WBBSE Class 7 Sahityamela Chapter 31Solution | Bengali Medium

Class 7 Chapter 31 Solution

গাধার কান

Short Question Answer

১.১ ‘শহরের মধ্যে বেশ একটু সাড়া পড়ে গেছে’-এই ‘সাড়া পড়ার’ কারণ কী?

উত্তর: টাউন স্কুল ও মিশন স্কুলের মধ্যে ফাইনাল ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে শহরের মধ্যে বেশ সাড়া পড়ে গেছে।

১.২ ‘এই দুই স্কুলের ছেলেদের মধ্যে চিরকাল রেষারেষি’- কোন্ দুই স্কুলের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: টাউন স্কুল ও মিশন স্কুল।

১.৩ ‘হিঃ হিঃ-তুক্ করা হলো না’-বক্তা কে? কাকে সে একথা বলেছে? কখন বলেছে?

উত্তর: বস্তা টুনু।

সমরেশকে সে একথা বলেছে। সমরেশ গাধার কান মূলতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসার পর একথা বলেছে।

১.৪ গল্পে ফুটবল খেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু শব্দ রয়েছে, যেমন-হাফ-ব্যাক, রাইট-ইন, গোলকিপার-সেন্টার ফরোয়ার্ড, ব্যাক-এরিয়া ইত্যাদি। আরো কিছু শব্দ তুমি গল্প থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো। এছাড়া নিজস্ব কিছু সংযোজনও করতে পারো।

উত্তর: স্টপার, হুইসেল, ফ্রি-কিক, কর্নার, ফরোয়ার্ড, অফ সাইড, ফাউল, রেফারি, রেড কার্ড, ইয়ালো কার্ড, পেনাল্টি, কিক, গোল।

৮.১ “আজকের খেলাটা যে খুব জমবে তাতে সন্দেহ নেই।” কোন্ বিশেষ দিনের কথা এখানে বলা হয়েছে? সেদিনের সেই ‘খেলা’র মাঠের দৃশ্যটি নিজের ভাষায় বর্ণনা করো।***

উত্তর: টাউন স্কুল ও মিশন স্কুলের মধ্যে ফাইনাল ফুটবল ম্যাচের দিনের কথা বলা হয়েছে।

• খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল বিকেল পাঁচটায়। কিন্তু চারটে বাজতে না বাজতেই মাঠের চারপাশে লোকজনে ভরে যায়। দুই স্কুলের ছেলেরা মাঠের চারপাশে কাতার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। খেলার মাঠ সারাক্ষণ উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। দর্শকদের মধ্যে থেকে মাঝে মাঝে কলরোল উঠছিল। শেষপর্যন্ত বিজয়মাল্য ছিনিয়ে নেয় টাউন স্কুল।

৮.২ “সমরেশদা কোথায় গেছে?”-এই সমরেশদার পরিচয় দাও। সে কোথায় কি উদ্দেশ্যে গিয়েছিলো? তার উদ্দেশ্য সফল হয়েছিল কি?***

উত্তর: সমরেশ হল টাউন স্কুলের ফুটবলার। সে হাফব্যাকে খেলে। • অন্ধবিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে সে গাধার কান মলার উদ্দেশ্য নিয়ে গ্রামে গিয়েছিল।

• তার উদ্দেশ্য সফল হয়নি।

৮.৩ “এই সময় মাঠে রেফারির বাঁশি বেজে উঠল”- রেফারিটি কে? তাঁর সম্পর্কে ছেলেদের ধারণা কীরূপ ছিল? খেলার মাঠে তিনি কেমন ভূমিকা পালন করলেন?

উত্তর: রেফারি হলেন দিব্যেন্দু বাবু।***

• তাঁর সম্পর্কে ছেলেদের ধারণা ছিল খেলা শুরুর আগে যে পক্ষ তাঁকে পেট ভরে জিলিপি খাওয়ায় সেই পক্ষকে তিনি জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।

• খেলার মাঠে তিনি মিশন স্কুলের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন।

Long Question Answer
৮.৪ খেলার যে ফলাফল হলো, তাতে তুমি কি খুশি হলে? তোমার উত্তরের সমর্থনে যুক্তি দাও।

উত্তর: ‘গাধার কান’ নামাঙ্কিত রচনায় শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় খেলার যে বর্ণনা দিয়েছেন তা অসাধারণ। টুনু যেভাবে খেলা করেছে এবং খেলার যে ফল হয়েছে তাতে আমি খুশি।

আমি মনে করি, টুনু যেভাবে বুদ্ধি করে গোল করেছিল তা সত্যি আমাদের অবাক করে। আজ টুনুই আমাদের হিরো।’- গিরীনের এই কথার সঙ্গে আমরা সহমত পোষণ করি। তাই খেলার যে ফলাফল হয়েছে তা যথাযথ।

৮.৫ গল্পে যে ফলাফলের কথা বলা হয়েছে তার বিপরীতটি যদি ঘটত তাহলে গল্পের উপসংহারটি কেমন হতো তা নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তর: গল্পে যে ফলাফল হয়েছে তার বিপরীত অর্থাৎ মিশন স্কুল যদি জয়ী হত তাহলে টাউন স্কুলের অধিনায়ক গিরীন ও অন্যান্য খেলোয়াড়রা বিষণ্ণভাবে বলত ‘সমরেশ তুই গাধার কান মলতে পারলি না বলেই আমরা হেরে গেলাম, আগামী বছর যে করেই হোক

আগে গাধার কান মলে তবে খেলতে নামব।’

৮.৬ গল্পে বলা হয়েছে- “আজ টুনুই আমাদের হিরো।”- তোমার

টুনু চরিত্রটিকে কেমন লাগল? সত্যিই কি নায়কের সম্মান তার প্রাপ্য?

উত্তর: এই গল্পের সবচেয়ে আকর্ষণীয় চরিত্র হল টুনু চরিত্র। তাই স্বাভাবিকভাবেই আমারও এটি প্রিয় চরিত্র।

• প্রথমেই টুনুকে আমরা কুসংস্কারমুক্ত সাহসী বালক রূপে দেখতে পাই। তাই সে সমরেশের গাধার কান মলতে যাওয়ার কথা শুনে হেসে উঠেছে। সে দলের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হয়েও ‘গাধার কান’ মলতে না পারলে তারা হেরে যাবে এব্যাপারে সকলের সঙ্গে একমত হতে পারেনি। এইদিক থেকে চরিত্রটি অবশ্যই নায়কোচিত।

এরপরে খেলার মাঠে দেখতে পাই একটি বল গোলের কাছে নিয়ে গিয়ে সে পড়ে যায় এবং বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের দ্বারা পায়ের বুড়ো আঙুলে প্রচণ্ড আঘাত প্রাপ্ত হয়, তার মনে হয় যে, আঙুলটা ভেঙে গেছে। এই আঘাতের পরেও সে কিন্তু খেলা বন্ধ করেনি। প্রাণপণ চেষ্টা করে দলের পক্ষে সে-প্রথম গোল করে ম্যাচের সমতা ফেরায়। রণজিতের করা দ্বিতীয় গোলেও তার অবদান ছিল এবং শেষ দুটি গোল করে সে দলকে ৪-১ এ জয় এনে দেয়। তাই দেখা যাচ্ছে ম্যাচ শুরুর

আগে থেকে শেষ হওয়া পর্যন্ত টুনুর ভূমিকাই মুখ্য হয়ে উঠেছে। ৮.৭ গিরীন কীভাবে খেলার মাঠে টুনুকে ক্রমাগত উৎসাহ আর

সাহস জুগিয়েছিল তা আলোচনা করো।

উত্তর: গিরীন টুনুকে নিজের চোট দেখিয়ে টুনুর ব্যথা ভোলোনোর চেষ্টা করেছিল। টুনুর ব্যথাকে সে একেবারে আমল দিতে চায়নি, কারণ তাতে ম্যাচের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা ছিল। গিরীনের ভাষায়-“দূর। খেলার সময় কী আর ওসব মনে থাকে।” কথাবার্তার মাধ্যমে টুনুকে সে উৎসাহিত করতে থাকে। টুনুকে বোঝানোর চেষ্টা করে সেই-ই তাদের একমাত্র ভরসা। তাই পায়ের ব্যথা ভুলে তাকে ম্যাচ জেতানোর অনুপ্রেরণা দেয়।

৮.৮ “অন্ধ সংস্কারের প্রতি আনুগত্যের জোরে নয় প্রবল প্রচেষ্টা আর মানসিক জোরেই জীবনে সাফল্য আসে”- ‘গাধার

কান’ গল্পটি অনুসরণে উদ্ধৃতিটির যথার্থতা প্রতিপন্ন করো। উত্তর: ‘গাধার কান’ গল্পে টাউন স্কুলের ছেলেরা অন্ধ সংস্কারের বশবর্তী হয়ে খেলতে নামার আগেই ধরে নিয়েছিল তারা হেরে যাবে। কারণ তারা আজ গাধার কান মলতে পারেনি। তাদের মধ্যে টুনু নামে একজন খেলোয়াড়ই শুধু এই অন্ধসংস্কারকে মনে স্থান দেয়নি। সে কর্মে বিশ্বাসী ছিল। তাই সে সমস্ত খেলোয়াড়দের মন-প্রাণ দিয়ে খেলার কথা বলে। শেষপর্যন্ত অন্যান্যদের সহযোগিতায় টুনুর হাত ধরেই টাউন স্কুল ম্যাচটি জিতল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *