Class 8 Chapter 5 Solution
মেঘ-বৃষ্টি
MCQs
1. অধিক উচ্চতার মেঘ-
(a) সিরাস
(b) অল্টো কিউমুলাস
(c) স্ট্র্যাটোকিউমুলাস
(d) নিম্বোস্ট্যাটাস
উত্তর: (a) সিরাস।
2. ম্যাকারেল আকাশ সৃষ্টিকারী মেঘ-
(a) সিরাস
(b) নিম্বোস্ট্যাটাস
(c) সিরো কিউমুলাস
(d) অল্টো কিউমুলাস
উত্তর: (c) সিরো কিউমুলাস।
3. সাধারণত মেঘের জলকণার ব্যাস-
(a) 0.02 মিমি.
(b) .5 মিমি.
(c) 1.2 মিমি.
(d) 0.25 মিমি.
উত্তর: (a) 0.02 মিমি.।
4. যে উন্নতা/তাপমাত্রায় বায়ু সম্পৃক্ত হয়, তাকে বলা হয়-
(a) ঘনীভবন
(b) বাষ্পীভবন
(c) মিস্ট
(d) শিশিরাঙ্ক
উত্তর: (d) শিশিরাঙ্ক।
5. শীতকালে স্ট্যাটাস মেঘ থেকে হয়-
(a) তুষারপাত
(b) শিলাবৃষ্টি
(c) গুঁড়িগুড়ি বৃষ্টি
(d) মুষলধারে বৃষ্টি
উত্তর: (c) গুঁড়িগুড়ি বৃষ্টি।
6. কিউমুলোনিম্বাস মেঘের তলদেশের রং-
(a) সাদা
(b) কালো
(c) নীল
(d) সবুজ
উত্তর: (b) কালো।
7. সিরোকিউমুলাস মেঘের অবস্থান হল-
(a) বেশি উচ্চতায়
(b) মাঝারি উচ্চতায়
(c) নিম্ন উচ্চতায়
(d) উল্লম্বভাবে
উত্তর: (a) বেশি উচ্চতায়।
৪. নিরক্ষীয় অঞ্চলের বৃষ্টিপাতের প্রকৃতি হল-
(a) পরিচলন বৃষ্টি
(b) শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি
(c) ঘূর্ণবৃষ্টি
(d) সীমান্তবৃষ্টি
উত্তর: (a) পরিচলন বৃষ্টি।
9. আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বাধিক দেখা যায়-
(a) সকালবেলায়
(b) দুপুরবেলায়
(c) সন্ধ্যাবেলায়
(d) ভোরবেলায়
উত্তর: (d) ভোরবেলায়।
10. পশ্চিমবঙ্গের আকাশে দুর্গাপূজার সময় সাধারণত দেখা যায়-
(a) সিরোকিউমুলাস মেঘ
(b) অল্টোস্ট্যাটাস মেঘ
(c) নিম্বোস্ট্যাটাস মেঘ
(d) কিউমুলোনিম্বাস মেঘ
উত্তর: (a) সিরোকিউমুলাস মেঘ।
11. পরিষ্কার আবহাওয়া নির্দেশ করে-
(a) সিরোকিউমুলাস মেঘ
(b) কিউমুলোনিম্বাস মেঘ
(d) অল্টোস্ট্যাটাস মেঘ
(c) নিম্বো্যাটাস মেঘ
উত্তর: (a) সিরোকিউমুলাস মেঘ
12. কোন্ মেঘ জমলে পর্বতারোহী ও বিমানচালকদের পক্ষে খুব অসুবিধা হয়?
(a) কিউমুলাস
(b) স্ট্যাটাস
(c) সিরাস
(d) বাম্পি ক্লাউড
উত্তর: (b) স্ট্যাটাস
Very Short Question Answer
1. প্রতিক্ষণে আবহাওয়া না জলবায়ু-কীসের পরিবর্তন ঘটতে পারে।
উত্তর: আবহাওয়ার।
2. কোন্ যন্ত্রের সাহায্যে বায়ুর আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়?
উত্তর: হাইগ্রোমিটার।
3. বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়কে কী বলা হয়?
উত্তর: সাইক্লোন।
4. স্বচ্ছ পালক সদৃশ উঁচু মেঘ কী নামে পরিচিত?
উত্তর: সিরাস।
5. কোন্ মেঘের আরেক নাম ‘Bumpy Cloud’?
উত্তর: স্ট্র্যাটোকিউমুলাস।
6. সম্পূর্ণ শুল্ক বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা কত?
উত্তর: ০%।
7. বৃষ্টিপাত পরিমাপের একক কী?
উত্তর: সেমি. বা ইঞ্চি।
৪. ‘থান্ডার ক্লাউড’ কোন্ মেঘের অপর নাম?
অথবা, বজ্রমেঘ বলা হয় কোন্ মেঘকে?
উত্তর: কিউমুলোনিম্বাস।
9. কোন্ বৃষ্টিপাতকে 4 O’ Clock Rain বলা হয়?
উত্তর: নিরক্ষীয় অঞ্চলের পরিচলন বৃষ্টিপাত।
10. ভারতের একটি বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলের নাম লেখো।
উত্তর: পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্বঢাল/শিলং।
11. কালবৈশাখীর সময় তুমি কী ধরনের মেঘ দেখতে পাও।
উত্তর: কিউমুলোনিম্বাস।
Short Question Answer
প্রশ্ন: 1. বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল বলতে কী বোঝায়? উদাহরণ দাও।
উত্তর: জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু পর্বতের প্রতিবাত ঢালে বাধা পেয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়। কিন্তু এই বায়ু যখন অনুবাত ঢাল বরাবর নীচে নামার সময় ক্রমশ উয় ও শুষ্ক হতে থাকে। তাই এই বায়ুতে আর বৃষ্টিপাত ঘটে না। তাই পর্বতের অনুবাত ঢালে অবস্থিত অঞ্চলকে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল বলে। মেঘালয়ের শিলং বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলে অবস্থিত।
প্রশ্ন: 2. পৃথিবীর কোন্ জলবায়ু অঞ্চলে সারাবছর পরিচলন বৃষ্টি হয় এবং কেন? (যাদবপুর বিদ্যাপীঠ)
উত্তর: পৃথিবীর নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে সারাবছর পরিচলন বৃষ্টি হয়। নিরক্ষীয় অঞ্চলে প্রশান্ত আটলান্টিক ও ভারত মহাসাগরের বিস্তীর্ণ অংশ অবস্থিত। আর এখানে সূর্যের কিরণ সারাবছর লম্বভাবে ও বিস্তীর্ণ জলভাগ প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প বায়ুতে যুক্ত করে ও ঘনীভূত হয়ে আকাশে মেঘ তৈরি করে। এর ফলে সারাবছর ধরে নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে পরিচলন বৃষ্টিপাত হয়।
প্রশ্ন: 3. মেঘমুক্ত রাত্রি অপেক্ষা মেঘাচ্ছন্ন রাত্রি বেশি গরম কেন? (ডেবরা হরিমতী সারস্বত বিদ্যামন্দির, উ: মা:)
উত্তর: মেঘমুক্ত রাতে পৃথিবী থেকে বিকিরিত হওয়া তাপ আবার মহাশূন্যে ফিরে যেতে পারে। কিন্তু আকাশে মেঘ থাকলে সেই মেঘে বিকরিত তাপের কিছু অংশ সেই মেঘে ধাক্কা খায় এবং তারপর আবার ভূপৃষ্ঠের দিকে ফিরে আসে অর্থাৎ মেঘাচ্ছন্ন রাত্রির সম্পূর্ণ তাপ পৃথিবী থেকে বেরিয়ে যেতে পারে না। ফলে আবহাওয়া গরম হয়। একারণেই মেঘমুক্ত রাত্রি অপেক্ষা মেঘাচ্ছন্ন রাত্রি বেশি গরম।
প্রশ্ন 4: শিলা বৃষ্টি কীভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর: প্রবল ঊর্ধ্বমুখী বায়ুর প্রভাবে কিউমুলোনিম্বাস মেঘের জলকণাগুলো আরও উপরে উঠে বরফকণায় পরিণত হয় এবং ঝড়ের প্রভাবে বরফকণাগুলো মেঘের মধ্যে বারবার ওঠানামা করতে করতে ক্রমশ বড়ো হয়। বরফের গায়ে প্রলেপ পড়ে, বরফ ক্রমশ বড়ো হয়। ঝড় থেমে গেলে তা সজোরে ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ে। এই ঘটনাকে শিলাবৃষ্টি বলে। কালবৈশাখীর সঙ্গে মাঝে মাঝে শিলাবৃষ্টি দেখা যায়।
প্রশ্ন 5: পরিচলন বৃষ্টিপাত কাকে বলে?
উত্তর: প্রখর সূর্যতাপে কোনো স্থানের জলভাগ উত্তপ্ত হলে উয় আর্দ্র বায়ু পরিচলন পদ্ধতিতে উপরে উঠে শীতল ও ঘনীভূত হয়। পরবর্তীকালে মেঘের মধ্য দিয়ে জলকণার আয়তন বড়ো হলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে ভূপৃষ্ঠে বৃষ্টির আকারে নেমে আসে। এইরূপ বৃষ্টিপাতকে পরিচলন বৃষ্টিপাত বলে।
উদাহরণ: নিরক্ষীয় অঞ্চলে প্রায় প্রতিদিন বিকালে পরিচলন বৃষ্টিপাত হয়।
প্রশ্ন 6: ‘ঘূর্ণবাতের চক্ষু’ কাকে বলে?
উত্তর: শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রের 5-20 কিমি. ব্যাসযুক্ত বৃত্তাকার অঞ্চলকে ঘূর্ণবাতের চক্ষু বলে। ঘূর্ণবাতের চক্ষুর বায়ু গতিহীন ও শান্ত নিম্নচাপ কেন্দ্ররূপে বিরাজ করে। এখানকার আকাশ মেঘমুক্ত ও বৃষ্টিহীন শান্ত পরিবেশ থাকে। টর্নেডোতে ঘূর্ণবাতের চক্ষু স্পষ্ট বোঝা যায়। উল্লেখ্য, ঘূর্ণবাতের চক্ষু-তে গভীর নিম্নচাপ বিরাজ করে।
প্রশ্ন 7: স্লিট (Sleet) কাকে বলে?
উত্তর: জলকণা ও তুষারকণার আংশিক মিশ্রিতরূপকে স্লিট বলে। নাতিশীতোয় অঞ্চলে অনেক সময় ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুমণ্ডল শীতল হলে এবং তারই মধ্যে দিয়ে বৃষ্টিপাতের কিছু অংশ হিমশীতল ও অন্যটি জলকণাগুলি বরফের স্থানে জমে ছোটো ছোটো মতো গোল গোল বরফগুটি ভূপৃষ্ঠে ঝরে পড়ে। এইরূপ অধঃক্ষেপণকে স্লিট বলে।
প্রশ্ন 8: শরৎকালে পশ্চিমবঙ্গের আকাশে তুমি দেখতে পাও এমন দুটি মেঘের নাম লেখো এবং তাদের বৈশিষ্ট্য লেখো। (পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের শরৎকালে আকাশে দেখতে পাওয়া যায় এমন দুটি মেঘ হল-(1) কিউমুলাস ও (2) সিরোকিউমুলাস।
(1) কিউমুলাস মেঘের বৈশিষ্ট্য: (i) এই মেঘের উল্লম্ব বিস্তার যথেষ্ট বেশি, (ii) এই মেঘের নিম্নাংশের রং কালো এবং উপরিভাগের রং সাদা, (iii) এই মেঘের উপরিতল ফুলকপির মতো এবং তলদেশ সমতল।
(2) সিরোকিউমুলাস মেঘের বৈশিষ্ট্য: (i) এই মেঘ পেঁজা তুলোর মতো সাদা রঙের, (ii) ম্যাকারেল মাছের পিঠের মতো দেখতে হয়, (iii) পরিষ্কার আবহাওয়া নির্দেশ করে।
প্রশ্ন 9: ম্যাকারেল আকাশ কাকে বলে?
উত্তর: সিরোকিউমুলাস মেঘে আকাশ ছেয়ে গেলে, তাকে ম্যাকারেল আকাশ বলে। পেঁজা তুলোর মতো সিরোকিউমুলাস মেঘে আকাশ ঢাকা থাকলে, আকাশকে অনেকটা ম্যাকারেল মাছের পিঠের মতো দেখতে লাগে। সেজন্য একে ম্যাকারেল আকাশ বলে। অতি সূক্ষ্ম তুষারকণা দিয়ে গঠিত সাদা রঙের এই মেঘ পরিষ্কার আকাশ নির্দেশ করে।
প্রশ্ন 10: বাম্পি ক্লাউড (Bumpy Cloud) কাকে বলে?
উত্তর: ‘Bump’ মানে ‘লাফানো’। স্ট্র্যাটোকিউমুলাস মেঘ অনেকটা স্তূপের মতো স্তরে স্তরে সাজানো থাকে। অনেক সময় দেখে মনে হয় স্তরগুলো যেন গড়িয়ে গড়িয়ে বা লাফিয়ে লাফিয়ে এগিয়ে চলেছে। তাই এই মেঘের অপর নাম ‘বাম্পি ক্লাউড’। সাধারণত এই মেঘে বৃষ্টিপাত হয় না, পরিষ্কার আবহাওয়া নির্দেশ করে। এটি নিম্ন উচ্চতার মেঘ।
প্রশ্ন 11: বজ্রমেঘ (Thunder Cloud) কাকে বলে?
উত্তর: কিউমুলোনিম্বাস মেঘের অপর নাম বজ্রমেঘ। ধূসর-কালো রঙের এই মেঘ থেকে বজ্রপাত সহ ব্যাপক ঝড় বৃষ্টি হয়। তাই এর অপর নাম বজ্রমেঘ। অনেক সময় এই মেঘ থেকে শিলাবৃষ্টিও হয়। কালবৈশাখীর সময় ভারতের উত্তর-পশ্চিম আকাশে এই মেঘ দেখা যায়।
প্রশ্ন 12: সম্পৃক্ত বায়ু কাকে বলে?
উত্তর: কোনো নির্দিষ্ট উন্নতায় নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ু যতটা পরিমাণ জলীয় বাষ্প ধারণ বা গ্রহণ করতে পারে, যদি ঠিক সেই পরিমাণ জলীয় বাষ্প সেই বায়ুতে থাকে তবে সেই বায়ুকে সম্পৃক্ত বায়ু বলে। এই বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকে 100%। সম্পৃক্ত বায়ুর উন্নতা হ্রাস পেলে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত জলীয় বাষ্পের ঘনীভবনে শিশির, কুয়াশা, বৃষ্টিপাত সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন 13: শিশিরাঙ্ক কাকে বলে?
উত্তর: যে নির্দিষ্ট উয়তায় বায়ু সম্পৃক্ত হয় অর্থাৎ আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ 100% হয়, এবং আর্দ্র বায়ুর জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হরে। জলকণায় পরিণত হয়, তাকে শিশিরাঙ্ক বলে।
প্রশ্ন 14: ঘনীভবন বলতে কী বোঝো?
উত্তর: যে প্রক্রিয়ায় জলীয় বাষ্প শীতল হয়ে জলকণায় বা তুষার কণায় পরিণত হয়, তাকে ঘনীভবন বলে। ঘনীভবন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জলীয় বাষ্প থেকে মেঘের সৃষ্টি হয়।
• প্রক্রিয়া: আপেক্ষিক আর্দ্রতা 100% হওয়ার পরও উয়তা আরও হ্রাস পেলে সম্পৃক্ত বায়ু ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প বায়ুতে ভাসমান ধূলিকণাকে কেন্দ্র করে জলকণা বা তুষারকণায় পরিণত হয়।
প্রশ্ন 15: অধঃক্ষেপণ কাকে বলে?’
উত্তর: পৃথিবীর অভিকর্ষের টানে বায়ুমণ্ডল থেকে জলকণা বা তুষার কণা ভূপৃষ্ঠে নেমে এলে তাকে অধঃক্ষেপণ বলে। অধঃক্ষেপণের দুইটি রূপ। যথা- (ক) কঠিনরূপে, যেমন-শিলাবৃষ্টি, তুষারপাত, স্লিট বা বরফপাত এবং (খ) তরলরূপে, যেমন- বৃষ্টিপাত।
প্রশ্ন 16: ভেবে বলোতো শিশির আর কুয়াশা অধঃক্ষেপণ নয় কেন?
উত্তর: ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুতে উপস্থিত জলীয় বাষ্প শীতল ও ঘনীভূত হয়ে শিশির ও কুয়াশা সৃষ্টি হয়। শিশির জলবিন্দু আকারে ঘাস, লতা, পাতার উপর জমা হয়। কুয়াশা নিম্ন বায়ুমণ্ডলে ধোঁয়ার মতো বাতাসে ভেসে বেড়ায়।
কিন্তু শিশির ও কুয়াশা ঊর্ধ্বাকাশে মেঘের মধ্যে সৃষ্টি হয় না এবং মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে মেঘ থেকে ঝরে পড়ে না। তাই শিশির ও কুয়াশা অধঃক্ষেপণ নয় শুধুমাত্র ঘনীভবনের ফল।
প্রশ্ন 17: শরৎকালে পশ্চিমবঙ্গে কোন্ ঘূর্ণিঝড় হয়?
উত্তর: শরৎকালে পশ্চিমবঙ্গে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় হয়। ভারত মহাসাগর, আরব সাগর, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় সাইক্লোন নামে পরিচিত। আশ্বিন মাসে এই ঘূর্ণিঝড় দেখা যায় বলে একে ‘আশ্বিনের ঝড়’ বলে। উদাহরণ: ফাইলিন (2013 খ্রি.), গজ (2018)।
প্রশ্ন 18: তোমার অঞ্চলে কোন্ ঋতুতে কী ধরনের বৃষ্টিপাত হয়, সেগুলো সম্বন্ধে লেখো।
উত্তর: আমি পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় সমভূমি/রাঢ় সমভূমি/মালভূমি অঞ্চলে বসবাস করি। আমাদের এখানে-
(i) গ্রীষ্মকালে, এপ্রিল-মে মাসে প্রচণ্ড উত্তাপের কারণে ছোটোনাগপুর মালভূমি অঞ্চলে স্থানীয় নিম্নচাপকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণবাতজনিত বৃষ্টিপাত কালবৈশাখী হয়। দমকা হাওয়া, বজ্রবিদ্যুৎসহ কিছু সময়ের জন্য প্রবল বৃষ্টির সাথে মাঝেমধ্যে মাঝেমধ্যে শিলাবৃষ্টি হয়।
(ii) বর্ষাকালে উত্তরের পর্বত ও পর্বতের পাদদেশীয় তরাই-ডুয়ার্স অঞ্চলে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত হয়।
(iii) শরৎ ও হেমন্তকালে আশ্বিনের ঝড় নামে ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতজনিত বৃষ্টিপাত হয়।
(iv) শীতকাল পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবে 2-4 দিন ঝিরঝিরে অল্প বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়া প্রবাহিত হয়।
প্রশ্ন 19: আমাদের দেশে বর্ষাকালে সাধারণত কোন্ ধরনের বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে?
উত্তর: আমাদের দেশে বর্ষাকালে তিন ধরনের বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে, যেমন-
(i) বর্ষাকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর বঙ্গোপসাগরীয় শাখা উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও পূর্ব ভারতের পার্বত্য অঞ্চল এবং আরব সাগরীয় শাখা পশ্চিমঘাট পর্বতমালার পশ্চিম ঢালে বাধা পেয়ে প্রচুর পরিমাণে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটায়।
(ii) বর্ষার শুরুতে উপকূলীয় অঞ্চল ও গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের (Depression) মাধ্যমে ঘূর্ণিবৃষ্টি বৃষ্টিপাত হয়।
(iii) আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, লাক্ষা দ্বীপপুঞ্জ ও সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে পরিচলন বৃষ্টিপাত হয়।
প্রশ্ন 20: শীতকালে ভোরবেলায় ঘাসের ওপর দিয়ে খালি পায়ে হাঁটলে পা ভিজে যায় কেন?
উত্তর: দিনের দৈর্ঘ্যের তুলনায় রাত্রির দৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় ভূপৃষ্ঠ দ্রুত তাপ বিকিরণ করে শীতল হয়ে পড়ে। ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন জলীয় বাষ্প শীতল ও ঘনীভূত হয়ে সৃষ্ট ছোটো ছোটো জলবিন্দু ঘাস, গাছের লতাপাতা প্রভৃতির উপর শিশির রূপে সঞ্চিত হয়। সেজন্য শীতকালে ভোরবেলায় ঘাসের ওপর দিয়ে খালি পায়ে হাঁটলে শিশিরের জন্য পা ভিজে যায়।
প্রশ্ন 21: শুষ্ক অঞ্চলে শিশির কম পড়ে কেন?
উত্তর: শিশির হল ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুতে উপস্থিত জলীয় বাষ্পের ঘনীভবনের ফলে জলকণায় পরিণত হওয়ার একটি বিশেষ রূপ। শুষ্ক বা প্রায় শুষ্ক অঞ্চলের বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ খুবই কম। সেখানে শীতল হয়ে ঘনীভূত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জলীয় বাষ্পের অভাবে শিশির কম পড়ে। উদাহরণ: রাজস্থানের জয়সলমীরে শিশির পড়ে না বললেই চলে।
প্রশ্ন 22: সাধারণত শীতকালে জলাশয়ের ওপর কুয়াশা বেশি দেখা যায় কেন?
উত্তর: জলাশয়ের উপরিভাগে তুলনামূলকভাবে জলীয় বাষ্প বেশি থাকে। এছাড়া শীতকালে বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রাও অনেক কম হওয়ায় জলকণা শীতল ও ঘনীভূত হয়ে জলাশয়ের ওপর বেশি কুয়াশা সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন 23: এমন কিছু দেশের নাম করা যেখানে প্রায় সারাবছর পরিচলন বৃষ্টিপাত হয়?
উত্তর: কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, জাইরে, গ্যাবন, ক্যামেরুন, অ্যাঙ্গোলা, ব্রাজিল, পেরু, বলিভিয়া, ইকুয়েডর, কলম্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, জাভা, সুমাত্রা প্রভৃতি দেশে প্রায় সারাবছর পরিচলন বৃষ্টিপাত হয়।
প্রশ্ন 24: পরিচলন বৃষ্টিপাতে কোন্ পদ্ধতিতে বায়ু উত্তপ্ত হয়?
উত্তর: পরিচলন বৃষ্টিপাতে পরিচলন পদ্ধতিতে বায়ু উত্তপ্ত হয় এবং উপরের দিকে উঠে যায়। ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন উয় আর্দ্র বায়ু হালকা হয়ে উপরে ওঠে বায়ুর চাপ হ্রাস করে। তখন চাপের সমতার জন্য পাশের উচ্চচাপযুক্ত অঞ্চলের বায়ু ছুটে আসে এবং উত্তপ্ত হয়ে উপরে উঠে যায়। এইভাবে চক্রাকার পদ্ধতিতে বারবার উদ্বু-আর্দ্র বায়ুর ঊর্ধ্বগমন ঘটে। উত্থিত জলীয় বাষ্প ঊর্ধ্বাকাশে শীতল বায়ুর সংস্পর্শে ঘনীভূত হয়ে পরিচলন বৃষ্টিপাত ঘটায়।
ভুল সংশোধন করো লেখো।
1. হেমন্তকালে কুয়াশা অধিক দেখা যায়।
উত্তর: শীতকালে কুয়াশা অধিক দেখা যায়।
2. জলকণা ও তুষারকণার আংশিক মিশ্রিত রূপ হল তুহিন।
উত্তর: জলকণা ও তুষারকণার আংশিক মিশ্রিত রূপ হল স্লিট।
3. যে মেঘ পাতলা দুধ সাদা চাদরের মতো আকাশকে ঢেকে রাখে, তাকে কিউমুলোনিম্বাস মেঘ বলে।
উত্তর: যে মেঘ পাতলা দুধ সাদা চাদরের মতো আকাশকে ঢেকে রাখে, তাকে সিরোস্ট্যাটাস মেঘ বলে।
4. পশ্চিমবঙ্গে 2009 খ্রি. ফাইলিন ঝড়ের আগমন ঘটে।
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গে 2009 খ্রি. আয়লা ঝড়ের আগমন ঘটে।
5. পৃথিবীর নিম্ন অক্ষাংশের দেশগুলিতে প্রায়ই তুষারপাত হয়।
উত্তর: পৃথিবীর উচ্চ অক্ষাংশের দেশগুলিতে প্রায়ই তুষারপাত হয়।
1. আমাকে সবাই 4 O’clock Rain বলেও ডাকে। আমি কে?
উত্তর: পরিচলন বৃষ্টি।
2. আমি পৃথিবীর সবচেয়ে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়। আমি কে?
উত্তর: টর্নেডো।
3. আমি পর্বতগাত্রের এমন এক ঢাল, যেখানে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি সংঘটিত হয়। আমি কে?
উত্তর: প্রতিবাত ঢাল।
4. আমার প্রভাবেই জলের রূপান্তর ঘটে। আমি কে?
উত্তর: উয়তা।
• বেমানান শব্দটি চিহ্নিত করো:
1. অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি
উত্তর: দিল্লি।
2. উইলি উইলি, সাইক্লোন, টাইফুন, টর্নেডো
উত্তর: উইলি উইলি।
3. সিরাস, সিরোস্ট্যাটাস, সিরোকিউমুলাস, অল্টো কিউমুলাস
উত্তর: অল্টো কিউমুলাস।
4. শিলাবৃষ্টি, তুষারপাত, স্লিট, শিশির
উত্তর: শিশির।
5. শিশির, তুহিন, শিলাবৃষ্টি, কুয়াশা
উত্তর: শিলাবৃষ্টি।
Long Question Answer
প্রশ্ন 1: নিরক্ষীয় অঞ্চলে চিরহরিৎ গাছের অরণ্য সৃষ্টি হয়েছে কেন?
উত্তর: নিরক্ষরেখার উভয়দিকে 5°-10° অক্ষরেখার মধ্যবর্তী অঞ্চলে রোজউড, আয়রন উড, ব্রাজিল নাট, আবলুস, মেহগনি, রবার, পামজাতীয় বৃক্ষ, বাঁশ, বেত প্রভৃতি উদ্ভিদের অতি ঘন চিরহরিৎ অরণ্য বা বনভূমির সৃষ্টি করেছে। এর কারণগুলি হল-
(i) এই অঞ্চলে সূর্যরশ্মি সারাবছর লম্বভাবে কিরণ দেয়। বার্ষিক গড় উন্নতা 27°C হওয়ায় গাছগুলি বেড়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত সূর্যকিরণের অভাব হয় না।
(ii) এখানে প্রতিদিন বিকালে প্রচুর পরিমাণে পরিচলন বৃষ্টিপাত হয় এবং বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হয়, ফলে বৃক্ষগুলি পর্যাপ্ত জল পায়।
(iii) সারাবছর প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত এবং বনভূমির তলদেশ সারা বছরই ভিজে, স্যাঁতসেতে থাকে। ফলে নিরক্ষীয় অঞ্চলে বাষ্পমোচনের পরিমাণ অনেক বেশি। এখানকার স্বাভাবিক উদ্ভিদের সারাবছর জলের অভাব না থাকায় উদ্ভিদের সব পাতাগুলি একসাথে ঝরে পড়ে না। এইজন্য নিরক্ষীয় অঞ্চলে উদ্ভিদগুলি চিরসবুজ থাকায় চিরহরিৎ অরণ্যের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রশ্ন 2: চেরাপুঞ্জি ও শিলং-এর মধ্যে দূরত্ব এত কম হওয়া সত্ত্বেও দুটো জায়গার মধ্যে বৃষ্টিপাতের পরিমাণগত তারতম্য হয় কেন?
উত্তর: মেঘালয় মালভূমির অন্তর্গত খাসি পাহাড়ের প্রতিবাত ঢালে চেরাপুঞ্জি এবং অনুবাত ঢাল বা বৃষ্টিচ্ছায়া অঞ্চলে শিলং অবস্থান করছে। শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত প্রক্রিয়ার কারণে এই দুই স্থানের মধ্যে বৃষ্টিপাতের পরিমাণগত তারতম্য লক্ষ করা যায়। দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর বঙ্গোপসাগরীয় শাখা উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসি বা শিলং পাহাড়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে পর্বতের দক্ষিণ ঢাল বেয়ে (প্রতিবাত ঢাল) উপরে উঠে শীতল ও ঘনীভূত হয়ে চেরাপুঞ্জিতে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত। এখানে গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় 1178 সেমি. ঘটানোর পর ওই বায়ু যখন খাসি পাহাড়ের উত্তর ঢালে (অনুবাত ঢাল) অবস্থিত শিলং-এ পৌঁছায়, তখন ওই বায়ুর মধ্যে তেমন জলীয় বাষ্প থাকে না। ফলে শিলং-এ বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুব কমে যায়।
প্রশ্ন 3: মৌসুমি বায়ুর কোন্ শাখার প্রভাবে চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত হয় এবং কেন?
উত্তর: দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর বঙ্গোপসাগরীয় শাখা চেরাপুঞ্চি সহ সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতে বৃষ্টিপাত ঘটায়।
• কারণ: মে ও জুন মাসে মধ্য ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়। জলভাগের উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে ধাবিত হলে দঃপঃ মৌসুমি বায়ুর বঙ্গোপসাগরীয় শাখা যা উত্তর-পূর্ব ভারতের পাহাড়ি অঞ্চলের (গারো, খাসিয়া, জয়ন্তিয়া) দক্ষিণ ঢালে বাধা পেয়ে চেরাপুঞ্জি সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত (বার্ষিক গড় 1178 সেমি.) ঘটায়।
প্রশ্ন 4: মুম্বাইয়ের তুলনায় পুনেতে বৃষ্টিপাত কম হয় কেন?
উত্তর: মুম্বাই আরব সাগরের উপকূলে পশ্চিমঘাট পর্বতমালার পশ্চিম ঢালে তথা প্রতিবাত ঢালে এবং পুনে পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্ব দিকে তথা অনুবাত ঢালে বা বৃষ্টিচ্ছায়া অঞ্চলে অবস্থিত। মুম্বাইয়ে বেশি ও পুনেতে কম বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণগুলি হল-
(i) দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আরবসাগরীয় শাখা ভারতের পশ্চিমঘাট পর্বতমালার পশ্চিম ঢালে বাধা পেয়ে পশ্চিম উপকূলে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত (বার্ষিক গড় 350-500 সেমি.) ঘটায়। মুম্বাই পশ্চিমঘাট পর্বতমালার প্রতিবাত ঢালে অবস্থিত হওয়ায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি।
(ii) অন্যদিকে এই বায়ু পশ্চিমঘাট পর্বতমালা অতিক্রম করে যখন পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্বদিকে মহারাষ্ট্রের পুনে শহরে পৌঁছায়, যা অনুবাত ঢালে বা বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় জলীয় বাষ্পের অভাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুব কম (বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত 60-65 সেমি.) হয়।
প্রশ্ন 5: কুয়াশার কারণে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কী সমস্যার সৃষ্টি হয় বা হতে পারে ক্লাসে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করো।
উত্তর: কুয়াশা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানান বাধার সৃষ্টি করে, যেমন-
(i) ঘন কুয়াশার কারণে আমরা সামনের জিনিসকে দেখতে পাই না অর্থাৎ বস্তুর দৃশ্যমানতা হ্রাস পায়। ফলে সড়কপথে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
(ii) বিমান উঠতে বা নামতে অসুবিধা হয়।
(iii) পাহাড়-পর্বতে উঠতে-নামতে বাধার সৃষ্টি হয়।
(iv) কৃষিক্ষেত্রে রোগ সৃষ্টিকারী পোকার আক্রমণ বেড়ে যায়। (v) সূর্য কিরণ ভূপৃষ্ঠে দেরিতে প্রবেশ করে, ফলে কম তাপমাত্রার কারণে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
(vi) শিল্পাঞ্চলে ধোঁয়া ও কুয়াশা একসঙ্গে মিশে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে। অনেক সময় শ্বাসকষ্ট ঘটায় ও পোশাক ভিজে যায়।
প্রশ্ন 6: বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বিভিন্ন জায়গায় আলাদা হয় কেন?
উত্তর: পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে জলভাগের পরিমাণ (যা জলীয় বাষ্পের জোগান দেয়), সূর্যরশ্মির পতন কোণ (যা বাষ্পীভবনকে নিয়ন্ত্রণ করে), বায়ুস্থিত ধূলিকণা (যা জলীয় বাষ্প ধারণের পরিবেশ তৈরি করে) প্রভৃতি আলাদা আলাদা। সেজন্য বিভিন্ন স্থানের বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন হয়। তার কারণগুলি হল-
(i) সূর্যরশ্মির পতনকোণ: সূর্যরশ্মি পতনকোণের হ্রাস বৃদ্ধি জলীয় বাষ্পের জোগানে বাষ্পীভবন বাড়ে এবং হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে।
(ii) জলভাগের বিস্তার ও বায়ুর উয়তা: জলভাগের বিস্তার ও বায়ুমণ্ডলীয় উন্নতা যত বেশি হবে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ তত বেশি হবে।
(iii) বনভূমির উপস্থিতিঃ স্বাভাবিক উদ্ভিদ বৃদ্ধিতে অধিক প্রস্বেদ্বনের কারণে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ তত বৃদ্ধি পাবে। নিরক্ষীয় বৃষ্টি অরণ্যাঞ্চলের বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে।
(iv) সমুদ্রস্রোত: মহাসমুদ্রের মধ্যে যেখানে উয় স্রোতের বাহিত জলীয় বাষ্প ও শীতল স্রোতের সংস্পর্শে শীতল ও ঘনীভূত হয়ে বায়ুতে ঘন কুয়াশা সৃষ্টি করে ও জলীয় বাষ্পের আধিক্য ঘটায়।
(v) জলভাগের বিস্তার: একই অক্ষাংশের উপর স্থলভাগ অপেক্ষা পরিমাণ বেশি থাকে।
True And False
1. অধিক উচ্চতার মেঘেদের গড় নিম্নতম উচ্চতা 20,000 ফুট বা 6.1 কিমি।
উত্তর: শুদ্ধ।
2. সিরাস হল একটি মাঝারি উচ্চতার মেঘ।
উত্তর: অশুদ্ধ।
3. স্ট্র্যাটোকিউমুলাস মেঘের স্তরগুলো গড়িয়ে চলে।
উত্তর: শুদ্ধ।
4. কিউমুলোনিম্বাস মেঘ থেকে শিলাবৃষ্টি হয় না।
উত্তর: অশুদ্ধ।
5. বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা 100% হলেই বায়ু সম্পৃক্ত হয়।
উত্তর: শুদ্ধ।
6. সবচেয়ে পরিচিত অধঃক্ষেপণ হল তুহিন।
উত্তর: অশুদ্ধ।
7. মেঘাচ্ছন্ন রাত্রিতে শিশির অধিক সৃষ্টি হয়।
উত্তর: অশুদ্ধ।
৪. সাধারণত কিউমুলোনিম্বাস মেঘ থেকে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত হয়।
উত্তর: অশুদ্ধ।
9. শিলং খাসি পাহাড়ের অনুবাত ঢালে অবস্থিত।
উত্তর: শুদ্ধ।
10. বনভূমির বৃক্ষরাজির প্রস্বেদনের জলও মেঘ সৃষ্টিতে সাহায্য করে।
উত্তর: শুদ্ধ।
Fil in the blanks
1. বায়ুর উন্নতার সাথে জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতার সম্পর্ক ।
উত্তর: সমানুপাতিক।
2. বনভূমিতে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জলীয় বাষ্প বাতাসে যুক্ত হয়।
উত্তর: প্রস্বেদন।
3. জলীয় বাষ্পের জলকণায় পরিণত হওয়াকে প্রক্রিয়া বলে।
উত্তর: ঘনীভবন।
4. ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত পূর্ব চিন সাগরে নামে পরিচিত।
উত্তর: টাইফুন।
5. পর্বতের ঢালে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল দেখা যায়।
উত্তর: অনুবাত।
6. আমফান/উম্পুন ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করেছিল ।
উত্তর: থাইল্যান্ড।
7. সমবর্ষণরেখা মানচিত্রের দিক বরাবর বিস্তৃত।
উত্তর: পূর্ব-পশ্চিম।
৪. শিল্পনগরীতে ভোরবেলা সৃষ্টি হয়।
উত্তর: ধোঁয়াশা।
9. আকারহীন একটানা বৃষ্টিযুক্ত মেঘকে বলে।
উত্তর: নিম্নোস্ট্যাটাস।
10. সাধারণত মেঘের জলকণাগুলির ব্যাস হয় মোটামুটি মিমি।
উত্তর: 0.02।