WBBSE Class 8 Amader Paribesh Chapter 7 অণুজীবের জগৎ Solution | Bengali Medium

Class 8 Chapter 7 Bengali Medium

অণুজীবের জগৎ

1. MCQs Question Answer

    1. ভ্যাকসিন ব্যবহার করে যে-সকল রোগকে ঠেকানো সম্ভব হয়েছে, তা হল-

    (a) টাইফয়েড এবং টিটেনাস

    (b) ম্যালেরিয়া এবং ডিপথেরিয়া

    (c) ডিপথেরিয়া, টাইফয়েড এবং টিটেনাস

    (d) যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া এবং ডিপথেরিয়া

    উত্তর: (c) ডিপথেরিয়া, টাইফয়েড এবং টিটেনাস

    2. কোন্ অণুজীব নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে?

    (a) ছত্রাক

    (b) ভাইরাস

    (c) অ্যামিবা

    (d) অ্যালগি

    উত্তর: (d) অ্যালগি

    3. থার্মোফিলিক ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়-

    (a) বাতাসে

    (b) জীবজন্তুর দেহে

    (c) উয় প্রস্রবণের জলে

    (d) দইতে

    উত্তর: (c) উয় প্রস্রবণের জলে

    4. মোনেরার অন্তর্গত অণুজীব হল-

    (a) ছত্রাক

    (b) ব্যাকটেরিয়া

    (c) আদ্যপ্রাণী

    (d) শৈবাল

    উত্তর: (b) ব্যাকটেরিয়া

    5. ব্যাকটেরিয়ায় প্রকৃত নিউক্লিয়াস থাকে না, পরিবর্তে-

    (a) RNA থাকে

    (b) DNA থাকে

    (c) প্যাঁচানো RNA থাকে 

    (d) প্যাঁচানো DNA থাকে

    উত্তর: (d) প্যাঁচানো DNA থাকে

    6. ব্যাকটেরিয়ার দেহে কোশপ্রাচীর-

    (a) থাকে না

    (b) উদ্ভিদ কোশের কোশ প্রাচীরের সমতুল্য

    (c) থাকে

    (d) কোশ পর্দার দ্বারা আবৃত

    উত্তর: (c) থাকে

    7. আদ্যপ্রাণীর দেহ-

    (a) কোশবিহীন

    (b) একটিমাত্র কোশ দিয়ে তৈরি

    (c) একাধিক কোশ নিয়ে গঠিত

    (d) নিউক্লিয়াসবিহীন

    উত্তর: (b) একটিমাত্র কোশ দিয়ে তৈরি

    ৪. আদ্যপ্রাণীর দেহে-

    (a) ক্ষণপদ থাকে

    (b) ক্ষণপদ ও সিলিয়া থাকে

    (c) ক্ষণপদ, ফ্ল্যাজেলা ও সিলিয়া থাকে

    (d) ফ্ল্যাজেলা থাকে না

    উত্তর: (c) ক্ষণপদ, ফ্ল্যাজেলা ও সিলিয়া থাকে

    9. ছত্রাক নিজের খাদ্য নিজে প্রস্তুত করতে পারে না, কারণ-

    (a) এরা অন্ধকারে বাস করে

    (b) সূর্যালোকে বাঁচে না

    (c) এদের দেহে নিউক্লিয়াস নেই

    (d) এদের দেহে ক্লোরোপ্লাস্ট নেই

    উত্তর: (d) এদের দেহে ক্লোরোপ্লাস্ট নেই 

    10. স্পাইরোগাইরা হল এক ধরনের-

    (a) ছত্রাক

    (b) শৈবাল

    (c) বহুকোশী শৈবাল

    (d) এককোশী শৈবাল

    উত্তর: (c) বহুকোশী শৈবাল

    11. যক্ষ্মা-

    (a) জীবাণুঘটিত রোগ

    (b) ভাইরাসঘটিত রোগ

    (c) ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ

    (d) আদ্যপ্রাণীঘটিত রোগ

    উত্তর: (c) ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ

    12. ভাইরাস কথাটির অর্থ হল-

    (a) জীবাণু

    (b) ব্যাকটেরিয়া

    (c) বিষ

    (d) সংক্রামক

    উত্তর: (c) বিষ

    13. ভাইরাসে-

    (a) শুধু RNA থাকে

    (b) শুধু DNA থাকে

    (c) DNA বা RNA থাকে

    (d) নিউক্লিয়াস থাকে

    উত্তর: (c) DNA বা RNA থাকে

    14. ভাইরাস-

    (a) পরজীবী

    (b) স্বাধীনজীবী

    (c) কিছুটা স্বাধীনজীবী, কিছুটা পরজীবী

    (d) পরজীবী এবং রোগসৃষ্টিকারী

    উত্তর: (d) পরজীবী এবং রোগসৃষ্টিকারী

    15. মানুষের ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগগুলি হল-

    (a) যক্ষ্মা, পোলিও এবং দাদ

    (b) কলেরা, মাম্পস এবং কালাজ্বর

    (c) টাইফয়েড, ডিপথেরিয়া এবং টিটেনাস

    (d) ডায়ারিয়া, জলাতঙ্ক এবং ম্যালেরিয়া

    উত্তর: (c) টাইফয়েড, ডিপথেরিয়া এবং টিটেনাস

    16. জলাতঙ্ক

    (a) ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ

    (b) ভাইরাসঘটিত রোগ

    (c) আদ্যপ্রাণীঘটিত রোগ

    (d) ছত্রাকঘটিত রোগ

    উত্তর: (b) ভাইরাসঘটিত রোগ

    17. কোন্টির জীবাণু আদ্যপ্রাণী?

    (a) কলেরার

    (b) হামের

    (c) অ্যামিবিয়াসিসের

    (d) হাজার

    উত্তর: (c) অ্যামিবিয়াসিসের

    18. প্রাণী বাহকের মাধ্যমে মানুষের দেহে যে রোগের জীবাণু প্রবেশ করে, তা হল-

    (a) ম্যালেরিয়া

    (b) ডায়ারিয়া

    (c) যক্ষ্মা

    (d) টাইফয়েড

    উত্তর: (a) ম্যালেরিয়া

    19. ভিটামিন B₁₂তৈরি করে-

    (a) ব্যাকটেরিয়া

    (b) রক্তে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়া

    (c) অস্ত্রে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়া

    (d) ক্ষুদ্রান্ত্রে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়া

    উত্তর: (d) ক্ষুদ্রান্ত্রে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়া

    20. বায়ুর নাইট্রোজেন শোষণে সক্ষম-

    (a) রাইজোবিয়াম ব্যাকটেরিয়া

    (b) উদ্ভিদের মূলে থাকা অর্বুদ

    (c) এশ্চেরিচিয়া কোলাই ব্যাকটেরিয়া

    (d) যে-কোনো ব্যাকটেরিয়া।

    উত্তর: (a) রাইজোবিয়াম ব্যাকটেরিয়া

    21. উদ্ভিদ নাইট্রোজেন গ্রহণ করে-

    (a) NO3

    (b) NO2

    (c) No

    (d) NH4

    উত্তর: (a) NO3

    22. নাইট্রোজেন স্থিতিকরণে সমর্থ মিথোজীবী ব্যকটেরিয়া হল-

    (a) ক্লসট্রিডিয়াম

    (b) অ্যাজোটোব্যাক্টর

    (c) রাইজোবিয়াম

    (d) নাইট্রোব্যাক্টর

    উত্তর: (c) রাইজোবিয়াম

    23. পাটের তত্ত্বকে পাটকাঠি থেকে পৃথক করা সম্ভব হয় ব্যাকটেরিয়ার জন্য, কারণ-

    (a) ব্যাকটেরিয়া পাটের কান্ডে থাকা পেকটিন নষ্ট করে দেয়

    (b) পাটের তত্ত্ব ব্যাকটেরিয়ার প্রিয় খাদ্য

    (c) ডোবার জলে ব্যাকটেরিয়া ছাড়া অন্য কোনো অণুজীব থাকে না

    (d) ব্যাকটেরিয়া পাটের তত্ত্ব নষ্ট করতে পারে না

    উত্তর: (a) ব্যাকটেরিয়া পাটের কান্ডে থাকা পেকটিন নষ্ট করে দেয়

    24. অ্যামোনিফিকেশন পদ্ধতিতে নাইট্রোজেনযুক্ত যৌগ ভেঙে গিয়ে-

    (a) নাইট্রেট তৈরি হয়

    (b) অ্যামোনিয়া তৈরি হয়

    (c) নাইট্রাইট তৈরি হয়

    (d) নাইট্রেট ও নাইট্রাইট তৈরি হয়

    উত্তর: (b) অ্যামোনিয়া তৈরি হয়

    25. নাইট্রোব্যাক্টর হল একপ্রকার-

    (a) নাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া

    (b) ডিনাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া

    (c) সায়ানো ব্যাকটেরিয়া

    (d) মিথোজীবী ব্যাকটেরিয়া

    উত্তর: (a) নাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া

    26. নাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া অ্যামোনিয়ামকে-

    (a) নাইট্রেটে রূপান্তরিত করে

    (b) নাইট্রাইটে রূপান্তরিত করে

    (c) নাইট্রাইট ও নাইট্রেটে রূপান্তরিত করে

    (d) অ্যামোনিয়াম যৌগে পরিণত করে

    উত্তর: (c) নাইট্রাইট ও নাইট্রেটে রূপান্তরিত করে

    27. ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া দুধে সংখ্যায় খুব তাড়াতাড়ি বাড়তে পারে-

    (a) 27C উন্নতায়

    (b) 30C উয়তায়

    (c) 37C উন্নতায়

    (d) 32C উয়তায়

    উত্তর: (c) 37C উন্নতায়

    28. মানুষের আবিষ্কৃত প্রথম অ্যান্টিবায়োটিক হল-

    (a) পেনিসিলিন

    (b) স্ট্রেপটোমাইসিন

    (c) ক্লোরোমাইসেটিন

    (d) অ্যাম্পিসিলিন

    উত্তর: (a) পেনিসিলিন

    29. DOTS পদ্ধতিতে যে রোগের চিকিৎসা করা হয় সেটি হল-

    (a) কালাজ্বর

    (b) স্মলপক্স

    (c) হেপাটাইটিস

    (d) যক্ষ্মা

    উত্তর: (d) যক্ষ্মা।

    30. পেনিসেলিয়াম নোটেটাম হল এক ধরনের-

    (a) অ্যান্টিবায়োটিক

    (b) জীবাণু

    (c) ছত্রাক

    (d) ব্যাকটেরিয়া

    উত্তর: (c) ছত্রাক

    31. অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে-

    (a) ব্যাকটেরিয়াকে দমন করা যায়

    (b) ভাইরাসকে দমন করা যায়

    (c) ছত্রাকঘটিত সংক্রামণকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়

    (d) যে-কোনো জীবাণুকে দমন করা যায়

    উত্তর: (a) ব্যাকটেরিয়ারকে দমন করা যায়

    32. মহাকাশযানে বাতাস পরিষ্কার করতে-

    (a) ব্যাকটেরিয়াকে ব্যবহার করা হয়

    (b) আদ্য প্রাণীকে ব্যবহার করা হয়

    (c) শ্যাওলাকে ব্যবহার করা হয়

    (d) ছত্রাককে ব্যবহার করা হয়

    উত্তর: (c) শ্যাওলাকে ব্যবহার করা হয়

    33. তরকারির খোসার বর্জ্য থেকে ব্যাকটেরিয়া-

    (a) গ্যাস তৈরি করে

    (b) অক্সিজেন গ্যাস তৈরি করে

    (c) মিথেন গ্যাস তৈরি করে

    (d) নানান গ্যাস তৈরি করে

    উত্তর: (c) মিথেন গ্যাস তৈরি করে

    34. মল বা মূত্রের বর্জ্য থেকে আমাদের পরিবেশকে রক্ষা করে-

    (a) ভাইরাস

    (b) ব্যাকটেরিয়া

    (c) অ্যান্টিবায়োটিক

    (d) ভ্যাকসিন

    উত্তর: (b) ব্যাকটেরিয়া

    35. কোনো জীবদেহের রোগ প্রতিরোধের স্বাভাবিক ক্ষমতাই হল-

    (a) ভিটামিন

    (c) অনাক্রম্যতা

    (b) নাইট্রোজেন যৌগ

    (d) অ্যান্টিজেন

    উত্তর: (c) অনাক্রম্যতা

    36. অ্যান্টিবডি হল-

    (a) একধরনের যৌগ

    (b) প্রোটিনধর্মী যৌগ

    (c) একধরনের ভিটামিন

    (d) এক ধরনের ক্ষতিকারক যৌগ

    উত্তর: (b) প্রোটিনধর্মী যৌগ

    37. আলেকজান্ডার ফ্লেমিং ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি দেখেছিলেন-

    (a) পাঁউরুটিতে

    (b) অ্যাগার প্লেটে

    (c) দইতে

    (d) ভিনিগারে

    উত্তর: (b) অ্যাগার প্লেটে

    38. নিউমোনিয়া রোগ সৃষ্টি করে-

    (a) ব্যাকটেরিয়া

    (c) শ্যাওলা

    (b) ছত্রাক

    (d) আদ্যপ্রাণী

    উত্তর: (a) ব্যাকটেরিয়া

    39. বাঁধাকপিকে দীর্ঘদিন ভালো রাখা যায়-

    (a) লবণ মাখিয়ে

    (b) রোদে শুকিয়ে

    (c) পাস্তুরাইজেশন করে

    (d) চিনির দ্রবণে

    উত্তর: (b) রোদে শুকিয়ে

    40. অ্যালকোহলকে ভিনিগারে রূপান্তরিত করে-

    (a) ইস্ট

    (b) ব্যাকটেরিয়া

    (c) ল্যাকটিক অ্যাসিড

    (d) অ্যামোনিয়াম

    উত্তর: (b) ব্যাকটেরিয়া

    41. অ্যান্টিবডি-

    (a) দেহে তৈরি হয়

    (b) বাহির থেকে দেহে প্রবেশ করে

    (c) দেহে তৈরি হয় আবার বাহির থেকে প্রবেশও করে

    (d) টিকাকরণের ফলে নষ্ট হয়ে যায়।

    উত্তর: (a) দেহে তৈরি হয়

    42. পেনিসিলিন-

    (a) এক ধরনের যৌগ

    (b) পেনিসিলিয়াম নোটেটাম-এর দেহ থেকে পাওয়া যৌগ

    (c) ব্যাকটেরিয়ার দেহ-নিঃসৃত যৌগ

    (d) ভাইরাস দমন করে

    উত্তরঃ (b) পেনিসিলিয়াম নোটেটাম-এর দেহ থেকে পাওয়া যৌগ

    43. মানুষের দেহে হেপাটাইটিস রোগের অণুজীব প্রবেশ করে-

    (a) পানীয় জলের মাধ্যমে

    (b) খাদ্যের মাধ্যমে

    (c) শ্বাসবায়ুর মাধ্যমে

    (d) রক্তসঞ্চালনের মাধ্যমে

    উত্তর: (d) রক্তসঞ্চালনের মাধ্যমে

    44. অ্যালার্জি-

    (a) ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ

    (b) ভাইরাসঘটিত রোগ

    (c) আদ্যপ্রাণীজনিত রোগ

    (d) ছত্রাকঘটিত রোগ

    উত্তর: (d) ছত্রাকঘটিত রোগ।

    2. Very Short Question Answer

      1. ভ্যাকসিন ব্যবহার করে ঠেকানো গেছে এমন দুটি রোগের নাম লেখো।

      উত্তর: টাইফয়েড, পোলিয়ো।

      2. অ্যান্টিজেনের উৎস কী?

      উত্তর: জীবাণু।

      3. অ্যান্টিজেনকে কে আক্রমণ করে?

      উত্তর: অ্যান্টিবডি।

      4. অ্যান্টিবায়োটিক কী?

      উত্তর: জীবনদায়ী ঔষধ।

      5. দই তৈরিতে কোন্ ব্যাকটেরিয়া কার্যকরী? 

      উত্তর: ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া।

      6. ফলের রসে থাকা শর্করাকে ভেঙে অ্যালকোহল তৈরি করে কে? 

      উত্তর: ইস্ট নামক ছত্রাক।

      7. নাইট্রোজেনযুক্ত যৌগ ভেঙে গিয়ে অ্যামোনিয়া তৈরি হওয়ার পদ্ধতিকে কী বলা হয়?

      উত্তর: অ্যামোনিফিকেশন।

      ৪. পাস্তুরাইজেশন কী?

      উত্তর: কিছু খাদ্যকে ভালো রাখার একটি উপায়।

      9. মাছ, মাংসকে কীভাবে ভালো রাখা সম্ভব?

      উত্তর: নুন মাখিয়ে।

      10. একটি স্বাধীনজীবী নাইট্রোজেন সংবহনকারী ব্যাকটেরিয়ার উদাহরণ দাও। 

      উত্তর: অ্যাজোটোব্যাক্টর।

      11. সয়াবিন উদ্ভিদে মিথোজীবী ব্যাকটেরিয়া কোথায় বাস করে?

      উত্তর: অর্বুদে।

      12. ভাইরাসের কী কোশীয় গঠন আছে?

      উত্তর: না, ভাইরাসের কোশীয় গঠন নেই।

      13. ভাইরাসের জড় অবস্থা কখন লক্ষ করা যায়?

      উত্তর: পোষক কোশের বাইরে থাকাকালীন লক্ষ করা যায়।

      14. একটি ভাইরাসঘটিত রোগের নাম লেখো।

      উত্তর: ইনফ্লুয়েঞ্জা।

      15. পোলিয়ো ও টিটেনাস-এর মধ্যে কোন্টি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ?

      উত্তর: টিটেনাস।

      16. হাইফি কোথায় দেখা যায়?

      উত্তর: ছত্রাকের দেহে।

      17. একটি এককোশী শৈবালের উদাহর 200 ফুটের বেশি হয়।

      উত্তর: ক্ল্যামাইডোমোনাস।

      18. সিলিয়ার কাজ কী?

      উত্তর: গমনে সাহায্য করা।

      19. প্রোটিস্টার অন্তর্গত একটি জীবের উদাহরণ দাও

      উত্তর: অ্যামিবা।

      20. ক্ষণপদ কোন্ আদ্যপ্রাণীতে দেখা যায়?

      উত্তর: অ্যামিবায়।

      21. ভাইরাসের নিউক্লিক অ্যাসিড কী

      উত্তর: DNA বা RNA প্রকৃতির।

      22. খালিচোখে দেখা যায় এমন একটি ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার।

      উত্তর: অ্যাগারিকাস বা ব্যাঙের ছাতা।

      23. মাইসেলিয়াম কী দিয়ে তৈরি হয়?

      উত্তর: হাইফি দিয়ে।

      24. ছত্রাকে কি ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে?

      উত্তর: না, থাকে না।

      25. শৈবাল ও ছত্রাকের সহাবস্থান কীসের দৃষ্টান্ত?

      উত্তর: মিথোজীবিতার দৃষ্টান্ত।

      26. অ্যাম্পিসিলিন কী?

      উত্তর: অ্যান্টিবায়োটিক।

      27. ভাইরাস দেহ গঠনের প্রধান উপাদান কী?

      উত্তর: প্রোটিন ও নিউক্লিক অ্যাসিড।

      28. প্রোটিন ও নিউক্লিক অ্যাসিড গঠনের জন্য উদ্ভিদ নাইট্রোজেন কোথা থেকে পায়?

      উত্তর: নাইট্রেট বা অ্যামোনিয়া থেকে।

      29. অণুজীব মারা গেলে ওদের দেহে জমা থাকা নাইট্রোজেনের যৌগগুলির কী হয়?

      উত্তর: মাটিতে মুক্ত হয়।

      30. রাইজোবিয়াম আশ্রয়দাতা উদ্ভিদকে কীভাবে সাহায্য করে?

      উত্তর: নাইট্রোজেন যৌগ সরবরাহ করে।

      31. মেথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়া কোন্ গ্যাস তৈরিতে সাহায্য করে?

      উত্তর: মিথেন গ্যাস।

      32. পরজীবীদের যে আশ্রয় ও খাদ্য সরবরাহ করে তাকে কী বলা হয়?

      উত্তর: পোষক।

      33. অনাক্রম্যকরণ কাকে বলে?

      উত্তর: যে পদ্ধতিতে রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে আগে থেকে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়, তাকে অনাক্রাম্যকরণ বলে।

      3. Short Question Answer

      1. অণুজীব কোথায় কোথায় দেখতে পাওয়া যায়?

      উত্তর: সাধারণত জলে ভেজা মাটিতে, পচা আবর্জনার স্তূপে, জীবদেহের ভেতরে এবং দই ইত্যাদি খাদ্যে অণুজীব দেখতে পাওয়া যায়।

      2. ফাজ ভাইরাস কীভাবে উপকার করে? 

      উত্তর: ফাজ ভাইরাস বা ব্যাকটেরিওফাজ ব্যাকটেরিয়া কোশকে বিদীর্ণ করে বংশবিস্তার করে। এইরূপে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ফাজ ভাইরাস উপকার করে।

      3. অণুবীক্ষণের মাধ্যমে অণুজীবদের কীভাবে দেখা যায়?

      উত্তর: অণুজীবদের অণুবীক্ষণের মাধ্যমে দেখার জন্য বিশেষ বিশেষ স্টেইন-এর সাহায্যে রাঙিয়ে নিতে হয়।

      4. অণুজীবরা কয় প্রকার ও কী কী?

      উত্তর: অণুজীবরা প্রধানত চার প্রকার হয়। যথা- ব্যাকটেরিয়া, আদ্যপ্রাণী, ছত্রাক ও শৈবাল।

      5. প্রাণী ভাইরাস সংক্রমণে প্রধান বাহকগুলি কী কী?

      উত্তর: প্রাণী ভাইরাস সংক্রমণে প্রধান বাহকগুলি হল বায়ু, খাদ্য, পতঙ্গ, স্পর্শ ও গবাদি পশু।

      6. মানুষের ভাইরাসঘটিত কয়েকটি রোগের নাম লেখো।

      উত্তর: মানুষের ভাইরাসঘটিত কয়েকটি রোগ হল- হাম, বসন্ত, মাম্পস, ডায়ারিয়া, পোলিয়ো, হারপিস, এনকেফালাইটিস, জলাতঙ্ক, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি।

      7. একটি DNA ও RNA যুক্ত ভাইরাসের নাম লেখো।

      উত্তর: মানুষের DNA যুক্ত ভাইরাস ঘটিত রোগ হল বসন্ত এবং RNA যুক্ত ভাইরাসঘটিত রোগ হল ইনফ্লুয়েঞ্জা।

      ৪. আকৃতি অনুসারে ব্যাকটেরিয়াকে কত ভাগে ভাগ করা হয়?

      উত্তর: আকৃতি অনুসারে ব্যাকটেরিয়াকে 4 ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন- (i) কক্কাস (গোলাকার), (ii) ব্যাসিলাস (দণ্ডাকার), (iii) স্পাইরিলাম (সর্পিলাকার) ও (iv) কমাকৃতি (কমার ন্যায়)

      9. রান্না করা খাদ্য-বিষাক্তকারক দুটি ব্যাকটেরিয়ার নাম লেখো। 

      উত্তর: রান্না করা খাদ্য বিষাক্তকারক দুটি ব্যাকটেরিয়া হল- সালমোনেলা, স্ট্যাফাইলোকক্কাস।

      10. ডিনাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া কী?

      উত্তর: যে ব্যাকটেরিয়া মাটির নাইট্রেট থেকে নাইট্রোজেন মুক্ত করে উর্বরতা কমিয়ে দেয়, তাকে ডিনাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া বলে। উদাহরণ- সিউডোমোনাস।

      11. দই, ছানা, চীজ প্রভৃতি প্রস্তুতকারক ব্যাকটেরিয়াগুলির নাম লেখো।

      উত্তর: ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া দুধকে দই-এ পরিণত করে এবং স্ট্রেপটোকক্কাস ল্যাকটিস দুধকে ছানা, চীজ ইত্যাদিতে পরিণত করে।.

      12. ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে কীভাবে ভিনিগার প্রস্তুত হয়? 

      উত্তর: অ্যাসিটোব্যাক্টর অ্যাসিটি নামক ব্যাকটেরিয়া শর্করার দ্রবণে কোহল সন্ধান ঘটিয়ে ভিনিগার প্রস্তুত করে।

      13. ক্ল্যামাইডোমোনাস-এর ক্লোরোপ্লাস্টের সঙ্গে স্পাইরোগাইরার ক্লোরোপ্লাস্টের পার্থক্য কী?

      উত্তর: ক্ল্যামাইডোমোনাসের ক্লোরোপ্লাস্টটি অশ্বখুরাকার কিন্তু স্পাইরোগাইরার ক্লোরোপ্লাস্টটি ফিতার ন্যায় সরু, সর্পিলাকারে বিন্যস্ত থাকে।

      14. হাইফা ও মাইসেলিয়াম কাকে বলে?

      উত্তর: ছত্রাক দেহের একককে বলে হাইফা বা অনুসূত্র। অনুসূত্রগুলি শাখান্বিত হয়ে জালকের সৃষ্টি করলে তাকে মাইসেলিয়াম বলে। 

      15. একটি এককোশী, একটি কলোনিয়াল ও একটি সূত্রাকার বহুকোশী শৈবালের উদাহরণ দাও।

      উত্তর: (i) এককোশী শৈবাল-ক্ল্যামাইডোমোনাস, (ii) কলোনিয়াল শৈবাল ভলভক্স, (iii) সূত্রাকার বহুকোশী শৈবাল- স্পাইরোগাইরা।

      16. খাদ্যরূপে এবং ভিটামিনের উৎসরূপে ব্যবহৃত হয় কোন্ শৈবাল?

      উত্তর: ল্যামিনেরিয়া, গ্রাসিলেরিয়া শৈবাল খাদ্যরূপে এবং ক্লোরেলা ভিটামিনের উৎসরূপে ব্যবহৃত হয়।

      17. ওষুধরূপে ব্যবহৃত হয় কোন্ শৈবাল?

      উত্তর: ক্লোরেলা থেকে উৎপন্ন ক্লোরেলীন জীবাণু প্রতিরোধী ওষুধরূপে এবং সারগাসাম ও ল্যামিনেরিয়া নামক শৈবাল গলগণ্ডের ওষুধরূপ ব্যবহৃত হয়।

      18. মানুষের রোগ সৃষ্টিতে ছত্রাকের ভূমিকা কী?

      উত্তর: দাদ, হাজা, ছুলি প্রভৃতি মানুষের চর্মরোগ ছত্রাক আক্রমণের ফলে ঘটে। তাছাড়া অ্যালার্জি এবং নাক, মুখ, কান, গলা, যকৃৎ, ফুসফুস প্রভৃতি অঙ্গের রোগের কারণ ও নানাবিধ ছত্রাক।

      19. ইস্টকে তরল শর্করা দ্রবণে রাখলে কী পরিবর্তন দেখা যাবে?

      উত্তর: ইস্টকে তরল শর্করা দ্রবণে রাখলে কোহল সন্ধান প্রক্রিয়ায় শর্করা থেকে ইথাইল অ্যালকোহল সৃষ্টি হবে।

      20. ছত্রাক কী ধরনের উদ্ভিদ?

      উত্তর: ছত্রাক একপ্রকার ক্লোরোফিলবিহীন এবং ইউক্যারিওটিক প্রকৃতির সমাঙ্গদেহী উদ্ভিদ।

      21. আদ্যপ্রাণী কাকে বলে?

      উত্তর: যে প্রাণীকূল এককোশী, আণুবীক্ষণিক ও কোশ-অঙ্গাণুসমৃদ্ধ, কিন্তু কলা ও অঙ্গতন্ত্রবিহীন হয়, তাদের আদ্যপ্রাণী বলে।

      22. আদ্যপ্রাণীদের গমন অঙ্গ কী কী?

      উত্তর: আদ্যপ্রাণীদের গমন অঙ্গ হল ক্ষণপদ (যেমন- অ্যামিবা), সিলিয়া (যেমন- প্যারামেসিয়াম) এবং ফ্লাজেলা (যেমন- ইউপ্লিনা)।

      23. মানুষের রোগ সৃষ্টিকারী কয়েকটি আদ্যপ্রাণী ও তাদের সৃষ্ট রোগের নাম লেখো।

      উত্তর:  আদ্যপ্রাণী                     সৃষ্টরোগ

      প্লাসমোডিয়াম                        ম্যালেরিয়া

      এন্টাবিমা                               আমাশয়

      জিয়ার্ডিয়া                              উদরাময়

      ট্রাইপ্যানোসোমা                   লিসম্যানিয়া

      স্লিপিং সিকনেস                   কালাজ্বর

      24. একটি করে স্বাধীনজীবী, পরজীবী ও মিথোজীবী আদ্যপ্রাণীর উদাহরণ দাও।

      উত্তর: স্বাধীনজীবী আদ্যপ্রাণী –  অ্যামিবা। পরজীবী আদ্যপ্রাণী- প্লাসমোডিয়াম, মিথোজীবী আদ্যপ্রাণী – ট্রাইকোনিম্ফা (উইপোকার দেহে থাকে) 

      25. পাস্তুরাইজেশন কাকে বলে?

      উত্তর: দুধ সহ বিভিন্ন তরলজাতীয় খাদ্যকে 72-75C তাপমাত্রায় 15-40 সেকেন্ডের জন্য অথবা 138C তাপমাত্রায় 2 সেকেন্ডের জন্য গরম করার সঙ্গে সঙ্গেই তাপমাত্রায় নামিয়ে এনে সংরক্ষণ করার পদ্ধতিকে পাস্তুরাইজেশন বলে।

      26. পাটের পচনে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা কী?

