WBBSE Class 8 Geography Chapter 1 Solution| Bengali Medium

Class 8 Chapter 1 Solution

পৃথিবীর অন্দরমহল 

MCQs

1. পৃথিবীর গড় ব্যাসার্ধ হল-

(a) 6,720 কিমি.

(b) 6,370 কিমি.

(c) 6,470 কিমি.

(d) 6,520 কিমি.

উত্তর: (b) 6,370 কিমি.।

2. পৃথিবীপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা-

(a) 10° সে.

(b) 12° সে.

(c) 15° সে.

(d) 20° সে.

উত্তর: (c) 15° সে.।

3. ভূত্বকের গড় গভীরতা প্রায়-

(a) 5 কিমি.

(b) 30 কিমি.

(c) 40 কিমি.

(d) 60 কিমি.

উত্তর: (b) 30 কিমি.।

4. পৃথিবীর গড় ঘনত্ব- 

(a) 5.05 প্রতি ঘনসেমিতে

(b) 5.50 প্রতি ঘনসেমিতে

(c) 5.5 প্রতি ঘনসেমিতে

(d) 65.5 প্রতি ঘনসেমিতে

উত্তর: (b) 5.50 প্রতি ঘনসেমিতে।

5. পৃথিবীর বয়স প্রায়-

(a) 100 কোটি বছর

(b) 400 কোটি বছর

(c) 450 কোটি বছর

(d) 460 কোটি বছর

উত্তর: (d) 460 কোটি বছর।

6. সকল প্রকার মাধ্যমের মধ্য দিয়ে গতিশীল ভূকম্পীয় তরঙ্গটি হল-

(a) ‘P’ তরঙ্গ

(b) ‘S’ তরঙ্গ

(c) ‘L’ তরঙ্গ

(d) ‘A’ তরঙ্গ

উত্তর: (a) ‘P’ তরঙ্গ।

7. গুরুমণ্ডলের গড় উদ্বুতা প্রায়-

(a) 2,000°-3,000° সে.

(b) 3,000°-4,000° সে.

(c) 1,000°-2,000° সে.

(d) 1,500°-2,000° সে.

উত্তর: (a) 2,000°-3,000° সে.।

৪. মহাদেশীয় ভূভাগের তলদেশের প্রায় সব অংশেই আছে-

(a) ব্যাসল্ট

(b) গ্রানাইট

(c) ডলোমাইট

(d) কয়লা

উত্তর: (b) গ্রানাইট।

9. পৃথিবীর গভীরতম খনি রবিনসন ডিপ অবস্থিত-

(a) দক্ষিণ আফ্রিকা

(b) উত্তর আমেরিকা

(c) এশিয়া

(d) অস্ট্রেলিয়াতে অবস্থিত

উত্তর: (d) দক্ষিণ আফ্রিকাতে অবস্থিত।

10. পৃথিবীর মোট আয়তনের গুরুমণ্ডল অধিকার করে আছে প্রায়-

(a) 70%

(b) 80%

(c) 84%

(d) 94%

উত্তর: (c) 84%।

11. কেন্দ্রমণ্ডলের প্রধান উপাদানগুলি হল-

(a) সোনা ও লোহা

(b) লোহা ও নিকেল

(c) লোহা ও ক্রোমিয়াম

(d) লোহা ও ম্যাগনেশিয়াম

উত্তর: (b) লোহা ও নিকেল।

12. অক্সিজেন ভূত্বকের কত শতাংশ স্থান জুড়ে আছে?

(a) 84%

(b) 45%

(c) 46%

(d) 47%

উত্তর: (d) 47%।

13. ভূগর্ভস্থ উত্তপ্ত অর্ধতরল পদার্থসমূহকে বলে-

(a) লাভা

(b) ম্যাগমা

(c) অগ্ন্যুৎপাত

(d) উয় প্রস্রবণ

উত্তর: (b) ম্যাগমা।

14. পৃথিবীর চৌম্বকত্ব সৃষ্টিকারী ভূঅভ্যন্তরের স্তরটি-

(a) কেন্দ্রমণ্ডল

(b) গুরুমণ্ডল

(c) ভূত্বক

(d) শিলামণ্ডল

উত্তর: (a) কেন্দ্রমণ্ডল।

15. ভূমিকম্পের যে তরঙ্গের প্রভাব সর্বাধিক ধ্বংসাত্মক হয়, তা হল-

(a) ‘A’ Wave

(b) ‘P’ Wave

(c) ‘S’ Wave

(d) ‘L’ Wave

উত্তর: (d) ‘L’ Wave

16. পৃথিবীর গভীরতম কৃত্রিম গর্ত অবস্থিত-

(a) রাশিয়াতে

(b) দক্ষিণ আফ্রিকাতে

(c) পাকিস্তানে

(d) ভারতে

উত্তর: (a) রাশিয়াতে।

17. ভূত্বকের সিলিকা ও অ্যালুমিনিয়াম সমৃদ্ধ স্তরকে বলে-

(a) সিমা

(b) সিয়াল

(c) ক্লোফেসিমা

(d) নিফেসিমা

উত্তর: (b) সিয়াল।

18. চাপ বাড়লে পদার্থের ঘনত্ব

(a) বাড়ে

(b) কমে

(c) একই থাকে

(d) অল্প কমে

উত্তর: (a) বাড়ে।

19. ভৌমজল মূলত পাওয়া যায়-

(a) কেন্দ্রমণ্ডলে

(b) গুরুমণ্ডলে

(c) শিলামণ্ডলে

(d) বায়ুমণ্ডলে

উত্তর: (c) শিলামণ্ডলে।

20. ‘P’ তরঙ্গের গতিবেগ সর্বাধিক-

(a) ব্যাসল্ট শিলাস্তরে

(b) বেলেপাথর স্তরে

(c) কাদাপাথর স্তরে

(d) চুনাপাথর স্তরে

উত্তর: (a) ব্যাসল্ট শিলাস্তরে।

21. পৃথিবীর গুরুমণ্ডলের ঘনত্ব প্রায়-

(a) 2.5-2.7 গ্রাম/ঘন সেমি.

(b) 9.5-10 গ্রাম/ঘন সেমি.

(c) 6.5-7.0 গ্রাম/ঘন সেমি.

(d) 3.4-5.6 গ্রাম/ঘন সেমি.

উত্তর: (d) 3.4-5.6 গ্রাম/ঘন সেমি.।

22. ভূত্বকের সিয়াল স্তরের প্রধান শিলা-

(a) ব্যাসল্ট

(b) গ্রানাইট

(c) চুনাপাথর

(d) বেলেপাথর

উত্তর: (b) গ্রানাইট।

23. উয় প্রস্রবণের জল গরম হয়-

(a) ভূতাপ শক্তির জন্য

(b) সূর্যের আলোর থেকে তাপ গ্রহণ করে

(c) সরাসরি লাভার সংস্পর্শে

(d) ভূঅভ্যন্তরের চাপ বৃদ্ধির জন্য

উত্তর: (a) ভূতাপ শক্তির জন্য।

24. পৃথিবীর গভীরে মানুষ সশরীরে যতটা আজ অবধি পৌঁছোতে পেরেছে তা পৃথিবীর মোট গভীরতার

(a) দশ শতাংশ

(b) দুই শতাংশ

(c) পাঁচ শতাংশ

(d) এক শতাংশও নয়

উত্তর: (d) এক শতাংশও নয়।

25. এদের মধ্যে সবচেয়ে পুরু স্তরটি হল-

(a) সিয়াল

(b) সিমা

(c) গুরুমণ্ডল

(d) কেন্দ্রমণ্ডল।

উত্তর: (d) কেন্দ্রমণ্ডল।

26. ভূত্বকের- শতাংশ জুড়ে আছে অক্সিজেন।

(a) 40

(b) 45

(c) 47

(d) 501
উত্তর: (c) 47।

Very Short Question Answer

1. সিয়াল, সিমা, কনরাড, নিফে

উত্তর: কনরাড।

2. সৌরশক্তি, ভূতাপশক্তি, বায়ুবিদ্যুৎ, তাপবিদ্যুৎ

উত্তর: তাপবিদ্যুৎ।

3. উয় প্রস্রবণ, কয়লা, খনিজ তেল: অ্যালুমিনিয়াম

উত্তর: উয় প্রস্রবণ।

4. পুগা, মণিকরণ, লাদাখ, তপোবন

উত্তর: লাদাখ।

5. লোহা, কাঁসা-পিতল, সিলিকন, ক্রোমিয়াম

উত্তর: কাঁসা-পিতল।

6. বহিঃগুরুমণ্ডলের অপর নাম নিফেসিমা।

উত্তর: বহি: গুরুমণ্ডলের অপর নাম ক্লোফেসিমা।

7. পৃথিবীর কেন্দ্রের উন্নতা প্রায় 4000° সে. – 4,500°সে.। 

উত্তর: পৃথিবীর কেন্দ্রের উন্নতা প্রায় 5000° সে. – 6,000° সে.।

8. সিমার গড় ঘনত্ব প্রায় 2.6 গ্রাম/ঘন সেমি.।

উত্তর: সিমার গড় ঘনত্ব প্রায় 2.9 গ্রাম/ ঘন সেমি.।

9. ভূত্বক প্রধানত অ্যালুমিনিয়াম দ্বারা গঠিত হয়েছে।

উত্তর: ভূত্বক প্রধানত সিলিকন দ্বারা গঠিত হয়েছে।

10. পৃথিবীর গভীরতা প্রায় 6,500 কিমি.।

উত্তর: পৃথিবীর গভীরতা প্রায় 6,370 কিমি.।

11. আমার অপর নাম অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার। আমি সর্বদা পরিচলন স্রোতে বিক্ষুব্ধ অবস্থায় থাকি। আমি কে?

উত্তর: ক্ষুব্ধমণ্ডল।

12. আমি একটি গ্যাসীয় উপাদান। আমি রাসায়নিক অবস্থায় ভূত্বকের 89% অংশ মিশে আছি। আমি কে?

উত্তর: অক্সিজেন।

13. আমার উপরিভাগে মাটি আছে। আমি একটি পাতলা স্তর। আমি কে? 

উত্তর: ভূত্বক।

14. আমি ভূগর্ভজাত ধ্বংসাত্মক প্রাকৃতিক শক্তি। আমি কে?

উত্তর: ভূমিকম্প।

15. আমি কেন্দ্ৰমণ্ডল ও গুরুমণ্ডলের মধ্যভাগে অবস্থিত একটি বিযুক্তিরেখা। আমার নাম কী?
উত্তর: গুটেনবার্গ-বিযুক্তিরেখা।

16. রবিনসন ডীপের গভীরতা কত?

উত্তর: 3.4 কিমি.।

17. পশ্চিমবঙ্গের কোথায় উয় প্রস্রবণ আছে?

উত্তর: বক্রেশ্বরে।

18. ভূতাপ কী প্রকারের শক্তি?

উত্তর: অচিরাচরিত বা অপ্রচলিত শক্তি।

19. ভূপৃষ্ঠের গড় ঘনত্ব কত?

উত্তর: 2.6-3.3 গ্রাম/ঘন সেমি.

20. সিমা প্রধানত কোন শিলা দ্বারা গঠিত?

উত্তর: ব্যাসল্ট।

21. ভূঅভ্যন্তরে কোথায় ভূকম্পন তরঙ্গের গতি পরিবর্তিত হয়?

উত্তর: বিযুক্তিরেখা।

22. গুরুমণ্ডলের অপর নাম কী?

উত্তর: ম্যান্টল।

23. ভূগর্ভে উন্নতা বৃদ্ধির হার কত?

উত্তর: 1° সে./33 মিটার।

24. গুরুমণ্ডলের গড় বেধ বা বিস্তার কত?

উত্তর: 2870 কিমি. বা প্রায় 2,900 কিমি.।

25. মহাসাগরীয় ভূত্বকের অপর নাম কী?

উত্তর: সিমা।

26. কেন্দ্রমণ্ডলের অপর নাম কী?

উত্তর: নিফে।

27. ভূগর্ভস্থ গরম জল ভূপৃষ্ঠে নির্গত হওয়ার স্থানটি কী নামে পরিচিত?

উত্তর: উন্ন প্রস্রবণ।

28. পৃথিবীর গভীরতম খনি থেকে কী পাওয়া যায়?

উত্তর: সোনা।

29. পৃথিবীপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা যদি সে: হয় তাহলে অঙ্কের হিসেবে রবিনসন ডিপের সোনার খনির শ্রমিকদের কত গরম সহ্য করতে হয়? 

উত্তর: 106°-136° সে.।

30. পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতে ঘটে যাওয়া এরকম ঘটনার খবর সংবাদপত্র থেকে সংগ্রহ করে কোলাজ বানাও।
উত্তর: বাড়ির বড়োদের সাহায্য নিয়ে অগ্ন্যুৎপাত ও ভূমিকম্পের সংগ্রহ করে কোলাজ তৈরি করো।

Short Question Answer

প্রশ্ন 1: ম্যাগমা (Magma) কী?

উত্তর: পৃথিবীর অভ্যন্তরে সঞ্চিত উত্তপ্ত গলিত বা অর্ধগলিত তরল পদার্থকে ম্যাগমা বলে। ভূগর্ভে তাপ, চাপ ও রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটলে ভূগর্ভের পদার্থের স্থিতিশীলতা নষ্ট হয় এবং এইসব পদার্থসমূহ গলে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাস, বাষ্প ও নানান ধরনের রাসায়নিক, ধাতব ও অধাতব অর্ধতরল পদার্থের মিশ্রণ ম্যাগমার সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন 2: লাভা (Lava) কী?

উত্তর: ভূঅভ্যন্তর থেকে পৃথিবীপৃষ্ঠে বেরিয়ে আসা উত্তপ্ত ও গলিত অর্ধতরল সিলিকেট পূর্ণ পদার্থকে লাভা বলে। উল্লেখ্য, লাভার মধ্যে উদ্বায়ী পদার্থ ও জলীয় বাষ্প থাকে না।

প্রশ্ন 3: ভূতাপ (Geo-thermal) কী?

উত্তর: ভূগর্ভের সুবিশাল ম্যাগমা চেম্বার থেকে ভূপৃষ্ঠের দিকে অর্থাৎ পৃথিবীর বাইরের দিকে যে তাপ প্রাকৃতিক নিয়মে বেরিয়ে আসে, তাকে ভূতাপ বলে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূঅভ্যন্তরের দিকে প্রতি 33 মিটার গভীরতায় প্রায় 1° সে. হারে উয়তা বৃদ্ধি পায়।

প্রশ্ন 4: উয় প্রস্রবণ (Hot Spring) কাকে বলে?

উত্তর: ফাটল বা চ্যুতি বা ছিদ্রপথের মাধ্যমে ভূঅভ্যন্তরের সংযোগে উত্তপ্ত ভৌমজল যখন স্রোতরূপে ভূপৃষ্ঠের উপর আপনাআপনি কিছুটা বেগে বেরিয়ে আসে, তখন সেই উয় জল নির্গত হওয়ার মাধ্যমকে উদ্বু প্রস্রবণ বলে। উয় প্রস্রবণ থেকে বেরিয়ে আসা জলের উয়তা স্থানীয় ভৌমজলের স্বাভাবিক উন্নতা থেকে বেশি হয়। উয় প্রস্রবণের জলের সাধারণ উয়তা 36.7° সে./98° ফারেনহাইট বা তার বেশি হয়। যেমন: পশ্চিমবঙ্গের বক্রেশ্বর, হিমাচল প্রদেশের মণিকরণ প্রভৃতি উয় প্রস্রবণের উদাহরণ।

প্রশ্ন 5: ভূকম্পীয় তরঙ্গ বলতে কী বোঝো?

উত্তর: ভূঅভ্যন্তরে ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে সৃষ্ট কম্পন যখন তরঙ্গ আকারে ভূপৃষ্ঠের দিকে ছড়িয়ে পড়ে, তখন সেই তরঙ্গকে ভূকম্পীয় তরঙ্গ বলা হয়।

প্রশ্ন 6: সিয়াল বা সায়াল (SIAL) কাকে বলে?

উত্তর: সিলিকন (Si) ও অ্যালুমিনিয়াম (AI) দিয়ে গঠিত পৃথিবীর সবচেয়ে হালকা বহিরাবরণ বা মহাদেশীয় ভূত্বককে সিয়াল বা সায়াল (SIAL) বলে। এই স্তরটির গড় গভীরতা প্রায় 60 কিমি. এবং গড় ঘনত্ব প্রায় 2.78 গ্রাম/ঘন সেমি.। প্রধানত গ্রানাইট, গ্যাব্রো, ডায়োরাইট, পেরিডোটাইট প্রভৃতি শিলা দ্বারা স্তরটি গঠিত হয়েছে।

প্রশ্ন 7: সিমা বা সাইমা (SIMA) কাকে বলে?

উত্তর: সিলিকন (Si) ও ম্যাগনেশিয়াম (Mg) দিয়ে গঠিত অপেক্ষাকৃত ভারী মহাসাগরীয় ভূত্বককে সিমা বা সাইমা (SIMA) বলে। স্তরটি সিয়াল এর ঠিক নীচে অবস্থান করছে। এই স্তরটির গড় গভীরতা প্রায় 5 কিমি. এবং গড় ঘনত্ব প্রায় 2.9-3 গ্রাম/ঘন সেমি প্রধানত ব্যাসল্ট, রায়োলাইট, অ্যান্ডিসাইট প্রভৃতি শিলা দ্বারা স্তরটি গঠিত হয়েছে।

প্রশ্ন ৪: ভূঅভ্যন্তরে অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারের অবস্থান কোথায়?

অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারকে ক্ষুব্ধমণ্ডল বলা হয় কেন?

উত্তর: শিলামণ্ডলের ঠিক নীচে এবং গুরুমণ্ডলের ওপরের অংশে গলিত পিচ বা গুড়ের ন্যায় নমনীয় ও স্থিতিস্থাপক স্তরটিকে অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার বা ক্ষুব্ধমণ্ডল বলে। স্তরটির গড় গভীরতা প্রায় 100 কিমি.। ভূঅভ্যন্তরে তাপ ও চাপের তারতম্য এবং রাসায়নিক বিক্রিয়ায় স্তরটি অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে বলে একে ক্ষুব্ধমণ্ডল বলে।

প্রশ্ন 9: সিয়াল ও সিমার মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো।

উত্তর: সিয়াল ও সিমার পার্থক্য হল-(i) সিয়াল স্তর সিলিকন ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে গঠিত। সিমা সিলিকন ও ম্যাগনেসিয়াম দিয়ে গঠিত। (iii) সিয়াল স্তরের গভীরতা সিমার তুলনায় বেশি।

প্রশ্ন 10: ঘনত্ব (Density) বলতে কী বোঝো?

উত্তর: একক আয়তনে পদার্থের যতটুকু ভর আছে, তার পরিমাপকে সেই পদার্থের ঘনত্ব বলে। অর্থাৎ প্রতি ঘনসেমি. জায়গায় কোনো পদার্থের ভর কতটা সেটাই হল সেই পদার্থের ঘনত্ব। উল্লেখ্য, পদার্থের ঘনত্বের মাধ্যমে পদার্থের অণু পরমাণুগুলির মধ্যে ব্যবধানের ধারণা করা যায়। যেমন-অণু পরমাণুগুলি কাছাকাছি থাকলে ঘনত্ব বেশি হয়, উদাহরণ-লোহা। আর পদার্থটির অণু পরমাণুগুলি দূরে দূরে থাকলে আর ঘনত্ব কম হবে, উদাহরণ-অভ্র।

প্রশ্ন 11 : অগ্ন্যুদগমের গুরুত্ব কী?

উত্তর: অগ্ন্যুদগমের ফলে যে লাভা বেরিয়ে আসে, তার থেকে ভূগর্ভের তাপীয় অবস্থা বোঝা যায়। ভূগর্ভে কোন পদার্থ অবস্থায় সম্বন্ধে জ্ঞানলাভের একটি উপায় হল অগ্ন্যুৎপাত পর্যবেক্ষণ।

প্রশ্ন 12: ‘Low Velocity Zone’ বা ‘নিম্ন ভূকম্পীয় বেগ অঞ্চল কী?

উত্তর: ঊর্ধ্ব গুরুমণ্ডলের অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার স্তরটিকে পদার্থের দৃঢ়তা (Rigidity) ও ঘনত্ব কমে গেলে ভূকম্প তরঙ্গ গতিবেগ হ্রাস পায় তাই এই স্তরের অপর নাম ‘Low Velocity Zone’ বা ‘নিম্ন ভূকম্পীয় বেগ অঞ্চল’।

প্রশ্ন 13 : বিযুক্তিরেখা (Discontinuity Line) কাকে বলে?

উত্তর: ভূঅভ্যন্তরে ভূকম্পন তরঙ্গের গতিবেগ যেখানে পরিবর্তিত হয়, সেখানে যে কাল্পনিক সীমারেখা দ্বারা ভূস্তরগুলি পৃথক আছে। তাকে বিযুক্তিরেখা বা বিযুক্তিতল (Discontinuity) বলে। এটি আসলে দুটি ভিন্ন শিলাস্তরের সংযোগ অঞ্চল। 

ভূঅভ্যন্তরের গঠন, শিলার কাঠিন্য, দৃঢ়তা সর্বত্র সমান নয়। কঠিন পদার্থের মতো ভূঅভ্যন্তরের সান্দ্র বা অর্ধগলিত পদার্থের ভিতর দিয়ে ওই গতিবেগে প্রসারিত হতে পারে না। তাই ভূস্তরের উপাদানের ঘনত্ব, দৃঢ়তার হেরফের ঘটলেই তরঙ্গের গতিবেগের পরিবর্তন ঘটে।

প্রশ্ন 14 : থার্মোকলের সাহায্যে পৃথিবীর অন্দরমহলের মডেল তৈরি করো।

উত্তর : উপকরণ একটি পুরু থার্মোকল, স্কেল, পেন, পেনসিল, বিভিন্ন রঙের স্কেচ পেন। কম্পাস, থার্মোকল কাটার ছুরি, ব্লেড, আঠা ও 2/2’x1/½’ একটি কার্ডবোর্ড প্রভৃতি। প্রশ্ন নং5-এর উত্তর/চিত্রটির আদলে বাড়িতে তোমরা নিজেরা এই জিনিসগুলি সাহায্যে পৃথিবীর অন্দরমহলের মডেল তৈরি করে নাও।

প্রশ্ন 15 : পৃথিবীর বাইরের আর পৃথিবীর ভিতরের সম্পর্কে তুমি জানো-তোমার কোন্টা বেশি পছন্দের এবং কেন?
উত্তর: আমরা শিলামণ্ডলের উপরিভাগে অর্থাৎ ভূ পৃষ্ঠে বসবাস করি। সেখানে উর্বর মাটি, নদনদী, বায়ু, জল, খাদ্য, উপযুক্ত বাসস্থান, প্রাণবায়ু প্রভৃতির বিপুল সমাবেশ আছে। সেজন্য পৃথিবীর তিনটি স্তরের মধ্যে পৃথিবীর উপরিভাগের বৈচিত্র্যময় ভূপৃষ্ঠটিই আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দের স্থান।

প্রশ্ন 16 : ভারতের কোথায় কোথায় ভূ-তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে জানার চেষ্টা করো।

উত্তর: ভারতের প্রধান প্রধান ভূতাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলি হল- (i) হিমাচল প্রদেশের মণিকরণ, কাসোল, (ii) লাদাখের পুগা (iii) মহারাষ্ট্রের জলগাঁও, উনাই, (iv) উত্তরাখণ্ডের তপোবন (v) গুজরাটের কাম্বে, তুয়া; (vi) ঝাড়খণ্ডের সুরজকুন্ড, রাজগীর (vii) মধ্যপ্রদেশের তাতাপানি, (viii) পশ্চিমবঙ্গের বক্রেশ্বর (ix) ওড়িশার তপ্তপানি।

প্রশ্ন 17: কেন আমরা পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত যেতে পারি না?
উত্তর: ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূ-অভ্যন্তরের দিকে যতই যাওয়া যায়, ততইস্তত ও চাপ বৃদ্ধি পেতে থাকে। ভূগর্ভে মানুষের বেঁচে থাকার মতে পর্যাপ্ত জল, অক্সিজেন, বায়ুপ্রবাহ থাকে না। ভূ-অভ্যন্তরের এ প্রচণ্ড তাপমাত্রা ও উপরিভাগের প্রবল চাপে অর্ধতরল অবসায় থাকা ও রাসায়নিক বিক্রিয়াজনিত কারণে সান্দ্র শিলায় পরিচয় স্রোত সৃষ্টি হওয়ায় মানুষসহ সমগ্র জীবজগতের বেঁচে থাকার মতো স্বাভাবিক পরিবেশ নেই। একারণে আমরা পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত যেতে পারি না।

প্রশ্ন 18: পৃথিবীর যে শক্ত পিঠটার ওপর আমরা আছি তার নীচে কী আছে?

উত্তর: পৃথিবীর উপরিভাগের যে শক্ত অংশের ওপর আমরা আছি, সেটাকে ভূত্বক বলে, যার গড় গভীরতা প্রায় 30 কিমি.। এর ঠিক নীচে পরপর অবস্থান করছে ক্ষুব্ধমণ্ডল (গুরুমণ্ডলের উপরের অংশ), গুরুমণ্ডল বা ম্যান্টল এবং কেন্দ্রমণ্ডল বা কোর। ভূপৃষ্ঠ থেকে যতই নীচের দিকে যাওয়া যায়, ততই উদ্বৃতা ও চাপ বৃদ্ধি পেতে থাকে। যেমন-ভূপৃষ্ঠের গড় উষ্ণতা মাত্র 15° সে., অপরদিকে ভূকেন্দ্রের উন্নতা প্রায় 5,000 সে.। ভূগর্ভের তাপ ও চাপ উভয়ের প্রভাবে পদার্থসমূহ কোথাও তরল, আবার

কোথাও সান্দ্র বা অর্ধগলিত অবস্থায় আছে।

প্রশ্ন 19: কেউ কি কখনো দেখেছে পৃথিবীর ভেতরটা কেমন?

উত্তর: পৃথিবীর ভেতরটা কেমন-তা বাস্তবে মানুষ খালি চোখে কোনোদিনই দেখেনি বা যেতে পারেনি। কেবলমাত্র রাশিয়ার কোলা উপদ্বীপের 12 কিমি. গভীর গর্ত ও দক্ষিণ আফ্রিকায় 3-4 কিমি গভীরতম সোনার খনি খনন করা সম্ভব হয়েছে। জানা গেছে অভ্যন্তরে প্রতি 33 মিটার গভীরতায় 1° সে. হারে উয়তা বৃদ্ধি পায়। পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে সেখানকার পদার্থসমূহ অর্ধতরল সান্দ্র ও স্থিতিস্থাপক অবস্থায় থাকে।

প্রশ্ন 20: পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত দেখতে গেলে কত গভীর গর্ত খুঁড়তে হবে?

উত্তর: পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত দেখতে গেলে 6,370 কিমি. গভীর গর্ত খুঁড়তে হবে। কারণ পৃথিবীর ব্যাসার্ধ হল 6,370 কিমি.। অধিক উদ্বুতা, চাপ ও সান্দ্র পদার্থের উপস্থিতির কারণে এই কাজ করা বাস্তবে একেবারেই সম্ভব নয়।

প্রশ্ন 21: পৃথিবীর ভেতরটা কেমন তা কতটা জানা সম্ভব হয়েছে? অথবা, পৃথিবীর ভেতরটা সম্পর্কে মানুষ যতটা জেনেছে সেটুকু জানল কীভাবে?
উত্তর: পৃথিবীর ভেতরটা কেমন সে সম্পর্কে অনেক তথ্যই বর্তমানে জানা সম্ভব হয়েছে। প্রধানত ভূতত্ত্ববিদ, ভূবিজ্ঞানী, রসায়ন- বিজ্ঞানী ও পদার্থবিজ্ঞানীরা উয় প্রস্রবণ, ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত ও ভূকম্পতরঙ্গের (PGS) গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে ভূঅভ্যন্তরের অনেক অজানা তথ্য সংগ্রহ করেছেন।

Long Question Answer

প্রশ্ন 1 : পৃথিবীর অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে ঘনত্বের পার্থক্য লক্ষ করা যায় কেন?

উত্তর: ঘনত্ব: কোনো পদার্থের একক আয়তনে (প্রতি ঘন সেমি.) ভরের পরিমাপকে ওই পদার্থের ঘনত্ব বলা হয়। ত্রিস্তরীয় পৃথিবীর বিভিন্ন স্তরের মধ্যে ঘনত্বের পার্থক্য লক্ষ করা যায়, যেমন-

(i) ভূত্বকের গড় ঘনত্ব 2.6-3.3 গ্রাম/ঘন সেমি.

(ii) গুরুমণ্ডলের গড় ঘনত্ব 3.4-5.6 গ্রাম/ঘন সেমি.

(iii) কেন্দ্রমণ্ডলের গড় ঘনত্ব 9.1-13.1 গ্রাম/ঘন সেমি.

• পৃথিবীর বিভিন্ন স্তরের ঘনত্বের তারতম্য বা পার্থক্যের কারণ-

(i) মাধ্যাকর্ষণ শক্তি: পৃথিবী তার জন্মের পর উত্তপ্ত গলিত তরল অবস্থা থেকে অতি ধীরে ধীরে শীতল হওয়ার সময় মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে ঘন ও ভারী উপাদানগুলি (লোহা, নিকেল) নীচের দিকে তথা কেন্দ্রের চারপাশে সঞ্চিত হয়। ভূপৃষ্ঠের দিকে ক্রমশ কম ঘনত্বযুক্ত ও হালকা পদার্থগুলি (ক্রোমিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সিলিকন, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতি) ভেসে জমা হয়।
(ii) বিক্ষিপ্ততা ও সংঘবদ্ধতা: কোনো পদার্থের অণু ও পরমাণুগুলি যখন বিক্ষিপ্তভাবে অবস্থান করে, তখন সেই পদার্থের ঘনত্ব অত্যন্ত ঘন সন্নিবিষ্টভাবে সজ্জিত কোনো পদার্থের অণু ও পরমাণুগুলি অপেক্ষা কম হয়।

প্রশ্ন 2: গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্ৰমণ্ডল প্রায় একইরকম পুরু। কিন্তু পৃথিবীর মোট আয়তনের প্রায় 84 শতাংশ দখল করে আছে গুরুমণ্ডল। এটা কীভাবে বা কেন হয় বলতে পারো?

উত্তর: প্রশ্ন অনুসারে পৃথিবীর গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডল প্রায় একইরকম পুরু। গুরুমণ্ডলের গভীরতা কেন্দ্রমন্ডলের গভীরতা অপেক্ষা 600 কিমি. কম। কিন্তু তথাপি গুরুমণ্ডল পৃথিবীর মোট আয়তনের প্রায় 84 শতাংশ স্থান দখল করে আছে। তার কারণগুলি হল-

(i) কেন্দ্রমন্ডলের পরিধি অপেক্ষা গুরুমন্ডলের পরিধি বেশি হওয়ায় ইহা পৃথিবীর মোট আয়তনের প্রায় 84 শতাংশ স্থান অধিকার করে আছে।

(ii) গুরুমণ্ডলে কেন্দ্রমণ্ডল অপেক্ষাকৃত কম তাপ ও চাপ থাকায় এখানে পদার্থগুলি কিছুটা ছড়ানো আছে। সেজন্য বেশি জায়গা জুড়ে অবস্থান করছে।

প্রশ্ন 3: পৃথিবীর কেন্দ্রের কাছে থাকা পদার্থগুলির ঘনত্ব বেশি হয় কেন?

উত্তর: পৃথিবীর সৃষ্টির প্রাথমিক পর্যায়ে পৃথিবী ছিল গলিত ও জ্বলন্ত একটি গ্যাসীয় পিণ্ড। এই সময় পৃথিবী তরল অবস্থায় থাকায় পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে অপেক্ষাকৃত ভার পদার্থসমূহ (লোহা ও নিকেল) পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে থিতিয়ে পড়ে। অন্যদিকে, অপেক্ষাকৃত হালকা পদার্থসমূহ (সিলিকা, অ্যালুমিনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম) উপরের দিকে অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠের দিকে ভেসে ওঠে। প্রধানত এই কারণের জন্যই পৃথিবীর কেন্দ্রের চারপাশে অবস্থিত পদার্থসমূহের ঘনত্ব বেশি হয়।

প্রশ্ন 4: নিজে পরীক্ষা করে দেখো-কিছুটা নুড়ি, পাথর, মাটি নাও। কাচের গ্লাসে অর্ধেক জল ভর্তি করো। ওগুলো গ্লাসে ঢেলে নাড়িয়ে দিয়ে দেখো কী হয়।
উত্তর: একটি কাচের গ্লাসের অংশ জলে পূর্ণ করো। তার মধ্যে নুড়ি, 3 কাঁকর, পলি, পাথর, বালি, মাটি মিশিয়ে দাও। একটি কাঠি দিয়ে মিশ্রণটিকে ভালো করে গুলিয়ে দাও। এরপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করো ও পর্যবেক্ষণ করো। এরপর দেখতে পাবে যে, বিভিন্ন পদার্থসমূহের আয়তন, ওজন, ঘনত্ব অনুসারে গ্লাসের ভিতর সেগুলি পরপর থিতিয়ে পড়ছে। যেমন- সবচেয়ে নীচে বেশি ঘনত্বের পাথর ও নুড়ি সঞ্চিত হয়েছে। মধ্যভাগে অপেক্ষাকৃত মাঝারি ঘনত্বের কাঁকর, বালি এবং সবার উপর একেবারে হালকা ওজনের পলি ও মাটির একটি স্তর জমেছে। গ্লাসের ভিতরে সৃষ্ট এইসব বিভিন্ন পদার্থের স্তর বিন্যাসের মতোই পৃথিবীর অভ্যন্তরের গঠন বিন্যাস লক্ষ করা যায়। সেগুলি হল- (1) কেন্দ্রমণ্ডল, (2) গুরুমণ্ডল এবং (3) অশ্মমণ্ডল বা শিলামণ্ডল।

প্রশ্ন 5: কেন আমরা পৃথিবীর অভ্যন্তর সম্পর্কে সরাসরি কোনো তথ পাই না?

উত্তর: পৃথিবীর গড় গভীরতা প্রায় 30 কিমি.। সেটি শীতল ও কঠিন হওয়ায় ভূত্বক সম্পর্কে আমরা অনেক কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছি। কিন্তু তার নীচের অংশ সম্পর্কে তেমন কোনো তথা সংগ্রহ করতে পারিনি। তার কারণগুলি হল-

(i) ভূত্বকের নীচের অংশের উপাদানগুলি অত্যধিক চাপ ও তাপে সান্দ্র, অর্ধতরল ও কঠিন অবস্থায় আছে।

(ii) ভূপৃষ্ঠ থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত অর্থাৎ 6,370 কিমি., এতটা গভীরতা পর্যন্ত গর্ত খনন করা সম্ভব নয়।

(iii) ভূঅভ্যন্তরে শিলাস্তরের ঘনত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে।

(iv) ভূঅভ্যন্তরে প্রতি 33 মিটার গভীরতায় 1° সে. হারে উরুতা বৃদ্ধি পায়। এত উষ্ণতা বৃদ্ধিতে কোনো যন্ত্র ভূগর্ভে নামানে বা শক্তিশালী ক্যামেরা বা দূরবীন প্রবেশ করানো সম্ভব নয়। কারণ ভূগর্ভস্থ ম্যাগমার অত্যধিক তাপে ওইসব ধাতব বস্তু মুহূর্তের মধ্যে গলে যাবে। সেজন্য পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ সম্পর্কে সরাসরি আমরা কোনো তথ্য পাই না।

(v) পৃথিবীর অভ্যন্তরের দিকে অক্সিজেনের মাত্রা ক্রমশ হ্রাস পেতে থাকে। ফলে এখানে খুব বেশি নামা যায় না।

প্রশ্ন 6: পৃথিবী পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা যদি 15° সে. হয় তাহলে অঙ্কের হিসেবে রবিনসন ডীপের সোনার খনির শ্রমিকদের কত গরম সহ্য করতে হয়?

উত্তর: আমরা জানি, ভূ অভ্যন্তরে প্রতি 33 মিটার গভীরতা বৃদ্ধি পেলে 1 deg সে. উন্নতা বৃদ্ধি পায়। পৃথিবীপৃষ্ঠের গড় উয়তা 15 deg সে.। আবার দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত পৃথিবীর গভীরতম স্বর্ণখনি রবিনসন ডীপের গভীরতা 3-4 কিমি.। সেজন্য অঙ্কের হিসেবে রবিনসন ডীপের স্বর্ণখনিতে কর্মরত শ্রমিকদের 106°-136 সে. উদ্বুতার গরম সহ্য করতে হয়।

(সূত্র: ঐকিক নিয়ম)

33 মিটার গভীরতা বৃদ্ধি পেলে তাপমাত্রা 1° সে. বৃদ্ধি পায়।

1 মিটার গভীরতা বৃদ্ধি পেলে তাপমাত্রাসে. বৃদ্ধি পায়।  133°  সে. বৃদ্ধি পায়।

3 কিমি বা 3০০০ মি. গভীরতা বৃদ্ধি পেলে তাপমাত্রা

 133 3০০০ সে. বৃদ্ধি পায়

= 90.9° সে. + 15° (ভূপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা) সে.

= 105.9° সে. + 15° সে.

= 121° সে. (প্রায়) বৃদ্ধি পায়।

True and False

1. রাশিয়ার কোলা উপদ্বীপের গর্তটি পৃথিবীর গভীরতম কৃত্রিম গর্ত।

উত্তর: শুদ্ধ।

2. ভূতাপ শক্তি উৎপাদনে USA পৃথিবীতে প্রথম স্থান অধিকার করে।

উত্তর: শুদ্ধ।

3. পৃথিবীর বৃহত্তম স্বর্ণখনি আর্জেন্টিনাতে অবস্থিত।

উত্তর: অশুদ্ধ (দ. আফ্রিকা)।

4. অ্যালুমিনিয়ামের চেয়ে ম্যাগনেশিয়াম হালকা।

উত্তর: অশুদ্ধ (ভারী)।

5. বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল প্রায় 2,200 কিমি. পুরু।

উত্তর: শুদ্ধ।

6. মহাসাগরীয় ভূত্বকে ব্যাসল্ট জাতীয় শিলার প্রাধান্য দেখা যায়।

উত্তর: শুদ্ধ।

7. পরিচলন স্রোত ভূগর্ভস্থ তাপকে উপরের দিকে বয়ে নিয়ে আসে।

উত্তর: শুদ্ধ।

৪. কেন্দ্রমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা সূর্যের পৃষ্ঠদেশের তাপমাত্রার চেয়ে বেশি। (পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)

উত্তর: অশুদ্ধ।

Fil in the blanks

1. অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারের উপাদানগুলি   অবস্থায় আছে।

উত্তর: সান্দ্র।

2. ভূমিকম্পের             তরঙ্গ সবচেয়ে দ্রুতগামী।

উত্তর: ‘P’।

3. সিয়াল ও সিমা স্তরের মধ্যবর্তী বিযুক্তিরেখা হল                  

উত্তর: কনরাড।

4. অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারে লাভার                   স্রোত দেখা যায়।

উত্তর: পরিচলন।

5. মহাদেশীয় ভূত্বক               শিলা দ্বারা গঠিত।

উত্তর: গ্রানাইট।

6. ভূপৃষ্ঠে গলিত ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের বাইরে বেরিয়ে এলে একে                      বলে।

উত্তর: লাভা।

7. শিলামণ্ডলের নীচে অবস্থিত দুর্বল অংশটির নাম হল                  ।

উত্তর: ক্ষুব্ধমন্ডল বা অ্যাসথেনোস্ফিয়ার।

৪. সিয়াল অপেক্ষা সিমা                শিলা দ্বারা গঠিত।

উত্তর: ভারী।

9. মহাদেশীয় ভূত্বক প্রধানত               শিলা দ্বারা গঠিত।

উত্তর: গ্রানাইট।

10. পৃথিবীর কেন্দ্রমণ্ডলের গড় ঘনত্ব                গ্রাম/ ঘনসেমি।
উত্তর: 13-14 ।