WBBSE Class 7 Sahityamela Chapter 35 Solution | Bengali Medium

Class 7 Chapter 35 Solution

দেবাতাত্মা হিমালয়

Very Short Question Answer

৯.১ গ্যাংটক থেকে নাথুলা গিরিসংকট হলো মাত্র ছাব্বিশ মাইল।

উত্তর: ছাব্বিশ মাইল।

৯.২ তিনি তেরো বছর সেখানে বাস করেছিলেন।

উত্তর: তেরো বছর।

৯.৩ দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন আধুনিক ভারতের কুলগুরু রাজা রামমোহন রায়।

উত্তর: দ্বিতীয়।

৯.৪ শরৎচন্দ্র দাস গিয়েছিলেন উনিশ শতকের শেষ ভাগে।

উত্তর: উনিশ।

৯.৫ অষ্টম শতাব্দীতে রাজপুত্র তিব্বতে যান।

উত্তর: অষ্টম।

৯.৬ বিমানে গেলে কলকাতা থেকে দিল্লি পৌঁছতে লাগে সাড়ে তিন ঘণ্টা, সেই গতিতে গেলে লাসা পৌঁছতে ঘণ্টা তিনেক লাগে কি?

উত্তর: সাড়ে তিন ঘণ্টা, ঘণ্টা।

৯.৭ একটু আধটু দেখে বেড়াতেই ঘণ্টাখানেক সময় লাগল।

উত্তর: ঘণ্টাখানেক।

৯.৮ মনে পড়ে সেই ২৫ বৈশাখের অপরাহ্ন।

উত্তর: ২৫।

৯.৯ যেখানে বছর চৌদ্দ আগে একটি রাত্রি বাস করে গিয়েছিলাম।

উত্তর: চৌদ্দ, একটি।

৯.১০ কবি মাত্র পনেরো মিনিটকাল তাঁর কবিতা পাঠ করবেন।

উত্তর: পনেরো মিনিট।

১৫.৫ ছদ্মবেশে কে গিয়েছিলেন তিব্বতে?

উত্তর: তিব্বতে ছদ্মবেশে গিয়েছিলেন-শরৎচন্দ্র দাস।

১৫.৬ স্যার ফ্রান্সিস ইয়াংহাসব্যান্ডকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিল তিব্বত-বিষয়ক কোন্ বইটি?

উত্তর:শরৎচন্দ্র দাসের বইটি।

১৫.৭ কালিম্পঙের কোথায় পড়াশোনা করে অ্যাংলা ইন্ডিয়ান ও ইংরেজ অনাথ ছেলেমেয়েরা?

উত্তর: কালিম্পঙে গ্রেহামস হোম-এ পড়াশোনা করে অ্যাংলো ইন্ডিয়ান

ও ইংরেজ অনাথ ছেলেমেয়েরা।

১৫.১০    ২৫ বৈশাখের সেই বিশেষ দিনটি যে ছিল শুক্লপক্ষ, লেখা থেকে সেকথা জানতে পারো কেমন করে?

উত্তর: সেই দিন ছিল জ্যোৎস্না।

১.৪ ডা. দাশগুপ্তের পাড়া কেমন?

 উত্তর: ডা. দাশগুপ্তের পাড়া ‘অভিজাত পল্লি’।

১.৫ কার বই থেকে ফ্রান্সিস ইয়াংহাসব্যান্ড সাহায্য পেয়েছিলেন?

উত্তর: শরৎচন্দ্র দাসের ভ্রমণবৃত্তান্ত থেকেই ফ্রান্সিস ইয়াংহাসব্যান্ড। সাহায্য পেয়েছিলেন।

১.৬ কালিম্পংয়ের ল্যান্ডমার্ক কোন্টি?

১৯১৯১৬ কালিম্পঙয়ের ল্যান্ডমার্ক হল বড়ো গির্জা।

১.৭ কবির জন্মদিনে লেখক তাঁকে কী উপহার দিয়েছিলেন?

০১.৭ কবির জন্মদিনে লেখক কবিকে অমল হোমের কলম এবং রজনীগন্ধার গুচ্ছ উপহার দিয়েছিলেন।

১.৮ প্রবোধকুমার সান্যাল কোন পত্রিকার অন্যতম সম্পাদক ছিলেন?

উত্তর: প্রবোধকুমার সান্যাল ‘যুগান্তর’ পত্রিকার অন্যতম সম্পাদক ছিলেন।

১.৯ রবীন্দ্রনাথ কোন গ্রন্থটি নিজের হাতে লিখতে চেয়েছিলেন?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ এপিক স্টোরি ‘মহাভারত’ নিজের হাতে লিখতে

চেয়েছিলেন।

১.১০ ভারত-তিব্বতের বাণিজ্যকেন্দ্র কোন্টি?

উত্তর: ভারত-তিব্বতের বাণিজ্যকেন্দ্রটি হল গ্যাংটক।


Short Question Answer

১.৩ কালিম্পংয়ের যে পথ উত্তরে গিয়েছে সেখানে লেখক উ

দেখেছেন? দিচের কালিম্পংয়ের যে পথ উত্তরে চলে গিয়েছে সেখানে লেখৎ দেখেছেন অসংখ্য পশমের ঘাঁটি। সেখানে রাস্তার দুপাশে অসংখ্যা

তিব্বতি আর মাড়োয়ারীর বাস।

১৬.১ কীভাবে গেলে পৌঁছানো যায় কালিম্পঙের গ্রেহামস হোম-এ? এই হোমটির বিশিষ্টতা কী?

উত্তর: কালিম্পঙের ল্যান্ডমার্ক হল বড়ো গির্জাটা। তারই পাশ দিয়ে

চলে গেছে চড়াই পথ এদিক ওদিক ঘরে অনেক উচুতে গ্রেহামস হোমের দিকে। অ্যাংলো ইন্ডিয়ান এবং সাহেবসুবাদের অনাদ ছেলেমেয়েরা এই হোমে পড়াশোনা করে মানুষ হয়। তবে পরিচালন ব্যবস্থা রয়েছে খাঁটি মেমসাহেবদের হাতে।

 ১৬.২  ২৫ বৈশাখের ‘যুগান্তর’ পত্রিকার প্রথম পাতায় শিল্পীর আঁকা যে বিশেষ রেখাচিত্রটি প্রকাশ পেয়েছিল, তার বিষয় জ ছিল? রবীন্দ্র-জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে ছবির এই ছবিটি এই বিষয়টি তোমার যথার্থ মনে হয় কিনা, লেখো।

উত্তর: কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রেখাচিত্র।

এই ছবিটি রবীন্দ্রনাথ জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে ‘যথার্থ’ একজন দেশবরণ্যে কবির প্রতি এর চেয়ে ভালো শ্রদ্ধা জ্ঞাপন হতে পারে না। হিমালয়ের চেয়ে তিনি বড়ো। তাই তাঁকে তাঁর চিত্র এঁকে দেওয়া খুবইআনন্দজনক এবং গর্বের বিষয়। 

১৬.৩ ‘কাজটি দুরূহ, অনেকদিন সময় লাগবে।’-কোন্ কাজটি সম্পন্ন করবার ইচ্ছে লেখককে জানিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ? কেন সে-কাজ করার ইচ্ছে হয়েছিল তাঁর? কার সাহায্য প্রত্যাশা করেছিলেন ওই কাজে?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমগ্র মহাভারতখানা নিজের হাতে লেখার ইচ্ছা লেখক জানিয়েছেন।

এতো বড়ো মহাকাব্য পৃথিবীর কোনোকালে কোনো সাহিত্যে নেই। এই কাজে তিনি বৈদান্তিক এটর্নী হীরেন দত্তের সাহায্য প্রত্যাশা করেছিলেন।

১৬.৪ ‘এ ছাড়া আর ঠাকুরবাড়ি কোথায় হে’?-কোন্ প্রসঙ্গে এই পরিহাস রবীন্দ্রনাথের?

উত্তর: লেখক কালিম্পং-এ একটি ঠাকুর বাড়িতে উঠলেন। ২৫ শে বৈশাখের দুপুরবেলায় লেখকের সঙ্গে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেখা হল। লেখক কবিকে বললেন তিনি একটি ঠাকুরবাড়িতে           উঠেছেন। তখন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লেখককে পরিহাস করে বলেছিলেন এছাড়া আর ঠাকুরবাড়ি কোথায়।

১৬.৫ ‘কবি সেদিন আমাকে বাগে পেয়েছিলেন।’ ‘বাগে পেয়েছিলেন’-এই বিশিষ্ট্য ক্রিয়াপদটির অর্থ কী? তাঁকে কবির ‘বাগে পাওয়া’র কী পরিচয় রয়েছে লেখকের সেদিনের বিবরণে?***

উত্তর: এই বিশিষ্ট ক্রিয়াপদটির অর্থ সামনে পাওয়া বা সুযোগ পাওয়া। লেখক যখন কবিকে বললেন ওখানকার ঠাকুরবাড়িতে উঠেছি, তখন কবি বলেন এছাড়া ঠাকুরবাড়ি কোথায়। এরপর দু চারটি কথার পর তার বাক্যবাণ ছুটতে লাগল। সেই বাণে লেখক বারংবার বিদ্ধ হচ্ছেন এবং এপাশে ওপাশে হাসির রোল উঠেছে।

১৬.৬ ‘কালিম্পঙে টেলিফোন ছিল না, এই উপলক্ষ্যে তার প্রথম উদ্বোধন’-কোন্ বিশেষ উপলক্ষ্যে, কীভাবে এই উদ্বোধন সম্পন্ন হলো?

উত্তর: ২৫ শে বৈশাখের সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর নিজের জন্মদিন উপলক্ষ্যে একটি নবরচিত কবিতা বেতারযোগে পাঠ করবেন। সে জন্য কলকাতায় বেতার কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ কলকাতা-কালিম্পঙের মধ্যে টেলিফোনের বন্দোবস্ত করেছিলেন।

সে জন্য গত কয়েকদিন ধরে পাহাড়ে পাহাড়ে টেলিফোনের খুঁটি গোনো হলো। টেলিফোনের কর্তৃপক্ষ এজন্য প্রচুর অর্থব্যয় করেছেন। কবি তার ঘরের আসনে বসে টেলিফোনে কবিতা পাঠ করবেন এবং বেতার কর্তৃপক্ষ তাঁর কণ্ঠস্বরটি সঙ্গে সঙ্গে ব্রডকাস্ট করবেন-এই ব্যবস্থা।

১৬.৭ “কিন্তু নৃপেন্দ্রবাবুর ফরমাশ শুনতেই হলো”- নৃপেন্দ্রবাবু কে? কী ছিল তাঁর ফরমাশ? কীভাবে তা শুনেছিলেন লেখক?***

উত্তর: নৃপেন্দ্রবাবু একজন বেতার বিশেষজ্ঞ। তিনি লেখককে কবি যে চেয়ারে বসবেন এবং কবিতা পাঠ করবেন সেই চেয়ারে বসে অলকাতাতে একবার ডাকতে বলবেন। যদি লেখকের গলায় যন্ত্রটি না ফাটে তবে আর ভয় নেই।

১৬.৮ জন্মদিনে কবির স্বকণ্ঠে বেতার-সম্প্রচারিত কবিতা শোনাবার মুহূর্তটি কীভাবে ধরা দিয়েছিল তাঁর শ্রোতাদের চেতনায়?

 উত্তর: যন্ত্রের সামনে কবি এসে বসলেন। একটি আলোর নিশানা গেয়ে কবির দীর্ঘ কণ্ঠের দীপ্ত মুর্ছনা উদ্ভাসিত হয়ে উঠলো। একটা মাথাচ্ছন্ন স্বপ্নালোকের মধ্যে সবাই যেন হারিয়ে গেল। শ্রোতাদের পায়ের নীচে কালিম্পং থরথর করতে লাগলো কিনা সে কথা তখন আর কারো মনে রইলো না। কবির কণ্ঠ বারংবার যত্নে ফিরে আসবে

সেটা ভেবে তাদের এই রোমাঞ্চ পুলক।

১৫.৮ গৌরীপুর প্রাসাদে কারা ছিলেন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গী?

উত্তর: রথীন্দ্রনাথ, এটর্নি হীরেন দত্ত, প্রতিমাদেবী, অনিলচন্দ্র, মৈত্রেয়ী আর চিত্রিতা-গৌরীপুর প্রাসাদে এঁরা ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গী।

১৫.৯ লেখকের অনুরোধে কোন পত্রিকার জন্য অনেকবার লেখা দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ?

উত্তর: লেখকের অনুরোধে ‘যুগান্তর’ পত্রিকার জন্যে অনেকবার লেখা দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

১৫.১ প্রাচীন পথ ধরে কোন্ তিনজন প্রসিদ্ধ বাঙালি অতীতে তিব্বতে গিয়েছিলেন?

উত্তর: প্রাচীন পথ ধরে যে তিনজন প্রসিদ্ধ বাঙালি অতীতে তিব্বতে গিয়েছিলেন, তাঁরা হলেন-অতীশদীপঙ্কর, রাজা রামমোহন রায়, শরৎচন্দ্র দাস।

১৫.২ কোন্ প্রাচীন পথের রেখা ধরে তাঁরা গিয়েছিলেন?

উত্তর: গ্যাংটক থেকে নাথুলা গিরিসংকট হলো মাত্র ছাব্বিশ মাইল।

এখান থেকে জেলাপ-লা-এ গিরিসংকট, তারপর তিব্বত সীমানা। এভাবে তারা প্রাচীন পথের রেখা ধরে গিয়েছিলেন।

১৫.৩ এখনকার পর্যটকরা এই প্রাচীন পথটি পরিহার করেন কেন?

 উত্তর: পর্যটকদের এই প্রাচীন পথটি পরিহারের কারণ হলো-প্রাচীন পথে দুর্যোগ বেশি ও দুঃসাধ্যও বটে।

১৫.৪ কোন্ দুই বিখ্যাত বাঙালি তিব্বতে গিয়ে বোধিসত্ত্ব উপাধি লাভ করেছিলেন?

উত্তর: অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান ও যশোহর রাজপুত শান্ত রক্ষিত- এই দুই বিখ্যাত বাঙালি তিব্বতে গিয়ে বোধিসত্ত্ব উপাধি লাভ করেছিলেন।

১. বন্ধনীতে দেওয়া একাধিক উত্তরের মধ্যে ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে নীচের বাক্যগুলি আবার লেখো:  

উত্তর:

১.১ লামারো রাজকীয় সম্বর্ধনা জানিয়েছিলেন রাজপুত্র শান্ত রক্ষিতকে।

১.২ তিব্বতীদের প্রধান ব্যাবসা পশম-এর।

১.৩ কালিম্পঙের ল্যান্ডমার্ক বড়ো গির্জা।

১.৪ রবীন্দ্রনাথের হাতে লেখক তুলে দিয়েছিলেন যুগান্তর পত্রিকার ‘রবীন্দ্রজয়ন্তী সংখ্যা’।

১.৫ নবরচিত একটি কবিতা রেডিওতে আবৃত্তি করতে রবীন্দ্রনাথের সময় লেগেছিল পনেরো মিনিট।

২. ঘটে যাওয়া ঘটনার ক্রম অনুযায়ী নীচের এলেমেলো ঘটনাগুলি সাজিয়ে লেখো:

উত্তর:

২.৩ ২৫ বৈশাখের সন্ধ্যায় জন্মদিন উপলক্ষ্যে রবীন্দ্রনাথ দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি কবিতা পাঠ করবেন।

২.৭ কবির জন্মদিনের কবিতা পাঠের জন্য কলকাতা কালিম্পঙের মধ্যে টেলিফোনের বন্দোবস্ত হলো।

২.৫ সেজন্য পাহাড়ে টেলিফোনের খুঁটি বসানো এবং তার খাটনো হলো কদিন ধরে।

২.২ কবি তাঁর ঘরের আসনে বসে টেলিফোনে কবিতা পাঠ করবেন।

২.৬ বেতার কর্তৃপক্ষ কবির কণ্ঠস্বরটি ধরে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে প্রচার করবেন, তাই এই ব্যবস্থা।

২.৪ প্রস্তুতির সময়ে নরম মখমল বসানো চেয়ারে বসে কয়েকবার ডাকলুম, হ্যালো ক্যালকাটা,… হালো…?

২.১ কলকাতা থেকে তৎক্ষণাৎ জবাব এলো- ‘ওকে’।

৩. নীচের বাক্যগুলিতে দাগ দেওয়া শব্দগুলোর অনুরূপ শব্দ পাঠ্য অংশটিতে পাবে। উপযুক্ত শব্দ খুঁজে নিয়ে বাক্যগুলি আবার লেখো:

উত্তর:

৩.১ শরৎচন্দ্র দাসের ভ্রমণবৃত্তান্ত থেকেই প্রথম তিব্বতের কথা জানা যায়।

৩.২ এই পথে তিনজন জগদ্বিখ্যাত বাঙালি তিব্বতে গিয়েছিলেন।

৩.৩ সবার আগোচরে ছদ্মবেশে নেতাজি সুভাষচন্দ্র। একদিন কলকাতা ছেড়ে গিয়েছিলেন।

৩.৪ ভুল মানুষমাত্রেরই হতে পারে, তবে স্বীকারোক্তির সাহসও থাকা উচিত।

৩.৫ কর্তৃপক্ষ, এ কাজের জন্য আগে তাদের ছাড়পত্র প্রয়োজন।

৩.৬ স্বনামখ্যাত, ভারতবরেণ্য, সম্বর্ধনার আয়োজন হয়েছে এই সভায়।

৪. নীচের বাক্যগুলিতে যে ইংরেজি শব্দগুলি আছে, তার বদলে বাংলা শব্দ বসিয়ে বাক্যগুলি আবার লেখো: (বাংলা শব্দের জন্য পাশের শব্দঝুড়ির সাহায্য নিতে পারো) পথনির্দেশক, চিহ্ন, সম্প্রচার, ঘণ্টা, মহাকাব্য, দূরভাষ, খাবারঘর, গড়িচালক

উত্তর: ইংরেজি শব্দের পরিবর্তে বাংলা শব্দের ব্যবহার

৪.১ চিকিৎসক গৃহিণীর খাবার ঘরে প্রাতরাশ সারা হলো।

৪.২ অত বড়ো মহাকাব্য পৃথিবীর কোনো কালের কোনো সাহিত্যে নেই।

৪.৩ কালিম্পঙে দূরভাষ ছিল না।

৪.৪ বেতার কর্তৃপক্ষ তাঁর কণ্ঠস্বর সঙ্গে সঙ্গে সম্প্রচার করবেন।

৪.৫ ভোরে আমার গাড়িচালক এল গাড়ি নিয়ে।

৪.৬ একটা বুঝি ঘণ্টা বাজল।

৪.৭ গির্জাটা হলো কালিম্পঙের পথ নির্দেশক।

১০. নীচের বিশেষ্যগুলিকে বিশেষণে বদলে লেখো:

উত্তর: শব্দগুলির বিশেষ্য থেকে বিশেষণ করলে হয় এমন-প্রণাম-প্রণম্য। পৃথিবী-পার্থিব। অনুরোধ-অনুরুদ্ধ। উদবোধন-উদরোধিত। পূজা পূজিত। পুলক-পুলকিত। উদবেগ-উদ্বিগ্ন, আশঙ্কা-আশঙ্কিত।

১১. নীচের বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে বদলে লেখো:

উত্তর: শব্দগুলির বিশেষণ থেকে বিশেষ্য করলে হয় এমন- বৈদান্তিক-বেদান্ত। অভিজাত-আভিজাত্য। নবরচিত-নবরচনা। উচ্ছ্বসিত-উচ্ছ্বাস। প্রসিদ্ধ-প্রসিদ্ধ। প্রচুর প্রাচুর্য। প্রচলিত-প্রচলন। প্রধান- প্রাধান্য।

১২. নীচের শব্দগুলির সন্ধি ভেঙে লেখো:

উত্তর: শব্দগুলির সন্ধি ভেঙে করলে হয় এমন-শশাঙ্ক- – শশ+অঙ্ক। রথীন্দ্র-রথী+ইন্দ্র। হিমালয় হিম+আলয়। নৃপেন্দ্র-নৃপ+ইন্দ্র। সর্বাপেক্ষা-সর্ব+অপেক্ষা। স্বীকারোক্তি- স্বীকার উক্তি। অন্যান্য অন্য+অন্য। শয়ান-শৈ+অন। রক্তিমাভা-রক্তিম আভা। সম্বর্ধনা-সম+অভ্যর্থনা। যুগান্তর- যুগ+অন্তর। উন্নতি-উৎ+নতি। মায়াচ্ছন্ন- মায়া+আচ্ছন্ন। – অপরিচ্ছন্ন-অ+পরি+ছন্ন। অপরাহ্ন-অপর+হ্ন। দিগ্বলয়- দিক+বলয়। সর্বাধিক- সর্ব+অধিক। বারম্বার-বারংবার। উদ্ববোধন- উৎ+বোধন। উচ্ছ্বসিত-উৎ+শ্বসিত।

Long Question Answer

১৭.১ এ-লেখায় একটা হারিয়ে-যাওয়া সময়ের ছবি আছে, ভারতবর্ষ তথা বাংলার শ্রেষ্ঠ কয়েকজন সন্তানের কথাআছে, যাঁদের সঙ্গে একসময় তিব্বতের নিবিড় যোগ রচিত হয়েছিল। লেখাটি অনুসরণ করে বাংলার ওই শ্রেষ্ঠ মানুষগুলি সম্পর্কে তোমার যে ধারণা হয়েছে, নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তর: ভারতবর্ষ থেকে যেসব শ্রেষ্ঠ সন্তান তিব্বতে গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে তিনজন জগৎ বিখ্যাত সন্তান হল-অতীশ দীপঙ্কর, রাজা রামমোহন রায় ও শরৎচন্দ্র দাস। লেখক প্রবোধকুমার সান্যালের ওই তিব্বতের যোগ যে কতটা নিবিড় ছিল তা ধরা পড়েছে। গৌতমবুদ্ধের যার তিব্বতবাসীরা তাঁর মূর্তি আজও বোধিসত্ত্ব জ্ঞানে পূজা করে। এরপরে গেছেন রাজা রামমোহন রায়। তৃতীয় ব্যক্তি ছদ্মবেশে গিয়েছিলেন তাঁর নাম শরৎচন্দ্র দাস। শরৎচন্দ্র দাসের ভ্রমণ বৃত্তান্ত শুনে আমরা তিব্বতের বিষয় জানতে পারি।

বাংলা তথা ভারতবর্ষের গর্ব ওইসব বাঙালিরা তিব্বতে গিয়ে ভরতবর্ষের নাম শ্রেষ্ঠ আসনে বসিয়ে এসেছেন। আর যাঁর কথা না জলেই নয় তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথ কালিম্পঙে নিজের জন্মদিন উপলক্ষ্যে তাঁর নিজের রচিত একটি কবিতা বেতার সংযোগে গউকরেন। কবির কবিতা পাহাড়ে পাহাড়ে ছড়িয়ে পড়ল। কালিম্পঙের এই দুর্গম পথকে অতিক্রম করে তাঁরা সবাই তাদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে গেছেন। ভারতবর্ষের এই সব সন্তানরা সবার কাছে নমস্য ও গ্রীদের নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

১৭.২ এই লেখার একটি প্রধান চরিত্র রবীন্দ্রনাথ আর তাঁর ব্যক্তিত্বময় উপস্থিতি। কালিম্পং শহরে অতিবাহিত তাঁর একটি বিশেষ

জন্মদিন উদ্যাপনের সম্পূর্ণ ছবিটি যেভাবে এখানে ফুটে উঠেছে, তার পরিচয় দাও। উত্তর: কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কালিম্পং গিয়ে তাঁর নিজের জন্মদিনে

তিনি দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তাঁর নিজের রচিত একটি কবিতা পাঠ করবেন। এজন্য বেতার কর্তৃপক্ষ কলকাতা কালি পড়ির মতো আর অর্থব্যয় করে টেলিফোনের ব্যবস্থা করেছিলেন। কবি তাঁর ঘরের সামনে বসে টেলিফোনে কবিতা পাঠ করবেন এবং বেতার কর্তৃপক্ষ তাঁর কণ্ঠস্বরটি ধরে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ব্রডকাস্ট করবেন, এই ছিল ব্যবস্থা। কবি মাঝে মাঝে ভীষণ শব্দে গলা ঝাড়া দেন। কিন্তু কাব্য পাঠ কালে সেই আওয়াজটির দাপটে সূক্ষ্ম যন্ত্রটা বিদীর্ণ হয়ে যাবে কিনা তার জন্য নৃপেনবাবু নিজে পরীক্ষা করতে বসলেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা কিংবা আটটা কবি গিয়ে বসলেন যন্ত্রের সামনে কবি মাত্র পনেরো মিনিট কবিতা পাঠ করলেন। কবির দীপ্ত কণ্ঠের মূর্ছনা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল। সেদিন বাইরে জ্যোৎস্নার আলো চাদরের মতো ছড়িয়ে ছিল। ফলে মায়াচ্ছন্ন স্বপ্নালোকে সেদিন প্রত্যেকে হারিয়ে গেল এবং ভুলে গেলো নিজেদের অস্তিত্ব।

১৭.৩ ইতিহাস-ভূগোলের ইতিবৃত্তে জড়ানো কালিম্পং নামে একটা শহরকে নতুন করে চিনতে তোমার কেমন লাগল, একটা অনুচ্ছেদে তা লেখো।

উত্তর: কালিম্পং হলো অসাধারণ একটি শৈল শহর। এখান থেকেই পথ চলে গিয়েছে তিব্বতের দিকে। এর যে পথ উত্তরদিকে এগিয়ে গিয়েছে সেখানে একাধিক পশমের ঘাঁটির কথা উল্লেখ করেছেন লেখক। অসংখ্য তিব্বতী আর মাড়োয়ারীরা ব্যাবসার কারণে পথের দুপাশে বসবাস করেন। এরা এই ব্যাবসা করে লাভবান হয়েছেন।

এখানকার আকাশ মেঘময়। চারিদিকে প্রকৃতির অপূর্ব শোভা দেখা যায়। ভোর থেকেই শীতের কনকনে হাওয়া দিতে থাকে। বড়ো একটি সুন্দর গির্জা আছে। এই গির্জাটি হলো কালিম্পংয়ের ল্যান্ডমার্ক। এখানকার গৌরীপুর প্রাসাদে বাস করেছেন স্বয়ং কবি রবীন্দ্রনাথ।

‘দেবতাত্মা হিমালয়’ নামাঙ্কিত এই ভ্রমণ সাহিত্যের লেখক কালিম্পংয়ের সর্বত্র ঘুরেছেন। তিনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে বিমুগ্ধ হয়েছেন। পাহাড়ি-প্রকৃতির অপূর্ব সেই ছবি দেখে লেখক বিমুগ্ধ হয়েছেন। প্রকৃতির এমন অপরূপ রূপ মনে মনে কল্পনা করে আমরাও অভিভূত হয়ে পড়ি। ইতিহাস-ভূগোলের ইতিবৃত্তে জড়ানো এই কালিম্পংয়ের পথ বেয়ে তিব্বতে গিয়েছেন যাঁরা, তাঁরা বিশ্ববিশ্রুত ব্যক্তিত্ব। তাঁদের কথা ভাবলে অবাক হতে হয়।

 ১. শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর (৯৮০-১০৫৩)।

তিব্বতী আখ্যান অনুসারে অতীশ দীপঙ্কর হলেন বিক্রমণিপুররাজ কল্যাণশ্রীর পুত্র। বৌদ্ধশাস্ত্রে জ্ঞানার্জনের জন্যে তিনি ভারতের বিভিন্ন বিহার এবং ভারতের বাইরে সিংহল, সুবর্ণদ্বীপ প্রভৃতি স্থান ভ্রমণ করেন। তিব্বতরাজ জ্ঞানপ্রভর আমন্ত্রণে ১০৪০ খ্রিস্টাব্দে তিনি তিব্বতে যান। তিব্বতে অতীশ দীপঙ্কর ভগবান বুদ্ধের অবতার রূপে পূজিত হন। তিব্বতী ভাষায় লিখিত ও অনূদিত তাঁর বিভিন্ন গ্রন্থের লিপি পাওয়া যায়। এছাড়া তিনি স্বয়ং ‘রত্নকরন্ডোঘাট’, ‘বোধিপাঠ প্রদীপ পঞ্জিকা’, ‘বোধিপাঠপ্রদীপ’ প্রভৃতি গ্রন্থ এবং সম্রাট নয়পালের উদ্দেশে ‘বিমলরত্নলেখ’ নামক পত্র রচনা করেন। ‘চর্য্যাসংগ্রহ প্রদীপ’ নামক ধর্মগ্রন্থে অতীশ-রচিত অনেকগুলি সংকীর্তনের পদ পাওয়া যায়।

লেখক প্রবোধকুমার সান্যাল অতীশ দীপঙ্করের তিববত যাত্রার কথা হন। শুনিয়েছেন। এই শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী দীর্ঘ তেরো বছর তিব্বতে বাস করার পর লাসার কাছে দেহান্তরিত হন। রাজধানী লাসার নিকট নেথালে তাঁর সমাধি রয়েছে।

২. রাজা রামমোহন রায় (১০.৫.১৭৭৪-২৭.৯.১৮৩৩)। আধুনিক ভারতের জনক রামমোহন কাশীতে সংস্কৃত শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৫ বছর বয়সে তিনি বিভিন্ন জায়গায় পরিভ্রমণ করেন। ধর্ম-দর্শন সম্পর্কে গভীরভাবে পাঠ গ্রহণ করেছিলেন শিক্ষক হরিহরানন্দের কাছে। তিনি রক্ষণশীল হিন্দুদের কাছে প্রবল প্রতিদ্বন্দীরূপেই চিহ্নিত হতে থাকেন। ২০.৮.১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে দ্বারকানাথ ঠাকুর প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সহযোগিতায় তিনি ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠিত করেন। রামমোহন রায় অন্যতম

বাঙালি কৃতি সন্তান; যিনি তিব্বতে গিয়েছিলেন।

৩. শরৎচন্দ্র দাস (১৬.৭.১৮৪৯-৫.১.১৯১৭)।

শরৎচন্দ্র দাস ছিলেন প্রখ্যাত পরিবা৫-১-১৯১৭) ধধর্মের অন্যতম গবেষক। ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে দার্জিলিং ভুটিয়া স্কুলের প্রধান

হন এবং এখানেই তিব্বতী ভাষা শেষে বোর্ডিং স্কুলের প্রধান শিক্ষক ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দে তিব্বতের রাজধানী লাসায় যান। প্রথমবার যখন তিব্বতে যান সে-সময়ে তিব্বতে বিদেশি লোকের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ ছিল। তাই সেখানকার প্রাচীন পুথিপত্র এবং ধর্ম ও পৌরাণিক তথ্যাদি সংগ্রহের জন্য অতি সন্তর্পণে বিপজ্জনক পথে তাঁকে যেতে হয়েছিল।

দ্বিতীয়বার লাসায় তিনি ত্রয়োদশ দালাই লামার দর্শনলাভে সমর্থ হন। তিব্বতী ভাষা ও বৌদ্ধ ধর্ম সম্বন্ধে তাঁর গভীর জ্ঞানের পরিচয় পেয়ে লামারা তাঁকে ‘পুন্ডিবলা’ অর্থাৎ পন্ডিতমশাই বলে সম্বোধন করতেন। তিব্বত ভ্রমণকালে তিনি হিমালয় গিরিশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার ও তিব্বতের বহু অজানা ভৌগোলিক তথ্য সংগ্রহ করেন এবং বহু পুথিপত্র

নিয়ে দেশে ফেরেন।

১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে শরৎচন্দ্র দাস ‘Buddhist Text Society’

স্থাপন করেন। ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে লন্ডনের ‘রয়াল জিয়োগ্রাফিক্যাল সোসাইটি’ তাঁর রচিত ‘তিব্বত ভ্রমণ বৃত্তান্ত’ গ্রন্থ প্রকাশ করে ও ওই সোসাইটি কর্তৃক তিনি পুরস্কৃত হন। ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে ‘Tibetan-

English Dictionary’ গ্রন্থ রচনা শেষ করেন।

৪. শান্ত রক্ষিত (৭০৫-৭৬২)।

অষ্টম শতাব্দীর প্রথম ভাগে তিব্বতের রাজা যে দুজন বাঙালি পন্ডিতকে তাঁর রাজ্যে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের জন্য নিয়ে যান, শান্ত রক্ষিত তাঁদের অন্যতম। তিনি নালন্দা মহাবিহারের অধ্যক্ষপদে নিযুক্ত ছিলেন। তিব্বতীয়েরা তাঁকে আচার্য ‘বোধিসত্ত্ব’ নামে সম্বোধন করতেন।

তাঁর সম্মানার্থে তিব্বতের রাজা লাসায় একটি বৌদ্ধমঠ নির্মাণ

করেছিলেন। বিখ্যাত বৌদ্ধ দার্শনিক গ্রন্থ ‘তত্ত্বসংগ্রহ’, ‘মধ্যমকালঙ্কারকারিকা’ ও তার বৃত্তি এবং ‘সত্যদ্বয়বিভঙ্গ পঞ্জিকা’ নামে মহাযানী গ্রন্থগুলির তিনি রচয়িতা।

২.২ “সমগ্র পাহাড় নিয়ে এ এক বিরাট কীর্তি।” কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি। এখানে লেখক কোন্ কীর্তির কথা বলেছেন?***

উত্তর: লেখক প্রবোধকুমার সান্যাল প্রণীত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ নামাঙ্কিত গল্প থেকে উদ্ধৃত উক্তিটি গৃহীত হয়েছে। কালিম্পং-এর বড়ো গির্জার পাশ দিয়ে চড়াই-পথ দিয়ে অগ্রসর হলে গ্রেহামস হোম পাওয়া যায়। এখানে অভিভাবকহীন ছেলেমেয়েরা পড়াশুনো করে।

সেই বিষয়টি আলোচনা প্রসঙ্গে আলোচ্য এই উক্তি।

• ভোর থেকে আকাশ ছিল মেঘময়, শীতের হাওয়া বইছিল

কনকন করে। লেখক কালিম্পংয়ের বড়ো গির্জাটার পাশ দিয়ে গ্রেহামস হোমের দিকে এগিয়ে যান। তিনি জানিয়েছেন, এখানে অ্যাংলো ইন্ডিয়ান সাহেব সুবার অভিভাবকহীন ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা করে মানুষ হয়। সমগ্র পাহাড় নিয়ে সে এক বিরাট কীর্তি। পরিচালনা ব্যবস্থা সমস্তই খাঁটি সাহেব-মেমদের হাতে। লেখক এই হোম দেখে অভিভূত

হয়েছিলেন।

২.৩ “কিন্তু কালিম্পং চোখে পড়েনি।” কালিম্পং চোখে না পড়ার কারণ কী ?**

উত্তর: লেখক প্রবোধকুমার সান্যাল প্রণীত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ নামাঙ্কিত গল্প থেকে উদ্ধৃত উক্তিটি গৃহীত হয়েছে। লেখক ঘণ্টা তিনেক কালিম্পঙের বড়ো গির্জার চারপাশে ঘুরে উপস্থিত হয়েছিলেন ডা. দাশগুপ্তের পাড়ায় যেটা অভিজাত পল্লি। এরই একপাশ দিয়ে সংকীর্ণ গলির নীচে নেমে যে মন্দিরটি ছিল তার চত্বরে এসে দাঁড়ান লেখক। সেইসময় লেখকের মনে বহুদিন আগের কথা মনে আসে। কেননা, অনেকদিন আগে, অর্থাৎ বছর ১৪ আগে লেখক এখানে রাত্রিবাস করে গিয়েছিলেন। এটির নাম ছিল ঠাকুরবাড়ি। আজও সে নামটি আছে। সেদিন কালিম্পঙে এসে অবশ্য এই পাহাড়ে ঘেরা শহরটিকে তিনি ভালো করে দেখতে পাননি। কেননা, মহাকবি রবীন্দ্রনাথের বিরাট ব্যক্তিত্ব সেদিন সমগ্র হিমালয়কে চোখের আড়াল করে দিয়েছিল।

২.৪ “মনে পড়ে সেই ২৫ বৈশাখের অপরাহ্ন”। কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি এই বিশেষ দিনটির কথা লেখকের কেন মনে পড়েছিল?

উত্তর: লেখক প্রবোধকুমার সান্যাল প্রণীত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ নামাঙ্কিত গল্প থেকে উদ্ধৃত উক্তিটি গৃহীত হয়েছে। কালিম্পং-এ এসেও লেখক এই শৈত্য শহরটিকে ভালো করে দেখতে পাননি। কেননা, সেদিন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কালিম্পং-এ ছিলেন। সুতরাং, তিনি যেন হিমালয়কে আড়াল করে রেখেছিলেন। সেদিন কবির জন্মদিন ছিল। সেই স্মৃতি প্রসঙ্গে আলোচ্য এই উক্তিটি এসেছে।

• রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এমন এক ব্যক্তিত্ব যাঁর কাছে এলে জগতে আর কোনো কিছুর কথা মনে থাকে না। কবি ছিলেন সেদিন গৌরীপুর

প্রাসাদে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন হীরেন দত্ত, রথীন্দ্রনাথ, প্রতিমা দেবী, অনিল চন্দ, মৈত্রেয়ী দেবী এবং চিত্রিতা দেবী। লেখক সেদিন অমল হোমের কলম, রজনীগন্ধার গুচ্ছ এবং ‘যুগান্তর’ পত্রিকার ‘রবীন্দ্র জয়ন্তী সংখ্যা’ কবির হাতে তুলে দেন। সেদিন কবির কণ্ঠস্বরে জন্মদিনের কবিতার বেতারযোগে সম্প্রচারিত করেছিলেন কলকাতা বেতারের কর্তৃপক্ষ। সেই বিশেষ দিনটি লেখক ভুলতে পারেননি। এখানে সেই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

২.৫ “কবি সেদিন আমাকে বাগে পেয়েছিলেন।”কে, কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তিটি করেছে? বক্তা কেন এমনটি মনে করেছিলেন?**

উত্তর: লেখক প্রবোধকুমার সান্যাল প্রণীত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ নামাঙ্কিত গল্প থেকে উদ্ধৃত উক্তিটি গৃহীত হয়েছে। এখানে বক্তা হলেন স্বয়ং লেখক।

• কালিম্পং-এ কবির সঙ্গলাভ করেছিলেন প্রবোধকুমার সান্যাল। সেদিন ছিল ২৫ বৈশাখ। বহু মানুষ পরিবেষ্টিত কবিকে সেদিন সৌম্য, শান্ত ও পরিহাস রসিক লাগছিল। লেখকের সঙ্গে কবির পরিহাস নৈপুণ্যের পরিচয় প্রসঙ্গে আলোচ্য এই উক্তিটি করা হয়েছে।

• কবির পরিহাস রসিক বাক্যবাণে লেখক প্রবোধকুমার ধরাশায়ী হয়েছিলেন। পরিহাস-সরস সেই বাক্যবাণ এবং তার সঙ্গে হাসির রোল উঠছিল বারে বারে। এজন্যে লেখক বলেছেন সেদিন তাঁকে পেয়ে কবি রীতিমতো পরিহাস নৈপুণ্যের পরিচয় দিয়েছিলেন।

২.৬ “এই ছিল ব্যবস্থা।”-কারা, কী ব্যবস্থা করেছিলেন?

উত্তর: লেখক প্রবোধকুমার সান্যাল প্রণীত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ নামাঙ্কিত গল্প থেকে উদ্ধৃত উক্তিটি গৃহীত হয়েছে। কলকাতা বেতার

কর্তৃপক্ষ কবিকণ্ঠের আবৃত্তি সম্প্রচারিত করবার ব্যবস্থা করেছিলেন। • কালিম্পং-এ বসে কবি জন্মদিন উপলক্ষে নিজের কণ্ঠ থেকে কবিতা পাঠ করবেন। কলকাতা বেতারের কর্তৃপক্ষ তার সমস্ত আয়োজন করেছেন। কালিম্পং-এ টেলিফোন ছিল না। রবীন্দ্রনাথের কবিতা পাঠ উপলক্ষে তার প্রথম উদ্বোধন। সেজন্যে পাহাড়ে পাহাড়ে টেলিফোনের খুঁটি বসানো হয়েছিল। কয়েকদিন আগে তার খাটানো হয়েছে। টেলিফোনের কর্তৃপক্ষ এজন্যে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছিলেন। কবি তাঁর ঘরের আসনে বসে টেলিফোনে কবিতা পাঠ করবেন। বেতার কর্তৃপক্ষ তাঁর কণ্ঠস্বরটি ধরে নিয়ে সঙ্গে-সঙ্গে ব্রডকাস্ট করবেন। এমনটি ব্যবস্থা হয়েছিল। অর্থাৎ এই ব্যবস্থা হয়েছিল ত্রুটিহীন এবং সর্বাঙ্গসুন্দর।

২.৭ “ওটা যে কবির আসন।”-কে, কোন্ প্রসঙ্গে এই উপলব্ধিটি করেছেন? এই বিস্ময়ের কারণ কী?***

উত্তর: লেখক প্রবোধকুমার সান্যাল প্রণীত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ নামাঙ্কিত গল্প থেকে উদ্ধৃত উক্তিটি গৃহীত হয়েছে। এই উপলব্ধি করেছেন স্বয়ং লেখক।

• বেতার বিশেষজ্ঞ নৃপেন্দ্র মজুমদার কবির কাব্যপাঠ কালে সূক্ষ্ম যন্ত্রটা বিদীর্ণ হয়ে যাবে কি না, সেই আশঙ্কায় লেখককে স্বর পরীক্ষার কথা বলেন। কিন্তু কবির আসনে বসে স্বর পরীক্ষা কী করে সম্ভব, সেই প্রসঙ্গে এই উক্তি।

• নৃপেন্দ্র মজুমদার কবির চেয়ারে বসে যন্ত্রে মুখ রেখে লেখক প্রবোধকুমারকে জানিয়েছিলেন তিনি যেন ভালো করে পরীক্ষা করে।নেন। কেননা, মহাকবি ভীষণ শব্দে মাঝে-মধ্যেই গলা ঝাড়া দেন। সেদিন কাব্যপাঠ-কালে এমন আওয়াজটির দাপটে সূক্ষ্ম যন্ত্রটা বিদীর্ণ হয়ে যাবে কিনা সেই আশঙ্কা ছিল কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথের। তাই নৃপেনবাবু লেখককে স্বর পরীক্ষা করতে বলেছিলেন। কিন্তু কবির আসনে বসে স্বর পরীক্ষা রীতিমতো একটা বিস্ময়কর ব্যাপার ছিল।

২.৮ “ভুলে গিয়েছিলুম পরস্পরের অস্তিত্ব।”- উদ্ধৃত উক্তিটি কার? কীভাবে ‘পরস্পরের অস্তিত্ব’ ভুলে গিয়েছিলেন তা রচনা অনুসারে লেখো।**

উত্তর: লেখক প্রবোধকুমার সান্যাল প্রণীত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ নামাঙ্কিত গল্প থেকে উদ্ধৃত উক্তিটি গৃহীত হয়েছে। আলোচ্য উক্তিটি করেছেন স্বয়ং লেখক।

• কালিম্পং থেকে কলকাতা পর্যন্ত টেলিফোন যোগাযোগের মাধ্যমে কবিকণ্ঠ থেকে উচ্চারিত কবিতা দেশবাসীকে শোনাতে চেয়েছিলেন কলকাতা বেতার কর্তৃপক্ষ। পনেরো মিনিট সেই কবিতা পাঠের আয়োজন ছিল। কবিকণ্ঠ থেকে সেই কবিতা পাঠ শুনে তাঁর প্রিয়জনেরা আনন্দে আপ্লুত হয়েছিলেন। কবি জানিয়েছেন, তাঁদের পায়ের নিচে সেদিন সমস্ত কালিম্পং থরথর করে কাঁপছিল। বাইরের জ্যোৎস্না অপূর্ব রঙে নিজেকে সাজিয়ে রেখেছিল। একটা মায়াচ্ছন্ন স্বপ্নলোকের মধ্যে লেখকরা হারিয়ে যাচ্ছিলেন। আনন্দের আতিশয্যে লেখকরা ভুলে গিয়েছিলেন পরস্পরের অস্তিত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *