Class 8 Chapter 11 Bengali Medium
আমাদের চারপাশের পরিবেশ ও উদ্ভিদজগৎ
1. MCQs Question Answer
1. একটি ফাঁপা পর্বমধ্যযুক্ত উদ্ভিদ হল –
(a) গোলমরিচ
(b) বাঁশ
(c) দারুচিনি
(d) হলুদ
উত্তর: (b) বাঁশ
2. কচুরিপানা বায়োগ্যাসের উৎসরূপে ব্যবহার করা হয়। নীচের কোন্টি বেশি পরিমাণ থাকায়?
(a) সালফার
(b) হাইড্রোজেন
(c) নাইট্রোজেন
(d) হিলিয়াম
উত্তর: (c) নাইট্রোজেন
3. জলশোধন করার ক্ষমতা আছে-
(a) কচুরিপানা
(b) বাঁশ
(c) আদা
(d) হলুদ
উত্তর: (a) কচুরিপানা
4. ধুনো পাওয়া যায়-
(a) বাঁশগাছ থেকে
(b) সুন্দরীগাছ থেকে
(c) শালগাছ থেকে
(d) দারুচিনি থেকে
উত্তর: (c) শালগাছ থেকে
5. কচুরিপানা পশু খাদ্যরূপে ব্যবহৃত হয়, কারণ এতে-
(a) নাইট্রোজেন ও ফ্যাট বেশি থাকে
(b) নাইট্রোজেন ও প্রোটিন বেশি থাকে
(c) কার্বন ও কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে
(d) কোনোটিই নয়
উত্তর: (b) নাইট্রোজেন ও প্রোটিন বেশি থাকে
6. লবণাক্ত অঞ্চলে জলে জন্মায়-
(a) কচুরিপানা
(b) সুন্দরী
(c) বাঁশ
(d) শাল
উত্তর: (b) সুন্দরী
7. একটি কন্দজাতীয় উদ্ভিদ যা মশলারূপে ব্যবহৃত হয়-
(a) গোলমরিচ
(b) লবঙ্গ
(c) জায়ফল
(d) রসুন
উত্তর: (d) রসুন
৪. চিরসবুজ উদ্ভিদ নয়-
(a) আমলকী
(b) আম
(c) বট
(d) বাঁশ
উত্তর: (a) আমলকী
9. তীখে বলা হয় নীচের কোন্টিকে?
(a) গোলমরিচ
(b) লঙ্কা
(c) লবঙ্গ
(d) হলুদ
উত্তর: (a) গোলমরিচ
10. মাংস এবং অন্যান্য খাবার যা তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়, তা সংরক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হয়-
(a) আদা
(b) হলুদ
(c) গোলমরিচ
(d) এলাচ
উত্তর: (c) গোলমরিচ
11. কোন্ গাছের ছাল মশলারূপে ব্যবহৃত হয়?
(a) পেঁয়াজ
(b) আদা
(c) দারুচিনি
(d) এলাচ
উত্তর: (c) দারুচিনি
12. গরম মশলা হিসেবে ব্যবহৃত মশলায় যেটি থাকে না-
(a) এলাচ
(b) লবঙ্গ
(c) রসুন
(d) দারুচিনি
উত্তর: (c) রসুন
13. কারকিউমিন যৌগটি পাওয়া যায়-
(a) আদাতে
(b) হলুদে
(d) আমলকীতে
(c) রসুনে
উত্তর: (b) হলুদে
14. অ্যালজাইমার রোগের চিকিৎসাতে উপযোগী-
(a) অ্যালিসিন
(c) কারকিউমিন
(b) পেকটিন
(d) ট্যানিন
উত্তর: (c) কারকিউমিন
15. ফুলের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত একটি সুগন্ধি মশলা হল-
(a) দারুচিনি
(b) জাফরান
(c) জায়ফল
(d) হিং
উত্তর: (b) জাফরান
16. রসুনে থাকে নীচের কোন্ যৌগটি?
(a) অ্যালিসিন
(b) পিপেরাইন
(c) কারকিউমিন
(d) পেকটিন
উত্তর: (a) অ্যালিসিন
17. নিমপাতার রস যে রোগে উপকারী, তা হল-
(a) বহুমূত্র
(b) মধুমেহ
(c) রেটিনোপ্যাথি
(d) কোষ্ঠকাঠিন্য
উত্তর: (a) বহুমূত্র
18. জীবাণুনাশক ক্ষমতা সম্পন্ন উদ্ভিদ হল-
(a) বাঁশ
(b) সুন্দরী
(c) নিম
(d) শাল
উত্তর: (c) নিম
19. কোষ্ঠকাঠিন্যের অব্যর্থ ওষুধ হল-
(a) নিম
(b) বেল
(c) আদা
(d) শাল
উত্তর: (b) বেল
20. আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় যে ভিটামিনটি, তা হল-
(a) ভিটামিন A
(b) ভিটামিন B কমপ্লেক্স
(c) ভিটামিন C
(d) ভিটামিন D
উত্তর: (c) ভিটামিন C
21. ত্রিফলাতে থাকে না-
(a) আমলকী
(b) বেল
(c) বহেড়া
(d) হরীতকী
উত্তর: (b) বেল
22. ক্যানসার রোগ সারাতে কোন্ গাছের উপক্ষার ব্যবহার করা হয়-
(a) আমলকী
(b) নিম
(c) নয়নতারা
(d) রসুন
উত্তর: (c) নয়নতারা
23. মূত্রের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে-
(a) পুদিনা
(b) নিম
(c) ঘৃতকুমারী
(d) নয়নতারা
উত্তর: (a) পুদিনা
24. মানসিক চাপ ও উদবেগ কমাতে যে গাছের পাতার নির্যাস ব্যবহার করা হয়, তা হল-
(a) পুদিনা
(b) ঘৃতকুমারী
(c) নিম
(d) নয়নতারা
উত্তর: (b) ঘৃতকুমার
2. Very Short Question Answer
1. Melocanna bambusoides উদ্ভিদে কতদিন অন্তর ফুল ফোটে?
উত্তর: 30-35 বছর অন্তর।
2. আর্সেনিক সমৃদ্ধ পানীয় জল থেকে আর্সেনিক অপসারিত করে কোন্ উদ্ভিদ?
উত্তর: কচুরিপানা।
3. কচুরিপানা সোনার খনি অঞ্চলের জল থেকে কোন্ পদার্থকে শোষণ করে?
উত্তর: সায়ানাইড।
4. শালপাতার একটি ব্যবহার লেখো।
উত্তর: শুকনো শালপাতা দিয়ে থালা-বাটি তৈরি করা হয়।
5. ট্যানিন কোন কাজে লাগে?
উত্তর: চামড়া ট্যান করতে লাগে।
6. ট্যানিন কোথা থেকে পাওয়া যায়?
উত্তর: শাল গাছের ছাল থেকে।
7. ঠেসমূল কোন্ উদ্ভিদে দেখা যায়?
উত্তর: সুন্দরী গাছে।
৪. সুন্দরী গাছের পাতার বিশেষত্ব কী?
উত্তর: পাতার ওপরের দিকে সবুজ এবং চকচকে।
9. সুন্দরী গাছ প্রতিপালন ও সংরক্ষণ কেন্দ্র কোথায় গড়ে উঠেছে?
উত্তর: ঝড়খালিতে।
10. লবঙ্গের কোন্ অংশটি আমরা ব্যবহার করি?
উত্তর: অপ্রস্ফুটিত পুষ্পমুকুলটি।
11. গোলমরিচের বর্ণ কীরূপ?
উত্তর: কাঁচা অবস্থায় সবুজ, পেকে গেলে লালচে এবং শুকিয়ে গেলে কালো হয়।
12. লঙ্কা ছাড়া রান্নায় ঝাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় এমন একটি মশলার নাম লেখো।
উত্তর: গোলমরিচ।
13. পায়েস রান্নায় কোন্ মশলা ব্যবহার হয়?
উত্তর: এলাচ।
14. হলুদে কোন্ ধাতব পদার্থ বেশি থাকে?
উত্তর: কারকিউমিন।
15. পানের সঙ্গে কোন্ মশলা খাওয়া হয়?
উত্তর: এলাচ
16. হলুদের জীবাণুনাশক ক্ষমতার জন্য দায়ী রাসায়নিক যৌগটির নাম উল্লেখ করো।
উত্তর: কারকিউমিন।
17. নয়নতারা গাছ থেকে প্রাপ্ত একটি উপক্ষারের নাম লেখো।
উত্তর: ভিনক্রিস্টিন।
18. রসুনের একটি কন্দে আরও কতকগুলি ছোটো কন্দ থাকে?
উত্তর: 6-30টা কন্দ।
19. রসুন কোথায় জন্মায়?
উত্তর: মাটির নীচে।
20. ভারতবর্ষে কত প্রজাতির ঔষধি গাছের কথা জানা যায়?
উত্তর: প্রায় 3500 প্রজাতি।
21. নিমগাছ থেকে প্রাপ্ত একটি উপক্ষারের নাম লেখো।
উত্তর: নিমবিন।
22. কাঁচা বা আধ-কাঁচা বেলের উপকারিতা কী?
উত্তর: খিদে ও হজম ক্ষমতা বাড়ায়।
23. জ্বর হলে তাপমাত্রা কমাতে কেন ঘৃতকুমারীর নির্যাস ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: কারণ ঘৃতকুমারীর নির্যাসে অ্যান্টিপাইরেটিক উপাদান উপস্থিত।
24. কোন ফল দাঁতের সুরক্ষা প্রদান করে?
উত্তর: আমলকী।
25. বোলতার কামড়ে কোন্ গাছের পাতার রস ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: নয়নতারা।
26. গরমকালে কোন্ পাতার শরবত শরীর ঠান্ডা করে?
উত্তর: পুদিনা পাতার।
27. রজন কী কাজে লাগে?
উত্তর: বার্নিশ করতে।
28. শাল ছাড়া আর কোন্ গাছ থেকে ট্যানিন পাওয়া যায়?
উত্তর: সুন্দরী।
29. তেজস্ক্রিয় বিকিরণজনিত চামড়ার ক্ষতে কোন্ পাতার নির্যাস ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: ঘৃতকুমারী।
30. Bamboo Fabric-এর তত্ত্বর ব্যাস কত?
উত্তর: 3 m.m. এর কম।
3. Short Question Answer
1. তবাশির কী? কী কাজে লাগে?
উত্তর: তবাশি Bambusa হল arundinancea হল নাম বাঁশের পর্বমধ্যের সিলিকন ডাই অক্সাইড ও সিলিসিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ এক গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ।
এই ওষুধ হাঁপানি, সর্দিকাশি ও নানা সংক্রামক ব্যাধির চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
2. কুটির শিল্পে বাঁশের গুরুত্ব লেখো।
উত্তর: বাঁশ দিয়ে ঝুড়ি, চুপড়ি, ছাতার বাঁট, ফুলদানি, ট্রে, বাঁশি নানা ধরনের খেলনা এবং ঘর সাজানোর বিভিন্ন জিনিস তৈরি হয়। এইভাবে বাঁশ কুটির শিল্পে কার্যকরী হয়।
3. কচুরিপানার দুটি ব্যবহার লেখো।
উত্তর: কচুরিপানার ব্যবহার:
(i) কচুরিপানায় নাইট্রোজেনের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি বায়োগ্যাসের উৎসরূপে ব্যবহৃত হয়।
(ii) কচুরিপানার সহ্য ক্ষমতা অধিক হওয়ায় এরা জল থেকে ভারীধাতু যেমন লেড, ক্যাডমিয়াম, নিকেল, পারদ প্রভৃতি ধাতুগুলিকে শোধন করে দূষিত জলকে পরিশোধিত ও ব্যবহার উপযোগী করে তোলে।
4. বিপন্ন প্রাণীদের খাদ্য হিসেবে বাঁশের গুরুত্ব লেখো।
উত্তর: বাঁশের নরম কাণ্ড, গোড়া, কচি পাতা বিশ্বের বিভিন্ন বিপন্ন প্রাণী যেমন চিনের জায়ান্ট পান্ডা, নেপাল ও ভারতবর্ষের রেডপান্ডা, মাদাগাস্কারের লেমুর ইত্যাদিদের প্রধান খাদ্য। আফ্রিকার গরিলাদেরও অন্যতম প্রধান খাদ্য হল বাঁশ। শিম্পাঞ্জি, হাতিও বাঁশকে খাদ্যরূপে গ্রহণ করে।
5. শাল কী ধরনের গাছ? শালগাছের জঙ্গল কোন্ কোন্ প্রাণী বেশি চোখে পড়ে?
উত্তর: শাল একটি বহুবর্ষজীবী, দ্বি-কাষ্ঠল, বীজপত্রী, ও বৃক্ষ জাতীয় পর্ণমোচী উদ্ভিদ। শাল গাছের জঙ্গলে বাঘ, হাতি, চিতাবাঘ, বুনো খরগোশ, ভালুক, বুনো শুয়োর বেশি দেখা যায়।
6. শালপাতার ব্যবহার লেখো।
উত্তর: উত্তর ও পূর্ব ভারতে শালগাছের শুকনো পাতা দিয়ে থালা- বাটি, ঠোঙা তৈরি করা হয়। গ্রামাঞ্চলে শুকনো শালপাতা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ব্যবহৃত শালপাতার থালাবাটি গোরু-ছাগলের খাদ্যরূপে গৃহীত হয়।
7. শ্বাসমূল কাকে বলে? এর কাজ কী?
উত্তর: সুন্দরী গাছ লবণাক্ত মাটিতে জন্মানোর কারণে মাটি থেকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে না। ফলে অক্সিজেন গ্রহণের জন্য মূলগুলি অভিকর্ষের বিপরীতে বেঁকে মাটির ওপরে গোঁজের মতো উঠে আসে। এদের শ্বাসমূল বলে। শ্বাসমূল সুন্দরী তথা ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের শ্বাসকার্যে সাহায্য করে।
৪. কী কী প্রয়োজনে সুন্দরীগাছ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: সুন্দরী গাছের কাঠ আসবাব, বাড়ি ও খুঁটি তৈরিতে কাজে লাগে। এছাড়া জ্বালানির কাজেও এই কাঠ ব্যবহার করা হয়। সুন্দরী গাছের বাকলে ট্যানিন পাওয়া যায় যা চামড়া ও রং শিল্পে ব্যবহৃত হয়।
9. সুন্দরী গাছের সংখ্যা আজ ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে কেন?
উত্তর: সুন্দরীগাছ কমে যাওয়ার কিছু কারণ আছে। (i) জনসংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বাসস্থান নিমাণের জন্য প্রচুর সুন্দরী গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। (ii) জলে লবণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে গাছের সংখ্যা দ্রুতহারে কমে যাচ্ছে।
10. মশলা কাকে বলে? পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কত রকমের মশলার চাষ হয়?
উত্তর: খাদ্যকে সুস্বাদু ও সুগন্ধিময় করে তোলার জন্য রান্নার সময় বা আগে বা পরে খাদ্যের সঙ্গে যেসকল উপাদান মেশানো হয় তাকে মশলা বলে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রায় ৪০ ধরনের মশলার চাষ হয়।
11. মশলাকে কীভাবে মাংস সংরক্ষণের কাজে ব্যবহার করা হত?
উত্তর: মাংস সংরক্ষণের কাজে লবঙ্গকে ব্যবহার করা হত। লবঙ্গতে প্রাপ্ত ইউজিনলের ব্যাকটেরিয়া নাশক ক্ষমতা আছে। তাই মাংসের সঙ্গে লবঙ্গ মিশিয়ে মাংস সংরক্ষণ করা হত। এখনকার দিনেও কোনো কোনো দেশে শুয়োরের মাংস সংরক্ষণের জন্য লবঙ্গ ব্যবহার করা হয়।
12. মশলা আমাদের কী কাজে লাগে?
উত্তর: মশলা: (i) জোলো খাবারে স্বাদ আনতে সাহায্য করে।
(ii) সংরক্ষকরূপে (আচার, চাটনি, সস) কাজ করে।
(iii) লালারসের ক্ষরণ বাড়িয়ে হজমে সাহায্য করে।
(iv) মুখগহ্বরকে ক্ষতিকারক জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
13. খাবারের সঙ্গে ব্যবহার ছাড়া গোলমরিচের অন্যান্য ব্যবহারগুলি লেখো।
উত্তর: খাবারের সঙ্গে ব্যবহার ছাড়া গোলমরিচের অন্যান্য ব্যবহারগুলি হল-
(i) ডায়রিয়া, বদহজম ও গ্যাসের সমস্যায় গোলমরিচ কাজে লাগে
(ii) দাঁতের ব্যথা, মাড়ি থেকে রক্তপড়া, মাড়ির ব্যথা দূর করে।
(iii) কাশি দূর করে।
(iv) মাংস ও অন্যান্য খাবার সংরক্ষণে সাহায্য করে।
14. দারুচিনি কী ধরনের উদ্ভিদ? এই গাছের কোন্ অংশ থেকে মশলা পাওয়া যায়?
উত্তর: দারুচিনি একটি চিরহরিৎ উদ্ভিদ। দারুচিনি গাছের কাণ্ডের ছালের ভেতরের স্তর শুকিয়ে তৈরি হয় দারুচিনি।
15. রান্নার কাজ ছাড়া আর কী কী কাজে দারুচিনি ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: ডায়ারিয়া, বমিভাব, বমি, সর্দিতে দারুচিনি উপকারী। দারুচিনি থেকে যে উদ্বায়ী তেল পাওয়া যায়, সেটা বাতের ব্যথায় মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়।
16. কাঁচা হলুদ থেকে কীভাবে শুকনো গুঁড়ো হলুদ তৈরি করা হয়?
উত্তর: মাটির নীচের প্রাপ্ত কাঁচা হলুদ থেকে শুকনো গুঁড়ো হলুদ তৈরি করা হয়। কাঁচা হলুদকে প্রায় 30-34 মিনিট জলে ফুটিয়ে নিয়ে ওভেনে শুকানো হয়। তারপর শুকনো হলুদকে পেষাই মেশিনে পেষণ করে গুঁড়ো হলুদ তৈরি করা হয়।
17. মশলা হিসেবে হলুদের ব্যবহার লেখো।
উত্তর: বিভিন্ন সবজি, মাছ, মাংস, ডিম রান্নায় হলুদ ব্যবহার করা হয়। এছাড়া মাখন, চিজ, মার্জারিন, আচার আর সরষের স্বাদ ও রং আনতে হলুদ ব্যবহার করা হয়।
18. এলাচ কী ধরনের উদ্ভিদ? এলাচ কয় প্রকার ও কী কী?
উত্তর: এলাচ বহুবর্ষজীবী বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ। এলাচ দুই প্রকারের- বড়ো এলাচ ও ছোটো এলাচ।
19. এলাচ ফল কখন গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়?
উত্তর: এলাচ ফল যখন প্রায় পেকে ওঠে তখনই তা গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়। পুরোপুরি পাকা ফল নেওয়া হয় না। কারণ পুরো পাকা ফল শুকোনোর সময় ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
20. রান্নার কাজে এলাচ ব্যবহার করা হয় কী কারণে? রান্না ছাড়া আর কোন্ খাবারে এলাচের ব্যবহার আছে?
উত্তর: রান্না করা তরকারিতে স্বাদ ও গন্ধের জন্য এলাচ ব্যবহার করা হয়। রান্না ছাড়া পায়েস ও অন্যান্য মিষ্টি খাবারে এলাচের ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
21. রান্না ছাড়া অন্যান্য কোন্ কোন্ শারীরিক উপসর্গ দূর করতে এলাচ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: এলাচের অন্য গুরুত্বও আছে: (i) গ্যাস বা পাকস্থলি সংক্রান্ত কোনো সমস্যায় এলাচের ব্যবহার আছে। (ii) বড়ো এলাচ দাঁতের মাড়ি সবল করে। (iii) এলাচের দানা ভেঙে খেলে বমিভাব কমে যায়।
22. আদা কী জাতীয় উদ্ভিদ? আদার কোন্ অংশ মশলারূপে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: আদা বহুবর্ষজীবী বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ। আদার কান্ড গ্রন্থিকাণ্ড প্রকৃতির যা মাটির নীচে থাকে। এই গ্রন্থিকাণ্ড শুকিয়ে মশলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
23. রান্নার কাজে মশলা হিসেবে আদার ব্যবহার লেখো।
উত্তর: আদা রান্নার কাজে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
i) বিভিন্ন রান্নার স্বাদ ও গন্ধের জন্য পেঁয়াজ, রসুনের সঙ্গে আদার ব্যবহার করা হয়।
ii) কোনো কোনো পাউরুটি তৈরিতে আর বেকারিশিল্পে আদার ব্যবহার আছে।
iii) সস তৈরিতে আদা ব্যবহার করা হয়।
24. রসুন কী জাতীয় উদ্ভিদ? এর কোন্ অংশ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: রসুন একটি বহুবর্ষজীবী বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ।
রসুনের কন্দ যা কোয়া নামে পরিচিত। তা ব্যবহার করা হয়।
25. রসুনের কন্দ কীরূপ দেখতে হয়?
উত্তর: রসুনের একটি কন্দ প্রকৃতপক্ষে 6-30 টি আরও ছোটো ছোটো কন্দের মতো অংশ নিয়ে তৈরি। এগুলোকে রসুনের কোয়া বলে। এই গোটো অংশটা একটা সাদা বা হালকা গোলাপি কাগজের মতো খোসা দিয়ে ঢাকা থাকে।
26. অ্যালিসিন কী? এটি কী কাজ করে?
উত্তর: রসুনের মধ্যে যে বিশেষ জীবাণুনাশক পদার্থ থাকে, তাকে অ্যালিসিন বলে। অ্যালিসিন গ্যাস দূর করতে ও খাবার হজমেও উদ্দীপনা জোগাতে সাহায্য করে।
27. রসুনের মধ্যে উগ্র ঝাঁঝালো গন্ধের কারণ কী?
উত্তর: রসুনের মধ্যে থাকে সালফার ঘটিত বর্ণহীন অ্যালিসিন নামক একটি যৌগ। এই যৌগটির জন্য রসুনে উগ্র গন্ধ ও ঝাঁঝালো হয়।
28. ঔষধি গাছ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: যে সকল উদ্ভিদের মূল, কাণ্ড, পাতা, ফল, বীজ বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত হয় তাদের ঔষধি গাছ বলে। ঔষধি গাছকে ভেষজ উদ্ভিদও বলে। উদাহরণ নিম, ঘৃতকুমারী, আমলকী, কালমেঘ।
29. নিমের স্বাদ তেতো হয় কেন?
উত্তর: নিমের মধ্যে নিমবিন, নিমবিহিন এবং নিমবিনিন নামক উপক্ষার পাওয়া যায়। উপক্ষার স্বাদে তিক্ত। তাই নিমের স্বাদ তেতো হয়।
30. নিমগাছের ছাল ও পাতার ব্যবহার লেখো।
উত্তর: ছাল: নিমগাছের মূল ও কান্ডের ছাল থেকে তৈরি ওষুধ বার বার ফিরে আসা জ্বর (যেমন- ম্যালেরিয়া) সারাতে কাজে লাগে। নানারকম চর্মরোগ সারাতেও এটি কাজে লাগে। পাতা: নিমপাতার রস বহুমূত্র রোগের নিরাময়ে খুবই উপযোগী। এছাড়া নিমপাতার জীবাণুনাশক ক্ষমতা আছে।
31. ত্রিফলা কী? এর উপকারিতা লেখো।
উত্তর: ত্রিফলা হল আমলকী, হরিতকি আর বহেড়া সমন্বিত তিনটি ফলের মিশ্রণ। এটি পরিপাক নালিকে পরিষ্কার রাখে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
32. নয়নতারা গাছে কোন্ কোন্ উপক্ষার পাওয়া যায়?
উত্তর: নয়নতারা গাছে ভিনক্রিস্টিন, ভিনক্লাস্টিন এবং রৌবেসিন নামক উপক্ষার পাওয়া যায়।
33. পুদিনা ও ঘৃতকুমারী কী ধরনের উদ্ভিদ? আমলকীতে কোন্ ভিটামিন থাকে?
উত্তর: পুদিনা ও ঘৃতকুমারী উভয়ই হল বহুবর্ষজীবী বীরুৎজাতীয় উদ্ভিদ। আমলকীতে ভিটামিন C থাকে।
34. ঘৃতকুমারী উদ্ভিদের পাতার উপকারিতা লেখো।
উত্তর: ঘৃতকুমারী গাছের পাতার নির্যাসে 99% জল থাকে বলে এটা চামড়াকে আর্দ্র করে। স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। পাতার নির্যাস চামড়ায় রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করে। ত্বকের শিথিলতা রোধ করে।
35. রৌবেসিন কী এবং কী কাজে লাগে?
উত্তর: রৌবেসিন হল নয়নতারা গাছের মূলে প্রাপ্ত একটি উপক্ষার। রৌবেসিন মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালনে কোনো বাধা সৃষ্টি হলে তা দূর করতে সাহায্য করে।
36. ঘৃতকুমারী গাছের পাতার নির্যাসে কোন্ কোন্ উপাদান থাকে?
উত্তর: ভিটামিন, খনিজ মৌল, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড ঘৃতকুমারী পাতার নির্যাসে পাওয়া যায়।
37. বাঁশ গাছে Mass flowering হলে বিপদ ঘণ্টা বাজে কেন?
উত্তর: বাঁশ গাছে Mass-flowering হলে সেই অঞ্চলে ইঁদুর জাতীয় প্রাণীদের অত্যধিক হারে সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটে। তখন তারা শস্যখেতের গুদামের শস্য খেয়ে ও শস্য নষ্ট করে দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা সৃষ্টি করে। আর টাইফাস, প্লেগ ও অন্যান্য ইঁদুরবাহিত রোগের সম্ভাবনাও বেড়ে গিয়ে মহামারির আশঙ্কা তৈরি করে। ফলে বিপদ ঘণ্টা বাজে।
38. কচুরিপানার ক্ষতিকর দিকগুলি উল্লেখ করো।
উত্তর: কচুরিপানা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তাই কচুরিপানার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা না হলে পুকুর ও জলাশয় দ্রুত কচুরিপানায় ভরে যায়। জলের অক্সিজেন মাত্রা কমে যায়। ফলে জলে থাকা মাছসহ অন্যান্য প্রাণীদের মৃত্যু ঘটে। কচুরিপানার জঙ্গলে বংশবৃদ্ধি করে এডিস মশা যা ডেঙ্গু রোগের বাহক। এছাড়া কুচরিপানায় একধরনের শামুক আছে যা মানুষের এক মারাত্মক কৃমিঘটিত রোগ ছড়ায়।
ক্যানসার প্রতিরোধে নয়নতারা কীভাবে কাজ করে?
উত্তর: নয়নতারা গাছে ভিনক্রিস্টিন ও ভিনব্লাস্টিন নামক উপক্ষার পাওয়া যায়। এই উপক্ষার দুটি ক্যানসার রোগ প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়। রক্তের ক্যানসার ছাড়াও টিউমার প্রশমনে এই উপক্ষার দুটি খুবই কার্যকর।
৪. ত্রিফলা কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: ত্রিফলা হল তিনটি ফলের সমাহার আমলকী, হরীতকী, বহেড়া। এরমধ্যে আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C থাকে। এটি শারীরিকভাবে রোগ প্রতিরোধ করে। ত্রিফলাচূর্ণ জোলাপের কাজ করে। যা আমাদের শরীরের পরিপাকনালি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। রক্ত পরিষ্কার করতে ত্রিফলা উপকারী। ত্রিফলাকে সহযোগী খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
4. Long Question Answer
1. “কচুরিপানার ক্ষতিকারক দিক থাকা সত্ত্বেও এটি মানুষের বিভিন্নভাবে কাজে লাগে।” ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: কচুরিপানা ক্ষতিরকর হলেও এর অনেক ব্যবহার আছে।
i) কচুরিপানা জল পরিশোধন করে মানুষের উপকার করে। জলে থাকা বিভিন্ন ভারীধাতু যেমন ক্যাডমিয়াম, সিসা, পারদ, ক্রোমিয়াম, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদিকে শোষণ করতে পারে।
ii) আর্সেনিক সমৃদ্ধ পানীয় জল থেকে কচুরিপানা আর্সেনিককে দূরীভূত করে।
iii) সোনার খনি অঞ্চলে জলে নির্গত সায়ানাইড শোষণ করে জলকে বিষমুক্ত করে।
iv) নাইট্রিফিকেশন পদ্ধতিতে নাইট্রোজেন আবদ্ধকরে কচুরিপানার মূলে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সার হিসেবে এর ব্যবহারের চেষ্টা চলছে।
v) নাইট্রোজেন বেশি থাকায় বায়োগ্যাসের উৎসরূপে কচুরিপানাকে ব্যবহার করা হয়।
vi) ফিলিপিনস, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামে কচুরিপানায় কান্ডকে এমব্রয়ডারির কাজে ব্যবহার করা হয়। শুকনো কাণ্ডকে ব্যবহার করে ঝুড়ি ও নানা ফার্নিচার বানানো হয়।
vii) কাগজ তৈরির কাঁচামাল হিসেবে কচুরিপানার তত্ত্বকে ব্যবহার করা হয়। কচুরিপানা উপরোক্তভাবে মানুষের নানা কাজে ব্যবহৃত হয়।
2. দৈনন্দিন জীবনে শালগাছের কাণ্ড, বীজ ও পাতার ব্যবহার লেখো।
উত্তর: শাল গাছের কাণ্ডের ব্যবহার:
ⅰ) শালগাছের কান্ড থেকে প্রাপ্ত কাঠ খুঁটি, আসবাবপত্র, জানালা, দরজার কাঠের ফ্রেম, পাটাতন, নৌকা, জাহাজের চেজটি, সেতু প্রভৃতি তৈরি করা হয়।
ii) শালগাছের কাণ্ড থেকে যে রজন পাওয়া যায় তা স্পিরিট ও বার্নিশ তৈরির কাজে লাগে।
iii) শালগাছের কান্ডের আঠা থেকে সুগন্ধযুক্ত লাল ধুনো পাওয়া যায় যা ধূপ তৈরিতে, কাঠের জোড়ের স্থানে প্রলেপ দিতে লাগে।
বীজ: শালবীজ থেকে যে তেল পাওয়া যায় তা প্রদীপ জ্বালাতে, রান্নার কাজে ও চকোলেট প্রস্তুতিতে লাগে।
পাতা: শালপাতা দিয়ে থালা-বাটি, ঠোঙা তৈরি করা হয়। এছাড়া শাল পাতা জ্বালানিরূপে, গোরু, ছাগলের খাবাররূপে ব্যবহৃত হয়।
3. মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বাঁশের গুরুত্ব লেখো।
উত্তর: বাঁশ একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ:
ⅰ) খাদ্যরূপে: কচি বাঁশের কাণ্ড মানুষ খাদ্য হিসেবে ব্যবব্যবহার করে।
(ii) গৃহ নিমার্ণের উপাদানরূপে: ঘরবাড়ির কাঠামো তৈরিতে। দর্মা তৈরিতে বাঁশ ব্যবহার করা হয়।
iii) সাঁকো নির্মাণে: খালবিল ও নদীনালার ওপর অস্থায়ী সাঁকো নির্মাণে বাঁশ ব্যবহার করা হয়।
iv) গৃহসজ্জার সামগ্রীরূপে: বাঁশের তৈরি চুপড়ি, ঝুড়ি, ফুলদানি, বাঁশি, নানারকম খেলনা প্রস্তুতিতে বাঁশের ব্যবহার করা হয়।
v) কাগজ শিল্পে: কাগজ প্রস্তুতিতে বাঁশের তন্তু ব্যবহার করা হয়।
vi) বস্ত্র তৈরিতে: বাঁশের তত্ত্ব জামাকাপড় তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
vii) ওষুধ রূপে: Bambusa arundinacea নামকবাঁশের পর্বমধ্যে সিলিকন ডাই-অক্সাইড ও সিলিসিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ‘তবাশির’ নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ প্রস্তুত হয়, যা হাঁপানি, সর্দি-কাশি ও নানা সংক্রামক ব্যধির চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
4. নিমগাছের ওষধি গুণগুলি লেখো।
উত্তর: নিমগাছের অনেক ওষধি গুণ আছে
ⅰ) কাণ্ড: দাঁতনরূপে ব্যবহার করলে মাড়ি ভালো থাকে। মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
ii) পাতা: (ক) নিমপাতার রস বহুমূত্র রোগে উপকারী।
(খ) নিমপাতা জলে ফুটিয়ে ব্যবহার করলে চর্মরোগ সারে।
iii) ছাল: নিমছাল থেকে প্রাপ্ত ওষুধ জ্বর সারাতে ব্যবহৃত হয়। নানা চর্মরোগ সারাতে এটি ব্যবহৃত হয়।
iv) নিমবীজ: নিমবীজ থেকে নিমতেল পাওয়া যায়। নিমতেল কানের ব্যথায়, দাঁত আর দাঁতের মাড়ির ব্যথায় ব্যবহৃত হয়। নিমতেল চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে, যকৃতের কাজ করার ক্ষমতা বাড়াতে, রক্তকে পরিষ্কার রাখতে ব্যবহার করা হয়। নিমতেল কীটনাশক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। ভাইরাসজনিত মহামারী আর বাতে নিমবীজ কাজে লাগে।
v) নিমফুল: নিমফুল ভাজা মুখের অরুচি দূর করে। স্নায়বিক দুর্বলতা দূর করে।
5. বেল কী কী কাজে লাগে?
উত্তর: বেল বিভিন্ন কাজে লাগে
ⅰ) বেলে পেকটিন এবং মিউসিলেজ থাকার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
ii) বেলের শরবত আমাশয় রোগীদের অস্ত্রের যত্ন নেয়।
iii) কাঁচা বেল বা আধকাঁচা বেল খিদে বাড়ায়। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
iv) দীর্ঘস্থায়ী পেটের অসুখে বেল কার্যকরী।
v) বর্তমানে বিভিন্ন পরীক্ষায় বেলের পাতা, ফল আর মূলের অ্যান্টিবায়োটিক বা জীবাণু প্রতিরোধী ক্ষমতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
vi) ছত্তিশগড়ের বস্তার অঞ্চলের আদিবাসীদের মধ্যে জ্বর হলে বেল গাছের মূলের ছাল থেকে ওষুধ খাওয়ার চল আছে।
6. পুদিনার ওষধি গুণগুলি লেখো।
উত্তর: পুদিনা ওষধি উদ্ভিদ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।
ⅰ) পুদিনার শরবত পেটের গোলমালে খুব উপকারী। এছাড়া মূত্রের পরিমাণ বাড়াতে, বমিভাব দূর করতে পুদিনা কার্যকরী।
ii) মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে, পেট ফাঁপা, বদহজম দূর করতে পুদিনা কার্যকরী।
iii) পুদিনা পাকস্থলীর প্রদাহ, কাশি, অরুচি দূর করে।
iv) পুদিনা পাতার প্রলেপ বাতের যন্ত্রণা ও মাথা ধরা কমাতে সাহায্য করে।
v) পুদিনা জীবাণুনাশক হিসেবেও কাজ করে।
5. Fill In The Blanks
1. প্রতি 24 ঘণ্টায় কোনো কোনো বাঁশের প্রায় বৃদ্ধি হয়।
উত্তর: 100 সেমি.
2. গাছে ফুল ফুটলে দুর্ভিক্ষ, মহামারি দেখা যায়।
উত্তর: বাঁশ
3. কচুরিপানার জঙ্গলে বংশবৃদ্ধি করে মশা।
উত্তর: এডিস
4. নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত হয় কাঠ।
উত্তর: শাল
5. থেকে নিষ্কাশিত তেল চকোলেট প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়।
উত্তর: শালবীজ
6. একটি ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ হল |
উত্তর: সুন্দরী
7. সুন্দরবনের নাম হয়েছে গাছ থেকে।
উত্তর: সুন্দরী
8. হল একটি ক্ষরিত পদার্থ যা মশলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
উত্তর: হিং
9. থেকে প্রাপ্ত উদ্বায়ী তেল বাতের ব্যথায় কার্যকরী।
উত্তর: দারুচিনি
10. বড়ো এলাচের দানা ভেঙে খেলে কমে যায়।
উত্তর: বমিভাব
11. সরষের স্বাদ ও রং আনতে ব্যবহার করা হয়।
উত্তর: হলুদ
12. রক্তে এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলুদ সক্ষম।
উত্তর: কোলেস্টেরল
15. লবঙ্গে অবস্থিত ব্যাকটেরিয়া নাশক পদার্থের নাম হল |
উত্তর: ইউজিনাল
16. ভাইরাসজনিত মহামারী আর বাতে কাজে লাগে।
উত্তর: নিমবীজ
6. True And False
1. রেড পান্ডার প্রধান খাদ্য হল বাঁশ। ☑
2. বাঁশগাছে নিয়মিত ফুল ফোটে। X
সঠিক উত্তর: বাঁশ গাছে অনিয়মিত ফুল ফোটে।
3. বাঁশ গাছ খুব দ্রুত বাড়ে। ☑
4. কচুরিপানা জলের অক্সিজেনমাত্রা কমিয়ে দেয়। ☑
5. ডিনাইট্রিফিকেশন পদ্ধতিতে কচুরিপানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। X
সঠিক
উত্তর : নাইট্রিফিকেশন পদ্ধতিতে কচুরিপানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
6. রজন, শাল গাছ থেকে পাওয়া যায়। ☑
7. শ্বাসমূল দেখা যায় কচুরিপানাতে। X
সঠিক উত্তর: শ্বাসমূল দেখা যায় সুন্দরীতে।
৪. শালকাঠ পালিশ করা যায় না। ☑
9. মশলা হিসেবে ব্যবহৃত ধনে, জোয়ান, মৌরি হল প্রকৃতপক্ষে বীজ। ☑
10. গোলমরিচ ব্যবহার করলে রান্না ঝাল স্বাদ যুক্ত হয়। ☑
11 . দারুচিনি হল উদ্ভিদের পুষ্পমুকুল। X
সঠিক উত্তর: দারুচিনি হল উদ্ভিদের ছাল/বাকল।
12. পেঁয়াজ ও রসুন উগ্র গন্ধবিশিষ্ট ভূমিনিম্নস্থ কন্দ। ☑
13. মচকে গেলে নিমপাতা বেটে চুনের সঙ্গে মিশিয়ে লাগালে উপকার পাওয়া যায়। X
সঠিক উত্তর: মচকে গেলে হলুদ চুনের সঙ্গে মিশিয়ে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
14. হলুদে লোহার পরিমাণ বেশি থাকায় এটি রক্তাল্পতায় ভালো কাজ করে। ☑
15. কাশি ও হাঁপানিতে একটি কার্যকরী মশলা হল আদা। ☑
16. রসুনের এক-একটি কোয়া এক-একটি কন্দ। ☑
17. গার্লিক ব্রেড তৈরিতে আদা ও পেঁয়াজ ব্যবহৃত হয়। X
সঠিক উত্তর: গার্লিক ব্রেড তৈরিতে রসুন ব্যবহার করা হয়।
18. নিমতেল দাঁতের মাড়ির ব্যথায় ও কানের ব্যথায় ব্যবহার করা হয়। ☑
19. কীটনাশক হিসেবে নিমতেলের ব্যবহার আছে। ☑
20. পেকটিন ও মিউসিলেজ নিম গাছের নির্যাসে পাওয়া যায়। X
সঠিক উত্তর: পেকটিন ও মিউসিলেজ বেল-এর ফলে থাকে।
21. ত্রিফলাতে ভিটামিন C প্রচুর থাকে। ☑
22. মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালনের বাধা দূর করে নয়নতারা গাছের মূলের রৌবেসিন উপক্ষার ☑
23. পেট ফাঁপা, বদহজম, বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা আর মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে পুদিনা কার্যকর। ☑
24. চামড়াকে আর্দ্র করতে, স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে নিমপাতার রস ব্যবহার করা হয়। X
সঠিক উত্তর: চামড়াকে আর্দ্র করতে, স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে ঘৃতকুমারী গাছের পাতার নির্যাস ব্যবহার করা হয়।