WBBSE Class 7 Sahityamela Chapter 21 Solution | Bengali Medium

Class 7 Chapter 21 Solution

চিরদিনের

Very Short Question Answer

১০.১ ব্যস্ত ঘড়ির কাঁটা কোথায় গিয়ে গিয়ে থেমে গেছে?

উত্তর: ব্যস্ত ঘড়ির কাঁটা লাজুক গাঁয়ে গিয়ে থেমে গেছে।

১০.২ তালের সারি কোথায় রয়েছে?***

উত্তর: জোড়াদিঘির পাড়ে তালের সারি রয়েছে।

১০.৩ কিষাণপাড়া নীরব কেন?

উত্তর: কিষাণপাড়া অহংকারে নীরব।

১০.৪ বর্ষায় কে বিদ্রোহ করে?

উত্তর: বর্ষায় মজা নদী বিদ্রোহ করে।

১০.৫ কে গোয়ালে ইশারা পাঠায়?

উত্তর: সবুজ ঘাস গোয়ালে ইশারা পাঠায়।

১০.৬ রাত্রিকে কীভাবে স্বাগত জানানো হয়?

উত্তর: সান্ধ্য শাঁখে রাত্রিকে স্বাগত জানানো হয়।

১০.৭ কোথায় জনমত গড়ে ওঠে?

উত্তর: গ্রামের বুড়ো বটতলায় জনমত গড়ে ওঠে।

১০.৮ ঠাকুমা কাকে, কখন গল্প শোনান?

উত্তর: ঠাকুমা তার নাতনিকে রাত্রিবেলায় গল্প শোনান।

১০.৯ কোন গল্প তিনি বলেন?

উত্তর: ঠাকুমা তার নাতনিকে গতবছরের আকালের গল্প বলেন।

 ১০.১০ সকালের আগমন কীভাবে ঘোষিত হয়?

উত্তর: সকালের আগমন পাখির গানের মাধ্যমে ঘোষিত হয়।

১০.১১ কবিতায় কোন্ কোন্ জীবিকার মানুষের কথা আছে?

উত্তর: সুকান্ত ভট্টাচার্য প্রণীত ‘চিরদিনের’ কবিতায় চাষি, কামার কুমোর, তাঁতি প্রভৃতি বৃত্তিধারী মানুষের কথা আছে।

১.১ সন্ধ্যা সেখানে জড়ো করে জনমত।

উত্তর: কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।

১.২ এ গ্রাম নতুন সবুজ ঘাঘরা পরে।

উত্তর: কর্তৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।

১.৩ গোয়ালে পাঠায় ইশারা সবুজ ঘাস।

উত্তর: অধিকরণকারকে ‘এ’ বিভক্তি।

১.৪ পচা জল আর মশায় অহংকারী।

উত্তর: করণকারকে ‘য়’ বিভক্তি।

১.৫ জোড়া দিঘি, তার পাড়েতে তালের সারি।

উত্তর: অধিকরণ কারকে ‘তে’ বিভক্তি।

২. গদ্যভাষায় লেখো:

২.১ নীরব এখানে অমর কিষাণপাড়া।

উত্তর: অমর কিষাণপাড়া এখানে নীরব।

২.২ কিষাণকে ঘরে পাঠায় যে আলপথ।

উত্তর: আলপথ যে কিষাণকে ঘরে পাঠায়।

২.৩ কৃষকবধূরা ঢেঁকিকে নাচায় পায়ে।

উত্তর : কৃষকবধূরা ঢেঁকিকে পায়ে করে নাচায়।

২.৪ ঠাকুমা গল্প শোনায় যে নাতনিকে।

উত্তর: ঠাকুমা নাতনিকে যে গল্প শোনায়।

২.৫ এখানে সকাল ঘোষিত পাখির গানে।

উত্তর: সকাল এখানে ঘোষিত হয় পাখির গানে।

Short Question Answer

১১.১ এই কবিতায় বাংলার পল্লিপ্রকৃতির যে বর্ণনা আছে তা নিজের ভাষায় সংক্ষেপে লেখো।***

উত্তর: সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা ‘চিরদিনের’ কবিতায় বাংলা- শ্যামল-সবুজ প্রকৃতির অমলিন ছবি ফুটে উঠেছে। মেঠো আলপথ, তালসারি দিয়ে ঘেরা জোড়াদিঘি, মজা নদী আর সবুজ গাছপালায় ঘেরা বাংলার গ্রামগুলি। বর্ষাকালে মজা নদী ভরে ওঠে, সবুজ ঘাস জন্মায় মাঠে মাঠে। গৃহবধূ সন্ধ্যাবেলায় প্রদীপ জ্বালে, শাঁখ বাজায়। চাষিরা কাজ সেরে বাড়ি ফিরে আসে। বঙ্গবধূ জল আনবার পথে চেয়ে দেখে সবুজ ফসলে ভরে গেছে সারা মাঠ। এভাবেই বাংলার প্রকৃতি আর মানুষ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে এ কবিতায়।

১১.২ কবিতাটিতে গ্রামীণ মানুষের জীবনযাপনের যে ছবিটি পাও

তা নিজের ভাষায় বর্ণনা করো।***

উত্তর: সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা ‘চিরদিনের’ কবিতায় বাংলাদেশের গ্রামীণ মানুষের জীবন-যাপনের অপূর্ব ছবি ফুটে উঠেছে। সেই জীবন সহজ, সরল ও আন্তরিক। এখানে অধিকাংশ মানুষই ভূমি নির্ভর। তারা সারাদিন মাঠে কাজ করে সন্ধেবেলায় মেঠো আলপথ ধরে বাড়ি ফিরে আসে।

• কৃষকবধূরা ঢেঁকিতে ধান ভানে। সন্ধেবেলায় গৃহবধূরা প্রদীপ জ্বালে, শাঁখ বাজায়। রাত্রিতে ঠাকুমা তার নাতনিকে গত বছরের আকালের গল্প শোনায়। আবার পাখির গানে সকাল বেলা জেগে উঠে চাষি, কামার, কুমোর, তাঁতি সবাই কাজে লেগে পড়ে।

• এভাবেই বয়ে চলে গ্রামীণ মানুষের সুখ-দুঃখ মেশানো প্রতিদিনের জীবন।

১২.১ ‘এখানে বৃষ্টিমুখর… ঘড়ির কাঁটা।’

উত্তর: উদ্ধৃত কবিতাংশটি গৃহীত হয়েছে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য প্রণীত ‘চিরদিনের’ কবিতা থেকে।

• আমরা জানি, কখনও কখনও সময় থমকে দাঁড়ায়। কিন্তু এখানে সময় বদলায় না। সময় তার নিজস্ব গতিতে বহমান থাকে। সময়ের মতো মানুষের জীবনও এখানে নিত্য বহমান। এখানে জীবনের গতি স্তব্ধ হয় না কখনো।

১২.২ ‘এ গ্রামের পাশে… বিদ্রোহ বুঝি করে।’***

উত্তর: উদ্ধৃত কবিতাংশটি গৃহীত হয়েছে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য প্রণীত ‘চিরদিনের’ কবিতা থেকে।

• গ্রামের পাশে রয়েছে মজা নদী। এ নদীতে সারাবছর জল থাকে। না। কিন্তু বর্ষাকালে এ নদী জলে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। নদীর বুক ছাপিয়ে জল উপচে পড়ে। এই জলস্ফীতিকেই ‘বিদ্রোহ’ বলা হয়েছে।

১২.৩ ‘দুর্ভিক্ষের আঁচল…কাজ করে।’

উত্তর: আলোচ্য কবিতাংশটি গৃহীত হয়েছে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য প্রণীত ‘চিরদিনের’ কবিতা থেকে।

• গ্রামীণ মানুষের জীবনে দুর্ভিক্ষ আঘাত হেনেছে অনেক দিন আগেই। তবু মানুষ বন্ধ করেনি কাজ। দুর্ভিক্ষের সঙ্গে লড়াই করে বাঁচতে চায় তারা। তাই আকালের দিনেও কাজ করে তারা। 

১২.৪ ‘সারাটা দুপুর… বিচিত্র ধ্বনি ওঠে।’

উত্তর: উদ্ধৃত কবিতাংশটি গৃহীত হয়েছে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য প্রণীত ‘চিরদিনের’ কবিতা থেকে।

• কৃষকেরা মাঠে চাষ করে আনন্দে। শ্রমের ক্লান্তি ভুলে থাকার জন্য কৃষকেরা মাঠে গান গায়। তাদের এই গানের ভাষা ও সুর নানা জনের নানা রকম। সকলের ভাষা ও সুর একত্রিত হয়ে বিচিত্র ধ্বনির সৃষ্টি করে।

১২.৫ ‘সবুজ ফসলে সুবর্ণ যুগ আসে।’

‘উত্তর: উদ্ধৃত কবিতাংশটি গৃহীত হয়েছে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য প্রণীত ‘চিরদিনের’ কবিতা থেকে।

• দুর্ভিক্ষ কবলিত কৃষকেরা মাঠে শস্য রোপ করেছে। মাঠ ভরে গেছে সোনালি ফসলে। এই নতুন ফসল কৃষকের জীবনে খাদ্যের নিশ্চয়তা আনবে, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা মজবুত করবে। তাই নতুন ফসল তাদের সুবর্ণ যুগের সন্ধান দেয়।

১. “এখানে বৃষ্টিমুখর লাজুক গায়ে।”-বৃষ্টিমুখর গ্রামকে লাজুক বলা হয়েছে কেন? (

উত্তর: উদ্ধৃত কবিতাংশটি গৃহীত হয়েছে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য প্রণীত ‘চিরদিনের’ কবিতা থেকে।

• এখানে কবি বলেছেন, বৃষ্টিমুখর গ্রামে ক্রমাগত বৃষ্টির ফলে গাছ-গাছরা মাথা নীচু করে থাকে। চারপাশে গভীর এক নির্জনতা অপেক্ষা করে। কবির মনে হয়েছে, বৃষ্টিস্নাত এমন এক পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যা লাজুক স্বভাবের সঙ্গে তুলনীয়। বর্ষার পরে সমস্ত গ্রাম যেন লজ্জায় মুখ ঢেকে রয়েছে।

২. “এই গ্রাম নতুন সবুজ ঘাগরা পড়ে।”- কবিকে অনুসরণ করে উদ্ধৃত উক্তিটির কারণ ব্যাখ্যা করো। ***

উত্তর: উদ্ধৃত কবিতাংশটি গৃহীত হয়েছে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য প্রণীত ‘চিরদিনের’ কবিতা থেকে।

• বর্ষার পরে সমস্ত গ্রাম সবুজে ভরে ওঠে। চারপাশে দেখা যায় সবুজের শিহরণ। কবি তাই লিখেছেন- “এই গ্রাম নতুন সবুজ ঘাঘরা পড়ে।” ‘নতুন ঘাঘরা’ বলতে আদিগন্ত বিস্তৃত সবুজ প্রান্তরকে বলা

হয়েছে।

 ৩. “পথ নেই, তবু এখানে যে পথ হাঁটা।”- এর মধ্যে দিয়ে

কবি কী বলতে চেয়েছেন?

উত্তর: উদ্ধৃত কবিতাংশটি গৃহীত হয়েছে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য প্রণীত ‘চিরদিনের’ কবিতা থেকে।

• গ্রামের জীবন চলে শান্ত এবং ধীর গতিতে। ব্যস্ততাহীন সেই জীবনে মানুষ চলে তার নিজস্ব ভঙ্গিতে। কোনো নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্য গ্রামে নেই। নাগরিক কোনো সুখ এখানে নেই। এখানে পাকা রাস্তাঘাটও নেই। অনেক সমস্যা রয়েছে। কিন্তু জীবন থেমে থাকে না। কৃষিনির্ভর জীবন এগিয়ে চলে তার নিজস্ব ছন্দে।

৫. “ঠাকুমা গল্প শোনায় যে নাতনিকে”- কোন্ গল্পের কথা বলা হয়েছে? এই গল্পের পরে আর কোন্ দৃশ্য গিয়েছে?*** উত্তর: উদ্ধৃত কবিতাংশটি গৃহীত হয়েছে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য প্রণীত ‘চিরদিনের’ কবিতা থেকে।

• ১৩৫০ সালের দুর্ভিক্ষের দিনে মানুষের কী অসহায় অবস্থা হয়েছিল সেই গল্পের কথা বলা হয়েছে।

• দুর্ভিক্ষের পর আবার নতুন করে বেঁচে থাকার প্রচেষ্টা শুরু হয়। চারিদিকে দেখা যায় প্রাণের স্পন্দন। সকাল ঘোষিত পাখির ডাকে। কামার, কুমোর, তাঁতি একসঙ্গে কাজ করে। সারাটা দুপুর চাষি জমিতে পড়ে থাকে। কৃষক বধূ জল আনতে গিয়ে থমকে দাঁড়ায় পথে। তার চোখে পড়ে সবুজ ফসলে সুবর্ণযুগ আসে।

৬. “ঘোমটা তুলে সে দেখে নেয় কোনোমতে।”-কে কী দেখে? এই দেখার তাৎপর্য কী?

উত্তর: উদ্ধৃত কবিতাংশটি গৃহীত হয়েছে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য প্রণীত ‘চিরদিনের’ কবিতা থেকে।

• কৃষকের পত্নী মাঠ ভরতি সবুজ ফসল দেখে।

• এই দেখার তাৎপর্য হল-দুর্ভিক্ষের দিন চলে গিয়েছে। মানুষ আবার প্রাণের রসদ খুঁজে পেয়েছে।

Long Question Answer

১১.৩ আকাল ও দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে মানুষের সম্মিলিত শ্রম আর জীবনীশক্তি কীভাবে বিজয়ী হয়েছে, কবিতাটি অবলম্বনে

তা বুঝিয়ে দাও।***

 উত্তর: সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা ‘চিরদিনের’ কবিতায় দেখা যায়, দুর্ভিক্ষের দুঃসহ আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে বাংলার গ্রামীণ মানুষ। একমুঠো খাবারের সন্ধানে তারা গ্রাম ছেড়ে পাড়ি দিয়েছে নগরের রাজপথে। গ্রাম হয়েছে জনশূন্য। দুর্ভিক্ষ তবু হার মানাতে পারে না এই মানুষদের।

• আকালের বিরুদ্ধে লড়াই করে বেঁচে থাকার আর্তি বড়ো হয়ে উঠেছে। মন্বন্তরের আঘাত সহ্য করেও যারা বেঁচেছিল তারা আবার নতুন উদ্যমে চাষের কাজ শুরু করে। মাঠ ভরে যায় সোনালি ফসলে। মনে নতুন আশার সঞ্চার হয় তাদের-জেগে ওঠে নতুন জীবনস্পন্দন। দুর্ভিক্ষ দূর হয়, মানুষের বেঁচে থাকা ফুরোয় না।

১১.৪ “কোনো বিশেষ সময়ের নয়, বরং আবহমান কালের বাংলাদেশ তার প্রকৃতি ও মানুষকে নিয়ে জীবনের যে জয়গান গেয়ে চলেছে, এই কবিতায় তারই প্রকাশ দেখতে পাই।” -উপরের উদ্ধৃতিটির সাপেক্ষে কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।

উত্তর: সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা ‘চিরদিনের’ নামাঙ্কিত কবিতায় আবহমান কালের বাংলাদেশের ছবি ধরা পড়েছে। প্রকৃতি ও মানুষকে নিয়ে জীবনের জয়গান গেয়েছেন কবি।

• যুগে যুগে সাম্রাজ্যের উত্থান-পতন ঘটে, শাসকও বদলে যায়। কিন্তু কর্মী মানুষের কর্মধারা থাকে চির অব্যাহত। কোনো রাজশক্তি, কোনো দুর্ভিক্ষ, প্রাকৃতিক বিপর্যয় মানুষের কর্মপ্রবাহকে স্তব্ধ করতে পারেনি, পারবেও না।

• সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘চিরদিনের’ কবিতায় দেখা গেছে আনন্দ মুখরিত গ্রামীণ মানুষের জীবনছবি। আশা-নিরাশার এজীবন ছিল সহজ, সরল ও অনাড়ম্বর। তারপর একদিন তাদের জীবনে নেমে আসে দুর্ভিক্ষের কালো অন্ধকার। হারিয়ে যায় জীবনের উচ্ছ্বাস। দেখা যায় অস্তিত্বের সংকট। আকালের আঘাতে বিপর্যস্ত হয় বাংলার গ্রামীণ ভূমিনির্ভর মানুষের জীবন ও প্রকৃতি।

১ তবু তারা হার মানতে নারাজ। জীবনের অযুত বেদনা আর হতাশার ক্লান্ত শ্বাসকে পিছনে ফেলে তারা নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়ে চাষের কাজে। মাঠ ভরে যায় সোনালি ফসলে। দুর্ভিক্ষের অন্ধকার দূরে সরে গিয়ে বড়ো হয়ে ওঠে মানুষের চিরকালীন জীবনস্পন্দন।

১৩. তোমার দেখা একটি গ্রামের কথা ডায়েরিতে লেখো। গ্রামটি কোথায়, সেখানে কোন কোন জীবিকার কতজন মানুষ থাকেন ইত্যাদি জানিয়ে গ্রামটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, মানুষজনের জীবনযাপন পদ্ধতি, বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধার কথা লেখো। গ্রামটির উন্নতি সাধনে যদি তোমার কোনো পরামর্শ দেওয়ার থাকে, অবশ্যই সে কথা লিখবে।

উত্তর: আমার দেখা গ্রামটির নাম ত্রিমোহিনী। গ্রামটি মুর্শিদাবাদ জেলায় অবস্থিত। এখানে ২০০ জন চাষি, ৫২ জন কুমোর, ৩০ জন কামার, ৪০ জন তাঁতি, ১০ জন নাপিত এবং ১০ জন চাকুরিজীবী মানুষ বসবাস করেন।

• গ্রামটির ভৌগোলিক অবস্থান এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপূর্ব। গ্রামটির পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে ভাগীরথী নদী। নদীর পাড়ে সারি সারি আম-কাঁঠাল-লিচুর বাগান। আর রয়েছে বিস্তীর্ণ শস্যক্ষেত্র। সেখানে ধান, গম, আখ, সরিষা, আলু, পটল প্রভৃতি শস্য প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয়। গ্রামের পূর্বপ্রান্তে রয়েছে বিশাল আকৃতির বিল। বিলের পাশ দিয়ে ইটের রাস্তা চলে গেছে শহরের অভিমুখে। গ্রামের ছোটো

ছোটো বাড়িগুলির সৌন্দর্যও অসাধারণ।

• এখানকার মানুষের জীবন অত্যন্ত সহজ, সরল। সূর্য ওঠার আগেই এরা ঘুম থেকে জেগে ওঠে। তারপর চাষিরা লাঙল, কোদাল ইত্যাদি নিয়ে মাঠে যায়। কামার, কুমোর, তাঁতি সবাই নিজের কাজ শুরু করে দেয়। বাড়ির মেয়ে-বউরা সংসারের কাজে মন দেয়।

১ রান্না-বান্না করে। ছেলে মেয়েদের খাইয়ে স্কুলে পাঠায়। তারপর স্বামীদের জন্য খাবার নিয়ে মাঠে যায়। সন্ধ্যাবেলা সবাই নিজের নিজের ঘরে ফিরে আসে। গৃহবধূরা তুলসী মঞ্চে প্রদীপ জ্বালে, শাঁখ বাজায়। রাত্রে শোবার সময় ছেলে-মেয়েদের রূপকথার গল্প শোনায়। এভাবেই বয়ে চলে ত্রিমোহিনীর মানুষের জীবন প্রবাহ, কাল হতে কালান্তরের পথে।

১ গ্রামটির উন্নতি সাধনের জন্য রাস্তার উন্নতি হওয়া খুবই জরুরি। আর দরকার আর্সেনিক মুক্ত বিশুদ্ধ পানীয় জলের। দরকার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের।