WBBSE Class 7 Sahityamela Chapter 17 Solution | Bengali Medium

Class 7 Chapter 17 Solution

দুটি গানের জন্মকথা

Very Short Question Answer

১.২ ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকায় ভারতবর্ষের জাতীয় সংগীতটির কোন্ পরিচয় দেওয়া হয়েছিল?

উত্তর: ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকায় ভারতবর্ষের জাতীয় সংগীতটিকে ‘ব্রহ্মসংগীত’ বলে পরিচয় দেওয়া হয়েছিল।

১.৩ রবীন্দ্রনাথ ‘জনগণমন’র যে ইংরেজি নামকরণ করেন সেটি লেখো।

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ‘জনগণমন’ গানটির ইংরেজি নামকরণ করেছিলেন ‘The Morning Song of India’

১.৪ ভারতবর্ষের জাতীয় মন্ত্রটি কী? সেটি কার রচনা?

উত্তর: ভারতবর্ষের জাতীয় মন্ত্রটি হল ‘বন্দেমাতরম্’।

• এই গানটি লিখেছিলেন সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। 

৬. ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটিতে উল্লিখিত দুটি মাসের নাম লেখো।

উত্তর : ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটিতে দুটি ঋতুর উল্লেখ রয়েছে। এই ঋতু দুটি হল-.

১. অগ্রহায়ণ

২. ফাল্গুন

Short Question Answer

১.১ ভারতবর্ষের জাতীয় সংগীতটি কোন্ উপলক্ষ্যে প্রথম গাওয়া হয়েছিল?

উত্তর: ভারতবর্ষের জাতীয় সংগীতটি ‘ভারতের জাতীয় কংগ্রেস’-এর ২৬ তম বার্ষিক অধিবেশনে উদ্বোধনী সংগীত উপলক্ষ্যে প্রথম গাওয়া হয়েছিল।

১.২ ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকায় ভারতবর্ষের জাতীয় সংগীতটির কোন্ পরিচয় দেওয়া হয়েছিল?

উত্তর: ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকায় ভারতবর্ষের জাতীয় সংগীতটিকে ‘ব্রহ্মসংগীত’ বলে পরিচয় দেওয়া হয়েছিল।

১.৩ রবীন্দ্রনাথ ‘জনগণমন’র যে ইংরেজি নামকরণ করেন সেটি লেখো।

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ‘জনগণমন’ গানটির ইংরেজি নামকরণ করেছিলেন ‘The Morning Song of India’

১.৪ ভারতবর্ষের জাতীয় মন্ত্রটি কী? সেটি কার রচনা?

উত্তর: ভারতবর্ষের জাতীয় মন্ত্রটি হল ‘বন্দেমাতরম্’।

• এই গানটি লিখেছিলেন সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। 

৫. ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি কবে থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের ‘জাতীয় সংগীত’ হয়ে উঠল?

উত্তর: ১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসন থেকে মুক্ত হয়েছিল পূর্বপাকিস্তান। স্বাধীন বাংলাদেশ রূপে আত্মপ্রকাশ করেছিল। সেদিন থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটির প্রথম দশ লাইন সেখানকার জাতীয় সংগীত হিসেবে মান্যতা পেয়েছিল।

Long Question Answer

৩.১ ‘জনগণমন’কে জাতীয় সংগীত রূপে গ্রহণ করতে বিরোধিতা হয়েছিল কেন? রবীন্দ্রনাথের ব্যাখ্যায় সেই বিরোধিতার অবসান কীভাবে ঘটেছিল?

উত্তর: ‘জনগণমন’কে জাতীয় সংগীত রূপে গ্রহণ করতে বিরোধিতা দেখা গিয়েছিল। কারণ রবীন্দ্রবিরোধী সমালোচকরা মনে করেছিলেন, গানটি সম্রাট পঞ্চম জর্জের ভারতে আগমনকালে রচিত হয়েছিল এবং বিরোধীরা মনে করেন এই গানটি সম্রাট পঞ্চম জর্জের প্রশস্তি উপলক্ষ্যে রচিত হয়েছিল। সেই কারণে পরাধীন ভারতে উগ্র জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী কয়েকজন নেতৃত্ব জাতীয় সংগীত রূপে গানটিকে মান্যতা দিতে চাননি।

• পুলিনবিহারী সেন গানটি রচনার উদ্দেশ্য জানতে চেয়ে রবীন্দ্রনাথকে চিঠি লিখলে রবীন্দ্রনাথ গানটি রচনার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা  করেন। যে বৎসর ভারতসম্রাট আগমনের আয়োজন চলছিল সেই বছর রাজ্যসরকারে প্রতিষ্ঠাবান কোনও বন্ধু রবীন্দ্রনাথকে সম্রাটের জয়গান

■ রচনার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এই শুনে রবীন্দ্রনাথের মনে উত্তাপের

■ সঞ্চার হয়েছিল। তারই প্রবল প্রতিক্রিয়ায় রবীন্দ্রনাথ ‘জনগণমন ■ অধিনায়ক’ গান রচনা করে ভারত ভাগ্যবিধাতার জয় ঘোষণা করেন। রবীন্দ্রনাথের বক্তব্য থেকে প্রমাণিত হয়-

ক।। সম্রাট পঞ্চম জর্জের ভারতে আগমনের সময় এই গানটি রচিত হয়েছিল ঠিকই কিন্তু তিনি তাঁর জয়ধ্বনি করেননি।

খ।। রবীন্দ্রনাথ পঞ্চম জর্জকে ভারতের ভাগ্যবিধাতা বলে মানেননি। তিনি মনে করেছেন, ভারতবর্ষ ভাগ্য নির্ধারণ কখনও ইংরেজ হতে পারে না।

গ। রবীন্দ্রনাথ স্পষ্টই জনগণকেই ভারতের ভাগ্যবিধাত রূপে ঘোষণা করেছেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই ব্যাখ্যায় বিরোধিতার অবসান ঘটেছিল। বলাবাহুল্য, গানটি নিয়ে নানারূপ সাময়িক তিক্ততা ও ভুল বোঝাবুঝি হলেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গানটিকে পরে নানা সময়ে গেয়েছেন। এই গান এখন ভারতবর্ষের জাতীয় সংগীত।

৩.২ ‘রবীন্দ্রনাথ গানটিকে পরেও নানা উপলক্ষ্যে ব্যবহার করেছেন।’-১৯১১ খ্রিস্টাব্দের পরবর্তী সময়ে রবীন্দ্রনাথ

কীভাবে এই গানটি ব্যবহার করেন?

উত্তর: ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ১৯১৯ সালে তিনি দক্ষিণ ভারত পরিক্রমায় বেরিয়েছিলেন। সেখানে ‘থিয়সফিক্যাল কলেজ’-এর অধ্যক্ষ এবং রবীন্দ্রনাথের বন্ধু জেমস এইচ কাজিন্স তাঁর সম্মানে একটি সভার আয়োজন করলে সেই সভায় রবীন্দ্রনাথ ‘জনগণমন’ গানটি গেয়েছিলেন।

এরপর ১৯৩০-এর সেপ্টেম্বরে মস্কোর ‘পায়োনিয়ার্স কমিউন’-এ অনাথ বালক বালিকারা কবিকে অভ্যর্থনা জানানোর পর সেখানে কবিকে গান গাইতে অনুরোধ জানালে তিনি তাঁদের এই গানটি গেয়ে শুনিয়েছিলেন। অর্থাৎ স্বকণ্ঠে গান গাইবার প্রসঙ্গ এলে দেখা যায় রবীন্দ্রনাথ এই গানটিকে গাইছেন। অর্থাৎ গানটির প্রতি তাঁর অদ্ভুত এক দুর্বলতা ছিল।

১. ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি কখন রচিত হয়েছিল?

উত্তর: ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি ঠিক কবে রচিত হয়েছিল তার

তারিখ জানা যায়নি। তবে এই গান রচনার সূত্রটি জানা গিয়েছে। লর্ড কার্জন প্রস্তাবিত বঙ্গভঙ্গের নির্দিষ্ট তারিখটি জানতে পারার পর এই গানটি রচনা করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তারপর সমগ্র বাংলাদেশে কালবৈশাখীর গতিতে গানটি মুখে মুখে গীত হয়।

২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন গিরিডিতে ছিলেন, তখন তিনি সেখানে

বসে ক-টি গান রচনা করেন? সেই গানগুলি কী নামে পরিচিত?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ তখন স্বপরিবারে গিরিডিতে ছিলেন। সেই সময় তিনি সেখানে ২২/২৩টি গান রচনা করেছিলেন।

• এই গানগুলি আজ ‘স্বদেশি গান’ নামে পরিচিত।

৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটির সুর কোন্ ধরনের?

উত্তর: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের গানগুলি পরীক্ষিত। কখনও পাশ্চাত্য কখনও বা দেশীয় মাঝি-মাল্লার গানের সুরকে তিনি প্রয়োগ করেছেন। ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটির সুর হল ‘ভাটিয়ালি’। বলাবাহুল্য, আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় রচিত যে সব লোকসংগীত রয়েছে তার অন্যতম জনপ্রিয় একটি শাখা হল ‘ভাটিয়ালি’।

৪. ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটির সুরের বিষয়ে সরলা দেবী তাঁর ‘জীবনের ঝরাপাতা’য় কী বলেছেন?

উত্তর: ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি প্রথম গাওয়া হয় ১৯০৫, আগস্ট মাসের ২৫ তারিখে। এই গানটির সুরের বিষয়ে সরলাদেবী তাঁর ‘জীবনের ঝরা পাতা’ গ্রন্থে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কর্তা দাদামহাশয় চুঁচুড়ায় থাকার সময় সময়মতো বোটের মাঝিদের কাছ থেকে অনেকগুলি বাউল আঙ্গিকের গান সংগ্রহ করেছিলেন সরলাদেবী। তিনি জানিয়েছেন-

“যা কিছু শিখতুম তাই রবিমামাকে শোনাবার জন্য প্রাণ ব্যস্ত থাকত-তাঁর মতো সমজদার আর কেউ ছিল না।” রবীন্দ্রনাথ এই গানগুলি মন দিয়ে শুনতেন এবং সেই সুর অনুসারে নিজের গান রচনা করতেন। ‘আমার সোনার বাংলা’ হল তেমন একটি গান। যা বোটের মাঝির কাছ থেকে আহরিত এবং সরলা দেবীর সুরে বসানো।