WBBSE Class 7 Sahityamela Chapter 25 Solution | Bengali Medium

Class 7 Chapter 25 Solution

নীল অঞ্জনঘন পুঞ্জ ছায়ায়

Very Short Question Answer

১. বনলক্ষ্মীর দেহ ও অন্তর কেমন?

উত্তর: বনলক্ষ্মীর দেহ কম্পিত এবং অন্তর চঞ্চল।

২. বর্ষণগীত কার ছন্দে মুখরিত?

উত্তর: বর্ষণগীত মেঘ গর্জনের ছন্দে মুখরিত।

৩. দহন শয়নে পৃথিবী কেমন ছিল?

উত্তর: দহন শয়নে পৃথিবী তপ্ত এবং পিপাসার্ত ছিল।

৪. তপ্ত ধরণীকে ইন্দ্রলোক থেকে কী পাঠানো হয়েছে?

উত্তর: তপ্ত ধরণীকে ইন্দ্রলোক থেকে অমৃতবারির বার্তা পাঠানো হয়েছে।

Short Question Answer

৫. কার অন্তর চঞ্চল?

উত্তর: ‘নীল অঞ্জনঘন পুঞ্জছায়ায়’ নামাঙ্কিত গানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, নব ঘন বর্ষার আগমনে বনলক্ষ্মীর অন্তর চঞ্চল।

৬. “ঝঙ্কৃত তার ঝিল্লির মঞ্জীর”-কার মঞ্জীরের ঝংকার

শোনা যায়?

উত্তর : ‘নীল অঞ্জনঘন পুঞ্জছায়ায়’ নামাঙ্কিত গানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

লিখেছেন, বনলক্ষ্মীর নূপুরের ঝংকার শোনা যায়।

৭. “বর্ষণগীত হল মুখরিত”- ‘বর্ষণগীত’ কোন্ ছন্দে মুখরিত

হয়েছে?

উত্তর: ‘নীল অঞ্জনঘন পুঞ্জছায়ায়’ নামাঙ্কিত গানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, বর্ষণগীত মেঘমন্দ্রিত ছন্দে মুখরিত হয়েছে।

৮. “দহনশয়নে তপ্ত ধরণী”-দহনশয়নে ধরণীর কী অবস্থা হয়েছিল?

উত্তর: ‘নীল অঞ্জনঘন পুঞ্জছায়ায়’ নামাঙ্কিত গানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, দহন শয়নে ধরণীর পিপাসার্ত হয়ে পড়েছিল।

৯. ইন্দ্রলোকের কোন্ বার্তা কার কাছে পৌঁছেছিল?

উত্তর: ‘নীল অঞ্জনঘন পুঞ্জছায়ায়’ নামাঙ্কিত গানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, তপ্ত ধরণীর কাছে ইন্দ্রলোকের ‘অমৃতবারির বার্তা’ পৌঁছেছিল।

১০. “মাটির কঠিন বাধা হলো ক্ষীণ”-মাটির কঠিন বাধা কীভাবে ক্ষীণ হয়েছিল?

উত্তর: দীর্ঘদিন পর যখন বর্ষার আগমনীবার্তা দেখা যায় পৃথিবীর বুকে তখন রুক্ষ্ম মাটির কঠিন বাধা ক্ষীণ হয়ে এসেছিল।

১১. “ছিন্ন হয়েছে বন্ধন”-কার বন্ধন কীভাবে ছিন্ন হয়েছে?

উত্তর: নববর্ষার আগমনে বুক্ষ্ম মৃত্তিকার বন্ধন বৃষ্টির জলধারায় ছিন্ন হয়েছে।

১২. “বনলক্ষ্মীর কম্পিত কায়, চঞ্চল অন্তর”-বনলক্ষ্মী কে? তাঁর অন্তর চঞ্চল হয়েছিল? কেন?

উত্তর: উত্তরের প্রথমাংশ: আলোচ্য অংশটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত ‘নীল অঞ্জনঘন পুঞ্জছায়ায়’ নামাঙ্কিত গান থেকে গৃহীত হয়েছে। ‘বনলক্ষ্মী’ বলতে কবি জলা-জঙ্গলে পরিবেষ্টিত সবুজের সমারোহকে বুঝিয়েছেন।

উত্তরের দ্বিতীয়াংশ সহসা বর্ষার আগমনে চারিদিকে দেখা গিয়েছে এক ভাবগম্ভীর পরিবেশ। বর্ষার নৃত্যচপল ছন্দের তালে তালে চারিদিক আনন্দে মুখরিত হয়েছে। স্বয়ং বনলক্ষ্মী যেন বহুদিন পর আনন্দে আপ্লুত হয়েছে। তাই তার শরীরে দেখা গিয়েছে নব শিহরণ। তাঁর মন বৃষ্টির আগমনী ধ্বনিতে চঞ্চল হয়ে উঠেছে। তাই রবীন্দ্রনাথ এই উক্তিটি করেছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব বিস্তার প্রসঙ্গে।

১৩. “নন্দিত তব উৎসবমন্দির হে গম্ভীর”-এখানে কাকে উদ্দেশ্য করে এই উক্তিটি করা হয়েছে? উৎসবমন্দির কেন গম্ভীর, তা গানটি অবলম্বন করে লেখো। ***

উত্তর: উত্তরের প্রথমাংশ: আলোচ্য অংশটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত ‘নীল অঞ্জনঘন পুঞ্জছায়ায়’ নামাঙ্কিত গান থেকে গৃহীত হয়েছে। এখানে বর্ষাপ্রকৃতিকে উদ্দেশ্য করে এই উক্তিটি করা হয়েছে।

উত্তরের দ্বিতীয়াংশ: বর্ষার আগমনী বার্তার সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতিলোকে দেখা যায় অভূতপূর্ব পরিবর্তনের সুর। বনলক্ষ্মীর শরীর কম্পিত হয়। ঝিল্লির রব ঝংকৃত হয়। কদম্ব বন গভীর বর্ষায় স্নাত হয়ে আনন্দঘন গন্ধ বিতরণ করে। কবির মনে হয়েছে বর্ষার এই আগমনীতে চারিদিক উৎসব মুখরিত হয়ে উঠেছে।

১৪. “পাঠালে তাহারে ইন্দ্রলোকের অমৃতবারির বার্তা”- ‘তাহারে’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? এই মন্তব্যের তাৎপর্য লেখো।**

উত্তরের প্রথমাংশ: আলোচ্য অংশটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত ‘নীল অঞ্জনঘন পুঞ্জছায়ায়’ নামাঙ্কিত গান থেকে গৃহীত হয়েছে।

এখানে ‘তাহারে’ বলতে বর্ষাঋতুকে বোঝানো হয়েছে।

উত্তরের দ্বিতীয়াংশ: গ্রীষ্মের উত্তপ্ত রৌদ্রে যখন সর্বত্র ত্রাহিরব শোনা যায়, ঠিক সেই সময় ধরণীর বুকে নামে বর্ষা ঋতু। মেঘ গর্জনের তালে তালে চারিদিকে দেখা যায় অফুরান বৃষ্টির ফোটা। কবির মনে হয়েছে ইন্দ্রলোক থেকে অমৃতবারির বার্তা বর্ষা নেমে এসেছে ধরণীর বুকে। এখানে বর্ষাপাতের রবীন্দ্রনাথ তুলনা করেছেন ‘অমৃতবারি’র।

 ১৫. “ছিন্ন হয়েছে বন্ধন”-কার বন্ধন কীভাবে ছিন্ন হয়েছে, তা কবিতা অবলম্বনে লেখো।**

উত্তর: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত ‘নীল অঞ্জনঘন পুঞ্জছায়ায়’ নামাঙ্কিত গান থেকে গৃহীত হয়েছে উদ্ধৃত অংশটি। এখানে ধরাতলের বন্ধন ছিন্ন হয়েছে বলে কবি জানিয়েছেন।

সমস্ত পৃথিবী যখন গ্রীষ্মের তপ্ত দাবদহে শঙ্কাতুর; ঠিক তখনই বর্ষার আগমনী বার্তা শোনা যায়। চারিদিকে দেখাযায় প্রাণের শিহরণ। গ্রীষ্মের দহন শয্যায় এতদিন তপ্তধরণী পিপাসার্তা হয়ে উঠেছিল। বর্ষার ‘অমৃতবারি’র স্পর্শে মৃত্তিকার বন্ধন শিথিল হয়। কবির মনে হয়েছে ধরণীর বন্ধন যেন এতদিন পর মোচন হয়েছে। কেননা, নব-অঙ্কুর তার জয়পতাকা উড্ডীন করে মুক্তির আনন্দ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ এখানে মৃত্তিকার গহ্বরে বন্দি প্রাণের বন্ধন ছিন্ন হয়েছে।