Class 8 Chapter 9 Bengali Medium
অন্তঃক্ষরা তন্ত্র ও বয়ঃসন্ধি
1. MCQs Question Answer
1. হরমোনের ক্ষেত্রে যে বৈশিষ্ট্যটি সত্য, সেটি হল-
(a) খুব দ্রুত কাজ করে, প্রভাব দীঘস্থায়ী, কাজ শেষে নষ্ট হয়
(b) প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী, কাজ শেষে নষ্ট হয়, খুব ধীরে ধীরে ক্রিয়াশীল
(c) কাজের শেষে নষ্ট হয়, প্রভাব তাৎক্ষণিক, খুব ধীরে ক্রিয়াশীল
(d) ওপরের সবকটি সত্য
উত্তরঃ (b) প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী, কাজ শেষে নষ্ট হয়, খুব ধীরে ধীরে ক্রিয়াশীল
2. রাসায়নিক বার্তাবাহক হল-
(a) রক্ত
(b) হরমোন
(c) মস্তিষ্ক
(d) স্নায়ু
উত্তরঃ (b) হরমোন
3. কাজ শেষ হয়ে গেলে হরমোন-
(a) উৎপত্তিস্থলে ফিরে যায়
(b) নষ্ট হয়ে যায়
(c) রক্তকোশে জমা থাকে
(d) অধিক সক্রিয় হয়ে ওঠে
উত্তর: (b) নষ্ট হয়ে যায়
4. বহিঃক্ষরা গ্রন্থির-
(a) নালিকা থাকে
(b) নালিকা থাকে না
(c) ক্ষরণ পদার্থই হরমোন
(d) ক্ষরণ পদার্থ রক্তের দ্বারা বাহিত হয়
উত্তর: (a) নালিকা থাকে
5. অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির-
(a) নালিকা থাকে
(b) নালিকা থাকে না
(c) নালিকাগুলি শাখা-প্রশাখা যুক্ত
(d) নালিকা রক্তনালিতে যুক্ত
উত্তরঃ (b) নালিকা থাকে না
6. বহিঃক্ষরা গ্রন্থির উদাহরণ হল-
(a) লালাগ্রন্থি
(b) থাইরয়েড গ্রন্থি
(c) পিটুইটারি গ্রন্থি
(d) অ্যাড্রিন্যাল গ্রন্থি
উত্তর: (d) অ্যাড্রিন্যাল গ্রন্থি
7. অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি হল-
(a) যকৃৎগ্রন্থি
(b) অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি
(c) লালাগ্রন্থি
(d) পাকস্থলি গ্রন্থি
উত্তর: (d) পাকস্থলি গ্রন্থি
৪. ‘মিশ্রগ্রন্থি’ বলা হয়-
(a) পিটুইটারি গ্রন্থিকে
(c) অগ্ন্যাশয় গ্রন্থিকে
(b) থাইরয়েড গ্রন্থিকে
(d) পাকস্থলীর গ্রন্থিকে
উত্তর: (c) অগ্ন্যাশয় গ্রন্থিকে
9. মিশ্রগ্রন্থির নালিকাবিহীন কোশ থেকে-
(a) উৎসেচক বের হয়
(b) হরমোন বের হয়
(c) উৎসেচক ও হরমোন বের হয়
(d) অগ্ন্যাশয় রস বের হয়
উত্তরঃ (b) হরমোন বের হয়
10. পিটুইটারি গ্রন্থি-
(a) গলদেশে অবস্থিত
(b) মস্তিষ্কে অবস্থিত
(c) বৃক্কশীর্ষে অবস্থিত
(d) জনন অঙ্গে অবস্থিত
উত্তরঃ (b) মস্তিষ্কে অবস্থিত
11. থাইরক্সিন হরমোন বেশি ক্ষরিত হলে-
(a) পিটুইটারি গ্রন্থি ফুলে যায়
(b) গলা ফুলে যায়
(c) থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যায়
(d) মূত্রের পরিমাণ কমে যায়
উত্তর: (c) থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যায়।
12. জরুরিকালীন বা সংকটকালীন হরমোন বলা হয়-
(a) অ্যান্টিডায়াবেটিক হরমোনকে
(b) গ্লুকাগনকে
(c) থাইরক্সিনকে
(d) অ্যাড্রিনালিনকে
উত্তর: (d) অ্যাড্রিনালিনকে
13. নীচের কোন্টি হরমোন নয়?
(a) থাইরক্সিন
(b) ইনসুলিন
(c) গ্লুকাগন
(d) গ্লুকোজ
উত্তর: (d) গ্লুকোজ
14. কোন্ হরমোনের কম ক্ষরণে শরীরের চামড়া ফোলা ফোলা ও খসখসে হয়?
(a) ইস্ট্রোজেন
(b) অ্যাড্রিনালিন
(c) গ্লুকাগন
(d) থাইরক্সিন
উত্তর: (d) থাইরক্সিন
15. বৃদ্ধিপোষক হরমোন হল-
(a) সোমাটোট্রফিক হরমোন
(b) থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন
(c) গোনাডোট্রফিক হরমোন
(d) গ্লুকাগন হরমোন
উত্তর: (a) সোমাটোট্রফিক হরমোন
16. দৌড়ানোর সময় বাড়তি শক্তি জোগাতে সাহায্য করে কোন্ হরমোন?
(a) ইনসুলিন
(b) থাইরক্সিন
(c) অ্যাড্রিনালিন
(d) গ্লুকাগন
উত্তর: (c) অ্যাড্রিনালিন
17. রক্তের সাহায্যে গ্লুকোজকে কোশে ঢুকতে সাহায্য করে-
(a) গ্লুকাগন
(b) ইনসুলিন
(c) অ্যাড্রিনালিন
(d) থাইরক্সিন
উত্তর: (b) ইনসুলিন
18. আমাদের শরীরে শ্বাসকার্যের হারকে বাড়ায়-
(a) অ্যাড্রিনালিন
(b) ইনসুলিন
(c) থাইরক্সিন
(d) গ্লুকাগন
উত্তর: (a) অ্যাড্রিনালিন
19. আমাদের শরীরের তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে-
(a) থাইরক্সিন
(b) ইনসুলিন
(c) অ্যাড্রিনালিন
(d) প্রজেস্টেরন
উত্তর: (c) অ্যাড্রিনালিন
20. হৃৎপিণ্ডের সংকোচন ও প্রসারণের ক্ষমতা বাড়ায়-
(a) টেস্টোস্টেরন
(b) থাইরক্সিন
(c) ইনসুলিন
(d) অ্যাড্রিনালিন
উত্তর: (d) অ্যাড্রিনালিন
21. কোন্ হরমোনের অধিক ক্ষরণে মহিলাদের মুখমণ্ডলে লোমের আধিক্য দেখা যায়?
(a) থাইরক্সিন
(b) অ্যাড্রিনালিন
(c) ইস্ট্রোজেন
(d) টেস্টোস্টেরন
উত্তর: (b) অ্যাড্রিনালিন
22. ইনসুলিন কম ক্ষরিত হলে রক্তে গ্লুকোজের-
(a) পরিমাণের হেরফের হয় না
(b) পরিমাণ কমে যায়
(c) পরিমাণ বেড়ে যায়
(d) কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়
উত্তর: (c) পরিমাণ বেড়ে যায়
23. ডিম্বাশয় থেকে ক্ষরিত হয়-
(a) টেস্টোটেরন
(b) ইস্ট্রোজেন
(c) গ্লাইকোজেন
(d) ইনসুলিন
উত্তর: (b) ইস্ট্রোজেন
24. বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের গোঁফ, দাড়ি বের হয়-
(a) থাইরক্সিনের প্রভাবে
(b) অ্যাড্রিনালিনের প্রভাবে
(c) টেস্টোস্টেরনের প্রভাবে
(d) ইস্ট্রোজেনের প্রভাবে
উত্তর: (c) টেস্টোস্টেরনের প্রভাবে
25. বয়ঃসন্ধিকালের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল-
(a) অকারণে ঝগড়া করা
(c) আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা
(b) ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ করা
(d) ভাবনা-চিন্তা না করে সিদ্ধান্ত নেওয়া
উত্তর: (c) আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা
26. নীচের কোন্টি তেরো-চোদ্দ বছর বয়সের আচরণের অন্তর্গত নয়?
(a) একটুতে রেগে যাওয়া
(b) অকারণে কেঁদে ফেলা
(c) চিন্তা ভাবনা করে কাজ করা
(d) কথায় কথায় তর্ক করা
উত্তর: (c) চিন্তা ভাবনা করে কাজ করা
27. বয়ঃসন্ধিতে একটি ঝুঁকিপূর্ণ আচরণের উদাহরণ হল-
(a) সময়ে স্কুলে যাওয়া
(b) বন্ধুদের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রাখা
(c) হঠাৎ বিড়ি টানতে শুরু করা
(d) খেলা-ধুলো করা
উত্তর: (c) হঠাৎ বিড়ি টানতে শুরু করা
28. সৃজনশীল চিন্তার অন্তর্গত নয়-
(a) গান
(c) খেলাধূলা
(b) সাঁতার
(d) ধৈর্য ধরে অন্যের কথা শোনা
উত্তর: (d) ধৈর্য ধরে অন্যের কথা শোনা।
29. অনুভূতিগুলোকে বুঝে নিতে আবেগের যথার্থ প্রকাশের জন্য দরকার-
(a) অভিমান
(b) নিয়ন্ত্রিত আচরণ
(c) জীবনকুশলতা চর্চা
(d) উপলব্ধি
উত্তর: (c) জীবনকুশলতা চর্চা
30. কোন্ হরমোনের বেশি ক্ষরণ হলে অল্পবয়সে দেহের উচ্চতা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়?