      উত্তর: পাটগাছকে অপরিষ্কার জলে কয়েকদিন ডুবিয়ে রাখলে ক্লসট্রিডিয়াম নামক জলের ব্যাকটেরিয়া পাটের কান্ডে থাক পেকটিনকে নষ্ট করে দেয়। ফলে পাটের তত্ত্বগুলো সহজে পাটকাঠি থেকে আলাদা করা যায়।

      27. অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কোন্ রোগে কাজ করে এবং কোনা রোগে কাজ করে না?

      উত্তর: অ্যান্টিবায়োটিক ওষধ কেবল ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগে কাজ করে, কিন্তু ভাইরাস বা ছত্রাকঘটিত কোনো রোগে কাজ করে না।

      28. কয়েকটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের নাম লেখো।

      উত্তর: কয়েকটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ হল- স্ট্রেপটোমাইসিন, ক্লোরোমাইসেটিন, অ্যাম্পিসিলিন ইত্যাদি।

      29. অনাক্রম্যতা বলতে কী বোঝো?

      উত্তর: জীবদেহের রোগ প্রতিরোধের স্বাভাবিক ক্ষমতাকে অনাক্রম্যতা বলে।

      30. ছত্রাকেরা কেন নিজের খাদ্য নিজে প্রস্তুত করতে পারে না?

      উত্তর: ছত্রাকের দেহে ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে না, তাই তারা নিজেদের খাদ্য নিজে প্রস্তুত করতে পারে না। 

      31. মাইকোবায়োন্ট ও ফাইকোবায়োন্ট কী?

      উত্তর: লাইকেনের ছত্রাককে মাইকোবায়েন্ট এবং শৈবালকে ফাইকোবায়োন্ট বলে।

      32. ভাইরাস সম্পর্কে আমরা কীভাবে জানতে পারি?

      উত্তর: বিজ্ঞানী এডওয়ার্ড জেনারের বসন্তরোগ সম্পর্কে গবেষণা থেকে আমরা ভাইরাসের কথা জানতে পারি।

      33. মানুষের যে-কোনো চারটি ভাইরাসঘটিত রোগের নাম লেখো।

      উত্তর: মানুষের চারটি ভাইরাসঘটিত রোগ হল- ইনফ্লুয়েঞ্জা, পক্স, পোলিয়ো ও ডেঙ্গুজ্বর।

      34. বিষাক্ত ছত্রাক খেলে কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?

      উত্তর: বিষাক্ত ছত্রাক খেলে বমি, পাতলা পায়খানা এমনকী মৃত্যুও হতে পারে।

      35. অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সমস্যা কোথায়?

      উত্তর: অ্যান্টিবায়োটিক উপকারী এবং অপকারী উভয় প্রকারের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে। উপকারী ব্যাকটেরিয়া মারা গেলে আমাদের শরীরে নানান সমস্যা দেখা দেয়।

      36. অর্বুদ কোথায় দেখা যায় এবং অর্বুদে কোন ব্যাকটেরিয়া বাস করে? 

      উত্তর: অর্বুদ ডালজাতীয় গাছের মূলে দেখা যায়। অর্বুদে রাইজোবিয়াম ব্যাকটেরিয়া বাস করে।

      37. মৃতজীবিতার গুরুত্ব কোথায়?

      উত্তর: মৃতজীবিতার গুরুত্ব পরিবেশকে দূষণমুক্ত করায় এবং মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করায়।

      38. মাটিতে নাইট্রোজেন যৌগ জমিয়ে রাখতে কে সাহায্য করে?

      উত্তর: মাটিতে নাইট্রোজেন যৌগ জমিয়ে রাখতে ক্লসট্রিডিয়াম, অ্যাজোটোব্যাক্টর এবং সায়ানো ব্যাকটেরিয়া সাহায্য করে।

      39. বর্জ্য পরিষ্কারে ব্যাকটেরিয়া কীভাবে সাহায্য করে?

      উত্তর: ব্যাকটেরিয়া বর্জ্যকে ভেঙে ব্যবহারযোগ্য যৌগ তৈরি করে, ফলে মাটির উর্বরতা বাড়ে। আবার মিথেন গ্যাসও তৈরি করে যা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

      40. আমাদের দেহে অ্যান্টিজেন কোথা থেকে আসে?

      উত্তর: যখন কোনো জীবাণু আমাদের দেহে প্রবেশ করে তখন জীবাণুর দেহ থেকে নানা ক্ষতিকর পদার্থ আমাদের দেহে নির্গত হয়। ওই যৌগ বা পদার্থ হল অ্যান্টিজেন।

      41. অনাক্রম্যতার গুরুত্ব কী?

      উত্তর: জীবদেহের রোগ প্রতিরোধের স্বাভাবিক ক্ষমতাই হল অন্যক্রম্যতা বা ইমিউনিটি। এর গুরুত্ব হল দেহকে রোগ থেকে রক্ষা করা।

      42. টিকাকরণ কাকে বলে?

      উত্তর: অণুজীবদের দেহ থেকে বেরোনো দুর্বল বিষকে নির্দিষ্ট ডোজে আগে থেকে মানুষের দেহে প্রবেশ করিয়ে দেওয়াকে টিকাকরণ বলে। এরফলে অণুজীবদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে ওঠে।

      43. স্টেইন বা রঞ্জক বলতে কী বোঝো?

      উত্তর: অনুজীব-এর কোশের গঠন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য অনুজীবকে বিভিন্ন রঙের রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে রঞ্জিত করা হয়। এই রাসায়নিক পদার্থগুলিকে রঞ্জক বা স্টেইন বলে। যেমন- গ্রাম রঞ্জক যা ক্রিস্টাল ভায়োলেট ও আয়োডিন দিয়ে তৈরি।

      44. ছত্রাককে মৃতজীবী উদ্ভিদ বলে কেন?

      উত্তর: ছত্রাক মৃত, পচা, গলা জৈব বস্তুর ওপর জন্মায় এবং সেখান থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। তাই ছত্রাককে মৃতজীবী উদ্ভিদ বলে।

      45. ভাইরাসকে অকোশীয় কণা বলে কেন?

      উত্তর: ভাইরাসের দেহে সাইটোপ্লাজম নেই। তাছাড়া কোনো কোশীয় অঙ্গাণু নেই। তাই ভাইরাসকে অকোশীয় কণা বলে।

      46. ভাইরাসকে জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী অবস্থা বলে কেন?

      উত্তর: ভাইরাস পোষক কোশে জীবের মতো আচরণ করে অর্থাৎ বংশবিস্তার করতে পারে। কিন্তু পোষক কোশের বাইরে জড়ের মতো আচরণ করে অর্থাৎ বিপাক ক্রিয়া দেখা যায় না। বংশবিস্তার করতে পারে না। তাই ভাইরাসকে জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী অবস্থা বলে। 

      47. নাইট্রোজেন সংবন্ধন কাকে বলে? 

      উত্তর: যে পদ্ধতিতে বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেন মাটিতে নাইট্রোজেন যৌগরূপে আবদ্ধ হয়, তাকে নাইট্রোজেন সংবন্ধন বলে। রাইজোবিয়াম ব্যাকটেরিয়া এই নাইট্রোজেন সংবন্ধনে সাহায্য করে।

      48. ডিনাইট্রিফিকেশন কাকে বলে?

      উত্তর: যে পদ্ধতিতে মাটির নাইট্রেট ও নাইট্রাইট যৌগ বিয়োজিত হয়ে নাইট্রোজেনে পরিণত হয়ে বায়ুমণ্ডলে ফিরে যায়, তাকে ডিনাইট্রিফিকেশন বলে। সিউডোমোনাস, থিয়োব্যাসিলাস নামক ব্যাকটেরিয়ারা এই কাজে সাহায্য করে।

      49. অণুজীব-শূন্যস্থান কী ভালো?

      উত্তর: না, অণুজীব না থাকলে উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীবন বিপন্ন হবে। কারণ পরিবেশের বর্জ্য আবর্জনা বিশ্লিষ্ট করতে অনুজীবরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। পরিবেশের এই বর্জ্য, আবর্জনা বিশ্লিষ্ট না হলে পরিবেশ যেমন দূষিত হবে, তেমনি পরিবেশের উপাদান পরিবেশে আর ফিরে যেতে পারবে না।

      4. Long Question Answer

      1. মিউকরের গঠন সংক্ষেপে বর্ণনা করো:

      উত্তর: মিউকরের দেহ মাইসেলিয়াম দ্বারা গঠিত, মাইসেলিয়াম অসংখ্য সূক্ষ্ম, সূত্রবৎ হাইফি দ্বারা গঠিত, যাতে কোনো ব্যবধায়ক থাকে না। হাইফির প্রাচীর সেলুলোজ, পেকটিন ও কাসটিন জাতীয় পদার্থ দ্বারা গঠিত। হাইফিতে দানাদার সাইটোপ্লাজম, অসংখ্য ভ্যাকুওল এবং অসংখ্য নিউক্লিয়াস থাকে। সঞ্চিত খাদ্যরূপে হাইফিতে তৈলবিন্দু ও গ্লাইকোজেন বর্তমান থাকে।

      2. ব্যাকটেরিয়া আমাদের কী কী উপকার করে?

      উত্তর: ব্যাকটেরিয়া আমাদের বিভিন্ন উপকার করে। যেমন-

      (i) খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে দুধ থেকে দই তৈরিতে সাহায্য করে।

      (ii) আমাদের অস্ত্রে মিথোজীবীরূপে বাস করে ভিটামিন B12 তৈরি করে।

      (iii) পাটগাছকে পচিয়ে পাটের। তন্তুকে আলাদা করতে সাহায্য করে।

      (iv) নাইট্রোজেন যৌগ তৈরি করে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে।

      3. উদ্ভিদের নাইট্রোজেন গ্রহণে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা আলোচনা করো।

      উত্তর: কোনো উদ্ভিদই বাতাসের নাইট্রোজেন সরাসরি গ্রহণ করতে পারে না। কিন্তু ব্যাকটেরিয়া নানাভাবে মাটিতে বাতাসের নাইট্রোজেন যুক্ত করে বা নাইট্রোজেন যুক্ত যৌগ তৈরি করে মাটিতে মিশিয়ে দেয়। যেমন- ক্লসট্রিডিয়াম, অ্যাজোটোব্যাক্টর জাতীয় স্বাধীনজীবী ব্যাকটেরিয়া এবং রাইজোবিয়াম নামক মিথোজীবী ব্যাকটেরিয়া বাতাসের নাইট্রোজেনকে শোষণ করে নিজেদের দেহে নাইট্রোজেন যৌগ গঠন করে। এরা মরে গেলে ওই নাইট্রোজেন যৌগগুলি মাটিতে মুক্ত হয়।

      4. ভাইরাসদের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

      উত্তর: ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য:

      (i) ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে দৃশ্যমান জীব।

      (ii) জীবন্ত কোশের বাইরে এরা নির্জীব কিন্তু কোশের মধ্যে এরা প্রজননক্ষম।

      (iii) দেহের ভেতরে DNA বা RNA এবং তাকে ঘিরে প্রোটিন আবরণ থাকে।

      (iv) নিজের বিপাক ক্ষমতা নেই কিন্তু পোষক কোশের বিপাক ক্রিয়া পরিবর্তনে সক্ষম।

      5. ভাইরাসের কয়েকটি জড় পদার্থ ও সজীব পদার্থের বৈশিষ্ট্য লেখো।

      উত্তর: ভাইরাস কোশের বাইরে নির্জীব বা জড়ের মতো আচরণ করে। ভাইরাসের কয়েকটি সজীব পদার্থ স্বরূপ পদার্থ স্বরূপ বৈশিষ্ট্য – (i) প্রোটিন ও নিউক্লিক অ্যাসিড বর্তমান। (ii) বংশবৃদ্ধি করতে পারে। (iii) পরিব্যক্তি ক্ষমতাসম্পন্ন।

      6. সাইক্রোফিলিক, থার্মোফিলিক ও মেসোফিলিক ব্যাকটেরিয়া কী?

      উত্তর: অতিনিম্ন (- 190[C), অতি উচ্চ (78C-100C) এবং সাধারণ তাপমাত্রায় বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়াকে যথাক্রমে সাইক্রোফিলিক, থামোফিলিক ও মেসোফিলিক ব্যাকটেরিয়া বলে। নানান উয় প্রস্রবণের জলে বা গভীর সমুদ্রের গরম জল বেরোবার উৎসের কাছাকাছি থার্মোফিলিক ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়।

      7. জমির উর্বরতা বৃদ্ধিকারী কয়েকটি ব্যাকটেরিয়ার নাম উল্লেখ করো।

      উত্তর: অ্যাজোটোব্যাক্টর, ক্লসট্রিডিয়াম, ক্লোরোবিয়াম প্রভৃতি স্বাধীনজীবী ব্যাকটেরিয়া ও রাইজোবিয়াম জাতীয় মিথোজীবী ব্যাকটেরিয়া বায়বীয় নাইট্রোজেনকে জৈব যৌগে পরিণত করে এবং নাইট্রোসোমোনাস, নাইট্রোব্যাক্টর প্রভৃতি ব্যাকটেরিয়া মাটির জৈব যৌগের পচন ঘটিয়ে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে।

      ৪. অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার পর ভিটামিন B-কমপ্লেক্স খাওয়া উচিত কেন?

      উত্তর: অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ মানুষের অস্ত্রে বসবাসকারী ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াগুলির সঙ্গে ভিটামিন B উৎপাদনকারী উপকারী অধিকাংশ ব্যাকটেরিয়াগুলিকে মেরে ফেলে। ফলে সাময়িকভাবে দেহে ভিটামিন B-এর অভাব দেখা দেয়। ওই অভাব পূরণের জন্য ভিটামিন B কমপ্লেক্স খাওয়া উচিত।

      9. ভাইরাসের সঙ্গে ব্যাকটেরিয়ার প্রধান পার্থক্যগুলি লেখো। 

      উত্তর:

      ভাইরাসব্যাকটেরিয়া
      (1) কোশবিহীন ইলেকট্রন আণুবীক্ষণিক অণুজীব।(i) কোশীয় আণুবীক্ষণিক অণুজীব।
      (ii) কোশ আবরণী নেই প্রোটিনযুক্ত খোলক আছে।(ii) কোশ আবরণী আছে, খোলক নেই।
      (iii) কোশপ্রাচীর, সাইটোপ্লাজম নেই।(iii) কোশপ্রাচীর, সাইটোপ্লাজম আছে।
      (iv) পূর্ণ পরজীবী।(iv) পরজীবী, মৃতজীবী বা স্বভোজী।

      10. শৈবাল ও ছত্রাকের প্রধান পার্থক্যগুলি লেখো।

      উত্তর: 

      শৈবালছত্রাক
      (i) স্বভোজী।(i) পরভোজী
      (ii) কোশপ্রাচীর সেলুলোজ দ্বারা গঠিত।(ii) কোশপ্রাচীর কাইটিন দ্বারা গঠিত।
      (iii) এদের ক্লোরোফিল থাকে।(iii) এদের ক্লোরোফিল থাকে না।
      (iv) শ্বেতসারপ্রধান সঞ্চিত খাদ্য।(iv) গ্লাইকোজেন প্রধান সঞ্চিত খাদ্য।

      11. ইস্টের কয়েকটি ব্যবহারিক প্রয়োগ বলো।

      উত্তর:

      (i) বিভিন্ন মাদক দ্রব্য ও স্পিরিট প্রস্তুতে ইস্ট কাজে লাগে।’

      (ii) এদের দেহ থেকে ভিটামিন B ও C পাওয়া যায়।

      (iii) ইহা প্রোটিনসমৃদ্ধ হওয়ায় এর পুষ্টিগুণ আছে।

      12. অ্যান্টিবায়োটিক কী?

      উত্তর: কিছু ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের দেহ নিঃসৃত বিশেষ উৎসেচক অন্যান্য ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে বাধা দেয় অথবা তাদের মেরে ফেলে। সেইসব ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক থেকে যে জীবনদায়ী ওষুধ তৈরি করা হয়, সেই ওষুধগুলোকে অ্যান্টিবায়োটিক বলে। ব্যাকটেরিয়াঘটিত কিছু রোগকে দমন করার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক বিশেষ কার্যকরী।

      13. অ্যান্টিজেন কী?

      উত্তর: কোনো জীবাণু আমাদের দেহে প্রবেশ করলে, তার দেহ থেকে যেসব ক্ষতিকারক যৌগ আমাদের রক্তে প্রবেশ করে, সেগুলিকে অ্যান্টিজেন বলে। অর্থাৎ অ্যান্টিজেন হল দেহের বহিরাগত বস্তু এরা দেহের পক্ষে ক্ষতিকারক।

      14. অ্যান্টিবডি কী?

      উত্তর: অ্যান্টিজেনকে ধ্বংস করার জন্য আমাদের শরীরে যে প্রোটিনধর্মী যৌগ তৈরি হয়, তাকে অ্যান্টিবডি বলে। অ্যান্টিবডি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার স্বাভাবিকত্ব বজায় রাখে। এর ফলে জীবদেহে অনাক্রম্যতা গড়ে ওঠে।

      15. অ্যামোনিফিকেশন বলতে কী বোঝো? এর প্রয়োজনীয়তা কোথায়?

      উত্তর: উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃত্যুর পর তাদের দেহের বিভিন্ন নাইট্রোজেনযুদ্ধ যৌগ অ্যামোনিফাইং ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে ভেঙে গিয়ে অ্যামোনিয়ায় পরিণত হয়। এই পদ্ধতিকে অ্যামোনিফিকেশন বলে। অ্যামোনিফিকেশনের ফলে নাইট্রিফিকেশন সম্ভব, যার ফলে অ্যামোনিয়া ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে নাইট্রেট ও নাইট্রাইটে। রূপান্তরিত হতে পারে। এগুলি উদ্ভিদের গ্রহণযোগ্য।

      16. নাইট্রিফিকেশন বলতে কী বোঝো?

      উত্তর: নাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া যেমন নাইট্রোব্যাক্টর অ্যামোনিয়া থেকে যথাক্রমে নাইট্রাইট ও নাইট্রেট। নাইট্রোসোমোনাস ও যৌগ গঠন করে। এই পদ্ধতিকে নাইট্রিফিকেশন বলে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কারণ উদ্ভিদ নাইট্রোজেনকে নাইট্রাইট ও নাইট্রেট রূপে গ্রহণ করতে পারে ও দেহের বৃদ্ধি অব্যাহত রাখে।

      17. পরজীবিতা কী?

      উত্তর: যখন কোনো অণুজীব খাদ্য ও আশ্রয়ের জন্য সম্পূর্ণরূপে পোষক জীবদেহের ওপর নির্ভরশীল থাকে এবং পোষক দেহের ক্ষতিসাধন করে, তখন পোষক জীবদেহের সঙ্গে অণুজীবদের এরকম সম্পর্ককে পরজীবিতা বলে। এই ঘটনায় পোষক ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিন্তু পোষকের ওপর নির্ভরশীল অর্থাৎ পরজীবী উপকৃত হয়।

      18. মিথোজীবিতা কাকে বলে?

      উত্তর: যখন একাধিক অণুজীব একে অপরের সঙ্গে সহাবস্থান করে পুষ্টি বিনিময় করে তখন সেই সহাবস্থানের পদ্ধতিকে মিথোজীবিতা বলে। অর্থাৎ এই প্রকার সহাবস্থানে অংশগ্রহণকারী সদস্যেরা সকল সময় উপকৃত হয়ে থাকে। উদাহরণ হল- লাইকেন।

      19. মৃতজীবিতা কাকে বলে এবং এর গুরুত্ব কী?

      উত্তর: ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ইত্যাদি অণুজীব মৃত, পচাগলা বস্তু থেকে যে পদ্ধতিতে পুষ্টিকার্য সম্পন্ন করে, তাকে মৃতজীবিতা বলে। মৃতজীবিতার কারণে অণুজীবেরা পচা-গলা জৈব বস্তু থেকে পুষ্টি পদার্থ মুক্ত করে পরিবেশে ফিরিয়ে দেয়। ফলে প্রাকৃতিক পুষ্টিচক্র অব্যাহত থাকে।

      20. ব্যাকটেরিয়াকে উদ্ভিদরূপে বিবেচনার কারণগুলি লেখো।

      উত্তর: ব্যাকটেরিয়াকে উদ্ভিদরূপে বিবেচনার কারণগুলি হল- (i) কোশপ্রাচীর বর্তমান, (ii) কিছু ব্যাকটেরিয়া ক্লোরোফিলের সাহায্যে খাদ্য সংশ্লেষ করতে পারে, (iii) ব্যাকটেরিয়া কোশের বংশবৃদ্ধি থ্যালোফাইটা উদ্ভিদের ন্যায়, (iv) ভিটামিন সংশ্লেষ করতে পারে, (v) ব্যাপন পদ্ধতিতে খাদ্যগ্রহণ করে।

      21. স্পাইরোগাইরার ব্যাবহারিক প্রয়োগ উল্লেখ করো।

      উত্তর: স্পাইরোগাইরার ব্যাবহারিক প্রয়োগ হল-

      (i) ইহা মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়,

      (ii) শুকনো শৈবাল কোনো কোনো দেশে মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়,

      (iii) পুডিং, জেলি, জিলেটিন প্রভৃতি খাদ্যে ব্যবহৃত হয়,

      (iv) এতে ভিটামিন A ও E পাওয়া যায়,

      (v) অ্যাকুরিয়ামে মাছের পরিবেশ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

      22. আমাদের দেহে কীভাবে অনাক্রম্যতা গড়ে ওঠে?

      উত্তর: ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া প্রভৃতি অণুজীব যখন আমাদের দেহে প্রবেশ করে, তখন তাদের দেহ থেকে নির্গত নানা ক্ষতিকারক যৌগ আমাদের দেহের স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট করে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে। এই ক্ষতিকারক যৌগগুলোকে অ্যান্টিজেন বলে। অ্যান্টিজেনকে প্রতিহত ও ধ্বংস করার জন্য আমাদের দেহে একধরনের প্রোটিনধর্মী যৌগ তৈরি হয়, যাকে অ্যান্টিবডি বলে। এই অ্যান্টিবডি গঠনের মাধ্যমে আমাদের দেহে অনাক্রম্যতা গড়ে ওঠে।

      23. বর্জ্য পরিষ্কারে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা আলোচনা করো।

      উত্তর: কোনো কোনো ব্যাকটেরিয়া মল, মূত্র বা অশোধিত আবর্জনার মধ্যে বাস করে। এরা এধরনের বর্জ্যকে ভেঙে নাইট্রেট, ফসফেট প্রভৃতি যৌগ তৈরি করে, যা মাটির উর্বরতা বাড়ায় এবং রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা কমায়। কয়েকটি দেশে গ্রামাঞ্চলের মানুষ বর্জ্য পদার্থকে মেথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে ভেঙে মিথেন গ্যাস তৈরি করে, যা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

      24. প্রথম অ্যান্টিবায়োটিক কীভাবে আবিষ্কৃত হয়?

      উত্তর: আলেকজান্ডার ফ্লেমিং 1928 সালে আগার প্লেটে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। অসাবধানতাবশত সেই প্লেটের ওপরে পেনিসিলিয়াম নোটেটাম নামক ছত্রাক জন্মায়। তিনি লক্ষ করেন ছত্রাকের বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। তিনি এই ছত্রাকের দেহ থেকে পেনিসিলিন নামক যৌগটি আবিষ্কার করেন, যা ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ব্যাহত করে। এইভাবে পেনিসিলিন নামক প্রথম অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কৃত হয়।

      25. খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে অণুজীবের ভূমিকা উল্লেখ করো।

      উত্তর: খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে অণুজীবের ভূমিকা নিম্নরূপ-

      (i) ল্যাকটোব্যাসিলাস নামক ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে দুধ থেকে দই, পনির, মাখন ইত্যাদি প্রস্তুত করা হয়।

      (ii) লোহিত-শৈবাল থেকে যে জিলাটিন পাওয়া যায় তা জেলি, আইসক্রিম প্রভৃতি প্রস্তুত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

      (iii) অ্যাসিটোব্যাক্টর নামক ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে নানান অ্যালকোহলজাত বস্তু থেকে জারণ প্রক্রিয়ায় ভিনিগার প্রস্তুত করা হয়।

      (iv) ইস্ট নামক ছত্রাক কোহল সন্ধান প্রক্রিয়ায় শর্করা থেকে অ্যালকোহল প্রস্তুত করে। তাছাড়া পাউরুটি, কেক ও বিস্কুট প্রস্তুতিতে ইস্ট এবং পনির উৎপাদনে পেনিসিলিয়ামের কোনো কোনো প্রজাতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

      26. ঔষধ উৎপাদনে অণুজীবের ভূমিকা উল্লেখ করো।

      উত্তর: ঔষধ উৎপাদনে অণুজীবের ভূমিকা নিম্নরূপ-

      (i) ক্লসট্রিডিয়াম প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া থেকে কোলাজিনেজ নামক উৎসেচক পাওয়া যায়, যা ক্ষত সারাতে ব্যবহৃত হয়। 

      (ii) সারগাসাম ও ল্যামিনেরিয়া নামক শৈবাল গলগণ্ড রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া, ক্লোরেলা থেকে ক্লোরেলিন নামক জীবাণু প্রতিরোধী ঔষধ প্রস্তুত হয়। 

      (iii) মানব কল্যাণে ব্যবহৃত একাধিক জীবাণু প্রতিরোধী ঔষধ বিভিন্ন প্রকার ছত্রাক থেকে পাওয়া যায়। যেমন পেনিসিলিয়াম নোটেটাম নামক ছত্রাক থেকে পেনিসিলিন পাওয়া যায়। তাছাড়া, স্ট্রেপটোমাইসিনের বিভিন্ন প্রজাতি থেকে স্ট্রেপটোমাইসিন, ক্লোরোমাইসিটিন, অরিওমাইসিন, টেরামাইসিন, নিওমাইসিন প্রভৃতি বিভিন্ন প্রকার জীবাণু প্রতিরোধী ঔষধ প্রস্তুত হয়।

      27. মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা আলোচনা করো।

      উত্তর: মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। উ ব্যাকেটরিয়া নানাভাবে মাটিতে সরাসরি বাতাসের নাইট্রোজেনযুক্ত করে বা নাইট্রোজেনযুক্ত যৌগ তৈরি করে মাটিতে মিশিয়ে দেয়। যেমন মাটিতে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়া রাইজোবিয়াম বায়ু থেকে সরাসরি নাইট্রোজেন সংবন্ধন করে মাটিতে মিশিয়ে দেয়। আবার উদ্ভিদ বা প্রাণীর মৃত্যুর পর তাদের দেহের নানা নাইট্রোজেনযুক্ত যৌগ ভেঙে নাইট্রোসোমোনাস, নাইট্রোব্যাক্টর নামক ব্যাকটেরিয়া যথাক্রমে নাইট্রাইট ও নাইট্রেট যৌগ গঠন করে মাটিতে মিশিয়ে দেয়। ফলে মাটির নাইট্রোজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং মাটি উর্বর হয়।

      28. লাইকেনের পুষ্টিগ্রহণ সম্বন্ধে সংক্ষেপে লেখো।

      উত্তর: শৈবাল ও ছত্রাকের যৌগিক গঠনকে বলে লাইকেন। এরা মিথোজীবীরূপে সহাবস্থান করে পুষ্টি বিনিময় করে। লাইকেনে শৈবাল ও ছত্রাক পাশাপাশি থাকে। ছত্রাক জল ও অজৈব লবণ শোষণ করে শৈবালদের দেয়। আর শৈবালরা ওই পুষ্টিরস ব্যবহার করে নিজেদের দেহে খাদ্য তৈরি করে। ওই খাদ্যের কিছু অংশ ছত্রাকরা ব্যবহার করে।

      29. শৈবালের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

      উত্তর: শৈবালের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল-

      (i) এরা স্বভোজী সমাঙ্গদেহী উদ্ভিদ।

      (ii) এরা প্রধানত জলজ উদ্ভিদ, তবে এরা ভিজে মাটিতে এবং অর্ধ-জলজ পরিবেশেও জন্মায়।

      (iii) এরা এককোশী বা বহুকোশী এবং প্রোক্যারিওটিক বা ইউক্যারিওটিক প্রকৃতির হয়।

      (iv) এদের কোশপ্রাচীর প্রধানত সেলুলোজ, পেকটিন এবং মিউসিলেজ দিয়ে গঠিত।

      (v) এদের কোশে বিভিন্ন আকৃতির ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে, পেঁচালো, পেয়ালাকার, তারকাকার ইত্যাদি। ক্লোরোপ্লাস্টের মধ্যে পাইরিনয়েড দানা উপস্থিত।

      30. আদ্যপ্রাণীর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

      উত্তর : আদ্যপ্রাণীর বৈশিষ্ট্যগুলি হল-

      (i) এরা সকলেই আণুবীক্ষণিক এবং এককোশী প্রাণী।

      (ii) দেহ সাধারণত লম্বাটে, গোলাকার অথবা ডিম্বাকার। অ্যামিবা ছাড়া অন্যান্যদের দেহের আকার সাধারণত নির্দিষ্ট।

      (iii) এদের কোশে বিভিন্ন প্রকার কোশ-অঙ্গাণু ও একটি নিউক্লিয়াস থাকে। তবে কোনো কোনো প্রাণীর দেহে দুটি (প্যারামেসিয়াম) অথবা বহু নিউক্লিয়াস (ওপালিনা) থাকে। 

      (iv) এরা ক্ষণপদ (অ্যামিবা), সিলিয়া (প্যারামেসিয়াম) বা ফ্লাজেলার (ইউপ্লিনা) সাহায্যে গমন সম্পন্ন করে।

      (v) স্বভাবে এরা স্বাধীনজীবী বা পরজীবী হয়।

      (vi) এদের অন্তঃকোশীয় পরিপাক পদ্ধতি দেখা যায়।

      31. ব্যাকটেরিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

      উত্তর: ব্যাকটেরিয়ার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হলো

      (i) এরা অণুবীক্ষণিক এবং এককোশী।

      (ii) দেহ রড, কমা, প্যাঁচানো স্ক্রু বা গোলাকার হয়। (iii) কোশ প্রাচীর পেপটাইডোগ্ল্যাইক্যানস নির্মিত।

      (iv) প্রকৃত নিউক্লিয়াস থাকে না। পরিবর্তে প্যাঁচানো DNA থাকে।

      (v) একক পর্দাঘেরা কোনো কোশ অঙ্গাণু থাকে না। পর্দাবিহীন রাইবোজোম থাকে এবং তা 70S প্রকৃতির।

      32. ছত্রাকের উপকারী ও অপকারী ভূমিকা সম্বন্ধে আলোচন করো।

      উত্তর: ছত্রাকের উপকারী ও অপকারী ক্রিয়াকলাপ নীচে আলোচনা কর হল-

      (a) উপকারী ভূমিকা: ছত্রাকের উপকারী ভূমিকাগুলি হল-

      (i) খাদ্য হিসেবে: অ্যাগারিকাস, মরচেলা প্রভৃতি ছত্রাকের প্রজাতির মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

      (ii) শিল্পে: অ্যালকোহল উৎপাদনে ইস্টের ভূমিকা বিশেষ উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া বেকারি শিল্পে ইস্ট, জৈব অ্যাসিড প্রস্তুতিতে রাইজোপাস ও অ্যাসপারজিলাসের বিভিন্ন প্রজাতি ব্যবহৃত হয়।

      (iii) ঔষধ উৎপাদনে: একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক বিভিন্ন ছত্রাক থেকে পাওয়া যায়। (যেমন- পেনিসিলিয়াম থেকে পেনিসিলিন স্ট্রেপটোমাইসিনের বিভিন্ন প্রজাতি থেকে স্ট্রেপটোমাইসিন ক্লোরোমাইসিটিন, অরিওমাইসিন নিওমাইসিন প্রভৃতি ঔষধ প্রস্তুত হয়।

      (iv) জমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে: বিভিন্ন প্রকার ছত্রাক মাটির জৈব পদার্থের পচন ঘটিয়ে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে।

      (b) অপকারী ভূমিকা: ছত্রাকের অপকারী ভূমিকাগুলি হল-

      (i) রোগ সৃষ্টিতে: ছত্রাক বিভিন্ন ফসলি উদ্ভিদে নানাবিধ রোগ সৃষ্টি করে ফসলের প্রভূত ক্ষতিসাধন করে। বিভিন্ন কাষ্ঠল উদ্ভিদে রোগ সৃষ্টি করেও এরা বনভূমির প্রভূত ক্ষতি করে। তাছাড়া প্রাণী ও মানুষের নানাবিধ চর্মরোগ ছত্রাক আক্রমণের ফলে ঘটে। অ্যালার্জি এবং নাক, মুখ, কান, গলা, যকৃৎ, ফুসফুস প্রভৃতি অঙ্গের রোগের কারণও নানাবিধ ছত্রাক।

      (ii) খাদ্যবস্তু বিনষ্ট করতে: শাক-সবজি, ফল, জ্যাম, জেলি, আচার রান্না করা খাদ্যসামগ্রী, রুটি, মাছ, মাংস প্রভৃতি খাদ্যবস্তু বিনষ্টকারী ছত্রাকগুলির মধ্যে রাইজোপাস, মিউকর, অ্যাসপারজিলাস, ইস প্রভৃতি বিভিন্ন প্রজাতির ছত্রাক অন্যতম। এরা খাবার নষ্ট করের। বিষিয়ে দেয়। এই বিষাক্ত খাদ্য খেলে বিবিধ রোগ হয়।

      (iii) অন্যন্য দ্রবসামগ্রী বিনাশে: পোশাক-পরিচ্ছদ, চামড়া, কাগজ ক্যামেরা, মাইক্রোস্কোপ প্রভৃতির লেন্স, কাঠের আসবাবপত্র প্রভৃতি নানাবিধ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত হয়ে বিনষ্ট হয়।

      33. টীকা লেখো: রাইজোবিয়াম ব্যাকটেরিয়া। 

      উত্তর: রাইজোবিয়াম ব্যাকটেরিয়া মিথোজীবী ব্যাকটেরিয়া, এরা ডাল সয়াবিন জাতীয় উদ্ভিদের মূলের অর্বুদে বাস করে নাইট্রোজেন স্থিতিকরণে সক্ষম। এরা নাইট্রোজেনকে নাইট্রোজেন যৌগে পরিণত করে। এই যৌগের কিছুটা অংশ আশ্রয়দাতা উদ্ভিদকে সরবরাহ করে এবং বাকিটা অর্বুদ পচে যাওয়ার পর মাটিতে মিশে থাকে।

      34. অণুজীবদের গোষ্ঠীভুক্ত করে প্রতিটির একটি করে উদাহরণ দাও:

      উত্তর: অণুজীবেরা প্রধানত চারটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত; যথা-

      (i) মোনেরা গোষ্ঠীভুক্ত অণুজীব হল ব্যাকটেরিয়া। উদাহরণ: রাইজোবিয়াম।

      (ii) প্রোটিস্টা গোষ্ঠীভুক্ত অণুজীব হল আদ্যপ্রাণী। উদাহরণ: অ্যামিবা।

      (iii) ফাংগি গোষ্ঠীভুক্ত অণুজীব হল ছত্রাক। উদাহরণ: ইস্ট

      (v) প্ল্যান্টি গোষ্ঠীভুক্ত অণুজীব হল শৈবাল। উদাহরণ: স্পাইরোগাইরা।

      35. ব্যাকটেরিয়া (মোনেরা) ও আদ্যপ্রাণীর (প্রোটিস্টা) মধ্যে ৩টি পার্থক্য লেখো।

      উত্তর:

      ব্যাকটেরিয়া (মোনেরা)আদ্য প্রাণী (প্রোটিস্টা)
      (i) ইউক্যারিওটিক প্রকৃতির এককোশী বা বহুকোশী উদ্ভিদ।(i) প্রোক্যারিওটিক প্রকৃতির এককোশী জীব।
      (ii) ক্লোরোফিল না থাকায় এরা মৃতজীবী ও পরজীবী প্রকৃতির।(ii) ক্লোরোফিলযুক্ত ব্যাকটেরিয়া স্বভোজী প্রকৃতির এবং ক্লোরোফিলবিহীন ব্যাকটেরিয়া মৃতজীবী বা পরজীবী প্রকৃতির হয়।
      (iii) গমনে অক্ষম।(iii) ফ্ল্যাজেলার সাহায্যে গমনে সক্ষম।

      36. ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে ৩ টি পার্থক্য লেখো।

      উত্তর:

      ছত্রাকব্যাকটেরিয়া
      (i) কোশ প্রাচীর বর্তমান।(ⅰ) কোশ প্রাচীর থাকে না। 
      (ii) আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত এবং পর্দাঘেরা কোশ অঙ্গাণু থাকে না।(ii) আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত এবং পর্দাঘেরা কোশ অঙ্গাণু থাকে।
      (iii) রাইবোজোম 70S প্রকৃতির।(iii) রাইবোজোম 80S প্রকৃতির।

      37. কীভাবে খাদ্যকে ভালো রাখা সম্ভব?

      উত্তর: খাদ্যকে ভালো রাখা যায় নিম্নলিখিত উপায়ে।

      (i) কোনো পাত্রে বায়ুশূন্য করে খাদ্যকে রেখে বা বিশেষ মোড়কে রেখে।

      (ii) কোনো কোনো সবজি ও ফলকে দীর্ঘসময় রোদে শুকিয়ে নিয়ে।

      (iii) মাছ, মাংস বা ফলে নুন মাখিয়ে রাখলে।

      (iv) কাটা আম, লেবু, পিঁয়াজে ভিনিগার যোগ করলে।

      (v) ফলে চিনি যোগ করে।

      (vi) খাদ্যকে কম তাপমাত্রায় রেখে।

      (vii) পাস্তুরাইজেশন করে।

      38. টীকা লেখো: পেনিসিলিন

      উত্তর: পেনিসিলিন হল এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক। পেনিসিলিয়াম নোটেটাম নামক ছত্রাক থেকে আলেকজান্ডার ফ্লেমিং 1928 সালে এই অ্যান্টিবায়োটিকটি আবিষ্কার করেন। মানুষের আবিষ্কৃত প্রথম এই অ্যান্টিবায়োটিকটি ব্যাকটেরিয়া দমনে খুব কার্যকরী।

      39. চিত্র অঙ্কন করে মটরগাছের মূলে অর্বুদের অবস্থান দেখাও।

      উত্তর: নিজে করো।

      40. নীচের দুজন বিজ্ঞানীর ছবি দেখতে পাচ্ছ। বলো তো কোন্ বিজ্ঞানী কী কারণে বিখ্যাত?

      উত্তর: এডওয়ার্ড জেনার (প্রথম ছবি) ভাইরাসের অস্তিত্ব সম্পর্কে প্রথম ধারণা প্রদানের কারণে বিখ্যাত। আলেকজান্ডার ফ্লেমিং প্রথম অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার করার কারণে বিখ্যাত।

      41. নীচের ছবিগুলি দেখে লেখো (a), (b) এবং (c) খাদ্যকে কীভাবে ভালো রাখা যায়।

      উত্তর:

      (a) মাংসকে নুন মাখিয়ে রাখলে ভালো থাকে।

      (b) বাঁধাকপিকে রোদে শুকিয়ে কিংবা ভিনিগারে রাখলে ভালো থাকে।

      (c) কাটা আমকে রোদে শুকিয়ে বা ভিনিগারে ভালো রাখা যায়।

      42. নীচের কয়েকটি রোগের নাম দেওয়া হয়েছে, ওইগুলির মধ্যে কোন্ কোন্ রোগে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করবে না লেখো।

      উত্তর: পক্স, ডিপথেরিয়া, কলেরা, টিটেনাস, পোলিয়ো, ডেঙ্গুজ্বর, হাজা, যক্ষ্মা প্রভৃতি রোগগুলিতে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করবে না।

      5. Fill In The Blanks

      1. অণুজীবদের বেঁচে থাকার জন্য                     জায়গা খুব গুরুত্বপূর্ণ

      উত্তর: ভেজা

      2.                      দেহ এককোশী বা বহুকোশী।

      উত্তর: শৈবালের

      3. বেশিরভাগ ছত্রাকের দেহ যে সরু সুতোর মতো অংশ দিয়ে তৈরি হয় তাকে                   বলে। 

      উত্তর: অনুসূত্র/হাইফি

      4.                      প্রোটিস্টা বলা হয়।

      উত্তর: আদ্যপ্রাণীদের

      5.                         মাইক্রোস্কোপ ছাড়া ভাইরাসকে দেখা সম্ভব নয়।

      উত্তর: ইলেকট্রন

      6.                        কোনোরকম কোশীয় গঠন নেই।

      উত্তর: ভাইরাসের

      7. দেহে                  না থাকায় ছত্রাক নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে না।

      উত্তর: ক্লোরোপ্লাস্ট

      ৪. ইস্ট এক ধরনের                      |

      উত্তর: ছত্রাক

      9. আদ্যপ্রাণীদের দেহে ক্ষণপদ                       বা সিলিয়া দেখা যায়।

      উত্তর: ফ্ল্যাজেলা

      10.                       প্রধানত জলে থাকে।

      উত্তর: শৈবাল

      11.                    ছত্রাকঘটিত রোগ।

      উত্তরঃ হাজা

      12. ডায়ারিয়া রোগের অণুজীব                   জলের মাধ্যমে মানুষের দেহে প্রবেশ করে। 

      উত্তর: পানীয়

      13.                    আদ্যপ্রাণীঘটিত রোগ।

      উত্তর: ম্যালেরিয়া

      14. যক্ষ্মা ও                  ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ।

      উত্তর: কলেরা

      15. জলাতঙ্ক ও                     ভাইরাসঘটিত রোগ।

      উত্তর: হেপাটাইটিস

      16. ব্যাকটেরিয়া                অন্তর্গত।

      উত্তর: মোনেরার

      17. ব্যাকটেরিয়ায় প্যাঁচানো                       থাকে।

      উত্তর: DNA

      18. ব্যাকটেরিয়ার দেহে পর্দাবিহীন অঙ্গাণু হল               |

      উত্তর: রাইবোজোম

      19. ব্যাকটেরিয়া শ্বসন করে                     সাহায্যে।

      উত্তর: মেসোজোমের

      20. কোশীয় জীবদের মধ্যে আকারে সবথেকে ছোটো হল                    |

      উত্তর: ব্যাকটেরিয়া

      21. রোগসৃষ্টিতে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী                    |

      উত্তর: কখ

      22. মটরগাছের অর্বুদে                     থাকে।

      উত্তর: রাইজোবিয়াম

      23. মানুষের ক্ষুদ্রান্ত্রে বসবাসকারী ই.কোলাই                  ভিটামিন B₁₂ তৈরি করে। 

      উত্তর: ব্যাকটেরিয়া

      24. রাইজোবিয়াম                    স্থিতিকরণে সমর্থ।

      উত্তর: নাইট্রোজেন

      25. মৃতজীবিতার কারণে জটিল                   বিয়োজন ও রূপান্তর ঘটে। 

      উত্তর: জৈববস্তুর

      26. হিমোগ্লোবিন তৈরিতে ভিটামিন                কাজে লাগে।

      উত্তর: B12

      27. অ্যান্টিজেনকে আক্রমণ করে                  |

      উত্তর: অ্যান্টিবডি

      28. °C ব্যাকটেরিয়া খুব তাড়াতাড়ি বাড়তে হয় তা লাইকেন থাকে। থেকে তৈরি হয়।

      উত্তর: 37C

      29.                   হল স্বাধীনজীবী ব্যাকটেরিয়া।

      উত্তর: ক্লসট্রিডিয়াম

      30.                    সরাসরি বাতাসের নাইট্রোজেনকে শোষণ করে।

      উত্তর: সায়ানোব্যাকটেরিয়া

      31. জিয়ার্ডিয়াসিস                   রোগ।

      উত্তর: আদ্যপ্রাণীঘটিত

      32.                   মিসলস ভাইরাসঘটিত রোগ।

      উত্তর: মাম্পস

      33. হুপিংকাশি                   রোগ।

      উত্তর: ব্যাকটেরিয়াঘটিত

      34. আদ্যপ্রাণী পোষক কোশে নানা                  সৃষ্টি করে।

      উত্তর: রোগ

      35. চিকেন পক্স                      রোগ।

      উত্তর: ভাইরাসঘটিত

      37. মৃতজীবী অণুজীবেরা                    দূষণমুক্ত করে।

      উত্তর: পরিবেশকে

      38.   মাটির উর্বরতা বাড়ায়।

      উত্তর: ব্যাকটেরিয়া

      6. True and False

      1. অণুজীবদের বেঁচে থাকার জন্য ভেজা জায়গা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ☑

      2. সূর্যের আলোতে অণুজীবেরা খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে। ☑

      3. কোনো অণুজীবই নিজ দেহে খাদ্য তৈরি করতে পারে না।  x

      সঠিক উত্তর: ক্লোরোফিলযুক্ত অণুজীব নিজ দেহে খাদ্য তৈরি করতে পারে।

      4. থামোফিলিক ব্যাকটেরিয়া 100C তাপমাত্রার কাছাকাছি বংশ বৃদ্ধি করে।  ☑

      5. সমুদ্রে ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায় না। x

      সঠিক উত্তর: সমুদ্রে ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়।

      6. ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া অকোশীয় জীব।  x

      সঠিক উত্তর: ভাইরাস অকোশীয়। কিন্তু ব্যাকটেরিয়া কোশীয় জীব।

      7. ব্যাকটেরিয়া জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী। x

      সঠিক উত্তর: ভাইরাস জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী।

      ৪. ভাইরাসে কোশপ্রাচীর নেই কিন্তু ব্যাকটেরিয়ায় আছে।   ☑

      9. ব্যাকটেরিয়ায় প্রকৃত নিউক্লিয়াস থাকে না।   ☑

      10. ব্যাকটেরিয়ায় রাইবোজোম থাকে না।  x

      সঠিক উত্তর: ব্যাকটেরিয়ায় রাইবোজোম থাকে।

      11. এরেনবার্গ ব্যাকটেরিয়া শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন।  ☑

      12. আদ্যপ্রাণীর দেহে এক বা একাধিক নিউক্লিয়াস থাকে। ☑

      13. ছত্রাকের দেহে সুতোর মতো অংশ হাইফি থাকে। ☑

      14. মিউকর এক ধরনের ছত্রাক।  ☑

      15. কোনো ছত্রাককে খালি চোখে দেখা যায় না।  x

      সঠিক উত্তর: কোনো আদ্যপ্রাণীকে খালি চোখে দেখা যায় না।

      16. ছত্রাকের দেহে ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে।  x

      সঠিক উত্তর: শৈবালের দেহে ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে।

      17. স্পাইরোগাইরা বহুকোশী শৈবাল।  ☑

      18. শৈবালের বৃদ্ধির জন্য আলোর প্রয়োজন হয় না।   x

      সঠিক উত্তর: শৈবালের বৃদ্ধির জন্য আলোর প্রয়োজন।

      19. ভাইরাস কথাটির শব্দগত অর্থ হল বিষ।   ☑

      20. স্লিপিং সিকনেস আদ্যপ্রাণীঘটিত রোগ।  ☑

      21. পোষক কোশের বাইরে থাকার সময় ভাইরাস জড়বৎ।   ☑

      22. AIDS ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ।  x

      সঠিক উত্তর: AIDS একটি ভাইরাসঘটিত রোগ।

      23. ডেঙ্গুজ্বর ভাইরাসঘটিত রোগ। ☑

      24. কালাজ্বর আদ্যপ্রাণীঘটিত রোগ। ☑

      25. পেনিসিলিয়াম এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক। x

      সঠিক উত্তর: পেনিসিলিয়াম এক ধরনের ছত্রাক।

      26. ক্লোরোমাইসেটিন এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক। ☑

      27. ব্যাকটেরিয়া দুধের ল্যাকটোজকে ল্যাকটিক অ্যাসিডে রূপান্তর করে। ☑

      28. মানুষের অস্ত্রে Escherichia coli থাকে। ☑

      29. লাইকেন এক ধরনের মিথোজীবিতার উদাহরণ। ☑

      30. অ্যান্টিবায়োটিকে উপকারী ও অপকারী উভয় প্রকারে ব্যাকটেরিয়া মারা যায়। ☑

      31. রাইজোবিয়াম ব্যাকটেরিয়া মটরগাছের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ☑

      32. মানুষের প্রয়োজনীয় ভিটামিন B₁₂ রাইজোবিয়াম সরবরাহ কর x

      সঠিক উত্তর: মানুষের প্রয়োজনীয় ভিটামিন B₁₂ এশ্চেরিচিয় কোলাই সরবরাহ করে।

      33. ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে বর্জ্য থেকে মিথেন গ্যাস তৈরি করা সম্ভব। ☑

      34. পোলিয়ো রোগকে ভ্যাকসিনের সাহায্যে ঠেকানো সম্ভব। ☑

      35. বর্জ্য থেকে ব্যাকটেরিয়া ব্যবহারযোগ্য যৌগ তৈরি করে। ☑

      Leave a Reply

      Your email address will not be published. Required fields are marked *