Class 8 Chapter 3 Solution
শিলা
MCQs
1. বিজ্ঞানের যে শাখায় শিলা ও তার বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোকপাত করে, তাকে বলে-
(a) জিয়োলজি
(b) জুলজি
(c) পেট্রোলজি
(d) মিনরেলজি
উত্তর: (c) পেট্রোলজি।
2. শিলা একটি-
(a) মৌলিক পদার্থ
(b) যৌগিক পদার্থ
(c) মিশ্র পদার্থ
(d) কোনোটিই নয়।
উত্তর: (b) যৌগিক পদার্থ।
3. হর্নব্লেল্ড একটি-
(a) জৈব পদার্থ
(b) খনিজ পদার্থ
(c) শিলা
(d) মাটি
উত্তর: (b) খনিজ পদার্থ।
4. গ্রানাইট এক প্রকার-
(a) পাললিক শিলা
(b) রূপান্তরিত শিলা
(c) জৈব শিলা
(d) আগ্নেয় শিলা
উত্তর: (d) আগ্নেয় শিলা।
5. নিঃসারী আগ্নেয় শিলার দানাগুলি-
(a) খুব বড়ো
(b) বড়ো
(c) খুব ছোটো
(d) মাঝারি
উত্তর: (c) খুব ছোটো।
6. একটি মাত্র মৌলিক পদার্থ দ্বারা গঠিত একটি শিলা হল-
(a) ব্যাসল্ট
(b) গ্রানাইট
(c) খড়িমাটি
(d) সোনা
উত্তর: (d) সোনা।
7. একটি উপপাতালিক শিলা হল-
(a) ডোলেরাইট
(b) ডলোমাইট
(c) অবসিডিয়ান
(d) গ্যাব্রো
উত্তর: (a) ডোলেরাইট।
৪. একটি পাতালিক শিলা হল-
(a) ডোলেরাইট
(b) ডলোমাইট
(c) চুনাপাথর
(d) গ্রানাইট
উত্তর: (d) গ্রানাইট।
9. অম্লধর্মী শিলায় সিলিকার পরিমাণ-
(a) 45%-এর কম
(b) 46%
(c) 55%
(d) 65% এর বেশি
উত্তর: (d) 65% এর বেশি।
10. ব্যাসল্ট শিলা গঠিত অঞ্চলের ভূমিরূপ সাধারণত-
(a) চ্যাপ্টা
(b) গোলাকার
(c) শঙ্কু আকৃতির
(d) আকৃতিবিহীন হয়
উত্তর: (a) চ্যাপ্টা হয়।
11. মাধ্যমিক শিলা হল-
(a) আগ্নেয় শিলা
(b) পাললিক শিলা
(c) রূপান্তরিত শিলা
(d) ম্যাগমা
উত্তর: (b) পাললিক শিলা।
12. সিমেন্ট তৈরির কাজে লাগে-
(a) ব্যাসল্ট
(b) গ্রানাইট
(c) চুনাপাথর
(d) কোয়ার্টজাইট।
উত্তর: (c) চুনাপাথর।
13. জয়সলমীরের সোনার কেল্লা তৈরি হয়েছে-
(a) চুনাপাথর দ্বারা
(b) বেলেপাথর দ্বারা
(c) কাদাপাথর দ্বারা
(d) ব্যাসল্ট দ্বারা।
উত্তর: (b) বেলেপাথর দ্বারা।
14. মাটি সৃষ্টির হার সবচেয়ে দ্রুত-
(a) উদ্বু-আর্দ্র জলবায়ুতে
(b) উয়-মরু জলবায়ুতে
(c) তৈগা জলবায়ুতে
(d) চিরতুষারাবৃত জলবায়ুতে।
উত্তর: (a) উয়-আর্দ্র জলবায়ুতে।
15. বেলেপাথর রূপান্তরিত হয়ে তৈরি হয় এমন একটি শিলা হল-
(a) কোয়ার্টজাইট
(b) মার্বেল
(c) স্লেট
(d) অ্যাম্ফিবোলাইট।
উত্তর: (a) কোয়ার্টজাইট।
Very Short Question Answer
1. ব্যাসল্ট, পরফাইরি, রায়োলাইট, অ্যান্ডিসাইট
উত্তর: পরফাইরি।
2. রায়োলাইট, ডোলেরাইট, অ্যান্ডিসাইট, ব্যাসল্ট
উত্তর: ডোলেরাইট।
3. গ্রাফাইট, হর্নব্লেন্ড, নিস্, অ্যাম্ফিবোলাইট
উত্তর: গ্রাফাইট।
4. চুনাপাথর, খড়িমাটি, জিপসাম, ওপেল
উত্তর: জিপসাম।
5. গ্রিট, কংগ্লোমারেট, ব্রেকসিয়া, চক
উত্তর: চক।
G. ভুল সংশোধন করো লেখো।
1. ব্রেকসিয়া একটি অসংঘাত শিলা।
উত্তর: ব্রেকসিয়া একটি অতিসংঘাত শিলা।
2. গ্রানাইট রূপান্তরিত হয়ে অ্যাম্ফিবোলাইট শিলায় পরিণত হয়।
উত্তর: গ্রানাইট রূপান্তরিত হয়ে নিস্ শিলায় পরিণত হয়।
3. প্রবল চাপজনিত ভূআন্দোলনের ফলে লিমোনাইট শিলার উৎপত্তি হয়।
উত্তর: রাসায়নিক বিক্রিয়া ফলে লিমোনাইট শিলার উৎপত্তি হয়।
4. কয়লা একটি রূপান্তরিত শিলা।
উত্তর: কয়লা একটি পাললিক শিলা।
5. হিউমাস থাকায় মৃত্তিকার রং লাল হয়।
উত্তর: হিউমাস থাকায় মৃত্তিকার রং কালো/বাদামি হয়।
6. আমি একপ্রকার শিলা আমার স্তরের মধ্যে পেট্রোলিয়াম থাকে। আমি কে?
উত্তর: পাললিক শিলা।
7. আমি রূপান্তরিত হয়ে স্লেট পাথরে পরিণত হই। আমি কে?
উত্তর: কাদাপাথর।
8. আমি শিলা গঠনের মূল উপাদান। আমি কে?
উত্তর: খনিজ।
9. আমি প্রধানত নদীর দুই পাশের অববাহিকায় বিভিন্ন পাথর সঞ্চিত হয়ে তৈরি হওয়া মাটি। আমি কে?
উত্তর: পলিমাটি।
10. আমি একপ্রকার মাটি, আমার জলধারণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। আমি কে?
উত্তর: এঁটেল মাটি।
11. পৃথিবীতে সর্বপ্রথম কোন্ শিলার সৃষ্টি হয়েছে?
উত্তর: প্রাথমিক শিলা বা আগ্নেয় শিলা।
12. কোন্ শিলার কেলাসের গঠন ভালো দেখা যায়?
উত্তর: রূপান্তরিত শিলা ও আগ্নেয় শিলার।
13. বিশ্ববিখ্যাত তাজমহল কোন্ শিলা দ্বারা তৈরি হয়েছে?
উত্তর: মার্বেল দ্বারা।
14. চুনাপাথরের গুহার মেঝেতে দণ্ডায়মান ভূমিরূপকে কী বলে?
উত্তর: স্ট্যালাগমাইট।
15. কোন্ খনিজ পদার্থ বিদ্যুৎ-এর কুপরিবাহী?
উত্তর: অভ্র।
16. সর্বনিম্ন কাঠিন্যযুক্ত খনিজ কোন্টি?
উত্তর: ট্যাঙ্ক।
17. ব্যাসল্ট শিলা থেকে কোন্ মৃত্তিকার সৃষ্টি হয়?
উত্তর: কৃষ্ণমৃত্তিকা।
1৪. আগ্নেয় শিলার একটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উত্তর: অস্তরীভূত শিলা।
19. গ্রানাইট শিলার দানার ব্যাস কত?
উত্তর: ও মিমি.-এর বেশি।
10. কয়লা কোন্ ধরনের শিলা?
উত্তর: পাললিক শিলা।
11. একটি সংঘাত পাললিক শিলার উদাহরণ দাও।
উত্তর: বেলেপাথর।
12. কাদাপাথর কোন্ শিলায় রূপান্তরিত হয়?
উত্তর: স্লেট।
13. মৃত্তিকা সৃষ্টির পূর্ব অবস্থার নাম কী?
উত্তর: রেগোলিথ।
14. গ্রানাইট শিলা থেকে সৃষ্ট মৃত্তিকার নাম কী?
উত্তর : লোহিত মৃত্তিকা।
15. কোন্ কোন্ খনিজ দ্বারা গ্রানাইট শিলা গঠিত?
উত্তর: কোয়ার্টজ, ফেল্ডসপার, অভ্র।
16. মাটির মধ্যে বায়বীয় উপাদানের পরিমাণ কত?
উত্তর: 25%।
17. শিলার কাঠিন্য পরিমাপক স্কেলটির নাম কী?
উত্তর: মোহো স্কেল।
Short Question Answer
প্রশ্ন 1: আগ্নেয় শিলার বৈশিষ্ট্য বা বিশেষত্বগুলি লেখো।
উত্তর: আগ্নেয় শিলার প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল- (i) এই শিলা কেলাসিত ও স্ফটিকযুক্ত হয়। (ii) স্তরভেদ ও স্তরায়ণ তল থাকে না। (iii) কঠিন ও ভারী হওয়ায় সহজে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। (iv) এই শিলা জীবাশ্ম থাকে না। (v) ছিদ্র না থাকায় জলধারণ করতে পারে না। (vi) আগ্নেয় শিলার উপাদানগুলি অত্যন্ত ঘন সন্নিবিষ্ট হয়, (vii) এই শিলায় উল্লম্ব দারণ ও ফাটল দেখা যায়। তাই প্রবেশ্যতা বেশি। (viii) হালকা থেকে গাঢ় পর্যন্ত হতে পারে। (ix) আগ্নেয় শিলায় মূল্যবান খনিজ পদার্থ (স্বর্ণ, রৌপ্য, সীসা, দস্তা ইত্যাদি) পাওয়া যায়।
প্রশ্ন 2: পাললিক শিলার প্রধান ব্যবহারগুলি লেখো।
উত্তর: পাললিক শিলার প্রধান ব্যবহারগুলি হল- (i) বেলেপাথর ও কাদাপাথর প্রভৃতি দিয়ে ঘরবাড়ি, প্রাসাদ, অট্টালিকা, স্মৃতিসৌধ, দুর্গ-এর দেয়াল তৈরি করা হয়। (ii) সিমেন্ট, রাসায়নিক পাউডার ও লৌহ-ইস্পাত শিল্পে চুনাপাথর ব্যবহৃত করা হয়। (iii) সিমেন্ট শিল্পে চুনাপাথর, জিপসাম এবং লৌহ-ইস্পাত শিল্পে চুনাপাথর ব্যবহৃত হয়। (iv) পাললিক শিলা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে পলিমাটি সৃষ্টি করে যা কৃষি কার্যে ব্যবহৃত হয়। (v) খাদ্য লবণ হিসেবে সৈন্ধব লবণ ব্যবহৃত হয়। (vi) সচ্ছিদ্র পাললিক শিলাস্তর থেকে ভৌমজল সংগৃহীত হয়। (vii) শক্তি উৎপাদন করতে জীবাশ্ম জ্বালানি কয়লা খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস সংগৃহীত হয়।
প্রশ্ন 1: ‘পেট্রোলজি’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর: ভূবিজ্ঞানের যে শাস্ত্র শিলার উৎপত্তি ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করে, তাকে পেট্রোলজি (Petrology) বলে। এই শাস্ত্রে শিলার বয়স, শ্রেণিবিভাগ, গঠন, গুণাগুণ, প্রভাব প্রভৃতি বিষয় নিয়ে চর্চা ও গবেষণা করা হয়।
প্রশ্ন 2: ‘মিনারেলজি’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর: ভূবিজ্ঞানের যে শাস্ত্র খনিজ পদার্থের উৎপত্তি, গঠন, প্রকৃতি, সংযুক্তি, বৈশিষ্ট্য প্রভৃতি বিষয়ে চর্চা ও গবেষণা করে থাকে, তাকে মিনারেলজি বলে।
প্রশ্ন 3: শিলা কাকে বলে?
উত্তর: ভূবিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীর বহিরাবরণ বা ভূত্বক যেসব উপাদান দিয়ে গঠিত হয়েছে, তাদের সাধারণভাবে শিলা বলে। শিলা বলতে শুধুমাত্র শক্ত প্রস্তরখণ্ডকে বোঝায় না-নুড়ি, কাঁকর, পলি, কাদা, মাটি, লৌহ, লবণ, স্বর্ণ প্রভৃতিকেও বোঝায়। অর্থাৎ শিলা এক বা একাধিক খনিজের সমসত্ব বা অসমসত্ব মিশ্রণে গঠিত যৌগিক পদার্থ। উদাহরণ: গ্রানাইট, ব্যাসল্ট, চুনাপাথর, বেলেপাথর, নিস্ ইত্যাদি।
প্রশ্ন 4: খনিজ কাকে বলে?
উত্তর: প্রকৃতিতে পাওয়া যায় এমন এক বা একাধিক অজৈব মৌলিক পদার্থের যৌগ, যার নির্দিষ্ট পারমাণবিক গঠন ও রাসায়নিক সংযুক্তি আছে, যেটি কেলাসিত মৌলিক বা যৌগিক পদার্থ, তাকে খনিজ বলে। উদাহরণ: মৌলিক খনিজ হল হীরে এবং যৌগিক খনিজ হল ফেল্ডসপার প্রভৃতি।
প্রশ্ন 5: আগ্নেয় শিলা কাকে বলে?
উত্তর: পৃথিবী উত্তপ্ত গ্যাসীয় ও তরল অবস্থা থেকে তাপ বিকিরণ করে শীতল ও কঠিন হওয়ার সময় পৃথিবীর উপর যে শিলা সর্বপ্রথম সৃষ্টি হয়, সেটি আগ্নেয় শিলা। এক বা একাধিক ফাটল দিয়ে নিঃশব্দে বা সশব্দে ভূত্বকের অভ্যন্তরে বা লাভারূপে বাহিরে নির্গত ভূঅভ্যন্তরের উত্তপ্ত তরল ম্যাগমা দুর্বলস্থানে ক্রমাগত তাপ বিকিরণ করে শীতল ও কঠিন হয়ে যে শিলার সৃষ্টি হয়, তাকে আগ্নেয় শিলা বলে। উদাহরণ: গ্রানাইট, ব্যাসল্ট, ডলোরাইট, পরফাইরি প্রভৃতি।
প্রশ্ন 6: শিলার প্রবেশ্যতা ককে বলে?
উত্তর: শিলার প্রবেশ্যতা বলতে শিলার মধ্যে দিয়ে তরল বা গ্যাসীয় পদার্থের প্রবেশ করার ক্ষমতাকে বোঝায়। প্রবেশ্যতা বেশি হলে জলধারণ ক্ষমতা কমে যায়। বেলেপাথরের প্রবেশ্যতা খুব বেশি হয়।
প্রশ্ন 7: সংঘাত শিলা কাকে বলে?
উত্তর: বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে প্রাথমিক আগ্নেয়শিলা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যে পাললিক শিলার সৃষ্টি হয়, তাকে সংঘাত শিলা বলে। আগ্নেয়শিলা ক্ষয় হয়ে সৃষ্ট পলি থেকে উৎপন্ন শিলাকে পাইরোক্লাসটিক শিলা বলে। যেমন আগ্নেয় তুফ, নুড়ি, পাথর ক্ষয় হয়ে সৃষ্ট পলিকে বার্বারীয় বা ডেট্রিটাল বলে। যেমন- গ্রিট।
প্রশ্ন ৪: অসংঘাত শিলা কাকে বলে?
উত্তর: রাসায়নিক ও জৈবিকভাবে যেসব পাললিক শিলার সৃষ্টি হয়, তাকে অসংঘাত শিলা বলে। ইহা দুই প্রকারের (i) রাসায়নিক উপায়ে গঠিত পাললিক শিলা-কার্বনেট (ডলোমাইট), সালফেট (রকজিপসাম), ক্লোরাইড (রকসল্ট), সিলিকেট (ফ্রিন্ট), লৌহপ্রস্তর (হেমাটাইট)। (ii) জৈবিক উপায়ে গঠিত পাললিক শিলা-চুনময় (চুনাপাথর), কার্বনময় (বিটুমিনাস), লোহাময় (লৌহপ্রস্তর), কলিময় (ডায়াটম মাটি)।
প্রশ্ন 9: আঞ্চলিক রূপান্তর কাকে বলে?
উত্তর: প্রধানত চাপের প্রভাবে বিশাল অঞ্চল জুড়ে শিলার আঞ্চলিক বা ব্যাপক রূপান্তর ঘটে। যেমন-ভঙ্গিল পর্বত গঠনের সময় মাঝারি তাপ ও চাপে শেল থেকে স্লেটে রূপান্তরিত হয়।
প্রশ্ন 10: স্পর্শ ও স্থানীয় রূপান্তর কাকে বলে?
উত্তর: ম্যাগমা ও লাভা সংস্পর্শে স্বল্প অঞ্চল জুড়ে শিলার রূপান্তরকে স্থানীয় রূপান্তর বলে। যেমন- চুনাপাথর থেকে মার্বেল।
প্রশ্ন 11: কার্স্ট ভূমিরূপ কী?
উত্তর: চুনাপাথরযুক্ত অঞ্চলে অ্যাসিড মিশ্রিত বৃষ্টির জল মাটিকে দ্রুত ক্ষয় করে ভূগর্ভে গিয়ে ছোটো বড়ো নানা আকৃতির গর্তের সৃষ্টি করে, এই ধরনের ভূমিরূপের নাম কার্স্ট ভূমিরূপ।
প্রশ্ন 12: মোহ স্কেল কী?
উত্তর: খনিজের কাঠিন্য পরিমাপের স্কেল হলো মোহ স্কেল। এই মৌ 1-10 পর্যন্ত দশটি ভাগ আছে। কাঠিন্যে সর্বনিম্ন মান অন্তর্গত খনিজ ট্যাঙ্ক এবং সর্বোচ্চ কাঠিন্য (10) যুক্ত হল হীরা।
প্রশ্ন 13: রাসায়নিক গঠন অনুসারে আগ্নেয় শিলার শ্রেণিবিভাগ করো।
উত্তর: আগ্নেয়শিলার রাসায়নিক গঠন অর্থাৎ আম্লিক (সিলিকা ক্ষারকীয় (পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম) উপাদানের তারত অনুসারে আগ্নেয়শিলাকে মোট চার ভাগে ভাগ করা যা সেগুলি হল-(i) আম্লিক শিলা (65%), (ii) মধ্যবর্তী কি (প্রায় 50%), (iii) ক্ষারকীয় শিলা (45%-55%) ও (iv) ক্ষারকীয় শিলা (55%-এর বেশি)।
প্রশ্ন 14: পাললিক শিলা কাকে বলে?
উত্তর: পৃথিবীপৃষ্ঠের আগ্নেয় শিলা বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির দা প্রতিঘাতে প্রতিনিয়ত চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে অতি সূক্ষ্ম শিলাক পরিণত হয়ে প্রাকৃতিক শক্তির (নদী, বায়ু, হিমবাহ প্রভৃতি দ্বারা বাহিত হয়ে সমুদ্র, হ্রদ, নদীর তলদেশে সঞ্চিত হা থাকে। কালক্রমে ওই সঞ্চিত পলল রাশি ভূগর্ভের তাপ এ উপরের জলরাশি ও শিলাস্তরের প্রবল চাপে কঠিন হয়ে। শিলায় পরিণত হয়, তাকে পাললিক শিলা বলে। উদাহর কাদাপাথর, চুনাপাথর, বেলেপাথর প্রভৃতি।
প্রশ্ন 15: স্তরায়ণ তল (Bedding Plane), বলতে কী বোঝো?
উত্তর: পাললিক শিলার একটি স্তর অন্য একটি স্তরের ওপর যোজ দ্বারা যুক্ত থাকে, তাকে স্তরায়ণ তল বলে। পাললিক শি ভাঙলে এই শিলাস্তরের মধ্যে বিভিন্ন স্তর দেখতে পাওয়া যা প্রবল চাপে স্তরায়ণ তল বরাবর একটি স্তর অপর স্তর যো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে ভিন্নতার কার স্তর সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন 16: রূপান্তরিত শিলা কাকে বলে?
অনুসরণে লেখা যায়: শিলা রূপান্তরিত হওয়ার কারণ কী কী?
উত্তর: আগ্নেয়শিলা ও পাললিক শিলা অনেক সময় ভূগর্ভের প্রাণ তাপ, উপরের শিলাস্তরের চাপ, রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফা কেলাসিত হয়ে পরিবর্তিত এক নতুন বৈশিষ্ট্যযুক্ত (বর্ণ, কাঠিন্য, গ্রথন অনুসারে) গঠন করে, তাকে ‘রূপান্তরি শিলা বলে। উদাহরণ: গ্রানাইট থেকে নিস্, ব্যাসন্ট যো অ্যাম্ফিবোলাইট, কাদাপাথর থেকে স্লেট, বেলেপাথর যো কোয়ার্টজাইট, চুনাপাথর থেকে মার্বেল প্রভৃতি।
প্রশ্ন 17: মাটির মধ্যে কী কী খনিজ পদার্থ থাকে?
উত্তর : নানা ধাতব ও অধাতব উপাদানে মাটি গঠিত হয়। মাটির মধ্যে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়া লৌহ, ফসফরাস, বোরন, তামা, ম্যাআামিজ, দন্ডা প্রক খনিজ পদার্থ এবং অজৈব লবণ (যেমন-নাইট্রেট, সালফো ফসফেট, ক্লোরাইড, কার্বোনেট প্রভৃতি) মৃত্তিকার রাসায়াদী প্রকৃতি নির্ণয় করে।
প্রশ্ন 18 : রূপান্তরিত শিলার দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উত্তর: রূপান্তরিত শিলায় – (i) সমস্ত খনিজ একধারে সঞ্চিত হয় বলে খনিজ আহরণ সুবিধাজনক। (ii) এই শিলার কাঠিন্য বেশি।
প্রশ্ন 1: পাললিক শিলায় কেলাস গঠন হয় না কেন?
উত্তর: শিলা গঠিত হওয়ার সময় তার ভিতরে উত্তপ্ত খনিজ জল থাকে পরবর্তীকালে শীতলতার কারণে ঠান্ডা হয়ে খনিজ জলের অণু কেলাস গঠন করে থাকে। কিন্তু পাললিক শিলা উৎপত্তির সময় স্তরে স্তরে পলি সঞ্চিত হওয়ার ফলে শিলা গঠনকালে পলি কণার মধ্যস্থিত জল অপসারিত হয় এবং শিতল হয়ে শিলা গঠনের বিষয় না থাকার জন্য জলের অণু কেলাস গঠন করতে পারে না। তাই পাললিক শিলায় কেলাস গঠিত হয় না।
প্রশ্ন 2: আগ্নেয় শিলাতে জীবাশ্ম দেখা যায় না কেন?
উত্তর: ভূগর্ভ থেকে উত্তপ্ত গলিত ম্যাগমা পৃথিবীপৃষ্ঠের বাইরে লাভারূপে বেরিয়ে এসে দ্রুত তাপবিকিরণ করে শীতল ও কঠিন হয়ে আগ্নেয়শিলার সৃষ্টি করে। সেই সময় যদি কোনো উদ্ভিদ বা প্রাণীর সম্পূর্ণ দেহ বা দেহাংশ ওই প্রচন্ড উত্তপ্ত লাভার মধ্যে চাপা পড়ে, ভস্মীভূত হয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আগ্নেয় শিলার মধ্যে কোনো জীবদেহের ছাপ বা জীবাশ্ম তৈরি হতে পারে না।
প্রশ্ন 3: কোন ধরনের শিলা থেকে খনিজ পদার্থ সংগ্রহ করতে সুবিধা হয় এবং কেন?
উত্তর: রূপান্তরিত শিলা থেকে খনিজ পদার্থ সংগ্রহ সুবিধাজনক। কারণ, এই শিলা প্রচন্ড তাপে ও চাপে মূলত আগ্নেয় বা পাললিক শিলা থেকে সৃষ্টি হয়। প্রচন্ড তাপে শিলার ভেতরের খনিজের অবস্থানের পরিবর্তন ঘটে। তখন একই ধর্মবিশিষ্ট খনিজ শিলার একদিকে চলে আসার ফলে অল্প ব্যয়ে খুব সহজে ও দ্রুত প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ সংগ্রহ করতে সুবিধা হয়।
পাঠ্যপুস্তকের পৃষ্ঠা নং 26
প্রশ্ন 1: কোনো জায়গায় বেড়াতে গেলে সেখান থেকে কিছু ছোটো বড়ো পাথর খুঁজে নিয়ে এসো। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পাথরগুলো চিনে নিতে চেষ্টা করো, প্রয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষিকার সাহায্য নাও।
উত্তর: নিজে করো।
প্রশ্ন 2: তোমার চারপাশে কোনো বিশেষ দ্রষ্টব্য স্থান বা স্থাপত্যকার্য থাকলে তা কোন্ কোন্ শিলায় তৈরি জানার চেষ্টা করো।
উত্তর: তোমার নিজ নিজ এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানার চেষ্টা করো।
প্রশ্ন 3: রেললাইনের মাঝে থাকা শিলার নাম কী? কেন এই ধরনের শিলা এখানে রাখা হয়?
উত্তর: রেললাইনের মাঝে ব্যাসল্ট শিলা ফেলে রাখা হয়। তার কারণ হল এই আগ্নেয়শিলাটি খুব ভারী হয় এবং ক্ষয় প্রতিরোধী হওয়ার কারণে ট্রেন চলাচল করলেও এরা স্থানচ্যুত হয় না, আবার সহজে ক্ষয়ও হয় না।
প্রশ্ন 4: গ্রানাইট শিলা চিকচিক করে কেন?
উত্তর: গ্রানাইট শিলা প্রধানত কোয়ার্টজ, অভ্র, ফেল্ডসপার ও হর্নব্লেন্ড খনিজ দ্বারা গঠিত হয়। এইসব খনিজ পদার্থের মধ্যে শ্বেতবর্ণের চকচকে, মসৃণ ও পাতলা অভ্র থাকার কারণেই উজ্জ্বল ও চিকচিক করে।
প্রশ্ন 5: তোমার কাছে কোনো শিলা বা খনিজ থাকলে একটু উত্তপ্ত করে দেখো-কোন্ শিলা তাড়াতাড়ি গরম হয় আর কোন্ শিলা বেশিক্ষণ গরম থাকে?
উত্তর: তুমি নিজে নিজে বিভিন্ন শিলা বা খনিজ পদার্থ নিয়ে পরীক্ষা করো। সাবধানতা অবলম্বন করে পরীক্ষাটি করো। প্রয়োজনে অভিভাবক/ অভিভাবিকা অথবা শিক্ষক/শিক্ষিকার সাহায্য নাও।
প্রশ্ন 6 : পেনসিলের শিষ কোন্ শিলা দিয়ে তৈরি এবং এই শিলার ধরনের?
উত্তর : পেনসিলের শিষ গ্রাফাইট শিলা দ্বারা তৈরি হয়। মূলত কয়লা অত্যধিক তাপে, চাপে গ্রাফাইট নামক রূপান্তরিত সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন 7 : আমি দেখতে চকচকে, সাদা বা কালো রঙের। আমি নরম সহজেই পাতের মতো বেঁকে যাই। গ্রানাইট শিলার এক মূল খনিজ উপাদান আমি। বলতে পারো আমি কে?
উত্তর: অভ্র।
প্রশ্ন 1: ছোটোনাগপুর মালভূমি ছাড়া ভারতের আরেকটি মালভূমি নাম করো যা বিশেষভাবে খনিজ সম্পদ দ্বারা সমৃদ্ধ।
উত্তর: দাক্ষিণাত্য মালভূমি।
Long Question Answer
প্রশ্ন 1: উৎপত্তি অনুসারে আগ্নেয় শিলার শ্রেণিবিভাগ করে আলোচনা করো। (অথবা, পাললিক ও উপপাতালিক শিলার সংজ্ঞা ও উদাহরণ দাও। আলিপুরদুয়ার ম্যাকউইলিয়াম হাইস্কুল উ:মা:)
উত্তর: সংজ্ঞা: ভূঅভ্যন্তরের ম্যাগমা ও ভূপৃষ্ঠের উপরের লাভা ধীরে ধীরে তাপ বিকিরণ করে শীতল ও জমাটবদ্ধ হয়ে যে শিলার সৃষ্টি হয়, তাকে আগ্নেয় শিলা (Igneous Rock) বলে।
★ শ্রেণিবিভাগ: উৎপত্তি ও গঠন অনুসারে আগ্নেয় শিলাকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়, যথা-
(A) নিঃসারী বা ভলক্যানিক আগ্নেয় শিলা: ভূঅভ্যন্তরের তাপ, চাপ ও রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটলে উত্তপ্ত তরল পদার্থ ভূত্বকের ফাটলপথ দিয়ে বা আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ দিয়ে ভূপৃষ্ঠের উপর লাভাপ্রবাহ রূপে নির্গত হয়। ক্রমশ শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে দ্রুত শীতল ও কঠিন হয়ে যে শিলা সৃষ্টি করে, তাকে নিঃসারী আগ্নেয় শিলা বলে। উদাহরণ: ব্যাসল্ট, রায়োলাইট, অ্যান্ডিসাইট, অবসিডিয়ান প্রভৃতি।
উপবিভাগ: উৎপত্তি অনুসারে নিঃসারী আগ্নেয় শিলা আবার দুই ভাগে বিভক্ত। যথা- (ⅰ) লাভা শিলা: সাধারণত ভূগর্ভের উত্তপ্ত ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের লাভারূপে নিঃশব্দে নির্গত হয়ে দ্রুত তাপ বিকিরণের মাধ্যমে প্রবাহিত হওয়ার সময় ঠান্ডা হয়ে কঠিন লাভা শিলা গঠন করে। যেমন-ব্যাসল্ট। (ii) পাইরোক্লাসটিক শিলা: আগ্নেয়গিরির প্রধান জ্বালামুখ ও অসংখ্য ছিদ্রপথে পূর্বে জমে থাকা কঠিন প্রস্তরখণ্ড, ছাই, লাভা, অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ফাটিয়ে দিয়ে সশব্দে ভূপৃষ্ঠে এসে শীতল ও কঠিন হয়ে যে শিলার সৃষ্টি করে; তাকে পাইরোক্লাস্টিক শিলা বলে। যেমন-টুফ, ল্যাপিলি।
(B) উদ্বেধী আগ্নেয় শিলা: অনেক সময় ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা ভূ পৃষ্ঠের বাইরে বেরিয়ে না এসে ভূগর্ভের ফাটলের মধ্যেই ধীরে ধীরে শীতল ও কঠিন হয়ে উদ্বেধী আগ্নেয় শিলার সৃষ্টি করে। যেমন-গ্রানাইট, গ্যাব্রো, ডলোরাইট প্রভৃতি।
উপবিভাগ: সৃষ্টির সময়, গভীরতা ও প্রকৃতি অনুসারে উদ্বেধী আগ্নেয় শিলাকে দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা-
(i) পাতালিক শিলা: উত্তপ্ত ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের অনেক নীচে (10- 14 কিমি.) বিরাট গহ্বর বা কোমল শিলাস্তরের মধ্যে প্রবেশ করে অত্যন্ত ধীরে ধীরে শীতল ও কঠিন হয়, তাকে পাতালিক শিলা বলে। যেমন-গ্রানাইট, গ্যাব্রো, ডায়োেরাইট, পেরিডোটাইট প্রভৃতি।
(ii) উপপাতালিক শিলা: ভূগর্ভের তরল ম্যাগমা যখন ভূপৃষ্ঠের নিকটস্থ কোনো ফাটল বা গহবরের মধ্যে শীতল ও কঠিন হয় তাকে উপপাতালিক শিলা বলে। যেমন- পরফাইরি, ডোলেরাইট প্রভৃতি।
প্রশ্ন 2: শিলাচক্র বলতে কী বোঝো? অথবা, চিত্রসহ শিলাচক্রের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
উত্তর: সংজ্ঞা: আগ্নেয় শিলা, পাললিক শিলা ও রূপান্তরিত শিলার মধ্যে যে ক্রমান্বয়ে নির্দিষ্ট নিয়মে চক্রাকার রূপান্তর ঘটে চলেছে, তাকে শিলাচক্র বলে।
প্রক্রিয়া: (i) ভূ-অভ্যন্তরস্থ ম্যাগমা ভূ-অভ্যন্তরেই দারণ বা ফাটল বা ছিদ্রপথ দিয়ে বা আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ দিয়ে ভূপৃষ্ঠে লাভারূপে ভূঅভ্যন্তরের ফাটলের মধ্যে ম্যাগমা শীতল ও কঠিন হয়ে আগ্নেয়শিলা সৃষ্টি করে।
(ii) আগ্নেয়/পাললিক/রূপান্তরিত শিলা প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা চূর্ণবিচূর্ণ হয়। এইসব পদার্থসমূহ পরিবাহিত হয়ে মহাসাগর, সাগর, হ্রদের তলদেশে বা স্থলভাগের নীচু জায়গায় বহুকাল ধরে সঞ্চিত হয়ে। স্তরে স্তরে জমাটবদ্ধ হয়ে পাললিক শিলায় পরিণত হয়।
(ii) আগ্নেয় ও পাললিক এমনকি রূপান্তরিত শিলা প্রচণ্ড চাপ, তাপর রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় পরিবর্তিত হয়ে রূপান্তরিত শিলায় পরিণত হয়।
(iv) এই তিন প্রকার শিলা ভূআলোড়নের কারণে ভূগর্ভে প্রবেশ কর ম্যাগমাতে পরিণত হয়। আবার এই ম্যাগমা থেকেই এক সময় আট নয় শিলার সৃষ্টি হয়। এইভাবে শিলাগুলি চক্রাকারে রূপান্তরিত হয়।
প্রশ্ন 3: ব্যাসল্ট শিলার বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: নিঃসারী ক্ষারকীয় আগ্নেয় শিলা হল ব্যাসল্ট। ব্যাসল্ট জাতীয় শিলা দিয়ে মহাসাগরীয় ভূত্বক গঠিত হয়। ব্যাসল্টের বৈশিষ্ট্যগুলি হল-
(i) খনিজ: কোয়ার্টজ, ফেল্ডসপার, অলিভিন , পাইরক্সিন, প্ল্যাজিওক্লেজ, খনিজের সমন্বয়ে ব্যাসল্ট শিলা গঠিত।
(ii) রং: গাঢ় ধূসর থেকে কালো।
(iii) প্রবেশ্যতা: ব্যাসল্ট শিলায় উল্লম্ব দারণ ও ফাটলের সংখ্যা খুব বেশি থাকায় এর প্রবেশ্যতা খুব বেশি।
(iv) ভূমিরূপ: ক্ষারকীয় পাতলা লাভা দ্রুত বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ায় এর দ্বারা গঠিত ভূমিরূপের মাথা চ্যাপটা হয়।
(vi) কাঠিন্য: খুব শক্ত, ভারী ও ক্ষয় প্রতিরোধী হয়। (vii) রাসায়নিক ধর্ম: সিলিকার পরিমাণ 45%-55% থাকায় এই শিলা ক্ষারকীয় প্রকৃতির।
(viii) ব্যবহার: রেল ও ট্রাম লাইনের মাঝে, ধারে ঝাঁকুনি প্রতিরোধী হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ব্যাসল্ট কংক্রিট নির্মাণের জন্য আদর্শ।
প্রশ্ন 4: যান্ত্রিক উপায়ে গঠিত পাললিক শিলার উদাহরণসহ সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। অথবা, পাললিক।
উত্তর: সংজ্ঞা: শিলাচূর্ণ বা পলল রাশি তাদের প্রধান শিলার রূপ, গুণ, রাসায়নিক ধর্ম অক্ষুণ্ণ রেখে অপেক্ষাকৃত নীচু স্থানে সঞ্চিত হয়ে জমাট বেঁধে যে প্রকার পাললিক শিলায় পরিণত হয়, তাকে যান্ত্রিক উপায়ে গঠিত পাললিক শিলা বলে।
উদাহরণ: কাদাপাথর, বেলেপাথর, চুনাপাথর প্রভৃতি।
শ্রেণিবিভাগ: শিলা গঠনকারী দানার ব্যাস অনুসারে পাললিক শিলাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
(1) প্রস্তরখণ্ডময় পাললিক শিলা: 2 মিমির বেশি ব্যাসযুক্ত দানা দ্বারা গঠিত পাললিক শিলাকে প্রস্তরখণ্ডময় পাললিক শিলা বলে। যেমন-কংগ্লোমারেট, ব্রেকসিয়া।
(2) বালুকাময় পাললিক শিলা: 0.06 মিমি 2 মিমি পর্যন্ত ব্যাসযুক্ত দানা দ্বারা গঠিত পাললিক শিলাকে বালুকাময় পাললিক শিলা বলে। উদাহরণ: গ্রিট, বেলেপাথর।
(3) কর্দমময় পাললিক শিলা: 0.06 মিমির কম ব্যাসযুক্ত দানার সমন্বয়ে সৃষ্ট পাললিক শিলাকে কর্দমময় পাললিক শিলা বলে। উদাহরণ: কাদাপাথর।
Fill in the blanks
1. ব্যাসল্ট শিলার দানাগুলির ব্যাস মিমি. এর কম।
উত্তর: 1।
2. চক, সৈন্ধব লবণ এক প্রকার শিলা।
উত্তর: পাললিক।
3. সবচেয়ে কঠিন খনিজটি হল ।
উত্তর: ডায়মন্ড বা হিরে।
4. স্থলভাগে সৃষ্ট একটি পলিগঠিত স্তর হল ।
উত্তর: লোয়েস।
5. মাটিতে সম্পূর্ণভাবে বিশ্লিষ্ট জীবের দেহাবশেষকে বলে।
উত্তর: হিউমাস।
6. শ্বেত বা স্বচ্ছ রুবি অভ্রকে বলে।
উত্তর: মাসকোভাইট।
7. একমাত্র শিলায় জীবাশ্ম দেখা যায়।
উত্তর: পাললিক।
৪. ব্যাসল্ট শিলার রাসায়নিক ধর্ম হল
উত্তর: ক্ষারকীয়।
9. অ্যাম্ফিবোলাইট হল এর পরিবর্তিত রূপ।
উত্তর: ব্যাসল্ট।
10. তিনপ্রকার শিলার চক্রাকারে সম্পূর্ণ আবর্তন প্রক্রিয়াকে বলে।
উত্তর: শিলাচক্র।
11. মাটিতে কাদা ও বালির ভাগ সমান থাকে।
উত্তর: দোআঁশ।
12. মাটিতে দুটি দানার মধ্যে বেশি ফাঁক থাকে।
উত্তর: বেলে।
13. রাস্তাঘাট নির্মাণে শিলা ব্যবহৃত হয়।
উত্তর: নিস্।
14. কৃষ্ণমৃত্তিকার অপর নাম মৃত্তিকা।
উত্তর: রেগুর।
15. মাটির জলধারণ ক্ষমতা সর্বাপেক্ষা বেশি।
উত্তর: এঁটেল।
16. বলয়ের আকারে থাকা খনিজের উপস্থিতি সমন্বিত নিকে বলে।
উত্তর: ব্যান্ডেডনিস।
True and False
1. খনিজ হল এক বা একাধিক অজৈব মৌলিক পদার্থের যৌগ।
উত্তর: শুদ্ধ
2. সমসত্ত্ব মিশ্রণে উপাদানগুলো শিলার সব জায়গায় বিভিন্ন অনুপাতে থাকে।
উত্তর: অশুদ্ধ।
3. প্রবেশ্যতা বেশি হলে জলধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
উত্তর: অশুদ্ধ।
4. অবসিডিয়ান এক ধরনের নিঃসারী শিলা।
উত্তর: শুদ্ধ।
5. ব্যাসল্টের তুলনায় গ্রানাইটের দানা স্থূল হয়।
উত্তর: শুদ্ধ।
6. কেলাসের গঠন মিছরির দানার মতো দেখতে হয়।
উত্তর: শুদ্ধ।
7. সমুদ্র তলদেশ ব্যাসল্ট শিলা দ্বারা গঠিত (পান্নালাল ইনস্টিটিউশন)
উত্তর: শুদ্ধ।
৪. কাদাপাথর দিয়ে স্থাপত্য শিল্প নির্মাণ করা হয়।
উত্তর: অশুদ্ধ।
9. রূপান্তরিত শিলায় স্তরায়ণ তল দেখা যায়।
উত্তর: অশুদ্ধ।
10. মার্বেল পাথর অ্যাসিডে দ্রুত ক্ষয় পায়।
উত্তর: শুদ্ধ।
11. হিরে হল কার্বনের এক রূপভেদ।
উত্তর: শুদ্ধ।
12. জিপসামযুক্ত ভূমি নরম ও হালকা হলুদ রঙের হয়।
উত্তর: শুদ্ধ।
13. রেগুর মৃত্তিকায় লোহা ও অ্যালুমিনিয়াম অধিক থাকে।
উত্তর: অশুদ্ধ।
14. মাটির উপাদানগুলির মধ্যে 5% খনিজ পদার্থ থাকে।
উত্তর: অশুদ্ধ।
15. রাজস্থানের জয়সলমীরে অবস্থিত’ সোনার কেল্লা’ চুনাপাথর নির্মাণের উপযুক্ত একটি মজবুত পাথর।
উত্তর: অশুদ্ধ।