WBBSE Class 7 Geography Chapter 2 Solution | Bengali Medium BM

MCQs Question Answer

1. কোনো স্থানের দ্রাঘিমার সঙ্গে তার প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমার ব্যবধান-

A)80°,

B) 90°,

C) 180°,

D)360° ।

উত্তর: C)180°।

2. উত্তর গোলার্ধে অক্ষাংশে নির্ণয় করা হয়-

Ⓐ নিরক্ষরেখার মাধ্যমে, Ⓑ ধ্রুবতারার মাধ্যমে,

© দ্রাঘিমার মাধ্যমে, ① কোনোটিই নয়।

উত্তর: B) ধ্রুবতারার মাধ্যমে।

3. কোনো স্থান ও তার প্রতিপাদস্থানের স্থানীয় সময়ের পার্থক্য-

Ⓐ 12 ঘণ্টা, B)  2 ঘণ্টা,C)  24 ঘণ্টা,D)  14 ঘণ্টা।

উত্তর: Ⓐ 12 ঘণ্টা।

4. সবচেয়ে বেশি প্রমাণ দ্রাঘিমা আছে-

Ⓐ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে, Ⓑ রাশিয়ায়,

C)  জার্মানিতে,

① চিনে।

উত্তর: (B) রাশিয়ায়।

5. পৃথিবীতে মোট তাপমণ্ডল আছে-

 A) 3 টি, B) 2 টি,C) 4 টি,D) 5 টি

উত্তর: D)5 টি।

6. সমুদ্রে নাবিকেরা যে যন্ত্রের সাহায্যে অক্ষাংশ নির্ণয় করে সেটি হল-

Ⓐ থিওডোলাইট,

B ব্যারোমিটার,

© সেক্সট্যান্ট,

① ল্যাটিমিটার।

উত্তর C):সেক্সট্যান্ট।

7.GMT এর মাধ্যমে জানা যায়-

Ⓐ এলাহাবাদ,

B) গ্রিনিচ,

© ওয়াশিংটন,

D) মেলবোর্ন-এর সময়।

উত্তর: B) গ্রিনিচ-এর সময়।

৪. সর্বোচ্চ অক্ষাংশের মান হল-

A) 50°, B) 75°,C) 90°,D) 180° ।

উত্তর: D) 90°।

9. এক ডিগ্রি অন্তর মোট দ্রাঘিমারেখার সংখ্যা-

 Ⓐ 180টি,

Ⓑ 360টি,

C) 320টি,

D) 365টি (সদর গভ: হাই স্কুল)

উত্তর : B) 360টি।

10. সুমেরু বৃত্তের অক্ষাংশের মান হল-

 Ⓐ 23½° উ., Ⓑ 66½° উ.C), 23/½° দ.D), 6½° দ.।

উত্তর: B) 66½° উ.।

11. অক্ষরেখার পরিধি মেরুর দিকে ক্রমশ-

 (পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)

Ⓐ বাড়তে থাকে,

B) কমতে থাকে,

C) একই থাকে,

① বাঁকতে থাকে।

উত্তর: B) কমতে থাকে।

12. নিরক্ষরেখার মান-

A)0°,B) 90°,C) 66½°D), 232°

(পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)

উত্তর: A) 0°।

13. Ⓐ দিল্লি, Ⓑ কলকাতা,C) এলাহাবাদ D), আমেদাবাদ-এর উপর দিয়ে ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমা ধরা হয়েছে।

উত্তর:C) এলাহাবাদ।

Very Short Question Answer

1. সুমেরু বিন্দু, সুমেরু বৃত্তরেখা, কর্কটক্রান্তিরেখা, মকরক্রান্তিরেখা।

উত্তর: সুমেরু বিন্দু।

2. মহাবৃত্ত, পূর্ণবৃত্ত, কুমেরু বৃত্ত, বৃত্তচাপ।

উত্তর: বৃত্তচাপ।

3. স্থানীয় সময়, প্রমাণ সময়, গ্রিনিচ সময়, ব্যক্তিগত সময়।

উত্তর: ব্যক্তিগত সময়।

4. দ্রাঘিমারেখা, অক্ষরেখা, দেশান্তর রেখা, সময়ান্তর রেখা।

 উত্তর: অক্ষরেখা।

5. উত্তর গোলার্ধ, পূর্ব গোলার্ধ, উত্তর মেরু, পশ্চিম গোলার্ধ।

 উত্তর: উত্তর মেরু।

G. ভুল সংশোধন করে লেখো:

প্রশ্নমান-1

1. মূলমধ্যরেখার অপর নাম নিরক্ষরেখা।

উত্তর: মূলমধ্যরেখার অপর নাম বিষুবরেখা ০° দ্রাঘিমারেখা।

2. স্থানীয় সময় অনুসারে একটি দেশের সমস্ত কাজকর্ম চলে।

উত্তর: প্রমাণ সময় অনুসারে একটি দেশের সমস্ত কাজকর্ম চলে।

3. সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যে গ্রিনিচের সময় জানা যায়।

উত্তর: ক্রোনোমিটার যন্ত্রের সাহায্যে গ্রিনিচের সময় জানা যায়।

4. 1874 খ্রিস্টাব্দে 180° দ্রাঘিমারেখা আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার স্বীকৃতি পায়।

উত্তর: 1884 খ্রিস্টাব্দে 180° দ্রাঘিমারেখা আন্তর্জাতিক তারিখরেখার স্বীকৃতি পায়।

1. আমার অপর নাম মধ্যরেখা। আমি কে?

উত্তর: প্রধান দ্রাঘিমারেখা।

2. আমি একটি মহাদেশ। আমার উপর দিয়ে পৃথিবীর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অক্ষরেখা প্রসারিত হয়েছে। আমি কে?

উত্তর : আফ্রিকা।

3. আমি অক্ষরেখার একটি অংশ। আমি কে?

উত্তর: অক্ষাংশ।

4. আমি হলাম পৃথিবীর ছোট্ট প্রতিরূপ। আমি কে?

উত্তর: গ্লোব।

1. দ্রাঘিমারেখার অপর নাম কী?

উত্তর: দেশান্তররেখা।

2. পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো সমাক্ষরেখার নাম কী?

উত্তর: নিরক্ষরেখা।

3. প্রতিটি সমাক্ষরেখার বা পৃথিবীর কৌণিক মান কত?

উত্তর: 360°।

4. 180° দ্রাঘিমারেখার অপর নাম কী?

উত্তর: আন্তর্জাতিক তারিখরেখা।

5. 1° অন্তর দুটি অক্ষরেখার মধ্যে রৈখিক ব্যবধান কত?

উত্তর: 111.1 কিমি।

6. 1° দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের ব্যবধান কত হয়?

উত্তর: 4 মিনিট।

7. ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমারেখার মান কত?

উত্তর: 82°30′ পূর্ব।

৪. কলকাতা ও লন্ডনের মধ্যে সময়ের পার্থক্য কত?

উত্তর: ১ ঘণ্টা 30 মিনিট।

9. মেরুবিন্দুর মান কত?

উত্তর: 90°।

10. GPS-এর পুরো কথাটি লেখো।

উত্তর: Global Positioning System |

 প্রশ্ন-1 অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার বৈশিষ্ট্যগুলির তুলনা করে দেখাও।

উত্তর: এই অধ্যায়ের পৃ:799-এর রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তরের প্রশ্ন নং-1-এর উত্তর দেখো।

Short Question Answer

► প্রশ্ন-3 A.M. কী?

উত্তর: পুরো নাম: Ante Meridian.

অর্থ: ‘Ante’ মানে ‘পূর্ব’ (Before) এবং Meridian মানে ‘মধ্যাহ্ন’।

সংজ্ঞা: মধ্যরাত্রি বা রাত 12 টার পর থেকে পরবর্তী মধ্যাহ্ন বা দুপুর 12 টা পর্যন্ত সময়কে AM বা Ante Meridian বলে।

▶ প্রশ্ন-4 P.M. কী?

উত্তর: পুরো নাম: Post Meridian.

অর্থ: ‘Post’ মানে ‘পরবর্তী’ (After) এবং Meridian মানে ‘মধ্যাহ্ন’।

সংজ্ঞা: মধ্যাহ্ন বা দুপুরে 12 টার পর থেকে মধ্যরাত্রি বা রাত 12 টা পর্যন্ত সময়কে PM বা Post Meridian বলে।

 প্রশ্ন-4 দুটো অক্ষরেখার মাঝখানে কোনো স্থানের অবস্থান কীভাবে নির্ণয় করা হবে?

উত্তর: মনে করো, দুটি অক্ষরেখার মান হল 23° উত্তর ও 24° উত্তর। অতএব, দুটি অক্ষরেখার মধ্যেকার পার্থক্য হবে (24° – 23°) = 1° বা 60 মিনিট। এবারে এই দুটি অক্ষরেখার ঠিক মাঝখানের অবস্থানটির অক্ষাংশগত মান হবে 23° উত্তর + 60/2 মিনিট = 23°30′ উত্তর (কলকাতা)

অন্যভাবে, = 24° উত্তর-60/2 মিনিট 23°30′ উত্তর (কলকাতা)

প্রশ্ন-5 কোথায় গেলে পূর্ব ও পশ্চিম গোলার্ধ উভয়ই একই সঙ্গে দেখতে পাবে?

উত্তর: ভূপৃষ্ঠের ওপরে শুধুমাত্র দুটি স্থানে গেলে একই সঙ্গে পূর্ব ও পশ্চিম গোলার্ধ দেখতে পাবো। সেই দুটি স্থান হল- ইউরোপ মহাদেশের অন্তর্গত ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের গ্রিনিচ শহরের মান মন্দিরের (Royal Astronomical Observatory) উপর দিয়ে প্রসারিত মূলমধ্যরেখার (0°) উপর দাঁড়ালে এবং ii মূলমধ্যরেখার ঠিক বিপরীত পাশে প্রসারিত 180° দ্রাঘিমারেখার ওপর দাঁড়ালে।

• প্রশ্ন-3 পৃথিবীর কোন্ দিকে গেলে সময় এগিয়ে যায় এবং কেন? 

উত্তর: পৃথিবীর কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে যতই পূর্বদিকে অগ্রসর হওয়া যায় ততই সময় এগিয়ে যাবে। তার একমাত্র কারণ হল পৃথিবী তার অক্ষের উপর পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে অনবরত ঘুরে চলেছে। সেজন্য পূর্ব দিকের স্থানগুলির দ্রাঘিমারেখার উপর সূর্যোদয়, মধ্যাহ্ন ও সূর্যাস্ত আগে হয়। অপরদিকে, পশ্চিমদিকের-দ্রাঘিমাগুলিতে এইসব ঘটনাগুলি অপেক্ষাকৃত পরে হয়।

▶ প্রশ্ন-1 মূলমধ্যরেখার গুরুত্ব লেখো

উত্তর: মূলমধ্যরেখার গুরুত্ব: (i) মূলমধ্যরেখা ও 180° দ্রাঘিমারেখা মিলিতভাবে পৃথিবীকে পূর্ব ও পশ্চিম গোলার্ধে ভাগ করেছে। (ii) মূলমধ্যরেখার স্থানীয় সময়কে সারা পৃথিবীর প্রমাণ সময় হিসেবে গণ্য করা হয়। (iii) মূলমধ্যরেখার বিপরীতে (180°) দ্রাঘিমারেখাকে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখাকে কল্পনা করা গেছে। (iv) মূলমধ্যরেখা থেকে অন্যান্য দ্রাঘিমারেখাগুলির মান গণনা করা হয়।

▶ প্রশ্ন-4 অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার চিত্র অঙ্কন করো এবং দুটি করে বৈশিষ্ট্য লেখো। (পর্ষদ নমুনা)

উত্তর: অক্ষরেখার বৈশিষ্ট্যগুলি হল- (i) প্রত্যেকটি অক্ষরেখা পূর্ণবৃত্ত। (ii) সব অক্ষরেখার পরিধি সমান নয়। দ্রাঘিমারেখার প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হলো-(i) প্রতিটি দ্রাঘিমারেখা অর্ধবৃত্ত। (ii) দ্রাঘিমারেখাগুলি পরস্পর সমান্তরাল নয়।

▶ প্রশ্ন-5 নিরক্ষীয় তল কাকে বলে?

উত্তর: সংজ্ঞা: পৃথিবীর নিরক্ষরেখা যে কাল্পনিক সমতলে অবস্থান করে, তাকে নিরক্ষীয় তল বলে। অন্যভাবে বলতে গেলে নিরক্ষরেখা বরাবর পৃথিবীকে সমান দুভাগে ভাগ করলে যে তল পাওয়া যায়, তাকে নিরক্ষীয় তল বলে। বৈশিষ্ট্য: (i) নিরক্ষরেখা ও পৃথিবীর কেন্দ্র একই তলে অবস্থিত। (ii) পৃথিবীর কক্ষতল নিরক্ষীয়তলের সঙ্গে 23½° কোণে অবস্থান করে।

প্রশ্ন-9 চিত্রে প্রধান প্রধান অক্ষরেখাগুলিকে চিহ্নিত করো।

উত্তর: পৃথিবীর প্রধান প্রধান অক্ষরেখাসমূহ-① নিরক্ষরেখা = 0° ② কর্কটক্রান্তিরেখা = 23½° উত্তর ও সুমেরুবৃত্তরেখা = 66½° উত্তর ④ মকরক্রান্তিরেখা = 23½° দক্ষিণ ⑤ কুমেরুবৃত্তরেখা = 66½° দক্ষিণ

Long Question Answer

প্রশ্ন-2 পৃথিবীর ওপরে বিভিন্ন স্থান একে অপরের কতটা পূর্বে বা কতটা পশ্চিমে সেটা কীভাবে নির্ণয় করা যাবে?

উত্তর: পৃথিবীর ওপরে কোনো স্থান কতটা পূর্বে বা কতটা পশ্চিমে অবস্থিত, সেটা প্রধানত মূলমধ্যরেখার মাধ্যমে সঠিকভাবে নির্ণয় করা যাবে।

যে দ্রাঘিমারেখা মূলমধ্যরেখার বামদিকে থাকবে, সেটি হবে পশ্চিম দ্রাঘিমারেখা এবং যে দ্রাঘিমারেখাটি মূলমধ্যরেখার ডানদিকে থাকবে, সেটি হবে পূর্ব দ্রাঘিমারেখা।

ভূপৃষ্ঠের ওপর অবস্থিত দুটি স্থানের মধ্যেকার অনুভূমিক কৌণিক দূরত্বের সাহায্যে তাদের মধ্যে দ্রাঘিমার ব্যবধান বোঝা যায়। মূলমধ্যরেখার ডানদিকে অবস্থিত স্থানগুলি পূর্ব গোলার্ধে এবং বামদিকে অবস্থিত স্থানগুলি পশ্চিম গোলার্ধে অবস্থিত।

——⬇ ——————–⬇——————⬇———-

       A                          X                     B

(30° পশ্চিম)   (0° মূলমধ্যরেখা)    (20° পূর্ব)

• প্রশ্ন-২ নিরক্ষরেখা থেকে মেরুর দিকে গেলে, কী কী পরিবর্তন লক্ষ করবে? (সূত্র: সূর্যরশ্মি মেরুর দিকে ক্রমশ তির্যকভাবে পড়ে।)

উত্তর: নিরক্ষরেখা থেকে মেরুর দিকে অগ্রসর হলে, যেসব পরিবর্তন লক্ষ করা যাবে, সেগুলি হল- মেরুর দিকে যেতে থাকলে স্ র্যরশ্মির তির্যকভাবে বাড়তে থাকবে (ii) উয়তা বা তাপমাত্রা ক্রমশ কমতে থাকে (iii) সূর্যের বার্ষিক গতির জন্য দিনরাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাসবৃদ্ধি ঘটতে থাকে মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় অঞ্চল (66½° উত্তর ও দক্ষিণ) থেকে মেরুবিন্দু পর্যন্ত স্থানের উদ্বৃতা বছরের অধিকাংশ সময় হিমাঙ্কের নীচে অবস্থান করে বৃষ্টিপাতের পরিবর্তে তুষারপাত ঘটে এবং ভূমির ওপর স্থায়ী কঠিন বরফ স্তর জমে থাকে। (vi) মৃত্তিকা ও স্বাভাবিক উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যের ও প্রকৃতিগত পরিবর্তন ঘটে (vii) সর্বোপরি, মানুষের সর্বাঙ্গীণ জীবনযাত্রার মানের পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।

!! মগজাস্ত্র !!

▶ প্রশ্ন-3 একই অক্ষরেখা বরাবর স্থানগুলিতে একই সময়ে দিন ও রাত হয় কি? যদি না হয় তাহলে কেন হয় না?

উত্তর: একই অক্ষরেখা বরাবর স্থানগুলিতে একই সময়ে দিন ও রাত হয় না। তার কারণ হল-প্রতিটি অক্ষরেখা হল পূর্ণবৃত্ত এবং সবই পূর্ব-পশ্চিম বিস্তৃত। আবার একই অক্ষরেখার উপর 360 টি দ্রাঘিমারেখা অবস্থান করছে। পৃথিবীর আবর্তন গতির জন্য একই অক্ষরেখার ওপরে অবস্থিত পূর্বদিকের দ্রাঘিমারেখাগুলিতে আগে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হবে এবং পশ্চিমদিকের দ্রাঘিমারেখাগুলিতে পরে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হবে। সেই অনুসারে দিনরাত্রিরও পরিবর্তন হবে।

• প্রশ্ন-২ একই দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত জায়গাগুলোর স্থানীয় সময় এক হয় কেন?

উত্তর: অর্ধবৃত্তাকারে উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রসারিত হয়েছে। পৃথিবীর 24 ঘণ্টায় একবার নিজের অক্ষের চারপাশে পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করার জন্য প্রতিটি দ্রাঘিমারেখাই 24 ঘণ্টায় একবার করে সূর্যের সামনে আসে। সূর্য যখন যে দ্রাঘিমারেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়, তখন সেই দ্রাঘিমারেখা সর্বত্রই মধ্যাহ্ন সূচিত হয়। মধ্যাহ্ন সূর্যের অবস্থান অনুসারে সেই দ্রাঘিমারেখার সর্বত্র স্থানীয় সময় গণনা করা হয়। স্থান ভেদে মধ্যাহ্ন সূর্যের অবস্থানের তারতম্যে পরিবর্তন হয়। পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অন্য দ্রাঘিমায় অবস্থিত স্থানগুলিতে মধ্যাহ্ন সূর্যের অবস্থান বদলে যায়। ফলে সেখানে স্থানীয় সময়ের পার্থক্য হয়। এই সব কারণে একই দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত জায়গাগুলির স্থানীয় সময় এক হয়ে থাকে।

• প্রশ্ন-4 লন্ডন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ভারতে সরাসরি রাত 11 টা 30 মিনিটে শুর হয়। লন্ডনে ওই অনুষ্ঠান কখন আরম্ভ হয়েছিল?

উত্তর:

————————————————

লন্ডন (0°)                 ভারত (82°30′ পূর্ব)

লন্ডন ও ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমারেখার পার্থক্য হল (82°30′ পূর্ব – 0°)

= 82°30′

লন্ডন ও ভারতের সময়ের পার্থক্য 5 ঘণ্টা 30 মি. লন্ডন ভারতের পশ্চিমে হওয়ায় লন্ডনের সময় ভারত থেকে 5 ঘণ্টা 30 মি. পিছিয়ে থাকবে। এক্ষেত্রে ভারতের সময় থেকে সময়ের পার্থক্য বাদ দিলে লন্ডনের সময় পাওয়া যাবে। লন্ডনের স্থানীয় সময় হবে রাত 11 টা

30 মি.- 5 ঘণ্টা 30 মি.) = সন্ধ্যা 6 টা, অতএব, লন্ডনে অলিম্পিকের উদবোধনী অনুষ্ঠানটি সেই দিন সন্ধ্যা 6 টার সময় আরম্ভ হয়েছিল।

• প্রশ্ন-5 ভূপৃষ্ঠের কোনো স্থানের অবস্থান কীভাবে নির্ণয় করা যায় তার একটি সহজ ব্যাখ্যা দাও। প্রয়োজনে চিত্র অঙ্কন করে বোঝাও।

উত্তর: ভূপৃষ্ঠের উপর কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় করার জন্য সাধারণত দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়, সেগুলি হল-

(i) গোলীয় পৃথিবীর উপর অবস্থান নির্ণয়: পৃথিবীর গোলাকার আকৃতির জন্য কোনোস্থানের অবস্থান নির্ণয় করার জন্য অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার সাহায্য নেওয়া হয়। অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখা পরস্পরকে লম্বভাবে ছেদ করলে জালক (Grid) গঠিত হয়। ওই জালকের ছেদবিন্দুর সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের যে কোনো স্থানের সঠিক অবস্থা নির্ণয় করা যায়। কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় করতে প্রথমে দেখতে হবে সেই স্থানটি নিরক্ষরেখা থেকে কতটা উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থান করছে, তা জানার জন্য অক্ষরেখার সাহায্য নিতে হবে। অন্যদিকে, সেই নির্দিষ্ট স্থানটি কতটা পূর্ব বা পশ্চিমে অবস্থিত, তা জানার জন্য দ্রাঘিমারেখার সাহায্য নিতে হবে।

উদাহরণ : কলকাতার অবস্থান 22°34′ উত্তর অক্ষাংশ এবং 88°30′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ অর্থাৎ 22°34′ উত্তর অক্ষরেখা এবং

৪৪°30′ পূর্ব দ্রাঘিমারেখা যেখানে লম্বভাবে ছেদ করেছে, সেই ছেদবিন্দুই হল ভূপৃষ্ঠের উপর কলকাতার সঠিক বস্থান।

(ii) সমতল ভূমির উপর অবস্থান নির্ণয় : ধরা যাক, ABCD একটি সমতল আয়তক্ষেত্রের মধ্যে ‘০’ বিন্দুর অবস্থান নির্ণয় করতে হবে। সেজন্য ০ বিন্দুর মধ্য দিয়ে আয়তক্ষেত্রের AB ও BC বাহুর সমান্তরালে RS ও উল্লম্বভাবে MN রেখা দুটি টানা হল। এরপর RO ও NO -এর দৈর্ঘ্য মেপে ABCD আয়তক্ষেত্রের মধ্যে ‘0’ বিন্দুর সঠিক অবস্থান নির্ণয় করা যায়। স্বল্প পরিসর ক্ষেত্রের মধ্যে এই পদ্ধতি প্রয়োজ্য। কিন্তু সুবিশাল পৃথিবীর উপর কোনো স্থানের সঠিক অবস্থান নির্ণয় করতে হলে অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশের একান্ত প্রয়োজন হয়।

  1. স্থানীয় সময় কাকে বলে?

উত্তর: সংজ্ঞা: কোনো স্থানে আকাশে মধ্যাহ্ন সূর্যের সর্বোচ্চ অবস্থানের ভিত্তিতে যে সময় নির্ধারণ করা হয়, তাকে সেই স্থানের স্থানীয় সময় বলে।

নির্ণয় পদ্ধতি: পৃথিবীর আবর্তনের ফলে যখন যে দ্রাঘিমা সূর্যের সামনে আসে, তখন সেই স্থানের স্থানীয় সময় হয় দুপুর 12 টা বা মধ্যাহ্ন। * বৈশিষ্ট্য: (i) কোনো একটি দেশে অসংখ্য স্থানীয় সময় থাকে। (ii)

কোনো একটি দেশের সব স্থানের স্থানীয় সময় এক হয় না। (iii) দুটি স্থানের স্থানীয় সময়ের পার্থক্য থেকে স্থান দুটির দ্রাঘিমার পার্থক্য নির্ণয় করা যায়।

▶ প্রশ্ন-2 প্রমাণ সময় কাকে বলে? (দমদম কিশোর ভারতী হাই স্কুল)

উত্তর: সংজ্ঞা: দ্রাঘিমার পরিবর্তনে স্থানীয় সময়ের পরিবর্তন হয়। পৃথিবীর যে সমস্ত দেশগুলির পূর্ব পশ্চিমে বিস্তার বেশি (যেমন-ভারত, কানাডা, রাশিয়া, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র) সেই সমস্ত দেশগুলির পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের স্থানীয় সময়ের পার্থক্য খুব বেশি হওয়ার কারণে ওই সব দেশের একাধিক স্থানীয় সময়ের সাহায্যে সরকারি কাজকর্ম (রেল, ডাক, বেতার, টেলিভিশন, প্রশাসন প্রভৃতি) চালাতে যথেষ্ট অসুবিধা হয়। কোনো দেশের মাঝামাঝি অবস্থিত একটি বা কয়েকটি নির্দিষ্ট দ্রাঘিমারেখার স্থানীয় সময়কে সারা দেশের সময় ধরে নিয়ে যাবতীয় কাজকর্ম করা হয়। ওই সময়টি বা সময়গুলিকে ওই দেশের প্রমাণ সময় বা প্রমাণকাল (Standard Time) বলা হয়।

উদাহরণ: ভারতের মাঝামাঝি অবস্থিত এলাহাবাদের (82°30′ পূর্ব) স্থানীয় সময়কেই ভারতের প্রমাণ সময় ধরা হয়।

► প্রশ্ন-5 GMT কী?

উত্তর: গ্রিনিচ মানমন্দিরের (0°) স্থানীয় সময়কে সমগ্র পৃথিবীর প্রমাণ সময় হিসেবে ধরা হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে একাধিক দ্রাঘিমারেখা থাকায় অসংখ্য প্রমাণ সময় আছে বলে আন্তর্জাতিক কার্যক্রমে সময়গত অসুবিধা হয়। সেই কারণে কোনো স্থান গ্রিনিচের পূর্বদিকে বা পশ্চিম দিকে অবস্থিত হলে সেই স্থানের সময় গ্রিনিচের সময় থেকে যথাক্রমে বেশি বা কম হয়। সময়ের এই অসুবিধা সমাধানের জন্য যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের নিকট গ্রিনিচ শহরের মানমন্দিরের ওপর দিয়ে প্রসারিত মূলমধ্যরেখার (0°) সময়কে পৃথিবীর প্রমাণ সময় (Greenwich Mean Time or GM) ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের সময় নির্ধারণ করা হয়। এই প্রমাণ সময় গ্রীনিচ সময় (GMT) নামে অভিহিত। গ্রিনিচের উপরে বিস্তৃত মূল মধ্যরেখার সময়কে আদর্শ ধরে 1 ঘন্টা বা 30 মিনিট অন্তর প্রমাণ সময় নির্ধারণ করা হয়।

▶ প্রশ্ন-6 সেক্সট্যান্ট কী? ভুজালক বা ভৌগোলিক জালক কী?

উত্তর: সংজ্ঞা: অর্থ Sextant শব্দের অর্থ বৃত্তের ষষ্ঠাংশ 60°

। সূর্য, মেরুক্ষত্রের উন্নতিকোণ পরিমাপ করেক্ষাংশ নির্ণয় করার যন্ত্রকে সেক্সট্যান্ট বলা হয়।

উত্তর: সংজ্ঞা: পৃথিবী পৃষ্ঠে অবস্থিত অসংখ্য কাল্পনিক অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখা পরস্পরকে সমকোণে বা লম্বভাবে ছেদ করে এক-একটি পৃথক জালক সৃষ্টি করে সমগ্র পৃথিবীকে বেষ্টন করে রেখেছে, তাকে ভূজালক বা ভৌগোলিক জালক (Geographical Grid) বলে।

ব্যবহার: এর সাহায্যে কোনো স্থানের অবস্থান জানা যায়। অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার ছেদ বিন্দু হল কোনো স্থানের অবস্থান।

অক্ষরেখার প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো। তিন থেকে চারটি বৈশিষ্ট লেখো।

উত্তর: অক্ষরেখার বৈশিষ্ট্যগুলি হল- (i) প্রত্যেকটি অক্ষরেখা

পূর্ণবৃত্ত। (ii) সব অক্ষরেখার পরিধি সমান নয়। (iii) পৃথিবীকে এগুলি পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে আছে। (iv) এই রেখাগুলি পরস্পর সমান্তরাল। (v) একই অক্ষরেখা সমস্ত স্থান থেকে নিরক্ষরেখা ও মেরুবিন্দুর দূরত্ব সমান। (vi) একই অক্ষরেখার বিভিন্ন স্থানে একই সময়ে সূর্যোদয়, মধ্যাহ্ন ও সূর্যাস্ত হয় না। (vii) অক্ষরেখার মধ্যে নিরক্ষরেখা মহাবৃত্ত এবং মেরুদ্বয় বিন্দুতে পরিণত হয়েছে। (viii) অক্ষরেখার ভিত্তিতে পৃথিবীকে তাপবলয়ে বিভক্ত করা হয়েছে। (ix) অক্ষরেখার পরিবর্তনে জলবায়ুর পরিবর্তন হয়।

▶ প্রশ্ন-3 দ্রাঘিমারেখার প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো। তিন থেকে চারটি বৈশিট্যে লেখো

উত্তর: দ্রাঘিমারেখার প্রধান প্রধান

▶ প্রশ্ন-2  বৈশিষ্ট্যগুলি হলো-(i) প্রতিটি দ্রাঘিমারেখা অর্ধবৃত্ত। (ii) দ্রাঘিমারেখাগুলি পরস্পর সমান্তরাল নয়। (iii) সমস্ত দ্রাঘিমারেখার দৈর্ঘ্য সমান। (iv) প্রতিটি দ্রাঘিমারেখার কোণের সমষ্টি 180°। (v) প্রত্যেকটি দ্রাঘিমারেখা প্রতিটি অক্ষরেখাকে – সমকোণে ছেদ করে। (vi) দ্রাঘিমারেখার পরিবর্তনে সময়ের পরিবর্তন -} ঘটে। (vii) দ্রাঘিমারেখার মান মূলমধ্যরেখার (0°) পূর্ব বা পশ্চিমে ক্রমশ বেড়ে সর্বাধিক 180° পর্যন্ত হয়। (viii) একই দ্রাঘিমা রেখার উপর অবস্থিত সকল স্থানের সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত একই সময়ে হয়। (ix) একই দ্রাঘিমা রেখার উপর বিভিন্ন স্থানের জলবায়ুর পার্থক্য হয়।

▶ প্রশ্ন-6 জ্যামিতিকভাবে কৌণিক দূরত্বের সাহায্যে অক্ষাংশ নির্ণয় করো।

উত্তর: পৃথিবীর কোনো স্থানের অক্ষাংশ কত তা নির্ণয় করতে

হলে, সেই স্থান (চিত্রে P বিন্দু) থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র (০ বিন্দু) পর্যন্ত একটি ব্যাসার্ধ আঁকতে হবে। আবার ওই স্থানটি যে দ্রাঘিমারেখায় আছে সেই দ্রাঘিমারেখা ও নিরক্ষরেখার ছেদবিন্দু (Q) থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত আর একটি ব্যাসার্ধ আঁকতে হবে। ওই দুই ব্যাসার্ধ পৃথিবীর কেন্দ্রে যে কোণ (<POQ) তৈরি করবে সেই কোণই হবে নিরক্ষীয় তল থেকে ওই স্থানের কৌণিক দূরত্ব বা অক্ষাংশ। পাশের চিত্রে এই কৌণিক দূরত্ব হল 50°। যেহেতু P স্থানটি নিরক্ষরেখার উত্তরে আছে, তাই P স্থানটির অক্ষাংশ হল 50° উত্তর।

▶ প্রশ্ন-7 জ্যামিতিকভাবে কৌণিক দূরত্বের সাহায্যে দ্রাঘিমাংশ নির্ণয় করো।

উত্তর: কোনো স্থানের দ্রাঘিমা নির্ণয় করতে হলে ওই স্থানটি যে দ্রাঘিমারেখার ওপর অবস্থিত সেই দ্রাঘিমারেখা ওই নিরক্ষরেখার ছেদ বিন্দু (C) থেকে ভুকেন্দ্র (০ বিন্দু) পর্যন্ত একটি ব্যাসার্ধ আঁকতে হবে। আবার মূলমধ্যরেখা ও নিরক্ষরেখার ছেদ বিন্দু C থেকে ভূকেন্দ্র (O বিন্দু) পর্যন্ত আরো একটি ব্যাসার্ধ ভূকেন্দ্রে নিরক্ষীয় তলের ওপর যে কোণ (<BOC) উৎপন্ন করবে সেই কোণই হবে মূলমধ্যরেখা থেকে ওই স্থানের কৌণিক দূরত্ব বা দ্রাঘিমা। যেহেতু (C) স্থানটি মূলমধ্যরেখার পূর্বদিকে অবস্থিত তাই ‘C’ স্থানটির দ্রাঘিমার মান হল 88°30′ পূর্ব।

• প্রশ্ন-৪ দ্রাঘিমারেখা ও সময়ের সম্পর্ক কীরূপ-তা লেখো।

উত্তর: দ্রাঘিমারেখা ও সময় পারস্পরিকভাবে নিবিড় সম্পর্কযুক্ত।

যেমন-

(i) পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তিত হচ্ছে বলে একই দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত সকল স্থানে একই সময়ে সূর্যোদয়, মধ্যাহ্ন ও সূর্যাস্ত হয়। দ্রাঘিমার পরিবর্তনের ফলে স্থানীয় সময়ের পার্থক্য হয় বলে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের সময় বিভিন্ন হয়।

(ii) পৃথিবী নিজ মেরুরেখার চারদিকে একবার 24 ঘণ্টায় পূর্ণ আবর্তন করতে, 360° কৌণিকদূরত্ব অতিক্রম করে। সুতরাং পৃথিবীর 1° আবর্তিত হতে সময় লাগে 4 মিনিট (24×60 মিনিট 360 = 1440 মিনিট + 360 = 4 মিনিট)। 15° আবর্তন করে 15 × 4 মিনিট = 60 মিনিট বা 1 ঘণ্টা। আবার 1 মিনিট সময়ের পার্থক্যের জন্য দ্রাঘিমার ব্যবধান হয় ‘/° = 15’ (মিনিট)।

(iii) দ্রাঘিমারেখার সঙ্গে স্থানীয় সময়ের অপর একটি সম্পর্ক হল মূলমধ্যরেখার পূর্বদিকে অবস্থিত দ্রাঘিমাগুলির স্থানীয় সময় অগ্রবর্তী (বেশি) হয় এবং পশ্চিম দিকের স্থানগুলির স্থানীয় সময় পশ্চাদ্বর্তী (কম) হয়।

(iv) মধ্যরাতের (12 টা) পর থেকে নতুন দিনের সূচনা হয়।

(v) একটি দিনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন-প্রভাত, সকাল, পূর্বাহ্ন, মধ্যাহ্ন (দুপুর 12 টা), অপরাহ্ন, বিকাল, সন্ধ্যা, রাত প্রভৃতি।

► প্রশ্ন-10 GPS-এর প্রয়োজনীয়তা ও ব্যবহার সম্পর্কে কী জানো।

 উত্তর: পৃথিবী থেকে প্রেরিত কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের ওপর

কোনো সুনির্দিষ্ট স্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমা নির্ণয়ের মাধ্যমে সঠিক অবস্থান নির্ণয়ের সর্বাধুনিক পদ্ধতি হল GPS (Global Positioning} System)। প্রাচীনকালে পৃথিবীপৃষ্ঠের কোনো অবস্থান নির্ণয়ের জন্য নানান ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করা হত। কিন্তু সংকটাপন্ন অবস্থায় (বিশেষত সমুদ্রগামী জাহাজ বা দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমান) অতি দ্রুত অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ নির্ণয় করা সম্ভব হত না। সেজন্য সামুদ্রিক জাহাজের গতিবিধি, দুর্গম গহন অরণ্যের মূল্যবান বৃক্ষের অবস্থান, সামুদ্রিক মৎস্যের অবস্থান, খনিজ সম্পদের ত্রিমাত্রিক অবস্থান নির্ণয়ের জন্য GPS পদ্ধতি একান্ত প্রয়োজন।

বর্তমানে GPS-এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করেছে। যেমন-উড়োজাহাজ, দুরগামী ট্রেন, দামি ঘড়ি ও গাড়ি, মোবাইল, জাহাজ, প্রভৃতি। উপগ্রহে স্থাপিত রেডিয়ো ওয়েভের সাহায্যে এক স্থান থকে অন্যস্থানের মধ্যে যাতায়াতের সময়ের উপর নির্ভর করে দূরত্ব ও অবস্থান নির্ণয় করা হয়। উল্লেখ্য, আমেরিকাযুক্তরাষ্ট্রের প্রেরিত 24 টি কৃত্রিম উপগ্রহ নিরবচ্ছিন্নভাবে এই কাজ করে চলেছে, যা ভূপৃষ্ঠের যে কোনো স্থানের অবস্থান অতি সহজে ও নিখুঁতভাবে জানা সম্ভব হচ্ছে।

Fil In The Blanks

1. কলকাতার দ্রাঘিমারেখার মান হল—– পূর্ব।

উত্তর: 88°30′।

2. একটি বৃত্তের কৌণিক মাপ

উত্তর: 360° |

3. গ্রিনিচ শহরের ওপর দিয়ে——প্রসারিত হয়েছে।

উত্তর: মূলমধ্যরেখা।

4.0°-30° পর্যন্ত অক্ষাংশকে —–  অক্ষাংশ বলে।

উত্তর: নিম্ন।

5. 1°—— = মিনিট।

উত্তর: 60।

6. মধ্যরেখার সর্বাধিক মান হল——

উত্তর: 180°।

7. কলকাতায় ধ্রুবতারার উন্নতি কোণ —– উত্তর।

উত্তর: 22°30′।

৪. ভারত গ্রিনিচের দিকে অবস্থিত।—— (প্রফুল্লনগর বিদ্যামন্দির)

উত্তর: পূর্ব।

9. মকরক্রান্তি রেখার মান দক্ষিণ।

উত্তর: 23½°1

10. দ্রাঘিমারেখা—–গুলিকে লম্বভাবে ছেদ করে।

 উত্তর: অক্ষরেখা।

11.——- শহরে ‘রয়‍্যাল অ্যাস্ট্রনমিক্যাল অবজারভেটরি অবস্থিত।

উত্তর: গ্রিনিচ।

(পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)

12). মূলমধ্যরেখার মান——

উত্তর: ০০।

True And The False

D.1. নিরক্ষরেখার অপর নাম বিষুবরেখা।

প্রশ্নমান-1

উত্তর: শুদ্ধ।

2. প্রত্যেকটি অক্ষরেখার পরিধি সমান।

 উত্তর: অশুদ্ধ (অসমান)

3. পৃথিবীর উভয় মেরু আসলে দুটি বিন্দু।

 উত্তর: শুদ্ধ।

4. নিরক্ষরেখা থেকে দ্রাঘিমার মান গণনা করা হয়।

উত্তর: অশুদ্ধ (মূলমধ্যরেখা)।

5. উত্তর মেরুর অপর নাম সুমেরু বিন্দু।

উত্তর: শুদ্ধ।

6. অক্ষরেখাগুলি পরস্পর সমান্তরাল। (এগরা জে. এল. হাই স্কুল)

উত্তর: শুদ্ধ।

7. প্রতিটি অক্ষরেখার কোণের সমষ্টিগত মান হল 180°।

উত্তর: অশুদ্ধ (360°)

৪. নিরক্ষরেখার দিকে সূর্যরশ্মি সর্বদাই তির্যকভাবে পড়ে।

উত্তর: অশুদ্ধ (লম্বভাবে)।

9. GPS-এর মাধ্যমে অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমার মান জানা যায়।

উত্তর: শুদ্ধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *