WBBSE Class 7 Sahityamela Chapter 34 Solution | Bengali Medium

Class 7 Chapter 34 Solution

চিন্তাশীল

Very Short Question Answer

১. নরহরির শিশু ভাগনের নাম কী ছিল?

উত্তর: নরহরির শিশু ভাগনের নাম ছিল যাদু।

Short Question Answer

১. “কথাটা বড়ো সামান্য নয়।”- কোন্ কথার প্রসঙ্গে এই উক্তিটি এসেছে?

উত্তর: নরহরির মা তাকে ‘বাছা’ বলে সম্বোধন করায় সে জানিয়েছিল, হাজার বছর আগে লোকে বলত ‘বৎস’। এখন তার পরিবর্তে ‘বাছা’ শব্দটি এসেছে। কেন এই পরিবর্তন, সেই প্রসঙ্গে এই উক্তি।

২. “ভাবনা তো চিরকাল থাকবে”-কে, কাকে একথা বলেছেন?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত ‘চিন্তাশীল’ নামাঙ্কিত নাটিকায় নরহরির

মা চিন্তাশীল পুত্র নরহরিকে উদ্দেশ্য করে এই কথাটি বলেছেন।

৩. “ওকে ভুল শিখিও না।”- কে, কাকে একথা বলেছে?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত ‘চিন্তাশীল’ নামাঙ্কিত নাটিকা থেকে উদ্ধৃত উক্তিটি গৃহীত হয়েছে। উক্তিটির বস্তা হল নরহরি।

• নরহরি তার মাকে একথা বলেছে।

• নরহরি তার মাকে বলেছে, ‘দণ্ডবৎ করা’ কথাটি ভুল। ব্যাকরণ তা হবে ‘দণ্ডবৎ হওয়া’। অনুসারে

৪. “একবার ভেবে দেখো মা”- বক্তা কী ভেবে দেখতে বলেছেন?

উত্তর: উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা হল চিন্তাশীল নরহরি। সে তার মাকে ভেবে দেখতে বলেছে। পূর্বে ‘লক্ষ্মী’ অর্থে দেবী, কালক্রমে গুণবতী গৃহিণীকে বোঝানো হতো। বর্তমানে পুরুষের প্রতিও ‘লক্ষ্মী’ শব্দটির প্রয়োগ হচ্ছে। এর কারণ ভেবে দেখার জন্যে মাকে অনুরোধ করেছিল নরহরি।

৫. “ভাবলে আশ্চর্য হতে হবে।”-বক্তা কে? কী ভাবলে আশ্চর্য হতে হবে বলে বক্তা মনে করে?***

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত ‘চিন্তাশীল’ নামাঙ্কিত নাটিকা থেকে উদ্ধৃত উক্তিটি গৃহীত হয়েছে। উক্তিটির বস্তা হল নরহরি।

• নরহরির মা নরহরিকে বলেছিলেন, ‘লক্ষ্মী আমার, একবার ওঠ।’ এই ‘লক্ষ্মী’ শব্দটির অর্থ কীভাবে বিবর্তিত হয়েছে, তা ভেবে অবাক হয়েছে নরহরি। প্রথমে দেবী অর্থে, পরে সুশীলা স্ত্রীলোক অর্থে; আরও পরে আদর অর্থে ‘লক্ষ্মী’ শব্দটির প্রয়োগ হয়েছে। এই বিষয়টি ভেবে রীতিমতো অবাক হয়েছে নরহরি।

৫. ‘কুরুক্ষেত্র’কে নরহরি কী বলে চিহ্নিত করেছে?

উত্তর: ‘কুরুক্ষেত্র’কে নরহরি আর্য গৌরবের শ্মশানক্ষেত্র বলে চিহ্নিত করেছে।

৬. “মনে পড়লে কি শরীর রোমাঞ্চিত হয় না।”- কে, কেন এই উক্তিটি করেছে?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত ‘চিন্তাশীল’ নামাঙ্কিত নাটিকার মূল চরিত্র নরহরি এই উক্তিটি করেছে।

• নরহরির মাসিমা নরহরিকে জানিয়েছেন, তার কথা শুনে

সুবলের মা ‘হেসেই কুরুক্ষেত্র’। ‘কুরুক্ষেত্র’ শব্দটি মনে পড়তেই নরহরির চোখের সামনে আর্যগৌরবের শ্মশানক্ষেত্র জেগে ওঠে। তার মনে হয় কুরুক্ষেত্র কখনো হাসির খোরাক হতে পারে না। কেননা, কুরুক্ষেত্র হল বহু যন্ত্রণার প্রতিচ্ছবি। তা মনে পড়লে শরীর রীতিমতো রোমাঞ্চিত হয়।

৭ “আমি তোমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছি।”- বক্তা কে? সে কী বুঝিয়ে দিয়েছে?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত ‘চিন্তাশীল’ নামাঙ্কিত নাটিকা থেকে উদ্ধৃত উক্তিটি গৃহীত হয়েছে। উক্তিটির বক্তা হল নরহরি।

• নরহরি তার দিদিমাকে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিল যে, সূর্য অস্ত যায় না। পৃথিবী বরং উল্টে যায়। সে একটি গোলাকার বস্তু দিয়ে কথাটি বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিল।

৮. “এটা যে তুমি উলটো কথা বললে!”-বক্তা কে? কোন্ কথাকে উলটো কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত ‘চিন্তাশীল’ নামাঙ্কিত নাটিকা থেকে উদ্ধৃত উক্তিটি গৃহীত হয়েছে। উক্তিটির বস্তা হল নরহরি।

• ভাতের থালার উপর মাছি ভনভন করছে-দিদিমার এই বক্তব্যকে নরহরির মনে হয়েছে উলটো কথা। কেননা, মাছি ভনভন করে না; তার ডানা থেকে এরকম শব্দ হয়।

৯. “হেসেই কুরুক্ষেত্র”-শব্দবন্ধের মূল ভাবটি কী?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত ‘চিন্তাশীল’ নামাঙ্কিত নাটিকা থেকে উদ্ধৃত এই শব্দবন্ধে নরহরির চিন্তা-ভাবনার প্রেক্ষিতে প্রতিবেশীদের মধ্যে যে তুমুল হাসাহাসি শুরু হয়েছিল সেই প্রসঙ্গটি ধরা পড়েছে। ‘কুরুক্ষেত্র’ শব্দবন্ধটি মহাভারতের মহাযুদ্ধকে স্মরণ করিয়ে দেয়। সেখানে মান-অপমান, রণ-রক্ত সফলতা সবই আছে। সেই বিরাট বিস্তৃত বিষয়টিকে নরহরির চিন্তা-চেতনার বিকৃতি প্রসঙ্গে এনে রবীন্দ্রনাথ এমন শব্দবন্ধ সৃষ্টি করেছেন। বলাবাহুল্য, এই শব্দবন্ধের প্রয়োগে নরহরির চিন্তার অসংলগ্নতা ধরা পড়েছে। 

১০. “কথাটা’ বড়ো সামান্য নয়”-বক্তা কে? কার কোন্ কথাটা সামান্য নয়?

উত্তর: উক্তিটির বস্তা নরহরি।

• মায়ের ‘বাছা’ কথাটা সামান্য নয়।

১১. “এই সব বাজে ভাবনা নিয়ে থাকা ভালো?”-কে কাকে এ কথা বলেছে? কোন্ ভাবনাকে বাজে বলা হয়েছে? তা কি সত্যিই ‘বাজে ভাবনা’-তোমার কি মনে হয়?

উত্তর: নরহরির মা নরহরিকে এই কথা বলেছে। বাছা থেকে বৎস এবং লক্ষ্মী শব্দের ব্যবহার। দু’হাজার বছর আগে বাছাকে বৎস বলা হতো। এক কালে লক্ষ্মী বলতে দেবী বিশেষ বোঝাত। তার পরে লক্ষ্মীর গুণ অনুসারে সুশীলা স্ত্রীলোককে লক্ষ্মী বলতেন। বর্তমানে পুরুষের প্রতিও লক্ষ্মী শব্দের ব্যবহার হয়। এই সমস্ত ভাবনাকে বাজে ভাবনা নরহরির মা বলেছেন। আমার মনে হয় ভাবনাগুলো বাজে তো নয়ই বরঞ্চ এই ভাবনার মাধ্যমে শব্দের অর্থ পরিবর্তন ধরা পড়বে।

১২. “আমাদের কথা শুনলেই এর শোক উপস্থিত হয়”- বজ্রা কে?  তার কোন্ কথায় নরহরি শোকগ্রস্ত হয়ে পড়েছে!

 উত্তর: মন্তব্যটির বস্তা নরহরির মা। নরহরি ভাষার পরিবর্তন লক্ষ করে চিন্তায় ছেঁড়া চাদর ও মথভর্তি দাড়ি নিয়ে বসে আছে। তখন মাসিমা এসে বলে নর রিকো শোকগ্রস্ত হয়ে পড়ে হেসে কুরুক্ষেত্র ‘ করিয়েছে। আমাদের আর্য-গৌরবের শ্মশানক্ষেত্র। এই কথা ভেবেই নরহরি শোকগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

১৩. “রোসো, আমি তোমাকে প্রমাণ করে দিচ্ছি’- নরহরি কার কাছে কী প্রমাণ করে দিতে চেয়েছিল ?***

একর। নাট্যকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত ‘হাস্যকৌতুক’ গ্রন্থের অন্তর্গত চিন্তাশীল’ নামাঙ্কিত নাটিকায় উদ্ধৃত উক্তিতে নরহরি তার দিদিমার কাছে প্রমাণ দিতে চেয়েছিল যে, মাছি কখনও ভন্ডন শব্দ করে না। আসলে মাছি যখন উড়তে থাকে তখন তার ডানায় এমন শব্দ হয়।

১৪. “আদর করবি, তাতেও ভাবতে হবে নরু?”-এর প্রত্যুত্তরে নরু মাকে কী কী বলেছে?

উত্তর: নরহরি তার মাকে বলেছিল ছেলেবেলার আদরের উপর আসন্ন ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। ছেলেবেলার এক একটা ঘটনার ছায়া বৃহদাকারে ধরা দেয় আমাদের যৌবনকালে। আমাদের সমস্ত জীবনকে আচ্ছন্ন করে রাখে। তাই ছেলেকে আদর করা সামান্য ব্যাপার নয়।

 ১৫. “তোমার ইচ্ছে হয়েছে, আমি বাধা দেব না।”-কে, কাকে বাধা দিতে চায়নি?

উত্তর: নাট্যকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত ‘হাস্যকৌতুক’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘চিন্তাশীল’ নামাঙ্কিত নাটিকায় উদ্ধৃত উক্তিতে নরহরি তার মাকে কাশীবাসী হওয়ার ইচ্ছায় কোনো বাধা প্রদান করেনি। ছেলের চিন্তার জটিল জট যখন সামান্য কিছুকে অসামান্য করে তুলছিল, তখন বিরক্ত হয়েছিলেন নরহরির মা। তাকে ছেড়ে কাশীতে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করলে কৃপণ ও অতিভাবুক পুত্রটি মায়ের ইচ্ছেয় রাজি হয়ে যায়।

Long Question Answer

১. “চিন্তাশীল নরহরি সবার সব কথাতেই চিন্তামগ্ন হয়ে পড়ে, অথচ মায়ের কাশীবাসী হওয়ার ইচ্ছে হয়েছে শুনে তখনই সে রাজি যায়। তার করতে হহেয়ে যায়। কিন্তু তার মা যেই টাকার বান্নোহার চরিত্রটি সম্পর্কে তোমার কেমন ধারণা হল?

উত্তর: নাট্যকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গ্রন্থের অন্তর্গত চিন্তাশীল’ নাটিকায় নরহরি ছিল প্রণীত হাসুকৌতুক গ্রন্থের অন্তর্গত নিতান্তই অলস ও কর্মবিমুখ। সংসারের কোনোর একটি চরিত্র। সে করতে চায় না। এই না চাওয়ার কারণেই সর্বদা উদ্ভট সব আচরণ করে। ভাতের থালা দীর্ঘক্ষণ সামনে থাকা সত্ত্বেও অতিচিন্তক এই যুবক এমন ভান করে যে, পৃথিবীর সব চিন্তা তার মাথাতেই ভিড় জমিয়েছে। নরহরির চিন্তা-চেতনার জগৎ কতখানি জট পাকিয়ে রয়েছে, তা বিভিন্ন চরিত্রের সঙ্গে তার ভাববিনিময়ে ধরা পড়েছে। যেমন

(ক) তার মা তাকে ‘বাছা’ সম্বোধন করলে সে ‘বাছা’ শব্দটির উৎস নিয়ে ভাবিত হয়। তা

(খ) পুনরায় নরহরির মা যখন বলেন, ‘লক্ষ্মী আমার, একবার ওঠ’ তখন নরহরি লক্ষ্মী শব্দের পরিবর্তন নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত হয়ে পড়ে।

(গ) মাসিমা নরহরির পাগলামি দেখে সুবলের মায়ের ‘হেসেই কুরুক্ষেত্র’ হওয়ার প্রসঙ্গ তুললে সে ‘কুরুক্ষেত্র’-এর প্রসঙ্গটি কীভাবে হাসির সঙ্গে যুক্ত হল সে বিষয় নিয়ে ভাবতে থাকে।

(ঘ) নরহরির দিদিমা তাকে বলেছিলেন ‘ও নবু, সূর্য যে অস্ত যায়!’ একথা শুনে সে তার দিদিমাকে পৃথিবী পরিভ্রমণের বৈজ্ঞানিক তত্ত্বটি জানিয়েছিল।

এত যার ভাবনা চিন্তা, সেই নরহরি কিন্তু মায়ের কাশীবাসী হওয়ার সংবাদে কোনো রকম কালবিলম্ব না করে তৎক্ষণাৎ রাজি হয়ে যায়। এ থেকে প্রমাণিত হয় নরহরি আসলে সেই অর্থে ভাবুক নয়, বুদ্ধিহীন নয়। আসলে সংসারের দায়মুক্ত হওয়ার সহজ চালাকি থেকে সে ভাবুকের মিথ্যা ভান করে। এই চরিত্রটি তাই আমার চোখে চূড়ান্ত ভণ্ড, কর্মবিমুখ ও স্বার্থসর্বস্ব।

 ২. নাটকটির নামকরণ তোমার যথাযথ মনে হয়েছে কি-না তা যুক্তিসহ আলোচনা করো।

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাটকটির নাম দিয়েছেন ‘চিন্তাশীল’। নাটকটির ঘটনা পরম্পরা লক্ষ করে আমরা দেখতে পাই নরহরির চিন্তাই সম্পূর্ণ ঘটনায় আবর্তিত হয়েছে। তার চিন্তা শুরু হয়েছে মায়ের বলা ‘বাছা’ শব্দ থেকে। সে চিন্তায় এতটাই ডুব দিয়েছে যে, ভাত পর্যন্ত শুকিয়ে যাচ্ছে। তার পরের চিন্তা ‘লক্ষ্মী আমার’ মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। তারপর ‘কুরুক্ষেত্র’ শব্দবন্ধে। এবং তারপর দিদিমার বলা সূর্য অস্ত যাওয়া কথার সঠিক ধারণা অর্থাৎ সূর্য অস্ত যায় না পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে বলে আবার চিন্তায় নিমগ্ন হয়। এরপর মাছির ভনভন ও দণ্ডবৎ শব্দে তার চিন্তার উদয় আমরা লক্ষ করি। এমনকি ভাগনেকে আদর করতে গিয়েও সে চিন্তিত হয়। শুধুমাত্র মায়ের কাশী যাওয়ার ইচ্ছেকে বিনা চিন্তায় প্রশ্রয় দেয় কিন্তু কাশীতে টাকা লাগবে শোনার পর আবার চিন্তিত হতে দেখতে পাই। ফলে আমরা দেখতে পাচ্ছি সারাদিন কোন কাজ না করে সে চিন্তা করে সময় অতিবাহিত করতে চায়। কোন চিন্তাকে বাস্তবায়িত করার কোন চেষ্টা নরহরি করে না। তাই তার সমস্ত চিন্তাই ব্যর্থতার গহ্বরে নিক্ষিপ্ত হয়। তাই নাটকটির নামকরণ ‘চিন্তাশীল’ যথাযথ ও সার্থক।

৩. “এটাতে বড়ো বেশি ভাবতে হল না’- কার স্বগতোক্তি? কাকে বেশি ভাবতে হল না? কেন?***

উত্তর: নাট্যকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত ‘হাস্যকৌতুক’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘চিন্তাশীল’ নামাঙ্কিত নাটিকায় নরহরির মা মনে মনে উদ্ধৃত উক্তিটি ভেবেছেন।

১ ভাতের থালা সামনে রেখে আকাশকুসুম ভাবতে থাকা শব্দসন্ধানী নরহরি যখন জটিল সব বিষয় জানাতে থাকে; তখন তার মা বিরক্ত হয়ে কাশীবাসী হওয়ার সিদ্ধান্ত করেন। মায়ের সেই সিদ্ধান্তে নরহরি রীতিমতো খুশি। তাই তাকে বেশি ভাবতে হল না। এক কথাতেই মায়ের সিদ্ধান্তে সে সম্মতি প্রকাশ করেছিল।

• নরহরির সম্মতি প্রদানের কারণ অত্যন্ত স্পষ্ট। সে তার মায়ের কোনো দায়-দায়িত্ব বহন করতে চায়নি। তাই মা কাশীবাসী হবেন শুনে বধা দেওয়ার পরিবর্তে সে জানিয়েছিল, টাকার বন্দোবস্ত কীভাবে হবে যার জন্যে আর কিছুদিন ধরে তাকে ভাবতে হবে। অর্থাৎ বোঝা যায়, সে মাকে কোনো রকম আর্থিক সুবিধা দিতে চায়নি।

৪. মূল শব্দ— আদি অর্থ— প্রচলিত অর্থ

লক্ষ্মী—দেবী বিশেষ—সুশীলা স্ত্রীলোক

অন্ন— প্রধান ভোজ্যদ্রব্য—ভাত

ব্যাকরণের সহজপাঠ

১. সমার্থক শব্দ লেখো:

বৎস, সামান্য, শরীর, ভাত, প্রয়োগ, পাগল, উপস্থিত।

 উত্তর:

 বৎস—- বাছা

সামান্য—-সাধারণ

শরীর—-দেহ

ভাত—-অন্ন

প্রয়োগ—-ব্যবহার

পাগল—-উন্মাদ
উপস্থিত—- হাজির

২. বিপরীত শব্দ লিখে বাক্য রচনা করো:

সামান্য, ইচ্ছে, বৃহৎ, আরম্ভ, শিক্ষা, শোক, লক্ষ্মী।

উত্তর:

সামান্য— অসামান্য— আপনার এই অসামান্য কাজের কথা সবাই মনে রাখবে।

ইচ্ছে—- অনিচ্ছে —অনিচ্ছা সত্ত্বেও তিনি এসেছেন।

বৃহৎ—ক্ষুদ্র—আমার এই ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে এমনটি মনে হচ্ছে।

আরম্ভ—সমাপ্তি—অনুষ্ঠানের এখন সমাপ্তি ঘোষণা করা হচ্ছে।

শিক্ষা—অশিক্ষা—অশিক্ষার অন্ধকার মানুষের জীবনে অভিশাপ।

শোক—আনন্দ—আমি অত্যন্ত আনন্দ বোধ করেছি।

লক্ষ্মী—অলক্ষ্মী—সংসার থেকে সেই অলক্ষ্মী দূরে চলে গিয়েছে।

৩. স্থূলাক্ষর পদগুলির কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো:

৩.১ ও নরু, সূর্য যে অস্ত যায়!

উত্তর: সম্বন্ধ পদ, ‘শূন্য’ বিভক্তি।

৩.২ লক্ষ্মী আমার, একবার ওঠ।

উত্তর: সম্বন্ধ পদ, ‘শূন্য’ বিভক্তি।

৩.৩. ভাবলে আশ্চর্য হতে হবে।

উত্তর: কর্মকারক, ‘শূন্য’ বিভক্তি।

৩.৪ শরীর রোমাঞ্চিত হয় না!

উত্তর: কর্মকারক, ‘শূন্য’ বিভক্তি।

৩.৫ তুই পাগল হলি?

উত্তর: কর্মকারক, ‘শূন্য’ বিভক্তি

৩.৬ ওকে ভুল শিখিয়ো না।

উত্তর: কর্মকারক, ‘শূন্য’ বিভক্তি।

৩.৭ আমি কাশীবাসী হব।

উত্তর: অধিকরণ কারক, ‘শূন্য’ বিভক্তি।

৩.৮ তোমার মামাকে দণ্ডবৎ করো।

উত্তর: কর্মকারক, ‘কে’ বিভক্তি।

৩.৯ মাছি ভন ভন করছে।

উত্তর: কর্তৃকারক, ‘

শূন্য’ বিভক্তি।

৩.১০ কাজ নেই বাপু।

উত্তর: সম্বন্ধ পদ, ‘শূন্য’ বিভক্তি।

৩. পদ পরিবর্তন করো:

পৃথিবী, শব্দ, পাগল, কাজ, শরীর, ব্যাকরণ, প্রমাণ।

উত্তর: পৃথিবী (বি)—পার্থিব (বিণ)

শব্দ (বি)—শাব্দিক (বিণ)

পাগল (বি)—পাগলাটে (বিণ)

কাজ (বি)—-কেজো (বিণ)

শরীর (বি)—-শারীরিক (বিণ)

ব্যাকরণ (বি)—বৈয়াকরণ (বিণ)
প্রমাণ (বি)—-প্রামাণ্য (বিণ)

৪. শব্দযুগলের অর্থ পার্থক্য লেখো

উত্তর: বাঁচা-বেঁচে থাকা।

বাছা-সম্বোধন করা।

পুরুষ-মনুষ্য।

পুরুষ-আত্মা।

সকল-সবাই।

শকল-মাছের আঁশ।

পারা- পারদ।

পাড়া-পল্লি।

ভাষা-কথা।

ভাসা-ভেসে থাকে।

৫. ‘মাথা’ শব্দটিকে পাঁচটি ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করে বাক্য রচনা করো।

উত্তর:

মূল শব্দ— —শব্দটির অর্থ— –বাক্য রচনা

মাথা—-প্রধান— আমাদের প্রধান শিক্ষকমশায় সমস্ত কাজের মাথা।

মাথা—-বুদ্ধি/ মেধা—ছাত্রটির অঙ্কে মাথা দেখে আমি অভিভূত হয়েছি।

মাথা—-প্রান্ত— মোড়ের মাথায় এখনও লোক দেখা যাচ্ছে।

মাথা—-ঝোঁক—রাগের মাথায় কাজটি ঠিক করোনি।
মাথা—-অগ্রভাগ— ব্লেডে নখ কাটতে গিয়ে আঙুলের মাথা কেটেছে।

৬. সন্ধি বিচ্ছেদ করো:

উত্তর: আশ্চর্য-আঃ+চর্য। উপস্থিত-উপঃ+থিত। পুনশ্চ- পুনঃ+চ।

১. উচ্চারণে বিকৃত শব্দগুলির পাশাপাশি মূল শব্দগুলি লেখো

উত্তর: জিজ্ঞেস- জিজ্ঞাসা। ব্যামো- ব্যারাম। কও- কওয়া। হপ্তা- সপ্তাহ। দিকি-দেখি। সম্মুখে সুমুখে।

২. নরহরির ভাগনের ডাক নামটি কী তা পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।

উত্তর: জাদু।

৩. একই অর্থ যুক্ত শব্দ নাটক থেকে খুঁজে বের করে লেখো।

উত্তর: মক্ষিকা-মাছি। হাজির-উপস্থিত। অস্থির-অধীর। ব্যবস্থা-বন্দোবস্ত। ঢাকা বা আবৃত-আচ্ছন্ন।

৮. শূন্যস্থান পূরণ করো:

উত্তর: বিশেষ্য—বিশেষণ

আদর—আদৃত

ভাত—ভেতো

শোক—শোকার্ত

প্রমাণ—প্রামাণ্য

নির্ভর—নির্ভরতা

আমোদ—আমুদে