Class 7 Chapter 30 Solution
জাদুকাহিনি
Very Short Question Answer
১. ডেভিড ডেভান্ট কোথাকার জাদুকর ছিলেন?
উত্তর: ইংল্যান্ডের জাদুকর ছিলেন।
২. ডেভিড ডেভান্টের কাছে কত পয়সা ছিল?
উত্তর: ডেভিড ডেভান্টের কাছে ছয় শিলিং ছিল।
৩. হাওয়া থেকে ‘টাকা ধরা’ খেলার নাম কী?
উত্তর: হাওয়া থেকে টাকা ধরার খেলার নাম ‘কৃপণের স্বপ্ন’।
৪. লেখক কোন স্কুলে পড়তেন?
উত্তর: লেখক কলেজিয়েট স্কুলে পড়তেন।
৫. কলেজিয়েট স্কুলে কে জাদুখেলা দেখিয়েছিল?
উত্তর: চাঁদ মিয়া নামে একজন জাদুকর সেখানে খেলা দেখিয়েছিল।
৬. খেলা দেখিয়ে সে কত টাকা পেয়েছিল?
উরুর খেলা দেখিয়ে সে দশ টাকা পেয়েছিল।
৭. ডেভিড কোথা দিয়ে হাঁটছিলেন?
উত্তর: অজিতকৃয় বসু প্রণীত ‘জাদু কাহিনি’ নামাঙ্কিত গল্পে ডেভিড একটি জনবিরল পথ দিয়ে হাঁটছিলেন।
Short Question Answer
১. “আপনি না টাকা বানান?”-বক্তা কে? কাকে উদ্দেশ্য করে
এই বক্তব্য? এই বক্তব্যের কারণ কী?***
উত্তর: অজিতকৃষ্ণ বসু প্রণীত ‘জাদু কাহিনি’ নামাঙ্কিত গল্পে উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা হল এক নাম পদবিহীন জোয়ান।
• ইংল্যান্ডের বহু পরিচিত জাদুকর ডেভিড ডেভান্টকে উদ্দেশ্য করে
এই বক্তব্য।
• জনবিরল পথে ডেভিডকে আটকে দিয়ে সেই জোয়ান চেয়েছিল কিছু টাকা গুছিয়ে নিতে। কেননা, সে দেখেছিল এই জাদুকর হাওয়া থেকে দিব্যি টাকা এনে দিতে পারেন। জাদুকরের এই জাদুশক্তিকে তার কাছে বাস্তব বলে মনে হয়েছিল। তাই সে জানিয়েছিল, হাওয়া থেকে শিলিং এনে ডেভিড যেন তার টুপিটি ভরে দেন। সেই প্রসঙ্গে এই উক্তিটি এসেছে।
২.২ “কত আছে তোমার পকেটে?”-বক্তা কে? কাকে উদ্দেশ্য করে এই বক্তব্য? এই বক্তব্যের কারণ কী?***
উত্তর: অজিতকৃষ্ণ বসু প্রণীত ‘জাদু কাহিনি’ নামাঙ্কিত গল্পে উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা হল এক নাম পদবিহীন জোয়ান।
• ইংল্যান্ডের বহু পরিচিত জাদুকর ডেভিড ডেভান্টকে উদ্দেশ্য করে এই বক্তব্য।
• একদিন সন্ধেবেলা জনবিরল পথে ডেভিডকে আটকে দিয়ে এক জোয়ান চেয়েছিল কিছু টাকা আদায় করতে। কেননা, সে দেখেছিল এই জাদুকর হাওয়া থেকে দিব্যি টাকা এনে দিতে পারেন। জাদুকরের এই জাদুশক্তিকে তার কাছে বাস্তব বলে মনে হয়েছিল। তাই সে জানিয়েছিল, হাওয়া থেকে শিলিং এনে ডেভিড যেন তার টুপিটি ভরে দেন।ডেভান্ট অবশ্য বুঝতে পেরেছিলেন, এই খ্যাপাটে লোকটি যেভাবে টাকা চাইছে তা দেওয়া সম্ভব নয়। কেননা, হাওয়া থেকে কখনও টাকা পাওয়া যায় না। তাই তিনি জানালেন, সেই জোয়ান ইচ্ছে করলে তাঁর পকেট থেকে যে টাকা আছে তা নিতে পারে। এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে উদ্ধৃত উক্তিটি করেছে সেই অপরিচিত জোয়ান।
