WBBSE Class 8 Amader Paribesh Chapter 8 মানুষের খাদ্য ও খাদ্য উৎপাদন Solution | Bengali Medium

Class 8 Chapter 8 Bengali Medium

মানুষের খাদ্য ও খাদ্য উৎপাদন

1. MCQs Question Answer

1. তণ্ডুল জাতীয় ফসল হল-.

(a) ধান

(b) তুলো

(c) ছোলা

(d) সরষে

উত্তর: (a) ধান

2. একটি কন্দ জাতীয় ফসল হল-

(a) আখ

(b) তুলো

(c) আদা

(d) গোলমরিচ

উত্তর: (c) আদা

3. একটি খারিপ ফসল হল-

(a) গম

(b) ভুট্টা

(c) ছোলা

(d) সরষে

উত্তর: (b) ভুট্টা

4. চাষের জমির একটি সাধারণ আগাছা হল-

(a) বিগোনিয়া

(b) রুবেলা

(c) কচুরিপানা

(d) অ্যামারেখাস

উত্তর: (d) অ্যামারেখাস

5. রবি ফসল তোলা হয়-

(a) মার্চ/এপ্রিল মাসে

(b) এপ্রিল/মে মাসে

(c) মে/জুন মাসে

(d) জুন/জুলাই মাসে।

উত্তর: (a) মার্চ/এপ্রিল মাসে

6. উদ্ভিদের বৃদ্ধির একটি মুখ্য খাদ্য উপাদান হল-

(a) Fe

(b). Cu

(c) B

(d) N

উত্তর: (d) N

7. যে সার ব্যবহারে মাটির আম্লিক ভাব বেড়ে যায় তা হলো-

(a) গোবরসার

(b) পাতাসার

(c) সবুজসার

(d) অ্যামোনিয়াম সালফেট।

উত্তর: (d) অ্যামোনিয়াম সালফেট।

৪. বিন বা ডালগাছের মুলে বাসা বাঁধে-

(a) ক্লসট্রিডিয়াম

(b) রাইজোবিয়াম

(c) অ্যাজোটোব্যাক্টর

(d) অ্যামিবিয়োসিস

উত্তর: (b) রাইজোবিয়াম

9. উদ্ভিদের দেহে জল থাকে প্রায়-

(a) 70%

(b) 80%

(c) 90%

(d) 100%

উত্তর: (c) 90%

10. জলসেচে বড়ো কুয়ো আর বালতি লাগানো চাকা ব্যবহার করা হয়-

(a) ঢেকাল পদ্ধতিতে

(b) রাহাত পদ্ধতিতে

(c) ফোয়ারা পদ্ধতিতে

(d) ড্রিপ পদ্ধতিতে

উত্তর: (b) রাহাত পদ্ধতিতে

11. পার্থেনিয়াম হল একটি-

(a) সবজি

(b) তন্তু জাতীয় ফসল

(c) আগাছা

(d) আলঙ্কারিক উদ্ভিদ

উত্তর: (c) আগাছা

12. নিম্নে প্রদত্ত যৌগগুলির মধ্যে আগাছানাশক হল- [Santragachi Kedarnath Institution, 2019]

(a) ইউরিয়া

(b) অ্যামোনিয়া

(c) DDT

(d) 2.4-D

উত্তর: (d) 2.4-D

13. উদ্ভিদের পাতা খেয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে-

(a) ইঁদুর

(b) উট

(c) পঙ্গপাল

(d) গুবরে পোকা

উত্তর: (c) পঙ্গপাল

14. গমে মরিচা রোগ সৃষ্টি করে-

(a) ভাইরাস

(b) ছত্রাক

(c) ব্যাকটেরিয়া

(d) আদ্যপ্রাণি

উত্তর: (b) ছত্রাক

15. ম্যলাথিওন হল একটি-

(a) আগাছানাশক

(b) ইঁদুরনাশক

(c) ছত্রাকনাশক

(d) কীটনাশক

উত্তর: (d) কীটনাশক

16. ভারতের প্রধান খাদ্যশস্য হল-

(a) ভুট্টা

(b) ধান

(c) গম

(d) জোয়ার

উত্তর: (b) ধান

17. শরৎকালীন ধান হল-

(a) আউশ

(b) আমন

(c) বোরো

(d) বাসমতী

উত্তর: (a) আউশ

18. খুব তাড়াতাড়ি পেকে যায় এরূপ জাতের ধান হল-

(a) জয়া

(b) জয়ন্তী

(c) পঙ্কজ

(d) রত্না

উত্তর: (d) রত্না

19. পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে আগে পাকে যে আম, সেটি হল-

(a) ল্যাংড়া

(b) ফজলি

(c) হিমসাগর

(d) গোলাপখাস

উত্তর: (d) গোলাপখাস

20. গাছের ডালকেটে মাটিতে পুঁতে নতুন গাছ তৈরির পদ্ধতিকে বলে-

(a) জোড়া কলম

(b) ভিনিয়ার কলম

(c) শাখাকলম

(d) চিপকলম

উত্তর: (c) শাখালকম

21. পশ্চিমবঙ্গে সাধারণত আমগাছে মুকুল আসে-

(a) পৌষ মাঘ মাসে

(b) মাঘ/ ফাল্গুল মাসে

(c) ফাল্গুন/ চৈত্র মাসে

(d) চৈত্র/ বৈশাখ মাসে

উত্তর: (a) পৌষ মাঘ মাসে

22. চায়ের উদ্দীপক উপাদানটি হল-

(a) ট্যানিন

(b) ক্যাফিন

(c) ফ্ল্যাভোনয়েড

(d) পলিফেনল

উত্তর: (a) ট্যানিন

23. চা গাছের চাষে ছায়া তরুর কাজ করে-

(a) সিট্রোনেলা ঘাস

(b) ক্রোটালারিয়া

(c) সিলভার ওক

(d) অ্যামারান্থাম

উত্তর: (c) সিলভার ওক

24. একটি সমাজবদ্ধ পতঙ্গ হল-

(a) আরশোলা

(b) মৌমাছি

(c) প্রজাপতি

(d) মশা

উত্তর: (b) মৌমাছি

25. মোমগ্রন্থি থাকে মৌমাছিদের-

(a) মুখে

(b) ডানায়

(c) পায়ে

(d) পেটের থলিতে

উত্তর: (d) পেটের থলিতে

26. ফুলের মকরন্দ থেকে শ্রমিক মৌমাছিরা তৈরি করে-

(a) মোম

(b) মধু

(c) রয়াল জেলি

(d) মৌরুটি

উত্তরঃ (b) মধু

27. মৌমাছি প্রতিপালন পদ্ধতিকে বলে-

(a) এপিকালচার

(b) সেরিকালচার

(c) পিসিকালচার

(d) হর্টিকালচার

উত্তর: (a) এপিকালচার

28. মৌমাছিদের সন্তান পালনের প্রকোষ্ঠ থাকে মৌচাকের-

(a) ডানদিকে

(b) বামদিকে

(c) ওপরের দিকে

(d) নীচের দিকে

উত্তর: (d) নীচের দিকে।

29. একটি মৌচাকে রানি মৌমাছি থাকে-

(a) 1টি

(b) ২টি

(c) 3টি

(d) 4টি

উত্তর: (a) 1টি

30. পিসিকালচার কী?

(a) মুক্তার চাষ

(b) মৌমাছির চাষ

(c) মাছ চাষ

(d) রেশম চাষ

উত্তর: (c) মাছ চাষ

31. কোন্ কার্পটি বহিরাগত?

(a) বাটা

(b) পুঁটি

(c) কালবোস

(d) সিলভার কার্প

উত্তর: (d) সিলভার কার্প

32. মাথায় আঁশ নেই এরূপ একটি মাছ হল

(a) কই

(b) ইলিশ

(c) বুই

(d) ভেটকি।

উত্তর: (c) রুই

33. কোল্টি মাইনর কার্প

(a) বুই

(b) কালবোস

(c) কাতলা

(d) বাটা

উত্তর: (d) বাটা

34. শুক্রাণু আর ডিম্বাণুর মিলনে তৈরি হয়-

(a) চারাপোনা

(b) ডিম পোনা

(c) ধানি পোনা

(d) পূর্ণাঙ্গ মাছ

উত্তর: (b) ডিম পোনা

35. কৃত্রিম পদ্ধতিতে মাছ চাষে যে গ্রন্থির নির্যাস মাছেদের ইনজেকশান দেওয়া যায়, তা হল-

(a) থাইরয়েড গ্রন্থি

(b) অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি

(c) পিটুইটারি গ্রন্থি

(d) অগ্নাশয় গ্রন্থি

উত্তর: (c) পিটুইটারি গ্রন্থি

36. কৃত্রিম পদ্ধতিতে মাছ চাষে ইনজেকশানের জন্য নেওয়া যায়-

(a) 1টি স্ত্রী ও1 টি পুরুষ মাছ

(b) 1 টি স্ত্রী ও ২ টি পুরুষ মাছ

(c) 2 টি স্ত্রী ও 1 টি পুরুষ মাছ

(d) 2 টি স্ত্রী ও 2 টি পুরুষ মাছ

উত্তর: (b) 1 টি স্ত্রীও 2 টি পুরুষ মাছ

37. ডিম থেকে ডিমপোনা তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা হয়-

(a) হ্যাচারি

(b) আঁতুড় পুকুর

(c) পালন পুকুর

(d) সঞ্চয়ী পুকুর

উত্তর: (a) হ্যাচারি

38. ডিমপোনাদের প্রতিপালন করা হয়-

(a) হ্যাচারিতে

(b) পালন পুকুরে

(c) আঁতুড় পুকুরে

(d) সঞ্চয়ী পুকুরে

উত্তর: (a) হ্যাচারিতে

39. জলের ওপরের স্তর থেকে খাবার সংগ্রহ করে-

(a) কাতলা

(b) বুই

(c) মৃগেল

(d) গ্রাসকার্প

উত্তর: (c) মৃগেল

40. ময়লা জলের ভেড়ি দেখা যায়-

(a) পূর্ব কোলকাতায় 

(b) পশ্চিম কোলকাতায়

(c) উত্তর কোলকাতায়

(d) দক্ষিণ কোলকাতায়

উত্তর: (a) পূর্ব কোলকাতায়

41. একটি পোলট্রি পাখি হল-

(a) পায়রা

(b) টিয়া

(c) শালিক

(d) মুরগি

উত্তর: (d) মুরগি

42. ডিম উৎপাদনকারী জাতির একটি মুরগি হল

(a) আসিল

(b) লেগহর্ন

(c) ব্রামা

(d) প্লাউমাউথ রক

উত্তরঃ (b) লেগহর্ন

43. মাংস উৎপাদনকারী জাতির একটি মুরগি হল-

(a) মিনরকা

(b) রোড আইল্যান্ড

(c) চিটাগং

(d) নিউ হ্যাম্পশায়ার

উত্তর: (d) চিটাগং

44. ডিমে তা দেওয়া মুরগির একটি উদাহরণ হল-

(a) মিনরকা

(b) রোডআইল্যান্ড রেড

(c) চিটাগং

(d) নিউ হ্যাম্পশয়ার

উত্তর: (c) চিটাগং

45. কোনটি লিটারে উপাদান হয় না?

(a) কাঠের গুঁড়ো

(b) শুকনো পাতা

(c) ধানের তুষ

(d) বালি

উত্তর: (d) বালি

46. শস্যাগারে সারাক্ষণ কোন্ গ্যাস চালনা করে শস্য ধ্বংসকারী জীবদের মেরে ফেলা যায়?

(a) অক্সিজেন

(b) নাইট্রোজেন

(c) অ্যামোনিয়া

(d) হাইড্রোজেন

উত্তর: (b) নাইট্রোজেন

47. বাণিজ্যিক চা গাছগুলো থেকে বছরে কত বার পাতা তোলা হয়?

(a) 10-15 বার

(b) 20-25 বার

(c) 35-40 বার

(d) 50-55 বার

উত্তর: (c) 35-40 বার

48. পশুশক্তিকে কাজে লাগিয়ে চাকা ঘুরিয়ে কুয়ো থেকে জল তোলা হয়-

(a) রাহাত পদ্ধতিতে

(b) ফোয়ারা পদ্ধতিতে

(c) ঢোকাল পদ্ধতিতে 

(d) কোনোটিই নয়

উত্তর: (a) রাহাত পদ্ধতিতে

49. ডিম আর, মাংস দুটোই পাওয়ার জন্য পালন করা হয়-

(a) প্লাইমাউথ রক

(b) লেগ হর্ন

(c) মিনরকা

(d) ব্রামা

উত্তর: (a) প্লাইমাউথ রক

50. মৌমাছির মধুথলিতে মকরন্দের সঙ্গে লালারস মিশ্রিত হওয়ার ফলে-

(a) মকরন্দের শর্করা নষ্ট হয়ে যায়

(b) মকরন্দে থাকা শর্করার কিছু পরিবর্তন হয়

(c) মধু সৃষ্টিতে বিলম্ব হয়

(d) মধুতে জলের পরিমাণ বেড়ে যায়

উত্তরঃ (b) মকরন্দে থাকা শর্করার কিছু পরিবর্তন হয়

2. Very Short Question Answer

1. একটি নাবি জাত ধানের নাম লেখো।

উত্তর: তন্ডুল জাতীয়।

2. ডাল জাতীয় ফসলের একটি উদাহরণ দাও।

উত্তর: ছোলা।

3. মশলা পাওয়া যায় এমন দু’প্রকার গাছের নাম লেখো।

উত্তর: গোলমরিচ, আদা গাছ।

4. চা, কফি, রবার কোথায় চাষ করা হয়?

উত্তর: বাগানে।

5. ওষুধ পাওয়া যায় এমন একটি গাছের নাম লেখো।

উত্তর: তুলসী।

6. খরিফ ফসল কখন তোলা হয়?

উত্তর: বর্ষার শেষে।

7. খরিফ ফসলের ফলন নির্ভর করে কীসের উপর?

উত্তর: দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর উপর।

৪. খরিফ ফসলের দু’টো উদাহরণ দাও।

উত্তর: ধান, চিনেবাদাম।

9. রবি ফসলের চাষ কখন শুরু হয়?

উত্তর: সাধারণত শীতের শুরুতে।

10. সরষে, বার্লি কী ধরনের ফসল?

উত্তর: রবি ফসল।

11. গোল্ডেন রাইসে কোন্ ভিটামিন থাকে?

উত্তর: ভিটামিন A।

12. কৃষকের বন্ধুর মতো কাজ করে কোন্ কোন্ জীব?

উত্তর: কেঁচো ও নানান জীবাণু।

13. লাঙলের কোন্ অংশ মাটি কাটতে সাহায্য করে?

উত্তর: ফলক অংশ।

14. পাওয়ার টিলার কী?

উত্তর: এক ধরনের কর্ষক।

15. বীজ বোনার আগে চাষিরা বীজগুলোকে কোনো কোনো রাসায়নিকে ডুবিয়ে নেন কেন?

: বীজগুলোকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য।

16. উদ্ভিদের যে-কোনো দু’ধরনের মুখ্য খাদ্য উপাদানের নাম লেখো।

উত্তর: N, P

17. উদ্ভিদের দু’ধরনের গৌণ খাদ্য উপাদানের নাম লেখো।

উত্তর: Fe, Mn I

18. সার কয়প্রকার ও কী কী?

উত্তর: সার দু’প্রকারের, (i) জৈব সার, (ii) অজৈব সার।

19. প্রাণীদের বর্জ্য থেকে কী সার তৈরি হয়?

উত্তর: জৈব সার।

20. জৈব সার প্রস্তুতিতে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের ভূমিকা কী?

উত্তর: বিয়োজন ও রূপান্তরে সাহায্য করা।

21. সার প্রধানত কোন্ কোন্ মৌলের ঘাটতি পূরণ করে?

উত্তর: NPK।

22. একটি অজৈব সারের উদাহরণ দাও।

উত্তর: ইউরিয়া।

23. অজৈব সারের পরিবেশগত সমস্যা কী?

উত্তর: জলদূষণ।

24. দু’টো ফসল চাষের মাঝে জমিতে কী ধরনের উদ্ভিদের চাষ করা উচিত?

উত্তর: শিম্বগোত্রীয় উদ্ভিদের।

25. শস্য আবর্তনে সাহায্যকারী একটি ব্যাকটেরিয়ার নাম লেখো। 

উত্তর: রাইজোবিয়াম।

26. ফোয়ারা পদ্ধতিতে জল চাষের জমিতে কোথায় ফেলা হয়?

উত্তর: ফসলের ওপর।

27. ড্রিপ পদ্ধতিতে চাষের জমিতে জল কোথায় দেওয়া হয়?

উত্তর: উদ্ভিদের মূলের ঠিক কাছে।

28. পঙ্গপাল শস্য উদ্ভিদের কীভাবে ক্ষতি করে?

উত্তর: পাতা খেয়ে।

29. গাছের কান্ড যারা কুরে কুরে খায় তাদের কী বলা হয়?

উত্তর: Stem borer (স্টেম বোরার)।

30. আলু গাছের ছত্রাকঘটিত একটি রোগের নাম লেখো।

উত্তর: ধসা।

31. মরিচা রোগ কোন্ উদ্ভিদে দেখা যায়?

উত্তর: গম উদ্ভিদে।

32. চালে কার্বোহাইড্রেট কত থাকে?

উত্তর: 79.1%।

33. খরিফ ঋতুতে ভালো বৃষ্টি হয় এমন অঞ্চলের পক্ষে কী ধরনের বীজতলা উপযোগী?

উত্তর: শুষ্ক বীজতলা।

34. আমে উপস্থিত ফাইটোকেমিক্যালস্টির নাম কী? 

উত্তর: বিটা-ক্যারোটিন।

35. জোড় কলম পদ্ধতিতে স্টকের সঙ্গে যে উন্নত জাতের গাছের শাখা যুক্ত করা হয়, তাকে কী বলে?

উত্তর: সিয়ন।

36. সবুজ চায়ে কোন্ ভিটামিন থাকে? 

উত্তর: ভিটামিন KI

37. মৌমাছিদের কাছ থেকে আমরা কী কী পাই?

উত্তর: মধু আর মোম।

38. কার্প কী রকম জলের মাছ?

উত্তর: মিঠে জলের মাছ।

39. অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পন্ন পাখিদের কী বলা হয়?

উত্তর: পোলট্রি পাখি।

40. মুরগির ডিমে কী কী মৌল পাওয়া যায়?

উত্তর: Fe, Ca, P, K প্রভৃতি মৌল।

41. মৃগেল মাছ জলের কোন স্তর থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে?

উত্তর: নীচের স্তর থেকে

42. লিটার তৈরি করার জন্য ঘরের মেঝেকে জীবাণুমুক্ত করতে কী ব্যবহার করা হয়?

উত্তর: চুন আর ব্লিচিং পাউডার।

43. মুরগির একটি ব্রিডের উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ আসিল।

44. প্রণোদিত প্রজননে মাছকে কোন্ গ্রন্থির নির্যাসে ইনজেকশন দেওয়া হয়?

উত্তর: পিট্যুইটারি গ্রন্থি।

45. মধুতে উপস্থিত শর্করাগুলি কী কী?

উত্তর: গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ।

46. এপিয়ারি কী?

উত্তর: মৌমাছি পালনে মৌমাছির থাকার জায়গাকে এপিয়ারি বলে।

47. চায়ের চারা গাছগুলোর গোড়ায় পাতা, খড় ইত্যাদি রাখা হয়। একে কী বলে?

উত্তর: মালচিং (Mulching) |

48. স্টক ও সিয়নের মধ্যে একটি পার্থক্য লেখো।

উত্তর: মূলযুক্ত অনুন্নত উদ্ভিদ হল স্টক এবং ডালপালাযুক্ত উন্নত জাতের উদ্ভিদ হল সিয়ন।

49. মধুকে পুষ্টিকর খাদ্য বলে বিবেচনা করা হয় কেন?

উত্তর: মধুতে গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ থাকে বলে।

50. সাইলো (Silo) কী?

উত্তর: ব্যাপক মাত্রায় শস্য সঞ্চয়ের জন্য ব্যবহৃত বায়ুহীন ঘরকে সাইলো বলে।

3. Short Question Answer

1. খরিফ ফসল কাকে বলে? কয়েকটি উদাহরণ দাও।

উত্তর: সাধারণত বর্ষার শুরুতে যে ফসলের চাষ শুরু হয় এবং বর্ষার শেষে ফসল তোলা হয়, তাকে খারিফ ফসল বলে। উদাহরণ: ধান ভুট্টা, তুলো, চিনেবাদাম ইত্যাদি।

2. রবি ফসল কাকে বলে? কয়েকটি উদাহরণ দাও।

উত্তর: সাধারণত শীতের শুরুতে যে ফসলের চাষ শুরু হয় এবং মার্চ/এপ্রিল মাসে ফসল তোলা হয়, তাকে রবি ফসল বলে। উদাহরণ: গম, ছোলা, মটর, সরষে ইত্যাদি।

3. ফসল উৎপাদনের জন্য একজন কৃষককে পর্যায়ক্রমিক কী কী কাজ করতে হয়?

উত্তর: ফসল উৎপাদনের জন্য একজন কৃষককে যে কাজগুলি করতে হয়, তা হল- (i) চাষের জমির মৃত্তিকা প্রস্তুতিকরণ, (ii) বীজ বোনা, (iii) সার প্রয়োগ, (iv) জলসেচ, (v) আগাছা দমন, (vi) কীটনাশক প্রয়োগ (vii) ফসল তোলা, (viii) ফসল সঞ্চয় করে রাখা।

4. কেঁচোকে কৃষকের বন্ধু বলে কেন?

উত্তর: কেঁচো মাটিকে আলগা করতে সাহায্য করে ফলে মাটিতে আলো, বাতাস ঢুকতে পারে, এবং মাটির জৈব অংশ বাড়াতেও সাহায্য করে। তাই কেঁচোকে কৃষকের বন্ধু বলা হয়।

5. কৃষিকাজে সার প্রয়োগের কারণ কী?

উত্তর: একই জমিতে বারবার ফসল ফলানো হলে মাটিতে থাকা উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদানগুলো ফুরিয়ে আসে। তাই কৃষি জমিতে সার প্রয়োগ করতে হয়।

6. জৈব সার কীভাবে তৈরি করা হয়?

উত্তরঃ মৃত উদ্ভিদ আর প্রাণীদের বর্জ্য পচিয়ে জৈব সার তৈরি করা হয়।

7. আগাছা কীভাবে ফসলের বৃদ্ধি ব্যাহত করে?

উত্তর: চাষের জমিতে আগাছাগুলো চাষযোগ্য উদ্ভিদের বাসস্থান। জল, পুষ্টি ও আলোয় ভাগ বসিয়ে ফসলের বৃদ্ধি ব্যাহত করে।

৪. কয়েকটি আগাছানাশক রাসায়নিকের নাম করো।

উত্তর: কয়েকটি আগাছানাশক রাসায়নিক হল 2,4-D, ড্যালাপোন, পিক্লোরাম ইত্যাদি।

9. চাষের জমির কয়েকটি সাধারণ আগাছার নাম লেখো।

উত্তর: চাষের জমির কয়েকটি সাধারণ আগাছার নাম হল ঘাস, পার্থেনিয়াম, অ্যামারান্থাস, চেনোপোডিয়াম ইত্যাদি।

10. কয়েকটি ফসল ধ্বংসকারী প্রাণীর নাম লেখো।

উত্তর: কয়েকটি ফসল ধ্বংসকারী প্রাণী হল পঙ্গপাল, উই, গুবরে জাতীয় পোকা, ইঁদুর ইত্যাদি।

11. শস্যাগারে নাইট্রোজেন গ্যাস চালনা করার কারণ কী?

উত্তর: শস্যাগারে নাইট্রোজেন গ্যাস চালনা করার ফলে ফসল ধ্বংসকারী জীবেরা শস্যাগারের মধ্যে অক্সিজেনের অভাবে বাঁচতে পারে না।

12. ধান কয় প্রকার ও কী কী?

উত্তর: জাতিগত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে ধান তিন প্রকারের হয়। যেমন – আউশ বা শরৎকালীন ধান, আমন বা শীতকালীন ধান এবং বোরো বা গ্রীষ্মকালীন ধান।

13. পশ্চিমবঙ্গে কোন ধানের চাষ বেশি হয় এবং কখন তা চাষ করা হয়?

উত্তর: পশ্চিমবঙ্গে আমন ধানের চাষ বেশি হয় এবং বর্ষাকালে তা চাষ করা হয়।

14. ভারতে প্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি আমের নাম লেখো।

উত্তর: ভারতে পাওয়া যায় এরকম কয়েকটি উল্লেখযোগ্য আম হল- হিমসাগর, বোম্বাই, ল্যাংড়া, গোলাপখাস, পেয়ারাফুলি, ফজলি, চৌসা, দশেরি, আম্রপালি, আলফানসো, বেগমফুলি ইত্যাদি।

15. কতরকম পদ্ধতিতে আমগাছের কলম করা হয়?

উত্তর: বিভিন্ন পদ্ধতিতে আমগাছের কলম করা হয়, যেমন- জোড় কলম, ভিনিয়ার কলম, চিপ কলম ও আঁটির কলম।

16. জোড় কলম কাকে বলে?

উত্তর: আঁটি থেকে তৈরি করা একটি চারাগাছের (স্টক) সঙ্গে উন্নত জাতের আমগাছের শাখা (সিয়ন) একসঙ্গে জোড় বেঁধে যে কলম করা হয়, তাকে জোড় কলম বলে।

17. উন্নত জাতের আমকে কীভাবে সংরক্ষণ করা হয়? 

উত্তর: উন্নত জাতের আমকে পরিণত, শক্ত ও সবুজ অবস্থায় তুলে ভালোভাবে প্যাকিং করে হিমঘরে যথাযথ উয়তা ও আর্দ্রতায় বেশ কয়েকসপ্তাহ ভালোভাবে সংরক্ষণ করা যায়।

18. ভারতের প্রধান চা উৎপাদনকারী রাজ্যগুলোর নাম লেখো।

উত্তর: ভারতের প্রধান চা উৎপাদনকারী রাজ্যগুলো হল পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু ও কেরল। আসাম,

19. ভারতের বিখ্যাত কয়েকটি চায়ের নাম লেখো।

উত্তর: ভারতের বিখ্যাত কয়েকটি চায়ের নাম হল- দার্জিলিং, অসম ও নীলগিরি চা।

20. বীজ থেকে কীভাবে চা গাছের বংশবিস্তার করানো হয়?

উত্তর: ভালো জাতের সুস্থ, সবল ও সতেজ বীজ বালির ওপরে রেখে অঙ্কুরোদ্গম ঘটানো হয় এবং সেগুলি নার্সারি বাগিচায় স্থানান্তরিত করা হয়।

21. সমাজবদ্ধ জীব বলতে কী বোঝ?

উত্তর: শ্রমবিভাজনের ভিত্তিতে যখন কোনো জীবগোষ্ঠী একত্রে উপনিবেশ স্থাপন করে বসবাস করে, তখন তাদের সমাজবদ্ধ জীব বলে। মানুষ, সিংহ-এরা সমাজবদ্ধ জীব।

22. ফিশারি বলতে কী বোঝ?

উত্তর: মাছ এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক গুরুত্বসম্পন্ন জলবাসী প্রাণীদের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ করাকে বলে ফিশারি।

23. সংগ্রহভিত্তিক (ক্যাপচার) মাছ চাষ বলতে কী বোঝ?

উত্তর: সমুদ্র, নদী ইত্যাদি বিশাল জলাশয়ে মাছের প্রতিপালন করা যায় না; সেখান থেকে কেবল মাছ ধরার বিভিন্ন পদ্ধতিকে সংগ্রহভিত্তিক (ক্যাপচার) মাছ চাষ বলে।

24. মেজর ও মাইনর কার্প কাকে বলে?

উত্তর: বড়ো আকারের কার্পকে মেজর কার্প বলে। যেমন বুই, কাতলা, মৃগেল ও কালবোস। অপরপক্ষে ছোটো আকারের কার্পকে মাইনর কার্প বলে, যেমন- বাটা, সরলপুঁটি ইত্যাদি।

25. প্রাকৃতিক উপায়ে কীভাবে ডিমপোনা সংগ্রহ করা হয়?

উত্তরঃ পোনামাছ বর্ষাকালে নদী প্লাবিত এলাকায় ডিম ছাড়ে। মাছ চাষিরা মিহি জালের সাহায্যে নিষিক্ত ডিম বা ডিমপোনা সংগ্রহ করে।

26. অন্তর্দেশীয় মাছ চাষ কাকে বলে?

উত্তর: পুকুর, ঝিল, ভেড়ি, হ্রদ প্রভৃতি জলাশয়ে খাদ্য উপযোগী মাছের প্রতিপালন, সংগ্রহ, সংরক্ষণ ইত্যাদি সামগ্রিক প্রক্রিয়াকে অন্তর্দেশীয় মাছ চাষ বলে। এভাবে বুই, কাতলা, ট্যাংরা ইত্যাদি মাছ চাষ করা হয়।

27. অর্থনৈতিক উপযোগিতার ভিত্তিতে মুরগিকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়?

উত্তর: অর্থনৈতিক উপযোগিতার ভিত্তিতে মুরগিদের তিনটে ভাগে ভাগ করা হয় (i) ডিম উৎপাদনকারী জাতি, (ii) মাংস উৎপাদনকারী জাতি এবং (iii) উভয়গুণ সম্পন্ন জাতি।

28. হাল্কা ও ভারী জাতের মুরগি বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দাও।

উত্তর: যেসব মুরগির ওজন 2-3 কিলোগ্রামের মধ্যে থাকে, তারা হল হালকা জাতের মুরগি। উদাহরণ: লেগহর্ন। আর যে সব মুরগির ওজন ও কিলোগ্রামের বেশি হয়, তারা হল ভারী জাতের মুরগি। উদাহরণ: আসিল, ব্রামা, প্লাইমাউথ রক।

29. সিটার ও নন-সিটার মুরগি কাদের বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তর: যেসব মুরগি ডিমে তা দেয়, তারা হল সিটার মুরগি। উদাহরণ : ব্রামা, কোচিন। আর যেসব মুরগি ডিমে তা দেয় না, এরা হল নন-সিটার মুরগি। উদাহরণ : লেগহর্ন।

30. লিটার কী?

উত্তর: বিচলি, কাঠের গুঁড়ো, শুকনো পাতা, ধানের তুষ, তুলোবীজ ইত্যাদি দিয়ে মুরগি পালন ঘরের মেঝেতে যে শয্যা তৈরি করা হয় তাকে লিটার বলে।

31. ব্রয়লার কোন্ ধরনের মুরগির সমন্বয়ে তৈরি করা হয়?

উত্তর: অধিক মাংস পাওয়ার জন্য কর্নিস জাতের পুরুষ মুরগির সঙ্গে প্লাইমাউথ জাতের স্ত্রী মুরগির মিলন ঘটিয়ে সংকর জাতের ব্রয়লার মুরগি তৈরি করা হয়।

32. ভালো বীজ ও খারাপ বীজ চেনার উপায় কী?

উত্তর: বীজ বপনের আগে বীজগুলো জলে ফেললে দেখা যায় যে ভালো অর্থাৎ সুস্থ বীজগুলো ভারী হওয়ার জন্য জলে ডুবে যায় এবং খারাপ অর্থাৎ নষ্ট হয়ে যাওয়া বীজগুলো হালকা বলে জলে ভেসে থাকে। এইভাবে ভালো ও খারাপ বীজ চেনা যায়।

33. বীজ বপনের জন্য যন্ত্র ব্যবহারের সুবিধা কী?

উত্তর: যন্ত্রের সাহায্যে বীজ বপন করলে সঠিক দুরত্ব এবং গভীরতায় বীজ বোনা সম্ভব হয়। তাছাড়া বীজগুলো সবসময়েই মাটি দিয়ে ঢাকা পড়ে যায় বলে পাখিরাও বীজের নাগাল পায় না।

34. অজৈব ও জৈব সারের পার্থক্য কী?

উত্তর: অজৈব ও জৈব সারের পার্থক্য-

অজৈব সারজৈব সার
(i) রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি হয়।(ⅰ) মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণীদের বর্জ্য পচিয়ে তৈরি হয়।
(ii) এই সার কারখানায় তৈরি হয়।(ii) খোলা জায়গায় মাটিতে গর্ত খুঁড়ে সেখানে তৈরি হয়।
(iii) মাটিতে থাকা উপকারী জীবাণুদের মেরে ফেলে।(iii ) মাটিতে থাকা উপকারী জীবাণুদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে।

35. প্রাকৃতিক উপায়ে মাটি কীভাবে তার হারানো উপাদান ফিরে পায়?

উত্তর: দুটো ফসল চাষের মধ্যবর্তী সময়ে অন্য কোনো চাষ না করলে মাঠে জমা মৃত উদ্ভিদ, প্রাণী বা অন্যান্য জৈব বস্তু বিভিন্ন জীবাণুর ক্রিয়ায় পচে মাটিতে মিশে যায়, ফলে মাটি তার হারানো উপাদানগুলো ফিরে পায়।

36. কী কী উপায়ে আগাছা অপসারণ করা হয়?

উত্তর: আগাছা অপসারণের উপায়গুলো হল- (i) হাতে করে মাটি থেকে আগাছা তুলে ফেলা, (ii) কখনও বা আগাছাগুলোকে মাটির খুব কাছ থেকে কেটে ফেলা, (iii) আগাছানাশক রাসায়নিক পদার্থ স্প্রে করা।

37. ফসল ধ্বংসকারী প্রাণী দমনের কয়েকটি রাসায়নিক পদার্থের নাম লেখো। 

উত্তর: ফসল ধ্বংসকারী প্রাণী দমনের রাসায়নিক পদার্থের মধ্যে ডিডিটি, বিএইচসি, ম্যালাথিওন ইত্যাদি পতঙ্গদের দমনে সাহায্য করে। জিঙ্ক ফসফাইড এবং ওয়ারফেরিন ইঁদুর জাতীয় প্রাণীদের দমন করে।

38. কীভাবে ফসল ঝাড়াই করা হয়?

উত্তর: দানাশস্য থেকে ভূষিকে আলাদা করার জন্য বাতাসের সাহায্য নেওয়া হয়। উঁচু জায়গা থেকে ফেললে হালকা হওয়ার জন্য হাওয়ায় ভূষি উড়ে যায় আর দানাশস্যগুলো মাটিতে পড়ে জমা হয়।

39. মাড়াই কীভাবে করা হয়?

উত্তর: দানা জাতীয় ফসলকে উদ্ভিদ থেকে আলাদা করাকে মাড়াই বলে। এক্ষেত্রে ফসল উদ্ভিদকে মাটিতে আছড়ে কাজটা করা হয়। কখনও ফসলকে উদ্ভিদসহ মাটিতে ফেলে রেখে তার ওপর দিয়ে গাধা বা বলদ হাঁটানো হয়।

40. দানাশস্য মজুত করার আগে শুকিয়ে নেওয়া হয় কেন?

উত্তর: সদ্য সংগ্রহ করা ফসলে আর্দ্রতা বেশি থাকে, ফলে নানা অণুজীবের আক্রমণ ঘটতে পারে। তাই মজুত করার আগে দানাশস্য ভালো করে সূর্যের আলোয় শুকিয়ে নেওয়া হয়। কারণ আর্দ্রতা কম থাকলে দানাশস্যে অণুজীবদের আক্রমণ রোধ করা সম্ভব।

41. চালের পুষ্টিমূল্য কীরূপ?

উত্তর: চালে 79.1% কার্বোহাইড্রেট, 6% প্রোটিন আর 0.4% বিভিন্ন মৌল থাকে। এছাড়াও থাকে ভিটামিন B কমপ্লেক্স আর অন্যান্য কিছু ভিটামিন।

42. ধান পাকার সময়ের ভিত্তিতে ধানের শ্রেণিবিভাগ করো।

উত্তর: ধান পাকার সময়ের ভিত্তিতে ধানকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়-

(i) জলদি জাত / স্বল্পমেয়াদি জাত ধান খুব তাড়াতাড়ি পেকে যায় (সাধারণত 95-115 দিন)। উদাহরণ: রত্না।

(ii) মাঝারি জাত/মধ্যমেয়াদি জাত ধান পাকতে মাঝারি সময় লাগে (সাধারণত 116-135 দিন) উদাহরণ: জয়া, জয়ন্তী ইত্যাদি।

(iii) নাবি জাত/ দীর্ঘমেয়াদি জাত: ধান পাকতে বেশিদিন সময় লাগে (সাধারণত 140-150 দিন)। উদাহরণ স্বর্ণ, মাসুরি, পঙ্কজ ইত্যাদি।

43. ধানচাষে কী পরিমাণ জলসেচের প্রয়োজন হয়?

উত্তর: ধান গাছ বেড়ে ওঠার সময় ও পরিণত অবস্থায় গাছের গোড়ায় 30-50 মিলিমিটার গভীর জল থাকা প্রয়োজন। তাছাড়া খারিফ ঋতুতে অনিয়মিত বৃষ্টিপাতে, প্রাক-খারিফ ও বোরো ধানচাষে নিয়মিত জলসেচের প্রয়োজন হয়।

44. ধান চাষ কী কী ধাপে সম্পন্ন হয়?

উত্তর: ধান চাষের পর্যায়ক্রমিক ধাপগুলি হলো- (i) বীজ বাছাই, (ii) বীজ শোধন, (iii) বীজতোলা প্রস্তুতি ও চারাগাছ তৈরি, (iv) জমি তৈরি, (v) বীজ বোনা ও চারাগাছ রোপণ, (vi) সার প্রয়োগ, (vii) অন্তবর্তী কর্ষণ ও পরিচর্যা, (viii) জলসেচ এবং (ix) ফসল তোলা।

45. সবুজ সার কীভাবে তৈরি করা হয়?

উত্তর: প্রথমে জমিতে শণের বীজ বোনা হয়। শন গাছগুলোর বয়স

5-6 সপ্তাহের মতো হলে লাঙল ও মইয়ের সাহায্যে মাটিতে ভালোভাবে মাড়িয়ে, পচিয়ে সবুজ সার তৈরি করা হয়।

46. কীভাবে চা-গাছের অঙ্গজ বিস্তার করা হয়?

উত্তর: অঙ্গজ বিস্তারের জন্য অব্যবহৃত চা গাছের ঝোপ থেকে সাধারণত 3-4 সেন্টিমিটার লম্বা শাখা কেটে নেওয়া হয়। এইরূপ কেটে নেওয়া শাখায় একটা পাতা ও একটা ফোলা সুপ্ত কাক্ষিক মুকুল থাকে। অতঃপর কেটে নেওয়া শাখাগুলো নার্সারি বাগিচায় রোপন করা হয়।

47. কালো চায়ের গুণাগুণ লেখো।

উত্তর: কালোচায়ে প্রচুর ভিটামিন B কমপ্লেক্স আর ফলিক অ্যাসিড থাকে। এরা প্রদাহ প্রতিরোধী আর পনসার প্রতিরোধী ভূমিকা আছে।

48. মৌচাকে শ্রমিক মৌমাছিরা কী কী কাজ করে?

উত্তর: মৌচাকে শ্রমিক মৌমাছিরা যে কাজগুলো করে তা হল মৌচাক তৈরি করা, ফুলের পরাগরেণু আর মকরন্দ সংগ্রহ করা, রানি ও পুরুষ মৌমাছিদের সেবা করা মধু ও মোম তৈরি করা, সন্তান লালন পালন করা এবং মৌচাক পাহারা দেওয়া। 

49. মধুতে কী কী উপাদান থাকে?

উত্তর: মধুতে প্রচুর গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ থাকে। এছাড়া এতে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থ যেমন Na, K, Ca, Fe, Mg, P ইত্যাদি থাকে। এছাড়াও ভিটামিন A,B কমপ্লেক্স ও C থাকে।

50. দেশীয় পদ্ধতিতে মৌচাকের অসুবিধাগুলি কী কী?

উত্তর: দেশীয় পদ্ধতিতে মৌচাকের অসুবিধাগুলি হল (i) বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হওয়া মৌচাক খুজে বার করতে হয়, ফলে কম মধু পাওয়া যায়।

(ii) এক্ষেত্রে আগুন, জল বা ধোঁয়া দিয়ে মৌমাছি তাড়ানোর ফলে মৌমাছিরা চাক ছেড়ে পালিয়ে যায়, আবার অনেক মৌমাছি মারাও যায়।

(iii) এভাবে প্রাপ্ত মধু খাঁটি হয় না, কারণ এতে লার্ভার রস, ধুলো ইত্যাদি মিশ্রিত হয়।

51. পালন ভিত্তিক (কালচার) মাছ চাষ বলতে কী বোঝ?

উত্তর: পুকুর, খাল, বিল, ভেড়ি প্রভৃতি জলাশয়ে নিয়মিত সার প্রয়োগ, খাদ্য সরবরাহ, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য পরিচর্যার মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে পালন ভিত্তিক (কালচার) মাছ চাষ বলে।

52. মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্র অনুযায়ী মাছ চাষের বিভাজনটি ছকের মাধ্যমে দেখাও

উত্তর: মাছ চাষ → অন্তদের্শীয়, সামুদ্রিক।

অন্তর্দেশীয় স্বাদু/মিঠে, অল্প লবণাক্ত জল।

সামুদ্রিক → উপকূলীয়, গভীর সামুদ্রিক।

53. মাছের মধ্যে কার্প কাদের বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তর: যেসব মিঠে জলের অস্থিবিশিষ্ট মাছের মাথায় আঁশ থাকে না, অতিরিক্ত শ্বাসঅঙ্গ ও চোয়ালে দাঁত থাকে না, তাদের কাপ বলে। উদাহরণ: বুই, কাতলা, মৃগেল, বাটা, গ্রাসকার্প, সিলভার কার্প ইত্যাদি।

54. বিদেশি কার্প বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দাও।

উত্তর: বিদেশ থেকে আমদানি করা যেসব কার্প ভারতীয় জলবায়ুতে বেঁচে থাকে এবং প্রজননে সক্ষম তাদের বিদেশি কার্প বলে।

উদাহরণ: সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প, সাইপ্রিনাস কার্প ইত্যাদি।

55. মেজর ও মাইনর কার্পের মধ্যে পার্থক্য লেখো।

উত্তর: মেজর ও মাইনর কার্পের পার্থক্য-

মেজর কার্পমাইনর কার্প
(i) আকারে বড়ো(i) আকারে ছোটো
(ii) তাড়াতাড়ি বাড়ে।(ii) তাড়াতাড়ি বাড়ে না।
(iii) সাধারণত বদ্ধ জলে ডিম পাড়ে না।(iii) সাধারণত বদ্ধ জলে ডিম পাড়ে।
(iv) ব্যবসায়িক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
উদাহরণ: বুই, কাতলা, মৃগেল, কালবোস।
(iv) ব্যবসায়িক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ নয়।
 উদাহরণ বাটা, পুঁটি ইত্যাদি। 

56. ডিমপোনা, ধানি পোনা ও চারাপোনা কাকে বলে?

উত্তর: ডিম থেকে নির্গত মাছের লার্ভাকে ডিমপোনা বলে। ডিমপোনা যখন 1 ইঞ্চি দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট হয় তখন তাকে ধানিপোনা বলে। ধানিপোনা যখন 4 ইঞ্চি দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট হয়, তখন তাকে চারাপোনা বলে।

57. আঁতুড় পুকুর, পালন পুকুর ও সঞ্চয়ী পুকুর কাকে বলে?

উত্তর: যে পুকুরে ডিম পোনা প্রতিপালন করা হয়, তাকে আঁতুড় পুকুর বলে। যে পুকুরে ধানিপোনা পালন করা হয়, তাকে পালন পুকুর বলে এবং যে পুকুরে চারাপোনা প্রতিপালন করা হয়, তাকে সঞ্চয়ী পুকুর বলে।

58. নিবিড় মিশ্রচাষ বা পলিকালচার কাকে বলে?

উত্তর: মাছের বাসস্থান ও খাদ্য গ্রহণের প্রকৃতি অনুসারে তিন প্রকার দেশীয় মেজর কার্পের (রুই, কাতলা, মৃগেল) সঙ্গে তিন প্রকার বিদেশি মেজর কার্প (গ্রাস কার্প, সিলভার কার্প, সাইপ্রিনাস কার্প) একত্রে সঞ্চয়ী পুকুরে চাষ করার পদ্ধতিকে নিবিড় মিশ্রচাষ বা পলিকালচার বলে।

59. যৌগ মিশ্র মৎস্য চাষের সুবিধাগুলি কী কী?

উত্তর: মিশ্র মাছ চাষের সুবিধাগুলি হলো (i) জলাশয়ের সব স্তরগুলো মাছ চাষের জন্য ব্যবহৃত হয়। (ii) প্রতিযোগী প্রজাতির কেউ কারও ক্ষতিসাধন করে না, (iii) পুকুরে স্তরভিত্তিক মাছ থাকার ফলে বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে কোনো প্রতিযোগিতা দেখা দেয় না, (iv) উৎপাদন খরচ কম ও মাছের ফলন বেশি হয়।

60. ময়লা জলে মাছ কীভাবে খাবার পায়?

উত্তর: ময়লা জলে থাকা বিভিন্ন অজৈব পদার্থ, অজৈব সারের মতো কাজ করে, যার সাহায্যে মাছের প্রাথমিক খাবার ফাইটোপ্ল্যাংকটন প্রচুর পরিমাণে তৈরি হয়। আবার এরই ফলে তৈরি হয় জুপ্ল্যাংকটন ও অন্যান্য পোকামাকড়, যেগুলি খেয়ে ময়লা জলের মাছ জীবনধারণ করে।

61. ডিপ-লিটার পদ্ধতিতে মুরগি পালনে খাবার ও জলের ব্যবস্থা কীভাবে করা হয়?

উত্তর: ডিপ-লিটার ঘরের দেয়ালের বাইরে খাবার আর জলের পাত্র এমনভাবে রাখা হয়, যাতে মুরগি ঘরের ভেতর থেকে শিকেয় ফাঁক দিয়ে মাথা গলিয়ে খাবার আর জল খেতে পারে।

62. প্রণোদিত প্রজনন কাকে বলে?

উত্তর: যে পদ্ধতি পিট্যুইটারি গ্রন্থির নির্যাস মাছকে ইনজেকশন দিয়ে মাছকে উদ্দীপিত করে কৃত্রিমভাবে প্রজনন করানো হয়। তাকে প্রনোদিত প্রজনন বলে।

63. আমের গুণাগুণগুলি লেখো।

উত্তর: আমে থাকে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট ও খনিজ পদার্থ। (Ca, O,Fe) এছাড়া প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন A, B, C, থাকে। এছাড়া জল, তত্ত্ব ও বিটাক্যারোটিন থাকে।

4. Long Question Answer

1. অজৈব সার ব্যবহারের সমস্যা কীরূপ?

উত্তর: অজৈব সারের অত্যাধিক ও অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার মাটিতে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়াদের কাজে বাধা সৃষ্টি করে, ফলে মাটির উর্বরতা বা উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। মাটির বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী অজৈব সার ব্যবহার না করলে মাটির অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য বজায় থাকে না। যেমন অ্যামোনিয়াম সালফেট ব্যবহার করলে মাটির আম্লিক ভাব’ বেড়ে যায়, আবার সোডিয়াম নাইট্রেট ব্যবহারে মাটির ক্ষারকীয়তা বেড়ে যায়। এর ফলে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। তাছাড়া অজৈব সার অনেক সময় চাষের জমি থেকে নদী বা পুকুরের জলে মিশে জলদূষণ ঘটায়।

2. জৈব সার অজৈব সারের থেকে ভালো কেন?

উত্তর: জৈব সার অজৈব সারের চেয়ে ভালো, কারণ- (i) জৈব সার মাটির জলধারণ ক্ষমতা বাড়ায়। (ii) জৈব সার ব্যবহার করলে মাটি রন্দ্রযুক্ত হয়। ফলে মাটির মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন গ্যাসের আদান-প্রদান ভালো হয়। (iii) জৈব সার মাটিতে থাকা উপকারী জীবাণুদের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে, (iv) জৈব সার মাটির গঠন উন্নত করতে সাহায্য করে।

3. শস্য আবর্তন করার কারণ কী?

উত্তর: একই জমিতে ক্রমাগত একই উদ্ভিদের চাষ করলে মাটি থেকে নাইট্রোজেন যৌগ ক্রমশ ফুরিয়ে যায়। তাই দুটো চাষের মাঝে একবার শিম্বগোত্রীয় উদ্ভিদের চাষ করা হয়। এদের মূলে বাসা বাঁধে মিথোজীবী রাইজোবিয়াম নামে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া, যারা পরিবেশ থেকে নাইট্রোজেন গ্রহণ করে তা নাইট্রোজেন যৌগে পরিণত করে, যা শিম্বীগোত্রীয় উদ্ভিদের ব্যবহারের পরে বাকিটা মাটিতে থেকে যায়। তাই শিম্বীগোত্রীয় উদ্ভিদের পরে ধান, গম, ভুট্টা জাতীয় ফসল চাষ করলে, এরা মাটি থেকে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রোজেনের যৌগ গ্রহণ করতে পারে।

4. রাহাত পদ্ধতিতে কীভাবে জমিতে জলসেচ করা হয়?

উত্তর: রাহাত পদ্ধতিতে একটা বড়ো কুয়ো আর চাকা ব্যবহার করা হয়। চাকার গায়ে অনেকগুলো বালতি লাগানো থাকে। পশুশক্তিকে কাজে লাগিয়ে ওই চাকাটা ঘুরিয়ে কুয়ো থেকে বালতিতে জল তোলা হয়। তারপর সেই জল চাষের জমিতে সেচ করা হয়।

5. পেস্টের রাসায়নিক দমনে কীরূপ সমস্যা দেখা দেয়?

উত্তর: রাসায়নিক দমনে পেস্টের দ্রুত মৃত্যু হলেও নানা সমস্যা দেখা দেয়। যেমন- (i) অনেক সময় পেস্ট নির্দিষ্ট একটা রাসায়নিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। (ii) অনেকসময় এই রাসায়নিক পদার্থগুলো পুকুর, নদী ইত্যাদির জলে মিশে জল দূষণ ছড়ায়। (iii) রাসায়নিক পদার্থগুলো ফল বা সবজির মাধ্যমে মানুষের দেহে প্রবেশ করলে নানা সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। (iv) রাসায়নিক পদার্থগুলো অনেকসময় উপকারী পতঙ্গদের মেরে ফেলে।

6. কীভাবে জৈবিক দমন পদ্ধতিতে পেস্টকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়? 

উত্তর: পরভুক ও পরজীবীদের মাধ্যমে ফসল ধবংসকারী পেস্টদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। কয়েকধরনের মাকড়সা, বোলতা, গঙ্গাফড়িং ও বেশ কিছু পাখি ফসলের পেস্টদের ধরে যায়। তাছাড়া কিছু ছত্রাক, প্রোটোজোয়া, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ফসলের পেস্টদের দেহে পরজীবীরূপে বাস করে তাদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

7. আমের গুণাগুণ আলোচনা করো

উত্তর: আঁশবিহীন ভালো জাতের আমে সুন্দর গন্ধযুক্ত শাঁস থাকে। আমে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট ও CaPFe ইত্যাদি খনিজ পদার্থ থাকে। প্রচুর পরিমাণে থাকে ভিটামিন AB কমপ্লেক্স ও C। এছাড়াও থাকে জল, তত্ত্ব ও বিটাক্যারোটিন নামক ফাইটোকেমিক্যাল।

৪. জোড় কলম তৈরির পদ্ধতিটি আলোচনা করো।

উত্তর: জোড় কলম তৈরির পদ্ধতিটি হল (i) একটা চারাগাছের সঙ্গে উন্নত জাতের আমগাছের একটা শাখা একসঙ্গে জোড়া লাগিয়ে সুতলি দাঁড় দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। (ii) জোড়া লাগা সম্পূর্ণ হলে নির্বাচিত আমগাছটার জোড়ের নীচের দিকের অংশ ও চারাগাছের জোড়ের ওপরের দিকের অংশ কেটে ফেলা হয়। (iii) জোড়কলমের মাধ্যমে তৈরি হওয়া গাছটাকে কয়েকদিন ছায়ায় রেখে নার্সারিতে লাগানো হয়।

9. চায়ের ওটি গুণাগুণগুলি আলোচনা করো। 

উত্তর: চায়ের গুণাগুণগুলি হল (i) চায়ে ক্যাফিন থাকায় চা পান করলে শরীরে উদ্দীপনা আসে। (ii) চায়ের ফ্ল্যাভোলয়েড, ট্যানিন, ভিটামিন-B স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। (iii) চায়ের পলিফেনল রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। (iv) চায়ের প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, থিয়োফাইলিন, ভিটামিন K ইত্যাদি স্নায়ুকে উদ্দীপিত করে ও হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখে। (v) চায়ে ফুরাইড থাকায় দাঁতের ক্ষয় রোধ করে।

10. চা চাষের জন্য কীভাবে জমি প্রস্তুত করা হয়?

উত্তর: প্রথমে চা চাষের জমিতে থাকা সব উদ্ভিদ মূলশুদ্ধ উপড়ে ফেলা হয়। তারপর অন্তত 45 সেন্টিমিটার অবধি গভীরভাবে মাটি চষা হয়। এরপর গুয়াটেমালা ঘাস, সিট্রোনেলা ঘাস, কোটালারিয়া ও অন্যান্য কিছু উদ্ভিদের চাষ করা হয়। এই ধরনের উদ্ভিদের চাষ মাটির গঠন উন্নত করে এবং মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বাড়ায়। তাছাড়া এইসব উদ্ভিদের উপস্থিতি মাটিতে থাকা বহু রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুদের মেরে ফেলতে সাহায্য করে। এইভাবে জমি প্রস্তুত হলে এই উদ্ভিদগুলোকে সরিয়ে দিয়ে চা গাছের চারা রোপণ করা হয়।

11. মধু কীভাবে তৈরি হয়? 

উত্তর: শ্রমিক মৌমাছিরা ফুল থেকে মকরন্দ সংগ্রহ করে নিজেদের দেহের মধু থলিতে জমা রাখে। মধুথলিতে মকরন্দের সঙ্গে লালারস মেশে। ফলে মকরন্দে থাকা শর্করার কিছু পরিবর্তন হয়। এরপর শ্রমিক মৌমাছি এই মিশ্রণকে মৌচাকের মধু প্রকোষ্ঠে উগরে দেয় এবং ডানা দিয়ে ক্রমাগত বাতাস করতে থাকে। এর ফলে মিশ্রণ থেকে জল বাষ্পীভূত হয়ে মিশ্রণটি মধুতে পরিণত হয়।

12. আধুনিক পদ্ধতিতে মৌমাছি প্রতিপালনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

উত্তর: আধুনিক পদ্ধতিতে মৌমাছি প্রতিপালনের জন্য কৃত্রিম মৌচাক তৈরি করা হয় যার গঠন প্রাকৃতিক মৌচাকের অনুরূপ হয়, অর্থাৎ এই মৌচাকেও নীচের দিকে সন্তান পালন প্রকোষ্ঠ এবং ওপরের দিকে মধু প্রকোষ্ঠ রাখা হয়। একটা রানি মৌমাছি ও কতগুলো শ্রমিক মৌমাছি ধরে এনে কৃত্রিম মৌচাকে ছেড়ে দিলে কয়েক দিনের মধ্যে দেখা যায় আরও অনেক মৌমাছি ওই মৌচাকে এসে জড়ো হয়েছে। এরপর মৌচাকে রানি মৌমাছির ডিম থেকে অনেক মৌমাছির সৃষ্টি হয়। কৃত্রিম উপায়ে মৌমাছি পালন করতে গেলে কাছাকাছি আম, জাম, লেবু, পেয়ারা ধনে, সরষে, নিম ইত্যাদি গাছ থাকা দরকার, কারণ ওইসব গাছ থেকে মৌমাছিরা মকরন্দ সংগ্রহ করে। মধু তৈরি হলে কৃত্রিম মৌচাক থেকে বিশুদ্ধ মধু সংগ্রহ করার জন্য বিশেষ ধরনের মধু নিষ্কাশন যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।

13. প্রাকৃতিক উপায়ে ডিমপোনা সংগ্রহের অসুবিধা কীরূপ? 

উত্তর: প্রাকৃতিক উপায়ে কোনো নির্দিষ্ট প্রজাতির ডিমপোনা সংগ্রহ করা যায় না। এতে মৎস্যভুক মাছ ও আমাছার ডিম মিশে থাকে। সংগৃহীত ডিমের পরিমাণও চাহিদার তুলনায় অনেক কম হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি কারণে ডিম সংগ্রহ করা কষ্টসাধ্য হয়। ডিমপোনা পরিবহণের সময় অনেক ডিমপোনা মরে যায়। তাছাড়া পরিবহণজনিত ব্যয়ের জন্য মাছের দামও বেড়ে যায়।

14. কৃত্রিম পদ্ধতিতে কীভাবে ডিমপোনা তৈরি করা হয়?

উত্তরঃ কৃত্রিম পদ্ধতিতে ডিমপোনা তৈরির জন্য প্রথমে টাটকা সদ্য মৃত পোনামাছের মাথা থেকে পিট্যুইটারি গ্রন্থি সংগ্রহ করা হয়। তারপর পিট্যুইটারি নির্যাস তৈরি করে সেই জাতীয় একটি পরিণত স্ত্রী ও দুটি পুরুষ মাছকে ওই নির্যাস ইনজেক্ট করা হয়। এর ফলে তাদের জননগ্রন্থি উদ্দীপিত হয়। ফলে স্ত্রী মাছ ডিম ছাড়ে এবং পুরুষ মাছ বীর্য নিঃসরণ ঘটিয়ে ওই ডিমগুলোকে নিষিক্ত করে। এইরূপ কৃত্রিমভাবে প্রজনন ঘটিয়ে কার্পের ডিমপোনা তৈরি করা হয়।

15. দেশি কার্পগুলির খাদ্যগ্রহণ রীতির উল্লেখ করো।

উত্তর: দেশি কার্প বলতে রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালবোস মাছকে বোঝায়। কাতলা মাছ জলের ওপরের স্তর থেকে প্ল্যাংকটন জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করে। তাই এদের সারফেস ফীডার বলে। রুই মাছ শাকাশী এবং জলের মধ্যস্তর থেকে খাদ্যগ্রহণ করে। তাই এদের কলাম ফীডার বলে। মৃগেল ও কালবোস মাছ জলের নীচের স্তর থেকে পচাগলা প্রাণী ও কাদামাটি খায়। তাই এদের বটম ফীডার বলে।

16. নিবিড় মিশ্রচাষের সুবিধা ও অসুবিধাগুলি কী কী?

উত্তর: নিবিড় মিশ্রচাষের সুবিধা হল সংশ্লিষ্ট মাছগুলি পুকুরের বিভিন্ন স্তর থেকে খাদ্য গ্রহণ করায় খাদ্যের জন্য এদের মধ্যে কোনো প্রতিযোগিতা দেখা যায় না এবং পুকুরের সকল খাদ্যস্তর সুষ্ঠুভাবে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া এইচাষে কম সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছ উৎপন্ন হয়। অপরপক্ষে এই চাষের অসুবিধা হল বড়ো আকারের পুকুরের সমস্যা। তাছাড়া দেশি মাছ অপেক্ষা বিদেশি মাছের বৃদ্ধি দ্রুত হয়, কিন্তু বিদেশি মাছগুলোর বাজারজাত চাহিদা কম হওয়ায় মাছ চাষিদের আর্থিক ক্ষতি হয়।

17. ব্যাটারি খাঁচায় মুরগি পালন পদ্ধতি আলোচনা করো। 

উত্তর: ব্যাটারি খাঁচায় মুরগি পালনের জন্য অনেকগুলো খাঁচা সারিবদ্ধভাবে তৈরি করা হয়। খাঁচাগুলো এমন মাপের হয় যে খাঁচার অল্প জায়গার মধ্যে একটা মুরগি স্বচ্ছন্দে বসতে বা দাঁড়াতে পারে। খাঁচার মেঝে পেছন থেকে সামনের দিকে ঢালু থাকে। ফলে মুরগি ডিম পাড়লে তা গড়িয়ে এসে খাঁচার বাইরের দিকে অবস্থিত খাঁজে জমা হয়। খাঁচার বাইরের দিকে খাবার আর জলের পাত্র লাগানো থাকে আর খাঁচার নীচে মুরগিদের মল সংগ্রহের পাত্র থাকে।

18. মুরগি পালনের জন্য ড্রিপ-লিটার কীভাবে তৈরি করা হয়?

উত্তর: মুরগি পালনের জন্য ড্রিপ-লিটার তৈরি করতে হলে প্রথমে পালন ঘরের মেঝেতে কাঠের গুঁড়ো ছড়িয়ে তার ওপর খড় বিছানো হয়। এরপর শুকনো পাতা, ধানের তুষ, তুলোবীজ ইত্যাদি বিছিয়ে 10-15 সেন্টিমিটার পুরু নতুন লিটার তৈরি করা হয়। মুরগিদের বসবাসের সময় ওই লিটারে তাদের মল ভালোভাবে মিশে গেলে পাকানো লিটারের ওপরে আবার নতুন করে 5 সেন্টিমিটার পুরু লিটার পাতা হয়। এর ফলে মোটামুটি 20 সেন্টিমিটার পুরু স্থায়ী লিটার তৈরি সম্পূর্ণ হয়।

19. মুরগির মাংস ও ডিমের পুষ্টিগুণ কীরূপ?

উত্তর: মুরগির মাংস ও ডিম প্রাণীজ প্রোটিনের এক গুরুত্বপূর্ণ উৎস। মুরগির মাংসে ক্ষতিকারক ফ্যাটের পরিমাণ অন্যান্য মাংসের তুলনায় কম থাকায় এটি স্বাস্থ্যকর। মুরগির ডিম অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিডের জোগান দেয়। এছাড়াও ডিম বিভিন্ন মৌলের (যেমন- Fe, Ca, PK) ও ভিটামিনের (যেমন -A, B কমপ্লেক্স, D, E) চাহিদা মেটায়।

5. Fill In The Blanks

1. ধান, গম, ভুট্টা ইত্যাদি                    জাতীয় ফল।

উত্তর: তন্ডুল

2.                          ফল আর সবজি চাষের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

উত্তর: উদ্ভিদবিজ্ঞানে

3. ক্যাকটাস, বোগেনভেলিয়া                        উদ্ভিদ।

উত্তর: আলংকারিক

4. সাধারণত বর্ষার শুরুতে                    ফসলের চাষ শুরু হয়।

উত্তর: খরিফ

5.  শুরুতে রবি ফসলের চাষ শুরু হয়।

উত্তর: শীতের

6. নষ্ট হয়ে যাওয়া বীজ                    বলে জলে ভেসে থাকে।

উত্তর: হালকা

7.                         প্রয়োগে মাটিতে থাকা উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ হয়।

উত্তর: সার

৪. মৃত উদ্ভিদ আর প্রাণীদের মৃতদেহ ও বর্জ্য থেকে                      সার তৈরি হয়।

উত্তর: জৈব

9. অজৈব সার হল এক ধরনের                       পদার্থ।

উত্তর: রাসায়নিক

10. শস্য আবর্তনে দুটো চাষের মাঝেএকবার                    উদ্ভিদ চাষ করা হয়। 

উত্তর: শিম্বগোত্রীয়

11. উদ্ভিদের দেহে প্রায়                   জল থাকে।

উত্তর: 90%

উত্তর: পতঙ্গ

18. জিঙ্ক ফসফাইড ও ওয়ারফেরিন                      জাতীয় প্রাণীদের দমন করে। 

উত্তর: ইঁদুর

19. যে পদ্ধতিতে একটি জীবকে অন্য জীবের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয় তাকে   দমন পদ্ধতি বলে।

উত্তর: জৈবিক

20. ফসলের ভোজ্য অংশ থেকে উদ্ভিদকে আলাদা করার পদ্ধতিকে                   বলে।

উত্তর: মাড়াই

21. ছোটো চাষিরা                     করে দানা শস্য আর ভূষি আলাদ করেন।

উত্তর: ঝাড়াই

22. গবাদি পশুদের খাবারকে                        বলে।

উত্তর: জাব

23. দানা শস্য শুকিয়ে নিয়ে মজুত না করলে, তাতে নানা                   আক্রমণ ঘটতে পারে।

উত্তর: অণুজীবের

24.                     হল শীতকালীন ধান।

উত্তর: আমন

25. পশ্চিমবঙ্গে                       ধানের চাষ বেশী হয়।

উত্তর: আমন

26.                     জাতের ধান 95-115 দিনের মধ্যে পেকে যায়।

উত্তর: রত্না

27. সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে                    মিটার উচ্চতা অবধি আমগাছ  ভালো জন্মায়। 

উত্তর: 1500

28. বৃষ্টিপাত ও কুয়াশা আমের                   পক্ষে ভীষণ ক্ষতিকারক।

উত্তর: মুকুলের

29. বেলেমাটি আর এঁটেল মাটি আমের পক্ষে                   

উত্তর: অনুকূল

30.                      থেকে তৈরি চারাগাছের ভালো জাতের সবগুণ বজায় থাকে।

উত্তর: কলম

31. দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়                    নদীর অববাহিকা চাষের আদি নিবাস।

উত্তর: ইরাবতী

32. 1000 থেকে 2500 মিটার উচু এলাকায় পাহাড়ের গায়ে                           চায়ের চাষ হয়।

উত্তর: অম্লমাটিতে

33. চায়ে                 উপস্থিতি আমাদের শরীরে উদ্দিপনা আনে। 

উত্তর: ক্যাফিনের

34. চায়ে উপস্থিত                     রক্তের কোলেস্টেরল কমায়। 

উত্তর: পলিফেনল

35. চা একটা                     জাতীয় ফসল।

উত্তর: বাগিচা

36. সারা পৃথিবীর চা-উৎপাদনের প্রায় 75% হল                      চা।

উত্তর: কালো

37. মৌমাছিরা                    জীব।

উত্তর: সমাজবদ্ধ

38.                       মৌমাছিদের পেটের থলিতে থাকে মোম-গ্রন্থি।

উত্তর: শ্রমিক

39. শ্রমিক মৌমাছিরা ফুল থেকে   সংগ্রহ করে।

উত্তর: মকরন্দ

40. মৌমাছির জীবনে    দশা দেখা যায়।

উত্তর: চারটে

41. ডিম থেকে লার্ভা আর লার্ভা থেকে হয়                      

উত্তর: পিউপা

42. মৌচাকের ওপরের দিকে থাকে                     প্রকোষ্ঠ।

উত্তর: মধু

43. কার্প জাতীয় মাছের মাথায়                   থাকে না।

উত্তর: আঁশ

44. মাছের নিষিক্ত ডিম থেকে                     তৈরি হয়।

উত্তর: ডিমপোনা

45. তিন ধরনের দেশি মাছ একই পুকুরে চাষ করাকে বলে                   মাছ চাষ।

উত্তর: মিশ্র

46. অর্থনৈতিক গুরুত্বসম্পন্ন পাখিরা হল                   পাখি।

উত্তর: পোলট্রি

47. লেগহর্ন হল মুরগির একটি                           উৎপাদনকারী জাতি।

উত্তর: ডিম

48. আসিল হল মুরগির একটি                       উৎপাদনকারী জাতি।

উত্তর: মাংস

49. কাঠের গুঁড়ো, শুকনো পাতা, ধানের তুষ ইত্যাদি দিয়ে মুরগি পালন ঘরের মেঝেতে যে শয্যা তৈরি করা হয় তাকে                       বলে।

উত্তর: লিটার

50. মুরগির ডিম                      অ্যামিনো অ্যাসিডের জোগান দেয়।

উত্তর: অপরিহার্য

51. ব্রয়লার হল এক ধরনের                    মুরগি।

উত্তর: সংকর

52. ব্রয়লার মুরগি মাত্র                   সপ্তাহে বিক্রয়যোগ্য ওজনে পৌছে যায়।

উত্তর: 5-7

53. ব্রামা হল  জাত মুরগির উদাহরণ।

উত্তর: ভারী

54. মুরগির মাংসে ক্ষতিকারক ফ্যাটের পরিমাণ   থাকায় এটি স্বাস্থ্যকর।

উত্তর: কম

6. True And False

1. তন্তুজাতীয় ফসল হল আখ। x

সঠিক উজ্ঞা: তন্তুজাতীয় ফসল হল পাট। 

2. আলু কন্দ জাতীয় ফসল। ☑

3. রবি ফসল বর্ষার উপর নির্ভরশীল। x

সঠিক উত্তর: খরিফ ফসল বর্ষার ওপর নির্ভরশীল।

4. বর্ষার শুরুতে সাধারণত খরিফ ফসলের চাষ শুরু হয়। ☑

5. বার্লি এক ধরনের রবি ফসল। ☑

6. ক্যাকটাস এক ধরনের আলংকারিক উদ্ভিদ। ☑

7. ট্রাক্টর এক ধরনের কর্ষক। ☑

৪. অজৈব সার হলো এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। ☑

9. জৈব সার তৈরিতে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের ভূমিকা নেই।  x

সঠিক উত্তর: রাসায়নিক সার তৈরিতে ব্যাটেরিয়া বা ছত্রাকের ভূমিকা নেই।

10. উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য মাটির অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য বজায় থাকা জরুরি। ☑

11. জৈবসার মাটির জলধারণ ক্ষমতা কমায়।  x

সঠিক উত্তর: রাসায়নিক সার মাটির জলধারণ ক্ষমতা কমায়।

12. জৈব সার মাটিতে থাকা উপকারী অণুজীবদের সংখ্যা বাড়ায়। ☑

13. জৈবসার ব্যবহার করলে মাটি রন্দ্রযুক্ত হয়। ☑

14. ভালো ফসল পেতে গেলে মাটির আর্দ্রতা বজায় রাখা খুবই জরুরি। ☑

15. আগাছা হল অপ্রয়োজনীয় উদ্ভিদ।  ☑

16. 2, 4-D হল এক ধরনের কীটনাশক।  x

সঠিক উত্তর: 2, 4-D হল একধরনের অগাছানাশক।

17. উই উদ্ভিদের মূল খায়। ☑

18. পার্থেনিয়াম এক ধরনের আগাছা। ☑

19. ধসা রোগ ধানে দেখা যায়। X

সঠিক উত্তর: ধসা রোগ গমে দেখা যায়।

20. ছত্রাক ধসা রোগ সৃষ্টি করে। ☑

21. গমে মরিচা রোগ ছত্রাক ঘটিত। ☑

22. ব্যাকটেরিয়া উদ্ভিদ উইলটরোগ সৃষ্টি করে। ☑

23. সালফার আর তামার লবণ ছত্রাক দমনে সাহায্য করে। ☑

24. ম্যালাথিওন ইঁদুর জাতীয় প্রাণীদের দমন করে।  X

সঠিক উত্তর: ম্যালাথিওন কীটপতঙ্গ দমন করে।

25. ডিডিটি, ম্যালাথিওন পতঙ্গদের দমনে সাহায্য করে। ☑

26. জৈবিক দমন পদ্ধতিতে এক জীবকে অন্য জীবের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়। ☑

27. জাব গবাদিপশুদের খাবার। ☑

28. ভূষি থেকে দানা শস্য পৃথক করা যায় না। X

সঠিক উত্তর: ভূষি থেকে দানাশস্য পৃথক করা হয়।

29. ভূষি থেকে দানা শস্য বাতাসের সাহায্যে পৃথক করা যায়। ☑

30. চালে 79.1% প্রোটিন থাকে। X

সঠিক উত্তর: চালে 6% প্রোটিন থাকে।

31. ধানের ভূষি থেকে তেল পাওয়া যায়। ☑

32. আউশ হল শীতকালীন ধান। X

সঠিক উত্তর: আউশ হল শরৎকালীন ধান।

33. বোরো হল শরৎকালীন ধান। X

সঠিক উত্তর: বোরো হল গ্রীষ্মকালীন ধান।

34. এঁটেল মাটিতে আউশ ধান বোনা হয় না। X

সঠিক উত্তর: আউশ ধান এঁটেল, পলি, দোঁয়াশ মাটিতে হয়।

35. যে-কোনো ধরনের মাটিতে আমন ধানের চাষ হয়। ☑

36. বাসমতী এক ধরনের আমন ধান। ☑

37. বোরো ধান মার্চ-এপ্রিল মাসে রোপণ করা হয়। X

সঠিক উত্তর: বোরো ধান ডিসেম্বর মাসে রোপণ করা হয়।

38. রত্না জাতের ধান খুব দেরীতে পাকে। X

সঠিক উত্তর: রত্না ধান দ্রুত পাকে।

39. নাবি জাতের ধান পাকাতে 140-150 দিন সময় লাগে। ☑

40. একই জাতের ধানকে আউশ, আমন বা বোরো এই তিন মরশুমেই চাষ করা যায়। ☑

41. গোল্ডেন রাইস ভিটামিন A-এর চাহিদা মেটায়। ☑

42. ধানের বীজকে কখনোই উয় জলে শোধন করা হয় না। X

সঠিক উত্তর: ধানের বীজকে উন্ন জলে শোধন করা হয়।

43. ধানের চারা 12-15 সেমি লম্বা হলে রোপণের উপযোগী হয়ে ওঠে। ☑

44. কাদান বীজতলায় অঙ্কুরিত বীজ বোনা হয়। ☑

45. আমের জন্মস্থান ভারতবর্ষ। ☑

46. পশ্চিমবঙ্গে হিমসাগর আমের চাষ হয় না। X

সঠিক উত্তর: পশ্চিমবঙ্গে হিমসাগর আমের বহুল চাষ হয়।

47. আমগাছের কলম আঁটির কলম পদ্ধতিতেও হয়। ☑

48. চায়ে পলিফেনল থাকে। ☑

49. দাঁতের ক্ষয়রোধে চা-পান উপকারী। ☑

50. রানি মৌমাছির কাজ মধু উৎপাদনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা। X

সঠিক উত্তর: রানি মৌমাছির কাজ প্রজননে অংশগ্রহণ করা।

51. মৌমাছিরা পেয়ারা ফুল থেকে মকরন্দ-সংগ্রহ করে না। X

সঠিক উত্তর: মৌমাছির পেয়ার, নিমফুল থেকে মকরন্দ সংগ্রহ করে।

52. পুঁটি মাছ মাইনর কার্প-এর অন্তর্গত। ☑

53. কৃত্রিম মৎস্য চাষে পিটুইটারি ইনজেকশান কেবলমাত্র পুরুষ মাছকে দেওয়া হয়। X

সঠিক উত্তর: কৃত্রিম মৎসচাষে পিটুইটারি ইনজেকশন পুরুষ ও স্ত্রী মাছকে দেওয়া হয়।

54. পালন পুকুরে চারা পোনা প্রতিপালন করা হয়। X

সঠিক উত্তর: পালন পুকুরে পরিণত পোনা প্রতিপালন করা হয়।

55. কাৎলা মাছ জলের নীচের স্তরে থাকে। X

সঠিক উত্তর: কাতলা মাছ জলের ওপরের স্তরে থাকে।

56. লিটার হল মুরগির শয্যা। ☑

57. ভিটামিন D থাকলেও ভিটামিন E মুরগির ডিমে থাকে না। X

সঠিক উত্তর: মুরগির ডিমে ভিটামিন D ও E থাকে।

58. যে সব মুরগি ডিমে তা দেয় না তাদের কোচিন বলে। X

সঠিক উত্তর: যেসব মুরগি ডিমে তা দেয় না তাদের নন-সিটার বলে।

59. লেগহর্ন হল নন- সিটার জাতীয় মুরগি। ☑

60. আসিল মাংস উৎপাদনকারী জাতের মুরগি। ☑

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *