WBBSE Class 7 Sahityamela Chapter 32 Solution | Bengali Medium

Class 7 Chapter 32 Solution

ভাটিয়ালি গান

Vert Short Question Answer

১.নৌকার গলুই ভরিয়ে রাখত কারা?

উত্তর: ‘ও আমার দরদী’ নামাঙ্কিত গানে দেখা যায় নৌকার গলুই ভরিয়ে রাখত চন্দ্র ও সূর্য।

২. “উপায় কী তার বলো না।”- বক্তা কীসের উপায় খুঁজেছেন। 

উত্তর: ‘ও আমার দরদী’ নামাঙ্কিত গানে বস্তা মাঝদরিয়ায় নিমজ্জিত হলে উদ্ধার পাওয়ার উপায় খুঁজেছেন।

৩.”ও তোর সামনে নাচে”-কার সামনে কে নাচে?

 উত্তর: মাঝির সামনে বিজলি নিয়ে অপূর্ব সুন্দরী এক কন্যা নাচে।

৪.”আগে জানলে”- কবি কী করতেন না বলে জানিয়েছেন?

উত্তর: ‘আগে জানলে’ কবি মাঝির ভাঙা নৌকায় চড়তেন না।

৫. “যাবার ছিলো বাসনা”-কোথায় যাবার বাসনা ছিল।

 উত্তর: লবঙ্গ লতিকার দেশে যাওয়ার বড়ো বাসনা ছিল।

৬. “তুই কেন হলি আজ বিমনা”-কে বিমনা হয়েছিল।

উত্তর: নৌকার মাঝি বিমনা হয়েছিল।ব

৭. ‘ভাটিয়ালি’ কী ধরনের গান?

উত্তর: ‘ভাটিয়ালি’ পল্লিগীতির অন্তর্গত বিশেষ ধরনের গান। একে লোকসংগীতও বলা যায়।

৮. ‘ভাটিয়ালি গান’ কোন জেলায় বিশেষভাবে প্রচলিত রয়েছে?

 উত্তর: ময়মনসিংহ, ত্রিপুরা ও শ্রীহট্ট জেলায় ভাটিয়ালি গান বিশেষভাবে প্রচলিত রয়েছে।

৯. ভাটিয়ালি গানে কোনো তাল থাকে কি?

উত্তর: বিশুদ্ধ ভাটিয়ালি গানে কোনো তাল থাকে না।

১০.ভাটিয়ালি গানে কোনো ছন্দ থাকে কি?

উত্তর: ভাটিয়ালি গান মূলত সুরপ্রধান, ছন্দপ্রধান নয়।

১১.ভাটিয়ালি গান কাদের মুখে শোনা যায়?

উত্তর: সাধারণত খোলা মাঠে রাখালের মুখে কিংবা কখনো নদীর বুকে মাঝি-মাল্লাদের একক বা সমবেত কণ্ঠে এই গান শোনা যায়।

১২. কয়েকজন ভাটিয়ালি গায়কের নাম করো।

উত্তর: ভাটিয়ালি গান করেছেন এমন কয়েকজন সুরসাধক হলেন-সিরাজ আলি, রশিদউদ্দিন, জালাল খান, উমিদ আলি প্রমুখ। 

১৩. ভাটিয়ালি গানের একজন উল্লেখযোগ্য শিল্পীর নাম করো

উত্তর: ভাটিয়ালি গানের একজন উল্লেখযোগ্য শিল্পী হলেন আব্বাসউদ্দিন।

১৪. ‘মাঝ দরিয়া’ কথার অর্থ কী?

উত্তর: ‘মাঝ দরিয়া’ কথাটির অর্থ হল বড়ো নদীর মাঝখানে।

১৫. ‘দূরের পাড়ি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর: ‘দূরের পাড়ি’ বলতে কোনো দূর জায়গার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

১৬. ‘নবলাখ’ কথার অর্থ কী?

উত্তর: ‘নবলাখ’ কথার অর্থ হলো নয় লাখ।

১৭. ‘দইরা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর: ‘দইরা’ শব্দটি হলো দরিয়ার আঞ্চলিক রূপ। এর অর্থ বড়ো

নদী।

Short Question Answer

১. “ও আমার দরদী আগে জানলে”-বক্তার এমন সিদ্ধান্তের কারণ কী?***

উত্তর: বস্তা ‘দরদী’কে সম্বোধন করে জানিয়েছেন, আগে জানলে তিনি তার ভাঙা নৌকায় কখনো চড়তেন না। এমনকি কখনোই সেই নৌকায় চড়ে দূরে পাড়ি দিতেন না। তিনি জানিয়েছেন নব লক্ষ বাণিজ্যের বেসাতও তিনি করতেন না।

২. “কেউ গাঙ পাড়ি দিও না”-এই সতর্কবাণীর কারণ কী?***

উত্তর: ‘ও আমার দরদী’ নামাঙ্কিত এই ভাটিয়ালি গানে পল্লিগীতিকার জানিয়েছেন, প্রবল ঝড়ে ‘দরিয়ার পানি’ অশান্ত হয়ে উঠলে তখন কেউ যেন গাঙ পার না হয়। কেননা, তাতে প্রাণ যাওয়ার সম্ভাবনা। 

৩. “ভয়েতে প্রাণ বাঁচে না।”-ভয়ের কারণ কী?

উত্তর: পল্লিকবি ‘ও আমার দরদী’ নামাঙ্কিত লৌকিক প্রেমের এই গানটিতে জানিয়েছেন, নদীতে তুফান উঠলে কেউ যেন মাঝ দরিয়ায় থাকে না। কেননা, এই তুফানের সময় গাঙ পাড়ি দেওয়া ঠিক নয়। তাতে প্রাণ বিপন্ন হওয়ার শঙ্কা থেকে যায়। বক্তার নিজের এমন বিপদের সময় নৌকায় ছিলেন বলে ভয়ে তার ‘প্রাণ বাঁচে না’।

৪. “তুই কেন হলি আজ বিমনা”- ‘বিমনা’ হওয়ার কারণ কী?***

উত্তর: ‘ও আমার দরদী’ নামাঙ্কিত এই লৌকিক প্রেমের গানে দেখা যায় মাঝ দরিয়ায় নৌকা ডুবলে তখন আর ‘লবঙ্গ লতিকার দেশে’ যাওয়া হয় না। মাঝি সেই অর্থে শারীরিক সক্ষমতার অধিকারী নয়। তবু সে আজ আনমনা। তাই বক্তা তার কাছে প্রশ্ন করেছেন, আজ কেনই বা সে এমন অদ্ভুত রকমের অন্যমনস্ক। অর্থাৎ তার কী কোনো ভীতিবোধ নেই!

৫. ভাটিয়ালি গানের বৈশিষ্ট্য লেখো।***

উত্তর: আশুতোষ ভট্টাচার্য লিখেছেন, ‘অন্তরের সুগভীর ভাব ও সূক্ষ্মতম অনুভূতি প্রকাশ করিবার ভাটিয়ালির যে শক্তি, তাহা বাংলার আর কোনো লোকসংগীতে নাই।’ (বাংলার লোকসাহিত্য, তৃতীয় খণ্ড, পৃ. ৩২৬)। এই ভাটিয়ালি গানের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য আছে। যেমন-

১. রচনার দিক থেকে ভাটিয়ালি নিতান্তই সরল ও সংক্ষিপ্ত।

২. এই গানের কথা অপেক্ষা সুরের প্রাধান্য বেশি।

৩. ভাটিয়ালি মূলত একক কণ্ঠের গান।

৪. এই গানের নির্দিষ্ট কোনো তাল নেই।

৫. এর লয় ধীর।

৬. বিশেষ কোনো বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার হয় না এই গানের সঙ্গে।

৭. ভাটিয়ালির সুর করুণ।

৬. “নাই বল তবু বল”- দু’বার ‘বল’ কথাটি প্রয়োগের কার কী?

উত্তর: একই শব্দ ক্রমাগত দু’বার ব্যবহৃত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন দুটি  অর্থ  তৈরি করলে, তাকে যমক অলংকার বলে। এখানে ‘বল’ শব্দটির দূর অর্থ। যথা-

(ক) শরীরের সক্ষমতা,

(খ) কথা বলা।

৭. “ও আমার দরদী”-নামাঙ্কিত গানে ব্যবহৃত হয়েছে এম

কয়েকটি ধ্বন্যাত্মক শব্দের নাম লেখো।***

উত্তর: ‘ও আমার দরদী’ নামাঙ্কিত গানে ব্যবহৃত হয়েছে এমন কয়েকটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ হলো-

(ক) শওঁ শওঁ শওঁ শওঁ,

(খ) কলকল,

(গ) খলখল।

৮. লবঙ্গ লতিকার দেশে’- এখানে ‘লবঙ্গ লতিকার দেশে’ বলতে কী বোঝনো হয়েছে?

উত্তর: ‘লবঙ্গ লতিকা’ বলতে কোনো মশলা কিংবা খাবারের কথা বলেননি পল্লিকবি। তিনি ‘লবঙ্গ লতিকা’ বলতে সুন্দরী ও গুণবতী রমণীর কথা বলেছেন।

৯. ভাটিয়ালি গান ছাড়া আরও কয়েকটি লোকসংগীতের নাম করো।

উত্তর: ভাটিয়ালি গান ছাড়া আরও কয়েকটি লোকসংগীত হলো

মুর্শিদ, বাউল, ভাওয়াইয়া।

১০. ময়ূরপঙ্খী নৌকাটি কেমন?

উত্তর: ময়ূরপঙ্খী নৌকাটি হলো বড়ো অপূর্ব। কেননা, তার সোনার

দাঁড় ও পবনের বৈঠা রয়েছে।

১১. “কেউ গাঙ পাড়ি দিও না।”- এই নিষেধের কারণ কী?

উত্তর: যখন প্রবলবেগে ঝড় হয়, তখন দরিয়ায় তুফান ওঠে। ফলে লোককবির সাবধানবাণী এইসময় কেউ যেন গাঙ পাড়ি না দেয়।

 ১২. “ওরে বিষম দইরার পানি”- কখন ‘দইরার পানি’ ‘বিষম’ হয়ে ওঠে?***

উত্তর: একসময় বৃষ্টিবাদলে নদীর জল দ্বিগুণ স্রোতে বইতে থাকে। তখন নদীতে তুফান দেখা যায়। সেই সময়কে লোককবি ‘বিষম দইরার পানি’ বলে চিহ্নিত করেছেন।

১৩. “ভয়েতে প্রাণ বাঁচে না।”-এ ভয়ের কারণ কী?

উত্তর: প্রবল ঝড়ে নদীর জল এমন ভয়ংকর রূপ ধারণ করে যে তখন নৌকায় থাকা রীতিমতো ভয়ের কারণ হয়। যেকোনো সময় কেননা,নৌকাডুবির আশঙ্কা থেকে যায়।

১.বিপরীত শব্দ লিখে বাক্য রচনা করো :

আগে, ভাঙ্গা, দূরের, ভয়, দরদী, উপায়, বোঝাই, বাঁচে,

দেশে।

উত্তর: আগে–পরে–তোমার কথা পরে একসময় বিবেচনা করে দেখবো।

ভাঙ্গা–জোড়া–কাচের টুকরো কখনোই এভাবে জোড়া লাগানো যায় না।

দূরের–কাছের–কাছের থেকে দেখলে সেই সৌন্দর্য ধরা পড়বে না

ভয়–নির্ভয়–তুমি নির্ভয়ে কথা বলো।

দরদী–অদরদী–তার মতো অদরদী ও অবিবেচক মানুষ আমি দেখিনি।

উপায়–নিরুপায়–তিনি ছিলেন একেবারেই নিরুপায়।

বোঝাই–খালিখালি নৌকা নিয়ে তিনি ফিরে এলেন।–

বাঁচে–মরে–ভয়েই তিনি মরে গেলেন।

বিদেশে–দেশে–দেশ-বিদেশে কত জায়গায় তিনি ঘুরেছেন।

২.সমার্থক শব্দ লেখো:

বাণিজ্য, গান, নাও, চন্দ্র, সূরয, পানি, বাসনা, বিমনা, বল, বিজলি, সোনা, পবন, ফুল, গাঙ।
উত্তর: বাণিজ্য-ব্যাবসা, গান-সংগীত, নাও-নৌকা, চন্দ্র-চাঁদ, সূরষ-সূর্য, পানি-জল, বাসনা-অভিলাষ, বিমনা- আনমনা, বল-শক্তি, বিজলি-বিদ্যুৎ, সোনা-স্বর্ণ, পবন- বাতাস, ফুল-পুষ্প, গাঙ-নদী।

শূন্যস্থান পূরণ করো:

১. ছিলো- দাড় বৈঠা।

উত্তর: সোনার পবনের।

—নাওখানা।

উত্তর: ময়ূরপন্থী।

চন্দ্র সুরজ–- ভরি

উত্তর: গলুই।

ফুল ছড়াতে–।

উত্তর: জোছনা।

৩. কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো :

১. ও আমার দরদী।

উত্তর: সম্বোধন পদ ‘শূন্য’ বিভক্তি

২. তোর ভাঙ্গা নৌকায় চড়তাম না।

উত্তর: কর্মকারক ‘শূন্য’ বিভক্তি

৩. ভাঙ্গা নৌকায় চড়তাম না।

উত্তর: অধিকরণকারক ‘য়’ বিভক্তি

৪. ফুল ছড়াতে জোছনা।

উত্তর: কর্মকারক ‘শূন্য’ বিভক্তি

৫. ভয়েতে প্রাণ বাঁচে না।

উত্তর: অপাদানকারক ‘তে’ বিভক্তি

৬. মাঝ দরিয়ায় নাও ডুবিল।

উত্তর: অধিকরণকারক ‘য়’ বিভক্তি

৭. যাবার হলো বাসনা।

উত্তর: কর্মকারক ‘শূন্য’ বিভক্তি

৮. কেউ গাঙ পাড়ি দিও না।

উত্তর : অধিকরণকারক ‘শূন্য’ বিভক্তি

৯. কন্যা সোনার বরণা।

উত্তর: কর্তৃকারক ‘শূন্য’ বিভক্তি

১০. তোর সামনে নাচে।

উত্তর: কর্তৃকারক ‘শূন্য’ বিভক্তি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *