WBBSE Class 8 Amader Paribesh Chapter 6 দেহের গঠন Solution | Bengali Medium

Class 8 Chapter 6 Bengali Medium

দেহের গঠন

MCQs Question Answer

1. জীবদেহের ক্ষুদ্রতম একক হল

(a) কলা

(b) কোশ

(c) তন্ত্র

(d) অঙ্গ

উত্তর: (b) কোশ।

2. দ্রষ্টব্য বস্তুকে সবচেয়ে বড়ো করে দেখার জন্য ব্যবহৃত হয় –

(a) আতস কাঁচ,

(b) সরল অণুবীক্ষণ যন্ত্র,

(c) যৌগিক অণুবীক্ষণ যন্ত্র,

(d) ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্র।

উত্তর: (d) ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্র।

3. একটি প্রোক্যারিওটিক কোশযুক্ত জীব হল

(a) নীলাভ সবুজ শৈবাল,

(b) স্পাইরোগাইরা,

(c) মিউকর,

(d) অ্যামিবা।

উত্তর: (a) নীলাভ সবুজ শৈবাল

4. প্রস্তর কোশ থাকে –

(a) কান্ডে,

(b) মূলে,

(c) ফলত্বকে,

(d) অস্থিতে।

উত্তর: (c) ফলত্বকে।

5. অ্যামিবার মতো আকার পরিবর্তন করতে পারে

(a) লোহিত রক্তকণিকা,

(b) অনুচক্রিকা,

(c) শ্বেত রক্তকণিকা,

(d) স্নায়ুকোশ।

উত্তর: (c) শ্বেত রক্তকণিকা।

6. দেহের ভারবহনকারী কলাটি হল –

(a) আবরণীকলা,

(b) যোগকলা,

(c) পেশিকলা,

(d) স্নায়ুকলা।

উত্তর: (b) যোগকলা।

7. যে কলার একদিক উন্মুক্ত থাকে সেটি হল-

(a) যোগকলা,

(b) পেশিকলা,

(c) স্নায়ুকলা,

(d) আবরণী কলা।

উত্তর: (d) আবরণী কলা।

৪. একটি তরল যোগকলা হল-

(a) হরমোন,

(b)রক্ত,

(c) ঘর্ম,

(d) উৎসেচক।

উত্তর: (b) রক্ত।

9. কোশের পরিমাপের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ক্ষুদ্রতম এককটি হল

(a) মিলিমিটার,

(b) মাইক্রন,

(c) ন্যানোমিটার,

(d) অ্যাংস্ট্রম।

উত্তর: (d) অ্যাংস্ট্রম।

10. সংকোচন-প্রসারণশীল কলাটি হল

(a) আবরণী কলা,

(b) যোগকলা,

(c) পেশিকলা,

(d) স্নায়ুকলা।

উত্তর: (c) পেশিকলা।

11. ভাজক কলা থাকে

(a) মূলের বর্ধনশীল অঞ্চলে, 

(b) মূলরোম অঞ্চলে,

(c) স্থায়ী অঞ্চলে,

(d) শাখামূলের ভেতরে।

উত্তর: (a) মূলের বর্ধনশীল অঞ্চলে।

12. সেন্ট্রোজোম থাকে

(a) উদ্ভিদের ভাজক কলা কোশে, 

(b) আবরণী কলা কোশে,

(c) স্নায়ুকোশে,

(d) পেশিকোশে।

উত্তর : (d) আবরণী কলা কোশে।

13. প্রোটিন সংশ্লেষে অংশ নেয়

(a) রাইবোজোম,

(b) লাইসোজোম

(c) মাইটোকন্ড্রিয়া,

(d) গলগি বস্তু।

উত্তর: (c) রাইবোজোম।

14. ক্রোমোজোম দেখা যায়-

(a) সাইটোপ্লাজমে,

(b) সারকোপ্লাজমে,

(c) প্রোটোপ্লাজমে,

(d) নিউক্লিওপ্লাজমে।

উত্তর: (d) নিউক্লিওপ্লাজমে।

15. যে অঙ্গাণুটি ছাড়া কোনো কোশ বাঁচতে পারে না-

(a) ডেসমোজোম,

(b) রাইবোজোম,

(c) নিউক্লিয়াস,

(d) প্লাস্টিড।

উত্তর: (c) নিউক্লিয়াস।

16. প্রাণীকোশে দেখা যায় না

(a) মাইটোকনড্রিয়া,

(b) কোশপর্দা,

(c) কোশপ্রাচীর,

(d) সেন্ট্রোজোম।

উত্তর: (c) কোশপ্রাচীর।

17. ক্লোরোপ্লাসটিডের বর্ণ হল-

(a) লাল,

b) হলুদ,

(c) কমলা,

(d) সবুজ।

উত্তর: (d) সবুজ।

18. প্রাণীকোশ বিভাজনে যে অঙ্গাণু অংশগ্রহণ করে তা হল

(a) লাইসোজোম,

(b) নিউক্লিয়াস,

(c) সেন্ট্রোজোম,

(d) রাইবোজোম।

উত্তর: (c) সেন্ট্রোজোম।

19. গলজি বস্তু সৃষ্টি হয় যে অঙ্গাণু থেকে

(a) লাইসোজোম,

(b) মাইটোকন্ড্রিয়া, 

(c) এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম,

(d) নিউক্লিওলাস।

উত্তর: (c) এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম।

20. রাইবোজোম উৎপন্ন হয়-

(a) সেন্ট্রোজোম থেকে,

(b) লাইসোজোম থেকে,

(c) নিউক্লিওলাস থেকে,

(d) গলগি বস্তু থেকে।

উত্তর: (c) নিউক্লিওলাস থেকে।

21. ব্যাকটেরিয়ার কোশে শ্বসনে সাহায্য করে-

(a) মেসোজোম,

(c) কোশপর্দা,

(b) রাইবোজোম,

(d) ক্রোমাটোফোর।

উত্তর: (a) মেসোজোম।

22. পেশিকোশের শ্বাসরঞ্জকের নাম হল-

(a) হিমোসায়ানিন,

(c) মায়োগ্লোবিন,

(b) হিমোগ্লোবিন,

(d) গ্লোবিউলিন।

উত্তর: (c) মায়োগ্লোবিন।

23. রবার্ট হুক মাইক্রোস্কোপের নীচে কাণ্ডের ছালের প্রস্থচ্ছেদে কী লক্ষ করেছিলেন?

(a) কোশ,

(b) মৌচাকের প্রকোষ্ঠ,

(c) অসংখ্য কুঠুরি,

(d) Celluline

উত্তর: (c) অসংখ্য কুঠুরি।

24. উদ্ভিদকোশের কোশীয় আদানপ্রদান যার মাধ্যমে হয়, তা হল

(a) প্লাসমোডেসমাটা,

(b) অক্সিজোম,

(c) গলগি বস্তু,

(d) ডেসমোজাম।

উত্তর: (a) প্লাসমোডেসমাটা।

25. চোখের রেটিনাতে অবস্থিত মৃদু আলো শোষণে সক্ষম।

(a) ছবি কোশ,

(b) আয়তাকার কোশ,

(c) ডিম্বাকার কোশ,

(d) রড কোশ।

উত্তর: (d) রড কোশ।

26. স্পাইরোগাইরার দেহের কোশগুলি-

(a) গোলাকার,

(b) সূত্রাকার,

(c) আয়তাকার,

(d) দণ্ডাকার।

উত্তর: (c) আয়তাকার।

27. ফ্যাগোসাইটোসিস দেখা যায়-

(a) উদ্ভিদের কোশ প্রাচীরে, 

(b) প্রাণীকোশের কোশপর্দায়,

(c) উদ্ভিদকাশের কোশপর্দায়, 

(d) ইউক্যারিওটসে।

উত্তর: (b) প্রাণীকোশের কোশপর্দায়।

28. মানুষের লোহিত রক্তকণিকা

(a) দণ্ডাকার,

(b) সরু রক্তনালীতে থাকে না,

(c) অক্সিজেন পরিবহণ করে,

(d) ক্ষণপদের সাহায্যে চলাফেরা করে।

উত্তর: (c) অক্সিজেন পরিবহণ করে।

29. একটি পর্দাবিহীন কোশঅঙ্গাণু-

(a) লাইসোজোম,

(b) রাইবোজোম,

(c) গলগি বস্তু,

(d) মাইটোকনড্রিয়া।

উত্তর: (b) রাইবোজোম।

30. স্নায়ুকোশের মূল কোশ দেহ-

(a) তারার মতো,

(b) গোলাকার,

(c) গোলাকার বা তারার মতো,

(d) চাকতির মতো।

উত্তর: (c) গোলাকার বা তারার মতো।

31. জীবদেহের বাইরের ও ভেতরের পরিবেশের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে-

(a) পেশিকোশ,

(b) স্নায়ুকোশ,

(c) চর্বিকোশ,

(d) কোণকোশ।

উত্তর: (b) স্নায়ুকোশ।

32. কোশের শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়-

(a) লাইসোজোম,

(b) রাইবোজোম,

(c) মাইটোকনড্রিয়া,

(d) গলজি বডি।

উত্তর: (c) মাইটোকনড্রিয়া।

33. অ্যান্টিফ্রিজ প্রোটিন –

(a) প্রাণীকোশে থাকে,

(b) উদ্ভিদকোশে থাকে,

(c) সকল উদ্ভিদ ও প্রাণী কোশে থাকে,

(d) খুব শুকনো ও ঠান্ডা পরিবেশে বাসকারী প্রাণীকোশে থাকে।

উত্তর: (d) খুব শুকনো ও ঠান্ডা পরিবেশে বাসকারী প্রাণীকোশে থাকে।

Very Short Answer

1. উদ্দীপনায় সাড়া দেয় কোন উদ্ভিদ?

উত্তর: উদ্দীপনায় সাড়া দেয় লজ্জাবতী উদ্ভিদ।

2. জীবদেহের গঠনগত এবং কার্যগত এককটি কী?

উত্তর: জীবদেহের গঠনগত ক্ষুদ্রতম একক হল কোশ।

3. মাইক্রোস্কোপ কী?

উত্তর: যে লেন্সযুক্ত যন্ত্রের সাহায্যে ক্ষুদ্রতম বস্তুকে বহুগুণ বড়ো করে দেখা হয়, তাকে মাইক্রোস্কোপ বলে।

4. রবার্ট হুক কীসের মধ্যে কোশ লক্ষ করেছিলেন?

উত্তর: রবার্ট হুক কর্কের পাতলা ছেদের মধ্যে কোশ লক্ষ্য করেছিলেন।

5. সরল আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে বস্তুকে কত বড়ো করে দেখা সম্ভব?

উত্তর: সরল আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে বস্তুকে 15-20 গুণ বড়ো করে দেখা সম্ভব।

6. যৌগিক আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে বস্তুকে কত বড়ো করে দেখা সম্ভব?

উত্তর: যৌগিক আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে বস্তুকে 2000- 4000 গুণ বড়ো করে দেখা সম্ভব।

7. ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে বস্তুকে কত বড়ো করে দেখা সম্ভব?

উত্তর: ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রেরসাহায্যে বস্তুকে 50,000- 3,00,000 গুণ বড়ো করে দেখা সম্ভব।

৪. একটি এককোশী জীবের নাম লেখো।

উত্তর: একটি এককোশী জীব হল অ্যামিবা।

9. ফ্যাট সঞ্চয়ী চর্বিকোশ কীরকম দেখতে হয়?

উত্তর: ফ্যাট সঞ্চয়ী চর্বিকোশ আংটির মতো দেখতে হয়।

10. বড়ো কোশ কোথায় দেখা যায়? 

উত্তর: চোখের রেটিনায় বড়ো কোশ অবস্থিত।

11. লোহিত রক্তকণিকার একটি কাজ উল্লেখ করো।

উত্তর: লোহিত রক্তকণিকার একটি কাজ হল অক্সিজেন পরিবহণ করা।

12. কোন কলার কোশগুলি সংকোচন-প্রসারণে সক্ষম?

উত্তর: পেশিকলার কোশগুলি সংকোচন-প্রসারণে সক্ষম।

13. স্নায়ুকোশের কাজ কী?

উত্তর: স্নায়ুকোশের কাজ হল পরিবেশ থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ করা ও তাতে সাড়া জাগানো।

14. উদ্ভিদের মূল ও কাণ্ডের অগ্রভাগের কলাকে কী বলে?

উত্তর: উদ্ভিদের মূল ও কান্ডের অগ্রভাগের কলাকে ভাজক কলা বলে। 

15. বৃহত্তম একক প্রাণীকোশ কোনটি?

উত্তর: বৃহত্তম একক প্রাণীকোশ হল উটপাখির ডিম।

16. এক মাইক্রোমিটার = কত ন্যানোমিটার?

উত্তর: 1 মাইক্রোমিটার = 1000 ন্যানোমিটার।

17. গমন কাকে বলে?

উত্তর: এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থান পরিবর্তন করাকে গমন বলে।

18. খাদ্য পরিপাককারী অঙ্গের নাম কী?

উত্তর: খাদ্য পরিপাককারী অঙ্গটি হল পাকস্থলী।

19. রেচনে অংশগ্রহণকারী অঙ্গের নাম কী?

উত্তর: রেচনে অংশগ্রহণকারী অঙ্গটি হল বৃক্ক।

20. কোন্ যোগকলা অস্থির সঙ্গে পেশির সংযোগ স্থাপন করে?

উত্তর: টেন্ডন নামক যোগকলা অস্থির সঙ্গে পেশির সংযোগ স্থাপন করে।

21. নিউক্লিয়াস কী?

উত্তর: কোশের ভেতরের সবচেয়ে ঘন গোলাকার বস্তুটি হল নিউক্লিয়াস।

22. নিউক্লিওপ্লাজম কাকে বলে?

উত্তর: নিউক্লিয়াসের ভেতরে যে তরল পদার্থ থাকে তারে নিউক্লিওপ্লাজম বলে।

23. ক্রোমাটিন জালিকা কী?

উত্তর: নিউক্লিয়াসের ভেতরে যে সূক্ষ সুতোর মতো প্যাঁচানো গঠন দেখা যায়, তাকে ক্রোমোটিন জালিকা বলে।

24. নিউক্লিওলাস বলতে কী বোঝো?

উত্তর: নিউক্লিয়াসের মধ্যে রাইবোজোম উৎপাদনকারী একটি ঘন গোলাকার অংশ দেখা যায়, তাকে নিউক্লিওলাস বলে।

25. কোন নিউক্লিয়াসে নিউক্লিও পর্দা থাকে না?

উত্তর: ব্যাকটেরিয়াকোশের নিউক্লিয়াসে নিউক্লিও পর্দা থাকে না।

26. প্রোটোপ্লাজম কী?

উত্তর: কোশের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজমকে একত্রে প্রোটোপ্লাজম বলে।

27. কোশীয় অঙ্গাণু কী?

উত্তর: কোশের সাইটোপ্লাজমে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন সূক্ষ্ম গঠনকে কোশীয় অঙ্গাণু বলে।

28. ক্রিস্টি কী?

উত্তর: মাইটোকনড্রিয়ার অন্তঃপর্দা থেকে সৃষ্ট ভাঁজের ন্যায় যে গঠন দেখা যায়, তাকে ক্রিস্টি বলে।

29. অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা কাকে বলে?

উত্তর: যে সকল এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকার পর্দার বাইরের দিকে রাইবোজোম যুক্ত থাকে, তাদের অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা বলে।

30. আত্মঘাতী থলি কোন্ কোশ অঙ্গাণুকে বলে?

উত্তর: লাইসোজোমকে আত্মঘাতী থলি বলে।

31. উদ্ভিদকোশের কোন্ অঙ্গাণুটি প্রাণীকোশে নেই?

উত্তর: উদ্ভিদকোশের প্লাস্টিড অঙ্গাণুটি প্রাণীকোশে নেই।

32. কীসের সাহায্যে উদ্ভিদ কোশের নির্দিষ্ট গঠন বজায় থাকে?

উত্তর: কোশ প্রাচীরের সাহায্যে উদ্ভিদ কোশের নির্দিষ্ট গঠন বজায় থাকে।

33. গ্রানা কী?

উত্তর: ক্লোরোপ্লাসটিডের মধ্যে চাকতির ন্যায় যে বিশেষ গঠনে ক্লোরোফিল নামক সবুজ রঞ্জক থাকে, তাকে গ্রানা বলে।

34. রঙিন প্লাস্টিডকে কী বলে?

উত্তর: রঙিন প্লাস্টিডকে ক্রোমোপ্লাস্টিড বলে।

35. ক্রোমোপ্লাস্টিডের কাজ কী?

উত্তর: ক্রোমোপ্লাস্টিডের কাজ হল ফুল ও ফলের বর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা।

36. উদ্ভিদের বর্ণহীন প্লাস্টিডের নাম লেখো।

উত্তর: বর্ণহীন প্লাস্টিড হল লিউকোপ্লাস্টিড।

37. লিউকোপ্লাস্টিডের কাজ কী?

উত্তর: লিউকোপ্লাস্টিডের কাজ হল নানা ধরনের খাদ্য সঞ্চয় করা।

38. স্কোয়ামাস আবরণী কলা কাকে বলে?

উত্তর: যে আবরণী কলার কোশগুলো আঁশের আকৃতিবিশিষ্ট হয়, তাকে স্কোয়ামাস বা আইশকার আবরণী কলা বলে।

39. গলগি বস্তুর কাজ কী? 

উত্তর: কোশের নানা উপাদান সংশ্লেষ, সঞ্চয় ও ক্ষরণ করতে গলগি বস্তু সাহায্য করে।

40. কোন্ অঙ্গাণুটি অস্ত্রের পেশিকোশ অপেক্ষা কঙ্কাল পেশিকোশে বেশি সংখ্যায় থাকে?

উত্তর: মাইটোকনড্রিয়া অঙ্গাণুটি অস্ত্রের পেশিকোশ অপেক্ষা কঙ্কাল পেশিকোশে বেশি সংখ্যায় থাকে।

41. ক্লোরাইড কোশ কোথায় থাকে?

উত্তর: লবণাক্ত জলে বসবাসকারী মাছেদের ফুলকায় ক্লোরাইড কোশ থাকে।

42. ক্লোরাইড কোশের কাজ কী?

উত্তর: ক্লোরাইড কোশ ফুলকার মাধ্যমে মাছের দেহ থেকে অতিরিক্ত Na+ ও CI- আয়ন বার করে দেয়।

43. মেসোজোম কোথায় থাকে?

উত্তর: কম অক্সিজেনযুক্ত পরিবেশে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়ার কোশে মেসোজোম থাকে।

44. কোন্ প্রাণীর লোহিত কণিকায় অধিক মাত্রায় হিমোগ্লোবিন থাকে?

উত্তর: উড্ডয়নশীল প্রাণী যেমন পাখিদের লোহিত কণিকায় অধিক মাত্রায় হিমোগ্লোবিন থাকে।

45. মায়োগ্লোবিন কী?

উত্তর: পেশিকোশে অক্সিজেন সরবরাহকারী যে শ্বাসরঞ্জক থাকে, তাকে মায়োগ্লোবিন বলে।

46. মিথিলিন ব্লু কী?

উত্তর: অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নীচে কোশকে দেখতে সাহায্য করে এমন এক রঞ্জক হল মিথিলিন ব্লু।

47. কোন্ কোশীয় অঙ্গাণুর সক্রিয়তা বৃদ্ধি পেলে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়?

উত্তর: লাইসোজোম।

48. ক্যাকটাসের দেহে জল সঞ্চয়ী উপাদান কোনটি?

উত্তর: মিউসিলেজ।

প্রশ্ন: 28. নীচের ছবিতে চিহ্নিত অংশগুলির নাম লেখো এবং ছবিটি কীসের তা উল্লেখ করো।

উত্তর: পাঠ্য বই পৃষ্ঠা নং ১৮২

প্রশ্ন: 29. নীচে চারটি অঙ্গাণুর ছবি দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ছবির নীচে অঙ্গাণুটির নাম লেখো।

উত্তর: মাইটোকনড্রিয়া / লাইসোজোম/রাইবোজোম/গলজি বস্তু

প্রশ্ন: 30. নীচে উদ্ভিদকোশের ছবিটিতে চারটি চিহ্নিত অংশের নাম লেখো।

উত্তর: ছবিঃ বই পৃষ্ঠা নং ১৮৪ (ছোটো ছবিটা হবে)

Short Question Answer

1. জড় বস্তু কাকে বলে?

উত্তর: যেসব বস্তুতে চলন-গমন দেখা যায় না, কোনো শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া ঘটে না, বৃদ্ধি নেই, সংকোচনশীলতা নেই, জরা ও মৃত্যু দেখা যায় না, তাদের জড় বস্তু বলে। উদাহরণ ইট, কাঠ, পাথর ইত্যাদি।

2. সজীব বস্তু কাকে বলে?

উত্তর: যাদের মধ্যে চলন-গমন, পুষ্টি, রেচন, শ্বসন, জনন, বৃদ্ধি প্রভৃতি বৈশিষ্ট্যগুলি দেখা যায় এবং যারা উত্তেজনায় সাড়া দেয় ও জীবনের শেষভাগে জরা ও মৃত্যু ঘটে, তাদের সজীব বস্তু বলে। উদাহরণ উদ্ভিদ ও প্রাণীকুল।

3. সজীব দেহে কী কী কাজ সম্ভব হয়?

উত্তর: সজীব দেহে শ্বসন, খাদ্যগ্রহণ, পরিপাক, বিপাক, রেচন, ক্ষরণ, জনন, সংবেদন, চলন ও গমন ক্রিয়াগুলি সম্পন্ন হয়।

4. কোশ কাকে বলে?

উত্তর: প্লাজমা পর্দা দিয়ে ঘেরা প্রোটোপ্লাজমের আণুবীক্ষণিক গঠনকে কোশ বলে, যা জীবদেহের গঠনগত ও বিপাকীয় এককরূপে পরিচিত।

5. কলা কাকে বলে?

উত্তর: উৎপত্তিগতভাবে এক, সম বা বিষম আকৃতিবিশিষ্ট এবং একই প্রকার কাজ সম্পন্ন করে এমন কতকগুলি কোশের সমষ্টিকে কলা বলে। যেমন-আবরণী কলা, যোগ কলা, পেশি কলা, স্নায়ু কলা ইত্যাদি।

6. অঙ্গ বলতে কী বোঝ?

উত্তর: যখন কয়েকটি কলা মিলিত হয়ে নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের জন্য কোনো দেহাংশ গঠন করে, তখন তাকে অঙ্গ বলে। যেমন পাকস্থলী, যকৃৎ, ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড, বৃক্ক ইত্যাদি এক-একটি অঙ্গ।

7. তন্ত্র বলতে কী বোঝ?

উত্তর: যখন কতকগুলি অঙ্গ সম্মিলিতভাবে প্রাণীদেহের বিশেষ কোন শারীরবৃত্তীয় কাজ সম্পাদন করে, তখন ওই অঙ্গের সমষ্টিকে তন্ত্র বলে। যেমন শ্বাসতন্ত্র, পরিপাক তন্ত্র, সংবহনতন্ত্র, পেশিতন্ত্র, স্নায়ুতন্ত্র কঙ্কালতন্ত্র ইত্যাদি।

৪. যৌগিক আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্রে কী কী অংশ থাকে?

উত্তর: যৌগিক আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্রে থাকে প্রধানত যান্ত্রিক অংশ এবং আলোক নিয়ন্ত্রক অংশ।

যান্ত্রিক অংশগুলি হল পাদদেশ, স্তম্ভ, হেলানো স্কু, বাহু, সূক্ষ্ম সন্নিবেশক স্কু, স্থূল সন্নিবেশক স্কু, টানানল, নাসিকা চাকতি, মঞ্জু ও ক্লিপ।

আলোক নিয়ন্ত্রক অংশগুলি হল – অভিনেত্র, অভিলক্ষ্য, সমাহরণ যন্ত্র, মধ্যচ্ছদা ও দর্পণ। 

9. ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে কীভাবে বস্তুর বিবর্ধন ঘটানো হয়?

উত্তর: ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে কাচের লেন্সের পরিবর্তে তড়িৎচুম্বক ব্যবহার করা হয় এবং আলোর পরিবর্তে দ্রুতগতির ইলেকট্রন প্রবাহ দ্রষ্টব্য বস্তুর মধ্য দিয়ে পাঠানো হয়। তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশে ইলেকট্রন প্রবাহের বিবর্ধন ঘটে। ফলে দ্রষ্টব্য বস্তুকে 50,000 থেকে 3 লক্ষ গুণ বড়ো করে দেখা যায়।

10. কোশের আকৃতি কত রকমের হতে পারে?

উত্তর: বিভিন্ন জীবের ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন অঙ্গের কাজের ওপর নির্ভর করে কোশের আকৃতি ভিন্ন ভিন্ন হয়। যেমন- ডিম্বাকার (ব্যাঙের RBC), গোলাকার (মানুষের RBC), আয়তাকার (পিঁয়াজের শঙ্কপত্রের কোশ), বহুভুজাকার (দ্বিবীজপত্রীর জাইলেম কলার কোশ), স্তম্ভাকার (আবরণী কলার কোশ), দন্ডাকার (চোখের রেটিনায় রডকোশ), সূত্রাকার (পেশিকোশ) ইত্যাদি।

11. চর্বিকোশ দেখতে কেমন হয়?

উত্তর: চর্বিকোশে ফ্যাট সঞ্চয়ের ফলে কোশের নিউক্লিয়াস সাইটোপ্লাজমসহ একদিকে সরে যায়। ফলে চর্বিকোশকে আংটির মতো দেখায়।

12. চোখের রেটিনায় কী কী কোশ থাকে?

উত্তর: চোখের রেটিনায় মৃদু আলো শোষণে সক্ষম দন্ডাকার রড কোশ এবং উজ্জ্বল আলো ও বর্ণ শোষণে সক্ষম শঙ্কু আকৃতির কোণ কোশ থাকে।

13. কোশের পরিমাপের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ক্ষুদ্রতম একক কী? এক মাইক্রোমিটার = কত আংস্ট্রম?

উত্তর: কোশ বা অন্তঃকোশীয় অঙ্গাণুর পরিমাপের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ক্ষুদ্রতম একক হল আংস্ট্রম (A°)।

এক মাইক্রোমিটার (um) = 10,000 আংস্ট্রম (A°)

14. স্নায়ুকোশের অংশগুলি কী কী?

উত্তর: স্নায়ুকোশে দুটি অংশ কোশদেহ ও প্রবর্ধক। প্রবর্ধক দুই প্রকার – দীর্ঘ প্রবর্ধক বা অ্যাকসন এবং ক্ষুদ্র প্রবর্ধক বা ডেনড্রন।

15. ভাজক কলা কাকে বলে?

উত্তর: যে কলার কোশগুলি ক্রমাগত বিভাজন দ্বারা কলা কোশের সংখ্যা বৃদ্ধি করে, তাকে ভাজক কলা বলে। উদ্ভিদের মূল ও কান্ডের অগ্রভাগে ভাজক কলা থাকে।

16. স্থায়ী কলা কাকে বলে?

উত্তর: যে কলার কোশগুলি বিভাজিত হয় না, তাকে স্থায়ী কলা বলে। উদ্ভিদের মূল ও কান্ডের স্থায়ী অঞ্চলে এই কলা দেখা যায়।

17. উন্নত প্রাণীদের কলা কয় প্রকার ও কী কী?

উত্তর: উন্নত প্রাণীদেহে সাধারণত চার প্রকার কলা দেখা যায়। যথা- আবরণী কলা, যোগ কলা, পেশি কলা, স্নায়ু কলা।

18. উদ্ভিদদেহে ভাজক কলার কাজ কী কী?

উত্তর: উদ্ভিদদেহে ভাজক কলার কাজগুলি হল- (i) নতুন অঙ্গ সৃষ্টি করা, (ii) মূল ও কান্ডের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করা, (iii) নতুন পাতা, কাক্ষিক মুকুল ও শাখা উৎপন্ন করা, (iv) ফুল উৎপন্ন করা, (v) রক্ষণমূলক আবরণ গঠন করা এবং (vi) সংবহন কলা গঠন করা।

19. উদ্ভিদ দেহে স্থায়ী কলার কাজ কী কী?

উত্তর: উদ্ভিদ দেহে স্থায়ী কলার কাজগুলি হল (i) খাদ্য সংশ্লেষ, সঞ্চয় ও পরিবহণ করা, (ii) জল সংবহন করা, (iii) ভারবহন ও দৃঢ়তা প্রদান করা, (iv) বর্জ্য পদার্থ সঞ্চয় করা এবং (v) ক্ষত নিরাময় করা।

20. আবরণী কলা কাকে বলে?

উত্তর: যে কলা প্রাণীদেহের বাইরে ও অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অঙ্গের আচ্ছাদন গঠন করে এবং যার একদিক মুক্ত ও অপরদিক ভিত্তি পর্দা সংলগ্ন থাকে, তাকে আবরণী কলা বলে। 

21. আবরণী কলার কাজ কী কী?

উত্তর: আবরণী কলার কাজগুলি হল- (i) বাহ্যিক প্রতিকূলতা থেকে দেহকে রক্ষা করা, (ii) শোষণ ও ক্ষরণ করা, (iii) অনুভূতি গ্রহণ করা, (iv) বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করা এবং (v) আঁশ, রোম, নখ ইত্যাদি বহিঃকঙ্কাল গঠন করা।

22. যোগ কলা কাকে বলে?

উত্তর: যে কলা নিজেদের মধ্যে ও অন্য কলার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে এবং যার কোশগুলি অন্তঃকোশীয় পদার্থের মধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে অবস্থান করে, তাকে যোগ কলা বলে।

23. যোগ কলার কাজ কী কী?

উত্তর: যোগকলার কাজগুলি হল (i) দেহের ভার বহন করা, (ii) বিভিন্ন অঙ্গ ধারণ করা, (iii) বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করা, (iv) প্রতিরক্ষা প্রদান করা, (v) ফ্যাট সঞ্চয় করা এবং (vi) তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা।

24. পেশি কলা কাকে বলে?

উত্তর: সংকোচন ও প্রসারণ ক্ষমতা সম্পন্ন যে কলা দেহের বিভিন্ন অঙ্গকে নড়াচড়া করতে সাহায্য করে, তাকে পেশি কলা বলে। 

25. পেশি কলার কাজ কী কী?

উত্তর: পেশি কলার কাজগুলি হল (i) অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঞ্চালন ঘটানো, (ii) গমনে সাহায্য করা, (iii) পৌষ্টিকনালীর ক্রমসংকোচন ঘটানো, (iv) হৃৎস্পন্দন ও রক্তপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা ও (v) দৈহিক ভঙ্গির পরিবর্তন ঘটানো।

26. জীবকোশের গঠনগত অংশগুলি কী কী?
উত্তর: প্রধানত প্লাজমাপর্দা বেষ্টিত প্রোটোপ্লাজম দ্বারা জীবকোশ গঠিত হয়। প্রোটোপ্লাজম দুটি অংশ নিয়ে গঠিত- সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াস। সাইটোপ্লাজমে অনেক ধরনের অন্তঃকোশীয় অঙ্গাণু থাকে।

28. ক্রোমোজোম কী?

উত্তর: নিউক্লিয়াসের ভেতরে দড়ি সদৃশ প্যাঁচানো যে সূক্ষ্ম ক্রোমোটিন জালিকা থাকে, তাকে ক্রোমোজোম বলে। 

29. জিন কী?

উত্তর: ক্রোমোজোমে নিউক্লিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ এক বিশেষ ধরনের ক্ষুদ্র গঠন থাকে, যারা বংশগতির ধারক ও বাহক হিসেবে পরিচিত, তাদের জিন বলে।

30. স্নায়ুকলা কাকে বলে?

উত্তর: স্নায়ুকোশের সমন্বয়ে গঠিত যে কলা উদ্দীপনা গ্রহণ করে এবং তাতে সাড়া জাগিয়ে দেহের বাইরের ও ভেতরের পরিবেশের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে, তাকে স্নায়ু কলা বলে।

31. প্রোটোপ্লাজম কাকে বলে?

উত্তর: কোশের পর্দা বেষ্টিত নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজমসহ জেলির ন্যায় ধাত্রটিকে সামগ্রিকভাবে প্রোটোপ্লাজম বলে।

32. একটি আদর্শ প্রাণীকোশের সাইটোপ্লাজমে কী কী অঙ্গাণু দেখা যায়?

উত্তর: একটি আদর্শ প্রাণীকোশের সাইটোপ্লাজমে যে অঙ্গাণুগুলি দেখা যায়, তা হল- মাইটোকনড্রিয়া, এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা, গলজি বস্তু, সেন্ট্রোজোম, লাইসোজোম, রাইবোজোম ও ক্ষুদ্র গহ্বর।

33. মাইটোকনড্রিয়া কী? এর কাজ কী?

উত্তর: দুটি প্লাজমা পর্দা বেষ্টিত গোলাকার, ডিম্বাকার বা রডের মতো দেখতে যে কোশীয় অঙ্গাণু কোশের সাইটোপ্লাজমে অবস্থান করে, তাকে মাইটোকনড্রিয়া বলে।

কাজ: এরা শোষিত খাদ্যকে ভেঙে ATP নামক শক্তির উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়।

34. প্রাইমরডিয়াল ইউট্রিকল কী?

উত্তর: উদ্ভিদকোশে গহ্বরের আকার ক্রমশ যখন বাড়তে থাকে, তখন নিউক্লিয়াসসহ সাইটোপ্লাজম কোশের পরিধির দিকে সরে যায়। গহ্বরের চারিদিকে সাইটোপ্লাজমের এরূপ আস্তরণকে প্রাইমরডিয়াল ইউট্রিকল বলে।

35. প্লাসটিড কী?

উত্তর: উদ্ভিদকোশের সাইটোপ্লাজমে যে গোলাকার, ডিম্বাকার বা চাকতির মতো রঙিন অথবা বর্ণহীন দ্বিপর্দাবেষ্টিত অঙ্গাণু থাকে, তাদের প্লাসটিড বলে।

36. প্লাসটিড কয় প্রকার ও কী কী?

উত্তর: প্লাসটিড সাধারণত তিন প্রকারের ক্রোমোপ্লাস্টিড ও লিউকোপ্লাস্টিড। ক্লোরোপ্লাস্টিড, ক্লোরোপ্লাস্টিডে ক্লোরোফিল নামক সবুজ রঞ্জক থাকে। ক্রোমোপ্লাস্টিডে লাল, কমলা, হলুদ ইত্যাদি বর্ণের রঞ্জক থাকে। লিউকোপ্লাস্টিডে কোনো রঞ্জক না থাকায় বর্ণহীন হয়।

37. ক্যাকটাসের জল সংরক্ষণের জন্য কী কী বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়?

উত্তর: ক্যাকটাসের জল সংরক্ষণের জন্য যে বৈশিষ্ট্য থাকে তা হল (i) এদের কান্ডের কোশে জল সঞ্চয়ী উপাদান মিউসিলেজ থাকে। (ii) কোশের বাইরে মোম জাতীয় পদার্থের আস্তরণ দেখা যায়।

(iii) বাষ্পমোচনের হার কমানোর জন্য পাতা কাঁটায় রূপান্তরিত হয়। 

38. কচুরিপানা জলে ভেসে থাকতে পারে কেন?

উত্তর: কচুরিপানার কান্ড ও পত্রবৃন্তের প্যারেনকাইমা কোশগুলি বায়ুগহ্বরযুক্ত হয়। এ ধরনের কোশ থাকার জন্য কচুরিপানা সহজেই জলে ভেসে থাকতে পারে।

39. মেসোজোম কী? এর কাজ লেখো।

উত্তর: কিছু ব্যাকটেরিয়ায় কোশপর্দা সাইটোপ্লাজমের ভেতরে ভাঁজ হয়ে প্যাঁচালো থলির মতো একটি অংশ গঠন করে, তাকে মেসোজোম বলে। ইহা ব্যাকটেরিয়ার শ্বসনে অংশগ্রহণ করে। 

40. কোশ প্রাচীরের প্রকৃতি লেখো।

উত্তর: কোশপ্রাচীর পুরু, জড়, ভেদ্য এবং মৃত প্রকৃতির। 

41. অ্যান্টিফ্রিজ প্রোটিন কোথায় থাকে? এর কাজ কী?

উত্তর: খুব শুকনো ও ঠান্ডা পরিবেশে বসবাসকারী প্রাণীদের কোশে অ্যান্টিফ্রিজ প্রোটিন থাকে। এটি কোশীয় তরলকে বরফের কেলাস তৈরিতে বাধা দেয়।

42. রাইবোজোমকে কোশের ‘প্রোটিন কারখানা’ বলে কেন? 

উত্তর: নিউক্লিয়াস থেকে গঠিত mRNA রাইবোজোমে সংযুক্ত tR- NA-এর পারস্পরিক সংযুক্তির ফলে বিভিন্ন ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড পরস্পর যুক্ত হয়ে প্রোটিন তৈরি হয়। এই সংশ্লেষে রাইবোজোম মুখ্য ভূমিকা পালন করে বলে এদের ‘প্রোটিন কারখানা’ বলা হয়।

43. ক্রিস্টি কাকে বলে?

উত্তর: মাইটোকনড্রিয়ার ভেতরের আবরণের অন্তর্ভাগ থেকে কতকগুলো আঙুলের মতো প্রবর্ধক উৎপন্ন হয়ে মাইটোকনড্রিয়ার ভেতরে কতকগুলো অসম্পূর্ণ প্রকোষ্ঠের সৃষ্টি করে। এই প্রবর্ধকগুলোকে ক্রিস্টি বলে।

44. মাইটোকনড্রিয়াকে কোশের ‘শক্তিঘর’ বলে কেন?

উত্তর: মাইটোকনড্রিয়ায় উপস্থিত শ্বসন উৎসেচকের সাহায্যে কোশস্থ খাদ্য জারিত হয়। এই জারণ প্রক্রিয়ার সময় শক্তি নির্ভর ATP উৎপন্ন হয় বলে মাইটোকনড্রিয়াকে কোশের ‘শক্তিঘর’ বলে।

45. লাইসোজোমকে কোশের ‘আত্মঘাতী থলি’ বলে কেন?

উত্তর: লাইসোজোম পর্দাবৃত পাচন উৎসেচক সমন্বিত ক্ষুদ্র অঙ্গাণু। কোনো কারণে এর পর্দা বিনষ্ট হলে এর উৎসেচক অন্যান্য অঙ্গাণুগুলোকে পাচিত করে ফেলে। ফলে কোশটি নষ্ট হয়। তাই লাইসোজোমকে কোশের ‘আত্মঘাতী থলি’ বলে।

46. স্ট্রোমা ও গ্রানা কাকে বলে?

উত্তর: প্লাস্টিডের অন্তঃস্থ পর্দা দিয়ে ঘেরা প্রকোষ্ঠকে স্ট্রোমা বলে। এই প্রকোষ্ঠে 10-100 টি নলাকার অংশ দেখা যায়, যাদের গ্রানা বলে।

47. মরু পরিবেশে ক্যাকটাস কীভাবে প্রতিকূল পরিবেশে বসবাসের সমস্যা সমাধান করে?

উত্তর: মরুভূমির শুকনো ও গরম পরিবেশে জল সংরক্ষণের জন্য ক্যাকটাসের কান্ডের কোশে জল সঞ্চয়ী উপাদান মিউসিলেজের আধিক্য দেখা যায়। আর কোশের বাইরে মোম জাতীয় পদার্থের আস্তরণ দেখা যায় যা বাষ্পমোচনের হার কমায়। 

48. মেরু অঞ্চলে বসবাসকারী প্রাণীরা কীভাবে প্রতিকূল পরিবেশে বসবাসের সমস্যা সমাধান করে?

উত্তর: মেরু অঞ্চলের শুকনো ও ঠান্ডা পরিবেশে বসবাসকারী প্রাণীদের কোশে অ্যান্টিফ্রিজ প্রোটিন থাকে যাতে কোশীয় তরল জমে বরফ হয়ে না যায়। এছাড়া তাপ সংরক্ষণের জন্য এদের দেহে ফ্যাট সঞ্চয়কারী কোশের প্রাচুর্য থাকে।

49. গভীর সমুদ্রে বসবাসকারী প্রাণীদের কোশে কীরূপ পরিবর্তন দেখা যায়?

উত্তর: সমুদ্রের গভীরে উচ্চ চাপযুক্ত পরিবেশে বসবাসকারী প্রাণীদের কোশে মাইটোকনড্রিয়া সংখ্যায় বেশি থাকে। পেশিকোশে মায়োফাইব্রিলের অধিক ঘনত্ব দেখা যায়। অন্তঃকঙ্কালের কোশে ক্যালশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে।

50. প্লাজমোডেসমাটা কাকে বলে?

উত্তর: উদ্ভিদকোশের কোশ প্রাচীরে অসংখ্যা সূক্ষ্ম ছিদ্র থাকে যার মধ্যে দিয়ে পাশাপাশি অবস্থিত দুটি কোশের মধ্যে সাইটোপ্লাজমীয় সংযোগ রক্ষিত হয়। এই সাইটোপ্লাজমীয় সংযোগ বা যোগসূ একে প্লাজমোডেসমাটা বলে।

51. মাইটোকনড্রিয়া থাকে না এমন দুটি কোশের নাম লেখো। 

উত্তর: স্তন্যপায়ী প্রাণীদের পরিণত লোহিত রক্ত কণিকা। প্রোক্যারিওটিক কোশ (ব্যাকটেরিয়া)

52. DNA..RNA-র পুরো কথাটি কী?

উত্তর: DNA-ডি-অক্সি রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড। RNA রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড।

53. লোহিত রক্ত কণিকার আকার গোল ও দুপাশ চ্যাপটা চাকতির মতো হওয়ার কারণ কী?

উত্তর: লোহিত রক্ত কণিকার আকার জেনে রাখো: গোল ও দুপাশ চ্যাপটা চাকতির মতো হওয়ার জন্য এর পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল বেশি হয়। এর ফলে হৃৎপিণ্ডের হৃৎপেশি কখনও ক্লান্ত হয় না। এরা বেশি পরিমাণ অক্সিজেন পরিবহন করতে পারে। এছাড়া দ্বি অবতল আকারহেতু লোহিত রক্ত কণিকা বিভিন্ন ব্যাসের রক্তবাহের মধ্যে দিয়ে সহজেই যেতে পারে।

54. কোন্ কোন্ কোশ অঙ্গাণু উদ্ভিদ ও প্রাণী-উভয় কোশে দেখা যায়?

উত্তর: মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা, গলজিবস্তু, রাইবোজোম উদ্ভিদ ও প্রাণীকোশে দেখা যায়।

55. কোশরসের উপাদানগুলির নাম লেখো।

উত্তর: শর্করা, অজৈব লবণ, বিভিন্ন রেচন পদার্থ, ক্ষরণজাত পদার্থ, রঞ্জক পদার্থ ইত্যাদি হল কোশরসের উপাদান।

56. কোশ গহ্বরকে কোশের ‘ভাঁড়ার ঘর’ বলে কেন?

উত্তর: কোশ গহ্বরে যে কোশরস থাকে তাতে বিভিন্ন পদার্থ যেমন- শর্করা, অজৈব লবণ, বিভিন্ন রেচন পদার্থ, ক্ষরণজাত পদার্থ, রঞ্জক পদার্থ সঞ্চিত থাকে। এই সকল পদার্থ কোশ নিজের প্রয়োজন মতো ব্যবহার করে বা কোশের বাইরে বের করে দেয়। তাই কোশ গহ্বরকে ‘কোশের ভাঁড়ার ঘর’ বলে।

57. সমুদ্রের জলে বাস করার জন্য প্রাণীদের কোশে দেখা যায় এমন ২টি পরিবর্তন লেখো।

উত্তর: সমুদ্রের জলে বাস করার জন্য প্রাণীদের কোশে হওয়া দুটি পরিবর্তন হল-

(i) সমুদ্রের জলে বসবাসকারী প্রাণীদের ফুলকায় ক্লোরাইড কোশ থাকে।

(ii) সামুদ্রিক প্রাণীদের দেহকোশীয় তরল পরিপার্শ্বিক পরিবেশের তুলনায় লঘুসারক বা অতিসারক হয়।

58. অধিক উচ্চতাযুক্ত পরিবেশে বসবাসকারী প্রাণীদের রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা বেড়ে যায় কেন?

উত্তর: অধিক উচ্চতাযুক্ত পরিবেশে বাতাসে অক্সিজেনের চাপ কম থাকে। ফলে লোহিত রক্ত কণিকা কম পরিমাণে অক্সিজেন গ্রহণ করে। কিন্তু কলাকোশের অক্সিজেনের চাহিদা পূরণের জন্য সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটায় লোহিত রক্ত কণিকার এবংঅক্সিজেন পরিবাহিত হয়।

প্রশ্ন: 2. যৌগিক আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্র কোথায় কোথায় ব্যবহার করা হয়?

উত্তর: যৌগিক আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহৃত হয়- (i) এককোশী ক্ষুদ্র বহুকোশী প্রাণীর দেহের বহির্গঠন জানার জন্য, (ii) উদ্ভিদ দেহের বিভিন্ন অংশের অন্তর্গঠন পর্যবেক্ষণের জন্য, (iii) জীবদেহের বিভিন্ন অঙ্গের কলার গঠন জানার জন্য, (iv) কোশের ভেতরের অঙ্গাণু ও কোশপর্দার গঠন জানার জন্য। 

প্রশ্ন: 3. ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে কীভাবে দ্রষ্টব্য বস্তুর বিবর্ধন ঘটানো হয়?

উত্তর: ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে আলোর পরিবর্তে ইলেকট্রন প্রবাহ দ্রষ্টব্য বস্তুর মধ্য দিয়ে পাঠানো হয়। এই যন্ত্রে লেন্সের পরিবর্তে তড়িৎচুম্বক ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে চুম্বকীয় আবেশে ইলেকট্রন প্রবাহ বিবর্ধিত হয়ে দ্রষ্টব্য বস্তুকে অনেক গুণ বড়ো করে দেখায়।

প্রশ্ন: 4. পেশি কলা কয়প্রকার ও কী কী?

উত্তর: অবস্থান, গঠন ও কাজের ভিত্তিতে পেশি কলাকে তিনভাগে ভাগ করা হয়। যথা 

(i) অবস্থান অনুসারে পেশি কলার প্রকার হল কঙ্কাল পেশি, হৃদপেশি ও আন্তঃঅঙ্গীয় পেশি। 

(ii) গঠন অনুসারে পেশি কলার প্রকার হল সরেখ ও অরেখ পেশি।

(iii) কার্য অনুসারে পেশিকলার প্রকার হল ঐচ্ছিক এবং অনৈচ্ছিক পেশি। 

প্রশ্ন: 5. একটি অরেখ পেশিকোশের গঠন বর্ণনা করো। 

উত্তর: অরেখ পেশিকোশ লম্বা ও বেমাকৃতির হয়, অর্থাৎ এর দু-প্রান্ত ছুঁচালো ও মাঝের অংশ চওড়া। এর কেন্দ্রস্থলে একটি ডিম্বাকার নিউক্লিয়াস থাকে। এতে কোনো রেখা দেখা যায় না। 

প্রশ্ন: 6. কোন্ কোন্ পর্যায়ের মাধ্যমে পুষ্টি সম্পন্ন হয়?

উত্তর: পুষ্টির পর্যায়গুলো হল- খাদ্যগ্রহণ, গৃহীত খাদ্যের পরিপাক, পাচিত খাদ্যের শোষণ, শোষিত খাদ্যের আত্তীকরণ ও অপাচ্য খাদ্য বহিষ্করণ।

প্রশ্ন: 9. কোশ পর্দার প্রধান কাজগুলি লেখো।

উত্তর: কোশ পর্দার প্রধান কাজগুলি হল- (i) আন্তঃকোশ সংযোগ স্থাপন করা, (ii) কোশ থেকে বিভিন্ন পদার্থের নির্গমন ও প্রবেশে সাহায্য করা, (iii) ক্ষরণে সাহায্য করা, (iv) অন্তঃ কোশীয় অঙ্গাণুর পর্দা গঠন করা, (v) ফ্যাগোসাইটোসিস ও পিনোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা।

প্রশ্ন: 10. কোশ প্রাচীরের কাজগুলি লেখো।

উত্তর: কোশ প্রাচীরের কাজগুলি হল- (i) কোশের নির্দিষ্ট আকৃতি প্রদান করা, (ii) কোশকে বহিঃস্থ আঘাত থেকে রক্ষা করা, (iii) উদ্ভিদ অঙ্গের দৃঢ়তা প্রদান করা, (iv) বিভিন্ন বস্তুর অন্তঃ কোশীয় পরিবহণে সাহায্য করা।

প্রশ্ন: 11. মসৃণ ও অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা বলতে কী বোঝ? এদের কোথায় দেখা যায়?

উত্তর: যে সকল এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকার উপরিভাগে রাইবোজোম যুক্ত থাকে না, তাদের মসৃণ এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা এবং যাদের উপরিভাগে রাইবোজোম যুক্ত থাকে, তাদের অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা বলে।

মসৃণ এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা লিপিড সংশ্লেষকারী এবং অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা সমস্ত প্রোটিন সংশ্লেষকারী কোশে দেখা যায়।

প্রশ্ন: 12. কোশপর্দার গঠন লেখো।

উত্তর: কোশ পর্দা সজীব, স্থিতিস্থাপক পাতলা এবং অর্ধভেদ্য বা প্রভেদকমূলক ভেদ্য প্রকৃতির হয়। কোশ পর্দা ত্রিস্তরী এবং প্রোটিন ও লিপিড নির্মিত হয়। এখানে দুটি প্রোটিন স্তরের মধ্যে একটি লিপিড স্তর থাকে অর্থাৎ পর্দাটি P-1-P বা প্রোটিন লিপিড প্রোটিন রূপে সাজানো থাকে।

প্রশ্ন: 13. গলজি বস্তুর প্রধান কাজগুলি লেখো।

উত্তর: গলজি বস্তুর প্রধান কাজগুলি হল- (i) কোশের ক্ষরণে অংশগ্রহণ করা, (ii) বিভিন্ন গ্লাইকোপ্রোটিন জাতীয় বস্তু উৎপন্ন করা, (iii) লাইসোজোম গঠন করা, (iv) শুক্রাণুর অ্যাক্রোজোম ও ডিম্বাণুর কর্টিক্যাল বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা।

প্রশ্ন: 14. সাইটোপ্লাজমের একটি পর্দাবিহীন কোশ অঙ্গাণু একটি একক পর্দাবেষ্টিত অঙ্গাণু এবং একটি দ্বি-একক পর্দাবেষ্টিত অঙ্গাণুর নাম লেখো।

উত্তর: পর্দাবিহীন কোশ অঙ্গাণু রাইবোজোম একক পর্দাযুক্ত কোশ অঙ্গাণু – গলজিবস্তু দ্বি একক পর্দাবেষ্টিত কোশ অঙ্গাণু মাইটোকন্ড্রিয়া।

প্রশ্ন: 15. ক্লোরোপ্লাস্ট, ফিওপ্লাস্ট ও রোডোপ্লাস্ট কোথায় দেখা যায়?

উত্তর: ক্লোরোপ্লাস্ট: ক্লোরোফিল নামক সবুজ রঞ্জক কণাযুক্ত প্লাস্টিডকে ক্লোরোপ্লাস্ট বলে। এটা সমস্ত সবুজ উদ্ভিদে দেখা যায়।

ফিওপ্লাস্ট: ফিউওকোজ্যানথিন নামক বাদামি রঞ্জক কণাযুক্ত প্লাস্টিডকে ফিওপ্লাস্ট বলে। এটা ডায়াটম ও বাদামি শ্যাওলায় দেখা যায়।

রোডোপ্লাস্ট: ফাইকোএরিথ্রিন নামক লাল রঞ্জক কণাযুক্ত প্লাস্টিডকে রোডোপ্লাস্ট বলে। এটি লাল শৈবালের দেহে দেখা যায়।

প্রশ্ন: 16. লোহিত রক্তকণিকার আকার কীরূপ? এটি কী কাজ করে?

উত্তর: লোহিত রক্ত কণিকার আকার গোল ও দ্বি অবতল এবং এটি পরিণত অবস্থায় নিউক্লিয়াসবিহীন।

কাজ: শ্বাসবায়ু অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড পরিবহণ করা এর কাজ। এছাড়া এটি দেহের অম্লক্ষার ভারসাম্য বজায় রাখে।

প্রশ্ন: 17. লিউকোপ্লাস্ট কী ও কয় প্রকারের?

উত্তর: রঞ্জক কণাবিহীন প্লাস্টিডকে লিউকোপ্লাস্ট বলে। এটি প্রধানত তিন প্রকার হয়। যেমন অ্যামাইলোপ্লাস্ট (শ্বেতসার সঞ্চয় করে), ইলাইওপ্লাস্ট (তেল বা চর্বি জাতীয় পদার্থ সঞ্চয় করে) এবং অ্যালিউরোনোপ্লাস্ট (প্রোটিন জাতীয় খাদ্যবস্তু সঞ্চয় করে)।

প্রশ্ন: 20. কোশপ্রাচীরের প্রকৃতি এবং উপাদান লেখো।

উত্তর: কোশ প্রাচীর জড়, পুরু, ভেদ্য প্রকৃতির। এটি প্রধানত সেলুলোজ হেমিসেলুলোজ, লিগনিন, সুবেরিন, পেকটিন দিয়ে গঠিত। এর তিনটি স্তর মধ্যপর্দা, প্রাথমিক কোশ প্রাচীর, গৌণ কোশ প্রাচীর।

প্রশ্ন: 21. ক্যাকটাসের কাঁটাগুলি প্রকৃতপক্ষে কী? কেন এরূপ হয়েছে?

উত্তর: ক্যাকটাসের কাঁটাগুলি প্রকৃতপক্ষে পাতা। ক্যাকটাস মরু অঞ্চলের উদ্ভিদ। বাষ্পমোচনের ফলে শরীর থেকে জল বেড়িয়ে যাওয়া বন্ধ করতে পাতাগুলি কাঁটায় রূপান্তরিত হয়েছে।

প্রশ্ন: 22. জল পরিবহণকারী উদ্ভিদ কলার পরিচয় দাও।

উত্তর: জল পরিবহণকারী উদ্ভিদ কলাকে জাইলেম বাহিকা বলে। এটি প্রধানত দু-প্রকার হয়- প্রোটোজাইলেম ও মেটাজাইলেম। উদ্ভিদদেহের প্রথম উৎপন্ন স্বল্প গহ্বরবিশিষ্ট জাইলেম বাহিকাগুলিকে প্রোটোজাইলেম এবং এর পরবর্তীকালে উৎপন্ন চওড়া গহ্বরবিশিষ্ট জাইলেম বাহিকাগুলিকে মেটাজাইলেম বলে। প্রোটোজাইলেম ও মেটাজাইলেম বাহিকাগুলি প্রধানত ট্র্যাকিড, ট্র্যাকিয়া, প্যারেনকাইমা কোশ ও তত্ত্বর দ্বারা গঠিত হয়।

প্র: 1 ক্যাকটাস জাতীয় উদ্ভিদ কোথায় জন্মায়? বাষ্পমোচনের হার কমানোর জন্য এদের দেহে কী ধরনের কোশ ও ব্যবস্থা দেখা যায়?

উত্তর: ক্যাকটাস খুব শুকনো ও গরম পরিবেশে জন্মায়। বাষ্পমোচনের হার কমানোর জন্য এদের কান্ডের কোশে জল সঞ্চয়ী উপাদান মিউসিলেজের আধিক্য দেখা যায়। আর কোশের বাইরে মোমজাতীয় পদার্থের আস্তরণ দেখা যায়, যা বাষ্পমোচনের হার কমায়। 

প্র: 2 খুব শুকনো ও ঠান্ডা পরিবেশে বসবাসকারী প্রাণীদের কোশের দুটি বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ করো।

উত্তর: খুব শুকনো ও ঠান্ডা পরিবেশে বসবাসকারী প্রাণীদের কোশে অ্যান্টিফ্রিজ প্রোটিন থাকে। এই প্রোটিন কোশীয় তরলে বরফের কেলাস তৈরিতে বাধা দেয়। এছাড়া তাপ সংরক্ষণের প্রয়োজনে এদের দেহে ফ্যাট সঞ্চয়কারী কোশের প্রাচুর্য থাকে।

প্র: 3 মিষ্টিজলে বসবাসকারী উদ্ভিদের পুষ্প ও পুষ্পবৃন্ত জলে ভেসে থাকতে পারে কেন?

উত্তর: মিষ্টিজলে বসবাসকারী উদ্ভিদের পুষ্প ও পুষ্পবৃন্তে বায়ুগহ্বরযুক্ত প্যারেনকাইমা কোশ থাকে যাকে এরেনকাইমা বলে। এই কোশের সাহায্যে উদ্ভিদের পুষ্প ও পুষ্পবৃন্ত জলে ভেসে থাকতে পারে।

প্র: 4 লবণাক্ত পরিবেশে বসবাসকারী উদ্ভিদ ও প্রাণীদের কোশের বিশেষ বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উত্তর: লবণাক্ত পরিবেশে বসবাসকারী উদ্ভিদের মূলে লবণপূর্ণ কোশ থাকে। প্রাণীদের ফুলকায় ক্লোরাইড কোশ থাকে যা অতিরিক্ত Na+ ও CI- দেহ থেকে বার করে দিতে সক্ষম।

প্র: 5 কম অক্সিজেনযুক্ত পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া কীভাবে শ্বাসকার্য চালায়?

উত্তর: কম অক্সিজেনযুক্ত পরিবেশে ব্যাকটেরিয়াকোশে মাইটোকনড্রিয়া থাকে না। তাই শ্বাসকার্য চালানোর জন্য থলির মতো মেসোজোম গঠিত হয়েছে। কোশ পর্দা সাইটোপ্লাজমের দিকে ভাঁজ হয়ে ঢুকে আসার কারণে মেসোজোম থলির সৃষ্টি হয়।

প্র: 6 বিভিন্ন বিজারণ বিক্রিয়ায় শক্তি সংগ্রহ করে কোন্ কোশ?

উত্তর: বিভিন্ন বিজারণ বিক্রিয়ার সাহায্যে শক্তি সংগ্রহ করে উয় ও অধিক সালফার বা সালফার যৌগযুক্ত পরিবেশে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়াকোশ।

প্র: 7 পচনশীল জৈবপদার্থযুক্ত পরিবেশে বসবাসকারী জীবদেহের কোশের বৈশিষ্ট্য কী?

উত্তর: পচনশীল জৈবপদার্থযুক্ত পরিবেশে বসবাসকারী জীবদেহের কোশের বৈশিষ্ট্য হল অধিক অম্লত্ব সহ্য করতে পারা।

প্র: ৪ পাখিদের উড়তে সক্ষম হওয়ার পেছনে কোন্ কোশের কী অবদান রয়েছে?

উত্তর: পাখিদের উড়তে সক্ষম হওয়ার পেছনে লোহিত রক্তকণিকার বিশেষ অবদান রয়েছে। কারণ লোহিত কণিকা অধিক মাত্রায় হিমোগ্লোবিন ধারণে সক্ষম হওয়ায় কোশে অধিক পরিমাণে অক্সিজেন বাহিত হয়। এছাড়া দেহের অন্যান্য কোশে মাইটোকন্ড্রিয়ার সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে বেড়ে যায়। কারণ খাদ্য ভেঙে উড্ডয়ণের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি যথাযথ ভাবে সরবরাহ করা নিশ্চিত করে।

প্র: 9 কেলাসাকার মাইটোকনড্রিয়া কোথায় থাকে? এর কাজ কী?

উত্তর: কেলাসাকার মাইটোকনড্রিয়া পতঙ্গের ডানায় সংলগ্ন পেশিকোশে থাকে। বহু মাইটোকনড্রিয়ার একত্রীকরণের ফলে কেলাসাকার গঠন ধারণ করেছে। এর কাজ হল পতঙ্গের দ্রুত ডানা ঝাপটানোর জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করা।

প্র: 10 অধিক উচ্চতাযুক্ত পরিবেশে বসবাসের জন্য প্রাণীদের কোন কোশের কী পরিবর্তন ঘটে?

উত্তর: অধিক উচ্চতাযুক্ত পরিবেশে বসবাসের জন্য প্রাণীদের (i) লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বেড়ে যায়, (ii) পেশিকোশে মাইটোকনড্রিয়া ও মায়োগ্লোবিনের সংখ্যা ও পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেড়ে যায়, এবং (iii) লোহিত রক্তকণিকার হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বেড়ে যায়।

Long Question Answer

প্রশ্ন: 1. প্রাণীদেহে কোন্ কোন্ শারীর বৃত্তীয় ঘটনাগুলি ঘটে যার ফলে প্রাণীর স্বাভাবিক জীবনধারা বজায় থাকে।

উত্তর: প্রাণীদেহে নিম্নলিখিত শারীরবৃত্তীয় ঘটনাগুলি ঘটে।

(ক) শ্বসন ও শ্বাসকার্য: এই পদ্ধতিতে O2 গৃহীত হয়, CO₂ বর্জন ঘটে। গৃহীত O2 কোশের মধ্যে খাদ্যকে ভেঙে শক্তি ও CO₂ নির্গত করে।

(খ) সংবহন: খাদ্য সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় দূষিত পদার্থের সঞ্চালন দেহে ঘটে।

(গ) পুষ্টি পরিপাক: গৃহীত জটিল খাদ্য পাচিত হয়ে সরল খাদ্যে পরিণত হয় এবং কোশে গৃহীত হয়ে পুষ্টি সাধন করে।

(ঘ) রেচন: বিভিন্ন বিপাকক্রিয়ায় উৎপন্ন দূষিত পদার্থ বৃক্কের মধ্যে দেহের বাইরে নির্গত হয়।

(ঙ) জনন: নিজের আকৃতি ও গুণবিশিষ্ট অপত্য উৎপাদন করে বংশধারাকে তথা প্রাণের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখে।

(চ) সাড়া প্রাদান: উদ্দীপনার প্রভাবে সাড়া দিয়ে পরিবেশের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে।

(ছ) চলন গমন: এক জায়গায় থেকে অঙ্গ প্রতঙ্গ সঞ্চালন বা গমনের মাধ্যমে স্থান পরিবর্তন করে।

প্রশ্ন: 2. একটি ঐচ্ছিক পেশিকোশের গঠন বর্ণনা করো।

উত্তর: প্রতিটি ঐচ্ছিক পেশিকোশ নিম্নেপ্রদত্ত অংশগুলি নিয়ে গঠিত

(i) সারকোলেমা: পেশিকোশ যে সূক্ষ্ম কোশপর্দা দিয়ে আবৃত থাকে, তাকে সারকোলেমা বলে।

(ii) সারকোপ্লাজমঃ নিউক্লিয়াস ও মায়োফাইব্রিলের চারপাশে যে তরল পদার্থ থাকে, তাকে সারকোপ্লাজম বলে। সারকোপ্লাজমে সেন্ট্রোজোম ছাড়া আর সকল কোশীয় অঙ্গাণু থাকে।

(iii) নিউক্লিয়াস: প্রতিটি ঐচ্ছিক পেশিকোশে অসংখ্য ডিম্বাকার নিউক্লিয়াস থাকে, যেগুলি সাধারণত সারকোলেমার নীচে অবস্থান করে।

(iv) মায়োফাইব্রিল: সারকোপ্লাজমে যে অসংখ্য সমান্তরাল। প্রোটিন তত্ত্বর সমাবেশ দেখা যায়, তাদের মায়োফাইব্রিল বলে।

প্রতিটি মায়োফাইব্রিল অ্যাকটিন ও মায়োসিন নামক দু-প্রকারের মায়োফিলামেন্ট নিয়ে গঠিত হয়। মায়োফাইব্রিলে অ্যাকটিন ও মায়োসিনের বিন্যাসের জন্য ঐচ্ছিক পেশিতে দু-প্রকার রেখা দেখা যায়। তাই ঐচ্ছিক পেশিকে সরেখ পেশিও বলে।

প্রশ্ন: 3. একটি স্নায়ুকোশের গঠন বর্ণনা করো।

উত্তর: একটি আদর্শ স্নায়ুকোশের প্রধান দুটি অংশ হল- কোশদেহ এবং প্রবর্ধক।

(i) কোশদেহ: এটি স্নায়ুকোশের প্রোটোপ্লাজম সমন্বিত গোলাকার বা তারকাকার অংশ। কোশপর্দা দিয়ে ঘেরা কোশদেহের প্রোটোপ্লাজমে একটি সুগঠিত নিউক্লিয়াস ও বিভিন্ন প্রকার সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণু থাকে। তবে সেন্ট্রোজোম থাকে না। সাইটোপ্লাজমে নিউরোফাইব্রিল নামক তত্ত্ব ও নিজল্ দানা নামক অসংখ্য দানা বিক্ষিপ্তভাবে থাকে।

(ii) প্রবর্ধক: এটি কোশদেহ থেকে নির্গত সূক্ষ্ম প্রলম্বিত অংশ। দীর্ঘ শাখাবিহীন প্রলম্বিত অংশটিকে অ্যাক্সন বলে। অ্যাক্সনটি তিনটি পর্দা দিয়ে ঘেরা থাকে। ভিতর থেকে বাইরের দিকে এগুলি হল যথাক্রমে- অ্যাক্সোলেমা, মায়োলিন সিদ্‌ এবং নিউরোলেমা। মায়োলিন সিদ্‌ ও নিউরোলেমার মাঝখানে থাকে সোয়ান কোশ। অ্যাক্সনের শেষ প্রান্তকে প্রান্তবুরুশ বলে।

কোশদেহ থেকে নির্গত মায়োলিন সিদবিহীন শাখা-প্রশাখা যুক্ত ক্ষুদ্র প্রবর্ধকগুলিকে ডেনড্রন বলে।

প্রশ্ন: 4. নিউক্লিয়াসের গঠন বর্ণনা করো।

উত্তর: নিউক্লিয়াস গঠিত হয় নিউক্লিওপর্দা, নিউক্লিওপ্লাজম, নিউক্লিওলাস ও ক্রোমাটিন তত্ত্ব সহযোগে।

(i) নিউক্লিও পর্দা: এটি দ্বিস্তর বিশিষ্ট একক পর্দা দ্বারা গঠিত হয়। এটি নিউক্লিওপ্লাজমকে সাইটোপ্লাজম থেকে পৃথক করে রাখে। এর বাইরের স্তরটি কয়েক স্থানে এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকার সঙ্গে যুক্ত থাকে। নিউক্লিও পর্দার স্থানে স্থানে কয়েকটি ছিত্র দেখা যায়।

(ii) নিউক্লিওপ্লাজম: নিউক্লিয়াসের ভেতরে যে অর্ধতরল, কিছুটা অম্লধর্মী পদার্থ থাকে, তা হল নিউক্লিওপ্লাজম।

(iii) নিউক্লিওলাস: নিউক্লিওপ্লাজমের মধ্যে যে গোলাকার ঘনবস্তুটি। থাকে, সেটি হল নিউক্লিওলাস। এটি প্রোটিন ও রাইবোজোমাল RNA দ্বারা গঠিত হয়।

(iv) ক্রোমোটিন তত্ত্ব: অসংখ্য লম্বা সুতোর মতো, কুন্ডলীকৃত যে গঠনটি নিউক্লিওপ্লাজমে ছড়িয়ে থাকে, তাকে ক্রোমাটিন তত্ত্ব বলে। সুক্ষ্ম, পেঁচানো এই তত্ত্বগুলি কোশ বিভাজনের সময় ক্রোমোজোমে পরিণত হয়, যার মধ্যে জিন অবস্থান করে।

প্রশ্ন: 5. চিত্রসহ মাইটোকনড্রিয়ার গঠন বর্ণনা করো।

উত্তর: একটি মাইটোকনড্রিয়া সাধারণত দ্বিস্তর বিশিষ্ট একক পর্দা, দুটি প্রকোষ্ঠ, ধাত্র এবং কলা সহযোগে গঠিত হয়।

(i) মাইটোকনড্রিয়ার পর্দাঃ বহিঃ ও অন্তঃপর্দা নামক দ্বৈত পর্দা দিয়ে মাইটোকনড্রিয়া ঘেরা থাকে। পর্দা দুটির মধ্যবর্তী স্থান তরল পূর্ণ থাকে। অন্তপর্দাটি স্থানে স্থানে ভাঁজ হয়ে ভিতরের দিকে কয়েকটি ব্যবধায়ক তৈরি করে, যেগুলিকে ক্রিস্টি বলে।

(ii) প্রকোষ্ঠ: বহিঃ ও অন্তপর্দার মধ্যবর্তী স্থানকে বহিঃপ্রকোষ্ঠ বলে এবং অন্তপর্দা দ্বারা ঘেরা স্থানটিকে অন্তঃপ্রকোষ্ঠ বলে।

(iii) ধাত্র: অন্তঃপ্রকোষ্ঠটি ঘন প্রোটিন জাতীয় পদার্থ দ্বারা পূর্ণ থাকে, যাকে মাইটোকনড্রিয়ার ধাত্র বলে। ধাত্রে রাইবোজোম, DNA এবং উৎসেচক থাকে।

(iv) কণা: ক্রিস্টির গাত্র বরাবর টেনিস র‍্যাকেটের আকৃতি বিশিষ্ট ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা অবস্থান করে, যাদের ফার্নানডেজ মোরান অধঃএকক বা মৌলিক কণা বা F₁ দানা বলে।

প্রশ্ন: 6. ক্লোরোপ্লাস্টের গঠন বর্ণনা করো।

উত্তর: ক্লোরোপ্লাস্ট প্রধানত তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত হয় একক পর্দা, স্ট্রোমা এবং থাইলাকয়েড।

(i) একক পর্দা: প্রতিটি ক্লোরোপ্লাস্ট বহিঃ ও অন্তঃ একক পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে। দুটি পর্দার অন্তর্বর্তী স্থানকে পেরিপ্লাসটিডিয়াল স্থান বলে।

(ii) স্ট্রোমা: এটি অন্তঃপর্দার ভিতরের দিকে অবস্থিত একপ্রকার স্বচ্ছ, আঠালো তরল উপাদান। এতে প্রোটিন, DNA, RNA ইত্যাদি থাকে।

(iii) থাইলাকয়েড: স্ট্রোমার অভ্যন্তরে অবস্থিত চ্যাপ্টা থলির মতো গঠনগুলিকে থাইলাকয়েড বলে। থাইলাকয়েডগুলি কয়েকটি স্তূপে সজ্জিত থাকে। থাইলাকয়েডের প্রতিটি স্তূপকে গ্রানা বলে। গ্রানাগুলি পরস্পরের সঙ্গে স্ট্রোমা ল্যামেলি নামক নালিকা দ্বারা সংযুক্ত থাকে। : প্রাণীকোশ দুটি অংশ দিয়ে গঠিত। কোশপর্দা এবং প্রোটোপ্লাজম। উ

প্রশ্ন: 7. প্রাণীকোশের গঠন বর্ণনা করো।

উত্তরঃ প্রাণীকোশ দুটি অংশ দিয়ে গঠিত। কোশপর্দা এবং প্রোটাপ্লাজম

কোশপর্দা: কোশের সবচেয়ে বাইরের আবরণ। এটি অর্ধভেদ্য, স্থিতিস্থাপক, সজীব এবং প্রোটিন ও লিপিড নির্মিত। এটি একটি ত্রিস্তরী পর্দা। কোশের আকৃতি প্রদান এবং বাইরের আঘাত থেকে প্রোটোপ্লাজমকে রক্ষা করা এর কাজ।

প্রোটোপ্লাজম: কোশপর্দা বেষ্টিত অংশ হল প্রোটোপ্লাজম। এটির দুটি অংশ নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম।

(a) নিউক্লিয়াস: প্রোটোপ্লাজমের মধ্যে সবচেয়ে ঘন, প্রায় গোলাকার পর্দাবৃত অংশ হল নিউক্লিয়াস। নিউক্লিয়াসের চারটি অংশ নিউক্লিয় পর্দা, নিউক্লিয় রস বা নিউক্লিয়প্লাজম, নিউক্লিয় জালিকা বা ক্রোমাটিন জালিকা এবং নিউক্লিওলাস। নিউক্লিয়াস প্রোটোপ্লাজমের সবরকমের জীবজ ক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই একে কোশের মস্তিষ্ক বলে। নিউক্লিয়জালিকা মধ্যস্থ DNA বংশগত বৈশিষ্ট্যগুলিকে বহন করে।

(b) সাইটোপ্লাজম: নিউক্লিয়াস বাদে প্রোটোপ্লাজমের বাকী অংশ বা চটে, অর্ধতরল জেলির মতো। তা হল সাইটোপ্লাজম। এর মধ্যে কোশ অঙ্গাণু, ভ্যাকুওল ও অজীবীয় বস্তু থাকে। সাইটোপ্লাজমের অঙ্গাণুগুলো হল-

(i) মাইটোকনড্রিয়া: দ্বি একক পর্দাবৃত কোশ অঙ্গাণু। ধাত্রের মধ্যে উৎসেচক, রাইবোজোম, DNA, RNA থাকে। অন্তঃপর্দা ভাঁজ হয়ে ক্রিস্টি গঠন করে। কোশে শক্তি উৎপাদন করে। তাই একে কোশের শক্তিঘর বলে।

(ii) এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা: একক পর্দাবৃত কোশ অঙ্গাণু। নিউক্লিয় পর্দা থেকে কোশপর্দা পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি নলাকার। এর গায়ে রাইবোজোম যুক্ত থাকলে তাকে অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা এবং রাইবোজোম না থাকলে তাকে মসৃণ এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা বলে। প্রোটিন ও লিপিড সংশ্লেষ করে। পরিবহন ও সঞ্চয় করা এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকার কাজ।

(iii) গলগি বস্তু: এটি নিউক্লিয়াসের কাছে থাকা চ্যাপটা বা লম্বা থলি বা গহ্বরের ন্যায় গঠনযুক্ত অঙ্গাণু। কোশ মধ্যস্থ বিভিন্ন বস্তুর পরিবহণে ক্ষরণে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূ মিকা পালন করে।

(iv) লাইসোজোম: একক পর্দা বেষ্টিত অঙ্গাণু। এর মধ্যে একাধিক আর্দ্রবিশ্লেষণকারী উৎসেচক ও বিভিন্ন পর্দা থাকে। কোশের মধ্যে কার রোগ গ্রস্ত অঙ্গাণুগুলিকে লাইসোজোমের উৎসেচক পাচিত করে দেয়। ফলে কোশের মৃত্যু ঘটে। তাই একে আত্মঘাতী থলি বলে।

(v) রাইবোজোম: পর্দাবিহীন গোলাকার দানার ন্যায় অঙ্গাণু। এটি প্রোটিন ও RNA দ্বারা গঠিত। প্রোটিন সংশ্লেষে সাহায্য করে। তাই একে প্রোটিন ফ্যাক্টরি বলে।

(vi) সেন্ট্রোজোম: নিউক্লিয়াসের কাছে অবস্থিত পর্দাবিহীন অঙ্গাণু। সেন্ট্রিওল ও সেন্ট্রোস্ফিয়ার নিয়ে গঠিত। দুটি সেন্ট্রিওলকে একত্রে ডিপ্লোজোম বলে। কোশবিভাজনকালে বেমতত্ত্ব গঠন করা এর প্রধান কাজ। শুক্রাণুর লেজ তৈরি করে।

ভ্যাকুওল: প্রাণীকোশে ভ্যাকুওল ক্ষুদ্রাকার। ভ্যাকুওলের চারপাশে প্রোটোপ্লাজম থাকে। প্রাণী কোশের সংকোচী গহ্বর ও রেচন গহ্বর রেচনে সাহায্য করে।

নির্জীব বস্তু: প্রাণীকোশের সাইটোপ্লাজমে একাধিক নির্জীববস্তু থাকে। এদের মধ্যে গ্লাইকোজেন দানা জাইমোজেন দানা খাদ্য সঞ্চয় করে। জেনে রাখো: প্রাণী কোশের নির্জীববস্তুকে মেটাপ্লাস্টিক বা ডিস বলে।

প্রশ্ন: ৪. উদ্ভিদ কোশের গঠন বর্ণনা করো।

উত্তর: উদ্ভিদকোশের দুটি অংশ কোশ আবরক এবং প্রোটোপ্লাজম। (i) কোশ আবরক: উদ্ভিদকোশের কোশ আবরক দুটি কোশ প্রাচীর এবং কোশপর্দা।

কোশ প্রাচীর: উদ্ভিদকোশের সবচেয়ে বাইরের আবরণ হল কোশ প্রচীর। এটি জড়, পুরু, ভেদ্য। এটি মুখ্য কোশ প্রাচীর, গৌণ কোশ প্রাচীর এবং মধ্যচ্ছদা নিয়ে গঠিত। কোশ প্রাচীরের মুখ্য উপাদান হল সেলুলোজ। কোশের আকৃতি প্রদান, যান্ত্রিক শক্তি প্রদান ও কোশ মধ্যস্থ সজীব অংশকে রক্ষা করা এর কাজ।

কোশপর্দা: কোশ প্রাচীরের ভিতরে প্রোটোপ্লাজমকে ঘিরে থাকে কোশ পর্দা। এটি প্রোটিন, লিপিড নির্মিত। কোশপর্দা সজীব, অর্ধভেদ্য, পাতলা। এটি কোশকে আকৃতি প্রদান করে। প্রোটোপ্লোজমকে রক্ষা করে।

(ii) প্রোটোপ্লাজম: কোশ মধ্যস্থ সজীব জেলির ন্যায় অংশ  প্রোটোপ্লাজম। এটি নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম নামক দুটি অংশ দিয়ে গঠিত।

নিউক্লিয়াস: প্রোটোপ্লাজমের সবচেয়ে ঘন অংশ। এটি প্রায় গোলাকার নিউক্লিয়াসের চারটি অংশ-নিউক্লিয় পর্দা, নিউক্লীয় জালিকা, নিউক্লিও রস এবং নিউক্লিওলাস। কোশের যাবতীয় জীবজ ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। একে কোশের মস্তিষ্ক বলে।

সাইটোপ্লাজম: সাইটোপ্লাজম বর্ণহীন, অর্ধস্বচ্ছ, চটচটে জেলির মতো অংশ। বিভিন্ন কোশীয় অঙ্গাণু, নির্জীব বস্তুকে ধরে রাখে সাইটোপ্লাজম।

সাইটোপ্লাজমে নিম্নলিখিত কোশ অঙ্গাণুগুলি থাকে-

(a) প্লাস্টিড: একমাত্র কোশীয় অঙ্গাণু যা উদ্ভিদকোশেই শুধুমাত্র দেখা যায়। ব্যতিক্রম ছত্রাক। এটি দ্বি-একক পর্দাবৃত। তিন ধরনের প্লাস্টিড দেখা যায় ক্লোরোপ্লাস্টিড, ক্রোমোপ্লাস্টিড এবং লিউকোপ্লাস্টিড। সালোকসংশ্লেষে সাহায্য করা। পরাগসংযোগে সাহায্য করা এবং খাদ্য সঞ্চয় করা প্লাস্টিডের কাজ।

(b) মাইটোকন্ড্রিয়া: দ্বি-একক পর্দাবেষ্টিত কোশ অঙ্গাণু। এর অন্ত:পর্দা ভাঁজ হয়ে ক্রিস্টি গঠন করে। ধাত্রে উৎসেচক DNA, RNA রাইবোজোম প্রভৃতি থাকে। কোশের শক্তি উৎপন্ন করা এর প্রধান কাজ। একে কোশের শক্তি ঘর বলে।

(c) গলজিবস্তু: সাইটোপ্লাজমে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা চ্যাপটা থলির মতো ও ছোটো গহ্বরের মতো অঙ্গাণু হল গলগিবস্তু। গলগিবস্তু একক পর্দাবেষ্টিত। কোশের ক্ষরণ কাজে অংশ গ্রহণ করে। উদ্ভিদ কোশের গলজি বস্তুকে ডিকটিওজোম বলে।

(d) রাইবোজোমঃ এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকার গায়ে কোশের সাইটোপ্লাজমে নিউক্লিওপ্লাজমে থাকা পর্দাবিহীন কোশ অঙ্গাণ হল রাইবোজোম। এটি RNA ও প্রোটিন দিয়ে গঠিত। এর প্রধান কাজ প্রোটিন সংশ্লেষ করা। তাই একে প্রোটিন ফ্যাক্টর বলে।

(e) এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা: একক পর্দাবেষ্টিত নলাকার কোণ অঙ্গাণু। এটি সিস্টারনি ভেসিকল ও টিউবিউল দিয়ে গঠিত। সাইটোপ্লাজমীয় কাঠামো গঠন করা। ক্ষরণে সাহায্য করা এর প্রধান কাজ। এটি রাইবোজোমযুক্ত হলে অমসৃণ হয়। রাইবোজোমবিহীন হলে মসৃণ হয়।

(f) কোশগহ্বর: কোশের সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত কোশরস পূর্ণ গহ্বর। অপরিণত কোশে সংখ্যায় বেশি এবং ছোটো হয়। পরিণত কোশে একটি বা দুটি বড়ো আকারের কোশ গহ্বর থাকে। কোশান্তর অভিস্রবণে সাহায্য করে।

নির্জীব বস্তু: উদ্ভিদকোশের সাইটোপ্লাজমে বিভিন্ন ধরনের ক্ষরিত বস্তু, সঞ্চিত বস্তু, বর্জ্য পদার্থ, নির্জীব বস্তু হিসাবে থাকে। শ্বেতসার, গ্লাইকোজেন, নেকটার ইত্যাদি সঞ্চয় করা এর কাজ।

Fil In The Blanks

1. জীবদেহ গঠনের ক্ষুদ্রতম একক হল   __________    |

উত্তৰ: কোশ।

2  __________  কর্কের ছেদ পরীক্ষা করে মৃত কোশ লক্ষ করেছিলেন।

উত্তর: রবার্ট হুক।

3. 1674 সালে ডাচ বিজ্ঞানী  __________   প্রথম সজীব কোশ পর্যবেক্ষণ করেন।

উত্তর: লিউয়েন হুক।

4 . ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে কাচের লেন্সের পরিবর্তে      __________ ব্যবহার করা হয়।

উত্তর: তড়িৎচুম্বক।

5. জীবের আকৃতি যত    __________  হয় তার দেহে কোশের সংখ্যা তত বেশি হয়।

উত্তর: বড়ো।

6. অ্যামিবার চলফেরায় সাহায্য করে     __________       দিয়ে। 

উত্তর: ক্ষণপদ।

7. অ্যামিবার দেহের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেরোনো বিভিন্ন মাপের অংশগুলো হল     __________ ।

উত্তর: ক্ষণপদ।

৪. মানুষের রক্তে    __________   মেরে ফেলার জন্য শ্বেত রক্তকণিকা থাকে। 

উত্তর: জীবাণুকে।

9.  __________ অ্যামিবার মতো নিজেদের আকার পরিবর্তন করতে পারে।

উত্তর: শ্বেত রক্তকণিকা।

10.   __________  কোশের দু-প্রান্ত ছুঁচালো, মাঝখানটা চওড়া হয়।

উত্তর: পেশি।

11.   __________    কোশের দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি।

উত্তর: স্নায়ুকোশ।

12. মূল ও কাণ্ডের  __________ যে কোশগুলি থাকে তারা ক্রমাগত বিভাজিত হয়।

উত্তর: অগ্রভাগে।

13. 1 মাইক্রোমিটার 1 মিটারের  __________  লক্ষ  ভাগের 1 ভাগ।

উত্তর: 10

14. সেলুলোজ হল __________     এর উপাদান।

উত্তর: কোশপ্রাচীর।

15. কয়েকটি   __________ নিয়ে কলা গঠিত হয়।

উত্তর: কোশ।

16. নিউক্লিয়াসের ভিতরে    __________   নামক তরল থাকে।

উত্তর: নিউক্লিওপ্লাজম।

17. পিতামাতা থেকে সন্তানদের মধ্যে বংশগত বৈশিষ্ট্য __________  মাধ্যমে বাহিত হয়।

উত্তর: জিনের।

18. মানুষের দেহকোশের নিউক্লিয়াসে ক্রোমোজোম সংখ্যা হল   __________  ।

উত্তর: 46

19. পর্দাবিহীন নিউক্লীয় বস্তুযুক্ত কোশকে  __________   বলে।

উত্তর: প্রোক্যারিওট।

20. আদর্শ নিউক্লিয়াসযুক্ত কোশকে  __________    বলে।

উত্তর: ইউক্যারিওট।

21. কোশের অভ্যন্তরে নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজমকে একত্রে  __________  বলে।

উত্তর: প্রোটোপ্লাজম।

22. মাইটোকনড্রিয়ার অন্তঃপর্দা ভাঁজ হয়ে __________ গঠন করে।

উত্তর: ক্রিষ্টি।

23. এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকায় পর্দার বাইরের দিকে  __________  না থাকায় তা মসৃণ হয়।

উত্তর: রাইবোজোম।

24. শ্বাসবায়ুর আদান প্রদান ও শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়াটিকে বলা হয়   __________ ।

উত্তর: শ্বসন।

25. প্রাণীকোশের __________   অঙ্গানুটি উদ্ভিদ কোশে ডিকটিওজোম নামে পরিচিত।

উত্তর: গলগি বস্তু।

26. উদ্ভিদকোশে গহ্বরের বাইরে কোনো   __________    থাকে না।

উত্তর: পর্দা।

27. ক্লোরোপ্লাস্টিডের মধ্যে  __________   রঙের রঞ্জক থাকে।

উত্তর: সবুজ।

28. __________  ফুল ও ফলের বর্ণ নিয়ন্ত্রণ করে।

উত্তর: ক্রোমোপ্লাস্টিড।

29. উদ্ভিদের পত্রবৃন্তে   __________  কলা দেখা যায়।

উত্তর: বায়ুগহ্বরযুক্ত প্যারেনকাইমা।

30. পেশিকোশে  __________  অধিক ঘনত্ব দেখা  যায়।

উত্তর: মায়োফাইব্রিলের।

31. অন্তঃকঙ্কালের কোশে    __________  মাত্রা বেশি থাকে। 

উত্তর: ক্যালসিয়ামের।

32. বেশি পরিমাণ    __________       পরিবহনের জন্য লোহিত রক্ত কণিকার আকৃতি চ্যাপটা ও গোলাকার।

উত্তর: অক্সিজেন।

33. ক্যাকটাসের দেহের কোশে জলসঞ্চয়কারী উপাদান হল  __________ 

উত্তর: মিউসিলেজ।

34. উদ্ভিদদেহে খাদ্য সঞ্চয় করে__________                 

উত্তর: উদ্ভিদদেহে খাদ্য সঞ্চয় করে লিউকোপ্লাস্টিড।

35. ব্যাকটেরিয়া শ্বসন করে   _____________ এর মাধ্যমে।

উত্তর: মেসোজোম।

Ture And False

1. ব্যাকটেরিয়া একটি বহুকোশী জীব।       ☑

উত্তর: সঠিক উত্তর: ব্যাকটেরিয়া একটি এককোশী জীব।

2. ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে কাঁচের লেন্সের পরিবর্তে তড়িৎচুম্বক ব্যবহার করা হয়।   ☑

3. অ্যামিবার দেহে কর্ষিকা থাকে।        

উত্তর: সঠিক উত্তর: অ্যামিবার দেহে ক্ষণপদ থাকে।

4. শ্বেত রক্তকণিকা মানুষের রক্তে জীবাণু ছড়ায়।।       

উত্তর: সঠিক উত্তর: শ্বেত রক্তকণিকা মানুষের রক্তে জীবাণু ধ্বংস করে।

5. উট পাখির অনিষিক্ত ডিম হল বৃহত্তম একক কোশ।   ☑

6. কোশের আকার সাধারণত মাইক্রন দিয়ে মাপা হয়।       ☑

7. কোশের আকারের সঙ্গে জীবদেহের আকারের সম্পর্ক বর্তমান।      

উত্তর: সঠিক উত্তর: কোশের আকারের সঙ্গে জীবদেহের আকারের সম্পর্ক নেই।

৪. আত্মরক্ষাই হল জননের উদ্দেশ্য।      

উত্তর: সঠিক উত্তর: বংশবিস্তার করা হল জননের উদ্দেশ্য।

9. পেশিকলা গমনে সাহায্য করে।       ☑

10. সংবেদন গ্রহণ করা স্নায়ুকলার কাজ।    ☑

11. DNA হল এক ধরনের বৃহৎ জৈব অণু।      ☑

12. লিউকোপ্লাস্টিড ফুল ও ফলের বর্ণ নিয়ন্ত্রণ করে।        ☑

উত্তর: সঠিক উত্তর: ক্রোমোপ্লাস্টিড ফুল ও ফলের বর্ণ নিয়ন্ত্রণ করে।

13. অ্যান্টিফ্রিজ প্রোটিন কোশীয় তরলে বরফের কেলাস তৈরিতে বাধা দেয়। ☑

14. লবণাক্ত পরিবেশে বসবাসকারী উদ্ভিদের মূলে ক্লোরাইড কোশ থাকে। ☑

উত্তর: সঠিক উত্তর: লবণাক্ত পরিবেশে বসবাসকারী প্রাণীদের ফুলকায় ক্লোরাইড কোশ থাকে।

15. লোহিত রক্তকণিকার সঙ্গে হিমোগ্লোবিনের কোনো সম্পর্ক নেই।    

উত্তর: সঠিক উত্তর: লোহিত রক্তকণিকার মধ্যে হিমোগ্লোবিন থাকে।

16. উদ্ভিদকোশের গহ্বরে শুধু জল থাকে।      

উত্তর: সঠিক উত্তর:  উদ্ভিদকোশের গহ্বরে জল, খাদ্য, রেচনবস্তু, বায়ু থাকে।

17. ব্যাকটেরিয়া প্রোক্যারিওটিক জীব।          ☑

18. প্রত্যেক প্রজাতিভুক্ত জীবের ক্রোমোজোম সংখ্যা নির্দিষ্ট।  ☑

19. রাইবোজোম নিউক্লিওলাস গঠন করে।     ☑

উত্তর: সঠিক উত্তর: নিউক্লিওলাসে রাইবোজোম গঠিত হয়।

20. কোশপর্দা কোশকে আঘাত থেকে রক্ষা করে।   ☑

21. আবরণীকলা রোম সৃষ্টি করে।  ☑

22. স্থায়ীকলা ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে।  ☑

23. ভাজককলা মূল ও কান্ডের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করে।  ☑

24. জীবের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়াকে গমন বলে। ☑

25. কোণকোশ বর্ণ শোষণে অক্ষম।  

উত্তর: সঠিক উত্তর: কোণকোশ বর্ণ শোষণ করে।

26. অ্যামিবা এককোশী প্রাণী।   ☑

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *