দৃশ্যমানতা অনেক দূর চলে যায়। এ ছাড়াও কুয়াশার জন্য টেলিস্কোপনের লেন্স ঝাপসা না হওয়ায় টেলিস্কোপ ব্যবহার করা সহজতর হয়।

6 সুমেরুপ্রভা এবং কুমেরুপ্রভা কী?

উত্তর: উভয় মেরু অঞ্চলে যখন একটানা রাত চলতে থাকে, তখন আকাশে মাঝে মাঝে রামধনুর মতো একরকম অস্পষ্ট বর্ণময় মৃদু আলোকজ্যোতির সৃষ্টি হয়, তাকে মেরুজ্যোতি বলে। উত্তরমেরুতে মেরুপ্রভাকে ‘সুমেরুপ্রভা’ এবং দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের মেরুপ্রভাকে ‘কুমেরুপ্রভা’ বলে।

বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন আয়নিত গ্যাসের সঙ্গে সূর্যরশ্মির সংঘর্ষে মেরুঅক্ষ্ম ঞ্চলের আকাশে এরকম লাল, সবুজ বা কখনো সাদা রং-এর আলোক বিচ্ছুরণ ঘটায়। মেরু অঞ্চলের রাত যেহেতু খুব গাঢ় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয় না, কিন্তু দীর্ঘ হয়। তাই শুধুমাত্র মেরু অঞ্চল থেকেই এই সব নানান ধরনের আলোক বিচ্ছুরণ ঘটতে দেখা যায়।

প্রশ্ন-7 দিনরাত্রির হ্রাসবৃদ্ধির কারণগুলি লেখো।

উত্তর: দিনরাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাসবৃদ্ধির কারণগুলি হল-(i) পৃথিবীর অভিগত গোলাকার আকৃতি, (ii) পৃথিবীর পরিক্রমণ গতি, (ii) পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথ, (iv) পৃথিবীর অক্ষের সর্বদাই একই দিকে অবস্থিতি, (v) কক্ষতলের উপর মেরুরেখার 66½° কোণ করে। অবস্থান, (vi) সূর্যের আপাত দৈনিকগতি ও রবিমার্গ, (vii) পৃথিবীর আবর্তন গতি ও বার্ষিক গতি। এইসব কারণগুলির জন্যে বছরের বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর ওপর সূর্যরশ্মি কোথাও লম্বভাবে আবার কোথাও তির্যকভাবে পতিত হওয়ার ফলে দিনরাত্রির সময়ের হ্রাসবৃদ্ধি ঘটে।

দুই মেরু (সুমেরু ও কুমেরু) বিন্দুতে একটানা 6 মাস দিন ও 6 মাস রাত্রি থাকে কেন?

উত্তর: পৃথিবীর অক্ষ কক্ষতলের সঙ্গে 66½° কোণে হেলে থাকায় 21 মার্চ থেকে 23 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উত্তর মেরুতে একটানা ছ’মাস সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে এবং দক্ষিণ মেরু সূর্য থেকে দূরে থাকে। 66 উ: অক্ষরেখার উত্তরের স্থান সমূহ ছায়াবৃত্তের আলোকিত অংশে থাকার ফলে সুমেরু বিন্দু তথা সুমেরু অঞ্চলে একটানা ছ-মাস সূর্যের আলোয় আলোকিত থাকে এবং দক্ষিণ মেরুতে রাত্রি বিরাজ করে। অন্যদিকে 23 সেপ্টেম্বরের পর থেকে 21 মার্চ পর্যন্ত দক্ষিণ মেরু একটানা ছ’মাস সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে এবং উত্তর মেরু সূর্য থেকে দূরে থাকে। ফলে দক্ষিণ মেরু বিন্দু তথা কুমেরু অঞ্চলে একটানা ছ’মাস সূর্যের আলোয় আলোকিত থাকে এবং উত্তর মেরুতে রাত্রি বিরাজ করে।

প্রশ্ন- পরিক্রমণ গতি বা বার্ষিক গতির প্রভাব বা ফলাফলগুলি আলোচনা করো। (পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)

উত্তর: পরিক্রমণ গতি বা বার্ষিক গতির ফলাফলগুলি হল-

(i) দিনরাত্রির হ্রাস বৃদ্ধি: পৃথিবীর অভিগত গোলাকৃতি ও পৃথিবীর মেরুরেখা কক্ষতলের সঙ্গে 66½° কোণে হেলে থাকায় ছায়াবৃত্ত

নিরক্ষরেখা ছাড়া অন্য কোনো অক্ষরেখাকে সারাবছর সমান দুভাগে ভাগ করে না। ফলে পৃথিবীপৃষ্ঠে দিন ও রাত্রির হ্রাসবৃদ্ধি ঘটে থাকে। 21 মা ও 23 সেপ্টেম্বর তারিখে পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার সময় সূর্যরশি নিরক্ষরেখার উপর স্লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে ওই দিনে পৃথিবীর সর্বা দিন ও রাত্রি সমান থাকে। অর্থাৎ 12 ঘণ্টা দিন ও 12 ঘণ্টা রাত্রি। (চিত্র 21 মার্চের পর থেকে 23 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ সূর্যে দিকে ঝুঁকে অবস্থান করে, সেজন্য উত্তর গোলার্ধে দিন বড়ো ও রবি ছোটো হয়। দক্ষিণ গোলার্ধে ঠিক এর বিপরীত অবস্থার সৃষ্টি হয়।

(ii) ঋতু পরিবর্তন : পৃথিবীতে দিনরাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাসবৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অক্ষাংশ-এ উষুতার পার্থক্য ঘটে। ফলে, ঋতু পরিবর্তন ঘটে। যেমন-21 মার্চ তারিখে উত্তর গোলার্ধে বসন্তকাল হলে দক্ষিণ গোলার্ধে শরৎকাল হয়। 21 মার্চের পর থেকে উত্তর গোলার্ধে দিনের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে উন্নতা বৃদ্ধি পায়। ফলে উত্তর- গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে শীতকাল অনুভূত হয়। একইভাবে 23 সেপ্টেম্বরের পর থেকে দক্ষিণ-গোলার্ধে দিনের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল ও উত্তর গোলার্ধে শীতকাল বিরাজ করে।

(iii) বছর গণনা বা সময়কাল নির্ণয় পৃথিবী 365 দিন 5 ঘণ্টা 48 মিনিট 46 সেকেন্ড সূর্যকে একবার সম্পূর্ণ প্রদক্ষিণ করে। একে সৌরবছর বলে। প্রতি 4 বছর অন্তর লিপইয়ারে 366 দিনে এক বছর ধরে বছর নির্ণয় করা হয়।

(iv) রবিমার্গ: সূর্য আকাশ পথে সারাবছর ধরে একটি নির্দিষ্ট গতিপথে বিচরণ করে। উত্তরে কর্কটক্রান্তি এবং দক্ষিণে মকরক্রান্তি রেখা হল সূর্যের বার্ষিক আপাতগতির শেষসীমা। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় যে সূর্য সারাবছর পৃথিবীর বিষুবরেখা থেকে উত্তর কর্কটক্রান্তি থেকে দক্ষিণে মকরক্রান্তি পর্যন্ত ঘোরাফেরা করে তাকে সূর্যের আপাত বার্ষিক গতিপথ বা রবিমার্গ বলে।

(v) মেরুজ্যোতি সৃষ্টি: পৃথিবীর মেরুরেখা তার কক্ষতলের সঙ্গে 66½° কোণে হেলে থাকায় উভয় মেরুতে শীতকালে এক টানা 6 মাস রাত্রি বিরাজ করে। এই সময় মেরু আকাশে যে মৃদু বর্ণময় আলোক রশ্মি দেখা যায়। তা মেরুজ্যোতি নামে পরিচিত।

(vi) তাপমণ্ডলের সৃষ্টি: পৃথিবীর পরিক্রমণের ফলে সূর্যরশ্মির পতন কোণের তারতম্য ঘটে। ফলে উষ্ণতার পরিবর্তন ঘটে। এই উয়তার তারতম্য হেতু অক্ষাংশভেদে বিভিন্ন তাপমণ্ডলের সৃষ্টি হয়েছে। যেমন-উদ্বু মণ্ডল, নাতিশীতোয়ুমণ্ডল এবং হিমমণ্ডল।

প্রশ্ন-২ ঋতু পরিবর্তনের কারণগুলি লেখো। অথবা, ঋতুগুলো কেন পর্যায়ক্রমে আসে-তার কারণ ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: পৃথিবীতে ঋতু পরিবর্তনের কারণগুলি হলো- (i) পৃথিবীর পরিক্রমণ গতি: পৃথিবী তার নিজ অক্ষের উপর পাক খাওয়ার সময়, কখনো পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে আবার কখনো দক্ষিণ গোলার্ধে সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়ে। ফলে কখনো উত্তর গোলার্ধে এবং কখনও দক্ষিণ গোলার্ধে উদ্বুতা বেশি থাকে। এর ফলে বছরের বিভিন্ন সময়ে উয়তার তারতম্য ঘটায় জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটে। এর ফলে ঋতু পরিবর্তন হয়। যেমন- জুন মাসে কর্কটক্রান্তি রেখার উপর সূর্য লম্বভাবে কিরণ দিয়ে উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল হয়, আবার কর্কটসংক্রান্তির পর থেকে দক্ষিণায়ন শুরু হলে মকরক্রান্তিরেখার দিয়ে সরতে থাকলে অর্থাৎ সূর্যরশ্মি সেপ্টেম্বরে শরৎকাল ও নভেম্বর ডিসেম্বরে শীতকাল হয়।

(ii) পৃথিবীর গোলাকার আকৃতি: পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলাকার হওয়ার জন্য পৃথিবীর পরিক্রমণ গতির ফলে সূর্য রশ্মির পতন

কোণ কোথাও তির্যক (মেরুপ্রদেশ), আবার কোথাও লম্বভাবে (নিরক্ষীয় অঞ্চলে) পড়ে বলে ঋতু পরিবর্তন হয়।

(iii) উপবৃত্তাকার কক্ষপথ: পৃথিবীর কক্ষপথটির আকৃতি উপবৃত্তাকার হওয়ায় সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সর্বদা এক হয় না। তাই দূরত্বের হ্রাসবৃদ্ধি হলে বিভিন্ন অঞ্চলে উয়তার তারতম্যে ঋতু পরিবর্তন হয়।

(iv) পৃথিবীর মেরুরেখার 66½° কোণে হেলে অবস্থান: পৃথিবীর অক্ষ তার কক্ষতলের সঙ্গে 66½° কোণে হেলে থাকে বলে দিনরাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাসবৃদ্ধি ও সূর্যরশ্মির পতনকোণের তারতম্য ঘটে। যা ভূপৃষ্ঠে সঞ্চিত তাপমাত্রার হ্রাসবৃদ্ধি ঘটে। দিনের দৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় ও লম্বভাবে পতিত সূর্যরশ্মির কারণে ভূপৃষ্ঠে সঞ্চিত তাপমাত্রা বেশি হয়, ফলে গ্রীষ্মকাল অনুভূত হয়। অন্যদিকে, রাত্রির দৈর্ঘ্য বেশি ও তির্যকভাবে পতিত সূর্যরশ্মির কারণে ভূপৃষ্ঠে সঞ্চিত তাপমাত্রা হ্রসে শীতকালে অনুভূত হয়। ফলে ঋতু পরিবর্তন ঘটে।

(v) অন্যান্য কারণ: এ ছাড়াও পৃথিবীর মেরুরেখার একইদিকে

অবস্থিতি, দিনরাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাসবৃদ্ধি এবং সূর্যের লম্ব ও তির্যক রশ্মি বা

সূর্যরশ্মির পতন কোণের তারতম্য প্রভৃতি কারণেও ঋতু পরিবর্তন ঘটে

প্রশ্ন -3. 23 সেপ্টেম্বর থেকে 22 ডিসেম্বরের মধ্যে পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে অবস্থান ও তার প্রভাব আলোচনা করে। (পর্ষদ নমুনা)

উত্তর: 23 সেপ্টেম্বর সূর্যের অবস্থান হয় ঠিক বিষুবরেখার বা নিরক্ষরেখার উপর। নিরক্ষরেখার উপর একদম লম্বভাবে সূর্যকিরণ পড়ার দরুন ঐ দিন প্রায় সমগ্র পৃথিবী জুড়ে বারো ঘণ্টা দিন ও বারো ঘণ্টা রাত হয়। অর্থাৎ দিনরাত্রি সমান হয়। তখন উত্তর গোলার্ধে শরৎকাল এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বসন্তকাল চলে।

23 সেপ্টেম্বরের পর থেকে সূর্যের চলার সময় এর গতি আরও বেশি করে মকরক্রান্তি রেখা অনুসারী হয়ে যায়। ফলে উত্তর গোলার্ধ থেকে সূর্যের দূরত্ব বাড়তে থাকে আর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের নিকটবর্তী হতে থাকে। 22 ডিসেম্বর সূর্যের অবস্থান হয় মকরক্রান্তি রেখার একদম উপরে। এই তারিখে দক্ষিণ গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন (14 ঘণ্টা) ও ক্ষুদ্রতম রাত (10 ঘণ্টা) ও দীর্ঘতম রাত হয়। আর স্বাভাবিক ভাবেই এই সময়ে উত্তর গোলার্ধে শীতকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল চলে। কারণ দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের নিকটে থাকে।

Fil In The Blanks

1.——তারিখে সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবচেয়ে কম হয়।

(পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)

উত্তর: 3 জানুয়ারি।

2. পৃথিবীর উভয় মেরু অঞ্চলে সারাবছরই—- বিরাজ করে।

উত্তর: শীতকাল।

3. সূর্য পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথের করে।—– তে অবস্থান

উত্তর: নাভি/ফোকাস।

4. পৃথিবীর কক্ষপথটি যে সমতলে অবস্থান করে, তাকে—- -বলে।

উত্তর: কক্ষতল।

5.—– – অবস্থানে পৃথিবীর পরিক্রমণ গতিবেগ বৃদ্ধি পায়।

উত্তর: অনুসূর।

6. পৃথিবীর ——প্রকার গতি আছে।

উত্তর: দুই।

7.—– হল পৃথিবীর বৃহত্তম কাল্পনিক বৃত্তাকার রেখা।

উত্তর: নিরক্ষরেখা।

8. 1900 খ্রিস্টাব্দে ফেব্রুয়ারি মাসের দিনসংখ্যা ছি—–

উত্তর: 28

9. সমগ্র সৌরজগৎ—– ছায়াপথে অবস্থান করছে।

উত্তর: আকাশগঙ্গা

10. পরিক্রমণ গতির অপর নাম——

উত্তর: বার্ষিক গতি

11. 66½° উত্তর অক্ষাংশে অবস্থিত অক্ষরেখাকে বলে——

উত্তর: সুমেরু বৃত্ত

12. যে কাল্পনিক রেখার চারপাশে পৃথিবী আবর্তন করে, তাকে বলে পৃথিবীর ——–

উত্তর: অক্ষ বা মেরুরেখা।

13. পরিক্রমণ গতির সময় পৃথিবীর উত্তর মেরু বিন্দু সর্বদা—– মুখী থাকে।

উত্তর: ধ্রুবতারা।

14——. সর্বপ্রথম গ্রহদের গতি সম্পর্কে তিনটি সূত্র প্রবর্তন করেন।

উত্তর: কেপলার।

15. সূর্যপৃষ্ঠের দৃশ্যমান কালো দাগকে—– বলে।

উত্তর: সৌরকলঙ্ক।

16. নিরক্ষরেখা বরাবর প্রতি 1° দ্রাঘিমারেখার ব্যবধানে সময়ের পার্থক্য হয়—– মিনিট।

উত্তর: 4।

17. অধিবর্ষের দিনসংখ্যা হয়——

উত্তর: 366।

18.—— দিনে এক সৌরবছর হয়। (পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)

উত্তর: 365।

19. সূর্য থেকে বিকিরিত মোট শক্তির—— 1 ভাগ পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়। কোটি ভাগের মাত্র

উত্তর: 200।

20. 4 জুলাই পৃথিবীও সূর্যের মধ্যে দূরত্ব থাকে—— কিমি।

উত্তর: 15 কোটি 20 লক্ষ।

21——. কে নিশীথ সূর্যের দেশ’ বলে। (বীরপাড়া হাইস্কুল)

উত্তর: নরওয়ে।

Ture And The False

1. সৌরদিনের সময়কাল 24 ঘণ্টা।

উত্তর: শুদ্ধ।

2. বার্ষিক গতির জন্য দিনরাত্রি সংঘটিত হয়।

উত্তর: অশুদ্ধ (আহ্নিক গতি)

3. 22 ডিসেম্বর সূর্যের দক্ষিণায়ন সম্পূর্ণ হয়।

উত্তর: শুদ্ধ

4. 21 মার্চকে জলবিষুব বলে।

উত্তর: অশুদ্ধ (23) ডিসেম্বর)

5. অধিবর্ষের দিনসংখ্যা হয় 366 দিন।

উত্তর: শুদ্ধ

6. উত্তর গোলার্ধে জুন মাসে দিন বড়ো হয়।

উত্তর: শুদ্ধ

7. শরৎকালে মহাবিষুব সংঘটিত হয়।

উত্তর: অশুদ্ধ (জলবিষুব)

৪. প্রতি বছর মাত্র দুদিন পৃথিবীর সর্বত্র দিনরাত্রি সমান হয়।

উত্তর: শুদ্ধ

9. পৃথিবীর অক্ষের দৈর্ঘ্য প্রায় 12,257 কিমি।

উত্তর: অশুদ্ধ (12,714 কিমি)

10. বসন্তকাল ও শরৎকালে দিনরাত্রির দৈর্ঘ্য প্রায় সমান থাকে।

উত্তর: শুদ্ধ

11. পৃথিবী তার নিজ অক্ষের চারদিকে 180° ঘুরতে পৃথিবীর সময় লাগে 12 ঘণ্টা।

উত্তর: শুদ্ধ

12. সূর্যের ‘আপাত বার্ষিক গতি’ সত্যিকারের গতি নয়।

উত্তর: শুদ্ধ

13. ইউরোপ মহাদেশে ঋতু পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।

উত্তর: শুদ্ধ

14. মার্চ মাসে আর্জেন্টিনাতে গ্রীষ্মকাল থাকে।

উত্তর: অশুদ্ধ (শরৎকাল)

15. পশ্চিমবঙ্গসহ সমগ্র ভারতে শীত ঋতুর শেষ ভাগে বসন্ত ঋতুর আগমন ঘটে।

উত্তর: শুদ্ধ

16. 22 ডিসেম্বর উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকালীন সৌরস্থিতি লক্ষ করা যায়।

উত্তর: অশুদ্ধ (21 জুন)

17. 66½° উত্তর অক্ষরেখায় সারাবছর সূর্য তির্যকভাবে পড়ে।

(রানি বিনোদমঞ্জুরী গভঃ গার্লস হাইস্কুল)

উত্তর: অশুদ্ধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *