Class 8 Chapter 6 Solution
জলবায়ু অঞ্চল
MCQ
1. নিরক্ষীয় জলবায়ুতে সৃষ্টি হয়েছে-
(a) চিরহরিৎ বনভূমি
(b) ক্রান্তীয় তৃণভূমি
(c) নাতিশীতোয় তৃণভূমি
(d) ক্রান্তীয় পর্ণমোচী বনভূমি
উত্তর: (a) চিরহরিৎ বনভূমি।
2. জীববৈচিত্র্য সবচেয়ে বেশি দেখা যায়
(a) উষু মরু জলবায়ু অঞ্চলে
(b) শীতল মরু জলবায়ু অঞ্চলে
(c) পার্বত্য হিমশীতল জলবায়ু অঞ্চলে
(d) নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে
উত্তর : (d) নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে।
3. ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ বলা হয় – –
(a) সেলভাকে
(b) তৈগাকে
(c) ম্যানগ্রোভকে
(d) ম্যালিকে
উত্তর: (a) সেলভাকে।
4. ক্রান্তীয় অঞ্চলের তৃণভূমিকে বলা হয়-
(a) সেলভা
(b) প্রেইরি
(c) সাভানা
(d) স্তেপ
উত্তর: (c) সাভানা।
5. মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে বর্ষাকালের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল-
(a) কালবৈশাখী
(b) মৌসুমি বিস্ফোরণ
(c) শিলাবৃষ্টি
(d) ঘূর্ণবৃষ্টি
উত্তর: (b) মৌসুমি বিস্ফোরণ।
6. ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর প্রধান ঋতু হল –
(a) 2
(b) 4
(c) 6
(d) 8
উত্তর: (b) 4টি।
7. অস্ট্রেলিয়ার ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়কে বলা হয় –
(a) ব্যাগুই
(b) উইলি উইলি
(c) হারিকেন
(d) টর্নেডো।
উত্তর: (b) উইলি উইলি।
৪ . রোজমেরি, ল্যাভেন্ডার হল-
(a) চিরসবুজ জাতীয় উদ্ভিদ
(b) পর্ণমোচী জাতীয় উদ্ভিদ
(c) সরলবর্গীয় জাতীয় উদ্ভিদ
(d) গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ
উত্তর: (d) গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ।
9. তুন্দ্রা জলবায়ু দেখা যায়-
(a) মেক্সিকোতে
(b) আলাস্কায়
(c) নিউজিল্যান্ড
(d) গ্রিসে
উত্তর: (b) আলাস্কায়
10. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের একটি শহর হল-
(a) রোম
(b) মুম্বাই
(c) সাংহাই
(d) হ্যামারফেস্ট
উত্তর: (a) রোম।
11. বহির্বিশ্বে রপ্তানি করা তুন্দ্রা অঞ্চল থেকে প্রধান সম্পদ হল-
(a) সিল
(b) তিমি
(c) পশুর লোম
(d) মাংস।
উত্তর: (c) পশুর লোম।
12. (a) ইগলু
(b) টিউপিক
(c) ইয়াকুত
(d) হাউজিং-কোনো বাসস্থান নয়।
উত্তর: (c) ইয়াকুত।
13. গ্রীষ্মকালে বৃষ্টিপাত হয় না- (চুঁচুড়া দেশবন্ধু মেমোরিয়াল হাইস্কুল)
(a) কলকাতাতে
(b) ক্যালিফোর্নিয়ায়
(c) ব্যাংককে
(d) মুম্বাইতে
উত্তর: (b) ক্যালিফোর্নিয়ায়
Very Short Question Answer
1. দুটি জলবায়ু অঞ্চল যেখানে পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হয়, সেই অঞ্চলকে কী বলে?
উত্তর: পরিবর্তনশীল অঞ্চল।
2. কঙ্গো বা জাইরে অববাহিকায় কোন্ জলবায়ু অঞ্চলে দেখা যায়?
উত্তর: নিরক্ষীয় জলবায়ু।
3. গিনি উপকূলে প্রধানত কী চাষ হয়?
উত্তর: কোকো ও পাম।
4. মৌসুমি জলবায়ুর উপকূলবর্তী অঞ্চলে কী জাতীয় উদ্ভিদ জন্মায়?
উত্তর: ম্যানগ্রোভ।
5. পৃথিবীর মোট ক-টি দেশে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর প্রভাব সর্বাধিক?
উত্তর: 19টি দেশে।
6. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর গ্রীষ্মকালীন উদ্বুতা কত?
উত্তর: 21°-27° সে.।
7. চলচ্চিত্র শিল্পের বিশ্ববিখ্যাত জায়গাটির নাম কী?
উত্তর: ক্যালিফোর্নিয়ার হলিউড।
৪. উত্তর গোলার্ধের শীতলতম স্থানটির নাম কী?
উত্তর: ভারখয়ানস্ক।
9. এস্কিমোদের শীতকালীন বসবাসের ঘরটির নাম কী?
উত্তর: ইগলু।
10. সাইবেরিয়ার আদিম অধিবাসীদের নাম লেখো।
উত্তর: স্যামোয়েদ।
11. অরণ্যের উপর চাঁদোয়া কোন্ জলবায়ু অঞ্চলে দেখা যায়?
উত্তর: নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চল।
12. রোজউড: রোজমেরি আয়রন উড: রবার।
উত্তর : রোজমেরি।
13. বানজারা: ল্যাপ ফিন স্যামোয়েদ।
উত্তর: বানজারা।
14. পাইন: আম: ফার: বার্চ।
উত্তর: আম।
15. ফ্রান্স: স্পেন: চিলি: গ্রিস।
উত্তর: চিলি।
Short Question Answer
প্রশ্ন-1: জলবায়ুর প্রধান উপাদান ও নিয়ন্ত্রকগুলির নাম লেখো।
উত্তর: জলবায়ুর প্রধান উপাদানগুলি হলো-উদ্বুতা, আর্দ্রতা, মেঘাচ্ছন্নতা, বায়ুচাপ, বায়ুপ্রবাহ ও অধঃক্ষেপণ।
জলবায়ুর প্রধান নিয়ন্ত্রকগুলি হল-অক্ষাংশগত অবস্থান, দিনরাত্রির দৈর্ঘ্য, ভূমির উচ্চতা, সমুদ্র থেকে দূরত্ব, পর্বতের অবস্থান, বায়ুপ্রবাহ, মেঘের আবরণ, ভূমির ঢাল, সমুদ্রস্রোত, শিলা ও মৃত্তিকা প্রভৃতি।
প্রশ্ন-2: নিরক্ষীয় অঞ্চলের রাত্রি কী নামে পরিচিত ও কেন?
উত্তর: নিরক্ষীয় অঞ্চলের রাত্রি ‘ক্রান্তীয় শীতকাল’ নামে পরিচিত। নিরক্ষীয় অঞ্চলে প্রতিদিন বিকালে বৃষ্টির পর উদ্বুতা হ্রাস পেয়ে 29°-34° সে. হয় এবং রাত্রিবেলায় 20°-25° সে. হয়ে যায়। ফলে উন্নতা হ্রাস পায় এবং রাত্রে ঠান্ডার অনুভব ক্রান্তীয় অঞ্চলে শীতকালের পরিবেশ গড়ে তোলে যা রাত্রি ক্রান্তীয় শীতকাল (Winter of Tropics) নামে পরিচিত। রাত্রিতে মেঘমুক্ত আকাশ ভূপৃষ্ঠ থেকে সহজেই তাপ বিকিরণে নিম্ন বায়ুমণ্ডলীয় ও ভূপৃষ্ঠের উষ্ণতা হ্রাস পায়।
প্রশ্ন-3: 4 o’ Clock Rain’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর: নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে সারা বছর দিনেরবেলায় লম্ব। প্রায় লম্বভাবে কিরণ দেয়। অধিক উন্নতা ও মহাসাগারের বিস্তৃতি প্রতিদিন জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু হালকা ও ঊর্ধ্বগামী করে। দুপুরের দিকে সৃষ্ট ঘন কিউমুলো নিম্বাস মেঘ থেকে বিকাল 3-4 টার মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল পরিচলন বৃষ্টিপাতকে 4 O’ Clock Rain বলে।
প্রশ্ন-4: ‘চির গোধূলি অঞ্চল’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর: নিরক্ষীয় অঞ্চলে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত ও অধিক উদ্বুতা চিরসবুজ অরণ্য সৃষ্টি করেছে। নিরক্ষীয় চিরহরিৎ অরণ্যের ঘনসন্নিবিষ্টভাবে অবস্থিত এবং উদ্ভিদগুলির বৃহৎ অসংখ্য শাখাপ্রশাখাগুলি ও ওপরের দিকে পরস্পর যুক্ত হয়ে চাঁদোয়া সৃষ্টি করেছে যার, মধ্যে দিয়ে অরণ্যের তলদেশে তেমন পৌঁছাতে পারে না। বৃক্ষের পাতায় প্রতিফলিত স্বল্প আলো নিরক্ষীয় চিরহরিৎ বনভূমিকে দিনেরবেলায় গোধূলির ন্যায় অন্ধকারাচ্ছন্ন করে তুলেছে। তাই একে ‘চির গোধূলি অঞ্চল’ বলে।
প্রশ্ন-5: মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলের অক্ষাংশগত অবস্থান লেখো।
উত্তর: পৃথিবীর উভয় গোলার্ধের 10°-30° অক্ষাংশের মধ্যে মহাদেশ- সমূহের পূর্বপ্রান্তে মৌসুমি জলবায়ু পরিলক্ষিত হয়। দক্ষিণ গোলার্ধে ব্রাজিলের পূর্ব উপকূল, হবে সোমালিয়া, কুইন্সল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ফ্লোরিডা, মাদাগাস্কার এই জলবায়ু অন্তর্গত। উত্তর গোলার্ধের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি হল-ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, কাম্পুচিয়া, দক্ষিণ-চিন এবং ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জের কিছু অংশ এই জলবায়ু অন্তর্গত।
প্রশ্ন-6: ‘মৌসুমি বিস্ফোরণ’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর: প্রধানত জুনের প্রথম সপ্তাহে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আরবসাগরীয় ও বঙ্গোপসাগরীয় শাখা বিপুল পরিমাণে জলীয় বাষ্প এনে যথাক্রমে পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢালে এবং উত্তর-পূর্ব হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত ঘটায়। এই ঝড়-বজ্রবিদ্যুৎসহ মুষলধারে বৃষ্টিপাত বর্ষাকালের সূচনা করে। একে মৌসুমি বিস্ফোরণ (Burst of Monsoon) বলে।
প্রশ্ন-7: ‘ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের উদ্ভিদের শ্রেণি বিভাগ করো।
উত্তর: ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চল সাধারণত তিন প্রকার স্বাভাবিক উদ্ভিদ জন্মায়। সেগুলি হল-(i) সরলবর্গীয় উদ্ভিদ: পাইন, ফার, সিডার, সাইপ্রাস প্রভৃতি। (ii) চিরহরিৎ উদ্ভিদ: কর্ক, ওক, রোজউড, কারি, ইউক্যালিপটাস, জলপাই, তুঁত প্রভৃতি। (iii) গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ: লরেল, ম্যাপল, ল্যাভেন্ডার, রোজমেরি প্রভৃতি।
প্রশ্ন-৪: তুন্দ্রা অঞ্চলের অধিবাসীদের নাম লেখো।
উত্তর: তুন্দ্রা অঞ্চলে অবস্থিত কানাডা, গ্রিনল্যান্ড ও আলাস্কার উত্তরাংশে রেড ইন্ডিয়ান এস্কিমো, ইউরোপ মহাদেশে ল্যাপ, ফিন; এশিয়া মহাদেশে ইয়াকুত, স্যামোয়েদ, চুকচি প্রভৃতি উপজাতি বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
প্রশ্ন-9: ‘সুমেরু প্রভা’ ও ‘কুমেরু প্রভা’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর : পৃথিবীর পরিক্রমণজনিত কারণে সূর্যের দক্ষিণায়নের ও উত্তরায়নের ও ফলে যথাক্রমে কুমেরু ও সুমেরু বৃত্তবেষ্টিত মেরু অঞ্চলে যখন একটানা অন্ধকার বিরাজ করে, তখন মাঝে মাঝে আকাশে ম্লান রামধনুর মতো আলোর ছটা দেখা যায়। একেউত্তর মেরুতে সুমেরু প্রভা বা উদীচ্য ঊষা (Aurora Borealis) বলে। দক্ষিণমেরুতে কুমেরু প্রভা বা অবাচী ঊষা (Aurora Australis) বলে। বায়ুমন্ডলের আয়নোস্ফিয়ার থেকে তড়িদাহত অণুর চৌম্বকীয়। বিক্ষেপের ফলে এই আলোকরশ্মির সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন-10 : জলবায়ু কীভাবে মানুষের জীবনযাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে?
উত্তর: জলবায়ু মানবজীবনকে প্রভাবিত করে। জলবায়ুর ওপর ভিত্তি করেই মানুষের খাদ্যাভ্যাস, পোশাক-পরিচ্ছদ, বাসগৃহ, অর্থনৈতিক কার্যকলাপ, ভাবনা-চিন্তা ও যাবতীয় সাংস্কৃতিক। পরিবেশ গড়ে ওঠে।
খাদ্যাভ্যাস: ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলের মানুষের প্রধান খাদ্য ধান থেকে সৃষ্ট ভাত। সেখানে নাতিশীতোষ অঞ্চলের মানুষের প্রধান খাদ্য গমজাত খাবার, অর্থাৎ রুটি। তুন্দ্রা অঞ্চলের অধিবাসীরা মাংস ও মাছকেই প্রধান খাদ্যরূপে গ্রহণ করে।
পোশাক-পরিচ্ছদ : ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর অধিবাসীরা উন্ন আর্দ্র গ্রীষ্মকালের কারণে হালকা সুতির পোশাক পরিধান করলেও শীতপ্রধান জলবায়ু অঞ্চলের মানুষেরা পশম ও ফার-এর পোশাক ব্যবহার করে।
বাসগৃহ : বৃষ্টিবহুল জলবায়ু অঞ্চল ও তুষারপাতযুক্ত শীতপ্রধান অঞ্চলে অধিবাসীরা বেশি ঢালু ছাদযুক্ত ঘরে বসবাস করলেও স্বল্প বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে সমতল ছাদযুক্ত বাসগৃহের প্রচলন বেশি দেখা যায়। আবার এস্কিমোরা বরফের তৈরি ‘ইগলু’তে বাস করে।
অর্থনৈতিক কার্যকলাপ: কোনো অঞ্চলের অধিবাসীরা অর্থনৈতিক কার্যকলাপ অর্থাৎ জীবন ও জীবিকা জলবায়ুর ওপর নির্ভর করে। নিরক্ষীয় জলবায়ু আর্দ্র অস্বস্তিকর জলবায়ু, শিল্পের প্রতিবন্ধক। এই অঞ্চলে খাদ্যসংগ্রহ ও পশুশিকার প্রাধান্য পায়। আবার মৌসুমি অঞ্চলের জলবায়ুতে কৃষি ও শিল্প প্রাধান্য পায়। অতিশীতলতার ও দীর্ঘ শীতকালের আগেই তুন্দ্রা অঞ্চলে মৎস্য ও পশুশিকার এবং খাদ্য সংগ্রহ করা হয়।
প্রশ্ন-11 নিরক্ষীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উত্তর: নিরক্ষীয় জলবায়ুর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলি হলো-(i) নিরক্ষীয় জলবায়ু উষু ও আর্দ্র প্রকৃতির। (ii) সারাবছর ধরে কমপক্ষে 250- 300 দিন বিকেলে বজ্র বৃষ্টিপাত হয়। (iii) বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 250 সেমি। (iv) সারাবছর সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পতিত হওয়ায় বার্ষিক গড় উষুতার পরিমাণ প্রায় 27° সে.। সারাবছর সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পতিত হওয়ায় দিনেরবেলায় প্রায় 30° সে. এবং রাত্রিবেলায় প্রায় 25° সে. থাকে। (v) দিন ও রাত্রির মধ্যে উষ্ণতার প্রসর মাত্র 2°-3° সে.। (vi) ঋতু পরিবর্তন দেখা যায় না। (vii) বায়ুতে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি কর অবস্থা কর্মে বাধা সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন-12: নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের বন্যপ্রাণের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
উত্তর : নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে অবস্থানের ভিত্তিতে প্রধানত 4 ধরনের জীবজন্তু দেখা যায়। যথা- (i) ভূমির উপরে ও জলে বিচরণশীল প্রাণী : বুনো শুয়োর, হাতি, গন্ডার, জেব্রা, অ্যানাকোন্ডা, ইঁদুর, কচ্ছপ, মাছ, কুমির, জলহস্তি ইত্যাদি। (ii) চাঁদোয়ার উপরের দিকে থাকে বাজপাখি। (iii) চাঁদোয়ার মধ্যে থাকে কাঠবেড়ালি, বানর, টিয়াপাখি, শিম্পাঞ্জি, গরিলা, জাগুয়ার, বেবুন, বাঁদর, ওরাং ওটাং, পুমা প্রভৃতি। (iv) চাঁদোয়ার মধ্যাঞ্চলের প্রাণী-মাছি (সিসি), শ্লথ, মশা, বাদুড়, বিষাক্ত কীটপতঙ্গ প্রভৃতি।
প্রশ্ন-13 : মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদের পরিচয় দাও।
উত্তর : মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের তারতম্যের জন্য শুষ্ক শীতকালে পাতাঝরা উদ্ভিদের গঠন ক্রান্তীয় মৌসুমি পর্ণমোচী অরণ্যের সাথে কিছু চিরহরিৎ বৃক্ষ থাকায় একে ক্রান্তীয় মিশ্র অরণ্যও বলা হয়। এই অঞ্চলে-(i) চিরহরিৎ বৃক্ষ (বার্ষিক 200 সেমি অধিক বৃষ্টিপাত) মেহগিনি, শিশু, গর্জন। (ii) আর্দ্র পর্ণমোচী অরণ্য (বার্ষিক 100- 200 সেমি বৃষ্টিপাত) শাল, সেগুন, শিমূল, পলাশ, শিরিষ, মহুয়া। | (iii) শুষ্ক পর্ণমোচী অরণ্য (বার্ষিক 50-100 সেমি বৃষ্টিপাত) আম, জাম, কাঁঠাল, বট, অশ্বত্থ। (iv) উপকূলের লবণাক্ত ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ লক্ষ করা যায়। এখানকার মূল্যবান উদ্ভিদগুলি হল-সুন্দরি, গরান, গেওয়া, হোগলা, গোলপাতা, কেওড়া, প্রভৃতি বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
প্রশ্ন-14 : ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের অধিবাসীদের কৃষিকাজ সম্বন্ধে আলোচনা করো।
উত্তর: ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের অধিবাসীদের প্রধান জীবিকা হল কৃষিকাজ। এই অঞ্চলে প্রধানত তিনপ্রকার কৃষিজ ফসল উৎপন্ন হয়। সেগুলি হল-
(i) ফল চাষ : এই অঞ্চলে ফলচাষের অনুকূল জলবায়ু বিশেষ করে শীতকালে বৃষ্টিপাত হওয়ায় ওই সময়ের নানান টক, মিষ্টি ফল যথা- আঙুর, জলপাই, লেবু, কমলালেবু, আপেল, স্ট্রবেরি, ডুমুর, আখরোট, পিচ, খোবানি, নাশপাতি চেরি, কুল, চেরি, বাতাবি লেবু প্রভৃতি ফল উৎপাদনে জন্য অঞ্চলটি বিশ্ববিখ্যাত বলে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলকে ‘পৃথিবীর ফলের ঝুড়ি’ (Fruit Basket of the World) বলা হয়।
(ii) ফসল চাষ : এখানকার প্রধান উৎপাদিত খাদ্যশস্য হল গম। এ ছাড়া ধান, ভুট্টা, যব, তামাক প্রভৃতি চাষ হয়। (iii) অন্যান্য চাষ : অন্যান্য কৃষিজাত ফসলের মধ্যে কর্ক, তুঁত গাছ (গুটিপোকা), তুলা বা কার্পাস, বাদাম (চেস্টনাট, ওয়ালনাট) প্রধান।
প্রশ্ন-15: ‘নিশীথ সূর্য’ যখন দেখা যায় তখন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের আবহাওয়া কেমন থাকে? (পর্ষদ নমুনা)
উত্তর : তুন্দ্রা অঞ্চলে ‘নিশীথ সূর্য’ দেখা যায় গ্রীষ্মকালের রাতে। এসময়ে আকাশ কুয়াশায় ঢাকা থাকে। আর 20-30 সেমি বৃষ্টি হয়। উন্নতাও বছরের অন্য সময়ের চেয়ে সামান্য বেশি হয়।
Long Question Answer
প্রশ্ন-1 : ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তর: ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল- (i) গ্রীষ্মকালে ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চল
উয়-আর্দ্র জলবায়ু এবং শীতকালে শুষ্ক ও শীতল জলবায়ু বিরাজ করে। (ii) গ্রীষ্মকাল ও শীতকালে সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী যথাক্রমে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এবং উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়। (iii) গ্রীষ্মকালে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত অধিক হয়। শীতকালের সাধারণত বৃষ্টিহীন থাকে। (iv) গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন গড় তাপমাত্রা যথাক্রমে 25° থেকে 30° সে.। (v) মৌসুমি বায়ুর আগমনের খামখেয়ালিপনা। (vi) অনিয়মিত ও অপরিমিত বৃষ্টিপাতের অসম বণ্টন পরিলক্ষিত হয়।
উষ্ণতা: ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলের উদ্বৃতা গ্রীষ্মে 27°- 32° সে. এবং শীতকালে 20°-25° সে. হয়। বার্ষিক গড় উষুতা 24° সে. হয়।
আর্দ্রতা: বার্ষিক গড় আর্দ্রতা থাকে 80-90%। বর্ষাকালে 90- 95% এবং শীতকালে 50-60% হয়।
বৃষ্টিপাত: এই অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি হয়। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 200- 300 সেমি। তবে সমুদ্র থেকে দূরত্ব, ভূপ্রকৃতির তারতম্য অনুসারে বৃষ্টিপাতের ও তারতম্য লক্ষ করা যায়। গ্রীষ্মকালে মৌসুমি বায়ু আকস্মিক ও প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত ‘মৌসুমি বিস্ফোরণ’ (Burst of Monsoon) এবং শীতকালে ভূমধ্যসাগর থেকে আগত ‘পশ্চিমি ঝঞ্ঝার’ (Western Disturbance) প্রভাবে ঝড়বৃষ্টি, তুষারপাত ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন দেখা যায়।
প্রশ্ন-2: ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের আর্থসামাজিক পরিবেশ ও মানুষের জীবনযাত্রার পরিচয় দাও। অথবা, ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক পরিবেশ বর্ণনা করো।
উত্তর: ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ লক্ষ করা যায়। যেমন-
(i) কৃষিকাজ : নাতিশীতোয় জলবায়ু, মৃদু সমভাবাপন্ন আবহাওয়া, থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত (বছরে গড়ে 25-100 সেমি), শীতকালীন নদী, অববাহিকার অঞ্চলে জুড়ে গভীর উর্বর পলি মৃত্তিকা, উন্নত জলসেচ ব্যবস্থা প্রভৃতি বিষয়গুলি কৃষিকাজের অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটিয়েছে। প্রধানত ‘বাজার বাগান চাষ’ বা ‘উদ্যান কৃষি পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করা হয়, যা বাণিজ্যিক কৃষি নামে পরিচিত। চাহিদার ভিত্তিতে সার
(ক) শাকসবজির চাষ : শীতকালীন বৃষ্টিপাত ও গ্রীষ্মকালে সেচের উপর নির্ভর করে বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজর, বিট, মুলো, বিনস, লংকা, পালংশাক, বেগুন, উচ্ছে প্রভৃতির চাষ হয়। এই চাষকে ওলেরি কালচার বলে।
(খ) ফলচাষ : শীতকালে মাঝারি বৃষ্টিপাত ও রোদ ঝলমলে পরিবেশের উপর ভিত্তি করে কমলালেবু, লেবু, ডুমুর, আখরোট, খেজুর, চেরি, স্ট্রবেরি, কুল এবং গ্রীষ্মকালে জলসেচের সাহায্যে নাসপাতি, বেদানা, পিচ, খুবানি, বাদাম প্রভৃতি বাণিজ্যিকভাবে ফল চাষ পোমামকালচার নামে পরিচিত।
(গ) ফুলচাষ : সারাবছর ফলনশীল মরশুমি ফুল, পাতাবাহারি গাছ ব্যাপক পরিমাণে বাণিজ্যিক ফুলচাষকে ফ্লোরিকালচার বলে।
(ii) খনিজ সম্পদ : এই জলবায়ু অঞ্চল খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ নয়। ক্যালিফোর্নিয়ার খনিজ তেল, স্পেনে লোহা, ফ্রান্সে বক্সাইট, ইটালিতে মার্বেল, গন্ধক, লিবিয়া ও আলজিরিয়াতে প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ
তেল পাওয়া যায়।
(ii) শিল্প : অর্থনৈতিকভাবে এই অঞ্চল ব্যাপক উন্নত। দানাশস্যের চাষ, ফলচাষ, ফুলচাষ এবং ফল ও ফুলভিত্তিক বিভিন্ন শিল্প রপ্তানি ব্যাবসাবাণিজ্য প্রধান জীবিকা।
(ক) ফলভিত্তিক শিল্প: (১) আঙুর থেকে উৎকৃষ্ট মদ, (২) জলপাই থেকে-অলিভ ওয়েল, (৩) কাচা ফল ও শুকনো ফল দিয়ে জ্যাম, জেলি, আচার তৈরি হয়।
(খ) অন্যান্য কৃষিজ সম্পদ ভিত্তিক শিল্প: (১) গম থেকে আটা, ময়দা উৎপাদন ও বেকারি শিল্প, (২) তৈলবীজ থেকে ভোজ্য তেল শিল্প, (৩) শুকনো ও কঁচা ফল প্যাকেজিং শিল্প, (৪) তুঁতগাছকে কেন্দ্র করে রেশম শিল্প।
(গ) চলচ্চিত্র শিল্প: এই অঞ্চলে প্রায় সারাবছর নির্মল মেঘমুক্ত, রৌদ্রকরোজ্জ্বল আবহাওয়ার জন্য ভিডিওগ্রাফি ফোটোগ্রাফির সুবিধার জন্য চলচ্চিত্র শিল্প গড়ে উঠেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার হলিউডে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র শিল্পকেন্দ্র গড়ে উঠেছে।
(ঘ) পর্যটন শিল্প: মোহময়ী অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য বা নৈসর্গিক শোভা, মনোরম জলবায়ু, ঐতিহ্যশীল স্থাপত্য ভাস্কর্যের উপস্থিতির জন্য পর্যটন শিল্পের অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটেছে। যেমন- প্যারিস, রোম ইত্যাদি।
প্রশ্ন-3: তুন্দ্রা অঞ্চলের আদিম অধিবাসীদের জীবনযাত্রার ওপর জলবায়ুর প্রভাব লেখো। বা তুন্দ্রা জলবায়ু অঞ্চলের আদিম অধিবাসী ও তাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।
অথবা, তুন্দ্রা অঞ্চলের অধিবাসীদের জীবনযাত্রার পরিচয় দাও। (কামরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়)
উত্তর: তুন্দ্রা অঞ্চলের আদিম অধিবাসী: অত্যন্ত প্রতিকূল জলবায়ু, কষ্টকর জীবনযাত্রা, হিমশীতল শুষ্ক পরিবেশ, প্রায় সারাবছর হিমাঙ্কের নীচে তাপমাত্রা, অসহ্য শৈত্যপ্রবাহ, সঙ্গে তুষারঝড় বা ব্লিজার্ড এর কারণে তুন্দ্রা অঞ্চল জনবিরল। একমাত্র আদিম অধিবাসীরা প্রকৃতির সঙ্গে কঠোর সংগ্রাম করে বসবাস করে। তুন্দ্রা অঞ্চলের বিভিন্ন উপজাতির শ্রেণিগুলি হল- (i) গ্রিনল্যান্ডের দক্ষিণ সমুদ্র উপকূল, কানাডা আলাস্কার উত্তরাংশে-এস্কিমো, রেড ইন্ডিয়ান, (ii) ইউরোপ মহাদেশের। ল্যাপ, ফিন। (iii) এশিয়া মহাদেশের ইয়াকুত, স্যামোয়েদ, প্রভৃতি বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
আদিম অধিবাসীদের জীবনযাত্রা প্রণালী :
(ⅰ) বাসস্থান : শীতকালে হিমশীতল ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা পেতে গােলােকার বরফের ঘর ইগল নির্মাণ করে। বড়ো বড়ো পাথর, কাঠ, ঘাসের চাপড়া, পশুর লােম, চামড়া, হাড় প্রভৃতি ঘর বানাতে ব্যবহৃত অধিবাসীদের যাযাবর জীবনযাত্রার কারণ স্বল্প স্থায়ী গ্রীষ্মকালে ও দীর্ঘস্থায়ী শীতকালে পৃথক পৃথক বাসগৃহ নির্মাণ করে। সিল মাছের চামড়ার তাবু গ্রীষ্মকালে বসবাস করে।
(ii) খাদ্য: প্রতিকূল পরিবেশে খাদ্য অনুসন্ধান বা সংগ্রহ করা অত্যন্ত কষ্টের। প্রায় সারাবছর ভূমিভাগ বরফাকৃত থাকায় চাষবাস না হওয়ায় জলজ ও স্থলজ প্রাণীর মাংসই হল অধিবাসীদের প্রধান খাদ্য। উল্লেখ্য, ‘এস্কিমো’ কথার অর্থ হল ‘কাঁচা মাংসখাদক’। শ্বেতভাল্লুক, মেরু শৃগাল, বল্লা হরিণ, সামুদ্রিক মাছ (সিল, সিন্ধুঘোটক) এরা সংগ্রহ করে। হরিণের দুধ ও বেরি ফল এদের প্রিয় খাদ্য।
(iii) পোশাক পরিচ্ছদ : প্রচণ্ড ঠান্ডা ও তীব্র তুষারঝড়ের জন্য এরা আপাদমস্তক চামড়ার তৈরি জ্যাকেট বা পরিকা বড়ো টুপি (লোম-পালক), হাতে দস্তানা, পায়ে স্কি বা গামবুট, শরীরে পশমের অন্তর্বাস পরিধান করে। পোশাক তৈরিতে ব্যবহৃত হয় জীবজন্তুর চামড়া, লোম, পালক। সেলাইয়ের জন্য সুতো হিসেবে পশুর শিরা, হাড় সূঁচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
(iv) যাতায়াত ও শিকার: (ক) গ্রীষ্মকালে জলভাগে বা সমুদ্রে শিকার করার জন্য মাছের চামড়ায় তৈরি ‘কায়াক’ নৌকা ব্যবহার করে। (খ) শীতকালে বরফাবৃত ভূমিভাগের ওপর কুকুরে বা বল্লা হরিণে টানা চাকাহীন শ্লেজগাড়ি ব্যবহার করে। (গ) সিল ও অন্যান্য প্রাণীর হাড় দিয়ে বর্শা তৈরি করে। (ঘ) জীবজন্তুর চর্বি আলো ও ঘর গরম করতে এবং শুকনো মস্ দিয়ে প্রদীপের সলতে হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
(v) জীবনযাত্রায় সাম্প্রতিক পরিবর্তন: আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞান, প্রযুক্তিবিদ্যা, সরকারি আনুকূল্য এবং খনিজ সম্পদের আবিষ্কারের ফলে তুন্দ্রাবাসীদের জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। সাইবেরীয় তুন্দ্রার অঞ্চলকে বরফমুক্ত করে অথবা গ্রিন হাউস করে, প্রযুক্তিতে চাষবাস করা হচ্ছে। বর্তমানে স্পিটস্বার্গের কয়লা, সুইডেনের কিরুনা অঞ্চলের আকরিক লোহা, ইউক্রেন ও আলাস্কার সোনা, খনিজ তেলের সন্ধান পাওয়ায় বেশ কিছু ও উত্তর আমেরিকার সাইবেরিয়ার মারনিনস্ক বন্দর থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ পর্যন্ত নির্মিত রেলপথ ও উত্তর আমেরিকার আলাস্কা হাওয়ায় তুন্দ্রা অঞ্চলকে অন্যান্য অংশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। জল ও রেলপথে বর্হিবিশ্বের সাথে যোগাযোগবৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে এই অঞ্চলের উন্নতি ও অধিবাসীরা আধুনিক জীবনযাত্রায় অভ্যস্থ হচ্ছে।
প্রশ্ন-4: দক্ষিণবঙ্গের মানুষ দক্ষিণের বারান্দা বা জানালাযুক্ত বাড়ি বেশি পছন্দ করেন কেন? (পর্ষদ নমুনা)
উত্তর: দক্ষিণবঙ্গের মানুষ দক্ষিণের বারান্দা বা জানালাযুক্ত বাড়ি বেশি পছন্দ করে। কারণ-
(i) দক্ষিণবঙ্গের অবস্থান উত্তর গোলার্ধে হওয়ায় গোলার্ধে অবস্থিত বাড়ির দক্ষিণ দিকে জানলা দিয়ে বেশি সূর্যালোক আসে। বলে ঘর প্রাকৃতিকভাবে আলোকিত হয়।
(ii) সূর্যের উত্তরায়ণের সময় দিনের বেশিরভাগ সময় ঘর আলোকিত থাকে।
(iii) আর গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ দিক থেকে আগত বায়ুপ্রবাহ দক্ষিণের জানলা দিয়ে বাতাস এখানে বেশি আসে এবং শীতকালে উত্তরের হাওয়া থেকে ক্ষা করে।
যদি ঘরে আলো-বাতাস বেশি খেলে, তবেই সেটা যথাযথভাবে বাসযোগ্য হয়। তাই দক্ষিণের বারান্দা বা জানালাযুক্ত বাড়ির কদর এখানে বেশি।
প্রশ্ন-5: শীত ও গ্রীষ্মে স্থলভাগ ও জলভাগের উদ্বুতা ও বায়ুচাপের তারতম্যের সঙ্গে মৌসুমি বায়ুর উৎপত্তির কি কোনো সম্পর্ক আছে?
উত্তর: বায়ুচাপের পার্থক্যে উদ্বৃতার প্রভাব সর্বাধিক। (i) সূর্যের বার্ষিক আপত গতি, (ii) সূর্যরশ্মির পতন কোণ ও দিবাভাগের দৈর্ঘ্য ইত্যাদি কারণে বায়ুর তাপ ও চাপ বলয়গুলির অবস্থানের পরিবর্তন ঘটে। সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়নের সময় বায়ুচাপবলয়গুলি উত্তর ও সামান্য দক্ষিণে 5°-10° সরে যায়। একে বায়ুচাপ বলয়ের সীমানা পরিবর্তন বলে।
নিম্ন অক্ষাংশের বায়ু চাপ বলয়গুলি বেশি ও উচ্চ অক্ষাংশের বায়ু চাপ বলয়গুলি কম সীমানা পরিবর্তন করে।
প্রভাব: চাপ বলয়ের স্থান পরিবর্তনের প্রভাব সর্বাধিক পরিলক্ষিত হয় 30°-40° অক্ষরেখার মধ্যবর্তী অঞ্চলে। যেমন- (i) উত্তরায়ণের সময় কর্কটীয় উচ্চচাপ বলয়টি সামান্য উত্তরে সরে যাওয়ায় 30°-40° উত্তর অক্ষাংশযুক্ত অঞ্চলে উত্তর-পূর্ব আয়ন এই আয়ন বায়ুর প্রভাবে ভূমধ্যসাগর সন্নিহিত দেশগুলিতে গ্রীষ্মকালে বৃষ্টিপাত হয় না। (ii) দক্ষিণায়নের সময় (উত্তর শীতকাল) কর্কটীয় উচ্চচাপ বলয়টি দক্ষিণে সরে যাওয়ায় ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চল আর্দ্র দক্ষিণ-পশ্চিম পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে শীতকালে বৃষ্টিপাত হয়। এছাড়া-(iii) উত্তরায়ণের সময় নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় সামান্য উত্তরে সরে যাওয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ু নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুরূপে প্রবাহিত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ঘটায়।
প্রশ্ন-6: “ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে একই অক্ষাংশে শীতকালে আর্দ্র পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি হয়। গ্রীষ্মকালে শুষ্ক আয়ন বায়ু প্রবাহিত হয় বলে বৃষ্টিপাত হয় না।” সূর্যের উত্তরায়ণ-দক্ষিণায়নের সঙ্গে চাপ বলয়ের স্থান পরিবর্তন- এর সঙ্গে ওপরের বিষয়টার কী কার্যকারণ সম্পর্ক আছে?
উত্তর: আর্দ্র শীতকাল ও শুষ্ক গ্রীষ্মকাল ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য। মোট বৃষ্টিপাতের 75%-80% শীতকালে হয়ে থাকে। এর কারণগুলি হলো-
শুষ্ক গ্রীষ্মকাল: গ্রীষ্মকালে (উত্তর গোলার্ধে) সূর্যের উত্তরায়ণের ফলে বায়ুচাপ বলয়গুলি 5°-10° উত্তরে সরে আসার ফলে কর্কটীয় উচ্চচাপ বলয়ে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান করায় ও দক্ষিণ নিরক্ষীয় বলয়ের অবস্থানে অঞ্চলটি উত্তর-পূর্ব আয়ন বায়ুর প্রভাবাধীন হয়। এই আয়ন বায়ুর প্রভাবিত মহাদেশের পূর্বদিকে বৃষ্টিপাত ঘটলে অভাবে পশ্চিম দিকে জলীয় বাষ্পের আয়ন বায়ু অধ্যুষিত ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে গ্রীষ্মকাল শুষ্ক হয়।
আর্দ্র শীতকাল: সূর্যের দক্ষিণায়নের সময় বায়ুচাপ বলয়গুলি 5°-10° দক্ষিণে সরে আসার ফলে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের উত্তরে সুমেরু বৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয় এবং দক্ষিণে কর্কটীয় উচ্চচাপ বলয় অবস্থান করে। ফলে তখন এই অঞ্চলটিতে উত্তর ও দক্ষিণে যথাক্রমে দক্ষিণ পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে পড়ে। এই পশ্চিমা বায়ু মহাসাগর থেকে জলীয় বাষ্প এনে মহাদেশের পশ্চিমে অবস্থিত ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। তা ছাড়া শীতল মেরু বায়ু ও ডর আর্দ্র পশ্চিমা বায়ুর সংঘর্ষে নাতিশীতোয় ঘূর্ণবাতের মাধ্যমেও বৃষ্টিপাত হয়। তাই শীতকালে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে অধিক বৃষ্টিপাতে আর্দ্র হয়।
প্রশ্ন-7: তোমার অঞ্চলে মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবেশ এবং জলবায়ুর কী প্রভাব আছে?
উত্তর: কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গ বা ভারত নয়, সমগ্র পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, জীবিকা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি, আচার-আচরণ, কর্মদক্ষতা প্রভৃতি সম্পূর্ণভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জলবায়ুর উপর নির্ভর করে। আমার অঞ্চলের মানুষের জীবনযাপন প্রণালীর উপর জলবায়ুর প্রভাব দারুণভাবে কার্যকরী হয়। যেমন-
(1) খাদ্য: আমার সুন্দরবন অঞ্চলের জনগণের প্রধান খাবার হল ভাত, ডাল, মুড়ি, সবজি। এই অঞ্চলে ধান জীবিকাসত্তাভিত্তিক চাষ করা হয়। স্থানীয় শাকসবজি ও স্থানীয় পুকুর, খাল, বিল, সমুদ্রের মাছ শিকার করে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।
(2) বস্ত্র: সুন্দরবন অঞ্চলটি সমুদ্র উপকূলবর্তী হওয়ায় এখানকার জলবায়ু সমভাবাপন্ন। গ্রীষ্মের সময় হালকা সুতির বস্ত্র ও শীতকালে হালকা পশমের বস্ত্র পরিধান করে।
(3) বাসস্থান: এই অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করে। ফলে গ্রামের প্রায় 80-85% বাড়ি কাঁচা অর্থাৎ মাটির দেয়াল ও খড়ের ছাউনি দেওয়া। সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বনভূ মির কাঠ বাড়িতে ব্যবহৃত যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো তাদের বাড়ি পাকা। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য বিনামূল্যে সরকারি সহযোগিতায় পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।
(4) জীবিকা: সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষদের প্রধান জীবিকা হল কৃষিকাজ ও মৎস্যশিকার। সমুদ্র ও নদীতে লবণাক্ত জল থাকায় এই অঞ্চলে একটি মাত্র ফসল বর্ষাকালে আমন ধানের চাষ হয়। বছরের চাষের সময় ব্যতীত কেউ মৎস্য শিকার ও মধু সংগ্রহ করে, ব্যাবসা করে, আবার কেউ, শহরে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের পেশা গ্রহণ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
প্রশ্ন-8 : তোমরা কোথাও বেড়াতে গেলে, সেই অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য, উচ্চতা, অবস্থানের পার্থক্যে তার বিন্যাসের পরিবর্তন লক্ষ করে অঞ্চলটার জলবায়ুর প্রকৃতি বোঝার চেষ্টা করে দেখো।
উত্তর : আমরা এবার সবাই মিলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন অঞ্চলে বেড়াতে গিয়েছিলাম। বেড়াতে গিয়ে আমি সেখানকার জলবায়ু সম্পর্কে একটি সম্যক ধারণা লাভ করেছি। যেমন-
(a) স্বাভাবিক উদ্ভিদ: সুন্দরবন অঞ্চলের লবণাক্ত মৃত্তিকায় এক ধরনের চিরসবুজ স্বাভাবিক উদ্ভিদ জন্মায়। যাকে ম্যানগে এাভ বনভূমি বলে। উদ্ভিদগুলির কান্ড খুব শক্ত এবং চিরহরিৎ উদ্ভিদ বৃক্ষগুলির শ্বাসমূল ও ঠেসমূল থাকে। আর গাছের ফলগুলি বৃক্ষের শাখায় থাকাকালীন অবস্থায় ফলের বীজের অঙ্কুরোদগম হয়। সমুদ্রের জোয়ারের লবণাক্ত জলে বৃক্ষগুলি কখনো সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ডুবে যায়, আবার ভাটার সময় সম্পূর্ণভাবে জেগে ওঠে।
(b) উচচতা: সমগ্র অঞ্চলটি সমুদ্র সমতলের প্রায় সমান অথবা কিছু স্থান মাত্র 50-100 সেমি উঁচু। সমুদ্রতীর ও নদীতীরগুলিতে উঁচু বাঁধ দিয়ে জোয়ারের জলকে কৃষিজমিতে প্লাবিত হওয়া থেকে প্রতিহত করা হয়।
(c) অবস্থান: সমগ্র সুন্দরবন অঞ্চলটি সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত এবং অসংখ্য ছোটোবড়ো নদনদী জালের মতো বিন্যস্ত আছে। ফলে অসংখ্য জনবসতিপূর্ণ দ্বীপ এই অঞ্চলটিতে লক্ষ করা যায়।
(d) জলবায়ুর প্রকৃতি: সুন্দরবন অঞ্চলটি সমুদ্র তীরবর্তী হওয়ায় জলবায়ু সামগ্রিকভাবে সমভাবাপন্ন। দিনেরবেলা সমুদ্রবায়ু ও রাত্রিবেলা স্থলবায়ুর প্রভাব অনুভব করা যায়। সমগ্র অঞ্চলটি শীতকালে খুব বেশি শীত ও গ্রীষ্মকালে খুব বেশি গরম অনুভব হয় না। এককথায় জলবায়ু নাতিশীতোয় প্রকৃতির।
ভুল সংশোধন করে লেখো:
1. পরিবর্তনশীল অঞ্চলের বিস্তার হয় প্রায় 60-90 কিমি।
উত্তর: পরিবর্তনশীল অঞ্চলের বিস্তার হয় প্রায় 80-160 কিমি।
2. মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলের দুটি বাগিচা ফসল হল রবার ও কলা।
উত্তর: নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের দুটি বাগিচা ফসল হল রবার ও কলা।
3. সুমেরু অঞ্চলের মেরুপ্রভা অরোরা অস্ট্রালিস নামে পরিচিত।
উত্তর: কুমেরু অঞ্চলের মেরুপ্রভা অরোরা অস্ট্রালিস নামে পরিচিত।
4. ফ্রান্সের মিস্ট্রাল একটি উয় স্থানীয় বায়ু।
উত্তর: ফ্রান্সের মিস্ট্রাল একটি শীতল স্থানীয় বায়ু।
5. পাইন ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের একটি প্রতিফলক বৃক্ষ।
উত্তর: জলপাই ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের একটি প্রতিফলক বৃক্ষ।
1. আমি আমাজন অববাহিকার বাসিন্দা এক বিশাল ও ভয়ঙ্কর সাপ। আমি কে?
উত্তর: অ্যানাকোন্ডা।
2. আমাকে সবাই ‘তুন্দ্রা সম্রাট’ বলে। আমি কে?
উত্তর: শ্বেত ভল্লুক।
3. আমি ইটালির রাজধানী। আমি কে?
উত্তর: রোম।
4. আমি হলাম চরম অনিশ্চিত ও অনিয়মিত এক প্রকার সাময়িক বায়ু। আমি ভারতের উপর দিয়ে প্রবাহিত হই। আমি কে?
উত্তর: মৌসুমি বায়ু।
5. আমি একপ্রকার বনভূমি। আমার উপরিভাগে চাঁদোয়া সৃষ্টি হয়, আমি কে?
উত্তর: সেলভা।
True and False
1. ভূমির উচ্চতার সঙ্গে জলবায়ু ও স্বাভাবিক উদ্ভিদের পরিবর্তন হয়।
উত্তর: শুদ্ধ।
2. আমাজন অববাহিকার ক্রান্তীয় বৃষ্টি অরণ্য সেলভা নামে পরিচিত।
উত্তর: শুদ্ধ।
3. জাইরে অববাহিকায় রেড ইন্ডিয়ানরা বসবাস করে।
উত্তর: অশুদ্ধ।
4. মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলকে ‘পৃথিবীর ফলের ঝুড়ি’ বলা হয়।
উত্তর: অশুদ্ধ।
5. নিরক্ষীয় অঞ্চলের পরিচলন বৃষ্টিপাতকে 4 o’ Clock Rain বলে।
উত্তর: শুদ্ধ।
6. আরবি শব্দ ‘মৌসিম’ শব্দের অর্থ মৌসুমি।
উত্তর: শুদ্ধ।
7. ওয়ালনাট ও চেস্টনাট মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলের বাদাম।
উত্তর: অশুদ্ধ।
৪. জাপানকে ‘নিশীথ সূর্যের দেশ’ বলা হয়।
উত্তর: অশুদ্ধ।
9. হলিউডে চলচ্চিত্র শিল্প গড়ে উঠেছে।
উত্তর: শুদ্ধ।
10. ক্রায়োলাইট খনিজ পাওয়া যায় গ্রিনল্যান্ডের আইভিগটাটে।
উত্তর: শুদ্ধ
Fil in the blanks
1. নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে সারাবছর ঋতু বিরাজ করে।
উত্তর: উদ্বু-আর্দ্র গ্রীষ্ম।
2. ব্রাজিলের নদীর অববাহিকায় সেলভা বনভূমি গড়ে উঠেছে।
উত্তর: আমাজন।
3. আমাজন নদী অববাহিকায় উপজাতির লোকেরা বসবাস করে।
উত্তর: রেড ইন্ডিয়ান।
4. পিগমি উপজাতিরা নদী অববাহিকার প্রধান অধিবাসী।
উত্তর: কঙ্গো।
5. মায়ানমারের কাঠ বিশ্ববিখ্যাত।
উত্তর: সেগুন।
6. ক্যালিফোর্নিয়ায় ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর প্রধানত উদ্ভিদ ।
উত্তর: চ্যাপারেল।
7. এশিয়ার তুরস্ক জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্গত।
উত্তর: ভূমধ্যসাগরীয়।
৪. বিশ্ববিখ্যাত সুরা শ্যাম্পেন দেশে উৎপাদিত হয়।
উত্তর: ফ্রান্স।
9. ‘পারগা’ তুষারঝড় দেখা যায় জলবায়ু অঞ্চলে।
উত্তর: তুন্দ্রা।