WBBSE Class 7 Sahityamela Chapter 18 Solution | Bengali Medium

Class 7 Chapter 18 Solution

কাজী নজরুলের গান

Very Short Question Answer

৬. শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে নীচের বিষয়গুলির মধ্যে কাজী নজরুলের কোন কোন গান খুঁজে পেলে লেখো। স্বদেশপ্রেম বিষয়ক, প্রকৃতি বিষয়ক, হাসির গান, ছড়ার গান, প্রেমের গান, ধর্মীয় অনুষঙ্গের গান।

উত্তর: স্বদেশপ্রেম বিষয়ক গান: ‘দুর্গম গিরি কান্তার মরু

দুস্তর পারাবার…’

• ধর্মীয় অনুষঙ্গের গান ‘খড়ের প্রতিমা পূজিস তোরা মাকে তোরা পূজিস না

১. ইস্কুল যাবার পথে লেখক কী দেখেছিলেন?

উত্তর: ইস্কুল যাবার পথে লেখক রামকুমার চট্টোপাধ্যায় দেখেছিলেন, হেদো পার্কের কাছে খুব ভিড়।

২. ভিড়ের লোকজনকে প্রশ্ন করে লেখক সেদিন কী জেনেছিলেন?

উত্তর: ভিড়ের লোকজনকে প্রশ্ন করে লেখক রামকুমার চট্টোপাধ্যায় জানতে পেরেছিলেন যে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র সেখানে বক্তৃতা দিতে আসছেন।

৩. কোথায় বক্তৃতা দিতে এসেছিলেন নেতাজি?

উত্তর: কলকাতার বিডন স্ট্রিটের কাছে সরকার বাগানে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বক্তৃতা দিতে এসেছিলেন।

Short Question Answer

৪. একটু পরে আবার কী রোল উঠল?

উত্তর: রামকুমার চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন একটু পরেই আবার রোল উঠেছিল এই কারণে যে কাজী নজরুল ইসলামও সেই মঞ্চে গান গাইতে আসছেন।

৫. বেশ অনেকক্ষণ পরে লেখক কী দেখলেন?

উত্তর: বেশ অনেকক্ষণ পরে লেখক রামকুমার চট্টোপাধ্যায় দেখলেন যে, এক অসামান্য দেবদূতসম মানুষ মঞ্চ আলো করে উপস্থিত হয়েছেন। সেই দেবদূতের কপাল উন্নত, তিনি গৌরবর্ণের এবং ‘অতীব সুপুরুষ’।

১. কাজী নজরুল ইসলাম ব্যতীত কোন মনীষীর নাম পাঠ্যাংশে খুঁজে পেলে?

উত্তর: রামকুমার চট্টোপাধ্যায় প্রণীত ‘কাজী নজরুলের গান’ নামাঙ্কিত গদ্যে কাজী নজরুল ইসলাম ব্যতীত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাম পাঠ্যাংশে খুঁজে পাই।

২. ‘এই ছিল তখনকার কোনো স্বদেশি মিটিং-এর রীতি’। -কোন্ রীতির কথা এখানে বলা হয়েছে?

উত্তর: তখনকার বলতে স্বদেশি আন্দোলনের সময়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। তখন যে কোনো স্বদেশি মিটিং-মিছিল, প্রতিরোধ- প্রতিবাদ- যাই হোক না কেন কাজী নজরুল ইসলামের পর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বক্তৃতা শুরু হতো। অর্থাৎ-বক্তৃতার আগে গান হতেই হবে-এই রীতির কথা এখানে বলা হয়েছে।

৩. পাঠ্যাংশে কার, কেমন দেহসৌষ্ঠবের পরিচয় ধরা পড়েছে?

 উত্তর: রামকুমার চট্টোপাধ্যায় প্রণীত ‘কাজী নজরুলের গান’ নামাঙ্কিত গদ্যে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের দেহসৌষ্ঠবের পরিচয় ধরা পড়েছে। সেই বর্ণনা অনুযায়ী-

১. তিনি হলেন গৌরবর্ণের মানুষ।

২. উন্নত তাঁর ললাট।

৩. রামকুমার চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সুভাষচন্দ্র ছিলেন ‘অতীব সুপুরুষ’।

তিনি যে একজন শুধু যোগ্য নেতা ছিলেন তা নয়, তিনি ছিলেন একই সঙ্গে বলিষ্ঠ একজন মানুষ।

৫. কাজী নজরুল ইসলামের গান শুনে লেখকের মনে কোন্ অনুভূতির সৃষ্টি হলো? তখন তিনি কী করলেন?***

উত্তর: রামকুমার চট্টোপাধ্যায় প্রণীত ‘কাজী নজরুলের গান’ নামাঙ্কিত

গদ্যে কাজী নজরুল ইসলামের গান শুনে লেখকের মনে অদ্ভুত এক

আবেগ-উত্তেজনা দেখা যায়। তাঁর শরীরে ও মনে রোমাঞ্চ শুরু হয়। • লেখক রামকুমার চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁর এই উত্তেজনাকে কমানোর জন্যে তিনি তবলার বোলে ডুবে যেতেন।

২. লেখক রামকুমার যে সময়ের উল্লেখ করেছেন, সেই সময়কার স্বদেশি মিটিং-এর রীতি কীরকম ছিল?

উত্তর: লেখক রামকুমার চট্টোপাধ্যায় যে সময়ের কথা বলেছেন, সেই সময়ে দেশজুড়ে স্বদেশি আন্দোলন চলছে। চারিদিকে মিটিং-মিছিল। তখন একপ্রকার অলিখিত নিয়ম হয়ে গিয়েছিল যে, সভায় আগে গান হবে, তারপর হবে বক্তৃতা।

৩. কাজীর গান কীভাবে হল- লেখকের অনুসরণে তা উল্লেখ

করো।

উত্তর: কাজী নজরুল ইসলাম দরাজ গলায় গাইতেন তাঁর মুখে সবসময় থাকত পান। মুখ ভর্তি পান নিয়ে গলায় বাঁধা হারমোনিয়াম বাজাতে বাজাতে কাজী নজরুল অপূর্ব মনোলোভা গান গেয়েছেন।

৫. ছেলেবেলায় জীবনে প্রথম কাজী নজরুলের গান শোনবার পরে লেখকের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল?

উত্তর: রামকুমার চট্টোপাধ্যায় প্রণীত ‘কাজী নজরুলের গান’ নামাঙ্কিত গদ্যে ছেলেবেলায় লেখক যখন নজরুলের গান শুনেছিলেন তখন তিনি অভিভূত হয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, সেই গান শুনে-“অত ছোটো বয়সেই আমার রক্ত যেন টগবগ করে ফুটতে আরম্ভ করেছে।” সেই উত্তেজনা থেকে মুক্তি পেতে লেখক তাঁর প্রিয় সঙ্গী তবলা-জোড়াটি টেনে নিয়ে তাতে বোল তুলতে শুরু করেছিলেন।

Long Question Answer

১. ‘তখন মঞ্চে আরও একজন ব্যক্তির আবির্ভাব হয়েছে’-কে এই ‘আরও একজন’ ব্যক্তি? আগের ব্যক্তিটি কে? আগের ব্যক্তিটি তখন কী করলেন?

উত্তর: রামকুমার চট্টোপাধ্যায় প্রণীত ‘কাজী নজরুলের গান’ নামাঙ্কিত গদ্যটি স্মৃতিকথামূলক। লেখক দুই ব্যক্তিত্বের পরিচয় দিয়েছেন এই গদ্যে। একজন হলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, অন্যজন কাজী নজরুল ইসলাম। সুভাষচন্দ্রের মঞ্চে আরও এক ব্যক্তির আবির্ভাব হয়েছিল। তিনি হলেন ‘বিদ্রোহী কবি’ কাজী নজরুল ইসলাম।

• আগের ব্যক্তিটি ছিলেন দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।

• আগের ব্যক্তি অর্থাৎ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু নিজে দ্বিতীয় ব্যক্তি অর্থাৎ বরেণ্য কবি নজরুল ইসলামকে দু’হাত তুলে প্রণাম করেছিলেন।

৪. সরকার বাগানের সভায় গানের পরে যে বক্তৃতা হয়েছিল, তা আজ বহু বছর পরে লেখকের কি মনে আছে? বক্তৃতা ছাড়াও যে গান হয়েছিল, তার স্মৃতি লেখকের মনে আজও কেমনভাবে রয়েছে?

উত্তর: লেখক রামকুমার চট্টোপাধ্যায় প্রণীত ‘কাজী নজরুলের গান’• নামাঙ্কিত গদ্যে লেখক জানিয়েছেন, সরকার বাগানে গানের পর যে বক্তৃতা হয়েছিল, এত বছর পরে তার স্মৃতিপটে তার কোনো রেখাজাল নেই। তিনি ভুলে গিয়েছেন।

• সুভাষচন্দ্রের বক্তৃতার আগে কবি নজরুলের যে গান হয়েছিল, তার স্মৃতি পরবর্তী কালেও লেখকের মনে জাগ্রত ছিল। তিনি লিখেছেন- আজও কাজীদার সেই গান চোখ বুজলেই যেন শুনতে পাই।

■ কাজী নজরুলের গানের মধ্যে এমন সঞ্জীবনী সুধা ছিল যে, একবার সেই ■ গান কানে পৌঁছালে তা আর ভোলা যেত না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *