Class 8 Chapter 11 Solution
ওশিয়ানিয়া
MCQ
1. ওশিয়ানিয়ার ক্ষুদ্রতম দেশ হল-
(a) নাউরু (b) ভানুয়াতু
(c) ফিজি (d) টোঙ্গা
উত্তর: (a) নাউরু।
2. ফিজি হল একটি-
(a) মহাদেশীয় দ্বীপ
(b) মহাসাগরীয় দ্বীপ
(c) আগ্নেয় দ্বীপ
(d) প্রবাল দ্বীপ
উত্তর: (c) আগ্নেয় দ্বীপ।
3. পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপ রাষ্ট্রটি হল-
(a) অস্ট্রেলিয়া
(b) আর্জেন্টিনা
(c) নিউজিল্যান্ড
(d) তাসমেনিয়া
উত্তর: (a) অস্ট্রেলিয়া।
4. অস্ট্রেলিয়ার মাঝ বরাবর প্রসারিত হয়েছে-
(a) মূলমধ্যরেখা
(b) নিরক্ষরেখা
(c) কর্কটক্রান্তি রেখা
(d) মকরক্রান্তি রেখা।
উত্তর: (d) মকরক্রান্তি রেখা।
5. পৃথিবীর সর্বোচ্চ জীবন্ত আগ্নেয়গিরি হল-
(a) ভিসুভিয়াস
(b) ফুজিয়ামা
(c) মৌনালোয়া
(d) ব্যারেন
উত্তর: (c) মৌনালোয়া।
6. পৃথিবীর গভীরতম সামুদ্রিক খাত হল-
(a) মুন্ডা খাত
(b) মারিয়ানা খাত
(c) টোঙ্গাখাত
(d) রোমান্স খাত।
উত্তর: (b) মারিয়ানা খাত।
7. মারে ডার্লিং অববাহিকাটি হল একটি আদর্শ-
(a) পার্বত্যভূমি
(b) মালভূমি
(c) নিম্নভূমি
(d) নিম্ন সমতলভূমি
উত্তর: (d) নিম্ন সমতলভূমি।
৪. মারে ডার্লিং অববাহিকার ‘রূপার শহর’টি হল-
(a) ওয়েন্ট ওয়ার্থ
(b) অ্যাডিলেড
(c) মিলডুরা
(d) ব্রোকেন হিল।
উত্তর: (d) ব্রোকেন হিল।
9. মিলডুরা অঞ্চলটি যে ফলটি উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত তা হল-
(a) আঙুর
(b) আপেল
(c) পিচ
(d) কমলালেবু
উত্তর: (a) আঙুর।
10. – নিউজিল্যান্ডের উত্তর দ্বীপের বৃহত্তম হ্রদ-
(a) হুপো
(b) টেয়ান
(c) তাউপো
(d) ডাল
উত্তরঃ (c) তাউপো।
11. ক্যান্টারবেরি সমভূমিটি অবস্থিত-
(a) নিউজিল্যান্ডে
(b) অস্ট্রেলিয়াতে
(c) তাসমানিয়াতে
(d) সবকটি দেশেই
উত্তর: (a) নিউজিল্যান্ডে।
11. গ্রেট বেরিয়ার রিফ-
(a) প্রশান্ত
(b) ভারত
(c) কুমেরু
(d) সুমেরু মহাসাগবে
উত্তর: (a) প্রশান্ত মহাসাগরে দেখা যায়।
Very Short Question Answer
1. কত সালে ফিজি দ্বীপপুঞ্জটি আবিষ্কৃত হয়?
উত্তর: 1644 সালে।
2. অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কী?
উত্তর: মাউন্ট কোসিয়াস্কো।
3. মেলানেশিয়ার সবচেয়ে বড়ো দ্বীপ কোন্টি?
উত্তর: পাপুয়া নিউগিনি।
4. অস্ট্রেলিয়ার পৃথিবীবিখ্যাত একটি প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর: ক্যাঙারু।
5. কোন্ খনিজ পদার্থ উত্তোলনে অস্ট্রেলিয়া পৃথিবীতে প্রথম স্থান অধিকার করে?
উত্তর: বক্সাইট।
6. কাকে ‘দক্ষিণের সুইটজারল্যান্ড’ বলা হয়?
উত্তর: নিউজিল্যান্ড।
7. নিউজিল্যান্ডের রাজধানীর নাম কী?
উত্তর: ওয়েলিংটন।
৪. অস্ট্রেলিয়ার কোথায় ভূমধ্যসাগরীয় উদ্ভিদ দেখা যায়?
উত্তর: অ্যাডিলেড।
9. মারামবিজির উপর নির্মিত বাঁধটির নাম কী?
উত্তর: ব্যারিন ডাক।
10. মারে ডার্লিং নদী কোথায় পতিত হয়েছে? (লবণ হ্রদ বিদ্যাপীঠ)
উত্তর: এনকাউন্টার উপসাগর।
11. মারামবিজি কার উপনদী?
উত্তর: মারে।
Short Question Answer
প্রশ্ন-1 অস্ট্রালেশিয়া বলতে কী বোঝো?
উত্তর: ‘অস্ট্রাল’ অর্থে দক্ষিণ এবং এশিয়া অর্থে দেশ। অস্ট্রালেশিয়া কথার আক্ষরিক অর্থ হল ‘দক্ষিণের দেশ’। ওশিয়ানিয়া মহাদেশের অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও তাসমেনিয়াকে একত্রে অস্ট্রালেশিয়া বলে। সমগ্র ওশিয়ানিয়া মহাদেশের প্রায় 90 শতাংশ স্থলভাগ অস্ট্রালেশিয়া দখল করে আছে।
প্রশ্ন-2 ‘মেলানেশিয়া’ সম্পর্কে কী জানো।
উত্তর: মেলানেশিয়া একটি গ্রিক শব্দ। গ্রিক ভাষায় ‘মেলানেশিয়া’ কথার অর্থ হল ‘কালো দেশ’। অস্ট্রেলিয়ার উত্তর পূর্ব দিকে প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে অসংখ্য ছোটো বড়ো দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জের সমন্বয়ে মেলানেশিয়া গঠিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জগুলি হল-নিউগিনি, সলোমন, ফিজি, নিউ হেব্রিডিস প্রভৃতি। উল্লেখ্য, মেলানেশিয়ার অধিবাসীদের গায়ের রং কালো কৃষ্ণবর্ণের বলে এরকম নামকরণ করা হয়েছে।
প্রশ্ন-3 মাইক্রোনেশিয়া বলতে কী বোঝো।
উত্তর: ‘মাইক্রোনেশিয়া’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল ‘ক্ষুদ্র দ্বীপসমূহ’। নিরক্ষরেখার উত্তরে প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্য ও পশ্চিমাংশে কয়েক হাজার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপ নিয়ে মাইক্রোনেশিয়া গঠিত হয়েছে। মাইক্রোনেশিয়ার উল্লেখযোগ্য হল-মারিয়ানা, মার্শাল, নাউরু, গুয়াম, কিরিবাটি প্রভৃতি। উল্লেখ্য, পৃথিবীর গভীরতম সমুদ্রখাত ‘মারিয়ানা ট্রেঞ্চ’ এই অঞ্চলেই অবস্থান করছে।
প্রশ্ন-4 ‘পলিনেশিয়া’ কাকে বলে?
উত্তর: ‘পলিনেশিয়া’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ ‘বহু দ্বীপপুঞ্জ’। আন্তর্জাতিক তারিখরেখার (180°) পূর্ব পাশে উত্তরে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ থেকে আরম্ভ করে দক্ষিণ পূর্বের ইস্টার দ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত পলিনেশিয়ার উল্লেখযোগ্য দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জগুলি হল হাওয়াই, কুফ, সামোয়া, পিটকেয়ার্ণ, ফিনিক্স, টোঙ্গা প্রভৃতি।
প্রশ্ন-5 ‘ডাউনস্’ কী?
উত্তর: অস্ট্রেলিয়ার অধিকাংশ স্থানে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় ঘন গভীর বনভূমির পরিবর্তে তৃণভূমির সৃষ্টি হয়েছে। গ্রেট ডিভাইডিং রেঞ্জের পশ্চিম দিকে মারে-ডার্লিং এর বিস্তীর্ণ প্রায় সমতলভূমিতে ছোটো ছোটো ঘাসের বিশাল নাতিশীতোয় তৃণভূমিকে ডাউনস্ বলা হয়। এই তৃণভূমিতে প্রচুর পরিমাণে গবাদি পশুখাদ্য হে, ক্লোভার, আলফাআলফা ঘাস জন্মায়।
প্রশ্ন-6 ‘মালি’ কী?
উত্তর: অস্ট্রেলিয়ার পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত অ্যাডিলেড শহরের পশ্চিমপ্রান্তে বিস্তৃত অংশে স্বল্প বৃষ্টিপাত ও অধিক তাপমাত্রাযুক্ত অঞ্চলে বৃহৎ কাণ্ডযুক্ত বৃক্ষের মাঝে মাঝে বিশেষ শ্রেণির ঝোপঝাড় জাতীয় উদ্ভিদকেই স্থানীয় ভাষায় মালি বলে।
প্রশ্ন-7 পার্কল্যান্ড সাভানা কী? (বর্ধমান রাজ কলেজিয়েট স্কুল)
উত্তর: অস্ট্রেলিয়ার উত্তরপ্রান্তে কম বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে বড়ো বড়ো কর্কশ জাতীয় শক্ত ঘাসের ক্রান্তীয় তৃণভূমিকে ‘পার্কল্যান্ড সাভানা’ বলে। তৃণভূমির মাঝে মাঝে সরলবর্গীয় ইউক্যালিপটাস, জারা, কারি গাছগুলি সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দনকারী পরিবেশ গড়ে।
প্রশ্ন-৪ ক্যান্টারবেরি সমভূমি কী?
উত্তর: নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ দ্বীপের পূর্ব উপকূল বরাবর যে বিস্তীর্ণ সমভূমি গড়ে উঠেছে, তাকে ক্যান্টারবেরি সমভূমি বলে। নিউজিল্যান্ডের এই সমভূমিতে প্রচুর পরিমাণে পশুপালন করা হয়। এ ছাড়াও গম, যব, ভুট্টা, ওট, সরিষা প্রভৃতি কৃষিজ ফসল উৎপাদিত হয়।
প্রশ্ন-9 প্লায়া কাকে বলে?
