Class 7 Chapter 10 Solution
আঁকা-লেখা
Very Short Question Answer
১. ‘অ’ লিখছে ‘আ’ লিখছে-কারা কীভাবে এমন লিখছে? তাদের দেখে কী মনে হচ্ছে?
উত্তর: জোনাকিরা, তাদের আলো দিয়ে যেন এরকমটা লিখছে। মনে হচ্ছে তারা প্রচণ্ড আনন্দে আছে।
২. ‘তিনটি শালিক ঝগড়া থামায়’- কোন্ কবির কোন্ কবিতায় এমন তিন শালিকের প্রসঙ্গ অন্যভাবে আছে? ***
উত্তর: কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সহজ পাঠ’ গ্রন্থে রান্নাঘরের চালে তিনটি শালিকের ঝগড়া করার কথা আছে।
৩.মাছরাঙা পাখি কেমন দেখতে? সে মৎস্য ভুলে যায় কেন?
উত্তর: মাছারাঙা পাখি দেখতে নীল রঙের। সে চিত্রের দিকে মন দেয় বলে মৎস্য ভুলে যায়।
৪.কবি যখন ছড়া লিখতে শুরু করেন তখন চারপাশের প্রকৃতিতে কী কী পরিবর্তন ঘটে?
উত্তর: কবি যখন ছড়া লিখতে শুরু করেন তখন তারার মালা গোপনে কাছে নেমে আসে। বকুল গাছে জোনাকিরা ‘অ’, ‘আ’ লেখে।
Short Question Answer
১. ‘আঁকা, লেখা’ কবিতায় কবির ছবি আঁকার প্রসঙ্গে কোন্ কোন্ প্রাণীর নাম এসেছে?
উত্তর: মৃদুল দাশগুপ্ত প্রণীত ছোট্ট, অথচ সুন্দর একটি কবিতা হল ‘আঁকা, লেখা’। এই কবিতায় কবি লিখেছেন, তিনি যখন ‘খুশ-খেয়ালে’ চিত্র আঁকেন তখন প্রাণী জগতে দেখা যায় নানা পরিবর্তন। সেই পরিবর্তনের সূত্রে যে পাখি বা প্রাণীর নাম আসে, তারা হল- ১. শালিক। ২. চড়ুই। ৩. প্রজাপতি। ৪. ইঁদুর।
২. কবির আঁকা ছবি কারা দেখেছে?
উত্তর: কবি মৃদুল দাশগুপ্ত লিখেছেন, তাঁর আঁকা ছবি দেখেছে তিনটি শালিক, চড়ুই পাখি, মাছরাঙা, প্রজাপতি ও গর্তের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসা ইঁদুর।
৩. কারা কীভাবে কবির ছড়া লেখার সময় সন্তর্পণে আসে?
উত্তর: কবি মৃদুল দাশগুপ্ত লিখেছেন, কবি যখন ছবি আঁকেন, আকাশের তারার মালা তখন খুব গোপনে কবির কাছে নেমে আসে।
৪.’রং-তুলিরা বেজায় খুশি আজ দুপুরে আমায় পেয়ে।’- কবির এমন বক্তব্যের কারণ কী?***
উত্তর: রং-তুলিরা দুপুরে অলস সময় না কাটিয়ে নতুন ছবি এঁকেছে, আর এটা সম্ভব হয়েছে কবিকে পেয়ে। সেই কারণেই তারা বেজায় খুশি। কবি এই মন্তব্য করেছেন, কারণ তাঁর ও রং-তুলির পারস্পরিক সাহচর্যে ফুটে উঠেছে নতুন ছবি; তারা পেয়েছে অপার্থিব আনন্দ।
Long Question Answer
১. ‘এই ছড়াতেই আজ আমাকে তোমার কাছে আনলো হাওয়া’ -কাকে উদ্দেশ্য করে কবি একথা বলেছেন? কবির আঁকা এবং লেখার সঙ্গে এই মানুষটির উপস্থিতির সম্পর্ক এবং গুরুত্ব বিচার করো।***
উত্তর: একালে অন্যতম খ্যাতিমান আধুনিক কবি মৃদুল দাশগুপ্ত তাঁর ‘আঁকা, লেখা’ নামাঙ্কিত কবিতায় পাঠক তথা শিশু-কিশোরদের উদ্দেশ্য
করে উদ্ধৃত উক্তিটি করেছেন।
• মৃদুল দাশগুপ্ত মনে করেন, একজন শিল্পী যখন তুলিতে টান দেন, তখন শালিক থেকে শুরু করে মাছরাঙা, প্রজাপতি এমনকী ইঁদুর পর্যন্ত খোশ মেজাজে তাদের স্বভাব বদলে দেয়। কবি যখন খাতার পৃষ্ঠায় অসাধারণ সব ছড়া লেখেন তখন চারিদিকে দেখা যায় অপূর্ব পরিবেশ। যেমন-
ক। । জ্যোৎস্নায় মাঠ আলোয় ভরে থাকে।
খ ।। বাতাসে লাগে মৃদু কম্পন।
এরকম এক মোহনীয় পরিবেশে কবির ছড়া লেখা শুরু হয়। কবির – সেই সৃজন কর্মের সময় তারার মালা আকাশ থেকে নিঃশব্দে নেমে – আসে। জোনাকিরা বাতাসের সঙ্গে খেলতে থাকে। বকুল গাছে তারা লেখে বর্ণ পরিচয়ের মালা। এই সময় কবি লেখেন অসাধারণ সব ছড়া।
মৃদুল দাশগুপ্ত জানান, ছবি ও ছড়া এই দুটি নির্মাণ কর্মে তিনি আনন্দ উপভোগ করেন। মনের ইচ্ছেতে তিনি ছবি আঁকেন। আবার ভালোবাসার অন্য আর এক অনুভূতিতে কত সব ছড়া লেখেন। কবি বা শিল্পী যখন কিছু সৃষ্টি করেন, তখন তাঁর একজন গুণগ্রাহীর
প্রয়োজন হয়। কবিতার ক্ষেত্রে একজন পাঠক কবির কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কবিতার ভালো-মন্দ-স্থায়িত্ব নির্ভর করে পাঠকের উপরে। তেমনি একজন দর্শকই ছবির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করেন। কবি, শিল্পীর গুণের কদর পাঠক বা দর্শকই করতে পারেন। তাই প্রত্যেকটি সৃষ্টির সঙ্গেই সেই মানুষটির সম্পর্ক আছে। কেননা, কবি-শিল্পীর কাছে তাঁর গুরুত্ব অপরিসীম।
২. এই কবিতায় যে যে উপমা ও তুলনা ব্যবহৃত হয়েছে, সেগুলি ব্যবহারের সার্থকতা বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: কবি যখন কিছু লেখেন, তখন তিনি বাস্তব জগৎকে অনেক উদাহরণ, উপমা ব্যবহার করেন বা তুলনা করেন একের সঙ্গে অন্যের। দুটি বিসদৃশ বস্তুর মধ্যে আপাত সাদৃশ্য অন্বেষণ করা বোঝালে তাকে উপমা বলে। এই কবিতাতে বেশ কিছু উপমা ও তুলনা ব্যবহার করেছেন।
ক। তাঁর আঁকার সময় শালিক ঝগড়া থামিয়ে দেয়।
খ। মাছরাঙা তার নীল রং ধার দিতে চায়, প্রজাপতির ঝাঁক ছবিতে থাকতে চায়।
এগুলি কবির কল্পনা হলেও কবিতার বিষয়ের সঙ্গে বাস্তবতার বন্ধন আবদ্ধ। চাঁদের আলো কবির কাছে দুধের সরের মতো মনে হয়। কবি লেখেন-
ওই যে মাঠে চাঁদের মতো দুধের সর জমে যায় যখন পুরু বাতাস ঈষৎ কাঁপন দিতেই আমার ছড়া লেখার শুরু।
এই উপমা ও তুলনাগুলি কবিতার বিষয়টির সঙ্গে খুবই মানানসই হয়েছে।
ব্যাকরণের সহজপাঠ
১. বিপরীত শব্দ লেখো: পুরু, শুরু, খুশি, পেয়ে, গোপনে, পুলক, কাছে।
উত্তর: পুরু-পাতলা, শুরু-শেষ, খুশি-দুঃখী, পেয়ে-হারিয়ে, গোপনে-প্রকাশ্যে, পুলক-দুঃখ, কাছে-দূরে।
২. সমার্থক শব্দ লেখো: চিত্র, ঝগড়া, মৎস্য, বেজায়, দুপুরে, পাখি, শুরু, গাছে, হাওয়া, চোখ, ধার, পুরু।
উত্তর: চিত্র-ছবি, দৃশ্য, প্রতিকৃতি; ঝগড়া-বিবাদ, কোন্দল, কলহ; মৎস্য-মাছ, মীন, মছলি। বেজায় খুব, ভীষণ, দারুণ। দুপুরে-মধ্যাহ্ণে, দ্বিপ্রহরে, ভরদুপুরে; পাখি-পক্ষী, বিহঙ্গ, বিহগ, বিহঙ্গম, খেচর; শুরু-সূচনা, আরম্ভ; গাছে-বৃক্ষে, বনস্পতিতে, তরুতে, পাদপে, অটবীতে; হাওয়া-সমীরণ, বাতাস, পবন, সমীর, অনীল; চোখ-নেত্র, নয়ন, চক্ষু; ধার-ঋণ, বাকি, দেনা; পুরু-মোটা, স্থূল, পৃথু।
একটি বাক্যে উত্তর দাও।
১. কবি কখন ছবি আঁকেন?
উত্তর: দুপুরবেলায় কবির মন যখন খুশি আর খেয়ালে মেতে ওঠে, তখন আনন্দে-আপ্লুত কবি ছবি আঁকেন।
২. কখন তাঁর ছড়া লেখার শুরু?
উত্তর: কবি মৃদুল দাশগুপ্ত লিখেছেন, মাঠে চাঁদের জ্যোৎস্না যখন দুধের সরের মতো জমে যায় এবং বাতাস যখন ঈষৎ কাঁপন দেয়, তখন কবির ছড়া লেখার শুরু।
৩. তিনটি শালিক কী করে?
উত্তর: কবির অপূর্ব ছবি আঁকা দেখে তিনটি শালিক ঝগড়া থামায়।
৪. কে অবাক তাকায়?
উত্তর: চড়ুই পাখি অবাক তাকায়।
৫. মাছরাঙা কী চায়?
উত্তর: মাছরাঙা তার নীল রংটি শিল্পীকে ধার দিতে চায়।
৬. প্রজাপতিদের ইচ্ছা কী?
উত্তর: প্রজাপতিদের ইচ্ছা হল-তারা ছবিতে থাকতে চায়।
৭. গর্তে কে থাকে?
উত্তর: গর্তে ইঁদুর থাকে।
৮. চাঁদের পুরু দুধের সর কোথায় জমে?
উত্তর: চাঁদের পুরু দুধের সর মাঠের মধ্যে জমে।
৯. কারা, কোথায় অ-আ লিখছে?
উত্তর: জোনাকিরা বকুলগাছে অ, আ লিখছে।
১০. কবি কোন্ বিষয়কে ‘পদক পাওয়া’ মনে করেছেন?
উত্তর: ছড়ার জন্য কবির অন্যের কাছে পৌঁছে যাওয়াকেই ‘পদক
পাওয়া’ মনে করেছেন।
বাক্য বাড়াও :
১. আমি যখন আঁকি (কী? কীভাবে?)
উত্তর: আমি যখন রঙতুলি দিয়ে ছবি আঁকি।
২. চাঁদের দুধের সর জমে যায়। (কোথায়? কেমন?)
উত্তর: মাঠে চাঁদের দুধের সর পুরু হয়ে জমে যায়।
৩. পিটপিটে চোখ দেখছে চেয়ে। (কে? কোথা থেকে?)
উত্তর: ইঁদুর গর্ত থেকে পিটপিটে চোখে দেখছে চেয়ে।
৪. ছড়া লেখার শুরু। (কার? কখন?)
উত্তর: বাতাস যখন কাঁপন লাগায় তখন আমার ছড়া লেখার শুরু।
৫. ‘অ’ লিখছে ‘আ’ লিখছে। (কারা? কোথায়?)
উত্তর: জোনাকিরা বকুল গাছে ‘অ’ লিখছে ‘আ’ লিখছে।
নীচের বিশেষণগুলির পরে উপযুক্ত বিশেষ্য বসিয়ে বাক্য রচনা করো: ঈষৎ, বেজায়, পিটপিটে, পরম, নীল, গোপন
উত্তর:
১. ঈষৎ-ঈষৎ হাওয়ায় গাছ থেকে পাকা আমটি পড়ল।
২. বেজায়-নতুন বই পেয়ে ছাত্ররা বেজায় খুশি।
৩. পিটপিটে-ছেলেটি পিটপিটে চোখে চেয়ে আছে।
৪. পরম-বিপুল মামারবাড়িতে পরম আদরেই দিন কাটাচ্ছে।
৫. নীল-অঞ্জন একদৃষ্টে চেয়ে আছে নীল আকাশের দিকে।
৬. গোপন-গোপন কথা গোপনে বলাই ভালো।
বিপরীতার্থক শব্দ লেখো: গোপন, ঈষৎ, খুশি, পুরু, ঝগড়া
উত্তর: গোপন-প্রকাশ্য, খোলামেলা। ঈষৎ-বেশি। খুশি- অখুশি। পুরু-পাতলা। ঝগড়া-বন্ধুত্ব/সম্ভাব।
নিম্নরেখ অংশগুলির কারকবিভক্তি নির্ণয় করো:
১. তিনটি শালিক ঝগড়া থামায়।
উত্তর: কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
২. গর্ত থেকে ইঁদুর, সেটাও পিটপিটে চোখ দেখছে চেয়ে।
উত্তর : অপাদানকারকে, ‘থেকে’ অনুসর্গ।
৩. প্রজাপতির ঝাঁক চাইছে তাদের রাখি আমার আঁকায়।
উত্তর: অধিকরণকারকে ‘য়’ বিভক্তি।
৪. এবার যেন তারার মালা খুব গোপনে নামছে কাছে।
উত্তর: কর্তৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
৫. সেই তো আমার পদক পাওয়া।
উত্তর: কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
ঠিক বানানটি বেছে নাও:
১. মৎস্য/মৎস/মৎশ্য
উত্তর: মৎস্য।
২.দুধের স্বর/দুধের সর/দুধের শর
উত্তর: দুধের সর।
৩. কাপন/কাঁপন/কাঁপণ
উত্তর: কাঁপন।
৪. ঈশৎ/ইষৎ/ঈষৎ
উত্তর: ঈষৎ।