(a) থাইরক্সিন হরমোন
(b) সোমাটোট্রফিক হরমোন
(c) ইনসুলিন হরমোন
(d) অ্যাড্রিনালিন হরমোন
উত্তরঃ (b) সোমাটোট্রফিক হরমোন
31. ভ্যাসোপ্রেসিন হরমোনের ক্ষরণ হয়-
(a) পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে
(b) থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে
(c) অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি থেকে
(d) অ্যাড্রিনালিনগ্রন্থি থেকে
উত্তর: (a) পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে
32. হরমোনকে উৎপত্তিস্থল থেকে ক্রিয়াস্থলে নিয়ে যায়-
(a) গ্রন্থির নালি
(b) খাদ্য
(c) রক্ত
(d) উৎসেচক
উত্তর: (c) রক্ত
33. অন্তঃক্ষরা এবং বহিঃক্ষরা দুধরনের গ্রন্থিকোশ দেখা যায়-
(a) অগ্ন্যাশয়ে
(b) পিটুইটারিতে
(c) থাইরয়েডে
(d) অ্যাড্রিনালে
উত্তর: (a) অগ্ন্যাশয়ে
34. গ্লুকোজকে যকৃৎ ও পেশিতে গ্লাইকোজেন রূপে সঞ্চয় করে রাখতে সাহায্য করে-
(a) গ্লুকাগন
(b) ইনসুলিন
(c) থাইরক্সিন
(d) অ্যাড্রিনালিন
উত্তর: (b) ইনসুলিন
35. থাইরক্সিন কম ক্ষরিত হলে-
(a) শিশুদের মুখ থেকে লালা গড়ায়
(b) চোখ দুটো ঠেলে বাইরে বেরিয়ে আসে
(c) থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে ওঠে
(d) গলা ফুলে ওঠে
উত্তর: (a) শিশুদের মুখ থেকে লালা গড়ায়
36. ইনসুলিনের কম ক্ষরণে-
(a) হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা কমে যায়
(b) বৃক্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়
(c) হৃৎপিণ্ড ও বৃক্কের কার্য ক্ষমতা কমে যায়
(d) হৃৎপিণ্ড, বৃক্ক ও চোখের কার্যক্ষমতা কমে যায়
উত্তর: (d) হৃৎপিণ্ড, বৃক্ক ও চোখের কার্যক্ষমতা কমে যায়
37. আমাদের শরীরের তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে-
(a) ইনসুলিন
(b) থাইরক্সিন
(c) অ্যাড্রিনালিন
(d) গ্লুকাগন
উত্তর: (c) অ্যাড্রিনালিন
38. কোন্ হরমোন প্রোটিনের উৎপাদন বাড়ায় আর প্রোটিনের ক্ষয় কমায়?
(a) থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন
(b) গোনাডোট্রফিক হরমোন
(c) ভ্যাসোপ্রেসিন হরমোন
(d) সোমাটোট্রফিক হরমোন
উত্তর: (d) সোমাটোট্রফিক হরমোন
39. রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়-
(a) মূত্রের সঙ্গে গ্লুকোজ কম পরিমাণে বেরোনোর কারণে
(b) বিভিন্ন কোশ থেকে গ্লুকোজ বেরিয়ে এসে রক্তে মিশ্রিত হওয়ার কারণে
(c) ইনসুলিন হরমোনের কম ক্ষরণের কারণে
(d) বারে বারে খিদে পাওয়ার কারণে
উত্তর: (c) ইনসুলিন হরমোনের কম ক্ষরণের কারণে
40. গ্লুকোজের ভাঙন ঘটিয়ে শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে-
(a) ইনসুলিন হরমোন
(b) গ্লুকাগন হরমোন
(c) থাইরক্সিন হরমোন
(d) অ্যাড্রিনালিন হরমোন
উত্তর: (a) ইনসুলিন হরমোন
41. আমাদের ভয়, দ্বন্দ্ব ও পালানোর মনোবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে-
(a) সোমাটোট্রফিক হরমোন
(b) থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন
(c) অ্যাড্রিনালিন হরমোন
(d) প্রজেস্টেরন হরমোন
উত্তর: (c) অ্যাড্রিনালিন হরমোন
42. টেস্টোস্টেরন ক্ষরিত হয়-
(a) জননগ্রন্থি থেকে
(b) শুক্রাশয় থেকে
(c) ডিম্বাশয় থেকে
(d) বৃক্ক থেকে
উত্তর: (b) শুক্রাশয় থেকে
43. অগ্ন্যাশয় মিশ্রগ্রন্থি, কারণ এই গ্রন্থি-
(a) ইনসুলিন ও গ্লুকাগন ক্ষরণ করে
(b) নালিকাবিহীন ও নালিকাযুক্ত কোশ নিয়ে গঠিত
(c) পালাক্রমে হরমোন ও উৎসেচক তৈরি করে।
(d) থেকে ক্ষরিত পদার্থ হরমোন ও উৎসেচক হিসেবে কাজ করে
উত্তর: (b) নালিকাবিহীন ও নালিকাযুক্ত কোশ নিয়ে গঠিত
44. WHO নির্ধারিত বয়ঃসন্ধিকাল-এর সময়সীমা হল-
(a) 10-14 বছর
(b) 10-16 বছর
(c) 10-18 বছর
(d) 10-19 বছর
উত্তর: (d) 10-19 বছর
45. বয়সন্ধিকালে যে অঙ্গ ও তন্ত্রের বৃদ্ধি ও পরিণতি ঘটে, তা হল
(a) স্নায়ুতন্ত্র
(b) পৌষ্টিক তন্ত্র
(c) রেচন তন্ত্র
(d) জনন তন্ত্র
উত্তর: (d) জনন তন্ত্র।
46. সৃজনশীল নয়, এমন একটি ঘটনা হল
(a) আবৃত্তি করা
(b) ছবি আঁকা
(c) গান করা
(d) এলোমেলো চিন্তা ভাবনা করা
উত্তর: (d) এলোমেলো চিন্তা ভাবনা করা
47. রাগ ও দুঃখের একটি কারণ –
(a) নিন্দা শুনলে
(b) প্রশংসা শুনলে
(c) অন্যের কষ্ট দেখলে
(d) সবকটি
উত্তর: (a) নিন্দা শুনলে
48. যৌনাঙ্গের পরিণতির সঙ্গে জড়িত হরমোন হল।
(a) ইনসুলিন ও থাইরক্সিন
(b) থাইরক্সিন ও অ্যাড্রিনালিন
(c) টেস্টোস্টেরন ও ইস্ট্রোজেন
(d) সোমাটোট্রফিক হরমোন ও ভ্যাসোপ্রেসিন
উত্তর: (c) টেস্টোস্টেরন ও ইস্ট্রোজেন
49. বয়ঃসন্ধির শুরুতে মেয়েদের বৃদ্ধি ছেলেদের তুলনায়
(a) দ্রুত ঘটে
(b) ধীরে ঘটে
(c) নগণ্য
(d) খুব অল্প ঘটে
উত্তর: (a) দ্রুত ঘটে
50. বয়ঃসন্ধির একটি আচরণগত সমস্যা হল
(a) সৃজনশীলতা
(b) ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ
(c) আবেগ নিয়ন্ত্রণ
(d) সহানুভূতি।
উত্তর: (b) ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ
2. Very Short Question Answer
1. হরমোন কী?
উত্তর: হরমোন জীবদেহে ক্ষরিত একধরনের রাসায়নিক পদার্থ।
2. হরমোন কোথা থেকে ক্ষরিত হয়?
উত্তর: নালিবিহীন গ্রন্থি বা অন্তঃক্ষরাগ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হয়।
3. একটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির উদাহরণ দাও।
উত্তর: থাইরয়েড গ্রন্থি।
4. বহিঃক্ষরা গ্রন্থির ক্ষরণ কোন্ পথে নির্গত হয়?
উত্তর: নালিপথে।
5. একটি সনাল গ্রন্থির নাম লেখো।
উত্তর: লালাগ্রন্থি।
6. উৎসেচকের কাজ কী?
উত্তর: খাদ্যকে ভাঙতে সাহায্য করা।
7. কী ধরনের গ্রন্থি থেকে উৎসেচক নির্গত হয়?
উত্তর: বহিঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে।
৪. হরমোনকে নির্দিষ্ট ক্রিয়াস্থলে কে পৌঁছে দেয়?
উত্তর: রক্ত।
9. একটি মিশ্র গ্রন্থির উদাহরণ দাও।
উত্তর: অগ্ন্যাশয়।
10. একটি নিউরো হরমোনের নাম লেখো।
উত্তর: অক্সিটোসিন।
11. কাজ হয়ে যাওয়ার পরে হরমোনের কী পরিণতি ঘটে?
উত্তর: নষ্ট হয়ে যায়।’
12. পিটুইটারি গ্রন্থি কোথায় থাকে?
উত্তর: মস্তিষ্কের মূলদেশে।
13. পিটুইটারি গ্রন্থির অগ্র-খণ্ডককে কী বলা হয়?
উত্তর: অ্যাডিনোহাইপোফাইসিস/ অগ্রপিটুইটারি।
14. পিটুইটারি গ্রন্থি নিঃসৃত একটি হরমোনের নাম লেখো।
উত্তর: সোমাটোট্রফিক হরমোন।
15. কোন্ গ্রন্থি থেকে গোনাডোট্রফিক হরমোন ক্ষরিত হয়?
উত্তর: পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে।
16. কোন্ হরমোনকে বৃদ্ধিপোষক হরমোন বলা হয়?
উত্তর: সোমাটোট্রফিক হরমোনকে।
17. কোন্ হরমোনের অধিক ক্ষরণে অল্প বয়সে হাড় বেড়ে যায়?
উত্তর: সোমাটোট্রফিক হরমোনের অধিক ক্ষরণে।
18. কোন্ হরমোনের অভাবে প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষকে শিশুর মতো দেখায়?
উত্তর: সোমাটোট্রফিক হরমোনের অভাবে।
19. থাইরয়েড গ্রন্থির বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে কোন্ হরমোন?
উত্তর: থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন।
20. থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরক্সিন ক্ষরণে উদ্দীপনা যোগায় কে?
উত্তর: থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন।
21. থাইরয়েড গ্রন্থির ফুলে যাওয়ার কারণ কী?
উত্তর: থাইরক্সিনের অধিক ক্ষরণ।
22. থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন কোথা থেকে ক্ষরিত হয়?
উত্তর: পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে।
23. থাইরয়েড গ্রন্থির অবস্থান কোথায়?
উত্তর: মস্তিষ্কের মূল দেশে।
24. কোন্ হরমোনের অভাবে শিশুর জিভ বেরিয়ে থাকে?
উত্তর: থাইরক্সিন হরমোনের অভাবে।
25. কোন্ হরমোনের অধিক ক্ষরণ রক্তচাপের তারতাম্য ঘটায়?
উত্তর: থাইরক্সিন হরমোনের অধিক ক্ষরণ।
26. গ্লুকাগন হরমোন কোন্ গ্রন্থির ক্ষরণ?
উত্তর: অগ্ন্যাশয় গ্রন্থির।
27. অগ্ন্যাশয় থেকে হরমোন ছাড়া আর কী উৎপন্ন হয়?
উত্তর: উৎসেচক।
28. কোন্ হরমোনের অভাবে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়?
উত্তর: ইনসুলিন হরমোনের অভাবে।
29. কোন্ হরমোনকে অ্যান্টিবায়োটিক হরমোন বলা হয়?
উত্তর: ইনসুলিনকে।
30. আমাদের শ্বাসকার্যের হারকে বাড়ায় কোন্ হরমোন?
উত্তর: অ্যাড্রিনালিন হরমোন।
31. মুন ফেস-এর জন্য দায়ী কোন্ হরমোন?
উত্তর: অ্যাড্রিনালিন হরমোন।
32. ডিম্বাশয় থেকে ক্ষরিত হয় এমন একটি হরমোনের নাম লেখো।
উত্তর: ইস্ট্রোজেন।
33. টেস্টোস্টেরন কোথা থেকে ক্ষরিত হয়?
উত্তর: শুক্রাশয় থেকে।
34. কোন্ হরমোনের প্রভাবে গোঁফ, দাড়ি বের হয়?
উত্তর: টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রভাবে।
35. প্রজেস্টেরন কোন্ গ্রন্থির ক্ষরণ?
উত্তর: ডিম্বাশয়ের।
36. বয়ঃসন্ধিকালে প্রভাব বিস্তার করে এমন দুটি হরমোনের নাম লেখো।
উত্তর: ইস্ট্রোজেন ও টেস্টোস্টেরন।
37. মনের পরিবর্তন কীসের দ্বারা প্রভাবিত হয়?
উত্তর: হরমোনের দ্বারা।
38. ভয়ে বুক ধড়ফড় করলে তাকে নিয়ন্ত্রণে আনে কোন্ হরমোন?
উত্তর: অ্যাড্রিনালিন হরমোন।
39. আবেগ-এর একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: কান্না।
40. অনুভূতির একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: তৃপ্তি।
41. আবেগ ও অনুভূতি উভয়ের প্রকাশ পায় কোন্ ক্রিয়ার মাধ্যমে?
উত্তর: রাগ-এর মাধ্যমে।
42. সৃজনশীল চিন্তার একটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ খেলাধূলা।
43. অগ্ন্যাশয়ের কোন অংশ থেকে হরমোন ক্ষরিত হয়?
উত্তর: অগ্ন্যাশয়ের ল্যাঙ্গারহ্যানস-এর দ্বীপপুঞ্জের কোশ থেকে হরমোন ক্ষরিত হয়।
44. ইনসুলিন অগ্ন্যাশয়ের কোন অংশ থেকে ক্ষরিত হয়?
উত্তর: ইনসুলিন অগ্ন্যাশয়ের আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহ্যানস-এর ẞ (বিটা) কোশ থেকে ক্ষরিত হয়।
45. যকৃত ও পেশিকোশে ইনসুলিনের প্রভাবে গ্লুকোজ কীরূপে সঞ্চিত থাকে?
উত্তর: যকৃত ও পেশি কোশে ইনসুলিনের প্রভাবে গ্লুকোজ গ্লাইকোজেনরূপে সঞ্চিত থাকে।
46. একটি লোকাল হরমোনের নাম লেখো।
উত্তর: গ্যাসট্রিন।
47. অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে কোন্ হরমোন?
উত্তর: অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাড্রিনোকর্টিকোট্রফির হরমোন। (ACTH)
48. জননগ্রন্থির বিকাশ শুরু হয় কোন হরমোনের প্রভাবে?
উত্তর: জননগ্রন্থির বিকাশ শুরু হয় গোনাডোট্রফিক হরমোনের প্রভাবে।
49. যথার্থ ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য স্ত্রী দরকার?
উত্তর: যথার্থ ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য জীবন কুশলতার শিক্ষার দরকার।
50. কৈশোর বা বয়ঃসন্ধি কাকে বলে?
উত্তর: শৈশব থেকে যৌবনের সময়কালকে কৈশোর বা বয়ঃসন্ধি বলে।
3. Short Question Answer
1. বহিঃক্ষরা গ্রন্থি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: যে গ্রন্থির নিঃসৃত রস নালিকার মধ্যে দিয়ে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে যায় তাকে বহিঃক্ষরা গ্রন্থি বলে। যথা-লালা গ্রন্থি।
2. অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি কাকে বলে?
উত্তর: যে গ্রন্থির নালিকা নেই এবং গ্রন্থির নিঃসৃত রস সরাসরি রক্তে মেশে তাকে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি বলে। যথা-পিটুইটারি গ্রন্থি।
3. হরমোন কী এবং কোথা থেকে ক্ষরিত হয়?
উত্তর: হরমোন হল কয়েক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। হরমোন অন্তঃ ক্ষরাগ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হয়।
4. মিশ্র গ্রন্থি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: যে গ্রন্থিতে অন্তঃক্ষরা ও বহিঃক্ষরা দু’ধরনের গ্রন্থিকোশ থাকে তাকে মিশ্রগ্রন্থি বলে। যথা-অগ্ন্যাশয়।
5. মিশ্রগ্রন্থির কোন্ অংশ থেকে কী বের হয়?
উত্তর: মিশ্রগ্রন্থির নালিকাবিহীন কোশ থেকে হরমোন বের হয় এবং নালিকাযুক্ত কোশ থেকে উৎসেচক বের হয়।
6. চারটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির নাম লেখো।
উত্তর: পিটুইটারি গ্রন্থি, থাইরয়েড গ্রন্থি, অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি এবং শুক্রাশয় গ্রন্থি।
7. আমাদের দেহে পিটুইটারি গ্রন্থির অবস্থান কোথায়?
উত্তর: আমাদের দেহে মস্তিষ্কের মূলদেশে দুটি খণ্ডবিশিষ্ট পিটুইটারি গ্রন্থির অবস্থান।
৪. অগ্র পিটুইটারি ও পশ্চাৎ পিটুইটারি কাকে বলে?
উত্তর: পিটুইটারিগ্রন্থির দুটি খন্ডকের মধ্যে ওপরের খন্ডকে বলে অগ্রপিটুইটারি এবং নীচের খন্ডকে বলে পশ্চাৎ পিটুইটারি।
9. পিটুইটারি গ্রন্থি নিঃসৃত চারিটি হরমোনের নাম লেখো।
উত্তর: পিটুইটারি গ্রন্থি নিঃসৃত হরমোনগুলি হল- (i) সোমাটোট্রফিক হরমোন, (ii) থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন, (iii) গোনাডোট্রফিক হরমোন এবং (iv) ভ্যাসোপ্রোসিন।
10. কোন্ হরমোনকে বৃদ্ধি পোষক হরমোন বলা হয়? কোন গ্রন্থি এই হরমোন ক্ষরণ করে?
উত্তর: সোমাটোট্রফিক হরমোনকে বৃদ্ধিপোষক হরমোন বলে। পিটুইটারি গ্রন্থি এই হরমোন ক্ষরণ করে।
11. সোমাটোট্রফিক হরমোনের দুটি কাজ উল্লেখ করো।
উত্তর: সোমাটোট্রফিক হরমোনের কাজ হল- (i) শরীরের বিভিন্ন পেশি ও হাড়গুলির দৈর্ঘ্য বাড়ানো। (ii) প্রোটিনের উৎপাদন বাড়ানো ও ক্ষয় কমানো।
12. অল্প বয়সে সোমাটোট্রফিক হরমোনের বেশি ক্ষরণ হলে কী সমস্যা দেখা দেয়?
উত্তর: অল্প বয়সে সোমাটোট্রফিক হরমোনের বেশি ক্ষরণ হলে-(1) হাড় বেড়ে যায় এবং (ii) শরীরের উচ্চতা 7-8 ফুট হয়ে যায়।
13. সোমাটোট্রফিক হরমোনের কম ক্ষরণে কী সমস্যা দেখা দেয়?
উত্তর: সোমাটোট্রফিক হরমোনের কম ক্ষরণে পরিণত মানুষের উচ্চতা মাত্র তিন ফুটের মতো হয়। অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে শিশুর মতো দেখায়।
14. থাইরক্সিন কী?
উত্তর: থাইরক্সিন হল থাইরয়েড গ্রন্থি নিঃসৃত হরমোন। এটি অ্যামাইনধর্মী হরমোন। এই হরমোন দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
15. থাইরক্সিনের অধিক ক্ষরণে কী সমস্যা দেখা দেয়?
উত্তর: থাইরক্সিনের অধিক ক্ষরণে থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যায়। এর ফলে গলাও ফুলে যায়।
16. থাইরক্সিন হরমোনকে ক্যালোরিজেনিক হরমোন বলে কেন?
উত্তর: থাইরক্সিন হরমোন আমাদের শরীরের কোশগুলিতে অক্সিজেনের ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়ে তাপ উৎপাদনে সাহায্য করে। তাই একে ক্যালোরিজেনিক হরমোন বলে।
17. থাইরয়েড গ্রন্থির কয়টি খণ্ড রয়েছে? এই গ্রন্থির হরমোন ক্ষরণে কে উদ্দীপনা জোগায়?
উত্তর: থাইরয়েড গ্রন্থির দুটি খণ্ড রয়েছে। এই গ্রন্থির হরমোন ক্ষরণে থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন উদ্দীপনা যোগায়।
18. থাইরক্সিনের দুটি কাজ লেখো।
উত্তর: থাইরক্সিন: (i) তৃৎপিন্ডের স্পন্দন হারকে বাড়াতে সাহায্য করে।
(ii) শরীরে শক্তি উৎপাদনকে প্রভাবিত করে।
19. থাইরক্সিন বেশি ক্ষরিত হলে কী কী লক্ষণ দেখা দেয়?
উত্তর: থাইরক্সিনের বেশি ক্ষরণে: (i) চোখ দুটো যেন ঠেলে বাইরে চলে আসছে মনে হয়।
(ii) থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে ওঠে।
20. থাইরক্সিনের অভাবে শিশুর যে সমস্যা দেখা দেয় তার যেকোনো দুটির উল্লেখ করো।
উত্তর: থাইরক্সিনের অভাবে:
(i) শিশুর বৃদ্ধি কমে যায়।
(ii) জিভ বেরিয়ে থাকে।
21. থাইরক্সিনের অভাবে বড়োদের শরীরে কী সমস্যা দেখা দেয়?
উত্তর: থাইরক্সিনের অভাবে বড়োদের শরীরের চামড়া ফোলা ফোলা ও খসখসে হয়।
22. অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি থেকে কোন্ কোন্ হরমোন ক্ষরিত হয়?
উত্তর: ইনসুলিন ও গ্লুকাগন হরমোন অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হয়।
23. ইনসুলিন হরমোনের দুটি কাজ লেখো।
উত্তর: ইনসুলিন: (i) রক্তের সাহায্যে গ্লুকোজকে কোশে ঢুকতে সাহায্য করা।
(ii) গ্লুকোজের ভাঙন ঘটিয়ে শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করা।
24. ইনসুলিন হরমোন কম ক্ষরিত হলে মূত্রের সঙ্গে গ্লুকোজ বেরোতে থাকে কেন?
উত্তর: ইনসুলিন হরমোন কম ক্ষরিত হলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে, মূত্রের সঙ্গে গ্লুকোজ দেহ থেকে বাইরে বেরিয়ে যায়।
25. অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির অবস্থান উল্লেখ করো।
উত্তর: আমাদের প্রতিটি বৃক্ক বা কিডনির উপর ত্রিভুজের মতো একটি করে মোট এক জোড়া গ্রন্থি অবস্থিত।
26. অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির আকার বর্ণনা করো।
উত্তর: অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির আকার অনেকটা টুপির মতো, তবে বাম গ্রন্থিটি আকারে বড়ো এবং ডান গ্রন্থিটি আকারে ছোটো।
27. কোন্ হরমোনকে আপৎকালীন হরমোন বলা হয় এবং কেন বলা হয়?
উত্তর: অ্যাড্রিনালিন হরমোনকে আপৎকালীন হরমোন বলা হয়। কারণ, এই হরমোন জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য দেহকে প্রস্তুত করে।
28. অ্যাড্রিনালিন হরমোনের দুটি কাজ উল্লেখ করো।
উত্তর: অ্যাড্রিনালিন হরমোন আমাদের শরীরে (i) তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং (ii) শ্বাসকার্যের হারকে বাড়ায়।
29. মুন ফেস-এর কারণ কী?
উত্তর: মুন ফেস-এর কারণ হল অ্যাড্রিনালিন হরমোনের অধিক ক্ষরণ।
30. অ্যাড্রিনালিন হরমোন কম ক্ষরিত হলে কী সমস্যা দেখা দেয়?
উত্তর: অ্যাড্রিনালিন হরমোন কম ক্ষরিত হলে হজমের গন্ডগোল, পেশির দুর্বলতা ইত্যাদি উপসর্গ তৈরি হয়।
31. ছেলে ও মেয়েদের শরীরের জনন গ্রন্থির নাম কী?
উত্তর: ছেলেদের শরীরের জননগ্রন্থির নাম শুক্রাশয় এবং মেয়েদের শরীরের জননগ্রন্থির নাম ডিম্বাশয়।
32. বয়ঃসন্ধিকালে টেস্টোস্টেরনের প্রভাবে ছেলেদের দেহের লক্ষনীয় দুটি পরিবর্তন উল্লেখ করো।
উত্তর: বয়ঃসন্ধিকালে টেস্টোস্টেরনের প্রভাবে ছেলেদের (i) গোঁফ, দাড়ি প্রকাশ পায় এবং (ii) পেশিবহুল চেহারার প্রকাশ ঘটে।
33. ইস্ট্রোজেনের দুটি কাজ লেখো।
উত্তর: ইস্ট্রোজেন: (i) হাড় ও পেশির বৃদ্ধি ঘটিয়ে দেহের সম্পূর্ণ বৃদ্ধি ঘটায়।
(ii) ত্বকের নীচে ফ্যাটজাতীয় পদার্থের সঞ্চয় ঘটিয়ে শরীরে বদল আনে।
34. জননগ্রন্থি নিঃসৃত হরমোনগুলির নাম লেখো।
উত্তর: জননগ্রন্থি নিঃসৃত হরমোনগুলি হল-ইস্ট্রোজেন, প্রজেস্টেরন ও টেস্টোস্টেরন।
35. লালাগ্রন্থি ও পাকস্থলী থেকে কী ধরনের রস বের হয়?
উত্তর: লালাগ্রন্থি থেকে লালারস বের হয় এবং পাকস্থলী থেকে পাচকরস বের হয়।
36. ইনসুলিন গ্লুকোজকে আমাদের দেহে কোথায় কী অবস্থায় সঞ্চয় করে রাখতে সাহায্য করে?
উত্তর: ইনসুলিন গ্লুকোজকে আমাদের দেহে যকৃৎ ও পেশিতে গ্লাইকোজেন- রূপে সঞ্চয় করে রাখতে সাহায্য করে।
37. বয়ঃসন্ধি কাকে বলে?
উত্তর: শৈশবের পর যে সময়ে দেহ ও মনের দ্রুত পরিবর্তন হয়। তাকে বয়ঃসন্ধি বলে। সাধারণত 10-19 বছর পর্যন্ত বয়সকে বয়ঃসন্ধি বলে।
38. বয়ঃসন্ধিকালে কোন কোন হরমোন শরীরে দ্রুত পরিবর্তন আনে?
উত্তর: গোনাডোট্রফিক হরমোন, ইস্ট্রোজেন, টেস্টোস্টেরন, প্রজেস্টেরন, গ্লুকোকটিকয়েড, অ্যাড্রিনালিন।
39. বয়ঃসন্ধিতে দেখা যায় এমন দুটি আচরণগত সমস্যা লেখো।
উত্তর: বয়ঃসন্ধিতে দেখা যায় এমন দুটি আচরণগত সমস্যা হল মিথ্যা কথা বলা, অকারণে কেঁদে ফেলা ইত্যাদি।
40. আবেগ ও অনুভূতি কী?
উত্তর: আবেগ ও অনুভূতি দুটিই হল মানসিক অবস্থা। পরিবেশের পরিবর্তন অন্যের আচরণ মনের ওপর যে ছাপ ফেলে তাকে আমরা অনুভূতি বলি। এই অনুভূতির প্রকাশিত রূপ হল আবেগ। যেমন ভালো গান শুনলে আনন্দ হয়। এখানে ভালো গান শোনা হল অনুভূতি আর আনন্দ হল আবেগ।
41. রাগ কী? এর প্রভাবে আমাদের দেহে কী পরিবর্তন হয়?
উত্তর: রাগ হল আবেগ ও অনুভূতির মিশ্ররূপ। আমরা যখন রেগে যাই তখন আমাদের শরীরে বিশেষ বিশেষ জৈব-রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে আমাদের দেহে তাপ উৎপন্ন হয় এবং তা সারাদেহে ছড়িয়ে পড়ে। রাগের সময় আমাদের আচরণের পরিবর্তন হয়।
42. ছেলে ও মেয়েদের দেহে কোন হরমোনের প্রভাবে এবং কোন সময়কালে জনন হরমোন ক্ষরণ শুরু হয়?
উত্তর: বয়ঃ সন্ধিকালে গোনাডোট্রফিক হরমোনের প্রভাবে ছেলে মেয়েদের জনন হরমোন ক্ষরণ শুরু হয়।
43. জীবনকুশলতা কাকে বলে?
উত্তর: জীবন কুশলতা হল একটি বিশেষ আচরণ যা প্রতিটি মানুষকে। তার নানা চাহিদা ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করে মোকাবিলা করার সাহাস যোগায়।
44. জীবন কুশলতা শিক্ষার প্রয়োজন কেন?
উত্তর: বয়ঃসন্ধিকালে মানুষের শরীর ও মনের দ্রুত পরিবর্তন ঘটে। এই দ্রুত পরিবর্তনের ফলে প্রত্যেকেই টানাপোড়েনের মুখোমুদ্ধি হতে হয়। ফলে আমরা কোনো কোনো সময় দিশেহারা হয়ে। যাই। তাই নিজের এবং বাইরের পরিবেশের নানা অনিশ্চয়তার ও চাপের মুখোমুখি হবার কুশলতা অর্জন করা ও যথার্থ ভালো। মানুষ হিসাবে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য দরকার জীবন কুশলতার শিক্ষা।
1. হরমোন কী এবং কোথা থেকে তৈরি হয়?
উত্তর: হরমোন হল আমাদের শরীরে রক্তবাহিত কয়েক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। হরমোন রাসায়নিক সংযোগ স্থাপনের কাজ অনেকটাই করে বলে একে রাসায়নিক বার্তাবাহক বলা হয়। হরমোন আমাদের দেহের নালিবিহীন গ্রন্থি বা অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে তৈরি হয়।
2. মিশ্রগ্রন্থি কাকে বলে? মিশ্রগ্রন্থির বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: যে গ্রন্থিতে অন্তঃক্ষরা ও বহিঃক্ষরা দু’ধরনের গ্রন্থিকোশ থাকে, তাকে মিশ্রগ্রন্থি বলা হয়। যথা-অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি। মিশ্রগ্রন্থির বৈশিষ্ট্য হল একাধারে হরমোন এবং অন্যদিকে উৎসেচক নির্গত করা। এই গ্রন্থির নালিকাযুক্ত কোশ থেকে উৎসেচক বের হয় আর নালিকাবিহীন কোশ থেকে উৎসেচক বের হয়।
3. হরমোন কোথায় গিয়ে কাজ করে এবং কাজের শেষে তার পরিণতি কী হয়?
উত্তর: হরমোন নির্দিষ্ট জায়গা তথা অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে তৈরি হয়ে লক্ষ্যে চলে যায়। এবং সেখানে কাজ করে যে লক্ষ্যে যায় তার নাম গ্রাহক। কাজের শেষে হরমোন নষ্ট হয়ে যায়।
4. পিটুইটারি গ্রন্থির গঠন ও কাজ বর্ণনা করো।
উত্তর: পিটুইটারি গ্রন্থি দুটি খন্ডকবিশিষ্ট গ্রন্থি। ওপরের খণ্ডকে – অগ্রপিটুইটারি আর নীচের খন্ডকে বলে পশ্চাৎ পিটুইটারি। কাজ: সোমাটোট্রফিক হরমোন, থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন, গোনাডোট্রফিক হরমোন, ভ্যাসোপ্রোসিন প্রভৃতি হরমোন ক্ষরণ করা এই গ্রন্থির কাজ। এই ছোটো গ্রন্থিটি শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজকে নিয়ন্ত্রণ করে।
5. সোমাটোট্রফিক হরমোনের গুরুত্ব আলোচনা করো।
উত্তর: সোমাটোট্রফিক হরমোন পিটুইটারি গ্রন্থি নিঃসৃত হরমোন। আমাদের শরীরের বিভিন্ন পেশি ও হাড়গুলির দৈর্ঘ্য বাড়াতে এই হরমোন বিশেষভাবে সাহায্য করে। এছাড়া, দেহে প্রোটিনের উৎপাদন বাড়ায় আর প্রোটিনের ক্ষয় কমাতেও এই হরমোন কাজ করে।
6. থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন কোন গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হয়? এই হরমোনের কাজ কী?
উত্তর: থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হয়।
থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন (ⅰ) থাইরয়েড গ্রন্থির বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে, (ii) থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরক্সিন হরমোন ক্ষরণে উদ্দীপনা যোগায়।
থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন বেশি ক্ষরিত হলে গলা ফুলে যায়।
7. থাইরয়েড গ্রন্থির অবস্থান, বৈশিষ্ট্য এবং ক্ষরিত হরমোনের নাম উল্লেখ করো।
উত্তর: আমাদের গলার সামনে স্বরযন্ত্র রয়েছে। তার ঠিক নীচে শ্বাসনালির দুপাশে থাইরয়েড গ্রন্থি থাকে। থাইরয়েড গ্রন্থির দুটি খণ্ডক রয়েছে। কারো কারো ক্ষেত্রে ঢোঁক গেলার সময় এটি ওঠানামা করে। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরক্সিন হরমোন ক্ষরিত হয়।
৪. থাইরক্সিনের কাজ উল্লেখ করো।
উত্তর: থাইরক্সিনের কাজ হল-
(i) হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন হারকে বাড়াতে সাহায্য করা।
(ii) শরীরে শক্তি উৎপাদনকে প্রভাবিত করা।
(iii) শরীরের কোশগুলিতে অক্সিজেনের ব্যবহারকে বাড়িয়ে তোলা।
(iv) দেহের হাড় ও পেশিকে বাড়াতে সাহায্য করা।
9. থাইরক্সিনের বেশি ও কম ক্ষরণের ফলাফল উল্লেখ করো।
উত্তর: থাইরক্সিন বেশি ক্ষরিত হলে-
(i) থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে ওঠে,
(ii) কখনো কখনো মনে হয় যেন চোখ দুটো ঠেলে বেরিয়ে আসছে,
(iii) রক্তচাপের তারতম্য ঘটায়।
থাইরক্সিন কম ক্ষরিত হলে-
(i) শিশুর বাড় কমে যায়, পেট ফোলা হয়, পেশি দুর্বল হয়, জিভ বেরিয়ে থাকে, মুখ থেকে লালা গড়ায়। বড়োদের শরীরের চামড়া ফোলাফোলা ও খসখসে হয়।
10. অগ্ন্যাশয় গ্রন্থির অবস্থান, বিশেষত্ব এবং ক্ষরিত হরমোনের নাম লেখো।
উত্তর: পাকস্থলীর নীচে ক্ষুদ্রান্ত্রের ডিওডেনামের ‘U’ আকৃতির বাঁক থেকে প্লীহা পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে অগ্ন্যাশয় গ্রন্থির অবস্থান। অগ্ন্যাশয় গ্রন্থির বিশেষত্ব হল-এটি একটি মিশ্রগ্রন্থি অর্থাৎ বহিঃক্ষরা ও অন্তঃক্ষরা দুধরনের গ্রন্থি কোশের সমন্বয়ে গঠিত। অগ্ন্যাশয় গ্রন্থির ক্ষরিত হরমোন হল-ইনসুলিন ও গ্লুকাগন।
11. ইনসুলিনের কাজ উল্লেখ করো।
উত্তর: ইনসুলিন হরমোনের কাজ হল-
(i) রক্তের সাহায্যে গ্লুকোজকে কোশে ঢুকতে সাহায্য করা।
(ii) গ্লুকোজের ভাঙন ঘটিয়ে শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করা।
(iii) গ্লুকোজকে যকৃৎ ও পেশিতে গ্লাইকোজেনরূপে সঞ্চয় করে রাখতে সাহায্য করা।
(iv) প্রয়োজনে প্রোটিন, ফ্যাট থেকে গ্লুকোজ উৎপাদনে বাধা প্রদান করে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করা।
12. অ্যান্টিডায়াবেটিক হরমোন কাকে এবং কেন বলা হয়?
উত্তর: ইনসুলিন হরমোনকে অ্যান্টিডায়াবেটিক হরমোন বলা হয়। রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেড়ে গেলে জেলে রাখো: মস্তিষ্কের কোশ একমাত্র গ্লুকোজকেই শক্তি উৎপাদনের উৎস হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। ডায়াবেটিস রোগের সম্ভাবনা দেখা দেয়। ইনসুলিন রক্তে গ্লুকোজের স্বাভাবিক মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে, ফলে ডায়াবেটিস মেলিটাস রোগকে প্রতিহত করা যায়। তাই ইনসুলিনকে অ্যান্টিডায়াবেটিক হরমোন বলা হয়।
13. ইনসুলিন হরমোন কম ক্ষরিত হলে যে সমস্যা দেখা দেয় তা আলোচনা করো।
উত্তর: ইনসুলিন হরমোন কম ক্ষরিত হলে-
(i) রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে মূত্রের সঙ্গে গ্লুকোজ দেহ থেকে বাইরে বেরিয়ে যায়। কোশে প্রয়োজনীয় গ্লুকোজ ঢুকতে পারে না।
(ii) বারে বারে খিদে পায়।
(iii) শরীর অবসন্ন হয়ে পড়ে।
(iv) হৃৎপিণ্ড, বৃক্ক ও চোখের কার্যক্ষমতা কমে যায়।
14. অ্যাড্রিনালিন হরমোন কোথা থেকে কোন্ অবস্থায় ক্ষরিত হয়। হৃৎপিন্ডের ওপর এই হরমোনের প্রভাব কি কোনো প্রভাব আছে?
উত্তর: অ্যাড্রিনালিন হরমোন অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি থেকে দেহের জরুরি অবস্থায় ক্ষরিত হয়।
হ্যাঁ, হৃৎপিন্ডের ওপর এই হরমোনের প্রভাব রয়েছে?
হৃৎপিন্ডের সংকোচন ও প্রসারণ ক্ষমতা এই হরমোন বাড়ায়।
15. স্নায়ুতন্ত্র এবং অন্তঃক্ষরাতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তর: স্নায়ুতন্ত্র ও অন্তঃক্ষরাতন্ত্রের পার্থক্য-
16. অ্যাড্রিনালিন হরমোনের কাজগুলি উল্লেখ করো।
উত্তর: অ্যাড্রিনালিন হরমোন আমাদের শরীরে- (i) শ্বাস-কার্যের হারকে বাড়ায়, (ii) তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে, (iii) হৃৎপিণ্ডের সংকোচন ও প্রসারণ ক্ষমতা বাড়ায়, (iv) মূত্র উৎপাদনকে নিয়ন্ত্রণ করে, (v) বিভিন্ন মানসিক অবস্থা অর্থাৎ ভয়, দ্বন্দু ও পালানোর মনোবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে।
স্নায়ুতন্ত্র | অন্তঃক্ষরাতন্ত্র |
1. প্রধান উপদান নিউরোন | 1. প্রধান উপদান হরমোন |
2. তৎক্ষণাৎ ও দ্রুত কাজ করে। | 2. ধীরগতিতে কাজ করে। |
3. ক্রিয়াশেষে অপরিবর্তিত থাকে। | 3. ক্রিয়াশেষে ধ্বংস হয়ে যায়। |
17. অ্যাড্রিনালিনের বেশি ও কম ক্ষরণজনিত ফলাফল আলোচনা করো।
উত্তর: অ্যাড্রিনালিনের বেশি ক্ষরণে মুখমণ্ডল গোলাকার হয় ও ফুলে যায়। এই ধরনের মুখকে বলে মুন ফেস। মুখের ত্বক খসখসে আর ফ্যাকাশে হয়ে যায়। মহিলাদের মুখমণ্ডলে লোমের আধিক্য দেখা
যায়। ক্ষত সারাতেও সময় লাগে। অ্যাড্রিনালিনের কম ক্ষরণে হজমের গন্ডগোল, পেশির দুর্বলতা ইত্যাদি উপসর্গ তৈরি হয়।
18. ডিম্বাশয় কী, কোথায় থাকে এবং এর গুরুত্ব কী?
উত্তর: ডিম্বাশয় হল এক ধরনের জননগ্রন্থি। এটি স্ত্রীলোকের দেহে থাকে। এই গ্রন্থিটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি। এই গ্রন্থি থেকে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন হরমোন ক্ষরিত হয়। এই হরমোন স্ত্রীদেহের সম্পূর্ণ বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
19. টেস্টোস্টেরন কী এবং এর কাজ কী?
উত্তর: টেস্টোস্টেরন হল পুরুষদেহস্থিত শুক্রাশয় নামক জননগ্রন্থি তথা অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি নিঃসৃত হরমোন। এই হরমোনের প্রভাবে বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের গোঁফ, দাড়ি বেরোয়। ধীরে ধীরে হাড় ও পেশি শক্তিশালী হয় ও পেশি বহুল চেহারা তৈরি হয়। গলার স্বরে ভাঙন ঘটে এবং গলার স্বর ভারী হয়।
20. ইস্ট্রোজেন কী এবং এর কাজ কী?
উত্তর: ইস্ট্রোজেন হল স্ত্রী-জননগ্রন্থি নিঃসৃত হরমোন। এই হরমোন হাড় ও পেশির বৃদ্ধি ঘটিয়ে দেহের সম্পূর্ণ বৃদ্ধি ঘটায়, ত্বকের নীচে ফ্যাটজাতীয় পদার্থের সঞ্চয় ঘটিয়ে শরীরে বদল আনায়।
21. নীচের ছবিটি দেখে কোল্টি মিশ্রগ্রন্থি তা নাম সহযোগে চিহ্নিত করো।
উত্তর: পাঠ্যপুস্তকের 231-এ ডান দিকের ছবি দেখো।
22. নীচের ছবিতে অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির অবস্থান দেখাও।
উত্তর: পাঠ্যপুস্তকের 233-এ ডান দিকের ছবি দেখো।
23. নীচের ছবি দুটি দেখে জনন গ্রন্থি অর্থাৎ ডিম্বাশয় ও শুক্রাশয় চিহ্নিত করো।
উত্তর: পাঠ্যপুস্তকের 234-এ ডান দিকের ছবি দেখো।
24. বয়ঃসন্ধিকালে দীর্ঘক্ষণ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণ কী?
উত্তর: বয়ঃসন্ধিকালে দেহ ও মনের দ্রুত পরিবর্তন ঘটে। এই সময় ছেলেমেয়েদের মুখে ব্রণ বেরোয়, ছেলেদের গোঁফ, দাড়ি গজায়। এই পরিবর্তন নতুন হওয়ায় তাদের কৌতূহল জন্মায়। তাই তারা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের কৌতূহল মেটানোয় সচেষ্ট থাকে। এই পরিবর্তনের কারণ হল ছেলেদের টেস্টোস্টেরন হরমোন এবং মেয়েদের ইস্ট্রোজেন হরমোন ক্ষরণ শুরু হওয়া।
25. সোমাটোট্রফিক হরমোনকে বৃদ্ধি পোষক হরমোন বলার তিনটি কারণ লেখো।
উত্তর: (ⅰ) সোমাটোট্রফিক হরমোন শরীরের পেশি ও হাড়ের দৈর্ঘ্য বাড়ায়।
(ii) প্রোটিনের উৎপাদন বাড়ায় এবং প্রোটিনের ক্ষয় কমায়। (iii) দেহের সার্বিক বৃদ্ধি ঘটায়।
26. বয়ঃসন্ধিকালে শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনের কী পরিবর্তন ঘটে?
উত্তর: বয়ঃসন্ধিকালে শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনের যে পরিবর্তন ঘটে, সেগুলি হল অকারণে রেগে যাওয়া, অল্পেতে কেঁদে ফেলা, হতাশা বৃদ্ধি পাওয়া, কাউকে বিশ্বাস না করা, কৌতূহল বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।
27. বয়ঃসন্ধিতে ব্রণ বেরোনোর কারণ কী?
উত্তর: বয়ঃসন্ধিকালে আমাদের মুখের ত্বকের লোমকূপগুলোতে বেদি পরিমাণ সিবাম নামক একটি রেচন পদার্থ ক্ষরিত হয়। এ সিবাম লোমকূপ গুলিতে জমে যায় এবং ব্রণ বের হয়।
4. Long Question Answer
1. ছোটোবেলা থেকে বড়ো হওয়ার পথে তোমার শরীরের ও মনের পরিবর্তন ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করো। (পাঠ্যবই পৃষ্ঠা নং- ২২৯)
উত্তর: শরীরের পরিবর্তন : (i) দেহের উচ্চতা বৃদ্ধি, (ii) দেহের ওজন বৃদ্ধি, (ii) কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন, (iv) পেশিবহুল মজবুত দেহ গঠন, (v) চামড়ার নীচে চর্বি সঞ্চয় ও দেহে বদলভাবের প্রকাশ, (vi) ঘর্মগ্রন্থি এবং সিবেসিয়াস গ্রন্থির ক্ষরণ বেড়ে চলা, (vii) গোঁফ, দাড়ি (ছেলেদের ক্ষেত্রে) এবং স্তনগ্রন্থি (মেয়েদের ক্ষেত্রে)-র আবির্ভাব।
মনের পরিবর্তন: পৃষ্ঠা নং- 230
(i) আত্মচেতনাবোধ জাগ্রত হওয়া এবং স্বাধীন মনোভাবের আত্মপ্রকাশ ঘটা।
(ii) চিন্তা-ভাবনায় বুদ্ধিমত্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটা।
(iii) গঠনমূলক পরিকল্পনা, সৃজনশীল চিন্তার বিকাশ ঘটা।
(iv) চিন্তা-ভাবনার আদান-প্রদান করার ক্ষমতা, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করার ক্ষমতা প্রকাশ পাওয়া।
(v) নানান অনুভূতি; যথা-অভিমান, রাগ, দুঃখ, আনন্দ, ভয় প্রভৃতির বহিঃপ্রকাশ ঘটা।
2. ছুটি গল্পের ফটিকের মতো বন্ধু পেলে তাকে কীভাবে সাহায্য করা উচিত বলে তোমার মনে হয়?
উত্তর: ফটিকের মতো বন্ধু পেলে তাকে যেভাবে সাহায্য করা উচিত বলে আমার মনে হয়, তা হল-
(i) বিজ্ঞানসম্মত কারণে বয়ঃসন্ধিকালে শরীরের ও মনের যে পরিবর্তন হয়, তাকে বোঝাতাম।
(ii) বয়সের কারণে যে পরিবর্তন বর্তমানে অস্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে তা যে স্বাভাবিক এবং ভবিষ্যতের স্বাভাবিক অবস্থার জন্য অপরিহার্য তা বোঝাতাম।
(iii) পড়াশোনার ব্যাপারে যে-কোনো ধরনের অসুবিধা দূর করার জন্য ওকে সাহায্য করতাম।
(iv) দুশ্চিন্তার বোঝা দূর করতে তাকে খেলাধূলা ও নানান গঠনমূলক কাজকর্মে উদ্বুদ্ধ করতাম।
(v) বন্ধু হিসেবে তাকে যতটা সম্ভব সঙ্গ দিয়ে তার একাকিত্ব দূর করার চেষ্টা করতাম।
3. ফটিকের যেমন খেলতে ভালো লাগত, ঘরের নানারকম কাজ করতে ভালো লাগত সেরকম তোমাদেরও তো নানারকম কাজ করতে ভালো লাগে। তোমার কী কী কাজ করতে ভালো লাগে। (পাঠ্যবই পৃষ্ঠা নং- ২৩৬)
উত্তর: (i) পড়াশুনা করতে, (ii) খেলাধুলা করতে, (iii) আঁকতে, (iv) গান করতে, (v) ক্রিকেট খেলতে, (vi) সাঁতার কাটতে, (vii) বাড়ির কাজ করতে, (viii) বাবা-মাকে সাহায্য করতে, (ix) বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করতে, (x) অসহায় মানুষকে সাহায্য করতে ভালো লাগে।
4. বর্তমানে অর্থাৎ বয়ঃসন্ধিকালে তুমি যেসকল মানসিক পরিবর্তন ও অনুভূতি অনুভব করছো তা কী ছোটোবেলাতেও মনে হত? যুক্তিসহযোগে তোমার উত্তর দাও।
উত্তর: না, বর্তমানে আমি যেসকল মানসিক পরিবর্তন ও অনুভূতিগুলি অনুভব করছি তা ছোটোবেলায় করতাম না।
কারণ, আমাদের মানসিক পরিবর্তন ও অনুভূতি অনুভব বয়সের সঙ্গে যুক্ত। আসলে বয়ঃসন্ধিকালে আমাদের শরীরে বেশ কয়েক ধরনের হরমোন তার প্রভাব বিস্তার শুরু করে। ওই হরমোন যেমন মানসিক পরিবর্তন ঘটাতে সাহায্য করে তেমনি নানান অনুভূতি অনুভবেরও ক্ষমতা প্রদান করে। বিভিন্ন ঘটনার কার্য-কারণ বিশ্লেষণ করার ক্ষমতাও এই বয়ঃসন্ধিক্ষণে উকি দেওয়া শুরু করে।
5. বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে ও মেয়েদের দেহের মুখ্য পরিবর্তনগুলি কারণসহ আলোচনা করো।
উত্তর: ছেলে ও মেয়েদের দেহের পরিবর্তনের কারণ-
6. কোন্ কোন্ হরমোন বয়ঃসন্ধিতে শরীরে দ্রুত পরিবর্তনে সাহায্য করে? কোন্ অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে এই হরমোনগুলি ক্ষরিত হয়?
উত্তর: বয়ঃ সন্ধিকালীন সময়ে শরীরে দ্রুত পরিবর্তনে সাহায্যকারী হরমোনগুলি হল অগ্রপিট্যুইটারি গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত গোনাডোট্রফিক হরমোন (GTH)। অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির কর্টেক্স অঞ্চল থেকে ক্ষরিত অ্যাড্রিনালিন, গ্লুকোকটিকয়েড হরমোন, শুক্রাশয় থেকে ক্ষরিত টেস্টোস্টেরন হরমোন (ছেলেদের ক্ষেত্রে) এবং ডিম্বাশয় থেকে ক্ষরিত ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোন (মেয়েদের ক্ষেত্রে)।
7. উপরের গল্পটি যে ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে তার জন্য কোন হরমোন দায়ী?
উত্তর: টেস্টোস্টেরন হরমোন।
গল্প ২:
আজ ইস্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার দিন। অসিত অন্যদের সঙ্গে দৌড়োবে। বাঁশি বাজতেই সব প্রতিযোগী মাঠের ধারে লাইন বরাবর দাঁড়িয়ে পড়ল। দ্বিতীয় বাঁশি বাজতেই দৌড় শুরু। প্রাণপণে দৌড়ে অসিত যখন দড়ি ছুঁল, দেখল ও প্রথম হয়েছে। অসিত কথা বলতেই পারছিল না। বুকের হৃৎপিণ্ডটা খুব জোরে জোরে ধুকপুক করছিল। ভীষণ হাঁপাচ্ছিল ও দরদর করে ঘাম ঝরছিল। জিভটাও শুকিয়ে আসছিল। একটুখানি বসতেই আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে গেল।
8. সুজাতার মনে যে প্রশ্ন এসেছে তার উত্তরে কোন হরমোনের প্রভাবের কথা উল্লেখ করা যায়?
উত্তর: সুজাতার মনে যে প্রশ্ন এসেছে তার উত্তরে সোমাটোট্রফিক হরমোনের প্রভাবের কথা উল্লেখ করা যায়।
গল্প ৪:
রাবেয়া মায়ের সঙ্গে মেলায় বেড়াতে গিয়েছিল। ঘুরতে ঘুরতে খুব জল তেষ্টা পেয়েছিল। মাকে বলল সেকথা। তখন তিনি রাবেয়াকে শরবত কিনে দিলেন। দোকানদারকে শরবতে চিনি মেশাতে বারণ করলেন। রাবেয়া মাকে শরবতে চিনি দিতে না বলার জন্য চাপ দিল না। রাবেয়া জানত যে ওর চিনি খাওয়া একদম বারণ। তাই ও একেবারেই মিষ্টি খায় না। আজকাল খুব অল্পেই হাঁপিয়ে যায়। কোথাও কেটে গেলে ঘা যেন শুকোতে চায় না।
9. বয়ঃসন্ধিকালে তৈরি হয় এমন কয়েকটি সমস্যার উল্লেখ করে।।
উত্তর: বয়ঃসন্ধিকালে তৈরি হয় এমন কয়েকটি সমস্যা হল-
(i) চটজলদি ভালো লাগা বা মন্দ বলে এড়ানো ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজের প্রতি বিশ্বাস ও নির্ভরতা কমতে থাকা।
(ii) কারণ বিশ্লেষণে না গিয়ে কোনো ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে আস্থাহীনতার শিকার হওয়া।
(iii) হতাশাগ্রস্থ হয়ে অন্যদের সঙ্গে দুরত্ব সৃষ্টি করা এবং কাউকে বিশ্বাস না-করার প্রবণতা মাথাচাড়া দেওয়া।
(iv) কারোর ক্ষতি বা অসুবিধার কথা শুনে কোনোভাবে দুঃখ বা অনুতাপ বোধ প্রকাশ না করা।
(v) ঝোঁকের মাথায় নানান খারাপ কাজে জড়িয়ে যাওয়া এবং কুঅভ্যাসের মাধ্যমে দিনাতিপাত করা।
10. বয়ঃসন্ধিকালের আচরণগত সমস্যা ও তার সমাধানের উপায় আলোচনা করো।
উত্তর: বয়ঃসন্ধিকালে-
(i) কথায় কথায় রেগে যাওয়া,
(ii) অকারণে কেঁদে ফেলা,
(iii) তর্কাতর্কি ও মারামারি করা,
(iv) পড়াশুনায় অনীহা প্রকাশ করা,
(v) অকপটে মিথ্যাকথা বলা,
(vi) পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষ, সন্দেহ ও হিংসাভাব প্রকাশ করা, প্রভৃতি আচরণগত সমস্যা দেখা যায়।
11. আচরণগত সমস্যার সমাধানের উপায়:
(i) ধীরস্থির হওয়ার চেষ্টা করা।
(ii) বাবা-মায়ের উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পরামর্শ নেওয়া।
(iii) কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে বাবা-মায়ের সঙ্গে আলোচনা করা দরকার।
(iv) বন্ধুর প্রতি সহমর্মিতার ভাব প্রদর্শনে অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করা।
(v) কোনো কিছু করার আগে স্থিরচিত্তে ঐ কাজ সম্পর্কে ভাবনা-চিন্তা করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
(vi) যদি মানসিক বিক্ষিপ্ততার কারণে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব না হয় তবে কিছুক্ষণ কোনো ভাবনা-চিন্তা না-করে নিজেকে মৌন রাখা প্রয়োজন।
12. বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা পরিকল্পিত দশটি কেন্দ্রীয় জীবন- কুশলতা চর্চা সম্পর্কে আলোচনা করো।
উত্তর: বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বর্ণিত দশটি কেন্দ্রীয় জীবনকুশলতা চর্চা হল-
(i) আত্মসচেতনতা: নিজের বিভিন্ন অনুভূতিগুলিকে বুঝে নিয়ে তার নিয়ন্ত্রণে দক্ষ হয়ে ওঠা।
(ii) বিশ্লেষণধর্মী চিন্তাঃ এলোমেলো ভাবনা চিন্তা এড়িয়ে বাস্তব জীবনে নানান সমস্যার সম্মুখীন হয়ে তার মোকাবিলা করা।
(iii) সিদ্ধান্ত নেওয়াঃ সমস্যা সমাধানে কোন্ চিন্তা-ভাবনা কার্যকরী তা বিশ্লেষণ করে ঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া।
(iv) সমস্যা দূর করাঃ সমস্যা বুঝে এবং তার সমাধানের ভালো-মন্দের দিক বিশ্লেষণ করে কার্যকরী সমাধান সূত্রের প্রয়োগ করা।
(v) সৃজনশীল চিন্তা: খেলাধুলা, নাচ-গান, ছবি আঁকা প্রভৃতি নানান সৃজনশীল কাজে নিজে অংশ গ্রহণ করে নিজস্ব সৃজনশীলতাকে প্রকাশ করা।
(vi) পারস্পারিক সংযোগ স্থাপন: অন্যের কথা মনোযোগ ও ধৈর্যের সঙ্গে শোনা এবং নিজের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে অথচ বিনয়ের সঙ্গে তুলে ধরার অভ্যাস অনুশীলন করা।
(vii) পারস্পরিক সম্পর্ক: পরিবারের, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু ও অন্যান্য মানুষজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করা।
(viii) সমানুভূতি: অন্যের সমস্যার সঙ্গে নিজেকে শামিল করে তার সমস্যাসংক্রান্ত অনুভূতিগুলোকে বোঝার ও প্রকাশ করাতে অভ্যস্ত হওয়া।
(ix) মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ: নিজের মনের উপর তৈরি হওয়া চাপগুলোকে চিনে সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার বা কমানোর উপায় নিরূপণে অনুশীলন করা।
(x) আবেগ নিয়ন্ত্রণঃ নিজের নানান অনুভূতিগুলো সম্পর্কে সচেতনতা বোধ তৈরি করা এবং সঠিকভাবে তা প্রকাশ করা।
13. . জীবনকুশলতা বলতে কী বোঝ? বয়ঃসন্ধিকালে জীবনকুশলতা সম্পর্কে অবগত হওয়ার গুরুত্ব আলোচনা করো।
উত্তর: জীবনকুশলতা হল এক বিশেষ আচরণ যা প্রতিটি মানুষকে তার নানা চাহিদা ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করে মোকাবিলা করার সাহস জোগায়।
শৈশব থেকে শেষ বয়স পর্যন্ত মানুষের বিকাশ পর্বে বয়ঃ সন্ধিকাল এক গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। কারণ এই পর্বে শরীরের ও মনের দ্রুত পরিবর্তন ঘটে। তাই পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে কেউ কেউ দিশেহারাও হয়ে পড়ে। সে কারণে পরিবেশের নানান অনিশ্চয়তার ও চাপের মুখোমুখি হবার কুশলতা অর্জন করতে হবে নিজেকেই। এর ফলে যথার্থ ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। একারণে জীবন- কুশলতা শিক্ষা প্রতিটি মানুষের একান্ত প্রয়োজন। যেহেতু বয়ঃসন্ধিকালেই এই শিক্ষার সূচনা ঘটে সেহেতু বয়ঃসন্ধিকালে জীবনকুশলতা সম্পর্কে অবগত হওয়া একান্ত প্রয়োজন।
5. Fill In The Blanks
1. গ্রন্থি থেকে অ্যাড্রিনালিন হরমোন ক্ষরিত হয়।
উত্তর: অ্যাড্রিনাল
2. অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি |
উত্তর: নালিকাবিহীন
3. শরীর ও মনের পরিবর্তনের অন্যতম নিয়ন্ত্রক হল |
উত্তর: হরমোন
4. অল্প বয়সে হরমোন বেশি ক্ষরিত হলে দেহের উচ্চতা 7-8 ফুট হয়ে যায়।
উত্তর: সোমাটোট্রফিক
5. হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন হারকে বাড়াতে সাহায্য করে।
উত্তর: থাইরক্সিন
6. হরমোন দেহের নানান জরুরি অবস্থায় ক্ষরিত হয়।
উত্তর: অ্যাড্রিনালিন
7. হরমোনের অধিক ক্ষরণে মুন ফেস সৃষ্টি হয়।
উত্তর: অ্যাড্রিনালিন
৪. শুক্রাশয় থেকে ক্ষরিত হয় হরমোন।
উত্তর: টেস্টোস্টেরন
9. হরমোনের প্রভাবে বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের গলার স্বর ভারী হয়।
উত্তর: টেস্টোস্টেরন
10. বিড়ি খেলে অকেজো হয়ে যায়।
উত্তর: ফুসফুস
11. অঙ্গভঙ্গি করে কিছু কিছু প্রকাশ করা যায়।
উত্তর: অনুভূতি
12. হরমোন স্ত্রীদেহে পুরুষদের তুলনায় কম পাওয়া যায়।
উত্তর: টেস্টোস্টেরন
13. অ্যাড্রিনালিন হরমোনের অধিক ক্ষরণে মহিলাদের মুখমণ্ডলে আধিক্য দেখা যায়।
উত্তর: লোমের
14. ইনসুলিনের অভাবে রক্তে পরিমাণ বেড়ে যায়।
উত্তর: গ্লুকোজের
15. থাইরক্সিনের অভাবে বড়োদের শরীরের চামড়া ফোলা ফোলা ও হয়।
উত্তর: খসখসে
16. অগ্ন্যাশয়ের নালিকাযুক্ত কোশ থেকে বেরোয় |
উত্তর: উৎসেচক
17. হরমোন আমাদের শরীরে প্রোটিনের উৎপাদন বাড়ায়।
উত্তর: সোমাটোট্রফিক
18. হরমোনকে রাসায়নিক বলা হয়।
উত্তর: বার্তাবাহক
19. থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন গ্রন্থি ক্ষরণ করে।
উত্তর: পিটুইটারি
20. মিশ্রগ্রন্থির নালিকাবিহীন কোশ থেকে বেরোয়।
উত্তর: হরমোন
21. গ্রন্থি গোটা শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজকে নিয়ন্ত্রণ করে।
উত্তর: পিটুইটারি
22. হরমোন তৈরি হওয়ার পর যে লক্ষ্যে যায় তার নাম ।
উত্তর: গ্রাহক
23. হরমোনের কাজের থাকে অনেকক্ষণ।
উত্তর: প্রভাব
24. আমাদের শরীরের কোশগুলিতে অক্সিজেনের ব্যবহারকে বাড়িয়ে দেয় |
উত্তর: থাইরক্সিন
25. থাইরক্সিনের বেশি ক্ষরণে রক্তচাপের হয়।
উত্তর: তারতম্য
26. ইস্ট্রোজেন জাতীয় পদার্থের সঞ্চয় ঘটিয়ে শরীরে বদল আনে।
উত্তর: ফ্যাটজাতীয়
27. ইস্ট্রোজেন ও টেস্টোস্টেরন ছেলে ও মেয়েদের দেহে একটা নির্দিষ্ট পর সক্রিয় হয়।
উত্তর: বয়সের
28. ভয়, দ্বন্দু ও পালানোর মনোবৃত্তিকে গ্রন্থির ক্ষরণ পদার্থ নিয়ন্ত্রণ করে।
উত্তর: অ্যাড্রিনাল
29. উৎসেচক খাবারকে সাহায্য করে।
উত্তর: ভাঙতে
30. কান্না, হাসি দ্বারা প্রভাবিত হয়।
উত্তর: হরমোন
31. শরীর ও মনের দ্রুত পরিবর্তন হয়।
উত্তর: বয়ঃসন্ধিকালে
32. হরমোন রক্তের গ্লুকোজকে কোশে ঢুকতে সাহায্য করে।
উত্তর: ইনসুলিন
33. ক্যালোরিজেনিক হরমোন হল ।
উত্তর: থাইরক্সিন।
34. হরমোনের অভাবে দেহের কোনো অংশ কেটে গেলে শুকোতে দেরি হয়।
উত্তর: ইনসুলিন
35. মূত্র উৎপাদনকে নিয়ন্ত্রণ করে হরমোন।
উত্তর: অ্যাড্রিনালিন
36. ছেলেদের পেশিবহুল চেহারার কারণ হল এর ক্ষরণ।
উত্তর: টেস্টোস্টেরন হরমোন
37. মেয়েদের শরীরে মেদ জমে কোমল চেহারার কারণ হল হরমোন।
উত্তর: ইস্ট্রোজেন
38. লোমকূপে জমলে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
উত্তর: সিবাম
39. বয়:সন্ধিকালে আবেগের প্রতি প্রবণতা জন্মায়।
উত্তর: রাগ
40. আমাদের এর ওপর সবসময় নিয়ন্ত্রণ থাকা প্রয়োজন।
উত্তর: আবেগ
41. অন্যের সমস্যার সঙ্গে নিজেকে সামিল করা হল ।
উত্তর: সহানুভূতি
6. True And False
1. হরমোন হল আমাদের শরীরে রক্তবাহিত কয়েক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। ☑
2. লালাগ্রন্থি বহিঃক্ষরা গ্রন্থির অন্তর্গত। ☑
3. পাকস্থলী থেকে পাচকরস বের হয়। ☑
4. নালিকাযুক্ত গ্রন্থিকে অন্তঃক্ষরাগ্রন্থি বলা হয়। ‘x’
সঠিক উত্তর: নালিকাযুক্ত গ্রন্থিকে বহিঃক্ষরা গ্রন্থি বলা হয়।
5. থাইরয়েড এক ধরনের অন্তঃক্ষরাগ্রন্থি। ☑
6. পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে ইনসুলিন ক্ষরিত হয়। ‘x’
সঠিক উত্তর: অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি থেকে ইনসুলিন ক্ষরিত হয়।
7. থাইরয়েড গ্রন্থির বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন। ☑
৪. জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য দেহকে প্রস্তুত করে গ্লুকাগন হরমোন। ‘x’
সঠিক উত্তর: জুরুরি অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য দেহকে প্রস্তুত করে অ্যাড্রিনালিন হরমোন।
9. টেস্টোস্টেরন কেবলমাত্র পুরুষের দেহে পাওয়া যায়। ‘x’
সঠিক উত্তর: টেস্টোস্টেরন স্ত্রী, পুরুষ-উভয় দেহে পাওয়া যায়।
10. শুক্রাশয় স্ত্রী ও পুরুষ উভয়ের দেহে পাওয়া যায়। ‘x’
সঠিক উত্তর: শুক্রাশয় পুরুষদেহে পাওয়া যায়।
11. আমাদের শরীরের তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে থাইরক্সিন। ‘x’
সঠিক উত্তর: আমাদের শরীরে তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাড্রিনালিন।
12. ইনসুলিনের বেশি ক্ষরণের ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। ‘x’
সঠিক উত্তর: ইনসুলিনের বেশি ক্ষরণের ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায়।
13. অগ্ন্যাশয় থেকে কেবলমাত্র ইনসুলিন হরমোন ক্ষরিত হয়। ‘x’
সঠিক উত্তর: অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন ও গ্লুকাগন হরমোন ক্ষরিত হয়।
14. মনের পরিবর্তন চোখে দেখা যায়। ‘x’
সঠিক উত্তর: মনের পরিবর্তন চোখে দেখা যায় না।
15. WHO বয়ঃসন্ধিকাল হিসেবে 10 থেকে 19 বছর পর্যন্ত বয়সকে নির্ধারিত করেছে। ☑
16. আবেগের ওপর নিয়ন্ত্রণ রেখে চলা খুবই জরুরি। ☑
17. সব অনুভূতিগুলোকে মনের ভেতর জমিয়ে রাখা বিপজ্জনক। ☑
18. আবেগের যথার্থ প্রকাশের জন্য দরকার জীবনকুশলতা চর্চা। ☑
19. ইনসুলিন হরমোন কম ক্ষরণের কারণে বারে বারে খিদে পায়। ☑
20. হরমোন খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করে। ‘x’
সঠিক উত্তর: হরমোন ধীরে ধীরে কাজ শুরু করে।
21. খাটো ও লম্বা হওয়া হরমোন দ্বারা প্রভাবিত। ☑
22. গোঁফ, দাড়ি কখন দেখা দেবে তা হরমোন ঠিক করে দেয়। ☑
23. পাকস্থলী নিঃসৃত পাকরস হল এক ধরনের হরমোন। ‘x’
সঠিক উত্তর: পাকস্থলী নিঃসৃত পাকরস হল উসেচক।
24. পিটুইটারির দুখন্ডকের মধ্যে একটি খন্ডক থেকে হরমোন ক্ষরিত হয়। ‘x’
সঠিক উত্তর: পিটুইটারির উভয় খণ্ডক থেকে হরমোন ক্ষরিত হয়।
25. পরিণত মানুষের স্বাভাবিক অবস্থায় উচ্চতা মাত্র তিন ফুটের মতো হয়। ‘x’
সঠিক উত্তর: শৈশবে সোমাটোট্রফিক হরমোন কম ক্ষরিত হলে উচ্চতা মাত্র তিন ফুটের মতো হয়।
26. ভালোলাগা বা মন্দলাগাকে নিয়ন্ত্রণ করে হরমোন। ☑
27. পায়ে মশা বসলে মস্তিষ্ক ঠিক খবর পায়। ☑
28. পিটুইটারি নিঃসৃত হরমোন শরীরের পেশি ও হাড়গুলির দৈর্ঘ্য বাড়ায়। ☑
29. রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক থাকলে ডায়াবেটিক রোগের সম্ভাবনা ক্রম। ☑
30. ডান অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিটি আকারে বড়ো। ‘x’
সঠিক উত্তর: বাম অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিটি আকারে বড়ো।
31. প্রয়োজনে শরীরে বাড়তি শক্তি জোগাতে সাহায্য করে অ্যাড্রিনালিন। ☑
32. টেস্টোস্টেরনের প্রভাবে গলার স্বর ভারী হয়। ☑
33. প্রতিটি হরমোনের নির্দিষ্ট লক্ষ্য অঙ্গ থাকে না। ‘x’
সঠিক উত্তর: প্রতিটি হরমোনের নির্দিষ্ট লক্ষ্য অঙ্গ থাকে।
34. হরমোন ক্ষরিত হয় অন্তঃক্ষরা বা নালিবিহীন গ্রন্থি থেকে। ☑
35. আমাদের শরীরে প্রোটিনের ক্ষয় কমায় সোমাটোট্রফিক হরমোন। ☑
36. পিট্যুইটারি গ্রন্থি উত্তেজিত করে দেহের অন্যান্য হরমোন ক্ষরণকারী গ্রন্থিকে। ☑
37. গলায় শ্বাসনালীর দুপাশে থাকে অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি। ‘x’
সঠিক উত্তর: বৃক্কের ওপর টুপির ন্যায় অবস্থান করে অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি।
38. থাইরক্সিন হরমোন ক্ষরণ নিয়ন্ত্রিত হয় থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোনের প্রভাবে। ☑
39. থাইরক্সিন হরমোনের কম ক্ষরণে শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। ☑
40. প্রোটিন, ফ্যাট থেকে গ্লুকোজ উৎপাদনে বাধা দেয় গ্লুকাগন। ‘x’
সঠিক উত্তর: প্রোটিন ফ্যাট থেকে গ্লুকোজ উৎপাদনে বাধা দেয় ইনসুলিন।
41. দেহের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হয় সোমাটোট্রফিক হরমোন অধিক ক্ষরণে। ☑
42. বয়ঃসন্ধির একটি স্বাভাবিক ঘটনা হল ব্রণ হওয়া। ☑
43. মারপিট করা, তর্ক করা, মিথ্যা কথা বলা বয়ঃসন্ধির আচরণগত সমস্যা। ☑
44. বাজি ফাটাতে গিয়ে অলির হাত পুড়ে যাওয়া একটি ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ। ☑
45. বয়ঃসন্ধিকালে আবেগ খুব বেশি থাকে। ☑
46. আবেগের ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ না থাকলে শরীর ও মনের ক্ষতি হয়। ☑
47. আত্ম-সচেতনতা জীবনকুশলতা চর্চার একটি অন্যতম দিক। ☑
48. সমস্যাকে চিনে তার কার্যকর সমাধান করা হল জীবনকুশলতা শিক্ষা। ☑
49. আবেগ এবং অনুভূতির সঠিক প্রকাশ ঘটা প্রয়োজন। ☑
50. ঠিকমতো না বলতে পারলে নানারকম বিপদ হতে পারে। ☑
51. বয়ঃসন্ধিকালে পুরুষের গলার স্বর মোটা ও ভারী হয়ে যায়। ☑