উত্তর: অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলের পূর্ব ও পশ্চিমে কয়েকটি ছোটো পাহাড়ের মাঝখানে ভিক্টোরিয়া, গিবসন, গ্রেট স্যান্ডি প্রভৃতি মরুভূমি আছে। এইসব মরুভূমিতে বায়ুর অপসারণ ক্রিয়ার ফলে বৃহদাকার গর্তসৃষ্টিহয়, যা ভূগর্ভের ভৌমজলস্তরকে উন্মুক্ত করে হ্রদের সৃষ্টি করেছে। প্রচণ্ড উয়তার কারণে জল দ্রুত বাষ্পীভূত হয়ে লবণাক্ত জলের হ্রদ বা ‘প্লায়া’ নামে পরিচিত।
প্রশ্ন-10 জ্যাকোস কী?
উত্তর: অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাংশের মারে-ডার্লিং নদী অববাহিকার ডাউনস্ তৃণভূমি অঞ্চলে বৃহদায়তন পশুখামারগুলিতে প্রচুর পরিমাণে উন্নত প্রজাতির মেষ (মেরিনো, মার্স, লিংকন প্রভৃতি) পালন করতে যেসব শ্রমিকরা কাজ করে, তাদেরকে স্থানীয় ভাষায় জ্যাকোস বলা হয়। এরা
প্রশ্ন-1 গ্রেট ডিভাইডিং রেঞ্জ সম্পর্কে কী জানো?
উত্তর: অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশ্ববিখ্যাত পর্বতশ্রেণি হল গ্রেট ডিভাইডিং রেঞ্জ- (i) প্রকৃতি: এটি পৃথিবীর একটি প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বতমালা। (ii) অবস্থান: অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূল। (iii) বিস্তার: উত্তরে নিউইয়র্ক অন্তরীপ থেকে দক্ষিণে তাসমানিয়া দ্বীপ। (iv) দৈর্ঘ্য: উত্তর থেকে দক্ষিণে মোট দৈর্ঘ্য প্রায় 3200 কিমি। (v) গড় উচ্চতা: 1000-1500 মিটার। (vi) সর্বোচ্চ শৃঙ্গ: মাউন্ট কোসিয়াস্কো (অস্ট্রেলিয়ার উচ্চতম শৃঙ্গ 2230 মিটার)। (vii) পরিচিতি: গ্রেট ডিভাইডিং রেঞ্জ বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন-ডার্লিং ডাউনস্, নিউ ইংল্যান্ড রেঞ্জ; ব্লু-রেঞ্জ, লিভার পুল রেঞ্জ অস্ট্রেলিয়ান আল্পস। (viii) বিভাজন: গ্রেট ডিভাইডিং রেঞ্জের দক্ষিণাংশ বাজ প্রণালী দ্বারা বিচ্ছিন্ন আছে। (ix) বর্তমান অবস্থা: প্রাকৃতিক শক্তির ক্ষয়কার্যের ফলে বর্তমানে এই প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বতমালাটি উচ্চতা হারিয়ে ক্ষয়জাত বা অবশিষ্ট পর্বতে পরিণত হয়েছে।
প্রশ্ন-2 ‘গ্রেট অস্ট্রেলিয়ান বাইট’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর: অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণে ধনুকের মতো আকৃতিবিশিষ্ট সমুদ্রোপকূলকে বাইট (Bight) বলা হয়। গ্রেট অস্ট্রেলিয়ান বাইট উপসাগরের তিনদিক স্থলভাগ দিয়ে ঘেরা এবং একদিক কুমেরু মহাসাগরের দিকে উন্মুক্ত আছে। এই উপকূলভাগ কিছুটা চওড়া।
প্রশ্ন-3 অস্ট্রেলিয়ার আর্টেজীয় কূপ সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: ফ্রান্সের আঁতোয়া বা আতোয়া নামক স্থানে সর্বপ্রথম অর্ধচন্দ্রাকৃতির শিলাস্তরের অবতল অংশে কূপ খনন করে ভূগর্ভস্থ ভৌমজল জলের সমোচ্চশীলতা ধর্ম অনুসারে কোনোরকম পাম্পের সাহায্যে ছাড়াই ভূপৃষ্ঠে বেরিয়ে আসে, একে আর্টেজীয় কূপ বলা হয়। অস্ট্রেলিয়ার মধ্যভাগের সমভূমির আয়ার হ্রদের উত্তরাংশে অবস্থিত কার্পেন্টারিয়া সমভূমিতে আর্টেজীয় কূপ দেখা যায়। আর্টেজীয় কূপের সাহায্যে অস্ট্রেলিয়ার কার্পেন্টারিয়া সমভূমিতে কৃষিকাজ ও ডাউনস তৃণভূমিতে পশুপালন করা হয়। অস্ট্রেলিয়ায় বহু কূপ থাকার কারণে অস্ট্রেলিয়াকে ‘আর্টেজীয় কূপের দেশ’ (Land of the Artesian well) বলা হয়।
প্রশ্ন-4 নিউজিল্যান্ডের জলবায়ু সম্পর্কে আলোকপাত করো।
উত্তর: সামগ্রিকভাবে নিউজিল্যান্ড সামুদ্রিক প্রভাবাধীন সমভাবাপন্ন নাতিশীতোয় জলবায়ুর অন্তর্গত। নিউজিল্যান্ডের ব্রিটিশ জলবায়ু বিরাজ করে। নিউজিল্যান্ডে সারাবছর আর্দ্র পশ্চিমাবায়ু (উত্তর-পশ্চিম) প্রবাহিত হওয়ায় সারাবছর বৃষ্টিপাত হয়। বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় 200 সেমি। উয় ও আর্দ্র উত্তর-পশ্চিম পশ্চিমাবায়ু দক্ষিণ আল্পস পর্বতের পশ্চিম ঢালে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে প্রচুর শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটায়। দক্ষিণ আল্পস পর্বতের অভ্যন্তর ভাগের মালভূমি এবং পূর্বের বিস্তীর্ণ সমভূমি অঞ্চলে অপেক্ষাকৃত কম বৃষ্টিপাত হয়। গ্রীষ্মকাল হালকা উয় (15°C) সে. ও শীতকালে বেশ শীতল (5°C)।
প্রশ্ন-5 মারে ডার্লিং অববাহিকার কৃষিকাজ সম্পর্কে যা জানো লেখো।
উত্তর: অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নদী মারে ও তার প্রধান উপনদী ডার্লিং সহ অন্যান্য উপনদী যে সমস্ত অঞ্চলের জল বহন করে আনে তা মারে-ডার্লিং অববাহিকা নামে পরিচিত। মারে ডার্লিং অববাহিকা শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ার নয়, সমগ্র বিশ্বের অন্যতম কৃষিসমৃদ্ধ অঞ্চল। অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব মারে-ডার্লিং অববাহিকার নবীন পলিগঠিত উর্বর মৃত্তিকা, ডাউনস তৃণভূমি, নাতিশীতোয় জলবায়ু, পরিমিত বৃষ্টিপাত, পর্যাপ্ত জলের জোগান, আধুনিক যন্ত্রপাতির প্রয়োগ, জনসংখ্যার অল্পচাপ প্রভৃতি কারণে সমগ্র অঞ্চলটি কৃষিকাজ ও কৃষিজ ফসল উৎপাদনে অভাবনীয় উন্নতি লাভ করেছে। উন্নত যন্ত্রের সাহায্যে যব, ভুট্টা, ওট, রাই উৎপাদন করা হয়। মারে ডার্লিং অববাহিকার দক্ষিণাংশে ‘রিভারিনা’ অঞ্চলে ভূমধ্য সাগরীয় জলবায়ু অধ্যুষিত প্রচুর পরিমাণে আঙুর, আপেল, কমলালেবু, ন্যাসপাতি, পিচ প্রভৃতি ফল চাষ করা হয়।
প্রশ্ন-6 যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দাও মারে এবং ডার্লিং নদীর মধ্যে কোন্টি মূলনদী এবং কোন্টি তার উপনদী?
উত্তর: যখন একটি বড়ো নদীর সঙ্গে ছোটো নদী মিলিত হয়, তখন ছোটো নদী বড়ো নদীটির উপনদী হয়। মারে নদীর সঙ্গে ডার্লিং নদী ওয়েন্ট ওয়ার্ম শহরের কাছে মিলিত হয়েছে। মারে নদীর দৈর্ঘ্য 2589 কিমি.। ডার্লিং-এর দৈর্ঘ্যে 1163 কিমি.। সুতরাং মারে দৈর্ঘ্যে বড়ো এবং ডার্লিং এর উপনদী।
প্রশ্ন 7: গ্রেট বেরিয়ার রিফ অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলের একটি আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য, অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূল থেকে 80-205 কিমি দূরত্বে প্রবাল কীট জমে সমুদ্রের মধ্যে এক আশ্চর্য প্রাচীর সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রবাল প্রাচীর উপকূলের সমান্তরালে 2000 কিমি প্রসারিত হয়েছে। জাহাজ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে বলে এই প্রাচীরের নাম গ্রেট বেরিয়ার রিফ। এর সম্পর্কে ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করো।
উত্তর : গ্রেট বেরিয়ার রিফ সম্পর্কে তথ্যপঞ্জি : (i) গ্রেট বেরিয়ার রিফ হল পৃথিবীর দীর্ঘতম ও বৃহত্তম প্রবাল প্রাচীর। (ii) ইহা অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূল থেকে 80-205 কিমি দূরে অস্ট্রেলিয়ার প্রাচীনতম ভঙ্গিল পর্বতমালা গ্রেট ডিভাইডিং রেঞ্জের প্রায় সমান্তরালে প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে গড়ে উঠেছে। (iii) এই প্রবাল প্রাচীরটির 2000 কিমি-এর অধিক দীর্ঘ এবং প্রায় 950 টি ছোটো-বড়ো দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত হয়েছে। (v) 1981 খ্রি. UNESCO এই প্রবাল প্রাচীরকে ‘World Heritage Site’ হিসাবে ঘোষণা করেছে। (vi) এই গ্রেট বেরিয়ার রিফকে কেন্দ্র করে অস্ট্রেলিয়ার পর্যটন শিল্পের অভাবনীয় উন্নতির মাধ্যমে প্রতি বছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে। এই প্রবাল প্রাচীর অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলের বন্দর ও জাহাজগুলিকে সামুদ্রিক ঢেউ ও ঝঞ্ঝার প্রকোপ থেকে রক্ষা করে।
প্রশ্ন 8: আমাদের দেশের কোথায় কোথায় প্রবাল দ্বীপ আছে বলোতো?
উত্তর: আমাদের দেশের পশ্চিমে আরব সাগরের মধ্যবর্তী লাক্ষাদ্বীপ, আমিনাদিভি দ্বীপপুঞ্জ ও মিনিকয় দ্বীপে প্রবাল দ্বীপ আছে।
Long Question Answer
প্রশ্ন-1 অস্ট্রেলিয়ার ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে লেখো।
উত্তর: অস্ট্রেলিয়া ওশিয়ানিয়ার 87% স্থান অধিকার করে আছে। ভূপ্রাকৃতিক গঠন বৈচিত্র্য ও বন্ধুরতা অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়াকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলি হল-
(1) পূর্বদিকের পার্বত্যভূমি: অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূল বরাবর উত্তরে ইয়র্ক অন্তরীপ থেকে দক্ষিণে তাসমেনিয়া দ্বীপ পর্যন্ত গ্রেট ডিভাইডিং রেঞ্জ নামে প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বতমালা বিস্তৃত আছে। এর দৈর্ঘ্য 3200 কিমি এবং গড় উচ্চতা 1000-1500 মিটার। পর্বতশ্রেণিটি উত্তরের তুলনায় দক্ষিণে অপেক্ষাকৃত বেশি উঁচু। গ্রেট ডিভাইডিং রেঞ্জ অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন-ম্যাকফার্সন রেঞ্জ, ডার্লিং ডাউনস্, ক্লার্করেঞ্জ; নিউ ইংল্যান্ড রেঞ্জ, ব্লু রেঞ্জ, লিভারপুল রেঞ্জ অস্ট্রেলিয়ান আল্পস নামে পরিচিত। গ্রেট ডিভাইডিং রেঞ্জের দক্ষিণাংশ বাজ প্রণালী দ্বারা তাসমানিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন আছে। অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ নিউ ইংল্যান্ড রেঞ্জের মাউন্ট কোসিয়াস্কো (2230 মি.)
(2) পশ্চিমে মালভূমি: অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমদিকের অধিকাংশ ভূমি খুবই প্রাচীন, ক্ষয়প্রাপ্ত, বালুকাময় এবং তরঙ্গায়িত। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় এই মালভূমির গড় উচ্চতা 200-500 মিটার। এই মালভূমির শিলাগুলির সঙ্গে ভারতের দাক্ষিণাত্য মালভূমির শিলার মতো প্রাচীন। পূর্ব পশ্চিমে কয়েকটি অনুচ্চ পাহাড় দেখা যায়। এই মালভূমির মধ্যভাগে মরুভূমি, লবণাক্ত হ্রদ বা প্লায়া ও মরুদ্যান আছে। মরুভূমির মধ্যে গ্রেট স্যান্ডি, গিবসন, ভিক্টোরিয়া উল্লেখযোগ্য।
(3) মধ্যভাগের সমভূমি: অস্ট্রেলিয়ার উত্তর দিকে কার্পেন্টারিয়া উপসাগর থেকে দক্ষিণে স্পেনসার ও ভিনসেন্ট উপসাগর এবং পূর্বে ডিভাইডিং রেঞ্জ থেকে পশ্চিমে মালভূমির মধ্যবর্তী স্থান সমতলভূমি। এই মধ্যভাগের সমভূমির গড় উচ্চতা 180 মিটার। সেলুইন এবং গ্রে নামে উচ্চভূমিদ্বয় সমভূমিটিকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করেছে। সেগুলি হল-(১) উত্তরে কার্পেন্টারিয়া নিম্নভূমি, (২) মধ্যভাগের আয়ার হ্রদ অববাহিকা, (৩) দক্ষিণে মারে ডার্লিং অববাহিকা বা রিভোরিনা সমভূমি। এখানে লবণাক্ত আয়ার হ্রদ কার্পেন্টেরিয়া নিম্নভূমি অঞ্চলে গামলা আকৃতির শিলাস্তরে কূপ খনন করলে জল পাম্পের সাহায্য ছাড়া বেরিয়ে আসে, যাকে আটেজীয় কূপ বলে।
(4) উপকূলীয় সমভূমি: অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূলের নিকটবর্তী প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে পৃথিবীর দীর্ঘতম (2000 কিমি) প্রবাল প্রাচীর ‘গ্রেট বেরিয়ার রিফ’ অবস্থিত। অস্ট্রেলিয়ার চারপাশে অবস্থিত উপকূলীয় সমভূমি খুবই সংকীর্ণ। তবে উত্তরে কার্পেন্টারিয়া উপসাগর ও দক্ষিণে গ্রেট অস্ট্রেলিয়ান রাইটের মধ্যে উপকূল অপেক্ষা চওড়া।
প্রশ্ন-2 নিউজিল্যান্ডের ভূপ্রাকৃতির বিবরণ দাও।
উত্তর: নিউজিল্যান্ড দ্বীপময় ও পর্বতসংকুল রাষ্ট্র। অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্বে 2000 কিমি দূরে প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে এই দ্বীপরাষ্ট্রটি অবস্থান করছে। প্রধানত চারটি দ্বীপ ও কয়েকটি ছোটো দ্বীপ নিয়ে নিউজিল্যান্ড গঠিত, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-(ⅰ) উত্তর দ্বীপ, (ii) দক্ষিণ দ্বীপ, (iii) স্টুয়ার্ট দ্বীপ ও (iv) চ্যাথাম দ্বীপ। নিউজিল্যান্ডের প্রধান দুটি দ্বীপ (উত্তর দ্বীপ ও দক্ষিণ দ্বীপ) 32 কিমি প্রশস্ত কুক প্রণালী দ্বারা পরস্পর বিচ্ছিন্ন আছে। পর্বতময় নিউজিল্যান্ডের উত্তর দ্বীপে মাউন্ট এগমন্ট, রুহাপেহুর মতো আগ্নেয়গিরি অবস্থান করছে। দক্ষিণ দ্বীপের প্রধান পর্বতশ্রেণি হল দক্ষিণ আল্পস। এই দক্ষিণ আল্পসের মাউন্ট কুক (3764 মিটার) সমগ্র নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। এই দ্বীপের পূর্ব উপকূলে ক্যান্টারবেরি সমভূমি অবস্থিত।
নিউজিল্যান্ডে অসংখ্য নদী প্রবাহিত হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের দীর্ঘতম নদী হল ওয়াইটাকি (209 km)। এ ছাড়াও ক্লথ, ওয়ানহগামুই, টায়েরি, প্রভৃতি অন্যান্য উল্লেখযোগ্য নদী। অধিকাংশ নদী হিমবাহু সৃষ্ট হ্রদ উৎপন্ন হয়েছে এবং অত্যন্ত খরস্রোতা, নিত্যবহ ও দৈর্ঘ্যে ছোটো।
প্রশ্ন-3 মারে ডার্লিং অববাহিকায় পশুপালন ও পশুনির্ভর শিল্পোৎপাদনে সমৃদ্ধির কারণ আলোচনা করো।
উত্তর : মারে-ডার্লিং অববাহিকা পশুপালন, ডেয়ারি শিল্প ও পশুনির্ভর শিল্পোৎপাদনে অস্ট্রেলিয়া তথা পৃথিবীর অন্যতম সমৃদ্ধ অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া অতি উন্নত মানের পশম উৎপাদন ও রপ্তানিতে সমগ্র বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করে। অস্ট্রেলিয়া পৃথিবীতে সর্বাধিক মেষ প্রতিপালন করে। অস্ট্রেলিয়া গোমাংস (পৃথিবীতে পঞ্চম স্থান) ও দুগ্ধজাত দ্রব্য (ঘি, মাখন, চিজ, পনির, গুঁড়ো দুধ, আইসক্রিম, কেক, ক্ষীর, ক্যাডবেরি, মালাই, ক্রিম প্রভৃতি) উৎপাদনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মারে-ডার্লিং অববাহিকার ও পশুনির্ভর শিল্পোৎপাদনের অভাবনীয় উন্নতির কারণগুলি হল-
(1) নাতিশীতোষু জলবায়ু : মারে-ডার্লিং অববাহিকার নাতিশীতোয় জলবায়ু গ্রীষ্ম ও শীতকালের গড় তাপমাত্রা যথাক্রমে 25°C সে. ও 10°65 | উন্নতমানের পশমপ্রদায়ী মেষ, মাংস ও দুগ্ধপ্রদায়ী গবাদিপশু প্রতিপালন করা সহজতর হয়েছে।
(2) বিস্তীর্ণ তৃণভূমি: এখানকার নিম্ন সমতলভূমিতে বিস্তীর্ণ ডাউনস্ তৃণভূমিতে অসংখ্য বৃহদায়তন পশুচারণক্ষেত্র গড়ে উঠেছে।
(3) উৎকৃষ্ট তৃণ: ডাউনস্ তৃণভূমিতে উৎকৃষ্ট মানের নরম স্টেপ জাতীয় তৃণ (হে, ক্লেভার, আলফা আলফা, মিচেল) জন্মায়, যা পশুদের উপযুক্ত খাদ্য।
(4) উন্নত প্রজাতির পশু: মারে ডার্লিং অববাহিকার উন্নত প্রজাতির মেষ (মেরিনো, লিংকন, মার্স) ও দুগ্ধপ্রদায়ী গবাদি পশু (জার্সি, আয়ারশায়ার প্রভৃতি) পালন করা হয়, যা থেকে প্রচুর পরিমাণে পশম, মাংস, দধ সংগ্রহ করা হয়।
(5) মৃত্তিকা: মারে-ডার্লিং ও তার উপনদীসমূহ দ্বারা বাহিত নবীন ঊর্বর পলি মৃত্তিকায় উন্নতমানের তৃণ জন্মায়।
(6) কৃষিজ ফসলের চাহিদা কম: ডাউনস্ তৃণভূমিতে জনসংখ্যার স্বল্পতায় খাদ্যশস্য ও শাকসবজির চাহিদা অনেক কম। সেজন্য এখানে কৃষিকাজের পরিবর্তে যত্নসহকারে তৃণচাষ করা হয়।
(7) আর্টেজীয় কূপ: নদী অববাহিকা থেকে অপেক্ষাকৃত দূরবর্তী স্থানের শুষ্কপ্রায় তৃণভূমিকে সতেজ রাখার জন্য এবং পশুদের পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবাহের জন্য আর্টেজীয় কূপ ব্যবহৃত হয়।
(৪) জলসেচ : মারে নদীর উপর নির্মিত হিউম জলাধার এবং মারামবিজি নদীর উপর বুরিনড্যাক জলাধার (অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম জলাধার) থেকে পশুপালনের জন্য পর্যাপ্ত জল সরবরাহ করা হয়।
(9) কম বৃষ্টিপাত : এখানকার বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 50-70 সেমি হওয়ায় পশমগুলি ভিজে নষ্ট হয় না এবং বছরের প্রায় সব ঋতুতেই পশম সংগ্রহ করতে সুবিধা হয়। কম বৃষ্টিপাত তৃণ জন্মানোর উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে।
(10) সুবিধা: অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরীণ বাজার ও বিদেশের বাজারে অববাহিকার ডাউনস্ তৃণভূমি থেকে উৎপাদিত পশুজাত দ্রব্যাদি (পশম, মাংস, দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য, চর্ম, হাড়ের গুঁড়ো প্রভৃতি) বিপুল চাহিদা আছে। অ্যাডিলেড, মেলবোর্ন, ওয়েস্টওয়ার্থ, মিলডুরা, ক্যানবেরা, সিডনি প্রভৃতি। এইসব শহর ও বাণিজ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্য (আমদানি ও রপ্তানি) পরিচালিত হয়। দ্বীপীয় অবস্থানের কারণে বিভিন্ন বন্দরের মাধ্যমে জলপথের বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থাপনে সুবিধা হয়েছে।
প্রশ্ন 4: ওশিয়ানিয়ার জলবায়ু ও স্বাভাবিক উদ্ভিদের মানচিত্রের মধ্যে কী কোনো মিল দেখতে পাচ্ছো? মিলগুলি লিখে ফেলো।
উত্তর: ওশিয়ানিয়া মহাদেশটি অসংখ্য ছোটো বড়ো দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত হলেও ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য, সমুদ্র থেকে দূরত্ব, অক্ষাংশগত অবস্থান অনুসারে সূর্যরশ্মির পতনকোণের তারতম্যের জন্য এখানে জলবায়ুর বৈচিত্র্য লক্ষ করা যায়। আর এই জলবায়ুর পার্থক্যের জন্য মহাদেশটির বিভিন্ন প্রান্তে নানান ধরনের বৈশিষ্ট্যযুক্ত স্বাভাবিক উদ্ভিদ গড়ে উঠেছে। যেমন-(i) নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে (মেলানেশিয়া ও পলিনেশিয়া দ্বীপসমূহ) ক্রান্তীয় চিরহরিৎ অরণ্য (মেহগনি, পাম, এবনি) গড়ে উঠেছে। (ii) ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে (অস্ট্রেলিয়ার উত্তর ও উত্তর পূর্বাংশ) ক্রান্তীয় পর্ণমোচী অরণ্য (পাম, বার্চ, সিডার, বাঁশ) দেখা যায়। (iii) নাতিশীতোয় জলবায়ু অঞ্চলে (মারে ডার্লিং অববাহিকা ও ব্রিসবেন) নাতিশীতোয় তৃণভূমি ‘ডাউনস’ সৃষ্টি হয়েছে। (iv) ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে (পার ও অ্যাডিলেড) ভূমধ্যসাগরীয় উদ্ভিদ (জারা, কারি, ব্লগাম) রয়েছে। (v) ক্রান্তীয় মরু ও মরুপ্রায় জলবায়ু অঞ্চলে (অস্ট্রেলিয়ার মধ্য ও পশ্চিমাংশ) কাঁটাজাতীয় মরু উদ্ভিদ (ক্যাকটাস, লবণাম্বু ঝোপঝাড়) জন্মায়। (vi) ব্রিটিশ জলবায়ু অঞ্চলে (দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়া, তাসমানিয়া, নিউজিল্যান্ড) নাতিশীতোয় পর্ণমোচী বৃক্ষের (ওক, ম্যাপল, পপলার, এলম) বিপুল সমাবেশ ঘটেছে।
ভুল সংশোধন করে লেখো:
1. কোয়ালা একপ্রকার ছোট্ট পাখি।
উত্তর: কোয়ালা একপ্রকার ছোট্ট ভালুক।
2. জারা ও কারি পর্ণমোচী বৃক্ষ।
উত্তর: জারা ও কারি চিরহরিৎ বৃক্ষ।
3. নিউজিল্যান্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর হল হোবার্ট।
উত্তর: নিউজিল্যান্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর হল তাসমানিয়া।
4. এবেল তাসমান ছিলেন একজন পোর্তুগিজ নাবিক।
উত্তর: এবেল তাসমান ছিলেন একজন ডাচ নাবিক।
5. মিলডুরা অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে আপেলের চাষ হয়।
উত্তর: মিলডুরা অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে আঙুরের চাষ হয়।
1. আমি অস্ট্রেলিয়ার একটি সুবিশাল নাতিশীতোয় তৃণভূমি। আমি কে?
উত্তর: ডাউনস।
2. আমি নিউজিল্যান্ডের একটি পৃথিবী বিখ্যাত পাখি, আমার ডানা নেই, আমি কে?
উত্তর: কিউই।
3. আমি নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ দ্বীপের পূর্ব উপকূল বরাবর বিস্তৃত এক সমভূমি, আমি কে?
উত্তর: ক্যান্টারবেরি।
4. আমি নিউজিল্যান্ডের পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহসৃষ্ট একটি হ্রদ। আমি কে?
উত্তর: তাউপো।
5. আমি অস্ট্রেলিয়ার ক্রান্তীয় তৃণভূমি। আমার নাম কী?
উত্তর: পার্কল্যান্ড সাভানা।
বেমানান শব্দটি চিহ্নিত করো:
1. আয়ার হ্রদ, স্যান্ডি হ্রদ, গিবসন হ্রদ, ভিক্টোরিয়া হ্রদ।
উত্তর: আয়ার হ্রদ।
2. টারারুয়া, রাউকুমারা, পুকেটয়, টাউনসেন্ড।
উত্তর: টাউনসেন্ড।
3. অকল্যান্ড, ওয়েলিংটন, সিডনি, হ্যামিলটন।
উত্তর: সিডনি।
4. অ্যাডিলেড, ক্রাইস্টচার্চ, মেলবোর্ন, ক্যানবেরা।
উত্তর: ক্রাইস্টচার্চ।
5. মার্সল, ক্যারোলাইন, গিলবার্ট, সলোমন।
উত্তর: সলোমন।
True and False
1. প্রবাল কীটের দেহাবশেষ দিয়ে গ্রেট বেরিয়ার রিফ গঠিত হয়েছে।
উত্তর: শুদ্ধ।
2. সেন্ট ক্লেয়ার হল অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম মিষ্টি জলের হ্রদ।
উত্তর: শুদ্ধ।
3. আর্টেজীয় কূপ হল একটি উদ্বু প্রস্রবণ।
উত্তর: অশুদ্ধ।
4. ‘পলিনেশিয়া’ কথার অর্থ হল ‘ক্ষুদ্র দ্বীপসমূহ’।
উত্তর: অশুদ্ধ।
5. নিউজিল্যান্ডের উত্তর দ্বীপের মাউন্ট এগমন্ট একটি তুষারাবৃত সুপ্ত আগ্নেয়গিরি।
উত্তর: শুদ্ধ।
6. নিউজিল্যান্ডের প্রধান ও দীর্ঘতম নদীটি হল ওয়াইটাকি।
উত্তর: শুদ্ধ।
7. মাইক্রোনেশিয়া ও পলিনেশিয়াতে সমভাবাপন্ন জলবায়ু বিরাজ করে।
উত্তর: অশুদ্ধ।
৪. তাসমানিয়ার জলবায়ু ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের মতোই আরামদায়ক নাতিশীতোয় সামুদ্রিক জলবায়ু বিরাজ করে।
উত্তর: শুদ্ধ।
9. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের পশুখামারগুলির শ্রমিকদের ‘জ্যাকোস’ বলা হয়।
উত্তর: অশুদ্ধ।
10. মারে ডার্লিং অবাহিকার প্রধান কৃষিজ ফসল হল গম।
উত্তর: শুদ্ধ।
11. ব্রোকেনহিল শহরকে ‘রূপোর শহর’ বলা হয়। (আলিপুরদুয়ার ম্যাকউইলিয়াম হাইস্কুল)
উত্তর: শুদ্ধ।
Fil in the blanks
1. ক্যাপ্টেন ওশিয়ানিয়া মহাদেশটি আবিষ্কার করেন।-
উত্তর: কুক।
2. মেলানেশিয়া কথার অর্থ দেশ।
উত্তর: কালো।
3. অস্ট্রেলিয়া ও তাসমানিয়া প্রণালীর দ্বারা পৃথক আছে।
উত্তর: বাস।
4. ওশিয়ানিয়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম মাউন্ট |
উত্তর: উইলহেলম।
5. অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম হ্রদ ও সর্বনিম্ন স্থানটি হল হ্রদ।
উত্তর: আয়ার।
6. -কে আপেলের রাজ্য বলা হয়।
উত্তর: তাসমানিয়া।
7. নিউজিল্যন্ডের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম মাউন্ট |
উত্তর: কুক।
৪. প্রবাল দ্বীপগুলির প্রধান শিল্প হল ।
উত্তর: পর্যটন শিল্প।
9. অস্ট্রেলিয়ার রাজধানীর নাম হল ।
উত্তর: ক্যানবেরা।
10. ডার্লিং নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় কিমি।
উত্তর: 1163।
12. পৃথিবীর গভীরতম স্থান মারিয়ানা খাত মহাসাগরে অবস্থিত।
উত্তর: প্রশান্ত।