Class 8 Chapter 10 Bengali Medium
পরিবেশের সংকট ও সংরক্ষণ
1. MCQs Question Answer
1. নীচের কোন্ শব্দটি উদ্ভিদ সমষ্টি বোঝায়?
(a) সমুদ্র
(b) পাহাড়
(c) বন
(d) কোনোটিই নয়
উত্তর: (c) বন
2. একটি গাছ 50 বছর বেঁচে থাকলে তার জীবদ্দশায় কতখানি অক্সিজেন ত্যাগ করে?
(a) 270 কেজি
(b) 2700 কেজি
(c) 200 কেজি
(d) 2000 কেজি
উত্তর: (b) 2700 কেজি
3. বনের একদম ওপরের স্তরকে বলে-
(a) ছাদ
(b) মেঝে
(c) ব্যালকনি
(d) কোনোটিই নয়
উত্তর: (a) ছাদ
4. সূচের মতো পাতাযুক্ত গাছের বনের একটি উদ্ভিদ হল-
(a) পাইন
(b) ক্যাকটাস
(c) গরান
(d) বট
উত্তর: (a) পাইন
5. পাতা ঝরা গাছের বনে দেখা যায়-
(a) ভালুক
(b) হাতি
(c) ভোঁদর
(d) চিংকারা
উত্তর: (b) হাতি
6. বাদাবনে পাওয়া যায়-
(a) বাঘ
(b) গরান
(c) খাড়ির কুমির
(d) সবকটি
উত্তর: (d) সবকটি
7. বর্ষাবন দেখা যায়-
(a) নিরক্ষরেখা বরাবর
(b) ক্রান্তীয় রেখা বরাবর
(c) মেরুরেখা বরাবর
(d) সর্বত্র
উত্তর: (a) নিরক্ষরেখা বরাবর
৪. বন কাটার ফলে অতিরিক্ত গরমে নষ্ট হয়-
(a) অক্সিজেন চক্র
(b) কার্বন ডাই অক্সাইড চক্র
(c) জলচক্র
(d) বায়ুচক্র
উত্তর: (c) জলচক্র
9. উত্তরবঙ্গের প্রাকৃতিক বনাঞ্চল সংকুচিত হওয়ার কারণ-
(a) চা বাগান
(b) গাছ কাটা
(c) রেল লাইন তৈরি করা
(d) সবকটি
উত্তর: (d) সবকটি
10. পাকা ফল মাটিতে পড়ার আগে অঙ্কুরোদ্গম ঘটে যে উদ্ভিদে-
(a) গরান
(c) বট
(b) সুন্দরী
(d) আম
উত্তর: (a) গরান
11. সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ “আন্তর্জাতিক বনবর্ষ” বলে ঘোষণা করেছেন-
(a) 2011 সালকে
(b) 2012 সালকে
(c) 1911 সালকে
(d) 2005 সালকে
উত্তর: (a) 2011 সালকে
সমুদ্রের নীচের জীবন ও সমুদ্রের জীব
12. সমুদ্রের ইউফোটিক অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়-
(a) প্রবাল প্রাচীর
(b) ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন
(c) জুপ্ল্যাঙ্কটন
(d) ছোটোমাছ
উত্তর: (b) ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন
13. তারামাছের বাহুর সংখ্যা-
(a) 3
(b) 5
(c) 8
(d) 4
উত্তর: (b) 5
14. সমুদ্রের গভীরে গেলে যেটি ঘটে-
(a) তাপমাত্রা কমে
(b) অন্ধকার বাড়ে
(c) জলের চাপ বাড়ে
(d) সবকটি
উত্তর: (d) সবকটি
15. ঠান্ডা আলো তৈরিতে সাহায্য করে-
(a) লুসিফেরিন
(b) অক্সিজেন
(c) লুসিফারেজ
(d) সবকটি
উত্তর: (d) সবকটি
16. সিলিকা নির্মিত কোশ প্রাচীর দেখা যায়-
(a) ডায়াটমে
(b) জিনোফ্ল্যাজেলেটে
(c) কেলেপ
(d) অক্টোপাসে
উত্তর: (a) ডায়াটমে
17. স্কুইড শিকার করে-
(a) শোষকযন্ত্র দিয়ে
(b) নালিপথ দিয়ে
(c) ফ্ল্যাজেলা দিয়ে
(d) সিলিয়া দিয়ে
উত্তর : (a) শোষকযন্ত্র দিয়ে
18. মানুষখেকো শার্ক হল-
(a) বাস্কিং শার্ক
(b) হোয়েল শার্ক
(c) হ্যামার হেডেড শার্ক
(d) কোনোটিই নয়
উত্তর: (c) হ্যামার হেডেড শার্ক
19. দৈত্যাকার অক্টোপাস দেখা যায়-
(a) প্রশান্ত মহাসাগরে
(b) আটলান্টিক মহাসাগরে
(c) ভারত মহাসাগরে
(d) সবকটিতে
উত্তর: (a) প্রশান্ত মহাসাগরে
20. সমুদ্রের জলের রং লাল হয় যার সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে, সেটি হল-
(a) ডায়াটম
(b) জিনোফ্ল্যাজেলেট
(c) সীপেন
(d) কেল্প
উত্তর: (b) জিনোফ্ল্যাজেলেট
21. সমুদ্রের জলের অম্লত্ব বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হল পরিবেশে-
(a) O2 -র বৃদ্ধি
(b) CO2-র বৃদ্ধি
(c) N₂ বৃদ্ধি
(d) H2PO4 বৃদ্ধি
উত্তর: (b) CO2-র বৃদ্ধি
মরু অঞ্চলের জীবজগৎ
22. একটি ঠান্ডা মরুভূমি হল-
(a) সাহারা মরুভূমি
(b) থর মরুভূমি
(c) গোবি মরুভূমি
(d) আরবের মরুভূমি
উত্তর: (c) গোবি মরুভূমি
23. থর মরুভূমি অবস্থিত-
(a) গুজরাটে
(b) অসমে
(c) রাজস্থানে
(d) মহারাষ্ট্রে
উত্তর: (c) রাজস্থানে
24. মরুভূমিতে বছরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ-
(a) 20 cm-এর কম
(b) 50 cm-এর বেশি
(c) 100 cm-এর কম
(d) 120 cm-এর বেশি
উত্তর: (a) 20 cm-এর কম
25. মরু অঞ্চলের উদ্ভিদের পাতায় পত্ররন্ধ্রের সংখ্যা কম হয় কারণ-
(a) জল শোষণের জন্য
(b) বাষ্পমোচন কম করার জন্য
(c) সালোকসংশ্লেষের জন্য
(d) কোনোটিই নয়
উত্তর: (b) বাষ্পমোচন কম করার জন্য
26. মরু অভিযাত্রীরা জলের পিপাসা মেটাতে ব্যবহার করে-
(a) ফশুয়া গাছ
(b) মেশকুইট গাছ
(c) প্রিকলি পিয়ার
(d) সাগুয়ারো গাছ
উত্তর: (d) সাগুয়ারো গাছ
27. মরুভূমির বালিয়াড়িকে রক্ষা করে-
(a) ফশুয়া গাছ
(b) মেশকুইট গাছ
(c) সাগুয়ারো গাছ
(d) ক্যাকটাস
উত্তর: (b) মেশকুইট গাছ
28. কৃষ্ণসার হরিণ পাওয়া যায়-
(a) পার্বত্য অঞ্চলে
(c) থর মরুভূমিতে
(b) সমুদ্র উপকূলবর্তী জঙ্গলে
(d) সর্বত্র
উত্তর: (c) থর মরুভূমিতে
29. মরুভূমির জাহাজ হল-
(a) ক্যাঙারু
(b) উট
(c) জারবিল
(d) বাস্টার্ড
উত্তর: (b) উট
30. ইউনাইটেড নেশনস্ এর পক্ষ থেকে “আন্তর্জাতিক মরুভূমি ও মরুকরণ বর্ষ” ঘোষণা করা হয়-
(a) 2003 সালকে
(b) 2004 সালকে
(c) 2005 সালকে
(d) 2006 সালকে
উত্তর: (d) 2006 সালকে
মেরু অঞ্চলের জীবজগৎ
31. পেঙ্গুইনদের ডিম পাড়ার সময় হয়-
(a) গ্রীষ্মকালে
(b) বর্ষাকালে
(c) বসন্তকালে
(d) শীতকালে
উত্তর: (d) শীতকালে
32. মেরু ভালুককে বরফের ওপর দিয়ে হাঁটতে সাহায্য করে-
(a) থাবা
(c) সাদা লোম
(b) চর্বির আস্তরণ
(d) থাবার নীচের পুরু লোমের প্যাড
উত্তর: (d) থাবার নীচের পুরু লোমের প্যাড
33. এস্কিমো দেখা যায়-
(a) মরু অঞ্চলে
(b) সুমেরু অঞ্চলে
(c) কুমেরু অঞ্চলে
(d) পার্বত্য অঞ্চলে
উত্তরঃ (b) সুমেরু অঞ্চলে
34. মেরু ভালুক দেখা যায়-
(a) উত্তর মেরুতে
(b) দক্ষিণ মেরুতে
(c) ভারতে
(d) সবজায়গায়
উত্তর: (a) উত্তর মেরুতে
35. সুমেরুতে দেখা যায় না যে প্রাণীটি, সেটি হল-
(a) তিমি
(b) সী লায়ন
(c) পেঙ্গুইন
(d) সিল
উত্তর: (c) পেঙ্গুইন
বন্য প্রাণী সংরক্ষণ
36. এক্স সিটু সংরক্ষণ হল-
(a) অভয়ারণ্য
(c) বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ
(d) বোটানিক্যাল গার্ডেন
উত্তর: (d) বোটানিক্যাল গার্ডেন
37. রেড ডাটা বুক প্রকাশ করে সে সংস্থা, সেটি হল-
(b) জাতীয় উদ্যান
(a) IUCN
(b) WWF
(c) MAB
(d) UNESCO
উত্তর: (a) IUCN
38. শকুন সারা জীবনে ডিম পাড়ে-
(a) 1 টি
(c) 3 টি
(b) 2 টি
(d) অনেক
উত্তর: (a) 1 টি
39. ইকোলোকেশন দেখা যায়-
(a) বাঘরোলে
(b) শকুনে
(c) শুশুকে
(d) গন্ডারে
উত্তর: (c) শুশুকে
40. বন্যপ্রাণীর বিপন্নতার জন্য মানুষের যে আচরণ দায়ী নয়, সেটি হল-
(a) বনভূমির প্রসার ঘটানো
(b) পরিবেশ দূষণ
(c) চোরাশিকার
(d) বন কেটে ফেলা
উত্তর: (a) বনভূমির প্রসার ঘটানো
2. Very Short Question Answer
1. আদর্শ অরণ্যের কোন স্তর সর্বাপেক্ষা ঘটনাবহুল?
উত্তর: বনের মেঝের ঠিক ওপরের অংশ বা স্তর।
2. বনের কোন্ স্তরে উদ্ভিদরা সবচেয়ে বেশি খাদ্য তৈরি করে?
উত্তর: ছাদ বা Canopy স্তরে।
3. পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ফুসফুস কাকে বলে?
উত্তর: আমাজনের বর্ষাবনকে।
4. বর্ষাবনের মাথায় পড়া বৃষ্টির ফোঁটা মাটিতে আসতে কতটা সময় নেয়?
উত্তর: 10 মিনিট পর্যন্ত।
5. অ্যাকেরিয়ামের রঙিন মাছরা বেশির ভাগ কোথায় জন্মায়?
উত্তর: দক্ষিণ আমেরিকা বা এশিয়ার বর্ষাবনের জলে।
6. পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের অধিকাংশ অক্সিজেনের উৎপত্তি কোথায়?
উত্তর: বর্ষাবনে।
7. দাবানল কী?
উত্তর: বনে গাছে বা পাতায় ধরে যাওয়া আগুনকে দাবানল বলে।
৪. বৃক্ষচ্ছেদনের প্রাথমিক ফল কী?
উত্তর: বায়ুমণ্ডলে ০, এর হ্রাস ও CO₂ বৃদ্ধি
9. বনের কোন্ স্তরে হিউমাস তৈরি হয়?
উত্তর: বনের মেঝেতে।
10. মানুষের কার্যকলাপে আগামি কত বছরে বর্ষাবন পৃথিবী থেকে লুপ্ত হয়ে যাবে?
উত্তর: 100 বছরে।
11. উত্তরবঙ্গের বনভূমির একটি সংকট লেখো।
উত্তর: মানুষ ও হাতির সংঘাত।
12. পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম দিকে শালের জঙ্গলে হাতি কোথা থেকে আসে?
উত্তর: দলমা পাহাড় থেকে।
13. সমুদ্রের জলে কতটা লবণ থাকে?
উত্তর: সমুদ্রের জলে প্রায় 33-38 গ্রাম লবণ প্রতি হাজার গ্রাম জলে থাকে।
14. ঠেসমূলের কাজ কী?
উত্তর: নরম লবর্ণাক্ত মাটিতে গাছকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে রাখে ঠেসমূল।
সমুদ্রের নীচের জীবন ও সমুদ্রের জীব
15. ইউফোটিক অঞ্চল কাকে বলে?
উত্তর: সমুদ্রের ভেতরে যতটা দূর পর্যন্ত আলো প্রবেশ করে, তাকে ইউফোটিক অঞ্চল বলে।
16. ‘বায়োলুমিনিসে’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর: জীবের থেকে আসা আলো।
17. ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন কী?
উত্তর: জলে ভেসে বেড়ানো আণুবীক্ষণিক সালোকসংশ্লেষকারী উদ্ভিদ।
18. জুপ্ল্যাঙ্কটন কাকে বলে?
উত্তর: জলে ভেসে থাকা আণুবীক্ষণিক প্রাণী।
19. ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনের একটি ভূমিকা লেখো।
উত্তর: পরিবেশে কার্বনের ভারসাম্য বজায় রাখা।
20. দুটি ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনের নাম লেখো।
উত্তর: ডায়াটম, জিনোফ্ল্যাজেলেট।
21. ঠান্ডা আলোর জীবেদের দেহে কোন্ উৎসেচক থাকে?
উত্তর: লুসিফারেজ।
22. সাগরকুসুমের কর্ষিকা কী কাজ করে?
উত্তর: ছোটো মাছ বা অন্য প্রাণী শিকারে সাহায্য করে।
23. সীপেন বা সাগর কলম কি গমন করতে পারে?
উত্তর: না। সীপেন গমন করতে পারে না।
24. খোলসবিহীন একটি মোলাস্কার নাম লেখো।
উত্তর: অক্টোপাস।
25. অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে উন্নত চোখ ও মস্তিষ্ক কোন্ প্রাণীতে থাকে?
উত্তর: অক্টোপাস।
26. অক্টোপাস কীভাবে আত্মরক্ষা করে?
উত্তর: অক্টোপাস আক্রান্ত হলে দেহের কালি গ্রন্থি থেকে কালি ছিটিয়ে জল ঘোলা করে দিয়ে পালিয়ে যায়।
27. কোন্ অমেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহ টর্পেডোর মতো?
উত্তর: স্কুইডের।
28. স্কুইডের নিকট আত্মীয় কে?
উত্তর: কাটল ফিস।
29. দৈত্যাকার স্কুইড কত বড়ো হয়?
উত্তর: 50-60 ফুট লম্বা। এদের একটি বাহুর দৈর্ঘ্য 30 ফুট।
30. নালিপদ কী?
উত্তর: তারামাছের গমন অঙ্গ ও শিকার ধরার অঙ্গ।
31. অক্টোপাসের বাহুর সংখ্যা কয়টি?
উত্তর: ৪ (আট) টি
32. হাঙর মাছের চামড়ায় কী ধরনের আঁশ থাকে?
উত্তর: প্লাকয়েড আঁশ।
33. একটি মানুষখেকো হাঙরের নাম লেখো।
উত্তর: গ্রেট হোয়াইট শার্ক।
34. কোন্ মাছের কঙ্কাল কার্টিলেজ দিয়ে তৈরি?
উত্তর: হাঙরের।
35. কোন্ প্রাণীর বাহু ভেঙে গেলে ভাঙা বাহু থেকে নতুন বাহু তৈরি হয়?
উত্তর: তারামাছের।
36. অ্যালগাল ব্লুমের কারণে সামুদ্রিক জীবের মৃত্যু কীভাবে ঘটে?
উত্তর: শৈবাল থেকে নির্গত অধিবিষ যা অ্যালুরুমের ফলে সৃষ্ট হয়, সামুদ্রিক জীবের মৃত্যু ঘটায়।
মরু অঞ্চলের জীবজগৎ
37. মরুভূমিতে আধিক্য কোন্ জিনিসের?
উত্তর: বালির।
38. মরুভূমিতে তাপমাত্রা বা গরম বেশি কেন?
উত্তর: মরুভূমিতে বালি থাকায় জল মাটিতে শোষিত হয় না, সূর্যের আলোয় 90% বিকিরিত হয়। তাই মরুভূমিতে তাপমাত্রা বেশি।
39. মরূদ্যান কী?
উত্তর: মরুভূমিতে চারদিকের বালির মধ্যে অবস্থিত সামান্য জলাশয় ও গাছপালা ঘেরা অংশকে মরুদ্যান বলে।
40. মরু উদ্ভিদের মূলত্র শক্তপোক্ত হয় কেন?
উত্তর: জলের খোঁজে মাটির অনেক গভীরে মরুউদ্ভিদের মূল প্রবেশ করে। তাই মরু উদ্ভিদের মূলত্র শক্তপোক্ত হয়।
41. মেশকুইট গাছ মরুভূমির কোন্ অংশে জন্মায়?
উত্তর: মরুভূমির বালিয়াড়িতে মেশকুইট গাছ জন্মায়।
42. দৈত্যকার ক্যাকটাস কাকে বলে?
উত্তর: সাগুয়াকে দৈত্যাকার ক্যাকটাস বলে।
43. সাগুয়ারো গাছে কখন ফুল ফোটে?
উত্তর: রাত্রে সাগুয়ারো গাছে হলুদ রঙের ফুল ফোটে।
44. কোন্ গাছের ফল তরমুজের মতো দেখতে?
উত্তর: সাগুয়ারো।
45. উটের কুঁজে কী থাকে?
উত্তর: উটের কুঁজে চর্বি/ফ্যাট থাকে।
46. মরুভূমির গিরগিটি কখন শিকারের জন্য বেরিয়ে আসে?
উত্তর: সন্ধ্যের দিকে।
47. র্যাটল সাপ-এর শত্রু কে?
উত্তর: ঈগল।
48. থর মরুভূমির সবচেয়ে বড়ো পাখি কোন্টি?
উত্তর: বাস্টার্ড।
49. ভারতের জাতীয় পাখি কোথায় দেখা যায়?
উত্তর: থর মরুভূমিতে।
50. মরুভূমির ক্যাঙারু কাকে বলে?
উত্তর: জারবিলকে মরুভূমির ক্যাঙারু বলে।
51. সাহারা মরুভূমির অধিবাসীদের কী বলে?
উত্তর: বেদুইন।
52. সান বুশম্যান কারা?
উত্তর: কালাহারি মরুভূমিতে বসবাসকারী অধিবাসীদের সান বুশম্যান বলে।
53. আমেরকিার মরু অঞ্চলের অধিবাসীদের কী বলে?
উত্তর: রেড ইন্ডিয়ান।
54. বালির ভেতরে গর্ত করে থাকে কোথাকার অধিবাসীরা?
উত্তর: নামিব মরুভূমির অধিবাসী বুশম্যানরা বালির ভেতরে গর্ত করে থাকে।
55. কী কারণে মরুভূমি বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে?
উত্তর: মাটির ক্রমশ ক্ষয়বৃদ্ধি ও জৈব উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাসের কারণে মরুভূমি বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
মেরু অঞ্চলের জীবজগৎ
56. মেরু অঞ্চল কোন্টি?
উত্তর: উত্তর ও দক্ষিণ মেরুকে ঘিরে যে ভৌগোলিক অঞ্চল অবস্থিত, তাই হল মেরু অঞ্চল।
57. সুমেরুর জীবজগতের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: সুমেরুর জীবজগতের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল জলজ স্তন্যপায়ীদের প্রাধান্য।
58. এমন একটি পরিযায়ী পাখির নাম লেখো যারা এক মেরু থেকে অন্য মেরুতে পরিযান করে।
উত্তর: আর্কটিক টার্ন।
59. সুমেরুর উদ্ভিদে গ্রীষ্মকালে ফুল ফোটে কেন?
উত্তর: কারণ যাতে শরতের আগেই গাছের বীজ দূর দূরান্তে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই গ্রীষ্মকালে সুমেরুর উদ্ভিদে ফুল ফোটে।
60. মেরু ভালুকের গায়ের লোমের রং কী রকম?
উত্তর: মেরু ভালুকের গায়ের লোমের রং সাদা।
61. মেরু ভালুকের শরীরের একদম নীচের চামড়া কালো রঙের কেন হয়?
উত্তর: সূর্যের তাপ ধরে রাখার জন্য।
62. মেরু ভালুক জলে ভেসে থাকতে পারে কেন?
উত্তর: কারণ এদের শরীরে চামড়ার নীচে পুরু চর্বির স্তর থাকে।
63. সুমেরু অঞ্চলে মাছেদের দেহতলে তরল জমাট বাঁধে না কেন?
উত্তর: দেহের তরলে অ্যান্টিফ্রিজ প্রোটিন থাকে। তাই দেহতলে তরল জমাট বাঁধে না।
64. এস্কিমো কথাটির অর্থ কী?
উত্তর: এক্সিমোর যারা কাঁচা মাংস খায়।
65. অ্যান্টার্কটিকার বিস্ময় কারা?
উত্তর: পেঙ্গুইনরা অ্যান্টার্কটিকার বিস্ময়।
66. অ্যান্টার্কটিকার ওজোনস্তর ছিদ্রকারী পদার্থের নাম লেখো।
উত্তর: ক্লোরোফ্লুওরোকার্বন ও হ্যালনজাতীয় যৌগ ওজোনস্তর ছিদ্র করছে অ্যান্টার্কটিকায়।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ
67. পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য পশুর নাম কী?
উত্তর: মেছো বিড়াল বা বাঘরোল।
68. বিপন্ন জীব কাকে বলে?
উত্তর: নিকটে ভবিষ্যতে না হলেও বন্য পরিবেশে যে সকল জীবের বিলুপ্তি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাদের বিপন্ন প্রাণী বলে
69. ভারতবর্ষের একটি সরীসৃপ শ্রেণির বিপন্ন প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর: খাড়ির কুমির।
70. IUCN-এর পুরো নাম লেখো।
উত্তর: ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্য কনজারভেশন অব ন্যাচার অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্সেস।
71. জলদাপাড়া অভয়ারণ্য কোন্ প্রাণী সংরক্ষণের জন্য বিখ্যাত?
উত্তরঃ একশৃঙ্গ গন্ডার।
72. পশ্চিমবঙ্গের একটি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের নাম লেখো।
উত্তর: সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ।
73. বনের পশুকে বনেই সংরক্ষণ করাকে কী বলে?
উত্তর: ইনসিটু সংরক্ষণ/প্রাকৃতিক পরিবেশে সংরক্ষণ।
74. পৃথিবীর প্রথম শুশুক স্যাংচুয়ারিটির নাম কী?
উত্তর: বিক্রমশীলা গ্যাঞ্জেটিক ডলফিন স্যাংচুয়ারি।
75. আমাদের জাতীয় জলজ প্রাণী কোন্টি?
উত্তর: গঙ্গার শুশুক।
76. পশ্চিমবঙ্গের শকুন পুনর্বাসন কেন্দ্রটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: উত্তরবঙ্গের রাজা ভাতখাওয়াতে।
3. Short Question Answer
1. আবহাওয়ার বিভিন্ন শর্তের পার্থক্যভেদে কত ধরনের বনের অস্তিত্ব দেখা যায় ও কী কী?
উত্তর: আবহাওয়ার বিভিন্ন শর্তের পার্থক্যভেদে নিম্নলিখিত ধরনের বন দেখা যায়- (ক) সূচের মতো পাতাযুক্ত গাছের বন, (খ) পাতাঝরা গাছের বন, (গ) চিরসবুজ গাছের বন, (ঘ) কাঁটাওয়ালা ঝোপঝাড়, (ঙ) ঘাসের বন, (চ) শ্বাসমূলযুক্ত গাছের বাদাবন।
2. নীচের খাদ্য শৃঙ্খলটি ঠিক করে সাজিয়ে লেখো।
সাপ ময়ূর ঘাস ফড়িং ব্যাং
উত্তর: ঘাস ঘাস ফড়িং ব্যাং সাপ ময়ূর।
3. বনের মেঝের ঠিক ওপরের স্তরে সবসময় কী ঘটনা ঘটে চলে?
উত্তর: বনের মেঝের ঠিক ওপরের স্তরে মূলত বীরুৎজাতীয়, সদ্য বীজ থেকে বেরোনো গাছের চারা, ফার্ন, ঘাস এবং নানা আগাছা দেখা যায়। এরা বনের মেঝে ঢেকে রাখে। এই স্তরে ইদুর, পোকামাকড়, সাপ, ব্যাং থাকে। হরিণ তার বাচ্চাদের এখানে যেমন লুকিয়ে রাখে। শিকারি প্রাণীর শিকার ধরার জন্য নিজেদের এখানে লুকিয়ে রাখে।
4. হিউমাস কী? বনের মধ্যে মেঝেতে কোন্ কোন্ জীব থাকে?
উত্তর: গাছের ঝরে পড়া পাতা, ফুল, ফল, পাখির পালক, লোম, মল, মৃত পচাগলা পদার্থ মাটির সঙ্গে মিশে মাটিকে উর্বর করে তোলে। মাটির সঙ্গে মেশা এইসব জৈব পদার্থকে হিউমাস বলে। বনের মেঝেতে কেঁচো, কেন্নো, আরশোলা, কাঁকড়াবিছে, তেঁতুলেবিছে, শামুকসহ নানা আণুবীক্ষণিক জীব বসবাস করে।
5. বর্ষাবন কোথায় দেখা যায়? এই বনের বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: নিরক্ষরেখা বরাবর 10° উত্তর এবং 10° দক্ষিণ-এর মধ্যে বর্ষাবন দেখা যায়। বর্ষাবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল- লম্বা লম্বা গাছ, উয় আবহাওয়া, আর প্রচুর বৃষ্টিপাত।
6. বৃক্ষচ্ছেদন কীভাবে মরুভূমি সৃষ্টি করে?
উত্তর: গাছের মূল মাটির কণাকে আঁকড়ে ধরে রাখে। গাছ কেটে ফেললে অর্থাৎ বৃক্ষচ্ছেদন করলে মাটির কণা আলগা হয়ে যায়, জল শুকিয়ে যায়। বৃষ্টির জলে মাটি ধুয়ে চলে যায় এবং নীচের পাথর বেরিয়ে পড়ে। ফলে কোনো গাছ আর জন্মাতে পারে না। এই ঘটনা বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে দীর্ঘকাল চলতে থাকলে মরুভূমির সৃষ্টি হয়।
7. বন কাটার সঙ্গে খরা ও বন্যার সম্পর্ক কী?
উত্তর: বন ক্রমাগত কাটার ফলে পরিবেশে CO₂-র পরিমাণ বাড়তে থাকে। CO₂-র পরিমাণ বাড়লে পরিবেশ গরম হয়ে বিশ্ব উন্নায়ন ঘটে। এরফলে জলচক্র ব্যাহত হয়। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমতে থাকে বা বৃষ্টিপাতের চরিত্রের পরিবর্তন ঘটে। ফলে খরার সৃষ্টি হতে পারে বা বন্যাও হতে পারে।
৪. পশ্চিমবঙ্গের দুটি প্রধান বনভূমির নাম লেখো।
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের দুটি প্রধান বনভূমি হল- (ক) উত্তরবঙ্গের বনভূমি, (খ) সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভস উদ্ভিদের বনভূমি।
9. বর্ষাবনের সবচেয়ে বড়ো ও সবচেয়ে ছোটো প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর: বর্ষাবনের সবচেয়ে বড়ো প্রাণী হল- আফ্রিকার হাতি এবং সবচেয়ে ছোটো প্রাণী হল- মাউস লেমুর।
10. উত্তরবঙ্গের বনভূমিতে কোন্ কোন্ উদ্ভিদ দেখা যায়?
উত্তর: উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স এবং তরাই-এর বনভূমিতে শাল, গামার, খয়ের, শিশু, আমলকী, দেওদার গাছ দেখা যায়। উঁচু পাহাড়ের ঢালে রডোড্রেনড্রন, পাইন প্রভৃতি নানা গাছ দেখা যায়। এছাড়া আছে বিদেশ থেকে আনা ধূপী গাছের বন।
11. “উত্তরবঙ্গের বনভূমির একটি সংকট হল মানুষ-হাতি সংঘাত”- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: পর্যটনের উন্নয়ন তথা যাতায়াতের সুবিধার জন্য উত্তরবঙ্গের বনভূমি কেটে হাতির যাতায়াতের পথে রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এরফলে ট্রেনে কাটা পড়ে অনেক হাতি মারা যাচ্ছে। এছাড়া বসতি নির্মাণের কারণে বন কাটা হচ্ছে। ফলে খাদ্যের সন্ধানে বর্ষার শুরুতে ভুট্টার সময়ে এবং শীতের শুরুতে ধান পাকতে শুরু করলে হাতি লোকালয়ে চলে আসে। ফলে শুরু হয় মানুষ হাতির সংঘাত।
12. বর্তমানে ম্যানগ্রোভ বনভূমির জীবেরা কী কী সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে?
উত্তর: বর্তমানে নির্বিচারে গাছকাটা ও পরিবেশ দূষণের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। এর ফলে জমে থাকা বরফ গলে জলের উচ্চতা ক্রমাগত বাড়াচ্ছে। বাড়াচ্ছে জলে নুনের পরিমাণ। অতিরিক্ত নুনের কারণে গাছের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। বিপন্ন হচ্ছে বাঘ, খাঁড়ির কুমির, রিভার টেরাপিন (নদীর কচ্ছপ)-এর মতো প্রাণীরা।
13. ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদরা কীভাবে তাদের দেহ থেকে অতিরিক্ত লবণ বার করে দেয়?
উত্তর: ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদরা যেহেতু লবণাক্ত অঞ্চলে জন্মায়। তাই মূলরোম দিয়ে শোষিত জলের সঙ্গে এদের দেহে অতিরিক্ত লবণ প্রবেশ করে। এই অতিরিক্ত লবণ দেহ থেকে বার করে দেওয়ার জন্য ওদের মূল ও পাতার লবণ গ্রন্থি দেখা যায়। এই লবণ গ্রন্থির সাহায্যে এরা লবণ বের করে দেয়। এছাড়া পাতা ঝরিয়ে, বাকল মোচন করেও এরা লবণ বার করে দেয়।
14. উত্তরবঙ্গের বনভূমিতে মানুষ ও চিতাবাঘের সংঘাতের মূল কারণ কী?
উত্তর: জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে বসতি নির্মাণ ও কৃষিজমি সম্প্রসারণের জন্য বনভূমির আয়তন আজ সংকুচিত হচ্ছে। ফলে চিতাবাঘের প্রাকৃতিক খাদ্য নানা তৃণভোজী প্রাণীদের বাসস্থল ধ্বংস হচ্ছে ও তারা বিলুপ্ত হচ্ছে। ফলস্বরূপ চিতাবাঘ খাদ্যের জন্য লোকালয়ে প্রবেশ করে হাঁস, মুরগি, ছাগল, গোরু, বাছুর ইত্যাদি শিকার করছে। ফলে দেখা যাচ্ছে মানুষ ও চিতাবাঘের সংঘাত। এছাড়া মানুষ চিতাবাঘ দ্বারা জখম হচ্ছে। কখনও আবার মানুষের তৈরি মরণ ফাঁদ বা বিষ প্রয়োগে চিতাবাঘের মৃত্যু ঘটছে।
সমুদ্রের নীচের জীবন ও সমুদ্রের জীব
15. সমুদ্রের নীচের জীবনের বৈচিত্র্য কোন্ কোন্ শর্তের ওপর নির্ভরশীল?
উত্তর: সমুদ্রের নীচের জীবনের বৈচিত্র্য সূর্যালোকের প্রবেশ বা ভেদ্যতা, তাপমাত্রা, জলের চাপ, লবণাক্ততা ইত্যাদি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল।
16. সমুদ্রের কোন্ অংশে জীববৈচিত্র্য অধিক ও কেন?
উত্তরঃ সমুদ্রের জলের মধ্যে যতটা গভীরতা পর্যন্ত সূর্যালোক প্রবেশ করতে পারে ততদূর পর্যন্ত জীববৈচিত্র্য অধিক। কারণ এই অঞ্চলে ফাইটো প্ল্যাঙ্কটনসহ অন্যান্য স্বভোজী তথা উৎপাদকরা জন্মায় এবং সালোকসংশ্লেষের মাধ্যমে খাদ্য তৈরি করে। এই খাবারের ওপর নির্ভর করে এই অঞ্চলের অন্যসব জীবেরা তাই এই অঞ্চলে জীববৈচিত্র্য অধিক।
17. বায়োলুমিনিন্সে কী?
উত্তর: বায়োলুমিনিন্সে হল সমুদ্রের গভীরে থাকা একধরনের জীবের দেহের ঠান্ডা আলো। ওই সকল জীবের দেহে অবস্থিত লুসিফেরিন প্রোটিন রঞ্জক অক্সিজেনের উপস্থিতিতে লুসিফারেজ উৎসেচকের সহায়তায় রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে রাসায়নিক শক্তিকে আলোকশক্তিতে রূপান্তরিত করে। এই আলোই হল বায়োলুমিনিসিস বা ঠান্ডা আলো।
18. বায়োলুমিনিন্সে জীবেদের কীভাবে সাহায্য করে?
উত্তর: বায়োলুমিনিন্সে জীবকে খাদ্য খুঁজতে সাহায্য করে। খাদ্যকে আকর্ষণ করতে, ছদ্মবেশ ধারণ করতে ও আত্মরক্ষায় সাহায্য করে।
19. কেল্প’-এর বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
উত্তর: কেল্প হল সমুদ্রের বড়ো শ্যাওলা। সমুদ্রের অগভীর অংশে এরা জন্মায় এদের বেশির ভাগ প্রজাতির দেহ চ্যাপটা, পাতার মতো দেখতে। মূলের মতো একটা অংশের সাহায্যে এরা জলের নীচে কোনো কিছুর সঙ্গে আটকে থাকে। এরা দ্রুত বাড়ে এবং এতটা দ্রুত বাড়ে যে সমুদ্রের নীচে একটা অরণ্য তৈরি করে ফেলে।
20. অক্টোপাসের গঠন লেখো।
উত্তর: অক্টোপাস একটি খোলকহীন মোলাস্কা পর্বের প্রাণী। এদের দেহে আটটি বাহু থাকে। বাহুগুলি লম্বা শুঁড়ের মতো শোষকযন্ত্রযুক্ত। বাহুর কেন্দ্রে থাকে মুখ। অক্টোপাসের দুটো বড়ো বড়ো চোখ থাকে। অক্টোপাসের মস্তিষ্ক আর চোখ অমেরুন্ডী প্রাণীদের মধ্যে সবথেকে উন্নত বলে মনে করা হয়।
21. জুপ্ল্যাকটন ও ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনের নাম লেখো।
উত্তর: জুপ্ল্যাঙ্ককটন হল- ক্রিল, ডাফনিয়া, ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন হল- ডায়াটম, জিনোফ্ল্যাজোলেট।
22. সমুদ্রের কোন্ জীবকে পাপড়িযুক্ত ফুলের মতো দেখতে? প্রাণীর কোন্ বৈশিষ্ট্য এদের মধ্যে দেখা যায় না?
উত্তর: সমুদ্রের সাগরকুসুম-কে পাপড়িযুক্ত ফুলের মতো দেখতে। অন্যান্য প্রাণীদের মতো সাগরকুসুম গমন করতে পারে না।
23. গমনে অক্ষম দুটি সামুদ্রিক প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর: সাগরকুসুম এবং সাগর কলম গমনে অক্ষম সামুদ্রিক প্রাণী।
24. সাগর কুসুমের কর্ষিকা কী কাজ করে?
উত্তর: সাগরকুসুমের কর্ষিকাতে দংশক কোশ থাকায় এগুলি এদের ছোটো মাছ বা অন্য কোনো প্রাণী শিকারে সাহায্য করে এবং আত্মরক্ষায় সাহায্য করে।
25. এক্সসিটু এবং ইনসিটু সংরক্ষণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: কোনো জীবকে তার প্রাকৃতিক নিজস্ব বাসস্থানে সংরক্ষণ করাকে ইনসিটু সংরক্ষণ বলে। যেমন- জাতীয় পার্ক, অভয়ারণ্য। কোনো জীবকে তার নিজস্ব বাসস্থানের বাইরে কৃত্রিম পরিবেশে সংরক্ষণ করাকে এক্সসিটু সংরক্ষণ বলে। যেমন- চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন।
26. অক্টোপাস কীভাবে সন্তানের জন্ম দেয়?
উত্তর: অক্টোপাস আঙুরের মতো ছোটো গোল গোল ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে বাচ্চা না বের হওয়া পর্যন্ত মা অক্টোপাস পাহারা দেয়। সেই সময় মা অক্টোপাস খেতেও যায় না, পাছে অন্য কোনো প্রাণী তার ডিমের ক্ষতি করে। মা অক্টোপাস অনাহারে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। ডিমফুটে বাচ্চা জন্ম নেওয়ার পর শিশু অক্টোপাস ছড়িয়ে পড়লে মা অক্টোপাস মারা যায় এবং জলের তলায় নেতিয়ে পড়ে।
27. সমুদ্রের ফেনা কী?
উত্তর: কাটল ফিশের দেহের ভেতরে ক্যালশিয়ামঘটিত একটা শক্ত জিনিস থাকে। কাটল ফিশ মরে সমুদ্রের ধারে পচে গেলে এই ক্যালশিয়ামঘটিত শক্ত জিনিসটাকে সমুদ্রের ফেনা হিসেবে বিক্রি করা হয়।
29. হাঙরের চামড়ার আঁশের সজ্জা কী রকম? এই চামড়ার কাজ কী?
উত্তর: হাঙরের চামড়ার আঁশের সজ্জা পেছনের দিকে ঢালু। তাই হাঙরের মুখ থেকে লেজের দিকে হাত বোলালে নরম লাগে, কিন্তু উলটো দিকে অর্থাৎ লেজ থেকে মুখের দিকে হাত বোলালে খসখসে লাগে। হাঙরের চামড়াকে শ্যাগ্রীন বলে যা কাঠ পালিশের জন্য ব্যবহৃত হয়।
29. বাস্কিংশার্ক ও হোয়েল শার্ক কীভাবে খাদ্যগ্রণ করে?
উত্তর: বাস্কিংশার্ক ও হোয়েল শার্ক এর গলা খুব ছোটো হয়। এরাশুধু খুব ছোটো মাছ প্ল্যাঙ্কটন খেয়ে বেঁচে থাকে। তাই মানুষের মতো বড়ো কোনো প্রাণীকে এরা খেতে পারে না। এরা মুখ দিয়ে সাঁতার কাটে। জলের সঙ্গে ভেসে আসা ছোটো ছোটো জলচর প্রাণীদের খেয়ে ফেলে। এদের কানকো ছাঁকনির কাজ করে। কানকো দিয়ে জল বেরিয়ে যায়, আটকা পড়ে প্রাণীরা ও হোয়েল শার্ক তখন এদের খায়।
30. তারামাছ কীভাবে শিকার করে?
উত্তর: তারামাছের ফাঁপা নালিপদের শেষ প্রান্তে আছে চোষক বা সাকার। নালিপদের চোষক দিয়ে জল টেনে তা বের করে শিকার ধরে। জল টানার সময় যে সাময়িক শূন্যতা তৈরি হয়, তাতে শিকার নালিপদে আটকে যায়। তখন তাকে খেয়ে নেয়। ঝিনুক তারামাছের প্রিয় খাদ্য। নালিপদ দিয়ে ঝিনুককে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে এবং চোষক দিয়ে টানতে থাকে। ক্রমাগত টান পড়ার ফলে ঝিনুকটা খোলের বাইরে বেরিয়ে আসে এবং তারামাছ তা খেয়ে নেয়।
31. সমুদ্রের জলে প্লাস্টিক দূষণ বেড়ে যাওয়ার ফলে কী ঘটছে?
উত্তর: সমুদ্রের জলে প্লাস্টিক দূষণ বাড়ে যাওয়ার ফলে সামুদ্রিক প্রাণীরা খাবার ভেবে প্লাস্টিকজাত জিনিস খেয়ে ফেলে। এই প্লাস্টিকের জিনিসগুলি খাদ্যনালিতে আটকে গিয়ে খাবার যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে অনাহারে বা সংক্রমণে প্রাণীগুলি মারা যায়। কখনও এই প্লাস্টিক পাকস্থলিতে গিয়ে সংক্রমণ ঘটিয়ে প্রাণীদের মৃত্যুর কারণ হয়।
32. ইউট্রফিকেশন কাকে বলে?
উত্তর: কোনো জলাশয়ে, নদীতে, সমুদ্রে প্রভৃতিতে রাসায়নিক সার বিশেষত ফসফেট জাতীয় সার, জৈব বর্জ্যযুক্ত ময়লা জল ক্রমাগত পড়তে থাকলে জলে নানা পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি পায়। ফলে জলজ ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনের সংখ্যা বেড়ে যায়। জলের পুষ্টি উপাদান বেড়ে যাওয়াকে ইউট্রফিকেশন বলে।
মরু অঞ্চলের জীবজগৎ
33. মরুভূমির বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: মরুভূমিতে চারিদিকে শুধু বালি আর বালি। দিনেরবেলায় প্রখর সূর্যের তাপ, রাত্রিবেলা ঠান্ডা। বছরে বৃষ্টিপাত 20 সেন্টিমিটারের কম হয়। ফলে চারিদিক শুষ্ক, রুক্ষ ও জলহীন। মরুভূমি যে শুধু গরম হয় তা নয়, মরুভূমি ঠান্ডাও হয়। এই মরুভূমির মাঝে মাঝে কোথাও একটু জল ও সবুজের সমারোহ দেখা যায়। যাকে মরুদ্যান বলে।
34. এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত একটি উয় ও একটি ঠান্ডা মরুভূমির নাম লেখো।
উত্তর: এশিয়া মহাদেশের একটি উয় মরুভূমি হল ভারতবর্ষের থর মরুভূমি এবং ঠান্ডা মরুভূমি হল মঙ্গোলিয়ার গোবি মরুভূমি।
35. ঠান্ডা মরুভূমিতে কোন্ কোন্ প্রাণী দেখা যায়?
উত্তর: ঠান্ডা মরুভূমি গোবি মরুভূমিতে ব্যাকট্রিয়ান উট, বিটল, নীল পাহাড়ি পায়রা, ভালুক, বরফ চিতা, বন্য ভেড়া দেখা যায়।
36. প্রিকলিপিয়ার বা সাধারণ ফণীমনসার কাঁটার গুরুত্ব কী?
উত্তর: প্রিকলিপিয়ার বা সাধারণ ফণিমনসার কাঁটার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রথমত, কাঁটাগুলি পাতার রূপান্তর। এটি বাষ্পমোচনরোধ করে জলের অপচয়রোধ করে, দ্বিতীয়ত, কাঁটা আত্মরক্ষায় সাহায্য করে।
37. যশুয়া গাছের মূলের বিশেষত্ব কী?
উত্তর: যশুয়া গাছে দু প্রকারের মূল দেখা যায়। একধরনের মূল জল সঞ্চয় করে স্ফীত হয়ে কন্দ তৈরি করে। আরেক ধরনের মূল জল সংগ্রহের জন্য মাটির অনেক গভীরে চলে যায়।
38. মরুভূমির উদ্ভিদের শুষ্কতা প্রতিরোধে ও দেহের জলের অপচয় রোধের একটি করে দেহগত ব্যবস্থার উল্লেখ করো।
উত্তর: মরু অঞ্চলের উদ্ভিদরা দেহের শুষ্কতাকে প্রতিরোধ করার জন্য কান্ডে মিউসিলেজ নামক জেলির ন্যায় অর্ধতরল পদার্থের মধ্যে জল সঞ্চয় করে। ফলে কাণ্ড রসালো হয়। জলের অপচয় রোধ করার জন্য এদের দেহের ত্বকে পুরু কিউটিকল থাকে ও পাতা কাঁটায় রূপান্তরিত হয়। ফলে জলের বাষ্পমোচন হয় না।
39. মরু অঞ্চলের জীবেদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা কীরূপ?
উত্তর: মরু অঞ্চলে দিনের ভয়াবহ তাপের কারণে সাধারণত বেশিরভাগ প্রাণীরা বালির নীচে লুকিয়ে থাকে। সন্ধ্যে নামার সঙ্গে সঙ্গে তারা বালি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে। বালির ওপর শিকার ধরে, নানা কাজকর্ম করে। ভোরবেলায় পুনরায় গর্তে চলে যায়।
40. দেহে জল সংরক্ষণের জন্য উটের দেহে ২টি অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: দেহে জল সংরক্ষণের জন্য উটের দেহে ২টি অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য হল-
(ক) উটের দেহে ঘর্মগ্রন্থির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। ফলে ঘামের মাধ্যমে জল বেরিয়ে যেতে পারে না।
(খ) জল সংরক্ষণের জন্য উট ঘন মূত্র ত্যাগ করে।
41. মরুভূমির গিরগিটি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: মরুভূমির গিরগিটি চওড়া ধরনের হয়। এরা রাতের বেলা বালির ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে। এরা যখন বালির ওপর দিয়ে চলাফেরা করে, তখন এরা সাঁতার কাটছে মনে হয়। এদের চোখের পাতা স্বচ্ছ চামড়া দিয়ে আবৃত থাকে। লেজে চর্বি সঞ্চিত থাকে। পোকামাকড় খেয়ে বেঁচে থাকে।
42. জারবিলের খাদ্য কী? কীভাবে এরা আত্মরক্ষা করে?
উত্তর: জারফিল মূলত বিভিন্ন ধরনের ফল, বীজ, বাদাম এবং পতঙ্গ খায়। জারবিলের রং সাদা থেকে খয়েরি হয়। তবে শত্রুর হাত থেকে আত্মরক্ষার জন্য এরা বালির রং ধারণ করে শত্রুর চোখে ধুলো দেয়।
43. থর মরুভূমির কিছু উল্লেখযোগ্য প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর: থর মরুভূমির কিছু উল্লেখযোগ্য প্রাণী হল- উট, কৃষ্ণসার হরিণ, বুনো গাধা, বাস্টার্ড পাখি, ময়ূর, চিল, ঘুঘু, বালিমোরগ প্রভৃতি।
44. পুয়েবলা কী?
উত্তর: আমেরিকার মরু অঞ্চলের অধিবাসীদের রেড ইন্ডিয়ান বলে। এরা সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে থাকে। সবাই মিলে পাথরের বাড়ি বানায়। রেড ইন্ডিয়ানদের নির্মিত পাথরের বাড়িগুলিকে পুয়েবলা বলে।
45. থর মরুভূমিতে কোন্ কোন্ সম্প্রদায়ের লোক থাকে? এদের প্রকৃতি কীরূপ?
উত্তর: থর মরুভূমিতে ওয়াধা, ভীল, গাদি-লোহার সম্প্রদায়ের লোক বসবাস করে। এরা যাযাবর প্রাকৃতির হয়।
46 . সুমেরুর জীবজগতের প্রধান বৈচিত্র্য লেখো।
বৈশিষ্ট্য হল জলজ স্তন্যপায়ীর প্রাধান্য। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- তিমি, সিল, সি-লায়ন ও ডলফিন। এছাড়া বলগা হরিণ, কুকুর, মেরু ভালুক, আর্কটিক টার্ন নামক পাখি ও মস, ঘাস, লাইকেন, বার্চ জাতীয় উদ্ভিদ দেখা যায়।
47. পরিযান কাকে বলে?
উত্তর: এক বাসস্থান ত্যাগ করে অন্য বাসস্থানে অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে যাওয়াকে পরিযান বলে। ম্যাপ বা কম্পাসের সাহায্য ছাড়াই নানা প্রাকৃতিক চিহ্ন (পর্বত, নদী, তটরেখা, উদ্ভিদ, বায়ুর গতি প্রকৃতি) দেখে সুমেরু অঞ্চলের পাখি, বলগা হরিণ খাদ্যের সন্ধানে, প্রজননের জন্য অপেক্ষাকৃত উয় অঞ্চলে গমন করাকেই পরিযান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
48. মেরু ভালুকের স্বাভাবিক অস্তিত্ব রক্ষার সমস্যাগুলি কী?
উত্তর: মেরু ভালুকের স্বাভাবিক অস্তিত্ব রক্ষার প্রধান সমস্যাটি হল বিশ্ব উন্নায়ন। ক্রমাগত পরিবেশ দূষণের ফলে পৃথিবীর ওপর গ্রিন হাউস গ্যাসের আস্তরণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গলে যাচ্ছে মেরু অঞ্চলের বরফ, সংকুচিত হচ্ছে ভালুকের বাসস্থান ও বিচরণ ভূমি। এছাড়া লোম, চামড়া ও নখের জন্য এদের নির্বিচারে শিকার করাও হচ্ছে।
49. কখন সুমেরুর প্রাণীরা বাচ্চা দেয় বা ডিম পাড়ে?
উত্তর: সুমেরুর প্রচণ্ড ঠান্ডায় শীতকালে বেশিরভাগ প্রাণীই বাচ্চা দেয় না। কারণ ঠান্ডা ও যথাযথ খাদ্যের অভাব। তবে বসন্তের শেষ থেকে প্রাণীরা নিজেদের অঞ্চল নির্দিষ্ট করে নেয় এবং স্বল্পস্থায়ী গ্রীষ্মকালে ডিম পাড়ে বা বাচ্চা দেয়। তবে মেরু ভালুকরা শীতকালের প্রচণ্ড ঠান্ডায় শিশু ভালুকের জন্ম দেয়। শীতের মাসগুলোতে। বরফগুহায় এদের লুকিয়ে রাখে। মায়ের দুধ খেয়ে বেঁচে থাকে। বসন্ত আসার সঙ্গে সঙ্গে এরা গুহা থেকে বেরিয়ে আসে।
50. সুমেরুর কম তাপমাত্রায় মাছেরা কীভাবে বেঁচে থাকে?
উত্তর: জলের তাপমাত্রা ০°C-এর নীচে নেমে গেলেও বরফের নীচে জল তরল থাকে। মাছেরা তাতে দিব্যি বেঁচে থাকে। নোনাজলের সমুদ্রের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নেমে গেলেও জলের নুন এদের দেহকে জমে যেতে বাধা দেয় আর এদের দেহে কিছু অ্যান্টিফ্রিজ প্রোটিন থাকে, যা দেহের ভেতরের জলকে বরফ হতে বাধা দেয়।
51. ইগলু কী? কারা কখন কীভাবে ইগলু তৈরি করে?
উত্তর: এক্সিমোদের তৈরি বরফ বাড়ি হল ইগলু।
এক্সিমোরা বরফ দিয়ে একঘণ্টার মধ্যে তৈরি করে ফেলে ইগলু। তারা যখন একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাতায়াত করে তখন বিশ্রাম আবাস হিসেবে ইগলু তৈরি করে।
52. দক্ষিণ মেরুতে কোন্ কোন্ প্রাণী দেখা যায়?
উত্তরঃ দক্ষিণ মেরুতে সিল, তিমি, ডলফিন, পেঙ্গুইন দেখা যায়। মেরু ভালুক দেখা যায় না।
53. পেঙ্গুইনদের অস্তিত্ব আজ সংকটজনক কেন?
উত্তর: পেঙ্গুইনদের চামড়ার নীচে থাকে চর্বির পুরু স্তর। এই চর্বি বা ফ্যাটের লোভে আজ নির্বিচারে পেঙ্গুইন হত্যা করা হয়। পেঙ্গুইনের ফ্যাট থেকে প্রাপ্ত তেল সাবান তৈরি ও জ্বালানির কাজে ব্যবহার হয়। পেঙ্গুইনের তেল থেকে ওষুধও তৈরি হত। এছাড়া পেঙ্গুইনের পালক জামাকাপড়, টুপি ও ব্যাগ তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়।
54. এস্কিমোদের জীবনে কুকুর অপরিহার্য কেন?
উত্তর: এস্কিমোদের জীবনে পরিবারকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য একটা বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে শিকারের খোঁজে বেরোতে হয়। বরফের ওপর পায়ে হেঁটে ঘোরা সম্ভব নয়। তাই কুকুরে টানা স্লেজগাড়ির ওপর এদের নির্ভর করতে হয়। তাছাড়া শিকার চিহ্নিত করতে এস্কিমোরা কুকুরের ঘ্রাণশক্তির ওপর নির্ভর করে। তাই এস্কিমোদের জীবনে কুকুর অপরিহার্য।
55. এস্কিমোদের জীবনযাত্রা কেমন?
উত্তর: এস্কিমোদের জীবনযাত্রা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও কষ্টসাধ্য। উত্তর মহাসাগরের ঠান্ডা জলের সিল, স্যামন, কড মাছ হল এদের প্রধান খাদ্য। সেইসঙ্গে এরা হাঁস, খরগোশ, মেরু শিয়াল, এমনকি মেরু ভালুক ও তিমি শিকার করে মাংস খায়। এদের জীবনে কুকুর অপরিহার্য। যাতায়াত ও শিকারের জন্য এরা কুকুরের ব্যবহার করে।
বন্য প্রাণী সংরক্ষণ
56. বিলুপ্ত প্রাণী কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: যে সকল প্রাণীকে পৃথিবীতে আর কোনোদিনই দেখা যাবে না, তাদেরকে বলা হয় বিলুপ্ত প্রাণী। যেমন- ডোডো পাখি, ম্যামথ, পাহাড়ি বটের, গোলাপি মাথা হাঁস।
57. ভারতের দুটি লুপ্ত প্রায় পাখির নাম লেখো।
উত্তর: ভারতের দুটি লুপ্তপ্রায় পাখি হল-শকুন, গ্রেট ইন্ডিয়ান বাস্টার্ড।
58. পার্থক্য লেখো: এক্সসিটু সংরক্ষণ এবং ইনসিটু সংরক্ষণ
উত্তর: এক্সসিটু ও ইনসিটু সংরক্ষণের পার্থক্য:
এক্সসিটু সংরক্ষণ | ইনসিটু সংরক্ষণ |
(i) কোনো জীবকে তার বাসস্থানের বাইরে সংরক্ষণ করাকে এক্স সিটু সংরক্ষণ বলে | (i) কোনো জীবকে তার নিজস্ব বাসস্থানে সংরক্ষণ করাকে ইনসিটু সংরক্ষণ বলে। |
(ii) এটি একটি কৃত্রিম সংরক্ষণ প্রচেষ্টা। | (ii) এটি একটি প্রাকৃতিক সংরক্ষণ প্রচেষ্টা। |
(iii) চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন এর উদাহরণ। | (iii) ন্যাশনাল পার্ক, অভরারণ্য এর উদাহরণ। |
59. শকুন হারিয়ে যাওয়ার রাসায়নিক কারণ কী? এরউপকারী গুণ কী ছিল?
উত্তর: শকুন হারিয়ে যাওয়ার রাসায়নিক কারণ হল ডাইক্লোফেনাক নামক বিশেষ একধরনের ওষুধ। এর উপকারী গুণ হল এটি একটি বেদানাশক ওষুধ যা গোরু-মোষদের বিভিন্ন অসুখে, বিশেষত হাড়ের অসুখে দেওয়া হয়।
60. শকুন কোথায় কীভাবে বাসা বাঁধে?
উত্তর: শকুন বট, অশ্বত্থ, শিরীষ, তাল, তেঁতুল, শিমূল, পাকুড় প্রভৃতি গাছের ডালে বাসা বাঁধতো। কাঠকুটো, ডালপালা জোগাড় করে ডালের খাঁজে শক্তপোক্ত বাসা তৈরি করতো।
61. শকুন সংরক্ষণের জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
উত্তর: শকুন সংরক্ষণের জন্য 2006 সালে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ডাইক্লোফেনাককে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শকুন অনেকদিন বাঁচে। কিন্তু জীবনের বিকাশ ধীর গতিতে হয়। তাই শকুনের সংখ্যা বৃদ্ধি করে তাদের পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কয়েকদশক সময় লেগে যাবে। পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের বেশ কয়েকটি জায়গায় শকুনের পুনর্বাসনকেন্দ্র খোলা হয়েছে, যাদের মধ্যে অন্যতম হল হরিয়ানার পিঞ্জোর এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজাভাতখাওয়া।
62. বনবিড়াল/মেছোবিড়াল/বাঘরোলের বিস্তার লেখো।
উত্তর: সাইবেরিয়ার বরফ-ঠান্ডা এলাকা থেকে আমাজনের সূর্যের আলো না পৌঁছানো বর্ষাবন কিংবা লাদাখের মরু এলাকা থেকে পশ্চিমবঙ্গের জলাভূমি বা বাদাবন- সর্বত্র সবজায়গায়, সব আবহাওয়াতে বনবিড়াল/ মেছোবিড়াল/ বাঘরোল দেখা যায়।
63. বনবিড়াল কেমন দেখতে হয়?
উত্তর: বনবিড়াল আকারে বড়ো হয়। এটি আকারে হুলোবিড়ালের দ্বিগুণ বা তারও বেশি। এদের দেহে একসারি খসখসে লোম থাকে শরীরকে রক্ষা করার জন্য। গায়ের রং মেটে ধূসর বা জলপাই রঙের সঙ্গে খয়েরি মেশানো এবং কালো লম্বা ছোপ থাকে। মাথা থেকে ঘাড় পর্যন্ত 4-6 টি কালো ডোরা রেখা আছে। বেঁটে মোটাসোটা লেজ বরাবর কালো দাগের পট্টি আছে। সামনের পায়ের আঙুলের মাঝখানের চামড়া অনেকটা জোড়া মতোন।
64. মেছোবিড়ালের বাসস্থান ও আচরণ সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: মেছোবিড়াল খালবিল, ঝিল, বাদাবনের জলাভূমি থেকে ঝোপ-জঙ্গল বা ঘন জঙ্গল সব জায়গাতে মেছোবিড়াল দেখা যায়।
আচরণ: মেছোবিড়াল নিশাচর। এরা সাঁতারে দক্ষ। মাছ এদের খাদ্য হলেও অন্যান্য জলজ প্রাণী যেমন কাঁকড়া, শামুক, ইঁদুর বা পাখিও এরা খায়।
65. গঙ্গার শুশুক কোথায় দেখা যায়?
উত্তর: গঙ্গার শুশুক প্রধানত মিষ্টি জলের স্তন্যপায়ী প্রাণী। গঙ্গা নদী ও তার উপনদী ছাড়াও ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার উপনদীতে শুশুক দেখা যায়।
66. শুশুক দেখতে কেমন?
উত্তর: শুশুকের দেহ ধূসর বাদামি বা কুচকুচে কালো রঙের হয়। দেহের মাঝখান মোটা এবং দু-প্রান্ত সরু হয়। এদের গায়ে লোম থাকে না। দেহের চামড়ার নীচে পুরু চর্বির স্তর থাকে যা ব্লাবার নামে পরিচিত। ঘাড় থাকে না। ঠোট দুটি চঞ্জুর মতো লম্বা। প্রতিটি চোয়ালে 27-32 টা ছোটো দাঁত থাকে। এদের নাকের ফুটো চঞ্চুর গোড়ায় থাকে। সামনের পা দুটি ফ্লিপারে পরিণত হয়েছে যা দিয়ে সাঁতার কাটে। লেজ ওপরে নীচে চ্যাপটা। এদের চোখে লেন্স থাকে না। শুশুকের ঘ্রাণ শক্তি তীব্র।
67. শুশুকের ইকোলোকেশন পদ্ধতিটি সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: শুশুকের চোখে কোনো লেন্স না থাকায় শুশুক কিছু দেখতে পায় না। কিন্তু আলোর দিক ও তীব্রতা বুঝতে পারে। এদের নাসা গহ্বরে ডরসাল বার্সা বলে একটা যন্ত্র থাকে, যার সাহায্যে একরকম শব্দ সৃষ্টি করে এবং সেই শব্দ কোথাও বাধাপ্রাপ্ত হয়ে প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে আসে। এই প্রতিধ্বনি শুনে শুশুক কোনো বস্তুবা শিকারের অবস্থান ও দূরত্ব বুঝতে পারে। একেইকোলোকেশন বলে।
68. গঙ্গার শুশুকের স্বভাব লেখো।
উত্তর: গঙ্গার শুশুকের দৃষ্টিশক্তি না থাকার কারণে এরা ইকোলোকেশন পদ্ধতিতে আত্মরক্ষা ও শিকার করে। এরা মাংসাশী। মাছ আর নানাধরনের জলজ অমেরুদন্ডী প্রাণী যেমন চিংড়ি এদের খাবার। মূলত রস্ট্রাম দিয়ে শিকার করে।
69. গন্ডারের খঙ্গ কী দিয়ে তৈরি? এটি কী কাজে লাগে?
উত্তর: গন্ডারের খঙ্গ কেরাটিন প্রোটিন দিয়ে তৈরি। খড়গ দিয়ে গন্ডার মাটি খোঁড়ে ও গাছের মূল খোঁজে। এছাড়া প্রজনন ঋতুতে অন্য পুরুষ গণ্ডারের সঙ্গে মারামারির সময়ও তার খড়গ ব্যবহার করে।
70. গন্ডারের খঙ্গ কতটা লম্বা হয়? কখন এদের শরীরে খড়গ দেখা যায়?
উত্তর: গন্ডারের খড়গ প্রায় 60 cm লম্বা হয়। 6 বছর বয়স থেকে আস্তে আস্তে এই খড়গ দেখা যায়।
71. ভারতে গন্ডারের আঞ্চলিক বিস্তার লেখো।
উত্তর: একসময় সিন্ধু নদীর উপত্যকা থেকে মায়ানমারের উত্তর দিক পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে একশৃঙ্গ গন্ডার পাওয়া যেত। বর্তমানে ভারতীয় উপমহাদেশের আসামের ব্রহ্মপুত্র নদীর অববাহিকা অঞ্চল যেমন মানস, কাজিরাঙা, পরিতোরা ইত্যাদি, পশ্চিমবঙ্গের জলদাপাড়া ও গোরুমারা ন্যাশনাল পার্কে, উত্তরপ্রদেশের দুধওয়া সংরক্ষিত অরণ্যে এবং নেপালের চিতওয়ান ন্যাশনাল পার্কে গন্ডার দেখা যায়।
72. গন্ডারের দেহের লোমযুক্ত অংশ কোনগুলি?
উত্তর: গন্ডারের চোখের পাতায়, কানের আশেপাশে ও লেজের গায় লোম দেখা যায়।
73. চোরাশিকারিরা কীভাবে গন্ডারের অবস্থান নির্ণয় করে?
উত্তর: একই জায়গায় বারবার মলত্যাগ করা গন্ডারের একটি অভ্যাস। ফলে দিনের পর দিন এই মলের স্তূপের উচ্চতা বাড়তে থাকে। উচ্চতা অনেক বেড়ে গেলে গন্ডার তখন এই স্তূপাকার মলের আশেপাশে মলত্যাগ করে। চোরাশিকারির এই মলস্তূপ দেখে গন্ডারের অবস্থান নির্ণয় করে।
74. গন্ডার কোথায় বসবাস করে? এদের খাদ্যাভ্যাস কীরূপ?
উত্তর: গন্ডার গঙ্গা বিধৌত সমভূমি বা জলা জায়গার আশেপাশে লম্বা ঘাসের জঙ্গলে বসবাস করে। কারণ লম্বা ঘাসের জঙ্গল এদের সুরক্ষা দেয়। গন্ডার মূলত শাকাশী প্রাণী। লম্বা লম্বা ঘাস বা জলজ উদ্ভিদ, ছোটো ছোটো গাছপালা, লতাপাতা বা ফল খায়।
75. গন্ডার কখন বিচরণ করে? এরা জলকাদায় গড়াগড়ি দেয় কেন?
উত্তর: গন্ডার মূলত খুব ভোরে, সন্ধ্যা বা রাতের দিকে বিচরণ করে। দিনের বেলায় গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নেয়। গন্ডার জল-কাদায় গড়াগড়ি দেয়। এর ফলে চামড়ায় কাদার একটা আস্তরণ পড়ে। যা তাকে প্রচন্ড গরম থেকে বাঁচিয়ে রাখে, দেহ ঠান্ডা করে। এছাড়া চামড়ায় জন্মানো পোকামাকড়, পরজীবীরা কাদায় চাপা পড়ে যায়। ফলে গন্ডার আরামবোধ করে।
4. Long Question Answer
1. একটি আদর্শ বনের গঠন কেমন হতে পারে?
উত্তর: একটি বনের সব গাছের বৃদ্ধি যেহেতু সমান হয় না, তাই বনে নানা স্তরের সৃষ্টি হয়।
i) সবার ওপরের স্তরকে বলা হয় ছাদ বা ক্যানোপি। গাছের মাথাগুলি এক হয়ে এই স্তর গঠন করে।
ii) ছাদের নীচের স্তরে ক্যানোপি ছুঁতে চাওয়া গাছ অবস্থান করে। এখানে কম উচ্চতার বৃক্ষ গুল্ম এবং নরম কান্ডের বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ বেশি দেখা যায়।
iii) তৃতীয় স্তরে নতুন জন্মানো গাছ পরিণত গুল্ম এবং নানাধরনের ঝোপওয়ালা গাছ দেখা যায়। বনের ছোটো ছোটো প্রাণীদের খাদ্য, বাসস্থান ও আত্মরক্ষার জন্য এই স্তর ব্যবহৃত হয়।
iv) বনের মেঝের ঠিক ওপরে অল্প উচ্চতার গাছ মূলত বীরুৎজাতীয় উদ্ভিদ, বীজ থেকে বেরোনো সদ্যোজাত চারা, ফার্ন, ঘাস ও নানা আগাছা দেখা যায়। এরা বনের মেঝেকে ঢেকে রাখে। বনের এই স্তরে ইঁদুর, পোকামাকড়, সাপ, কচ্ছপ, ব্যাং ও নানা পাখি এই স্তরে বাস করে। প্রাণীরা আত্মরক্ষার জন্য এই স্তরে লুকিয়ে থাকে।
v) বন গঠনের শেষ স্তর হল বনের মেঝে। ঝরা ও পচা পাতা, ফুল গাছের শুকনো ডাল, পাখির পালক, মৃত, পচাগলা জীবের দেহ দিয়ে তৈরি হয়। মাটির সঙ্গে এগুলি মিশে হিউমাস তৈরি করে যা গাছের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কেঁচো, আরশোলা, শামুক, কাঁকড়াবিছে ইত্যাদি পাওয়া যায়।
2. বর্ষাবনের জীববৈচিত্র্য সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: বর্ষাবনের জীববৈচিত্র্য অবর্ণনীয়। এক হেক্টর বর্ষাবন প্রায় 40 এর বেশি প্রজাতির গাছ থাকে। বর্ষাবনে আফ্রিকায় হাতির মতো বড়ো স্তন্যপায়ী প্রাণী থেকে মাউস লেমুরের মতো ছোটো স্তন্যপায়ীর দেখা মেলে। অ্যাকোরিয়ামের অধিকাংশ রঙিন মাছ দক্ষিণ আমেরিকা ও এশিয়ার বর্ষাবনে জন্মায়। পেরুর বর্ষাবনে একটা গাছে 50টি প্রজাতির পিঁপড়ে পাওয়া গেছে। তাপি, গরিলা, শিম্পাঞ্জি, ওকোপি, ওরাং ওটাং, সুমাত্রার গন্ডার বা বাঘের মতো বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীরা এই বর্ষাবনেই থাকে। বর্ষাবনে অনেক ভেষজ উদ্ভিদ পাওয়া যায়।
3. দাবানল বা বনের আগুনের কারণগুলি লেখো।
উত্তর: বনে নানা কারণে আগুন লাগতে পারে। কারণগুলি হল-
ⅰ) অগ্ন্যুৎপাতের সময় জ্বলন্ত লাভার সংস্পর্শ বনের কোনো শুকনো গাছ এলে।
ii) বজ্রপাত।
iii) বায়ুপ্রবাহ তীব্র হলে পাশাপাশি থাকা গাছে গাছে ঘষা লেগে আগুন ধরে।
iv) গড়িয়ে পড়া পাথরের ধাক্কায় তৈরি হওয়া আগুনকে স্ফুলিঙ্গ থেকে শুকনো পাতার আগুন লেগে বনে আগুন ধরে।
(v) মানুষের নানাবিধ ক্রিয়াকলাপ বনের ভিতর ধূমপান, রান্না করা ইত্যাদি কারণে বনে আগুন লাগে।
4. বনে আগুন লাগলে কী কী ক্ষতি হয়?
উত্তর: বনে আগুন লাগলে নানাবিধ ক্ষতি হয়। যেমন-
ⅰ) বনে আগুন লাগলে পরিবেশে CO₂-র পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, ফলে পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
ii) বনে আগুন লাগলে বন্যার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
iii) বনের বড়ো বড়ো গাছগুলি পুড়ে যাওয়ায় বৃষ্টিপাতের সময় তার ছাই জলে ধুয়ে জলদূষণ ঘটায়।
iv) বনে আগুন লাগলে বহু প্রাণী মারা যায়। বহু প্রাণী আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে।
5. বন কেটে ফেললে কী কী ক্ষতি হবে?
উত্তর: বন কেটে ফেললে
।) মরুভূমির বিস্তার ঘটবে।
ii) বন কেটে ফেললে মাটির জল শুকিয়ে যায়। মাটি জল ধরে রাখতে পারে না। ফলে মাটির নীচে জলের স্তর কমতে থাকে।
iii) পরিবেশে Co₂-র পরিমাণ বেড়ে যাবে। বাড়বে পৃথিবীর তাপমাত্রা। ঘটবে বিশ্ব উন্নায়ন।
iv) খরা হবে।
v) অনেক প্রজাতির বিলুপ্তির সম্ভাবনা ঘটবে।
6. বন কীভাবে বাঁচানো সম্ভব?
উত্তরঃ বন বাঁচাতে
ⅰ) গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। গাছ কাটতে হলে পরিণত গাছ কাটতে হবে এবং ওই স্থানে নতুন গাছ লাগাতে হবে।
ii) নতুন নতুন গাছ লাগিয়ে নতুন বনাঞ্চল সৃষ্টি করতে হবে।
iii) বনে আগুন লাগার সম্ভাবনা কমানো ও বনাঞ্চলে পশুচারণ
নিয়ন্ত্রণ করা।
iv) বনে কোনো গাছে রোগের আক্রমণ ঘটলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
7. উত্তরবঙ্গের বনভূমির তিনটি সংকট উল্লেখ করো।
উত্তর: উত্তরবঙ্গের বনভূমির সংকটগুলি হল-
ⅰ) চা বাগানের বিস্তারের জন্য বনভূমি ক্রমাগত কেটে ফেলা হচ্ছে।
ii) চিতাবাঘ হানা: এখানে বনভূমি কেটে ফেলার কারণে চিতাবাঘের প্রাকৃতিক খাদ্যের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। ফলে খাদ্যের জন্য চিতাবাঘ প্রায়শই চা-বাগান পার্শ্ববর্তী লোকালয়গুলিতে হানা দিয়ে গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে যাচ্ছে। তাই মানুষ বিষ প্রয়োগ করে বা মরণফাঁদ তৈরি করে চিতাবাঘদের মেরে ফেলছে।
iii) মানুষ হাতি সংঘাত: বন কেটে রেলপথ তৈরি করার ফলে প্রতিনিয়ত ট্রেনে কাটা পড়ছে হাতি। এছাড়া বর্ষাকালে ভুট্টার সময়ে বা শীতকালে ধান পাকতে শুরু করলে হাতির চলাচল বাড়ে। এরফলে মানুষের সঙ্গে হাতির সংঘাত শুরু হয়
৪. ম্যানগ্রোভ বনভূমির উদ্ভিদের পরিবেশের উপযোগী তিনটি দেহগত বিশেষ বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো, কারণ সহ।
উত্তর: ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদরা জোয়ারভাটা প্লাবিত কর্দমাক্ত অঞ্চলে জন্মায়। তাই তাদের পরিবেশ উপযোগী নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি দেখা যায়।
ⅰ) শ্বাসমূল: জোয়ারভাটার কারণে মাটির সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম ছিদ্রগুলি কাদায় ঢাকা পড়ে যায়। ফলে শ্বাসকার্য চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই এইসব উদ্ভিদের মূল মাটির ওপর উঠে আসে, শ্বাসকার্য চালানোর জন্য। এগুলিকে শ্বাসমূল বলে। যেমন- সুন্দরী।
ii) ঠেসমূল: নরম মাটিতে গাছ যাতে উপড়ে পড়ে না যায় সেজন্য কান্ডের গোড়া থেকে ঠেসমূল বেরোয়। যেমন- গর্জন।
iii) লবণ গ্রন্থি: মূল দ্বারা শোষিত জলে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে। যা উদ্ভিদের নানা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়। এই লবণ বের করে দেওয়ার জন্য মূল ও পাতায় লবণগ্রন্থি দেখা যায়।
9. ম্যানগ্রোভস বনের বর্তমান সংকট উল্লেখ করো।
উত্তর: ম্যানগ্রোভস বনের বর্তমান সংকট হল পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং জলের লবণাক্ততা বৃদ্ধি।
পরিবেশের তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় জলের উচ্চতা ক্রমাগত বাড়ছে। আর বাড়ছে জলে নুনের পরিমাণ। ফলে গাছের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাচ্ছে। বিপন্ন হচ্ছে রিভার টেরাপিন, খাড়ির কুমির-এর মতো প্রাণীরা।
জোয়ারের সময় সমুদ্রের লবণাক্ত জল সরাসরি খাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করে। এই অতিরিক্ত লবণ স্থলভাগের উদ্ভিদরা সহ্য করতে পারে না। দেহকলায় বিষক্রিয়া দেখা দেয়। বিশ্ব উন্নায়ন ম্যানগ্রোভস বনের আরেকটি সংকট। তাপমাত্রা
বৃদ্ধির ফলে জলতল বৃদ্ধি পেয়ে ডুবে যাচ্ছে বনভূমির নীচের অংশ। নষ্ট হচ্ছে সেখানকার জীববৈচিত্র্য।
10. সমুদ্র বৈচিত্র্য বর্ণনা করো।
উত্তর: সমুদ্রের জীব বৈচিত্র্য অতুলনীয়। জোয়ার ভাটায় যতটা অঞ্চল প্লাবিত হয় তার মাঝের অঞ্চলে দেখা যায় লাইকেন, শ্যাওলা, শামুক, ঝিনুক, তারা মাছ, কাঁকড়া, সাগরকুসুম। মহীসোপানের ওপরের জলময় অঞ্চলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক জীবের দেখা যায়। জলের তলায় দেখা যায় কেল্প নামক শ্যাওলা, স্পঞ্জ বিভিন্ন অমেরুদণ্ডী প্রাণী, ছোটো মাছ, সামুদ্রিক কচ্ছপ, সী-কাউ, সী-হর্স, আর ছোটো সামুদ্রিক চিংড়ি। এছাড়া আছে নানান আণুবীক্ষণিক জীব। খোলা সমুদ্রের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে হাঙর, হ্যাচেট মাছ, তিমি, জেলিফিস, অক্টোপাস, চিংড়ি, সাগর কুসুম, স্কুইড, তারামাছ, সমুদ্র শশা দেখা যায়।
11. বায়োলুমিনিসেন্স প্রক্রিয়াটি সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: গভীর সমুদ্রের প্রাণীদের দেহে জৈবিক পদ্ধতিতে উত্তাপহীন কিছু আলো নির্গত হয়, একে বায়োলুমিনিসেন্স বলা হয়। যাদের দেহে এই আলো তৈরি হয় তাদের বায়োলুমিনিসেন্ট বলা হয়। বায়োলুমিনিসেন্টদের দেহে থাকে লুসিফারিন নামক প্রোটিন ঘটিত রঞ্জক যা অক্সিজেনের উপস্থিতিতে লুসিফারেজ নামক উৎসেচক দ্বারা জারিত হয়। এই জারণের ফলে উত্তাপবিহীন আলো উৎপন্ন হয়। এই প্রক্রিয়াটি নিরবচ্ছিন্নভকাবে ঘটতে পারে বা মাঝে মাঝে ঘটতে পারে।
12. অ্যালগি ব্লুম কাকে বলে? এর ফলে কী ক্ষতি হয়?
উত্তর: জলে ফসফেট জাতীয় রাসায়নিক সার ও জৈব বস্তু এবং ময়লা জলে থাকা নানা পুষ্টি উপাদান সমুদ্রের জলে মিশলে জলে ফাইটো প্লাঙ্কটনের পরিমাণ বেড়ে যায়। একে অ্যালগি ব্লুম বলে। অ্যালগলি ব্লুমের ফলে সৃষ্ট শৈবালদের দেহ থেকে নির্গত অধিবিষের কারণে সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যু ঘটে। জলের স্বচ্ছতা হ্রাস পেয়ে সূর্যালোকের প্রবেশে বাধা প্রাপ্ত হয়। ফলে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়াটি হ্রাস পায়। শৈবালরা শ্বাসকার্য চালানোর ফলে জলে দ্রবীভূত ০₂-এর পরিমাণ হ্রাস পায়। ফলে জলজ প্রাণীরা O₂-এর অভাবে মারা যায়।
13. সমুদ্র দূষণের কারণগুলি লেখো।
উত্তর: সমুদ্র দূষণের মূল কারণগুলি হল- কীটনাশক, আগাছা নাশক, রাসায়নিক সার, ডিটারজেন্ট, তেল, জৈব-বর্জ্যযুক্ত ময়লা, জল, প্লাস্টিক ও নানা কঠিন বস্তু।
(i) সার ও ময়লা রাসায়নিক সার ও জৈব বর্জ্যযুক্ত ময়লা জল সমুদ্রে মিশে ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনের বৃদ্ধি ঘটায়। ফলে জলে মেশে অধিবিষ, কমে জলে দ্রবীভূত ০₂-র পরিমাণ, হ্রাস পায় সামুদ্রিক উৎপাদনশীলতা। মৃত্যু ঘটে সামুদ্রিক প্রাণীর।
(ii) তেল: তৈলবাহী ট্যাঙ্কার দুর্ঘটনায় পড়লে সমুদ্রের জলে তেল ভাসতে থাকে। ফলে সামুদ্রিক পাখিদের পালক, দেহ তেলে নষ্ট হয়। জলের ভেতরে ০, প্রবেশ বাধাপ্রাপ্ত হয়, ফলে জলজ প্রাণী মারা যায়।
(iii) প্লাস্টিক: সমুদ্রে প্লাস্টিকজাত বর্জ্য ফেলা হলে তা জলে ভাসতে থাকে। এই ভাসমান প্লাস্টিককে খাদ্য ভেবে তা খেয়ে ফেলে। ছোটো প্লাস্টিক হলে তা পাকস্থলিতে পৌঁছে যায় এবং সংক্রমণ ঘটায়। বৃহৎ প্লাস্টিক হলে তা খাদ্যনালীতে আটকে যায় ও খাবার খাওয়ার পথে বাধার সৃষ্টি করে। ফলে প্রাণীটি অনাহারে মারা যায়।
14. সমুদ্রের জলে অম্লত্ব বেড়ে যাওয়ার কারণ ও ফলাফল লেখো।
উত্তর: মানুষের বিভিন্ন কাজের ফলে পরিবেশে CO₂-র পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। এরফলে প্রাণীদের যেমন- মাছ, স্কুইড সহ অন্যান্য ফুলকাযুক্ত প্রাণী জল থেকে শ্বাসকার্যের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রবীভূত অক্সিজেন পাচ্ছে না। জলের অম্লত্ব বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শামুক, ঝিনুক এবং কোরালের ক্যালশিয়াম কার্বনেটের খোলক নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
মরু অঞ্চলের জীবজগৎ
15. মরুভূমিতে মরূদ্যান কীভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর: মরূদ্যান হল মরুভূমির ধূ-ধূ-বালি প্রান্তরের মাঝে একটুকরো সবুজের ছোঁয়া। মরুভূমিতে খুব সামান্য বৃষ্টিপাত হয়। এই বৃষ্টিপাতের বেশির ভাগটাই বালির নীচের গভীর শিলাস্তরে জমা হয়। মরুভূমির মাঝে কোথাও কোথাও এই শিলাস্তরে ফাটল ধরলে সেই জল বাইরে বেরিয়ে এসে তৈরি করে জলাশয়। এই জলাশয়কে ঘিরে জন্মায় গাছপালা। শুরু হয় নানা জীবের জীবনধারণ। নিস্তরঙ্গ বালির সমুদ্রের মাঝে প্রাণের ছোঁয়া।
16. মরু অঞ্চলের উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
উত্তর: মরু অঞ্চলের উদ্ভিদরা শুষ্কতাকে এড়িয়ে চলার জন্য তাড়াতাড়ি বাড়ে এবং মরে যাওয়ার আগে এই ধরনের গাছে ফুল ফোটে। বীজ উৎপন্ন হয়। এদের কান্ড রসালো হয়। কান্ডে মিউসিলেজ থাকে। জলের বাষ্পমোচন রোধ করার জন্য পাতা কাঁটায় রূপান্তরিত হয় এবং কান্ডে কিউটিকলের আবরণ থাকে। গাছের মূল কিছু ক্ষেত্রে বালির অনেক গভীরে চলে যায়। আবার কিছু গাছের মূল মাটির কাছাকাছি থাকে। এরা অল্প দিনের আয়ুতেই ফুল-ফলে সেজে ওঠে। বীজের সুপ্তাবস্থা দীর্ঘ হয়।
17. যে সকল প্রাণী মরুভূমিতে থাকে তারা কীভাবে তাপ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে?
উত্তর: মেরুভূমিতে প্রাণীরা বিভিন্নভাবে খাপ খাইয়ে নেয়: i) কোনো কোনো প্রাণী শুধুমাত্র রাতেরবেলায় বাইরে বের হয়।
ii) কোনো কোনো প্রাণী ভোরবেলা বা সূর্যাস্তের সময় সক্রিয় হয়।
iii) কিছু প্রাণী গরমকালে শুষ্ক জায়গা থেকে উঁচু ঠান্ডা জায়গায় চলে যায়।। শীতকালে আবার ফিরে আসে।
iv) কোনো প্রাণী গ্রীষ্মকালীন ঘুম বা অ্যাস্টিভেশন-এ যায়।
v) কোনো প্রাণীর ত্বক পুরু হয়। ফলে জল বেরিয়ে যেতে পারে না।
vi) কোনো প্রাণীর পা লম্বা হয়। ফলে দেহ গরম বালির সংস্পর্শে আসতে পারে না।
18. উটের মরু অভিযোজনগুলি সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: মরুভূমির জাহাজ হল উট। উটের মরু অভিযোজনগুলি হল-
ⅰ) উটের কুঁজে চর্বি থাকে। যা জারিত হয়ে জলের চাহিদা মেটায়।
ii) উটের হাঁটু ও পেটের মোটা চামড়া গরম বালিতে বসতে সাহায্য করে।
iii) মরু ঝড়ে বালির হাত থেকে বাঁচার জন্য উট তার নাকের ফুটো খুলতে ও বন্ধ করতে পারে। চোখের পাতা স্বচ্ছ এবং নেত্রপল্লব ঝোপের মতো।
iv) উটের জিভ শক্ত চামড়ার মতো। ফলে কাঁটা ঝোপ-ঝাড় খেতে পারে।
v) এদের শরীরে ঘর্মগ্রন্থির সংখ্যা কম। ফলে ঘাম কম হয়। ঘন মূত্র ত্যাগ করে। উট একবারে 25 গ্যালন জলপান করতে পারে।
vi) পায়ের পাতা বেশ পুরু ও চওড়া এবং লম্বা হয়।
19. মরুভূমির সবচেয়ে বিষাক্ত জীব সম্পর্কে যা জান লেখো।
উত্তর: মরুভূমির সবচেয়ে বিষাক্ত জীব হল র্যাটল সাপ। এদের লেজের কাছে ফাঁপা ঝুমুরের মতো ঝুমঝুমি বা Rattle দেখা যায়। এরা ভালো সাঁতার কাটতে পারে। যত বয়স হয় এদের ঝুমঝুমি বা র্যাটল লম্বা হয়। এদের শরীরে রক্ত ঠান্ডা এবং সারা দেহ শুষ্ক আঁশ দিয়ে ঢাকা থাকে। এদের একজোড়া ফাঁপা বিষ দাঁত আছে। এদের জিভ সক্রিয়। এরা রাতের বেলায় বের হয় শিকার ধরতে। শিকারের ওপর বিষ ঢেলে শিকার নরম করে তারপর খায়। এদের শত্রু হয় ঈগল পাখি।
20. কালাহারি মরুভূমির অধিবাসীদের কী বলে? এদের জীবনযাত্রা কীরূপ?
উত্তর: কালাহারি মরুভূমির অধিবাসীদের স্যান বুশম্যান বলে। স্যান বুশম্যানরা ভিজে বালির মধ্যে গর্ত করে নলাকার ঘাস ঢুকিয়ে জল টেনে খায়। অস্ট্রিচের ডিমের খোলককে জল খাবার পাত্র হিসেবে ব্যবহার করে। এরা মরুভূমির বালির সজ্জা দেখে বলে দিতে পারে বালির তলায় জল আছে বা নেই।
21. বুশম্যান ও বেদুইনদের জীবনযাত্রা কেমন?
উত্তর: বুশম্যানরা হল নামিব মরুভূমির অধিবাসী। এরা বালির ভেতর গর্ত করে থাকে। তির-ধনুক নিয়ে প্রাণী শিকার করে তাকে ঝলসে খায়।
সাহারা ও আরব মরুভূমির অধিবাসীরা হল বেদুইন। এরা ঢিলেঢালা পোশাক পড়ে এবং যাযাবর প্রকৃতির। উটের পিঠে চেপে মাইলের পর মাইল ঘুরে বেড়ায়। মাঝে মাঝে কিছুদিন তাঁবু খাঁটিয়ে বিশ্রাম নিয়ে আবার পথ চলা শুরু করে।
মেরু অঞ্চলের জীবজগৎ
22. মেরু ভালুকেরা কীভাবে সুমেরুতে বেঁচে থাকে?
উত্তর: সুমেরুতে মেরু ভালুকেরা নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে বেঁচে থাকে।
ⅰ) এদের লোমের তত্ত্বগুলি খুব স্বচ্ছ হয়। যা সূর্যের আলো শোষণ করে তাপ ধরে রাখে। ফলে এদের শরীর গরম থাকে।
ii) প্রবল ঠান্ডা আটকানোর জন্য এদের চামড়ার ওপর ঘন লোমের দুটি আস্তরণ থাকে আর শরীরের একদম নীচের চামড়া কালো হয় সূর্যের তাপ ধরে রাখার জন্য।
iii) ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচার জন্য এদের চামড়ার নীচে 10 cm. পুরু ফ্যাট থাকে। এছাড়া এটি জলে ভাসতে সাহায্য করে।
iv) এদের পা বরফের জুতোর মতো হয়। এদের পায়ের তালুতে যে বিশেষ ধরনের লোম থাকে তা বরফ বা তুষারের ওপর দিয়ে হাঁটার সময় হড়কে যাওয়া আটকায়।
23. পেঙ্গুইনের জীবন বিষয়ে লেখো।
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকায় যে সকল পেঙ্গুইন পাওয়া যায়, তাদের মধ্যে অন্যতম হল এস্পেরার পেঙ্গুইন। এরা বরফ ও জল উভয় জায়গাতেই থাকতে পারে। শীতকালে প্রবল ঠান্ডায় অন্ধকারে এরা ডিম পাড়ে। ডিমপাড়ার পর মা পেঙ্গুইন খাবারের খোঁজে সমুদ্রে চলে যায়। বাবা পেঙ্গুইন ডিমে তা দেয়। দুপায়ের সঙ্গে একটি চামড়ার ভাঁজের নীচে ডিমটি ধরে রাখে এবং দুমাস ধরে তা দেয়। এসময় অনেক পুরুষ এস্পেরার পেঙ্গুইন একসঙ্গেই জড়াজড়ি করে থাকে। দীর্ঘসময় না খাওয়ার কারণে ওজন হ্রাস পায়। ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোনোর পর বাবাই প্রথম বাচ্চাকে খাওয়ানের দায়িত্ব নেয়। পরে বাবা ও মা একসঙ্গে বাচ্চাকে খাওয়ায়। গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময়ে বাচ্চা পাখিরা বরফের টুকরোতে চড়ে জলের সংস্পর্শে আসে ও সমুদ্রের জলে থাকা বিভিন্ন প্রাণীদের ধরে খেতে শেখে।
24. অ্যান্টার্কটিকার পরিবেশ দূষণে মানুষ কেন দায়ী?
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকার পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী মানুষ। মানুষের ব্যবহৃত ক্লোরোফ্লু ওরো কার্বন ও হ্যালন জাতীয় যৌগ অ্যান্টার্কটিকার ওপরে থাকবায়ুমণ্ডলের অন্তর্গত ওজোন স্তরের ঘনত্ব কমিয়ে দিয়েছে। এরফলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে এসে পড়ছে। ফলে ক্যানসার, চোখের ছানি পড়ার মতো ঘটনা ঘটছে। অ্যান্টার্কটিকায় জাহাজ চলাচল ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় সমুদ্রের জলে পড়ছে তেল। এই তেল জলকে দূষিত করে চলেছে। মাছ ধরার জাল, যন্ত্রপাতি, দড়ি, বাক্সের ব্যবহার বাড়তে থাকায় পাখি ও সিলেরা তাতে আটকে মারা যাচ্ছে। গবেষণার কাজে মানুষ থাকায় নিত্য ব্যবহার্য বর্জ্য জিনিসও অ্যান্টার্কটিকার পরিবেশকে দূষিত করছে।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ
25. মানুষের কোন্ কোন্ আচরণের কারণে বন্য প্রাণীর বিপন্নতা বাড়ছে?
উত্তর: মানুষের যে যে আচরণের কারণে বন্য প্রাণীর বিপন্নতা বাড়ছে, সেগুলি হল- (i) বন কেটে ফেলা। (ii) বন্য প্রাণীর বাসস্থান নষ্ট করা। (iii) সম্পদের যথেচ্ছ ব্যবহার। (iv) পরিবেশ দূষণ। (v) বাইরে থেকে নতুন প্রজাতি আনা। (vi) শিকার ও চোরাশিকার। (vii) বন্য প্রাণীর দেহাংশকে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা ইত্যাদি।
26. রেডডাটা বুক কী? এই রই এর তালিকা অনুসারে বিভিন্ন প্রজাতিকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে ও কী কী?
উত্তর: IUCN দ্বারা প্রকাশিত বিপন্ন জীবদের তালিকাভুক্ত বইকে Red Data Book এর তালিকা অনুসারে বিভিন্ন জীবকে আটটি ভাগে বা ক্যাটেগোরিতে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলি হল- (1) বিলুপ্ত, (2) বন্য পরিবেশে বিলুপ্ত, (3) অতি সংকটাপন্নভাবে বিপন্ন, (4) বিপন্ন, (5) বিপদগ্রস্ত, (6) কম বিপদগ্রস্ত, (7) তথ্য অনুপস্থিত, (৪) সমীক্ষা করা হয় নি।
27. জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উপায়গুলি ছকের আকারে লেখো
উত্তরঃ
28. শকুনকে সাফাইকর্মী কেন বলে? এই সাফাইকর্মীরা কীভাবে তাদের কাজের জন্য হারিয়ে যাচ্ছে?
উত্তর: শকুন প্রধানত ভাগাড়ের মরা জীবজন্তু খেয়ে জীবনধারণ করে। এই মৃত জীবজন্তু খাওয়ার কারণে এই সকল মরা জীবজন্তু পচে গিয়ে মহামারী সৃষ্টিকারী জীবাণুর বংশবিস্তার রোধ করে পরিবেশ ঠিক রাখে। তাই শকুনকে সাফাইকর্মী বলে।
শকুনের দল মরা পশুপাখিদের খেয়ে বেঁচে থাকে। পোষা গোরু-মোষদের বিভিন্ন অসুখে বিশেষত হাড়ের অসুখে ব্যথা নিবারণকারী ওষুধ ডাইক্লোফেনাক দেওয়া হয়। মৃত পশুর দেহে ওই ওষুধ থেকে যেত। শকুনের এইসব মৃত গবাদি পশুর খাওয়ার কারণে শকুনের শরীরে ডাইক্লোফেনাক প্রবেশ করে এবং শকুনের কিডনি বা বৃক্ক নষ্ট করে দেয়। ফলে দ্রুত শকুনেরা মারা যায় এবং ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে কারণ এদের বংশবিস্তারের হার খুব কম।
29. বর্তমানে মেছো বিড়ালের অস্তিত্ব সংকটজনক কেন? কীভাবে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে?
উত্তর: ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও মানুষের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে মেছোবিড়ালের অস্তিত্ব আজ সংকটজনক। আগে ঝোপ জঙ্গল বা খাঁড়ি, নালা, হোতালায় ভরা জলাভূমি ছিল। সেখানে মেছো বিড়াল থাকত। খাদ্যেরও অভাব হত না। কিন্তু বর্তমান বড়ো বড়ো আবাসন নির্মাণ, রাস্তা ও সড়ক নির্মাণ, শপিং মল তৈরির জন্য এদের বাসভূমি আজ আর নেই। কোথাও আবার ইটভাটা, কারখানা তৈরি হচ্ছে। ফলে বাসভূমির সঙ্গে সঙ্গে ঘটছে প্রাকৃতিক খাদ্যের অভাব। বাধ্য হয়ে এরা লোকালয়ে এসে হাঁস-মুরগি ও অন্যান্য খাবারের জন্য ঢুকে পড়ছে এবং মারা পড়ছে। তাই এদের অস্তিত্ব আজ সংকটজনক।
এই সংকট থেকে বাঘরোলকে রক্ষা করতে হলে এদের বাসস্থানকে সুরক্ষিত করতে হবে। বন্ধ করতে হবে এদের অকারণে হত্যা করা। তবেই বাঘরোল বা বনোবিড়াল টিকে থাকবে। নচেৎ পৃথিবী থেকে হারিয়ে যেতে পারে।
30. গঙ্গার শুশুকের অস্তিত্ব আজ বিপন্ন কেন?
উত্তর: গঙ্গার শুশুকের অস্তিত্ব বিপন্নের প্রধান কারণ মানুষের নানাবিধ কার্যকলাপ। নদী বাঁধ দেওয়ার কারণে কমছে নদীর গভীরতা। ফলে শুশুকের যাতায়াতের পথে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া জেগে উঠছে চর, যা একগোষ্ঠীর শুশুকের সঙ্গে অন্যগোষ্ঠীর শুশুকের মধ্যে সংযোগ ও প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। তারপর আছে নদীর জল দূষণ। বিভিন্ন কলকারখানার ক্ষতিকারক বর্জ্য, তেল ইত্যাদি নদীতে মিশে মৃত্যু ঘটাচ্ছে নদীর জলজ জীবদের। ফলে শুশুকের খাদ্যের অভাব ঘটছে। এছাড়া মাছ ধরার জালে আটকে পড়ে প্রচুর শুশুক মারা যাচ্ছে।
31. শুশুক রক্ষার জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
উত্তর: শুশুক ভারতের জাতীয় জলজ প্রাণী। 1991 সালে বিহারের সুলতানগঞ্জ আর কাহালগাঁও-এর মাঝে গঙ্গা 60 কি.মি. অঞ্চল জুড়ে গড়ে উঠেছে বিক্রমশীলা গ্যাঞ্জেটিক ডলফিন স্যাংচুয়ারি। এটি পৃথিবীর প্রথম শুশুক স্যাংচুয়ারি। এছাড়া শুশুক বিচরণকারী অঞ্চলের আশেপাশে সাধারণ জেলেদের শুশুক সংরক্ষণের সচেতনতা বাড়াতে প্রচার করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের ব্রিজঘাট থেকে নারোরার মধ্যবর্তী গঙ্গার অঞ্চলকে শুশুক সংরক্ষণের জন্য “রামসর স্থান” অর্থাৎ সংরক্ষিত বিশেষ জলাভূমি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
32. গন্ডারের দেহ গঠন বর্ণনা করো।
উত্তর: গন্ডারের দেহ লোমহীন ধূসর রঙের শক্ত চামড়া দিয়ে ঢাকা। চামড়ার ওপর ঢালের মতো খাঁজ কাটা, অনেকটা বর্মের মতো দেখতে লাগে। বর্মে তিনটি খাঁজ দেখা যায়- একটি ঘাড়ের কাছে, একটি কাঁধের ঠিক পিছনে এবং তৃতীয়টি উরুর ঠিক সামনে। দেহের পাশের দিকে চামড়ায় বড়ো বড়ো গুটি থাকে। চামড়া খুব শক্ত। কোনো কোনো জায়গায় 4 cm পর্যন্ত হয়। ত্বকের নীচে 2- 5 cm. পুরু, চর্বির স্তর থাকে। সারাদেহ লোমহীন হলেও লেজের ডগায়, চোখের পাতায় এবং কানের আশেপাশে কর্কশ প্রকৃতির লোম দেখা যায়।
33. ঘাস জমির বাস্তুতন্ত্র ও গন্ডারের সম্পর্ক লেখো।
উত্তর: ঘাসজমির বাস্তুতন্ত্রের ওপর গন্ডারের প্রভাব দেখা যায়।
i) গন্ডার যখন খড়গ দিয়ে মাটি খুঁড়ে ফেলে তখন বীজের অঙ্কুরোদগমের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। ফলে ঘাসজমির উদ্ভিদের বিস্তার ঘটে এবং প্রাচুর্য বৃদ্ধি পায়। ফলে তৃণভোজী প্রাণীদের খাদ্যের সম্ভার বেড়ে যায়।
ii) গন্ডার শাকাহারী প্রাণী। এরা গাছের ফল খায়। মলত্যাগে মলের সঙ্গে ফলের বীজ মিশে থাকে। একজায়গায় মলত্যাগের স্বভাবের কারণে মলের স্তূপ খঙ্গঙ্গ দিয়ে সমান করার সময় বীজগুলির অঙ্কুরোদ্গম ঘটে। এছাড়া পাখিরা মল মধ্যস্থ বীজগুলোকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে দেয় বিষ্ঠার মাধ্যমে। ফলে বীজের বিস্তার ঘটে।
34. গন্ডার সংকটের কারণগুলি লেখো।
উত্তর: প্রাকৃতিক পরিবেশে গন্ডার প্রায় 35-40 বছর অবধি বাঁচে। কিন্তু খড়গের লোভে চোরাশিকারের কারণে গন্ডারের সংখ্যা অতি দ্রুত খুব কমে যাচ্ছে। ফলে এদের অস্তিত্ব আজ সংকটের মুখে। গন্ডারের খঙ্গের একটা উত্তেজক গুণ আছে এই ভ্রান্ত বিশ্বাসের কারণে আজ চোরাশিকারিদের লোভের কারণ গন্ডার। এছাড়া বাসস্থান সংকোচন, প্রজননে বাধা ও গন্ডার সংকটের কারণ। তাই গন্ডার শিকার নিষিদ্ধ করে এদের যথাযথ সংরক্ষণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
35. গন্ডার বিরক্ত হলে কী করে? এদের কৃন্তক দন্তের বৈশিষ্ট্য কী? ভারতবর্ষের কোথায় গন্ডার সংরক্ষণ করা হয়?
উত্তর: গন্ডারের কৃন্তক দন্ত খুব লম্বা হয়। এলাকা দখলের কারণে বা অন্য কোনো কারণে সংঘর্ষ হলে এই দাঁত গভীর ক্ষত সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখে। ভারতবর্ষের অসমের কাজিরাঙা, পশ্চিমবঙ্গের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে গন্ডার সংরক্ষণ করা হয়।
36. ন্যাশনাল পার্ক, অভয়ারণ্য ও বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ কাকে বলে?
উত্তর: কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন বৃহৎ যে অঞ্চলে গাছকাটা ও মাছধরা নিষিদ্ধ, যেখানে শর্তসাপেক্ষে পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়, তাকে ন্যাশনাল পার্ক বা জাতীয় উদ্যান বলে।
রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রাণাধীন যে অরণ্যে বন্যপ্রাণীরা নির্ভয়ে বিচরণ করে, বনদপ্তরের অনুমতি ব্যতিরেকে যেখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ, তাকে অভয়ারণ্য বলে।
UNESCO এর Man and Biosphere Reserve কর্মসূচির অন্তর্গত যে অঞ্চলে সমগ্র বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষিত হয়। তাকে বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ বলে।
5. Fill In The Blanks
1. পৃথিবীপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ও জলচক্র নিয়ন্ত্রণ করে |
উত্তর: বন
2. শ্বাসমূলযুক্ত গাছের বাদাবনে গাছ দেখা যায়।
উত্তর: গরান
3. বনগঠনের শেষ স্তর হল বনের ।
উত্তর: মেঝে
4. বর্ষাবন হল এর মতো।
উত্তর: স্পঞ্জ
5. বনের আগুনকে বলে।
উত্তর: দাবানল
6. মরুভূমি বিস্তারের একটি কারণ হল- |
উত্তর: বনভূমি হ্রাস
7. বনের মাটি আর গাছের পাতা বৃষ্টিপাতের প্রায় শুষে নেয়।
উত্তর: 50%
৪. পাহাড়ের ঢালে বিদেশ থেকে আগত গাছের বন আছে।
উত্তর: ধূপী
9. পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রের জলে বাড়ছে পরিমাণ।
উত্তর: নুনের
10. উত্তরবঙ্গের বনভূমিতে প্রাণী বিপন্ন।
উত্তর: একশৃঙ্গ গন্ডার
সমুদ্রের নীচের জীবন ও সমুদ্রের জীব
11. ডায়াটম হল একটি |
উত্তর: ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন
12. সমুদ্রের ডুবে থাকা মহাদেশের অংশকে বলে।
উত্তর: মহীসোপান
13. কেল্প হল এক প্রকার সামুদ্রিক |
উত্তর: শৈবাল/শ্যাওলা
14. বায়োলুমিনিসেন্ট জীবের দেহে নামক উৎসেচক পাওয়া যায়।
উত্তর: লুসিকারেজ
15. গমনে অক্ষম একটি প্রাণী হল |
উত্তর: সাগর কুসুম
16. দশবাহুযুক্ত একটি প্রাণী হ
উত্তর: স্কুইড
17. মানুষের ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী হল অক্টোপাস।
উত্তর: ব্লু-রিংড
18. নালিপদের সাহায্যে চলাফেরা করে।
উত্তর: তারামাছ
মরু অঞ্চলের জীবজগৎ
19. মরুভূমিতে তাপমাত্রা খুব বেড়ে গেলে কোনো কোনো প্রাণী নামক গরম ঘুমে চলে যায়।
উত্তর: অ্যাস্টিভেশন
20. মরু উদ্ভিদের দেহে এর পরিবর্তে কাঁটা থাকে।
উত্তর: পাতা
21. প্রিকলি পিয়ারের আত্মরক্ষার অস্ত্র হল |
উত্তর: কাঁটা
22. মরুভূমির গাছের ছালকে মানুষ থালা, বাটি হিসেবে ব্যবহার করে।
উত্তর: যশুয়া
23. সবদেশের মরুভূমিতে আছে পিয়ার গাছ।
উত্তর: প্রিকলি
24. মরুভূমির সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ হল |
উত্তর: র্যাটল সাপ
25. মরুভূমিতে বসবাসকারী মানুষদের বুশম্যান বলে।
উত্তর: আফ্রিকার নামিব
মেরু অঞ্চলের জীবজগৎ
26. হল সুমেরুর একটি বিশেষ স্তন্যপায়ী প্রাণী যা কুমেরুতে দেখা যায় না।
উত্তর: মেরু ভালুক
27. ভালুকের পা জুতোর মতো।
উত্তর: বরফের
28. এক্সিমোদের জীবনে একটি অপরিহার্য জীব হল ।
উত্তর: কুকুর
29. ডিম ফুটে বেরোনো বাচ্চাকে প্রথম খাওয়ানের দায়িত্ব নেয় পেঙ্গুইন।
উত্তর: পুরুষ
30. পৃথিবীর সবচেয়ে কম দূষিত স্থান হল |
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকা
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ
31. অ্যাকোয়ারিয়াম হল একটি সংরক্ষণ।
উত্তর: এক্স সিটু
32. বসুন্ধরা শিখর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় সালে।
উত্তর: 1992
33. গন্ডারের খড়গ তৈরি হয় নামক প্রোটিন দিয়ে।
উত্তর: কেরাটিন
34. শকুনের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ ওষুধ।
উত্তর: ডাইক্লোফেনাক
35. মেছো বিড়ালের অপর একটি নাম হল |
উত্তর: বাঘরোল
6. True And False
1. ভারতের স্থলভাগের ২১ শতাংশ হল বন। ☑
2. মাটির নীচের জলস্তর নিয়ন্ত্রণে উদ্ভিদের কোনো ভূমিকা নেই। ‘X’
সঠিক উত্তর: মাটির নীচের জলস্তর নিয়ন্ত্রণে উদ্ভিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।
3. শন, পুরুন্ডি ইত্যাদি দেখা যায় ঘাসের বনে। ☑
4. তাপির, গরিলা ইত্যাদি প্রাণী বর্ষাবনে দেখা যায়। ☑
5. বন কেটে ফেললে খরা ও বন্যার সমস্যা কমে যায়। ‘X’
সঠিক উত্তর: বন কেটে ফেললে খরা ও বন্যার প্রকোপ বেড়ে যায়।
6. সারা পৃথিবীতে প্রতি সেকেন্ডে মানুষ প্রায় 11½ একর বন কেটে ধ্বংস করে। ☑
7. তরাই এর বন দক্ষিণ সমুদ্রোপকূলে দেখা যায়। ‘X’
সঠিক উত্তর: তরাই এর বন উত্তরবঙ্গে দেখা যায়।
৪. শ্বাসমূলযুক্ত উদ্ভিদ দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিকে। ☑
9. ঠেসমূল দেখা যায় পাইন গাছে। ‘X’
সঠিক উত্তর: ঠেসমূল দেখা যায় গর্জন গাছে। সমুদ্রের নীচের জীবন
10. অক্টোপাস খুব নিরীহ আর ভীরু প্রকৃতির প্রাণী। ☑
11. ডিনোফ্ল্যাজেলেট সিলিয়ার সাহায্যে চলাফেরা করে। ‘X’
সঠিক উত্তর: জিনোফ্ল্যাজেলেট ফ্ল্যাজেলার সাহায্যে চলাফেরা করে।
12. সাগর কুসুম এর কর্ষিকাগুলোতে থাকে অসংখ্য দংশক কোশ। ☑
13. সী-পেন দেখতে হাঁসের পালকের তৈরি কলমের মতো। ☑
14. অক্টোপাসের বাহুর সংখ্যা ১০ টি।
সঠিক উত্তর: অক্টোপাসের বাহুর সংখ্যা ৪ টি।
15. ডিমফুটে শিশু অক্টোপাস বেরোলে মা অক্টোপাস মারা যায়। ☑
16. দৈত্যাকার স্কুইড বাস করে প্রশান্ত মহাসাগরে। ‘X’
সঠিক উত্তর: দৈত্যাকার স্কুইড বাস করে আটলান্টিক মহাসাগরে।
17. হাঙরের দেহে পাঁচটি ফুলকা ফাটল বা স্লিট থাকে। ☑
18. রাসায়নিক সার ও জৈব বর্জ্য সমুদ্রে অ্যালগাল ব্লুমের কারণ। ☑
মরু অঞ্চলের জীবজগৎ
19. ভারতবর্ষের উন্ন মরুভূমি হল থর। ☑
20. অ্যারবিয়ান উটে দুটি কুঁজ থাকে। ‘X’
সঠিক উত্তর: অ্যারবিয়ান উটে একটি কুঁজ থাকে।
21. যশুয়া গাছের ফল থেকে জ্যাম তৈরি হয়। ‘X’
সঠিক উত্তর: সাগুয়ারো গাছের ফল থেকে জ্যাম তৈরি হয়।
22. জলের অভাব পূরণ করতে মরু অঞ্চলের জীবেরা শিকার করে। ☑
23. উট একবারে পঁচিশ গ্যালনের মতো জল একসঙ্গে পান করতে পারে। ☑
24. থর মরুভূমিতে ওয়াধা সম্প্রদায়ের মানুষের দেখা মেলে। ☑
25. থর মরুভূমির উট আর কোথাও দেখা যায় না। ‘X’
সঠিক উত্তর: থর মরুভূমির বুনোগাধা আর কোথাও দেখা যায় না।
মেরু অঞ্চলের জীবজগৎ
26. কুমেরু অঞ্চলের প্রধান প্রাণী হল পেঙ্গুইন। ☑
27. শীত ঘুমে প্রাণীদের হৃদস্পন্দন ও শ্বাসক্রিয়ার হার বেড়ে যায়। ‘X’
সঠিক উত্তর: শীতঘুমে প্রাণীদের হৃদস্পন্দন ও শ্বাসক্রিয়ার হার কমে যায়।
28. মেরু ভালুকের চামড়ার নীচে ১০ cm. পুরু ফ্যাট থাকে। ☑
29. এক্সিমোদের বরফবাড়ি বানাতে দীর্ঘসময় লাগে। ‘X’
সঠিক উত্তর: এস্কিমোদের বরফবাড়ি বানাতে এক ঘণ্টার মতো সময় লাগে।
30. অ্যান্টার্কটিকার প্রথম ওজোন গহ্বর দেখা যায়। ☑
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ
31. বোটানিক্যাল গার্ডেন হল প্রাকৃতিক সংরক্ষণ পদ্ধতি। ‘X’
সঠিক উত্তর: বোটানিক্যাল গার্ডেন হল কৃত্রিম সংরক্ষণ/এক্সসিটু সংরক্ষণ পদ্ধতি।
32. একটি বিপন্ন প্রাণী হল একশৃঙ্গ গন্ডার। ☑
33. শকুন পুনর্বাসন কেন্দ্র পিঞ্চোর পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত নয়। ☑
34. শুশুকের চোয়ালে কোনো দাঁত থাকে না। ‘X’
সঠিক উত্তর: শুশুকের চোয়ালে 27-32টা ছোটো দাঁত থাকে।