২.৩ “ডেভান্ট হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন”-ডেভান্টের হাঁপ ছেড়ে বাঁচার কারণ কী, গল্প অবলম্বনে বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: অজিতকৃষ্ণ বসু প্রণীত ‘জাদু কাহিনি’ নামাঙ্কিত গল্প থেকে উদ্ধৃত উক্তিটি গৃহীত হয়েছে। এক নিস্তব্ধ সন্ধ্যায় বেপরোয়া একজন জোয়ান ডেভান্টের কাছে অদ্ভুত এক দাবী নিয়ে হাজির হয়। সে জানায়, জাদুকর যেন হাওয়া থেকে টাকা এনে তার টুপি ভরিয়ে দেন। ডেভান্ট বুঝতে পারেন, ‘লোকটিকে চটানো চলবে না। ঠান্ডা মাথায় সামলাতে হবে।’ তাই তিনি নিজের কাছে যে পয়সা ছিল তা দিয়ে দিলেন। তবু জোয়ানটি খুশি হল না। সেই মুহূর্তে চার-পাঁচজন লোক এসে পথচারী লোকটিকে নিয়ে গেলে জাদুকর ডেভান্ট হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন।
২.৪ “একজন অখ্যাত জাদুকরের বিচিত্র কাহিনি মনে পড়ে গেল।”-অখ্যাত জাদুকরটি কে? কোন্ সময়ের কথা বলা হয়েছে? তার ‘বিচিত্র কাহিনি’র পরিচয় দাও।***
উত্তর: অজিতকৃষ্ণ বসু প্রণীত ‘জাদু কাহিনি’ নামাঙ্কিত গল্প থেকে উদ্ধৃত উক্তিটি গৃহীত হয়েছে। এখানে অখ্যাত জাদুকর বলতে চাঁদ মিয়ার কথা বলা হয়েছে।
• ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দের কথা বলা হয়েছে।
• চাঁদ মিয়া হাওয়াই টাঁকশালে জাদু দেখাতেন। লেখকের মনে অদ্ভুত একটি ধারণা হয়, হাওয়া থেকে এই টাকা ধরার জাদু তার রপ্ত করা থাকলে কখনো টাকার অভাব হতো না। পরক্ষণে তার মনে হয় হাওয়া থেকে খুশিমতো যিনি টাকা ধরতে পারেন তিনি কেন কোটিপতি হন না? কেনই বা ভিখারির মতো বিভিন্ন জায়গায় জাদুখেলা দেখিয়ে ফেরেন। এই ধারণা থেকে তার মনে হয় হাওয়ায় কখনও টাকা ভেসে বেড়ায় না। এই বিষয়টি সেদিন লেখকের মনে এসেছিল।
৮. একটি লোক পথ আটকে ডেভান্টকে কী বলেছিল?
উত্তর: অজিতকৃয় বসু প্রণীত ‘জাদু কাহিনি’ নামাঙ্কিত গল্পে একটি লোক পথ আটকে ডেভান্টকে বলেছিল তার টুপিটি শিলিং দিয়ে ভরে দিতে হবে।
৯. চাঁদ মিয়াকে দেখে লেখকের খটকা লেগেছিল কেন? উত্তর: অজিতকৃয় বসু প্রণীত ‘জাদু কাহিনি’ নামাঙ্কিত গল্পে চাঁদ মিয়া
একজন জাদুকর। তিনি সহজেই হাওয়া থেকে টাকা ধরে আনতেন। অথচ দশটি টাকা স্কুল থেকে পেয়ে অত্যন্ত প্রীত হয়েছিল। তাই লেখকের এই জাদুকর সম্পর্কে খটকা লেগেছিল।
১০. হাওয়াই টাঁকশাল কী?
উত্তর: অজিতকৃয় বসু প্রণীত ‘জাদু কাহিনি’ নামাঙ্কিত গল্পে দেখা যায় হাওয়া থেকে উৎপন্ন টাকা পাওয়ার পদ্ধতি হল হাওয়াই টাঁকশাল।
১১. চাঁদ মিয়া কোথায় খেলা দেখিয়েছিলেন?
উত্তর: অজিতকৃয় বসু প্রণীত ‘জাদু কাহিনি’ নামাঙ্কিত গল্পে চাঁদ মিয়া ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের বড়ো হলে খেলা দেখিয়েছিলেন।