WBBSE Class 7 Geography Chapter 3 Solution | Bengali Medium BM

MCQs Question Answer

1. বায়ুর ওজনকে বলে বায়ুর-

Ⓐ উয়তা

Ⓑ আর্দ্রতা

C) চাপ

① আপেক্ষিক আর্দ্রতা।

উত্তর: C) চাপ।

2. পৃথিবীপৃষ্ঠের স্বাভাবিক বায়ুচাপ হল প্রতি বর্গসেমিতে প্রায়-

Ⓐ 1 কেজি

B) 2 কেজি

C) 3 কেজি,

① 4 কেজি।

উত্তর: Ⓐ 1 কেজি।

3. অণুগুলো আলগাভাবে ঘুরে বেড়ায়-

Ⓐ কঠিন পদার্থে,

Ⓑ তরল পদার্থে,

© গ্যাসীয় পদার্থে,

① সমস্ত পদার্থে।

উত্তর:C) গ্যাসীয় পদার্থে।

4. পদার্থের আয়তন ও অণুগুলির দূরত্বের মধ্যে সম্পর্ক-

Ⓐ সমানুপাতিক,

Ⓑ ব্যাস্তানুপাতিক,

© গতানুগতিক,

D) অপরিবর্তিত।

উত্তর: Ⓐ সমানুপাতিক।

5. বায়ুর চাপ মাপার যন্ত্র হল- (পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন, মালদা জেলা স্কুল)

Ⓐ অ্যানিমোমিটার

B ব্যারোমিটার

© বাতপতাকা

① থার্মোমিটার।

উত্তর: B) ব্যারোমিটার।

6. উচ্চতা বাড়লে বায়ুর চাপ-

A বাড়ে

B কমে

© একই থাকে

① প্রথমে কমে, পরে বাড়ে।

উত্তর: ৪ কমে।

7. বায়ুপ্রবাহের গতিবেগ মাপার যন্ত্রটির নাম-

Ⓐ থার্মোমিটার

B) ব্যারোমিটার

C)হাইগ্রোমিটার

① অ্যানিমোমিটার।

উত্তর: অ্যানিমোমিটার।

৪. বায়ু প্রসারিত হলে ঘনত্ব-

Ⓐ বৃদ্ধি পায়

B) হ্রাস পায়

© অপরিবর্তিত থাকে

① হ্রাস ও বৃদ্ধি পায়।

উত্তর: B) হ্রাস পায়।

9. সমচাপরেখায় বায়ুর চাপকে দেখানো হয়-

Ⓐ সেমি

Ⓑ মিলিবার এককে।

C)ইঞ্চি

D) ফারেনহাইট এককে।

উত্তর: B) মিলিবার এককে।

10. বায়ুর স্বাভাবিক চাপে কাচনলের মধ্যে পারদ থাকে প্রায়-

A)100

B) 76

C)91

D) 56 সেমি।

উত্তর: B) 76 সেমি পারদ থাকে।

11. একই বায়ুচাপযুক্ত স্থানগুলি সংযোগকারী রেখাকে বলে-

Ⓐ সমোন্নতিরেখা

B) সমপ্রেষরেখা

© সমবর্ষণরেখা

① সমোয়রেখা।

উত্তর: B) সমপ্রেষরেখা।

12. বায়ু শীতল হলে চাপ- (পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)

Ⓐ বাড়ে

Ⓑ কমে একই থাকে

① ওঠানামা করে।

উত্তর: Ⓐ বাড়ে

13.  পার্থক্য বায়ুপ্রবাহের প্রধান কারণ। (পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)

বায়ু Ⓐ তাপের

Ⓑ চাপের

C) উয়তার

D)জলীয় বাষ্পের

উত্তর: B) চাপের পার্থক্য বায়ু প্রবাহের প্রধান কারণ।

Very Short Question Answer

1. বায়ুর উদ্বুতা ও বায়ুচাপ, উন্নতা ও বায়ুচাপ, আর্দ্রতা ও বায়ুচাপ, ঘনত্ব ও বায়ুচাপ।

উত্তর: ঘনত্ব ও বায়ুচাপ।

2. টরিসেলি, বায়ুচাপ, বায়ুপ্রবাহ, বায়ুর আর্দ্রতা।

উত্তর: টরিসেলি।

3. উচ্চচাপ, নির্মল আকাশ, শীতল বায়ু, উষু বায়ু।

উত্তর: উষু বায়ু।

4. অ্যানিমোমিটার, ঘূর্ণবাত, ক্যাটাবেটিক বায়ু, অ্যানাবেটিক বায়ু।

উত্তর: অ্যানিমোমিটার।

1. ব্যারোমিটারের সাহায্যে বায়ুর আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়।

উত্তর: হাইগ্রোমিটারের সাহায্যে বায়ুর আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়।

2. প্রতি 11 মিটার উচ্চতা বৃদ্ধিতে বায়ুর চাপ প্রায় 2 মিমি হ্রাস পায়।

উত্তর: প্রতি 11 মিটার উচ্চতা বৃদ্ধিতে বায়ুর চাপ প্রায় 1 মিমি হারে হ্রাস পায়।

3. উষু বায়ু প্রসারিত হয়ে ভারী হয়।

উত্তর: উয় বায়ু প্রসারিত হয়ে হালকা হয়।

4. সমপ্রেষ রেখাগুলি কাছাকাছি থাকলে বায়ুর চাপের ঢালের পার্থক্য কম হয়।

উত্তর: সমপ্রেষ রেখাগুলি কাছাকাছি থাকলে বায়ুর চাপের ঢালের পার্থক্য বেশি হয়।

5. শীতল ও ভারী বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ খুবই বেশি থাকে।

উত্তর: শীতল ও ভারী বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ খুবই কম হয়।

1. আমার জন্য বায়ুর চাপের সৃষ্টি হয়। আমি কে?

উত্তর: বায়ুর ওজন।

2. আমি একটি একক, যার সাহায্যে বায়ুর গতিবেগ নির্ণয় করা হয়।

উত্তর: নট্।

3. আমার জন্য বায়ুমণ্ডলের বায়ুচাপের সমতা বজায় থাকে, আমি কে?

উত্তর: বায়ুপ্রবাহ।

4. আমার সাহায্যে বায়ুর উদ্বুতা নির্ণয় করা যায়। আমি কে?

উত্তর: থার্মোমিটার।

5. আমি এক প্রকার ঘূর্ণিঝড়। 20.05.2020 তারিখে আমি সুন্দরবন অঞ্চলকে তছনছ করে দিয়েছি। আমি কে?

উত্তর: আমফান।

1. সমুদ্র সমতলে প্রমাণ বায়ুর চাপ কত? অথবা, সমুদ্রপৃষ্ঠে বায়ুর চাপ কত?

উত্তর: 1013.25 মিলিবার।

2. বায়ুর উন্নতার সঙ্গে চাপের সম্পর্ক কীরূপ?

উত্তর: ব্যাস্তানুপাতিক।

3. মেরু অঞ্চলে কোন্ প্রকার বায়ুর চাপ দেখা যায়?

উত্তর: উচ্চচাপ।

4. বায়ুপ্রবাহের প্রধান কারণ কী?

উত্তর: বায়ুচাপের পার্থক্য।

5. বায়ু শীতল হলে বায়ুচাপ কী হয়?

উত্তর: বাড়ে।

6. 1 সেমি পারদস্তম্ভের সমান বায়ুর চাপ হ্রাস পায় কত উচ্চতায়?

উত্তর: 110 মিটার উচ্চতায়।

7. উচ্চচাপ অঞ্চলকে সংক্ষেপে কী লিখে প্রকাশ করা হয়?

উত্তর: H।

৪. নিম্নচাপ অঞ্চলের বায়ুর ঘনত্ব কীরূপ থাকে?

উত্তর: কম।

9. প্রতি হাজার মিটার উচ্চতায় কত ডিগ্রি হারে তাপমাত্রা কমে যায়?

উত্তর: 6 4 সে 

12. পৃথিবীর দুই ক্রান্তীয় অঞ্চলে উচ্চচাপ সৃষ্টির প্রধান কারণ কী?

উত্তর: বায়ুর অধোগমন।

13. বায়ুর সর্বমুখী চাপে পরীক্ষা কে করেন?

উত্তর: টরিসেলি।

C.শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাও :

প্রশ্নমান-1

1. বায়ুর বর্ণ ও নেই, কিন্তু আয়তন ও ওজন আছে।

উত্তর: গন্ধ।

2. সমুদ্র সমতলে বায়ুর চাপ সমান। সেমি পারদস্তম্ভের চাপের

উত্তর: 76।

3. সমুদ্রপৃষ্ঠে বায়ুচাপের পরিমাণ।

 উত্তর: 1013.25 মিলিবার।

4. কুমেরু বৃত্তপ্রদেশীয় অঞ্চলে বায়ুর বিরাজ করে।

উত্তর: উচ্চচাপ।

5. পার্বত্য অঞ্চলে কম উদ্বুতায় জল ফুটতে থাকে, কারণ বায়ুর চাপ থাকে।

উত্তর: কম।

6. বর্ষাকালে সাধারণত বায়ুতে। বেশি থাকে।

উত্তর : জলীয় বাষ্প।

7. নিম্নচাপযুক্ত অঞ্চলের আবহাওয়া হয়।

উত্তর: দুর্যোগপূর্ণ।

৪. নিম্নচাপযুক্ত অঞ্চলের বায়ু উয় হওয়ায় বায়ু- ও হালকা হয়।

উত্তর: প্রসারিত।

9. যে মানচিত্রে দৈনন্দিন আবহাওয়ার বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়, তাকে মানচিত্র বলে।

উত্তর: আবহাওয়া।

10. মাধ্যমেই পৃথিবীতে উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ অঞ্চলের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকে।

উত্তর: বায়ুপ্রবাহের।

11. পদার্থের অণুগুলির মধ্যে দূরত্ব কমলে পদার্থের ঘনত্ব – পায়।

উত্তর: বৃদ্ধি।

12. বায়ুচাপ কমলে জল ফুটতে শুরু করে। সেলসিয়াসের কম উষ্ণতাতেই (সরিষা আর কে. মিশন শিক্ষা মন্দির)

উত্তর: 100°।

Short Question Answer

▶ প্রশ্ন-1 বায়ুর চাপ কাকে বলে?

উত্তর: পৃথিবীপৃষ্ঠের কোনো নির্দিষ্ট স্থানে প্রতি একক ক্ষেত্রফলের ওপর লম্বভাবে বিস্তৃত বায়ুমণ্ডল যে ওজন দেয় তাকে সেই স্থানের বায়ুর চাপ বলা হয়।

▶ প্রশ্ন-2 সমচাপ রেখা (Isobar) কাকে বলে?

উত্তর: বছরের নির্দিষ্ট সময়ে (জানুয়ারি ও জুলাই মাস) ভূপৃষ্ঠের একই বায়ুচাপ বিশিষ্ট স্থানগুলিকে মানচিত্রে যে কাল্পনিক রেখা দ্বারা যুক্ত করা হয়, তাকে সমচাপ রেখা বলে। সমচাপ রেখার মান মিলিবার এককে প্রকাশ করা হয়।

▶ প্রশ্ন-3 বায়ুর চাপ কয় প্রকার ও কী কী?

উত্তর: বায়ুর চাপ দুই প্রকার। যথা- (i) উচ্চচাপ: কোনো স্থানের বায়ুর চাপ সাধারণ চাপের (1013.25 মিলিবার) থেকে বেশি হলে, সেই বায়ুর চাপকে উচ্চচাপ বলে। (ii) নিম্নচাপ: কোনো স্থানের বায়ুর চাপ 1013.25 মিলিবারের কম হয়, তাহলে সেখানকার বায়ুতে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়।

► প্রশ্ন-5 বায়ু চাপ দেয় কেন?

উত্তর: বায়ু কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় উপাদান দ্বারা গঠিত মিশ্র পদার্থ। প্রধানত গ্যাসীয় উপাদান দ্বারা গঠিত বায়ুর মধ্যস্থিত বিভিন্ন গ্যাসের অণুগুলি আলগাভাবে ঘুরে বেড়ানোর সময় পরস্পরের মধ্যে ধাক্কা যায়। এই ধাক্কার কারণেই চাপের সৃষ্টি হয়। বায়ুর ওজন আছে বলেই বায়ু চাপ দেয়। সমুদ্রপৃষ্ঠে বায়ুর চাপ প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে 14.7 পাউন্ড বা 1013.25 মিলিবার বা 760 মিলিমিটার বা 76 সেন্টিমিটার পারদস্তম্ভের উচ্চতার সমান।

► প্রশ্ন-6 ঝড় ওঠার আগে বাতাস প্রবাহিত হয় না কেন?

উত্তর: ঝড় সৃষ্টির প্রধান কারণ হল বায়ুর চাপের পার্থক্য। বায়ুচাপের পার্থক্যজনিত ঢাল বেশি হলে বাতাস দ্রতগতিতে প্রবাহিত হয়ে, ঝড়ের উৎপত্তি ঘটায়। কোনো কারণে বিশাল অঞ্চল জুড়ে উদ্বৃতা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে বাতাস উত্তপ্ত ও হালকা হয়ে ঊর্ধ্বগামী হয়। ফলে ওই স্থানে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এই সময় বাতাস ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় বায়ুর কোনোরূপ পার্শ্বপ্রবাহ থাকে না। স্বাভাবিক বায়ুপ্রবাহ না থাকায় ঝড়ের পূর্বে বাতাস প্রবাহিত হয় না বা থমথমে আবহাওয়া বিরাজ করে।

◆ প্রশ্ন-৪ উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে মাংস সুসিদ্ধ হয় না কেন?

উত্তর: কোনো খাদ্যদ্রব্য সুসিদ্ধ করতে গেলে যথেষ্ট বায়ুর চাপ দরকার। উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে বায়ুর ঘনত্ব কমে যাওয়ায় বায়ুর চাপ কম হয়। ফলে স্ফুটনাংক কমে যায়। অর্থাৎ 100°C কম উষ্ণতায় ফুটতে শুরু করে। তাই কোনো কিছু ফোটালে তা সিদ্ধ হতে অনেক সময় নেয় বলে মাংস সুসিদ্ধ হয় না।

• প্রশ্ন-9 প্রমাণ বায়ুমণ্ডলীয় চাপ কী? 

(মালদা জেলা স্কুল)

উত্তর: সমুদ্রপৃষ্ঠে 45° অক্ষাংশে ০°সে: উয়তায় 76 সেমি উঁচু পারদস্তম্ভের সমান যে চাপ বায়ু দেয় তাকে প্রমাণ বায়ুমণ্ডলীয় চাপ বলে। প্রমাণ বায়ুমণ্ডলীয় চাপের মান 1.013.25×10° পাস্কাল। (100000 বা 105 Pascal = 1 bar, and 1 bar = 1000mb). 1013 × 105 পাস্কাল =1013.25 mg)

• প্রশ্ন-4 বায়ুর চাপ মাপার যন্ত্রগুলির নাম লেখো।

উত্তর: বায়ুর চাপমাপার যন্ত্রগুলি হল-(ⅰ) ফোর্টিনস ব্যারোমিটার, (ii) অ্যানিরয়েড ব্যারোমিটার, (iii) অল্টিমিটার (উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চাপের পরিবর্তন এই যন্ত্রে মাপা হয় বলে একে বিমানে ব্যবহার করা হয়), (iv) ব্যারোগ্রাম।

প্রশ্ন-2 বলোতো, ঝড় ওঠার আগে আশপাশটা একরকম থমথমে হয়ে থাকে। একটুও বাতাস বয় না। কেন?

উত্তর: সাধারণত গ্রীষ্মকালে দিনেরবেলায় প্রখর সূর্যকিরণের প্রভাবে পৃথিবীপৃষ্ঠ খুব উত্তপ্ত হয়ে যায়। বিশাল এলাকা জুড়ে শূন্যস্থান সৃষ্টি হয় অর্থাৎ নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়। সেইসময় বায়ুর কেবলমাত্র ঊর্ধ্বমুখী প্রবাহ চলতে থাকে, বায়ুর পার্শ্বপ্রবাহ একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। সে কারণে ঝড় ওঠার আগে আশপাশটা থমথমে হয়ে যায়।

▶ প্রশ্ন-3 উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে চাল, ডাল সিদ্ধ হতে দেরি হয় কেন?

উত্তর: সমুদ্র সমতল থেকে যতই উপরের দিকে উঠা যায় বায়ুর চাপ ও উয়তা সবই হ্রাস পায়। কারণ ভূপৃষ্ঠ থেকে যতই উপরের দিকে ওঠা যায় ততই বায়ুর ঘনত্ব কমতে থাকে। সেজন্য সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রতি 110 মিটার উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে 1 সেমি বা 1.34 মিলিবার হিসেবে বায়ুচাপ কমতে থাকে। এই কারণে সুউচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে জলের স্ফুটনাঙ্ক কমে যায়। তখন জল 100°C-এর কম উদ্বৃতাতেই ফুটতে শুরু করে। সেজন্য উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে চাল, ডাল, গম সিদ্ধ হতে দেরি হয়।

▶ প্রশ্ন-1 উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় কেন? অথবা, পর্বতারোহীরা সঙ্গে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যান। কেন?

উত্তর: আমরা জানি, সমুদ্র সমতল থেকে প্রতি 110 মিটার উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে । সেমি পারদস্তম্ভের সমান বায়ুচাপ হ্রাস পায়। পার্বত্য অঞ্চলগুলির সর্বনিম্ন উচ্চতা হয় 1000 মিটার। পর্বতারোহীরা যতই উপরের দিকে উঠতে থাকে, ততই বায়ুর ঘনত্ব ও চাপ উভয়ই কমার সাথে সাথে বায়ুর মধ্যস্থিত অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস পায়। ফলে পর্বতারোহীরা শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের অভাব পূরণের জন্য অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে যান।

পাঠ্যপুস্তকের পৃষ্ঠা নং-36*

▶ প্রশ্ন-1 বাতাস বয়ে যায় কেন?

উত্তর: ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুতে উয়তার তারতম্যের জন্য বায়ুচাপের তারতম্য (উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ) লক্ষ করা যায়। বায়ুচাপের সমতা বা ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে অনুভূমিকভাবে যে বায়ু চলাচল করে, তাকে বায়ুপ্রবাহ বলে। উল্লেখ্য এই বায়ুপ্রবাহ যখন অতিদ্রুত বেগে ছুটে এসে বিধ্বংসী, ভয়াল, ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে, তখন তাকে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) বলে। যেমন-সুপার সাইক্লোন (25.10.1999), আয়লা (25.05.2009), ফণী (03.05.2019), সুপার সাইক্লোন ‘আমফান’ (20.05.2020), যশ (23.05.2021) প্রভৃতি।

▶ প্রশ্ন-1 বেলুনে বা সাইকেলের টিউবে হাওয়া ভরার সময় হাওয়া বেশি হয়ে গেলে কী হয়? (অনুরূপ প্রশ্ন: বেলুন বা সাইকেলের টিউব ফেটে যায় কেন?)

উত্তর: বেলুন বা সাইকেলের টিউবের একটি নির্দিষ্ট আয়তন আছে। সেই আয়তন অনুসারে সেগুলি নির্দিষ্ট পরিমাণ হাওয়া বা বায়ু ধারণ করতে পারে। যদি তার আয়তন অপেক্ষা বেশি বায়ু বেলুন বা সাইকেলের টিউবে প্রবেশ করানো হয়, তবে তা অতিরিক্ত পার্শ্বচাপে বেলুন বা টিউব ফেটে যাবে।

• প্রশ্ন-3 বায়ুর কি চাপ আছে?

উত্তর: হ্যাঁ, বায়ুর সর্বমুখী চাপ আছে। আমি যখন এই বইটি পড়ছি, তখন আমরা চারদিকের বায়ু সর্বদাই আমার উপরে প্রচণ্ড চাপ দিয়ে চলেছে। সেই বায়ুচাপের পরিমাণ হল প্রতি বর্গসেন্টিমিটারে প্রায় 1 কিগ্রা এবং প্রতি বর্গফুটে প্রায় 1 টন। আসলে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি প্রতিটি পদার্থের (কঠিন, তরল, গ্যাসীয়) অণুর উপর সর্বদাই ক্রিয়াশীল থাকে। ফলে বায়ুর আত্ম য়তন হ্রাস পেলে বায়ুর ঘনত্ব বাড়ে। আর বায়ুর ঘনত্ব বাড়লে বায়ুচাপ বেশি হয়। আবার বায়ুর আয়তন বৃদ্ধি পেলে বায়ুর ঘনত্ব কমে। তখন বায়ুর চাপ হ্রাস পায়।

 প্রশ্ন-1 একটি বড়ো জলের বোতল বা দুধের বোতল মুখ খোলা অবস্থায় টেবিলের ওপর শুইয়ে রাখো। এবার কাগজ পাকিয়ে ছোটো বল-এর মতো বানাও। বলটা যেন বোতল-এর খোলা মুখের প্রায় অর্ধেক মাপের হয়। এবার বলটাকে কুঁ দিয়ে বোতলের মধ্যে ঢোকাবার চেষ্টা করে দেখো। যে যত জোরেই ফুঁ দিয়ে চেষ্টা করুক না কেন, বলটা কিছুতেই বোতলের মধ্যে ঢুকবে না। কেন ঢুকবে না বলো তো?

উত্তর: বোতলের মুখে থাকা কাগজের বলটা যে যত জোরেই দিয়ে বোতলের ভিতরে ঢোকানোর চেষ্টা করুক তা মোটেই ঢুকবে না, তার কারণ হল বোতলের ভিতরে যে বায়ুর চাপ তার বোতলের বাইরের বায়ু চাপ অপেক্ষা অনেক বেশি হওয়ায় অর্থাৎ বোতলের ভিতরের ও বাইরের বায়ুর চাপের অসমতার জন্য কাগজের বলটা বোতলের ভিতরে প্রবেশ করতে পারছে না।

► প্রশ্ন-২ একটি কাচের গ্লাসের তলার দিকে কিছুটা কাগজ পাকিয়ে এমনভাবে আটকিয়ে রাখো, যাতে গ্লাসটা উপুড় করলেও কাগজটা না পড়ে। এবার একটা জল ভরতি বড়ো গামলা বা বালতির মধ্যে গ্লাসটা উপুড় করে জলে ডুবিয়ে ধরে রাখো। গ্লাসের ভিতরের কাগজটা জলে ভিজে যাওয়া উচিৎ, তাইতো? উপুড় করা গ্লাসে কাগজটা কেন ভিজবে না!

উত্তর: উপুড় করা গ্লাসটাকে জল থেকে তুললে দেখা যাবে যে, গ্লাসের তলায় আটকানো কাগজ ভিজে যায় নি। কিন্তু গ্লাসটাকে কাত করে জলে ডুবিয়ে দিলে দেখা যাবে গ্লাসের তলার কাগজ ভিজে যাচ্ছে। তার কারণ হল গ্লাসটা উপুড় করে গামলা বা বালতির জলের মধ্যে ডোবালে গ্লাসের ভিতরে থাকা বায়ুর প্রবল চাপ গামলা বা বালতির জলকে গ্লাসের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেয়। ফলে গ্লাসের ভিতরে জলের উচ্চতা বৃদ্ধি পায় না ও কাগজের টুকরো সেজন্য গ্লাসের নীচের জলে পড়ে ভিজে যায় না।

• প্রশ্ন-4 তবুও তুমি এই প্রচণ্ড চাপ বুঝতে পারছো না কেন?

 উত্তর: মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে পৃথিবীপৃষ্ঠের প্রতিটি বস্তুর ওপর বায়ু চাপ দেয়। মানুষসহ সমস্ত প্রাণী দেহের উপর বায়ু চাপ দেয়, কিন্তু আমরা সেই বায়ুচাপ অনুভব করতে পারি না। তার কারণ হল–আমাদের শরীরের ভিতরের ও বাইরের বাতাসের বিপরীতমুখী চাপের সমতার কারণে আমরা বায়ুর চাপ বুঝতে পারছি না।

• প্রশ্ন-2 বায়ুমণ্ডলে উচ্চচাপ সৃষ্টি হয় কেন?

উত্তর: বায়ুর উচ্চচাপ সৃষ্টির কারণগুলি হল-(i) উদ্বুতা: যে সমস্ত অঞ্চলে বায়ুর উয়তা কম, সেখানে বায়ুর ঘনত্ব বেশি বলে উচ্চচাপ সৃষ্টি হয়। যেমন- মেরু অঞ্চল। (ii) সূর্যের তির্যক রশ্মি : সূর্যের তির্যক রশ্মি যেসব অঞ্চলে পতিত হয়, সেই অঞ্চলের স্বাভাবিক

Long Question Answer

▶ প্রশ্ন-1 সমচাপ রেখা বা সমপ্রেষ রেখার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো। অথবা, সমচাপরেখার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

(সুনীতি অ্যাকাডেমি, কোচবিহার)

উত্তর: সমচাপ বা সমপ্রেষ রেখার বৈশিষ্ট্যগুলি হলো-(i) সমচাপ রেখা বা সমপ্রেষ রেখাগুলি একে অপরের সঙ্গে এবং অক্ষরেখার সমান্তরালে পূর্ব থেকে পশ্চিম বিস্তৃত থাকে। (ii) এই রেখাগুলি পরস্পরকে ছেদ করে না। (iii) সমচাপরেখাগুলি পরস্পরের খুব কাছাকাছি থাকলে বায়ুচাপের পার্থক্য বেশি হয় এবং বায়ুপ্রবাহের বেগ বৃদ্ধি পায়। (iv) সমচাপরেখায় সাধারণত বায়ুচাপের পরিমাণগুলো গড় সমুদ্রপৃষ্ঠের বায়ুচাপের হিসেবে দেখানো হয়। (v) এই রেখা দূরে দূরে অবস্থান করলে শান্ত আবহাওয়া নির্দেশ করে এবং কাছাকাছি অবস্থান করলে সেই অঞ্চলে আবহাওয়ার অস্থিরতা প্রকাশ পায়।

3. ও গড় উদ্বৃতা সারাবছরই কম থাকে। যেমন-মেরুপ্রদেশীয় অঞ্চল।

উত্তর : ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরে উঠলে বায়ুর চাপ কমে এবং পর্বত থেকে নীচে নামলে বায়ুর চাপ বাড়ে। (iv) পৃথিবীর আবর্তন গতি: থেকে রী আবর্তন গতির তারতম্যের জন্য কামচা বেগ বেশি হওয়া যেমন পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চলে আবর্তনজনিত বেগ বেশি হওয়ায় সেখানে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, মেরুর দিকে আবর্তনের বেগ সেখাকেম হওয়ায় সেদিকে উচ্চচাপ সৃষ্টি হয়েছে। (v) জলীয় বাষ্প : বায়ুতে জলীয় বাষ্প বেশি থাকলে বায়ুর চাপ কম হয়। যেমন-নিরক্ষীয় অঞ্চল। (vi) বায়ুর নিমজ্জন: শীতল অঞ্চলে বায়ু ঠান্ডা ও ভারী হয়ে ভূপৃষ্ঠের দিকে নেমে আসে বলে বায়ুর ঘনত্ব বৃদ্ধি পায় ও বায়ুর চাপ তাই বাড়ে।

প্রশ্ন-2 বাতাসের বর্ণ নেই, গন্ধ নেই, কিন্তু আয়তন আছে, ওজন আছে-তা কী করে বুঝবে?

উত্তর: বাতাসের কোনো বর্ণ নেই, গন্ধ নেই বায়ুকে আমরা দেখতে পাই না। তবে বায়ু যে আছে তা আমরা অনুভব করতে পারি বা বুঝতে পারি। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়-ⅰ আমাদের

শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য বায়ুর প্রয়োজন হয়। ⅱ প্রচণ্ড গরমের সময় বায়ু প্রবাহিত হলে আমরা আরামবোধ করি। (iii) বাড়িতে কৃত্রিমভাবে বৈদ্যুতিক পাখা চালালে বায়ুপ্রবাহ বোঝা যায়। প্রবল বায়ুপ্রবাহের ফলে গাছের পাতা নড়ে, নৌকার পাল ওড়ে, ধুলো-বালি শুকনো পাতা উড়ে যায়, বই-এর পাতা উলটে যায়, ঘুড়ি-কাপড়-পতাকা পতপত করে উড়তে থাকে। প্রবল বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গাছের ডাল ভাঙে ও ঘরবাড়ি ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।

বায়ুর আয়তন ও ওজন-উভয়ই আছে। যেমন-বেলুন, ফুটবল বা ভলিবল, গাড়ির টিউবের একটি নির্দিষ্ট আয়তন আছে, সেই নির্দিষ্ট অনুসারে সেগুলি নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ুধারণ করতে পারে। তার অতিরিক্ত হয়ে গেলে সবই ফেটে যাবে। গ্যাসভর্তি রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হওয়া সিলিন্ডার অপেক্ষা ওজন বেশি থাকে। এথেকে বোঝা যায় বায়ুর ওজন আছে। এর প্রধান কারণ হল পৃথিবী তার মাধ্যাকর্ষণ শক্তির দ্বারা বায়ুকে নিজের কেন্দ্রের দিকে সর্বদাই আকর্ষণ করছে, ফলে বায়ুর ওজন বৃদ্ধি পায়।

► প্রশ্ন-5 বায়ু চাপ দেয় কেন?

উত্তর: আমাদের পৃথিবীর সমস্ত পদার্থই (কঠিন, তরল, গ্যাসীয়) অসংখ্য অণুর সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে। গ্যাসীয় পদার্থের অণুগুলো আলগাভাবে এলোমেলো হয়ে ঘুরে বেড়ায়। এর ফলে পরস্পরের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। আবার কোনো বস্তুর সঙ্গে বায়ুর এই অণুগুলির যখন ধাক্কা লাগে, তখন যে চাপ সৃষ্টি হয়, তাকে বায়ুচাপ (Air

pressure) বলে। স্বাভাবিক নিয়মে কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ুর আয়তন কমলে বায়ুর ঘনত্ব বাড়ে, আর বায়ুর ঘনত্ব বাড়লে বায়ুচাপ বেশি হয়। আবার বায়ুর আয়তন বৃদ্ধি পেলে বায়ুর ঘনত্ব কমে। তখন বায়ুর চাপ হ্রাস পায়। উল্লেখ্য, পৃথিবীর সমুদ্রপৃষ্ঠে গড় বায়ুচাপ হল প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে 1 কিগ্রা বা 1010.25 মিলিবার।

▶ প্রশ্ন-1 বায়ুচাপ কি সর্বত্র সমান?

উত্তর: না, পৃথিবীর সর্বত্রই বায়ুচাপ সমান নয়। তার কারণ হল- ① পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব এবং বায়ুস্তরের গভীরতার উপর মূলত বায়ুচাপের হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে থাকে। (ii) সমুদ্র সমতলে বায়ুর গভীরতা ও ঘনত্ব উভয় বেশি থাকায় বায়ুচাপ সবচেয়ে বেশি হয়। (ii) পার্বত্য অঞ্চলের অধিক উচ্চতার জন্য বায়ুর ঘনত্বের সাথে সাথে বায়ুচাপও কম হয়। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানের তারতম্যের জন্যেও বায়ুচাপ কম

বেশি হয়। যেমন-নিরক্ষীয় অঞ্চলের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব কম থাকায়, নিম্নচাপ (Low pressure) এবং মের অঞ্চলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব বেশি থাকায়, বায়ুর উচ্চচাপ (High pressure) সৃষ্টি হয়েছে। ✔ স্থলভাগ ও জলভাগ পাশাপাশি অবস্থান করলে সেখানেও বায়ুচাপের পার্থক্য ঘটে থাকে। যেমন-দিনেরবেলায় স্থলভাগের উপর নিম্নচাপ ও জলভাগের উপর উচ্চচাপ বিরাজ করে। অন্যদিকে রাত্রিবেলায় বিপরীত অবস্থা দেখা যায়। ⅵ) বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণের হ্রাসবৃদ্ধি ঘটলেও বায়ুচাপের তারতম্য ঘটে। যেমন- নিরক্ষীয় অঞ্চলের বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায়, সারাবছর নিম্নচাপ বিরাজ করে।

• প্রশ্ন-২ একটা স্কেলকে টেবিলের কানায় এমনভাবে রাখো যাতে স্কেলের বেশিরভাগ অংশ টেবিলের বাইরে বেরিয়ে থাকে। এবারে একটা খবরের কাগজ স্কেলের টেবিলের উপর থাকা অংশটার উপর বিছিয়ে দিয়ে একটু চেপে দাও। তারপর টোকা মেরে দেখো কী হয়?

উত্তর: প্রথমবার, টেবিলের কানায় যখন স্কেলটির বেশিরভাগ অংশ বাইরে বেরিয়ে আছে, তখন সামান্য টোকা দিলেই স্কেলটি নীচে পড়ে যাবে। কারণ স্কেলের যে অংশটি টেবিলের উপর ছিল, তখন সেই অংশটির উপর যতটা বায়ু ছিল তাই স্কেলটিকে চেপে রেখেছিল, যার চাপ ও শক্তি অনেক কম ছিল।

দ্বিতীয়বার, ওই একই অবস্থায় এবার স্কেলটির উপর একটা খবরের কাগজ চেপে দাও। এবার টোকা দাও। কিন্তু স্কেলটা পড়ল না। তার কারণ হল এবার স্কেলটির উপর যে খবরের কাগজটি চাপা দেওয়া হয়েছে তার আয়তন বেশি। ফলে বেশি আয়তনের খবরের কাগজের উপর বেশি পরিমাণ বায়ু চাপ দিচ্ছে, যার শক্তি অনেক বেশি।

প্রশ্ন-1 একটি কিছুটা জলভরা প্লাস্টিকের বোতলের মুখটা ভালো করে পাতলা পলিথিন বা কর্কের ছিপি দিয়ে আটকে দাও। একটা সরু নল ছিপিটার মধ্যে দিয়ে বোতলের মধ্যে ঢুকিয়ে দাও। এবার নলটার মধ্যে দিয়ে বোতলের ভিতরে জোরে কয়েকবার ফুঁ দাও। কী দেখলে বলো তো?

উত্তর: একটা কিছুটা জলভরা প্লাস্টিকের বোতলের মুখটা ভালো করে পাতলা পলিথিন বা কর্কের ছিপি দিয়ে আটকে দেওয়া হল। এর ফলে বোতলের মধ্যে বাইরের বাতাস ঢুকতে পারবে না। অন্যদিকে বোতলের ভিতরের বাতাস বাইরে যেতে পারবে না। এরপর কলমের মাথা দিয়ে পলিথিন বা কর্ক বা সেলোটেপের ঢাকনাটা সামান্য ছিদ্র করে নেওয়া হল। তারপর একটা সরু নল ওই ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করিয়ে কয়েকবার খুব জোরে জোরে ফুঁ দিলে দেখা যাবে বাইরের অতিরিক্ত বায়ু জোর করে বোতলের মধ্যে প্রবেশ করছে। ফলে বোতলের মধ্যস্থিত

জলতলের উচ্চতা কিছুটা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সামান্য কিছু জল নলের মধ্যে দিয়ে উপরে উঠে আসবে।

গল্প, খুদে বিজ্ঞানী ও মগজাস্ত্র-

• প্রশ্ন-২ পুরীর সমুদ্র সৈকত থেকে মাউন্ট এভারেস্ট গেলে রোজকার জীবনে কীরকম পরিবর্তন হবে?

উত্তর: পুরীর সমুদ্রসৈকত (সমুদ্র সমতল থেকে উচ্চতা ০ মিটার) এবং মাউন্ট এভারেস্টের (উচ্চতা 8,848 মিটার) ভূপ্রকৃতি, মৃত্তিকা, জলবায়ু জীবনযাপন প্রণালী প্রভৃতি সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির হবে – সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। সমুদ্র সমতল উভয় স্থানের উচ্চতার পার্থক্যই তা প্রমাণ করে দেয়। যেমন- পুরীর সমুদ্র সৈকতের আবহাওয়া সমভাবাপন্ন প্রকৃতির। অর্থাৎ এই অঞ্চলে খুব গরম বা খুব শীতল নয়, যা আরামদায়ক। অন্যদিকে, মাউন্ট এভারেস্ট সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অধিক উচ্চতায় অবস্থিত হওয়ায় এভারেস্টের আবহাওয়া খুব শীতল প্রকৃতির। পুরীর সমুদ্রসৈকত থেকে মাউন্ট এভারেস্টের দিকে গেলে রোজকার জীবনে যে প্রভাব পড়ে, সেগুলি হল-

(i) পুরীর সমুদ্রপৃষ্ঠ (গড় উন্নতা 20° সে.গ্রে.) থেকে মাউন্ট এভারেস্টের দিকে এগিয়ে গেলে উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে উয়তা ক্রমশ হ্রাস পেতে থাকে। তাই শীতের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য গরম পোশাকের প্রয়োজন হবে।

পুরীর সমুদ্রসৈকত

(ii) মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা অধিক হওয়ায় বায়ুর চাপ ও বায়ুর উয়তা কম থাকার জন্য খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ করার জন্য প্রেসার কুকার নিতে হবে।

(iii) বায়ুমণ্ডলীয় চাপ কম থাকায় নাক মুখ দিয়ে রক্ত পড়া এবং শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার জন্য অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিতে হবে।

(iv) পর্বতারোহীরা বিশেষ জুতো, হেলমেট, সানগ্লাস, এবং রাতে শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে তাবু, স্লিপিং ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে।

(v) শুকনো ও হালকা খাবার, প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার, জীবনদায়ী ঔষধ প্রভৃতি সঙ্গে নিতে হবে।

▶ প্রশ্ন-3 সাম্প্রতিকালে, তোমরা জেলায়, রাজ্যে বা দেশে ঘটে যাওয়া কোনো ঝড় বা সাইক্লোনের ছবি এবং লেখা সংবাদপত্র থেকে সংগ্রহ করে কোলাজ বানিয়ে তোমার খাতায় আটকে ক্লাসে সবাইকে দেখাতে পারো।

উত্তর: শিক্ষার্থীর নাম : ভ্যালেন্তিনা বিশ্বাস। বিদ্যালয়ের নাম :

টাউন স্কুল ফর গার্লস, কলকাতা। শ্রেণি: সপ্তম (বিভাগ-ক, রোল নং-1)। বিষয়: ভূগোল। অধ্যায়: তৃতীয় (বায়ুচাপ)। প্রকল্পের বিষয়: সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ের কোলাজ সংগ্রহ। তারিখ: 14.06.2021। সময়: বিকাল 3 টা। সূত্র: (কোনো একটি ঘূর্ণিঝড়ের বিধ্বংসী চিত্র ও সেই সময়কার দৈনিক সংবাদপত্রের চিত্রসহ রিপোর্ট সংগ্রহ করে কোলাজ তৈরি করতে হবে।) যেমন-বুধবার, 20.05.2020 তারিখের আমফান ঘূর্ণিঝড়ের ছবি কোলাজ সংগ্রহ করতে হবে

কৃতজ্ঞতা স্বীকার : আমাদের বিদ্যালয়ের ভূগোল শিক্ষক/শিক্ষিকা মহাশয়/মহাশয়া প্রকল্পটি রূপায়ণ ও বাস্তবায়নে সর্বতোভাবে সাহায্য করেছেন। তাঁর কাছে আমি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি।

শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর

শিক্ষক/শিক্ষিকার স্বাক্ষর

10 আমফান কী?

, তাকে আমফান নামে অভিহিত করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগর ও আরবসাগর সংলগ্ন আটটি দেশ নিয়ে গঠিত রিজিওন্যাল বডির অন্যতম সদস্য থাইল্যান্ড এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘আমফান’ দিয়েছিল। শ্রীলঙ্কার নিকটে বঙ্গোপসাগরের উপর সৃষ্ট নিম্নচাপ-এর উৎপত্তির কারণ। ঝড়টির সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল 185 কিমি/ঘণ্টা এবং সর্বনিম্ন গতিবেগ ছিল 130 কিমি/ঘণ্টা। এই ঘূর্ণিঝড়টি সাগরদ্বীপ ও বকখালিতে প্রথম আছড়ে পড়ে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ অংশের আটটি জেলাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। এর প্রভাবে মোট 86 জন মানুষের মৃত্যু ঘটে। বহু গৃহপালিত ও বন্য-জীবজন্তুর মৃত্যু হয়। অসংখ্য নদীবাঁধ ভেঙে কৃষিজমি লবণাক্ত জলে প্লাবিত হয়। লক্ষ লক্ষ গাছ উপড়ে যায়, ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে। কয়েক লক্ষ মানুষ গৃহহীন ও নিরন্ন হয়ে পড়ে। কৃষিজ ফসল ও সবজি চাষের অপূরণীয় ক্ষতি হয়।

জেনে রাখো:

সম্প্রতি যশ (মার্চ, 2021) ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে প্রবল জলোচ্ছ্বাস পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অঞ্চলে চাষবাস, মৎস্যচাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে।

4 প্রশ্ন । বায়ুচাপের তারতম্যের কারণগুলি আলোচনা করো। অথবা, পৃথিবীর সব জায়গায় বায়ুচাপের পরিমাণ সমান নয় উদাহরণসহ আলোচনা করো। (তমলুক হ্যামিলটন হাইস্কুল) 

উত্তর: পৃথিবীর সর্বত্র বায়ুর চাপ সমান হয় না। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বায়ুচাপের তারতম্যের কারণগুলি হল-

(i) সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতার তারতম্য: সমুদ্র সমতল থেকে যত উপরে ওঠা যায়, ততই বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব ও ওজন কমে তাই বায়ুর চাপও কমে যায়। অপরদিকে, নীচের বায়ুস্তর ঘন। তাই সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কম উচ্চতার স্থানের ওপরও চাপ বেশি হয়। প্রতি 110 মিটার ওপরে উঠলে 1 সেমি পারদস্তম্ভের সমান বায়ু চাপ কমে যায়। উদাহরণ: পর্বতের উঁচু অংশে বায়ুর চাপ কম হয় বলে কোনো কিছু সিদ্ধ হতে অনেক দেরি হয়।

(ii) বায়ুর উম্বুতার তারতম্য: বায়ুর চাপ বায়ুর উয়তার ওপর নির্ভরশীল। বায়ুর উয়তা বেশি হলে বায়ু প্রসারিত ও হালকা হয় এবং চাপ কমে যায়। আবার উষ্ণতা হ্রাস পেলে বায়ু সংকুচিত ও শীতল হয় এবং বায়ুচাপ বৃদ্ধি পায়। এই কারণে শীতল মেরু অঞ্চলে বায়ুর চাপ বেশি ও উয় নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুর চাপ কম হয়।

কমে তাই বায়ুর চাপও কমে যায়। অপরদিকে, নীচের বায়ুস্তর ঘন। তাই সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কম উচ্চতার স্থানের ওপরও চাপ বেশি হয়। প্রতি 110 মিটার ওপরে উঠলে 1 সেমি পারদস্তম্ভের সমান বায়ু চাপ কমে যায়। উদাহরণ: পর্বতের উঁচু অংশে বায়ুর চাপ কম হয় বলে কোনো কিছু সিদ্ধ হতে অনেক দেরি হয়।

(ii) বায়ুর উম্বুতার তারতম্য: বায়ুর চাপ বায়ুর উয়তার ওপর নির্ভরশীল। বায়ুর উয়তা বেশি হলে বায়ু প্রসারিত ও হালকা হয় এবং চাপ কমে যায়। আবার উষ্ণতা হ্রাস পেলে বায়ু সংকুচিত ও শীতল হয় এবং বায়ুচাপ বৃদ্ধি পায়। এই কারণে শীতল মেরু অঞ্চলে বায়ুর চাপ বেশি ও উয় নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুর চাপ কম হয়।

(iii) জলীয় বাষ্প : বায়ুতে উপস্থিত জলীয় বাষ্প বায়ুর চাপ নিয়ন্ত্রণ করে। জলীয় বাষ্প হালকা। তাই বায়ুতে উপস্থিত জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হলে বায়ুর চাপ কমে এবং জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম হলে বায়ুর চাপ বেড়ে যায়।

(iv) পৃথিবীর আবর্তন: পৃথিবীর আবর্তনগতির প্রভাবে কোনো অঞ্চলের বায়ু বাইরের দিকে বিক্ষিপ্ত হয়, আবার কোনো অঞ্চলে সেই বায়ু এসে জমা হয়। যেমন-পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চলে আবর্তন গতির বেগ বেশি হওয়ায়, সেখানে বায়ু দুই ক্রান্তীয় অঞ্চলের দিকে ছিটকে যায় এ ওধ্বগামী হয় ফলে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। আবার এই বায়ু উপক্রান্তীয় অঞ্চলের 30° অক্ষাংশ (উভয় গোলার্ধে) সংলগ্ন স্থানে নিম্নগামী হয়ে বায়ুর চাপ বাড়িয়ে উচ্চচাপের সৃষ্টি করে। এই কারণে ক্রান্তীয় অঞ্চলে স্থায়ী উচ্চচাপ দেখা যায়।

(iii) জলীয় বাষ্প : বায়ুতে উপস্থিত জলীয় বাষ্প বায়ুর চাপ নিয়ন্ত্রণ করে। জলীয় বাষ্প হালকা। তাই বায়ুতে উপস্থিত জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হলে বায়ুর চাপ কমে এবং জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম হলে বায়ুর চাপ বেড়ে যায়।

(iv) পৃথিবীর আবর্তন: পৃথিবীর আবর্তনগতির প্রভাবে কোনো অঞ্চলের বায়ু বাইরের দিকে বিক্ষিপ্ত হয়, আবার কোনো অঞ্চলে সেই বায়ু এসে জমা হয়। যেমন-পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চলে আবর্তন গতির বেগ বেশি হওয়ায়, সেখানে বায়ু দুই ক্রান্তীয় অঞ্চলের দিকে ছিটকে যায় এ ওধ্বগামী হয় ফলে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। আবার এই বায়ু উপক্রান্তীয় অঞ্চলের 30° অক্ষাংশ (উভয় গোলার্ধে) সংলগ্ন স্থানে নিম্নগামী হয়ে বায়ুর চাপ বাড়িয়ে উচ্চচাপের সৃষ্টি করে। এই কারণে ক্রান্তীয় অঞ্চলে স্থায়ী উচ্চচাপ দেখা যায়।

Ture And The False

1. পৃথিবীর আবর্তন গতির জন্য বায়ুমণ্ডলের বাতাস বাইরের দিকে ছিটকে যায়।

উত্তর: শুদ্ধ।

2. 1643 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী টরিসেলি ব্যারোমিটার তৈি করেন।

উত্তর: শুদ্ধ।

3. পার্বত্য অঞ্চলে বায়ুর চাপ সবচেয়ে বেশি হয়।

উত্তর: অশুদ্ধ।

4. আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণে বায়ুর চাপের কোনো ভূমিকা নেই।

উত্তর: অশুদ্ধ।

5. শীতকালে সাধারণত বায়ুতে উচ্চচাপ থাকে।

উত্তর: শুদ্ধ।

6. সমচাপরেখায় বায়ুর চাপ ইঞ্চি এককে দেখানো হয়।

উত্তর: অশুদ্ধ।

7. সমপ্রেষ রেখাগুলি পরস্পরকে ছেদ করে।

উত্তর: অশুদ্ধ।

৪. আবহাওয়ার মানচিত্রে ‘L’ চিহ্নিত অঞ্চলে নিম্নচাপ হয়।

উত্তর: শুদ্ধ।

9. বায়ুর চাপের পার্থক্য যত বেশি হয় বায়ুপ্রবাহের বেগও তা বেশি হয়।

উত্তর: শুদ্ধ।

10. বায়ুর চাপ পরিমাপের একক হল মিলিবার। (হাওড়া জেলা স্কুল)

উত্তর: শুদ্ধ।

11. উড়োজাহাজে অল্টিমিটার যন্ত্রের সাহায্য বায়ুচাপ মাপা হয়।

উত্তর: শুদ্ধ।

12. বায়ুর চাপ ঊর্ধ্বমুখী।

উত্তর: অশুদ্ধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *