WBBSE Class 7 Chapter 5 History Solution | Bengali Medium

Class 7 Chapter 5 Solution

মুঘল সাম্রাজ্য

MCQs Question Answer

১.১ খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতক থেকে উনবিংশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত ভারতবর্ষ শাসন করেছিল-

(ক) পাঠানরা

খ) আফগানরা

গ মুঘলরা

ঘ তুর্কিরা

উত্তর: গ মুঘলরা।

১.২ ভারতবর্ষের প্রথম মুঘল বাদশাহ ছিলেন-

ক) আকবর

খ) বাবর

গ হুমায়ুন

ঘ) শের শাহ

উত্তর: (খ) বাবর।

১.৩ তৈমুর লঙ্ উত্তর ভারত আক্রমণ করেন-

(ক) ১৩৯৫ খ্রিস্টাব্দে

(খ) ১৩৯৬ খ্রিস্টাব্দে

(গ) ১৩৯৭ খ্রিস্টাব্দে

(ঘ) ১৩৯৮ খ্রিস্টাব্দে

উত্তর: (ঘ) ১৩৯৮ খ্রিস্টাব্দে।

১.৪ মুঘলরা সার্বভৌম শাসকের ক্ষেত্রে ব্যবহার করত-

(ক) ‘বাদশাহ’ শব্দটি

খ) ‘সুলতান’ শব্দটি

(গ) ‘রাজা’ শব্দটি

(ঘ) ‘মহারাজ’ শব্দটি।

উত্তর: (ক) ‘বাদশাহ’ শব্দটি।

১.৫ পানিপতের প্রথম যুদ্ধে বাবর পরাজিত করে-

ক) রাজপুত শক্তিকে

খ হুন শক্তিকে

(গ) আফগান শক্তিকে

(ঘ) পাঠান শক্তিকে

উত্তর: গ আফগান শক্তিকে।

১.৬ বাবর যে লড়াইকে ‘ধর্মের লড়াই’ বলেছিলেন, সেটি হল-

ক) খানুয়ার যুদ্ধ

খ ঘর্ঘরার যুদ্ধ

(গ) পানিপতের যুদ্ধ

ঘ চৌসার যুদ্ধ

উত্তর: ক খানুয়ার যুদ্ধ।

১.৭ খানুয়ার যুদ্ধে রাজপুতদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন-

(ক) রানা প্রতাপ

খ) জয় সিংহ

গ) মান সিংহ

ঘ সংগ্রাম সিংহ

উত্তর: (ঘ) সংগ্রাম সিংহ।

১.৮ ঘর্ঘরার যুদ্ধে আফগানদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন বাংলার শাসক-

ক) হোসেন শাহ

খ) নসরৎ শাহ

গ) ইলিয়াস শাহ

ঘ) মহম্মদ শাহ

উত্তর: (খ) নসরৎ শাহ।

১.৯ উত্তরসূরিদের মধ্যে অঞ্চল ভাগ করার তৈমুরীয় নীতি ভেঙেছিলেন-

(ক) বাবর

খ) হুমায়ুন

গ) শের শাহ

(ঘ) আকবর 

উত্তর: খ হুমায়ুন।

১.১০ মুঘলদের দুই প্রধান বিরোধী শক্তি ছিল-

ক) রাজপুত এবং আফগানরা

খ রাজপুত এবং শিখরা

গ) আফগান এবং তুর্কিরা

(ঘ) পাঠান এবং মোঙ্গলরা

উত্তর: (ক) রাজপুত এবং আফগানরা।

১.১১ শের শাহের মৃত্যুর পর দিল্লির সিংহাসনে বসেন-

ক) হুমায়ুন

(খ) আকবর

(গ) ইসলাম শাহ

ঘ হিমু

উত্তর: (গ) ইসলাম শাহ।

১.১২ ‘পাট্টা’ ও ‘কবুলিয়ত’ চালু করেছিলেন-

(ক) বাবর

(খ) আকবর

(গ) আলাউদ্দিন খলজি

(ঘ) শের শাহ

উত্তর: (ঘ) শের শাহ।

১.১৩ ‘দাগ’ ও ‘হুলিয়া’ ব্যবস্থা চালু রেখেছিলেন-

(ক) বাবর

খ) হুমায়ুন

(গ) শের শাহ

ঘ) আকবর (পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)

উত্তর: (গ) শের শাহ।

১.১৪ ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে পানিপতের দ্বিতীয় যুদ্ধে আকবর আফগানদের হারিয়েছিলেন-

(ক) মান সিংহের সাহায্যে

খ বৈরাম খানের সাহায্যে

গ) হিমুর সাহায্যে

(ঘ) উদয় সিংহের সাহায্যে

উত্তর: (খ) বৈরাম খানের সাহায্যে।

১.১৫ ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে হলদিঘাটের যুদ্ধে আকবর পরাজিত করেছিলেন-

(ক) সংগ্রাম সিংহকে

খ) উদয় সিংহকে

গ) মান সিংহকে

(ঘ) প্রতাপ সিংহকে

উত্তর: ঘ) প্রতাপ সিংহকে।

১.১৬ আকবর চিতোর দূর্গ জয় করেছিলেন-

(ক) ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে

(খ) ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে

(গ) ১৫৬৮ খ্রিস্টাব্দে

(ঘ) ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে

উত্তর: (গ) ১৫৬৮ খ্রিস্টাব্দে।

১.১৭ আকবরের শাসনকালে ‘ওয়াজির-ই-আজম’ বা প্রধানমন্ত্রী হন-

(ক) বীরবল

(খ) টোডরমল

গ) আবুল ফজল

ঘ) বৈরাম খান

উত্তর: (ক) বীরবল।

১.১৮ ‘আকবরনামা’র রচয়িতা হলেন-

(ক) বদাউনি

খ) আকবর

(গ) আবুল ফজল

ঘ মিনহাজ-ই-সিরাজ।

উত্তর: (গ) আবুল ফজল।

১.১৯ আবদুল কাদির বদাউনির লিখিত গ্রন্থের নাম-

ক) আকবরনামা

(খ) আইন-ই-আকবরি

গ) হুমায়ুননামা

ঘ মুন্তাখাব-উৎ-তওয়ারিখ

উত্তর: ঘ মুন্তাখাব-উৎ-তওয়ারিখ

১.২০ বাংলার ‘বারো ভূঁইয়া’ বিদ্রোহ হয়েছিল-

(ক) বাবরের আমলে

খ) হুমায়ুনের আমলে

(গ) জাহাঙ্গিরের আমলে

(ঘ) শাহজাহানের আমলে

উত্তর: জাহাঙ্গিরের আমলে।

১.২১ বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম ছিলেন-

(ক) মালিক অম্বর

(খ) ইশা খান

(গ) তাহমস্প

(ঘ) আদিল শাহ

উত্তর: খ) ইশা খান।

১.২২ নূরজাহান চক্রের সদস্য ছিলেন-

(ক) আদিল শাহ

খ) শের শাহ

(গ) শাহজাদা খুররম

(ঘ) ঔরঙ্গজেব

উত্তর: গ শাহজাদা খুররম।

১.২৩ খান জাহান লোদি বিদ্রোহ করেছিলেন-

ক) হুমায়ুনের সময়

(খ) আকবরের সময়

(গ) জাহাঙ্গিরের সময়

(ঘ) শাহজাহানের সময়

উত্তর: (ঘ) শাহজাহানের সময়।

১.২৪ মধ্য এশিয়ায় মুঘলদের প্রাচীন বাসভূমি ছিল-

(ক) পারস্য

(খ) সমরকন্দ

গ) ইরাক

ঘ) ইরান

উত্তর: (খ) সমরকন্দ।

১.২৫ হিন্দুদের ওপর থেকে তীর্থ কর ও জিজিয়া কর তুলে নেন মুঘল সম্রাট-

(ক) বাবর

খ) হুমায়ুন

গ) আকবর

ঘ) জাহাঙ্গির

উত্তর: (গ) আকবর।

১.২৬ মৈত্রী ও যুদ্ধনীতির সাহায্যে রাজপুতদের মনসবদারি ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে এসেছিলেন-

(ক) আকবর

খ) জাহাঙ্গির

গ) শাহজাহান

(ঘ) ঔরঙ্গজেব

উত্তর: (ক) আকবর।

১.২৭ ১৬৩৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মুঘলদের দখলে আসে দাক্ষিণাত্যের-

ক) বিজাপুর

খ) গোলকোন্ডা

(গ) আহমেদনগর

ঘ) খান্দেশ

উত্তর: (গ) আহমেদনগর।

১.২৮ ‘সুলহ-ই-কুল’ আদর্শের ভিত্তিতে দীন-ই-ইলাহি’ মতাদর্শ গড়ে তুলেছিলেন-

ক) হুমায়ুন

খ) আকবর

(গ) শাহজাহান

ঘ) ঔরঙ্গজেব

উত্তর: খ) আকবর।

১.২৯ আকবরের সামরিক ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন ছিল-

(ক) ইকতা ব্যবস্থা

খ) হুলিয়া ব্যবস্থা

গ) দাগ ব্যবস্থা

ঘ) মনসবদারি ব্যবস্থা

উত্তর: ঘ) মনসবদারি ব্যবস্থা।

১.৩০ আকবরের শাসনব্যবস্থায় প্রশাসনিক পদগুলিকে বলা হত-

(ক) মনসব

খ জায়গির

গ) ইকতাদার

(ঘ) ইজারাদার

উত্তর: ক) মনসব।

Very Short Question Answer

(ক) ঘর্ঘরার যুদ্ধে বাবরের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন (রানা সঙ্গ/ইব্রাহিম লোদী/নসরৎ শাহ)।

উত্তর: নসরৎ শাহ।

(খ) বিলগ্রামের যুদ্ধ হয়েছিল খ্রিস্টাব্দে। (১৫৩৯/১৫৪০/১৫৪১)

উত্তর: ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে।

(গ) জাহাঙ্গিরের আমলে শিখগুরু- হিমু) কে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়। (জয় সিংহ/ অর্জুন/

উত্তর: অর্জুন।

(ঘ) রাজপুত নেতাদের মধ্যে মুঘল সম্রাটদের সঙ্গে জোট বাঁধেননি রানা (প্রতাপ সিংহ/মানসিংহ/যশোবন্ত সিংহ)।

উত্তর: প্রতাপ সিংহ।

(ঙ) আহমেদনগরের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মালিক অম্বর/ বৈরাম খান)। (টোডরমল/

উত্তর: মালিকা অম্বর।

২.১ কোন্ সময়ে মুঘলরা ভারতবর্ষ শাসন করেছিল?

উত্তর: খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতক থেকে ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত মুঘলরা ভারতবর্ষ শাসন করেছিল।

২.২ মুঘল কাদের বলা হয়?

উত্তর: মোঙ্গল নেতা চেঙ্গিস খাঁ এবং তুর্কি নেতা তৈমুর লঙ-এর বংশধরদের মুঘল বলা হয়।

২.৩ ভারতবর্ষের প্রথম মুঘল বাদশাহের নাম কী?

উত্তর: ভারতবর্ষের প্রথম মুঘল বাদশাহের নাম জহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবর।

২.৪ তৈমুর লঙ কত খ্রিস্টাব্দে উত্তর ভারত আক্রমণ করেন?

উত্তর: তৈমুর লঙ ১৩৯৮ খ্রিস্টাব্দে উত্তর ভারত আক্রমণ করেন।

২.৫ কবে ও কত বছর বয়সে বাবর ফরগনা প্রদেশের শাসনভার পান?

উত্তর: ১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দে মাত্র বারো বছর বয়সে বাবর ফরগনা প্রদেশের শাসনভার পান।

২.৬ সফাবি কারা?

উত্তর: খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতক থেকে অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত ইরানে শাসনকারী একটি রাজবংশ হল সফাবি।

২.৭ উজবেক কারা?

উত্তর: উজবেকরা ছিল মধ্য এশিয়ার একটি তুর্কিভাষী জাতি, যারা খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতক থেকে অষ্টাদশ শতকের মধ্যে মধ্য এশিয়ায় একাধিক রাজ্য গড়ে তুলেছিল।

২.৮ ‘বাদশাহ’ উপাধি ব্যবহার করে মুঘলরা কী বোঝাতে চাইত? 

উত্তর: ‘বাদশাহ’ উপাধি ব্যবহার করে মুঘলরা বোঝাতে চাইত যে, তাদের শাসন করার ক্ষমতা অন্য কারোর অনুমোদনের ওপর নির্ভরশীল নয়।

২.৯ সার্বভৌম শাসক কাকে বলে?

উত্তর: যাঁর আধিপত্য একটি বিরাট অঞ্চলের উপর থাকে এবং যিনি সেখানে নিজের ক্ষমতায় শাসন করেন, তাঁকে সার্বভৌম শাসক বলে।

২.১০ কোন্ যুদ্ধে তুরস্কের অটোমান তুর্কি সেনাবাহিনী পারস্যের রাজশক্তি সফাবিদের সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে?

উত্তর: ১৫১৪ খ্রিস্টাব্দে চল্লিদয়ানের যুদ্ধে তুরস্কের অটোমান তুর্কি সেনাবাহিনী পারস্যের রাজশক্তি সফাবিদের সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে।

২.১১ কোন্ যুদ্ধে সফাবিরা উজবেকদের হারিয়ে দেয়?

উত্তর: ১৫২৮ খ্রিস্টাব্দে জামের যুদ্ধে সফাবিরা উজবেকদের হারিয়ে দেয়।

২.১২ খানুয়ার যুদ্ধ কবে, কাদের মধ্যে হয়েছিল?

উত্তর: ১৫২৭ খ্রিস্টাব্দে বাবর ও রানা সংগ্রাম সিংহের মধ্যে খানুয়ার যুদ্ধ হয়েছিল।

২.১৩ কবে, কাদের মধ্যে ঘর্ঘরার যুদ্ধ হয়েছিল?

উত্তর: ১৫২৯ খ্রিস্টাব্দে বাবর ও আফগানদের মধ্যে ঘর্ঘরার যুদ্ধ হয়েছিল।

২.১৪ মুঘল শাসনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য কী?

উত্তর: মুঘল শাসনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল শাসক শ্রেণির সঙ্গে সামরিক অভিজাতদের পারিবারিক এবং বংশগত যোগাযোগ।

২.১৫ কোন্ মুঘল শাসক তৈমুরীয় উত্তরাধিকার নীতি মানেননি?

 উত্তর: মুঘল সম্রাট হুমায়ুন তৈমুরীয় উত্তরাধিকার নীতি মানেননি।

২.১৬ মুঘলদের প্রধান বিরোধী শক্তি কারা ছিল?

উত্তর: মুঘলদের প্রধান বিরোধী শক্তি ছিল রাজপুত এবং আফগানরা।

 ২.১৭ চৌসার যুদ্ধ কবে, কাদের মধ্যে হয়েছিল এবং কে জয়লাভ করেছিলেন?

উত্তর: ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দে হুমায়ুনের ও শের খাঁর মধ্যে চৌসার যুদ্ধ হয়েছিল। এই যুদ্ধে শের খাঁ জয়লাভ করেছিলেন।

২.১৮ কবে কাদের মধ্যে বিলগ্রামের যুদ্ধ হয়েছিল এবং এই যুদ্ধে কে পরাজিত হয়েছিলেন?

উত্তর: ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে হুমায়ুন ও শের খাঁর মধ্যে বিলগ্রামের যুদ্ধ হয়েছিল। এই যুদ্ধে হুমায়ুন পরাজিত হয়েছিলেন।

২.১৯ হুমায়ুন পারস্যে কার কাছে আশ্রয় নিয়েছিলেন?

উদ্ভব: হুমায়ুন পারস্যের শাহ তাহমম্পের কাছে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

২.২০ কীভাবে হুমায়ুন মারা যান?

উত্তর: দিল্লির পুরোনো কেল্লার পাঠাগারের সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে হুমায়ুন মারা যান।

২.২১ সেনাবাহিনীর উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে শের শাহ কী কী ব্যবস্থা চালু করেন?

উত্তর: সেনাবাহিনীর উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে শের শাহ ‘দাগ’ ও ‘হুলিয়া’ ব্যবস্থা চালু করেন।

২.২২ আকবরের অভিভাবক কে ছিলেন?

উত্তর: আকবরের অভিভাবক ছিলেন বৈরাম খাঁ।

২.২৩ হিমু কে ছিলেন?

উত্তর: শের শাহের আত্মীয় আদিল শাহের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন হিমু।

২.২৪ পানিপতের দ্বিতীয় যুদ্ধ কবে, কাদের মধ্যে হয়েছিল এবং কে পরাজিত হয়েছিলেন?

উত্তর: ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে আকবরের অভিভাবক বৈরাম খাঁ ও হিমুর মধ্যে হয়েছিল। হিমু পরাজিত হয়েছিলেন।

২.২৭ নবরত্ন কাদের বলা হত?

উত্তর: আকবরের দরবারে বহুবিশিষ্ট মানুষদের মধ্যে নয়জনকে একত্রে বলা হত নবরত্ন।

২.২৮ আকবর কাকে ‘রাজা’ উপাধি দেন?

উত্তর: আকবর বীরবলকে ‘রাজা’ উপাধি দেন।

২.৩২ ঔরঙ্গজেবের আমলে কোন্ কোন্ অঞ্চলের কৃষকরা বিদ্রোহ করে?

উত্তর: ঔরঙ্গজেবের আমলে মথুরায় জাঠ কৃষকরা এবং হরিয়ানায় সৎনামি কৃষকরা বিদ্রোহ করে।

২.৩৩ কারা, কীভাবে বাংলাকে পোর্তুগিজ জলদস্যুদের আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে?

উত্তর: মুঘলরা চট্টগ্রাম বন্দর দখল করে বাংলাকে পোর্তুগিজ জলদস্যুদের আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে।

২.৩৪ কোন্ মুঘল সম্রাটের আমলে মেওয়াড়ে মুঘলদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?

উদ্ভব: জাহাঙ্গিরের আমলে মেওয়াড়ে মুঘলদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

২.৩৫ কোন্ মুঘল শাসকের আমলে রাজপুত সর্দাররা মধ্য এশিয়াতে লড়াই করতে গিয়েছিল?

উত্তর: শাহজাহানের আমলে রাজপুত সর্দাররা মধ্য এশিয়াতে লড়াই করতে গিয়েছিল।

২.৩৬ রাঠোর যুদ্ধ কবে, কাদের মধ্যে হয়েছিল?

উত্তর: ১৬৭৯ খ্রিস্টাব্দে মারওয়াড়ের রাঠোর রাজপুত এবং মুঘলদের মধ্যে রাঠোর যুদ্ধ হয়েছিল।

২.৩৭ ১৫৯৬ থেকে ১৬০১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মুঘলরা দাক্ষিণাত্যের কোন্ কোন্ রাজ্যগুলি জয় করে?

উত্তর: ১৫৯৬ থেকে ১৬০১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মুঘলরা বেরার, আহমেদনগর ও খান্দেশ জয় করে।

২.৩৮ আসিরগড় দুর্গটি কোথায় অবস্থিত ছিল?

উত্তর: আসিরগড় দুর্গটি খান্দেশে অবস্থিত ছিল।

২.৪৩ জায়গিরদার কাকে বলে?

উত্তর: যিনি মুঘল আমলে জায়গির পেতেন, তাঁকে জায়গিরদার বলা হত।

Short Question Answer

২.৩৯ কার চেষ্টায় দাক্ষিণাত্যের রাজ্যগুলি মুঘলদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করে?

উত্তর : আহমেদনগরের প্রধানমন্ত্রী মালিক অম্বরের চেষ্টায় দাক্ষিণাত্যের রাজ্যগুলি মুঘলদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করে।

২.৪০ মুঘল সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক আদর্শ কী ছিল?

উত্তর : মুঘল সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক আদর্শ ছিল মূলত বিভিন্ন গোষ্ঠীকে

সাম্রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করে একটি যথার্থ ভারতীয় সাম্রাজ্য গড়ে তোলা।

২.৪১ সুলহ-ই-কুল কী?

উত্তর: মুঘল সম্রাট আকবর কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতি পক্ষপাত না করে সকলের প্রতি সহনশীলতা এবং সকলের জন্য শান্তির পথ গ্রহণ করেন, এই পথকেই বলা হয় সুলহ-ই-কুল।

২.৪২ ‘দীন-ই-ইলাহি’ কী?

উত্তর: ‘সুলহ-ই-কুল’আদর্শের ভিত্তিতে আকবর একটি ব্যক্তিগত মতাদর্শ গড়ে তুলেছিলেন যাকে বলা হয় ‘দীন-ই-ইলাহি

২.২৯ আকবরের আমলের একজন বিখ্যাত ঐতিহাসিকের নাম লেখো এবং তাঁর লিখিত গ্রন্থের নাম কী?

 উত্তর: আকবরের আমলের একজন বিখ্যাত ঐতিহাসিক ছিলেন আবুল ফজল আল্লামি।

তাঁর লিখিত গ্রন্থের নাম ‘আকবরনামা’।

২.৩০ উত্তর-পশ্চিম সীমান্তবর্তী অঞ্চলের কোন্ কোন্ অঞ্চল মুঘলদের শাসনের আওতায় আসে?

উত্তর: উত্তর-পশ্চিম সীমান্তবর্তী অঞ্চলের কাবুল, কাশ্মীর, কান্দাহার, সিন্ধু প্রদেশ এবং পূর্ব বেলুচিস্তান মুঘলদের শাসনের আওতায় আসে।

২.৩১ মুঘল দরবারে অভিজাত দ্বন্দুে কারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন?

উত্তর: মুঘল দরবারে অভিজাত দ্বন্দ্বে সম্রাজ্ঞী নূরজাহান, শাহজাদা খুররম, নূরজাহানের পরিবারের সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন।

২.২৫ পানিপতের দ্বিতীয় যুদ্ধের পর আকবর কোন কোন অন জয় করেন?

  • উদ্ভব: পানিপতের দ্বিতীয় যুদ্ধের পর আকবর মধ্য ভারত: উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের কাছে কয়েকটি ছোটো রাজ্য, গুজরাট, বাংলা ইত্যাদি অঞ্চল জয় করেন। চিতোর

২.২৬ হলদিঘাটির যুদ্ধ কবে কাদের মধ্যে হয়েছিল এবং কে পরাজিয় হয়েছিলেন?

উত্তর: ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে আকবর ও রানা প্রতাপ সিংহের মধ্যে হলদিঘাটিস যুদ্ধ হয়েছিল। রানা প্রতাপ সিংহ পরাজিত হয়েছিলেন।

(ক) মুঘলরা কেন নিজেদের বাদশাহ বলত?

উত্তর: ভূমিকা: মুঘলরা সার্বভৌম শাসকের ক্ষেত্রে ‘পাদশাহ’ বা ‘বাদশাহ’ শব্দটি ব্যবহার করত। ‘বাদশাহ’ বা ‘পাদশাহ’ বা ‘পাদশাহি’ শব্দগুলি ফারসি।

খ) শের শাহের শাসন ব্যবস্থায় কী কী মানবিক চিন্তার পরিচয় তুমি পাও তা লেখো।

উত্তর:• ভূমিকা: শের শাহ ছিলেন একজন প্রজাহিতৈষী শাসক। তাঁর শাসনকার্যের মূল লক্ষ্য ছিল প্রজাদের মঙ্গল সাধন করা।

• অর্থ: ‘পাদ’ অর্থাৎ প্রভু এবং ‘শাহ’ অর্থাৎ শাসক বা রাজা, এই দুটি শব্দ এখানে যোগ হয়েছে। খুব শক্তিশালী শাসক বোঝানোর জন্য ‘পাদ’ এবং ‘শাহ’ শব্দ দুটি একসঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে। মুঘল সম্রাটরা নিজেদের শক্তিশালী শাসক হিসেবে বোঝানোর জন্য নিজেদের ‘বাদশাহ’ বলতো, ১৫০৭ খ্রিস্টাব্দে বাবর কাবুলে থাকার সময় ‘পাদশাহ’ উপাধি নেন।

(ঘ) সুলহ-ই-কুল কী?

উত্তর: সুলহ-ই-কুল: মুঘল সাম্রাজ্যে প্রশাসনিক উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন গোষ্ঠীকে শাসনকাজে যুক্ত করে একটি যথার্থ ভারতীয় সাম্রাজ্য গড়ে তোলা। এই উদ্দেশ্য তথা আদর্শের মধ্যে চারটি শান্তির পথ ছিল। সেগুলি হল- (i) বাদশাহ আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী শাসন পরিচালনা করেন। (ii) প্রজাদের প্রতি বাদশাহর পিতৃসুলভ ভালোবাসা থাকবে। (iii) কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতি বাদশাহর পক্ষপাত থাকবে না। (iv) সকলের প্রতি সহনশীলতা থাকবে। এইসব আদর্শ বা পথকে আকবর সুলহ-ই-কুল বলে অভিহিত করেছিলেন। একারণেই তাঁকে ‘মহামতি’ বলা হয়।

২.১ বিবৃতি : ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দ ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ-

ব্যাখ্যা ১: ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে পানিপতের প্রথম যুদ্ধ হয়েছিল।

ব্যাখ্যা ২: ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে বাবর রুমি কৌশল ব্যবহার করেছিলেন।

ব্যাখ্যা ৩: ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে পানিপতের প্রথম যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।

উত্তর: ব্যাখ্যা ৩: ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে পানিপতের প্রথম যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।

২.২ বিবৃতি : আকবর রাজপুতদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন।

ব্যাখ্যা ১: মুঘলরা রাজপুত যোদ্ধাদের পাশে পেয়েছিল।

ব্যাখ্যা ২: রাজপুতরা মুঘলদের সঙ্গে খেলাধুলায় অংশ নিত।

ব্যাখ্যা ৩: রাজপুতরা ঘোড়দৌড়ে অংশ নিত।

উত্তর: ব্যাখ্যা ১: মুঘলরা রাজপুত যোদ্ধাদের পাশে পেয়েছিল।

৩.১ মুঘলরা নিজেদের মুঘল বলে মনে করত না কেন?

উত্তর: মোঙ্গল নেতা চেঙ্গিস খাঁ এবং তুর্কি নেতা তৈমুর লঙ্-এর বংশধরদের মুঘল বলা হয়। তবে মুঘলরা তৈমুরের বংশধর হিসেবে গর্ববোধ করত। নিজেদের তারা তৈমুরীয় বলে ভাবত।

অপরদিকে চেঙ্গিস খাঁ মোঙ্গল নেতা হলেও তাঁর প্রতি মুঘলদের শ্রদ্ধা ছিল কম। তাই মুঘলরা নিজেদের মুঘল বলে মনে করত না।

৩.২ তৈমুর লঙ কীভাবে মধ্য এশিয়ায় তাঁর সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?

উত্তর: চতুর্দশ শতকে মোঙ্গল সাম্রাজ্যের পতনের সুযোগে তৈমুর লঙ তাঁর সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি মধ্য এশিয়ার পূর্ব ইরান বা খোরাসান, ইরান, ইরাক এবং তুরস্কের কিছু জায়গা দখল করেছিলেন।

৩.৩ মুঘল যুগে ‘সার্বভৌম শাসক’ বলতে কী বোঝো?

উত্তর: মুঘল যুগে ‘সার্বভৌম শাসক’ বলতে বোঝায় সর্ব ভূমির উপর যার আধিপত্য। সর্ব ভূমি বা গোটা পৃথিবীর উপর কোনো একজন মানুষের আধিপত্য থাকতে পারে না। অর্থাৎ বলা যেতে পারে যে, একটি বিরাট অঞ্চলের উপর যাঁর আধিপত্য থাকে এবং যিনি সেখানে নিজের ক্ষমতায় শাসন করেন, তিনি ‘সার্বভৌম শাসক’।

৩.৪ হুমায়ুন কোন্ কোন্ যুদ্ধে শের শাহের কাছে হেরে গিয়েছিলেন? (সরিষা রামকৃষ্ণ মিশন সারদা বিদ্যালয়)

উত্তর: হুমায়ুন পর পর দুবার শের খান বা শের শাহের কাছে যুদ্ধে হেরে গিয়েছিলেন।

(i) ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দে বিহারের চৌসার যুদ্ধে হুমায়ুন পরাজিত হন।

(ii) ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে কনৌজের কাছে বিলগ্রামের যুদ্ধেও তিনি হেরে যান।

৩.৫ ‘পাট্টা’ ও ‘কবুলিয়ত’ কী?

উত্তর: দিল্লির সিংহাসনে বসার পর শের শাহ রাজস্ব ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ‘পাট্টা’ ও ‘কবুলিয়ত’ নামে দুটি ব্যবস্থা চালু করেছিলেন।

• পাট্টা: জমিতে কৃষকের ‘স্বত্ব স্বীকার করে শের শাহ কৃষককে যে দলিল দিতেন তাকে ‘পাট্টা’ বলা হয়। পাট্টায় কৃষকের নাম, জমিতে কৃষকের অধিকার, কত রাজস্ব দিতে হবে প্রভৃতি লেখা থাকত।

• কবুলিয়ত : কৃষক নির্দিষ্ট রাজস্ব হুমায়ুন দেওয়ার কথা কবুল করে রাষ্ট্রকে যে দলিল দিত তা কবুলিয়ত নামে পরিচিত।

৩.৬ বীরবল কেন বিখ্যাত?

উত্তর: আকবরের দরবারের নবরত্নের মধ্যে একজন ছিলেন বীরবল। তাঁর আসল নাম ছিল মহেশ দাস। মধ্যপ্রদেশের একটি ব্রাহ্মণ পরিবারে তাঁর জন্ম হয়। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমান। তাঁর

বুদ্ধির জোরেই তিনি আকবরের সভায় স্থান পেয়েছিলেন। আকবর তাঁর নাম দেন বীরবল। ‘বীর’ এবং ‘বল’ শব্দগুলি দিয়ে আকবর তাঁর বুদ্ধির জোরকেই বোঝাতে চেয়েছেন। আকবর তাঁকে ‘রাজা’ উপাধি দেন। আকবরের সময় তিনি ওয়াজির-ই- আজম বা প্রধানমন্ত্রী পদ লাভ করেন।

৩.৯ মুঘল আমলে মনসবদারদের কীভাবে বেতন দেওয়া হত?

উত্তর: মুঘল আমলে মনসবদারদের দু-ভাবে বেতন দেওয়া হত-নগদে অথবা রাজস্ব বরাত দিয়ে। রাজস্বের এই বরাতকে বলা হত, জায়গির। জায়গির থেকে যে রাজস্ব আদায় করা হত, তার এক অংশ দিয়ে জায়গিরদাররা নিজেদের ভরণপোষণ করত এবং বাকি অংশ দিয়ে ঘোড়সওয়ারদের দেখাশোনা করত। চাষজমি, বন্দর এলাকা, বাজার এই সবের থেকেই রাজস্ব আদায়ের বরাত জায়গির হিসেবে দেওয়া হত।

৩.১০ ‘দহসালা ব্যবস্থা’ কাকে বলে?

উত্তর: আকবর দশ বছরের তথ্যের ভিত্তিতে যে রাজস্ব ব্যবস্থা চালু করেছিলেন, সেই ব্যবস্থাকে বলা হয় ‘দহসালা’ ব্যবস্থা। ‘দহ’ মানে দশ। আকবর ১৫৮০ খ্রিস্টাব্দে এই ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। আকবরকে এই রাজস্ব প্রচলন করতে সাহায্য করেছিলেন তাঁর রাজস্বমন্ত্রী রাজা টোডরমল এবং আরও কয়েকজন রাজকর্মচারী। টোডরমলের নাম থেকেই এই ব্যবস্থার নাম হয় টোডরমলের বন্দোবস্ত।

Long Question Answer

৩.৭ পানিপতের দ্বিতীয় যুদ্ধের গুরুত্ব কী?

উত্তর: ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে আকবরের অভিভাবক বৈরাম খাঁর নেতৃত্বে মুঘলবাহিনী এবং হিমুর নেতৃত্বে আফগানদের মধ্যে দ্বিতীয় পানিপতের যুদ্ধ হয়।

গুরুত্ব :

(i) এই যুদ্ধে আকবর জয়লাভ করেন এবং দিল্লিতে পুনরায় হারানো মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।

(ii) এই যুদ্ধে জয়লাভ করার পর আকবর একে একে মধ্য ভারত ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের কাছে কয়েকটি ছোটো রাজ্য, চিতোর, গুজরাট, বাংলা ইত্যাদি অঞ্চল জয় করে মুঘল আধিপত্য স্থাপন করেন।

৩.৮ আকবরের উদার ধর্মনীতির কী পরিচয় পাওয়া যায়?

উত্তর: মুঘল সম্রাট আকবর নিজে মুসলমান হলেও অন্যান্য ধর্মের প্রতি যথেষ্ট সহানুভূ তিশীল ছিলেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর এই উদার ধর্মনীতির পরিচয় পাওয়া যায়।

(i) মুঘল বাদশাহ ও শাহজাদাদের সঙ্গে রাজপুত পরিবারের মেয়েদের বিয়ে দেন আকবর।

(ii) আকবর নিজের স্ত্রীদের নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার দিয়েছিলেন।

(iii) তিনি হিন্দুদের ওপর থেকে তীর্থকর ও জিজিয়া কর তুলে দিয়েছিলেন।

(iv) যুদ্ধবন্দিদের জোর করে ইসলাম ধর্মগ্রহণে বাধ্য করাও তিনি নিষিদ্ধ করেছিলেন।

(খ) হুমায়ুন আফগানদের কাছে কেন হেরে গিয়েছিলেন?

উত্তর: ভূমিকা: মুঘল সম্রাট বাবরের মৃত্যুর পর হুমায়ুন দিল্লির সিংহাসনে বসেন। ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দে বিহারের চৌসার যুদ্ধে এবং ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে কনৌজের কাছে বিলগ্রামের যুদ্ধে আফগান নেতা শের শাহের কাছে পর পর দুবার তিনি পরাজিত হন।

• হেরে যাওয়ার কারণ: আফগানদের কাছে হুমায়ুনের হেরে যাওয়ার প্রধান কারণগুলি হল:

(i) হুমায়ুনের আমলে সামরিক অতিজাতদের সঙ্গে মুসলমানদের যে পারিবারিক এবং বংশগত সুসম্পর্ক বজায় ছিল, সেই সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

(ii) তৈমুরীয় নীতি অনুযায়ী উত্তরসূরিদের মধ্যে যে অঞ্চল ভাগ করার প্রথা ছিল, হুমায়ুন তা মানেননি। তিনি সাম্রাজ্যের শাসনভার নিজের হাতেই রেখেছিলেন। ভাইদের কেবল কিছু অঞ্চলের দায়িত্ব দেন, সম্পূর্ণ দায়িত্ব না পাওয়ায় তাঁর ভাইরা আফগানদের সঙ্গে তাঁর যুদ্ধের সময় কোনোরকম সাহায্য করেনি।

(গ) ঔরঙ্গজেবের রাজত্বে কেন মুঘল অভিজাতদের মধ্যে রেষারেষি বেড়েছিল?

উত্তর: ভূমিকা: ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকালে মুঘল অভিজাতদের মধ্যে রেষারেষি বেড়ে গিয়েছিল।

• কারণ: (i) ঔরঙ্গজেব দাক্ষিণাত্যের বিজাপুর ও গোলকোন্ডা দখল করেন। যার ফলে মারাঠা ও দক্ষিণী মুসলিম অভিজাতরা মুঘল শাসনে যোগ দেয়। এর ফলে মনসবদারি ব্যবস্থার বৈচিত্র্য বেড়ে গিয়েছিল। তার সঙ্গে মনসব পাওয়া নিয়ে অভিজাতদের মধ্যে রেষারেষি তৈরি হয়েছিল।

(ii) ঔরঙ্গজেবের আমলে অভিজাত রাজপুতদের সঙ্গেও সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ঔরঙ্গজেব যশোবন্ত সিংহ মারা যাবার পর তাঁর রাজ্য মারওয়াড় দখল করে নেন। তিনি রাজপুতদের মধ্যে আবার জিজিয়া কর চালু করেন। ফলে রাজপুতদের সঙ্গে তাঁর সংঘাত শুরু হয়।

(iii) ঔরঙ্গজেবের আমলে মুঘলদের সঙ্গে বিভিন্ন অভিজাত গোষ্ঠীর যে যোগসূত্র তৈরি হয়েছিল, তা অনেক ক্ষেত্রে নষ্ট হয়। মুঘল সাম্রাজ্যকে তারা ব্যক্তিগত স্বার্থরক্ষায় ব্যবহার করার চেষ্টা করে।

(ঙ) মুঘল শাসন ব্যবস্থায় সুবা প্রশাসনের পরিচয় দাও। 

উত্তর: • ভূমিকা : প্রথম মুঘল সম্রাট বাবরের শাসনকাল যুদ্ধ বিগ্রহেই কেটেছিল। প্রশাসনের দিকে তিনি সেভাবে নজর দিতে পারেননি। মুঘল শাসনের মাঝে আফগান শাসক শের শাহের প্রশাসনিক পরিকাঠামো সুপরিকল্পিত ছিল যা পরবর্তীকালে আকবর অনেকটা অনুসরণ করেছিলেন।

• সুবা প্রশাসন: মুঘল সম্রাট আকবর তাঁর সাম্রাজ্যকে ১৫টি সুবা বা প্রদেশে ভাগ করেছিলেন। প্রদেশগুলিকে বলা হত সুবা। সুবার শাসককে বলা হত সুবাদার। তা ছাড়া প্রতিটি সুবায় দেওয়ানি, বখশি, ফৌজদার, কাজি, আমিন, কানুনগো প্রভৃতি রাজকর্মচারী নিযুক্ত থাকতেন।

• প্রতিটি সুবাকে কয়েকটি সরকারে ভাগ করা হত।

• প্রতিটি সরকার আবার কতকগুলি পরগনাতে বিভক্ত ছিল।

• শের শাহের শাসনব্যবস্থার মানবিক দিক:

(i) রাজস্ব ব্যবস্থা: শের শাহ জনসাধারণের স্বার্থরক্ষার উদ্দেশ্যে এক সুষ্ঠু রাজস্বব্যবস্থার প্রবর্তন করেন।

• পাট্টা: তিনি কৃষককে ‘পাট্টা’ দিতেন। এই পাট্টায় কৃষকের নাম, জমিতে কৃষকের অধিকার, কত রাজস্ব দিতে হবে প্রভৃতি লেখা থাকত।

• কবুলিয়ত : পাট্টা প্রাপ্ত কৃষকরা রাজস্ব দেওয়ার কথা কবুল করে ‘কবুলিয়ত’ নামে আর একটি দলিল রাষ্ট্রকে দিত।

(ii) যোগাযোগ ব্যবস্থা: জনসাধারণের যাতায়াতের সুবিধার জন্য তিনি সড়কপথের উন্নতি করেন।

• তিনি বাংলার সোনার গাঁ থেকে উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে পেশোয়ার পর্যন্ত বিস্তৃত একটি সড়ক সংস্কার করেন। রাস্তাটির নাম ছিল ‘সড়ক-ই-আজম’। এই রাস্তাই পরবর্তীকালে ‘গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড’ নামে পরিচিত হয়।

• আগ্রা থেকে যোধপুর এবং চিতোর পর্যন্ত একটি সড়ক তৈরি করান।

• লাহোর থেকে মুলতান পর্যন্ত আরও একটি রাস্তা নির্মাণ করান।

(iii) সরাইখানা: পথিক ও বণিকদের সুবিধার জন্য রাস্তার ধারে ধারে অনেক সরাইখানা তিনি তৈরি করিয়েছিলেন।

(iv) ডাক ব্যবস্থা: শের শাহ ঘোড়ার মাধ্যমে ডাক-যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করিয়েছিলেন।

• উপসংহার: মাত্র পাঁচ বছর রাজত্ব করে শের শাহ উন্নত শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে যে মানবিক চিন্তার পরিচয় দিয়েছেন, তার জন্য ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন।

(গ) মুঘল শাসকদের রাজপুত নীতিতে কী কী মিল ও অমিল ছিল তা বিশ্লেষণ করো।

উত্তর: • ভূমিকা: মুঘল আমলে রাজপুতরা ছিল উত্তর ভারতের বিশাল অঞ্চলের জমিদার। তাই মুঘল সম্রাটরা রাজপুতদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করতেন। তবে বাবর, হুমায়ুন, আকবর থেকে ঔরঙ্গজেব পর্যন্ত সবার নীতি এক ছিল না। তাই মুঘল শাসকদের রাজপুত নীতিতে অনেক মিল ও অমিল লক্ষ করা যায়।

• হুমায়ুন: মুঘল বাদশাহ হুমায়ুন রাজপুতদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন।

• আকবর: মুঘল বাদশাহ আকবর মৈত্রী ও যুদ্ধনীতির সাহায্যে রাজপুতদের মনসবদারি ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসেন। রাজপুত পরিবারের সঙ্গে তিনি বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। তিনি হিন্দুদের ওপর থেকে তীর্থকর ও জিজিয়া কর তুলে নেন। আবার অবাধ্য রাজপুতদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেও দ্বিধা করেননি।

• জাহাঙ্গির ও শাহজাহান জাহাঙ্গির ও শাহজাহান আকবরের রাজপুত নীতিকেই অনুসরণ করেছিলেন।

অমিল :

• বাবর থেকে শাহজাহান পর্যন্ত মুঘল শাসকদের রাজপুত নীতিতে কোনো অমিল ছিল না। ঔরঙ্গজেবের আমল থেকে মুঘলদের রাজপুত নীতিতে পরিবর্তন আসে।

• ঔরঙ্গজেব: ঔরঙ্গজেবের সময়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় রাজপুত মুঘল মনসবদারি ব্যবস্থার আওতায় এলেও এই সময়ে রাজপুতদের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। আকবরের তুলে দেওয়া জিজিয়া কর তিনি আবার হিন্দুদের কাছ থেকে আদায় করতে শুরু করেন। তাঁর সময় থেকেই মুঘল-রাজপুত দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তাঁর এই ভ্রান্ত রাজপুত নীতি মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের জন্য দায়ী ছিল।

(ঘ) দাক্ষিণাত্য অভিযানের ক্ষত মুঘল শাসনের উপর কী প্রভাব ফেলেছিল?

উত্তর: ভূমিকা: মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব দাক্ষিণাত্য বা দক্ষিণ ভারত দখল করে মুঘল সাম্রাজ্যের সীমানা বাড়াতে চেয়েছিলেন। তাঁর এই দাক্ষিণাত্য অভিযান মুঘল শাসনের উপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছিল।

• উদ্দেশ্য: (i) ঔরঙ্গজেবের সময়ে মারাঠাদের শক্তি অনেক বেড়ে গিয়েছিল। তাই তিনি ভেবেছিলেন দাক্ষিণাত্য দখল করলে মারাঠাদের দমন করা সহজ হবে। (ii) এছাড়া তিনি ভেবেছিলেন যে দক্ষিণী রাজ্যগুলি থেকে অনেক বেশি রাজস্ব আদায় করা যাবে।

দাক্ষিণাত্য নীতির প্রভাব:

• মারাঠা শক্তির উত্থান: ঔরঙ্গজেব বিজাপুর ও গোলকোন্ডা-এই

দুটি মুসলিম রাষ্ট্রের সঙ্গে মৈত্রী গড়ে তুলে মারাঠা শক্তিকে দমন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। • শের শাহের শাসনব্যবস্থার মানবিক দিক:

(i) রাজস্ব ব্যবস্থা: শের শাহ জনসাধারণের স্বার্থরক্ষার উদ্দেশ্যে এক সুষ্ঠু রাজস্বব্যবস্থার প্রবর্তন করেন।

• পাট্টা: তিনি কৃষককে ‘পাট্টা’ দিতেন। এই পাট্টায় কৃষকের নাম, জমিতে কৃষকের অধিকার, কত রাজস্ব দিতে হবে প্রভৃতি লেখা থাকত।

• কবুলিয়ত : পাট্টা প্রাপ্ত কৃষকরা রাজস্ব দেওয়ার কথা কবুল করে ‘কবুলিয়ত’ নামে আর একটি দলিল রাষ্ট্রকে দিত।

(ii) যোগাযোগ ব্যবস্থা: জনসাধারণের যাতায়াতের সুবিধার জন্য তিনি সড়কপথের উন্নতি করেন।

• তিনি বাংলার সোনার গাঁ থেকে উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে পেশোয়ার পর্যন্ত বিস্তৃত একটি সড়ক সংস্কার করেন। রাস্তাটির নাম ছিল ‘সড়ক-ই-আজম’। এই রাস্তাই পরবর্তীকালে ‘গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড’ নামে পরিচিত হয়।

• আগ্রা থেকে যোধপুর এবং চিতোর পর্যন্ত একটি সড়ক তৈরি করান।

• লাহোর থেকে মুলতান পর্যন্ত আরও একটি রাস্তা নির্মাণ করান।

(iii) সরাইখানা: পথিক ও বণিকদের সুবিধার জন্য রাস্তার ধারে ধারে অনেক সরাইখানা তিনি তৈরি করিয়েছিলেন।

(iv) ডাক ব্যবস্থা: শের শাহ ঘোড়ার মাধ্যমে ডাক-যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করিয়েছিলেন।

• উপসংহার: মাত্র পাঁচ বছর রাজত্ব করে শের শাহ উন্নত শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে যে মানবিক চিন্তার পরিচয় দিয়েছেন, তার জন্য ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন।

(গ) মুঘল শাসকদের রাজপুত নীতিতে কী কী মিল ও অমিল ছিল তা বিশ্লেষণ করো।

উত্তর: • ভূমিকা: মুঘল আমলে রাজপুতরা ছিল উত্তর ভারতের বিশাল অঞ্চলের জমিদার। তাই মুঘল সম্রাটরা রাজপুতদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করতেন। তবে বাবর, হুমায়ুন, আকবর থেকে ঔরঙ্গজেব পর্যন্ত সবার নীতি এক ছিল না। তাই মুঘল শাসকদের রাজপুত নীতিতে অনেক মিল ও অমিল লক্ষ করা যায়।

• হুমায়ুন: মুঘল বাদশাহ হুমায়ুন রাজপুতদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন।

• আকবর: মুঘল বাদশাহ আকবর মৈত্রী ও যুদ্ধনীতির সাহায্যে রাজপুতদের মনসবদারি ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসেন। রাজপুত পরিবারের সঙ্গে তিনি বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। তিনি হিন্দুদের ওপর থেকে তীর্থকর ও জিজিয়া কর তুলে নেন। আবার অবাধ্য রাজপুতদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেও দ্বিধা করেননি।

• জাহাঙ্গির ও শাহজাহান জাহাঙ্গির ও শাহজাহান আকবরের রাজপুত নীতিকেই অনুসরণ করেছিলেন।

অমিল :

• বাবর থেকে শাহজাহান পর্যন্ত মুঘল শাসকদের রাজপুত নীতিতে কোনো অমিল ছিল না। ঔরঙ্গজেবের আমল থেকে মুঘলদের রাজপুত নীতিতে পরিবর্তন আসে।

• ঔরঙ্গজেব: ঔরঙ্গজেবের সময়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় রাজপুত মুঘল মনসবদারি ব্যবস্থার আওতায় এলেও এই সময়ে রাজপুতদের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। আকবরের তুলে দেওয়া জিজিয়া কর তিনি আবার হিন্দুদের কাছ থেকে আদায় করতে শুরু করেন। তাঁর সময় থেকেই মুঘল-রাজপুত দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তাঁর এই ভ্রান্ত রাজপুত নীতি মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের জন্য দায়ী ছিল।

(ঘ) দাক্ষিণাত্য অভিযানের ক্ষত মুঘল শাসনের উপর কী প্রভাব ফেলেছিল?

উত্তর: ভূমিকা: মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব দাক্ষিণাত্য বা দক্ষিণ ভারত দখল করে মুঘল সাম্রাজ্যের সীমানা বাড়াতে চেয়েছিলেন। তাঁর এই দাক্ষিণাত্য অভিযান মুঘল শাসনের উপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছিল।

• উদ্দেশ্য: (i) ঔরঙ্গজেবের সময়ে মারাঠাদের শক্তি অনেক বেড়ে গিয়েছিল। তাই তিনি ভেবেছিলেন দাক্ষিণাত্য দখল করলে মারাঠাদের দমন করা সহজ হবে। (ii) এছাড়া তিনি ভেবেছিলেন যে দক্ষিণী রাজ্যগুলি থেকে অনেক বেশি রাজস্ব আদায় করা যাবে।

যার ফলে শিবাজীর নেতৃত্বে মারাঠা শক্তির উত্থান ঘটে। শেষ পর্যন্ত শিবাজীকে ঔরঙ্গজেব স্বাধীন রাজা বলে মেনে নিতে বাধ্য হন।

• প্রচুর অর্থব্যয়: দীর্ঘদিন যুদ্ধের ফলে প্রচুর অর্থব্যয় হয় যার ফলে রাজকোশ শূন্য হয়ে যায়।

• প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা: দীর্ঘদিন রাজধানী থেকে দূরে থাকার ফলে

দিল্লিতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। উত্তর ভারতের বিদ্রোহীরা আবার বিদ্রোহ করতে শুরু করে।

• সেনাদলের বিদ্রোহ: রাজকোশ শূন্য হয়ে যাওয়ার ফলে

সৈন্যদের বেতন দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। বেতনের অভাবে সেনাদল বিদ্রোহ ঘোষণা করে।

• উপসংহার: দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে যুদ্ধ করে ঔরঙ্গজেব দাক্ষিণাত্যেই মারা যান। তাঁর এই দাক্ষিণাত্য অভিযানই মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের অন্যতম কারণ ছিল।

(ঙ) মুঘল সম্রাটদের কী কোনো নির্দিষ্ট উত্তরাধিকার নীতি ছিল? উত্তরাধিকারের বিষয়টি কেমনভাবে তাঁদের শাসনকে প্রভাবিত করেছিল?

উত্তর: • মুঘল সম্রাটদের উত্তরাধিকার নীতি: মুঘল সম্রাটদের কোনো নির্দিষ্ট উত্তরাধিকার নীতি ছিল না।

• তৈমুরীয় নীতি: মুঘল সম্রাটগণ ছিলেন তুর্কি নেতা তৈমুর লঙের বংশধর। তৈমুরীয় নীতি অনুসারে উত্তরসূরিদের মধ্যে তাঁরা সাম্রাজ্য ভাগ করে দিতেন।

• ভারতবর্ষে মুঘলদের নীতি: ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার পর বাবর প্রথমেই তৈমুরীয় নীতি অগ্রাহ্য করেন। বাবরের পর হুমায়ুনও এই নীতি মানেননি। তিনি সাম্রাজ্যের শাসনভার নিজের হাতেই রেখেছিলেন। ভাইদের কেবল কিছু অঞ্চলের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। পরবর্তী মুঘল সম্রাটগণ এই নিয়ম মেনে চলেননি।

• প্রভাব: বাবর পরবর্তী মুঘল সম্রাট হিসেবে হুমায়ুনকে মনোনীত করে গিয়েছিলেন। অন্যান্য ভাইরা সরাসরি শাসনের দায়িত্ব পায়নি বলে সাম্রাজ্য রক্ষার দায়িত্ব তারা নিত না। তাই আফগানদের কাছে হুমায়ুন পরাজিত হয়েছিলেন।

• হুমায়ুনের মৃত্যুর পর আকবর মুঘল সম্রাট হন। আকবরের পর জাহাঙ্গির সিংহাসনে বসেন। তাঁর পরবর্তীকালে উত্তরাধিকারকে কেন্দ্র করে মতবিরোধ শুরু হয়। জাহাঙ্গিরের মৃত্যুর পর শাহজাহান সামরিক বলে ও অভিজাতদের সমর্থন নিয়ে সিংহাসনে বসেন। শাহজাহানের রাজত্বের শেষদিকে ঔরঙ্গজেব তাঁর তিন ভাইকে হত্যা করে সিংহাসন দখল

করেন। ঔরঙ্গজেবের পর ভ্রাতৃহত্যা প্রবল আকার ধারণ করে।

• মুঘল সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারকে কেন্দ্র করে যে গৃহযুদ্ধের সূচনা হয়, যার ফলে সাম্রাজ্যের সর্বত্র চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় এবং মুঘল সাম্রাজ্যের পতন ঘটায়।

কল্পনা করে লেখো (১০০-১৫০টি শব্দের মধ্যে):

ক) যদি তুমি বাদশাহ আকবরের মতো বিভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষের দেশে সম্রাট হতে তাহলে তোমার ধর্মনীতি কী হত?

 ভূমিকা: আমি এমন একটি দেশের সম্রাট যেখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান প্রভৃতি বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষেরা বসবাস করে। আমি এই বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে এক সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই।

আমার ধর্মনীতি:

(1) স্বধর্ম পালন: আমার দেশে প্রতিটি মানুষ স্বাধীনভাবে যেন যে যার নিজের ধর্মপালন করতে পারে। ধর্মীয় ব্যাপারে আমি উদার ও পরধর্মসহিষ্ণু। আমি জোর করে কারুর ওপর নিজস্ব ধর্মমত চাপিয়ে দিতাম না।

(2) ধর্মীয় আলোচনা: আমি আলাদা একটি উপাসনা গৃহ তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন ধর্মজ্ঞানী ব্যক্তিদের আহ্বান করতাম। বিভিন্ন ধর্মের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করতাম। সাধারণ মানুষদের বোঝাতাম ঈশ্বর এক এবং সকল ধর্মের মূলকথা এক এবং অভিন্ন।

(3) ধর্মনিরপেক্ষ শাসনব্যবস্থা: আমি বিভিন্ন ধর্মের মানুষদের তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী আমার দরবারে বিভিন্ন পদে নিযুক্ত করতাম। এইভাবে আমি এক ধর্মনিরপেক্ষ শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করতাম।

(4) ধর্মনিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা: আমার রাজসভায় সমস্ত ধর্মের মানুষেরা যাতে সঠিক বিচার পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতাম। ধর্মীয় কারণে কোনো দোষী ব্যক্তি যেন ছাড়া না পায়।

(5) শান্তিস্থাপন: সমস্ত রকম ধর্মীয় হানাহানি, শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখাই আমার প্রধান কর্তব্য বলে মনে করতাম।

(খ) মনে করো তুমি সম্রাট ঔরঙ্গজেব, তাহলে কেমনভাবে তুমি দাক্ষিণাত্যের সমস্যার মোকাবিলা করতে?

ভূমিকা: আমি যদি ঔরঙ্গজেব হতাম দাক্ষিণাত্য অভিযানে আমার নীতি হত অন্যরকম। প্রথমেই আমার শত্রুরাজ্যগুলিকে চিহ্নিত করতাম। তারপর তাদের বন্ধুত্বের প্রস্তাব পাঠাতাম, রাজি না হলে যুদ্ধ করতাম। আমাকে এটাও খেয়াল রাখতে হত যে সুদূর উত্তর ভারত থেকে দক্ষিণের রাজ্যগুলি শাসন করা সম্ভব নয়। তাই এই রাজ্যগুলিকে করদ রাজ্য হিসেবে রাখতাম।

• শত্রুরাজ্য চিহ্নিতকরণ: দক্ষিণ ভারতে তিনটি স্বাধীন রাজ্যের উদ্ভব ঘটেছে-(a) বিজাপুর, (b) গোলকোন্ডা ও (c) মারাঠা রাজ্য। এর মধ্যে দুটি মুসলিম রাজ্য ও একটি হিন্দু রাজ্য।

(1) বিজাপুর আক্রমণ: প্রথমেই বিজাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হতাম। কারণ বিজাপুরের সুলতান আমাকে কর দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। উপরন্তু প্রতিবেশী রাজ্য গোলকোন্ডার সঙ্গে মৈত্রী জোট স্থাপন করেছে। এই দুটি রাজ্যের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল দাক্ষিণাত্য থেকে আমাকে বিতাড়ণ করা, বিজাপুর জয় করে পিতা শাহজাহানের আদর্শ অনুসরণ করে উপযুক্ত কর ও ক্ষতিপূরণ আদায় করে আমার অনুগত রাজ্য করে রাখতাম। শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিলাম, তার বদলে বিজাপুর রাজ্যও আমাকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিত।

2) গোলকোন্ডা: প্রতিশ্রুতিমতো বিজাপুর রাজ্যের সাহায্য নিয়ে (

গোলকোন্ডা আক্রমণ করতাম। গোলকোন্ডা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হল। গোলকোন্ডার কাছ থেকেও প্রয়োজনীয় কর ও ক্ষতিপূরণ আদায় করলাম। প্রয়োজনে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিল।

(3) মারাঠা রাজ্য: বিজাপুর ও গোলকোন্ডা রাজ্যের সাহায্য নিয়ে

মারাঠা রাজ্য আক্রমণ করতাম। আমাদের যৌথ আক্রমণের কাছে শিবাজি বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য হল। খুব সহজে মারাঠা রাজ্য দখল করে নিলাম।

আমার দাক্ষিণাত্য অভিযান সমাপ্ত করে দিল্লিতে ফিরে এসে পুনরায় শান্তিতে দেশ শাসন করতে লাগলাম।

(গ) মনে করো তুমি খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকের একজন মারাঠা মনসবদার। তোমার জায়গির থেকে আয় কমে গেছে। এই অবস্থায় মুঘল ও মারাঠাদের মধ্যে যুদ্ধ বেধে গেছে। তুমি কী করবে? কেন করবে?

উত্তর: আকবরের সামরিক ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন ছিল মনসবদারি ব্যবস্থা। আকবরের শাসনব্যবস্থায় প্রশাসনিক পদগুলিকে বলা হত মনসব। আর মনসব পদাধিকারীদের বলা হত মনসবদার। মনসবদারদের দু-ভাবে বেতন দেওয়া হত-নগদে অথবা রাজস্ব বরাত দিয়ে। রাজস্বের এই বরাতকে বলা হত জায়গির।

• বর্তমান পরিস্থতি: আমি ঔরঙ্গজেবের আমলের একজন মারাঠা মনসবদার। দক্ষিণ ভারতের বিরাট এলাকার জায়গির অর্থাৎ রাজস্ব আদায় করবার অধিকার আমি পেয়েছি, তবে উত্তর ভারতের মতো দক্ষিণ ভারতের জমি অত উর্বর নয়। তাই দক্ষিণ ভারতে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও কম। সে কারণে দক্ষিণ ভারতের মনসবদাররা একটু ক্ষুব্ধ। এই অবস্থায় মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সঙ্গে শিবাজির রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শুরু হয়। শিবাজির সৈন্যবাহিনীর গেরিলা যুদ্ধের কাছে ঔরঙ্গজেবের সৈন্যবাহিনী বারবার বাধা পেতে থাকে। দীর্ঘদিন যুদ্ধের ফলে কৃষিকার্য, বনাঞ্চল, তৃণভূমি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। আমাদের পক্ষে রাজস্ব আদায় করাও কষ্টকর হয়ে ওঠে। ফলে আমাদের আয় কমতে থাকে।

• আমার কর্তব্য: আমি মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের ইচ্ছায় মনসবদারি পেলেও আমি একজন মারাঠি। তাই আমি কৃষকদের কাছ থেকে জোর করে রাজস্ব আদায় করব না। প্রজারা যেটুকু দিতে পারবে সেইটুকুই গ্রহণ করব। যে রাজস্ব আদায় করতে পারব তার থেকে আমার প্রাপ্যটুকু রেখে দিয়ে বাকি রাজস্ব মারাঠা রাজ্য ও মারাঠিদের উন্নতির জন্য দান করব।

• আমার জন্মভূমি মারাঠা সাম্রাজ্যের স্বাধীনতা বিপন্ন হলে আমি মাতৃভূমির স্বাধীনতা রক্ষার জন্য প্রয়োজন হলে যুদ্ধ করব।

৪.১ মুঘলদের রণকৌশল কেমন ছিল?

উত্তর: ভূমিকা: বাবর পানিপতের যুদ্ধ, খানুয়ার যুদ্ধ ও ঘর্ঘরার যুদ্ধে জয়লাভ করে ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন ও সুদৃঢ় করেন। উন্নত রণকৌশলের মাধ্যমে তিনি এই সকল যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন।

• মুঘল রণকৌশল বাবরের রণকৌশল একদিকে কামান ও বন্দুকধারী সৈন্য এবং অন্যদিকে দ্রুতগামী ঘোড়সওয়ার, তিরন্দাজ বাহিনী এই দুইয়ের যৌথ আক্রমণের উপর নির্ভরশীল ছিল।

(i) মুঘল ঘোড়সওয়ার বাহিনীর একটা অংশ শত্রুপক্ষকে দুই পাশ ও পিছন থেকে আক্রমণ করত।

(ii) কামান ও বন্দুকধারী সৈন্যরা তখন সামনে থেকে গোলাগুলি বর্ষণ করত।

(iii) একসাথে এই দুইরকম আক্রমণে শত্রুপক্ষ যখন দিশাহারা, তখন বাকি ঘোড়সওয়াররা সামনে থেকে আক্রমণ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিত।

৪.২ খানুয়ার যুদ্ধ কেন ধর্মীয় যুদ্ধ ছিল না?

উত্তর: ভূমিকা: ১৫২৭ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির মুঘল বাদশাহ বাবর এবং মেওয়াড়ের রানা সংগ্রাম সিংহ (রানা সঙ্গ)-এর মধ্যে খানুয়ার যুদ্ধ হয়েছিল।

• ধর্মযুদ্ধ :

(i) খানুয়ার যুদ্ধের প্রধান, দুই প্রতিপক্ষ ছিলেন ভিন্ন ধর্মের। বাবর ছিলেন মুসলমান এবং রানা সংগ্রাম সিংহ ছিলেন হিন্দু।

(ii) যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে বাবর মুঘল যোদ্ধাদের বলেছিলেন এই যুদ্ধ হল তাদের ধর্মের লড়াই। আর যোদ্ধারা সবাই হলেন ‘ধর্মযোদ্ধা’ বা ‘গাজি’।

• ধর্মযুদ্ধ নয়:

(i) এই যুদ্ধকে ধর্মযুদ্ধ বলে বাবর মুসলমান সৈন্যদের জোটবদ ও শক্তিশালী করতে চেয়েছিলেন।

(ii) অন্যদিকে উত্তর ভারত থেকে বাবরকে হটানোর জন্য

কয়েকজন মুসলমান শাসকও রাজপুতদের সঙ্গে যোগ দেন। তাই বলা যায় যে, এই যুদ্ধ কোনো ধর্মীয় যুদ্ধ ছিল না।

৪.৩ শের শাহ যোগাযোগ ব্যবস্থায় কী ধরনের উন্নতি করেছিলেন। 

উত্তর: ভূমিকা শের শাহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য পুরোনো সড়কগুলির সংস্কার করেন এবং নতুন সড়ক নির্মাণ করেন

(i) তিনি বাংলার সোনার গাঁ থেকে উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে পেশোয়ার পর্যন্ত বিস্তৃত একটি সড়ক সংস্কার করেন। রাস্তাটির নাম ছিল ‘সড়ক-ই-আজম।’ এই রাস্তাই পরবর্তীকালে ‘গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড’ নামে পরিচিত হয়।

(ii) তিনি আগ্রা থেকে যোধপুর এবং চিতোর পর্যন্ত একটি সড়ক তৈরি করেন।

(iii) এছাড়া তাঁর আমলে লাহোর থেকে মুলতান পর্যন্ত একটি রাস্তা বা সড়ক তৈরি হয়।

৪.৪ হলদিঘাটের যুদ্ধ সম্পর্কে লেখো।

উত্তর : • ভূমিকা: রাজপুত রাজাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল চিতোর দুর্গ। ১৫৬৮ খ্রিস্টাব্দে আকবর চিতোর জয় করেন। এরপর একে একে রাজপুত রাজারা আকবরের বশ্যতা স্বীকার করে নেয়। কিন্তু চিতোরের রানা উদয়সিংহ আমৃত্যু মুঘলদের কাছে মাথা নত করেননি।

• পটভূমি: উদয়সিংহের পুত্র রানা প্রতাপ সিংহ মুঘলদের কাছে বশ্যতা স্বীকার করতে অস্বীকার করেন। ফলে আকবর আজমিরে পৌঁছে রাজা মান সিংহকে ৫,০০০ সৈন্য সমেত রানা প্রতাপের বিরুদ্ধে পাঠান। রানা প্রতাপ চিতোর পর্যন্ত গোটা এলাকার ফসল নষ্ট করে দিয়েছিলেন যাতে মুঘল সৈন্য খাবার না পায়। তিনি তাঁর রাজধানী কুম্ভলগড় থেকে ৩,০০০ সৈন্য নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছান। ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে উভয়পক্ষের মধ্যে যে যুদ্ধ হয় তা হলদিঘাটের যুদ্ধ নামে পরিচিত।

• ফলাফল: এই যুদ্ধে রানা প্রতাপ পরাজিত হন। পরাজিত হলেও তিনি বারবার মুঘলদের বিরোধিতা করেন। এই যুদ্ধে অনেক আফগান সর্দার রানা প্রতাপের পক্ষে যোগদান করলেও রাজা মান সিংহ মুঘলদের হয়ে লড়াই করেন। অর্থাৎ সমস্ত রাজপুত শক্তি মিলিতভাবে মুঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি।

৪.৫ বারো ভূঁইয়া কাদের বলা হত?

উত্তর: মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গিরের সময়ে বাংলায় যে বারোজন হিন্দু জমিদার এবং আফগানরা মুঘলদের বিরুদ্ধে বহুবার বিদ্রোহ করেছিলেন, তাঁদের একসঙ্গে ‘বারো ভূঁইয়া’ বলা হত। ‘বারো ভূঁইয়া’ বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে এঁদের সংখ্যা ছিল বারো থেকে অনেক বেশি।

• বারো ভূঁইয়াদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন-প্রতাপাদিত্য, চাঁদ রায়, কেদার রায়, ইশা খান প্রমুখ।

• শেষ পর্যন্ত জাহাঙ্গির এঁদের নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছিলেন।

৪.৬ জাবতি বন্দোবস্তের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। (পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)

উত্তর: ভূমিকা: ভারতবর্ষ কৃষিপ্রধান দেশ। তাই ভারতীয় অর্থনীতি পুরোপুরি ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল ছিল। আলাউদ্দিন খলজি এবং শের শাহর আমল থেকেই রাজস্বের পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য জমি জরিপ করা বা মাপার ব্যবস্থা চালু ছিল।

• জাবতি ব্যবস্থা: মুঘল সম্রাট আকবর নতুন করে জমি জরিপ করান। জমি জরিপ করে তার ভিত্তিতে রাজস্ব নির্ধারণ করার পদ্ধতিকে বলা হয় ‘জাবতি’। ‘জাবত’ মানে নির্ধারণ।

• রাজস্ব নির্ধারণ: আকবর দেখলেন যে, রাজধানীর শস্যমূল্য অন্যান্য জায়গার শস্যের মূল্যের থেকে অনেক বেশি। রাজধানীর হিসেবে চললে কৃষকদের আরও বেশি রাজস্ব দিতে হবে। তাই আকবর প্রত্যেক বছরের এবং প্রতিটি এলাকার আলাদা হিসাব চালু করেন।

• কানুনগো: প্রত্যেক এলাকার উৎপাদন, বাজারে শস্যের মূল্য ইত্যাদি নানারকম তথ্য সরকারকে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল কানুনগো নামক কর্মচারীর উপর।

• করোরী: রাজস্ব আদায় করা এবং কানুনগোদের তথ্য মিলিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব যেসব কর্মচারীদের উপর থাকত, তাদের বলা হত করোরী। অবশ্য মুঘল সাম্রাজ্যের সর্বত্র জাবতি ব্যবস্থা চালু ছিল না।

ব্যাখ্যামূলক উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর

৫ আট/দশটি বাক্যে উত্তর দাও:

পরাজিত করেন।

৫.১ মুঘল সম্রাট আকবরের কৃতিত্ব আলোচনা করো।

উত্তর: • ভূমিকা: মুঘল সাম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন আকবর। সাম্রাজ্য বিস্তার, প্রশাসনিক দক্ষতা, বিদ্যোৎসাহিতা, ধর্মীয় উদারতার জন্য তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছেন।

• সাম্রাজ্য বিস্তার: হুমায়ুনের মৃত্যুর পর মাত্র তেরো বছর বয়সে আকবর দিল্লির সিংহাসনে বসেন। শাসনকার্যে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন বৈরাম খাঁ। বৈরাম খাঁ-এর সাহায্য নিয়ে ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে পানিপতের দ্বিতীয় যুদ্ধে হিমুকে পরাজিত করে তিনি দিল্লিতে মুঘল শাসন সুদৃঢ় করেন। এরপর একে একে মধ্য ভারত ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের কাছে কয়েকটি ছোটো রাজ্য, চিতোর, গুজরাট, বাংলা ইত্যাদি অঞ্চল জয় করেন। ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে হলদিঘাটের যুদ্ধে রানা প্রতাপ সিংহকে

• শাসন ব্যবস্থা: আকবর শাসনকার্যের সুবিধার জন্য তাঁর সাম্রাজ্যকে কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করেছিলেন। প্রদেশগুলিকে বলা হত ‘সুবা’। সুবাগুলিকে কয়েকটি ‘সরকারে’ এবং সরকারগুলিকে আবার কয়েকটি ‘পরগনায়’ ভাগ করা হত।

• মনসবদারি প্রথা: আকবর মনসবদারি প্রথা চালু করেন। যুদ্ধের সময় মনসবদাররা সৈন্য ও ঘোড়া দিয়ে সম্রাটকে সাহায্য করত।

• রাজস্ব ব্যবস্থা: আকবর জমি জরিপের ভিত্তিতে রাজস্ব নির্ধারণ করার পদ্ধতি চালু করেন। এই ব্যবস্থাকে বলা হয় ‘জাবতি ব্যবস্থা’। রাজস্ব আদায়ের জন্য তিনি ‘দহসালা ব্যবস্থা’ চালু করেন।

• ধর্মীয় উদারতা : সম্রাট আকবর পরধর্মসহিষু ছিলেন। তিনি সকলের প্রতি সহনশীলতা এবং সকলের জন্য শান্তির পথ ‘সুলহ-ই-কুল’ আদর্শের কথা বলেন। এই আদর্শের ভিত্তিতে

আকবর ‘দীন-ই-ইলাহি’ ধর্মমত প্রবর্তন করেন।

• বিদ্যোৎসাহিতা: সম্রাট আকবর বিদ্যা ও বিদ্বানের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তাঁর দরবারের বিশিষ্ট ন’জন জ্ঞানী ব্যক্তিকে একত্রে বলা হত নবরত্ন। এঁদের মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য ছিলেন বীরবল। এছাড়া আবুল ফজল ও আবদুল কাদির বদাউনি নামে দুজন ঐতিহাসিক তাঁর রাজসভা অলংকৃত করতেন।

• উপসংহার: সম্রাট আকবর সর্বক্ষেত্রে যে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে গেছেন তার জন্য তাঁকে ‘মহান সম্রাট’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

৫.২ জাহাঙ্গির ও শাহজাহান কীভাবে মুঘল রাষ্ট্রকাঠামোকে টিকিয়ে রেখেছিল?

উত্তর: ভূমিকা: বাবর দিল্লিতে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করলেও, মুঘল সাম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন আকবর। পরবর্তীকালে জাহাঙ্গির ও শাহজাহান যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে মুঘল রাষ্ট্রকাঠামোকে টিকিয়ে রেখেছিলেন।

• জাহাঙ্গির: মুঘল রাষ্ট্রকাঠামো টিকিয়ে রাখার জন্য জাহাঙ্গির মোটামুটিভাবে আকবরের নীতিকেই অনুসরণ করেছিলেন। তাঁর আমলে দাক্ষিণাত্যে মুঘল সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটে। ফলে নতুন নতুন মনসবদাররা মুঘল শাসনব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিল, জাহাঙ্গিরও সেই নীতি বজায় রেখেছিলেন। তবে এইসময়ে মুঘল দরবারের অভিজাতদের মধ্যে রেষারেষি শুরু হয়। তাঁর আমলে মেওয়াড়ে মুঘলদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি মারাঠাদের দলে টানবার চেষ্টা করেন। বারবার চেষ্টা করেও তিনি আহমেদনগর রাজ্যটিকে মুঘল সাম্রাজ্যভুক্ত করতে পারেননি।

• শাহজাহান : শাহজাহানের শাসনের শুরুতে দাক্ষিণাত্যে খানজাহান লোদী বিদ্রোহ করলে তিনি সেই বিদ্রোহ দমন করেন। তিনি বুন্দেলখণ্ডের বিদ্রোহ দমন করেন এবং আহমেদনগরে অভিযান করেন। তিনি উজবেকদের থেকে বলখ জয় করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু তা সফল হয়নি। তাঁর আমলেই মুঘলরা কান্দাহারের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায়। আকবরের রাজপুত নীতি অনুসরণ করেন তিনি রাজপুতদের উঁচু পদে নিয়োগ করেন। তাঁর আমলে রাজপুত সর্দাররা মধ্য এশিয়াতেও লড়াই করতে গিয়েছিল। তিনি আহমেদনগর রাজ্যটিকে সম্পূর্ণভাবে মুঘল সাম্রাজ্যভুক্ত করেন। তিনি

বিজাপুর ও গোলকোন্ডার সঙ্গে চুক্তি করে দাক্ষিণাত্য সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেন।

• উপসংহার: আকবরের রাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে জাহাঙ্গির ও শাহজাহান মুঘল রাষ্ট্রকাঠামোকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। তবে জাহাঙ্গিরের পরনির্ভরশীলতা এবং শাহজাহানের ভ্রান্ত বৈদেশিক নীতির ফলে মুঘল সাম্রাজ্যের সংহতি অনেকটাই নষ্ট হয়।

৫.৩ মুঘল শাসনকে দৃঢ় করার জন্য আকবরের সামরিক সংস্কার কতদূর সফল হয়েছিল, তা ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: ভূমিকা : মুঘল সম্রাট আকবর বিভিন্ন সংস্কারের মাধ্যমে মুঘল সামরিক ব্যবস্থার উন্নতি ঘটান। সিংহাসনে আরোহণের পর থেকে তিনি বিভিন্ন যুদ্ধে জয়লাভ করেছেন এই শক্তিশালী সেনাবাহিনীর সাহায্যে।

1) সামরিক আদর্শ : আকবর সামরিক সংস্কারের ক্ষেত্রে তাঁর পূর্ববর্তী শের শাহের সামরিক আদর্শকে অনেকটাই অনুসরণ করেছিলেন। তাঁর সেনাদল পদাতিক, অশ্বারোহী, গোলন্দাজ ও নৌবাহিনী নিয়ে গঠিত ছিল। তাঁর একটি হস্তিবাহিনীও ছিল।

(2) মনসবদারি ব্যবস্থা: আব্বরের সামরিক ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন ছিল মনসবদারি ব্যবস্থা। আকবরের শাসনব্যবস্থার প্রশাসনিক পদগুলিকে বলা হত মনসব। আর পদাধিকারীদের বলা হত মনসবদার। মনসবদারদের কর্তব্য ছিল বাদশাহের জন্য সৈন্য প্রস্তুত রাখা, সৈন্যদের দেখাশোনা করা এবং যুদ্ধের সময় সৈন্য জোগান দেওয়া। মনসবদারদের যুদ্ধের ঘোড়াগুলিকে পর্যবেক্ষণের জন্য মাঝে মাঝে রাজধানীতে হাজির করতে হত। ঘোড়সওয়ারদের দেখাশোনার দায়িত্ব থাকত জায়গিরদারদের উপর।

(3) রাজপুত নীতি: মুঘল বাদশাহ আকবর প্রথমেই বুঝেছিলেন যে, যুদ্ধপটু রাজপুতরা মুঘল সামরিক শক্তিকে সুদৃঢ় করে তুলতে পারে। তাই তিনি রাজপুতদের সঙ্গে আত্মীয়তা ও মৈত্রীর সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন পদে রাজপুতদের নিয়োগ করেন।

উপসংহার: মুঘল শাসনকে দৃঢ় করার জন্য আকবরের সামরিক সংস্কার সাফল্যলাভ করলেও পরবর্তী মুঘল সম্রাটদের দুর্বলতা ও সুযোগ্য নেতৃত্বের অভাবে সামরিক বাহিনী দুর্বল হয়ে পড়ে।

Fil In The Blanks

২(ক) শূন্যস্থান পূরণ করো (SAQ):

২.১ মুঘলরা নিজেদের   __________  ২(ক) শূন্যস্থান পূরণ করো (SAQ):

২.১ মুঘলরা নিজেদের   ___________ (তৈমুরীয়/মোঙ্গলীয়/ইলবারি তুর্কি) বলে ভাবত। 

উত্তর: তৈমুরীয়।

২.২ ১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দে বাবর মাত্র বারো বছর বয়সে__২(ক) শূন্যস্থান পূরণ করো (SAQ):

২.১ মুঘলরা নিজেদের  ২.১ মুঘলরা নিজেদের  __________   (তৈমুরীয়/মোঙ্গলীয়/ইলবারি তুর্কি) বলে ভাবত। 

              (তৈমুরীয়/মোঙ্গলীয়/ইলবারি তুর্কি) বলে ভাবত। 

উত্তর: তৈমুরীয়।

২.২ ১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দে বাবর মাত্র বারো বছর বয়সে     __________         (গজনির/ফরগনা প্রদেশের/তুরস্কের) শাসনভার পান।

উত্তর: ফরগনা প্রদেশের।

২.৩ সফাবিরা ছিল __________  (ইরানের ইরাকের/আরবের) একটি রাজবংশ।

উত্তর: ইরানের।

২.৪ বাবর ‘পাদশাহ’ উপাধি নিয়েছিল  __________ (১৫০৭/১৫২৬/১৫১৪) খ্রিস্টাব্দে।

উত্তর: ১৫০৭ খ্রিস্টাব্দে।

২.৫ বাবর ‘পাদশাহ’ উপাধি নেন  __________ (বেলুচিস্তান/লাহোর/কাবুল)-এ থাকার সময়। 

উত্তর: কাবুল।

২.৬ ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দে চৌসার যুদ্ধে হুমায়ুন পরাজিত হয়েছিলেন __________  (ইব্রাহিম লোদি/সংগ্রাম সিংহ/শের খান)-এর কাছে। 

উত্তর: শের খান।

২.৭ শের শাহ কৃষককে  __________  (পাট্টা/কবুলিয়ত/দাগ) দিতেন।

উত্তর: পাট্টা।

২.৮ কৃষক রাজস্ব দেওয়ার কথা কবুল করে     __________ নামে একটি দলিল রাষ্ট্রকে দিত। (কবুলিয়ত/পাট্টা/হুলিয়া)

উত্তর: কবুলিয়ত।

২.৯ শের শাহ বাংলার সোনার গাঁ থেকে পেশোয়ার পর্যন্ত যে রাস্তা নির্মাণ করেন তার নাম ছিল       __________        (পেশোয়া রোড/সড়ক-ই আজম/মুঘল-ই আজম)। 

উত্তর: সড়ক-ই-আজম।

২.১০   __________   (হুমায়ুন/আকবর/শের শাহ) ঘোড়ার মাধ্যমে ডাক-যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করেছিলেন।

উত্তর: শের শাহ।

২.১১ রানা প্রতাপ সিংহের রাজধানী ছিল  

             (চিতোর/ কুম্ভলগড়/বুন্দেলগড়)। 

উত্তর: কুম্ভলগড়।

২.১২   __________  (শের শাহের/আকবরের/শাহজাহানের) দরবারে বহু বিশিষ্ট মানুষদের মধ্যে ন-জনকে একত্রে বলা হত ‘নবরত্ন’।

উত্তর: আকবরের।           ২.১১ রানা প্রতাপ সিংহের রাজধানী ছিল                (চিতোর/ কুম্ভলগড়/বুন্দেলগড়)। 

      (গোপাল দাস/কালিদাস/মহেশ দাস)-এর নাম দেন বীরবল।

উত্তর: মহেশ দাস।

২.১৪ মুঘল বিরোধী বাংলার স্থানীয় হিন্দু জমিদার ও আফগানরা __________    (বারো ভূঁইয়া/তেরো ভূঁইয়া/চোদ্দ ভূঁইয়া) নামে পরিচিত।

উত্তর: বারো ভূঁইয়া।

২.১৫ __________   (আকবর/জাহাঙ্গির/শাহজাহান)-এর আমলে মুঘলরা কান্দাহারের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায়।

উত্তর: শাহজাহান।

২.১৬ __________      (বাবর/আকবর/ঔরঙ্গজেব)-এর শাসনকালে দাক্ষিণাত্যের বিজাপুর ও গোলকোন্ডা মুঘলদের দখলে আসে।

উত্তর: ঔরঙ্গজেব।

২.১৭ মুঘলরা চট্টগ্রাম বন্দর দখল করে বাংলাকে    __________ (ফরাসি/ পোর্তুগিজ/ইংরেজ) জলদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা করে।

উত্তর: পোর্তুগিজ।

২.১৮ ‘ঔরঙ্গজেব মারাঠা নেতা __________    (শিবাজি/শম্ভুজি/শাহজি) -কে স্বাধীন রাজা বলে মেনে নেন।

উত্তর: শিবাজি।

২.১৯ খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকে জাহাঙ্গির ও শাহজাহান    __________  (বাবর/হুমায়ুন/আকবর)-এর রাজপুত নীতিকেই অনুসরণ করেছিলেন।

উত্তর: আকবর

২.২০ উচ্চপদস্থ মনসবদারদের বলা হত  __________   (আমির/অমাত্য/জমিদার)।

উত্তর: আমির।

২.২১ আকবরকে ‘দহসালা’ ব্যবস্থা প্রচলন করতে সাহায্য করেছিলেন   __________    (বীরবল/টোডরমল/আবুল ফজল)।

উত্তর: টোডরমল।

২.২২ বাজারের তথ্য সরকারকে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল      __________       (কানুনগো/করোরী/জায়গির)-দের।

উত্তরঃ কানুনগো২(ক) শূন্যস্থান পূরণ করো (SAQ):

২.১ মুঘলরা নিজেদের    __________     (তৈমুরীয়/মোঙ্গলীয়/ইলবারি তুর্কি) বলে ভাবত। 

উত্তর: তৈমুরীয়।

২.২ ১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দে বাবর মাত্র বারো বছর বয়সে       __________       (গজনির/ফরগনা প্রদেশের/তুরস্কের) শাসনভার পান।

উত্তর: ফরগনা প্রদেশের।

২.৩ সফাবিরা ছিল      __________        (ইরানের ইরাকের/আরবের) একটি রাজবংশ।

উত্তর: ইরানের।

২.৪ বাবর ‘পাদশাহ’ উপাধি নিয়েছিল        __________   (১৫০৭/১৫২৬/১৫১৪) খ্রিস্টাব্দে।

উত্তর: ১৫০৭ খ্রিস্টাব্দে।

২.৫ বাবর ‘পাদশাহ’ উপাধি নেন       __________           (বেলুচিস্তান/লাহোর/কাবুল)-এ থাকার সময়। 

উত্তর: কাবুল।

২.৬ ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দে চৌসার যুদ্ধে হুমায়ুন পরাজিত হয়েছিলেন      __________       (ইব্রাহিম লোদি/সংগ্রাম সিংহ/শের খান)-এর কাছে। 

উত্তর: শের খান।

২.৭ শের শাহ কৃষককে      __________          (পাট্টা/কবুলিয়ত/দাগ) দিতেন।

উত্তর: পাট্টা।

২.৮ কৃষক রাজস্ব দেওয়ার কথা কবুল করে         __________      নামে একটি দলিল রাষ্ট্রকে দিত। (কবুলিয়ত/পাট্টা/হুলিয়া)

উত্তর: কবুলিয়ত।

২.৯ শের শাহ বাংলার সোনার গাঁ থেকে পেশোয়ার পর্যন্ত যে রাস্তা নির্মাণ করেন তার নাম ছিল      __________         (পেশোয়া রোড/সড়ক-ই আজম/মুঘল-ই আজম)। 

উত্তর: সড়ক-ই-আজম।

২.১০       __________         (হুমায়ুন/আকবর/শের শাহ) ঘোড়ার মাধ্যমে ডাক-যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করেছিলেন।

উত্তর: শের শাহ।

২.১১ রানা প্রতাপ সিংহের রাজধানী ছিল        __________         (চিতোর/ কুম্ভলগড়/বুন্দেলগড়)। 

উত্তর: কুম্ভলগড়।

২.১২       __________         (শের শাহের/আকবরের/শাহজাহানের) দরবারে বহু বিশিষ্ট মানুষদের মধ্যে ন-জনকে একত্রে বলা হত ‘নবরত্ন’।

উত্তর: আকবরের।

২.১৩ আকবর 

২.১৪ মুঘল বিরোধী বাংলার স্থানীয় হিন্দু জমিদার ও আফগানরা      __________     (বারো ভূঁইয়া/তেরো ভূঁইয়া/চোদ্দ ভূঁইয়া) নামে পরিচিত।

উত্তর: বারো ভূঁইয়া।

২.১৫     __________     (আকবর/জাহাঙ্গির/শাহজাহান)-এর আমলে মুঘলরা কান্দাহারের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায়।

উত্তর: শাহজাহান।

২.১৬   __________          (বাবর/আকবর/ঔরঙ্গজেব)-এর শাসনকালে দাক্ষিণাত্যের বিজাপুর ও গোলকোন্ডা মুঘলদের দখলে আসে।

উত্তর: ঔরঙ্গজেব।

২.১৭ মুঘলরা চট্টগ্রাম বন্দর দখল করে বাংলাকে  __________              (ফরাসি/ পোর্তুগিজ/ইংরেজ) জলদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা করে।

উত্তর: পোর্তুগিজ।

২.১৮ ‘ঔরঙ্গজেব মারাঠা নেতা       __________        (শিবাজি/শম্ভুজি/শাহজি) -কে স্বাধীন রাজা বলে মেনে নেন।

উত্তর: শিবাজি।

২.১৯ খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকে জাহাঙ্গির ও শাহজাহান      __________         (বাবর/হুমায়ুন/আকবর)-এর রাজপুত নীতিকেই অনুসরণ করেছিলেন।

উত্তর: আকবর

২.২০ উচ্চপদস্থ মনসবদারদের বলা হত        __________       (আমির/অমাত্য/জমিদার)।

উত্তর: আমির।

২.২১ আকবরকে ‘দহসালা’ ব্যবস্থা প্রচলন করতে সাহায্য করেছিলেন   __________     (বীরবল/টোডরমল/আবুল ফজল)।

উত্তর: টোডরমল।

২.২২ বাজারের তথ্য সরকারকে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল        __________     (কানুনগো/করোরী/জায়গির)-দের।

উত্তরঃ কানুনগো২(ক) শূন্যস্থান পূরণ করো (SAQ):

২.১ মুঘলরা নিজেদের    __________            (তৈমুরীয়/মোঙ্গলীয়/ইলবারি তুর্কি) বলে ভাবত। 

উত্তর: তৈমুরীয়।

২.২ ১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দে বাবর মাত্র বারো বছর বয়সে      __________        (গজনির/ফরগনা প্রদেশের/তুরস্কের) শাসনভার পান।

উত্তর: ফরগনা প্রদেশের।

২.৩ সফাবিরা ছিল    __________          (ইরানের ইরাকের/আরবের) একটি রাজবংশ।

উত্তর: ইরানের।

২.৪ বাবর ‘পাদশাহ’ উপাধি নিয়েছিল      __________            (১৫০৭/১৫২৬/১৫১৪) খ্রিস্টাব্দে।

উত্তর: ১৫০৭ খ্রিস্টাব্দে।

২.৫ বাবর ‘পাদশাহ’ উপাধি নেন       __________           (বেলুচিস্তান/লাহোর/কাবুল)-এ থাকার সময়। 

উত্তর: কাবুল।

২.৬ ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দে চৌসার যুদ্ধে হুমায়ুন পরাজিত হয়েছিলেন      __________       (ইব্রাহিম লোদি/সংগ্রাম সিংহ/শের খান)-এর কাছে। 

উত্তর: শের খান।

২.৭ শের শাহ কৃষককে        __________         (পাট্টা/কবুলিয়ত/দাগ) দিতেন।

উত্তর: পাট্টা।

২.৮ কৃষক রাজস্ব দেওয়ার কথা কবুল করে               নামে একটি দলিল রাষ্ট্রকে দিত। (কবুলিয়ত/পাট্টা/হুলিয়া)

উত্তর: কবুলিয়ত।

২.৯ শের শাহ বাংলার সোনার গাঁ থেকে পেশোয়ার পর্যন্ত যে রাস্তা নির্মাণ করেন তার নাম ছিল    __________           (পেশোয়া রোড/সড়ক-ই আজম/মুঘল-ই আজম)। 

উত্তর: সড়ক-ই-আজম।

২.১০           __________     (হুমায়ুন/আকবর/শের শাহ) ঘোড়ার মাধ্যমে ডাক-যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করেছিলেন।

উত্তর: শের শাহ।

২.১১ রানা প্রতাপ সিংহের রাজধানী ছিল        __________         (চিতোর/ কুম্ভলগড়/বুন্দেলগড়)। 

উত্তর: কুম্ভলগড়।

২.১২ __________      (শের শাহের/আকবরের/শাহজাহানের) দরবারে বহু বিশিষ্ট মানুষদের মধ্যে ন-জনকে একত্রে বলা হত ‘নবরত্ন’।

উত্তর: আকবরের।

২.১৩ আকবর  __________    (গোপাল দাস/কালিদাস/মহেশ দাস)-এর নাম দেন বীরবল।

উত্তর: মহেশ দাস।

২.১৪ মুঘল বিরোধী বাংলার স্থানীয় হিন্দু জমিদার ও আফগানরা      __________           (বারো ভূঁইয়া/তেরো ভূঁইয়া/চোদ্দ ভূঁইয়া) নামে পরিচিত।

উত্তর: বারো ভূঁইয়া।

২.১৫ __________  (আকবর/জাহাঙ্গির/শাহজাহান)-এর আমলে মুঘলরা কান্দাহারের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায়।

উত্তর: শাহজাহান।

২.১৬  __________       (বাবর/আকবর/ঔরঙ্গজেব)-এর শাসনকালে দাক্ষিণাত্যের বিজাপুর ও গোলকোন্ডা মুঘলদের দখলে আসে।

উত্তর: ঔরঙ্গজেব।

২.১৭ মুঘলরা চট্টগ্রাম বন্দর দখল করে বাংলাকে    __________       (ফরাসি/ পোর্তুগিজ/ইংরেজ) জলদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা করে।

উত্তর: পোর্তুগিজ।

২.১৮ ‘ঔরঙ্গজেব মারাঠা নেতা __________    (শিবাজি/শম্ভুজি/শাহজি) -কে স্বাধীন রাজা বলে মেনে নেন।

উত্তর: শিবাজি।

২.১৯ খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকে জাহাঙ্গির ও শাহজাহান      __________        (বাবর/হুমায়ুন/আকবর)-এর রাজপুত নীতিকেই অনুসরণ করেছিলেন।

উত্তর: আকবর

২.২০ উচ্চপদস্থ মনসবদারদের বলা হত      __________          (আমির/অমাত্য/জমিদার)।

উত্তর: আমির।

২.২১ আকবরকে ‘দহসালা’ ব্যবস্থা প্রচলন করতে সাহায্য করেছিলেন   __________    (বীরবল/টোডরমল/আবুল ফজল)।

উত্তর: টোডরমল।

২.২২ বাজারের তথ্য সরকারকে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল        __________     (কানুনগো/করোরী/জায়গির)-দের।

উত্তরঃ কানুনগো_২(ক) শূন্যস্থান পূরণ করো (SAQ):

২.১ মুঘলরা নিজেদের __________     (তৈমুরীয়/মোঙ্গলীয়/ইলবারি তুর্কি) বলে ভাবত। 

উত্তর: তৈমুরীয়।

২.২ ১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দে বাবর মাত্র বারো বছর বয়সে      __________        (গজনির/ফরগনা প্রদেশের/তুরস্কের) শাসনভার পান।

উত্তর: ফরগনা প্রদেশের।

২.৩ সফাবিরা ছিল    __________          (ইরানের ইরাকের/আরবের) একটি রাজবংশ।

উত্তর: ইরানের।

২.৪ বাবর ‘পাদশাহ’ উপাধি নিয়েছিল    __________    (১৫০৭/১৫২৬/১৫১৪) খ্রিস্টাব্দে।

উত্তর: ১৫০৭ খ্রিস্টাব্দে।

২.৫ বাবর ‘পাদশাহ’ উপাধি নেন         __________        (বেলুচিস্তান/লাহোর/কাবুল)-এ থাকার সময়। 

উত্তর: কাবুল।

২.৬ ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দে চৌসার যুদ্ধে হুমায়ুন পরাজিত হয়েছিলেন      __________       (ইব্রাহিম লোদি/সংগ্রাম সিংহ/শের খান)-এর কাছে। 

উত্তর: শের খান।

২.৭ শের শাহ কৃষককে    __________             (পাট্টা/কবুলিয়ত/দাগ) দিতেন।

উত্তর: পাট্টা।

২.৮ কৃষক রাজস্ব দেওয়ার কথা কবুল করে       __________         নামে একটি দলিল রাষ্ট্রকে দিত। (কবুলিয়ত/পাট্টা/হুলিয়া)

উত্তর: কবুলিয়ত।

২.৯ শের শাহ বাংলার সোনার গাঁ থেকে পেশোয়ার পর্যন্ত যে রাস্তা নির্মাণ করেন তার নাম ছিল      __________         (পেশোয়া রোড/সড়ক-ই আজম/মুঘল-ই আজম)। 

উত্তর: সড়ক-ই-আজম।

২.১০     __________          (হুমায়ুন/আকবর/শের শাহ) ঘোড়ার মাধ্যমে ডাক-যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করেছিলেন।

উত্তর: শের শাহ।

২.১১ রানা প্রতাপ সিংহের রাজধানী ছিল       __________          (চিতোর/ কুম্ভলগড়/বুন্দেলগড়)। 

উত্তর: কুম্ভলগড়।

২.১২         __________       (শের শাহের/আকবরের/শাহজাহানের) দরবারে বহু বিশিষ্ট মানুষদের মধ্যে ন-জনকে একত্রে বলা হত ‘নবরত্ন’।

উত্তর: আকবরের।

২.১৩ আকবর              __________     (গোপাল দাস/কালিদাস/মহেশ দাস)-এর নাম দেন বীরবল।

উত্তর: মহেশ দাস।

২.১৪ মুঘল বিরোধী বাংলার স্থানীয় হিন্দু জমিদার ও আফগানরা        __________         (বারো ভূঁইয়া/তেরো ভূঁইয়া/চোদ্দ ভূঁইয়া) নামে পরিচিত।

উত্তর: বারো ভূঁইয়া।

২.১৫         __________        (আকবর/জাহাঙ্গির/শাহজাহান)-এর আমলে মুঘলরা কান্দাহারের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায়।

উত্তর: শাহজাহান।

২.১৬       __________           (বাবর/আকবর/ঔরঙ্গজেব)-এর শাসনকালে দাক্ষিণাত্যের বিজাপুর ও গোলকোন্ডা মুঘলদের দখলে আসে।

উত্তর: ঔরঙ্গজেব।

২.১৭ মুঘলরা চট্টগ্রাম বন্দর দখল করে বাংলাকে  __________              (ফরাসি/ পোর্তুগিজ/ইংরেজ) জলদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা করে।

উত্তর: পোর্তুগিজ।

২.১৮ ‘ঔরঙ্গজেব মারাঠা নেতা           __________     (শিবাজি/শম্ভুজি/শাহজি) -কে স্বাধীন রাজা বলে মেনে নেন।

উত্তর: শিবাজি।

২.১৯ খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকে জাহাঙ্গির ও শাহজাহান        __________       (বাবর/হুমায়ুন/আকবর)-এর রাজপুত নীতিকেই অনুসরণ করেছিলেন।

উত্তর: আকবর

২.২০ উচ্চপদস্থ মনসবদারদের বলা হত        __________        (আমির/অমাত্য/জমিদার)।

উত্তর: আমির।

২.২১ আকবরকে ‘দহসালা’ ব্যবস্থা প্রচলন করতে সাহায্য করেছিলেন     __________   (বীরবল/টোডরমল/আবুল ফজল)।

উত্তর: টোডরমল।

২.২২ বাজারের তথ্য সরকারকে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল    __________        (কানুনগো/করোরী/জায়গির)-দের।

উত্তরঃ কানুনগো_২(ক) শূন্যস্থান পূরণ করো (SAQ):

২.১ মুঘলরা নিজেদের            __________    (তৈমুরীয়/মোঙ্গলীয়/ইলবারি তুর্কি) বলে ভাবত। 

উত্তর: তৈমুরীয়।

২.২ ১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দে বাবর মাত্র বারো বছর বয়সে      __________        (গজনির/ফরগনা প্রদেশের/তুরস্কের) শাসনভার পান।

উত্তর: ফরগনা প্রদেশের।

২.৩ সফাবিরা ছিল          __________    (ইরানের ইরাকের/আরবের) একটি রাজবংশ।

উত্তর: ইরানের।

২.৪ বাবর ‘পাদশাহ’ উপাধি নিয়েছিল      __________             (১৫০৭/১৫২৬/১৫১৪) খ্রিস্টাব্দে।

উত্তর: ১৫০৭ খ্রিস্টাব্দে।

২.৫ বাবর ‘পাদশাহ’ উপাধি নেন       __________           (বেলুচিস্তান/লাহোর/কাবুল)-এ থাকার সময়। 

উত্তর: কাবুল।

২.৬ ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দে চৌসার যুদ্ধে হুমায়ুন পরাজিত হয়েছিলেন      __________       (ইব্রাহিম লোদি/সংগ্রাম সিংহ/শের খান)-এর কাছে। 

উত্তর: শের খান।

২.৭ শের শাহ কৃষককে          __________      (পাট্টা/কবুলিয়ত/দাগ) দিতেন।

উত্তর: পাট্টা।

২.৮ কৃষক রাজস্ব দেওয়ার কথা কবুল করে       __________         নামে একটি দলিল রাষ্ট্রকে দিত। (কবুলিয়ত/পাট্টা/হুলিয়া)

উত্তর: কবুলিয়ত।

২.৯ শের শাহ বাংলার সোনার গাঁ থেকে পেশোয়ার পর্যন্ত যে রাস্তা নির্মাণ করেন তার নাম ছিল    __________          (পেশোয়া রোড/সড়ক-ই আজম/মুঘল-ই আজম)। 

উত্তর: সড়ক-ই-আজম।

২.১০ __________    (হুমায়ুন/আকবর/শের শাহ) ঘোড়ার মাধ্যমে ডাক-যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করেছিলেন।

উত্তর: শের শাহ।

২.১১ রানা প্রতাপ সিংহের রাজধানী ছিল __________    (চিতোর/ কুম্ভলগড়/বুন্দেলগড়)। 

উত্তর: কুম্ভলগড়।

২.১২         __________       (শের শাহের/আকবরের/শাহজাহানের) দরবারে বহু বিশিষ্ট মানুষদের মধ্যে ন-জনকে একত্রে বলা হত ‘নবরত্ন’।

উত্তর: আকবরের।

২.১৩ আকবর        __________           (গোপাল দাস/কালিদাস/মহেশ দাস)-এর নাম দেন বীরবল।

উত্তর: মহেশ দাস।

২.১৪ মুঘল বিরোধী বাংলার স্থানীয় হিন্দু জমিদার ও আফগানরা        __________        (বারো ভূঁইয়া/তেরো ভূঁইয়া/চোদ্দ ভূঁইয়া) নামে পরিচিত।

উত্তর: বারো ভূঁইয়া।

২.১৫     __________   (আকবর/জাহাঙ্গির/শাহজাহান)-এর আমলে মুঘলরা কান্দাহারের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায়।

উত্তর: শাহজাহান।

২.১৬   __________      (বাবর/আকবর/ঔরঙ্গজেব)-এর শাসনকালে দাক্ষিণাত্যের বিজাপুর ও গোলকোন্ডা মুঘলদের দখলে আসে।

উত্তর: ঔরঙ্গজেব।

২.১৭ মুঘলরা চট্টগ্রাম বন্দর দখল করে বাংলাকে ____

২.১ মুঘলরা নিজেদের      __________           (তৈমুরীয়/মোঙ্গলীয়/ইলবারি তুর্কি) বলে ভাবত। 

উত্তর: তৈমুরীয়।

২.২ ১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দে বাবর মাত্র বারো বছর বয়সে    __________          (গজনির/ফরগনা প্রদেশের/তুরস্কের) শাসনভার পান।

উত্তর: ফরগনা প্রদেশের।

২.৩ সফাবিরা ছিল        __________      (ইরানের ইরাকের/আরবের) একটি রাজবংশ।

উত্তর: ইরানের।

২.৪ বাবর ‘পাদশাহ’ উপাধি নিয়েছিল    __________  (১৫০৭/১৫২৬/১৫১৪) খ্রিস্টাব্দে।

উত্তর: ১৫০৭ খ্রিস্টাব্দে।

২.৫ বাবর ‘পাদশাহ’ উপাধি নেন   __________    (বেলুচিস্তান/লাহোর/কাবুল)-এ থাকার সময়। 

উত্তর: কাবুল।

২.৬ ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দে চৌসার যুদ্ধে হুমায়ুন পরাজিত হয়েছিলেন  __________     (ইব্রাহিম লোদি/সংগ্রাম সিংহ/শের খান)-এর কাছে। 

উত্তর: শের খান।

২.৭ শের শাহ কৃষককে          __________       (পাট্টা/কবুলিয়ত/দাগ) দিতেন।

উত্তর: পাট্টা।

২.৮ কৃষক রাজস্ব দেওয়ার কথা কবুল করে       __________        নামে একটি দলিল রাষ্ট্রকে দিত। (কবুলিয়ত/পাট্টা/হুলিয়া)

উত্তর: কবুলিয়ত।

২.৯ শের শাহ বাংলার সোনার গাঁ থেকে পেশোয়ার পর্যন্ত যে রাস্তা নির্মাণ করেন তার নাম ছিল      __________         (পেশোয়া রোড/সড়ক-ই আজম/মুঘল-ই আজম)। 

উত্তর: সড়ক-ই-আজম।

২.১০       __________         (হুমায়ুন/আকবর/শের শাহ) ঘোড়ার মাধ্যমে ডাক-যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করেছিলেন।

উত্তর: শের শাহ।

২.১১ রানা প্রতাপ সিংহের রাজধানী ছিল         __________        (চিতোর/ কুম্ভলগড়/বুন্দেলগড়)। 

উত্তর: কুম্ভলগড়।

২.১২       __________        (শের শাহের/আকবরের/শাহজাহানের) দরবারে বহু বিশিষ্ট মানুষদের মধ্যে ন-জনকে একত্রে বলা হত ‘নবরত্ন’।

উত্তর: আকবরের।

২.১৩ আকবর      __________            (গোপাল দাস/কালিদাস/মহেশ দাস)-এর নাম দেন বীরবল।

উত্তর: মহেশ দাস।

২.১৪ মুঘল বিরোধী বাংলার স্থানীয় হিন্দু জমিদার ও আফগানরা            __________     (বারো ভূঁইয়া/তেরো ভূঁইয়া/চোদ্দ ভূঁইয়া) নামে পরিচিত।

উত্তর: বারো ভূঁইয়া।

২.১৫         __________         (আকবর/জাহাঙ্গির/শাহজাহান)-এর আমলে মুঘলরা কান্দাহারের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায়।

উত্তর: শাহজাহান।

২.১৬     __________            (বাবর/আকবর/ঔরঙ্গজেব)-এর শাসনকালে দাক্ষিণাত্যের বিজাপুর ও গোলকোন্ডা মুঘলদের দখলে আসে।

উত্তর: ঔরঙ্গজেব।

২.১৭ মুঘলরা চট্টগ্রাম বন্দর দখল করে বাংলাকে    __________             (ফরাসি/ পোর্তুগিজ/ইংরেজ) জলদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা করে।

উত্তর: পোর্তুগিজ।

২.১৮ ‘ঔরঙ্গজেব মারাঠা নেতা         __________       (শিবাজি/শম্ভুজি/শাহজি) -কে স্বাধীন রাজা বলে মেনে নেন।

উত্তর: শিবাজি।

২.১৯ খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকে জাহাঙ্গির ও শাহজাহান      __________         (বাবর/হুমায়ুন/আকবর)-এর রাজপুত নীতিকেই অনুসরণ করেছিলেন।

উত্তর: আকবর

২.২০ উচ্চপদস্থ মনসবদারদের বলা হত      __________         (আমির/অমাত্য/জমিদার)।

উত্তর: আমির।

২.২১ আকবরকে ‘দহসালা’ ব্যবস্থা প্রচলন করতে সাহায্য করেছিলেন   __________    (বীরবল/টোডরমল/আবুল ফজল)।

উত্তর: টোডরমল।

২.২২ বাজারের তথ্য সরকারকে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল  __________           (কানুনগো/করোরী/জায়গির)-দের।

উত্তরঃ কানুনগো_______    (ফরাসি/ পোর্তুগিজ/ইংরেজ) জলদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা করে।

উত্তর: পোর্তুগিজ।

২.১৮ ‘ঔরঙ্গজেব মারাঠা নেতা         __________      (শিবাজি/শম্ভুজি/শাহজি) -কে স্বাধীন রাজা বলে মেনে নেন।

উত্তর: শিবাজি।

২.১৯ খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকে জাহাঙ্গির ও শাহজাহান    __________           (বাবর/হুমায়ুন/আকবর)-এর রাজপুত নীতিকেই অনুসরণ করেছিলেন।

উত্তর: আকবর

২.২০ উচ্চপদস্থ মনসবদারদের বলা হত        __________       (আমির/অমাত্য/জমিদার)।

উত্তর: আমির।

২.২১ আকবরকে ‘দহসালা’ ব্যবস্থা প্রচলন করতে সাহায্য করেছিলেন   __________     (বীরবল/টোডরমল/আবুল ফজল)।

উত্তর: টোডরমল।

২.২২ বাজারের তথ্য সরকারকে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল      __________       (কানুনগো/করোরী/জায়গির)-দের।

উত্তরঃ কানুনগো২(ক) শূন্যস্থান পূরণ করো (SAQ):

২.১ মুঘলরা নিজেদের    __________       (তৈমুরীয়/মোঙ্গলীয়/ইলবারি তুর্কি) বলে ভাবত। 

উত্তর: তৈমুরীয়।

২.২ ১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দে বাবর মাত্র বারো বছর বয়সে       __________       (গজনির/ফরগনা প্রদেশের/তুরস্কের) শাসনভার পান।

উত্তর: ফরগনা প্রদেশের।

২.৩ সফাবিরা ছিল      __________        (ইরানের ইরাকের/আরবের) একটি রাজবংশ।

উত্তর: ইরানের।

২.৪ বাবর ‘পাদশাহ’ উপাধি নিয়েছিল      __________            (১৫০৭/১৫২৬/১৫১৪) খ্রিস্টাব্দে।

উত্তর: ১৫০৭ খ্রিস্টাব্দে।

২.৫ বাবর ‘পাদশাহ’ উপাধি নেন    __________      (বেলুচিস্তান/লাহোর/কাবুল)-এ থাকার সময়। 

উত্তর: কাবুল।

২.৬ ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দে চৌসার যুদ্ধে হুমায়ুন পরাজিত হয়েছিলেন    __________        (ইব্রাহিম লোদি/সংগ্রাম সিংহ/শের খান)-এর কাছে। 

উত্তর: শের খান।

২.৭ শের শাহ কৃষককে        __________         (পাট্টা/কবুলিয়ত/দাগ) দিতেন।

উত্তর: পাট্টা।

২.৮ কৃষক রাজস্ব দেওয়ার কথা কবুল করে     __________      নামে একটি দলিল রাষ্ট্রকে দিত। (কবুলিয়ত/পাট্টা/হুলিয়া)

উত্তর: কবুলিয়ত।

২.৯ শের শাহ বাংলার সোনার গাঁ থেকে পেশোয়ার পর্যন্ত যে রাস্তা নির্মাণ করেন তার নাম ছিল      __________        (পেশোয়া রোড/সড়ক-ই আজম/মুঘল-ই আজম)। 

উত্তর: সড়ক-ই-আজম।

২.১০     __________          (হুমায়ুন/আকবর/শের শাহ) ঘোড়ার মাধ্যমে ডাক-যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করেছিলেন।

উত্তর: শের শাহ।

২.১১ রানা প্রতাপ সিংহের রাজধানী ছিল         __________        (চিতোর/ কুম্ভলগড়/বুন্দেলগড়)। 

উত্তর: কুম্ভলগড়।

২.১২     __________          (শের শাহের/আকবরের/শাহজাহানের) দরবারে বহু বিশিষ্ট মানুষদের মধ্যে ন-জনকে একত্রে বলা হত ‘নবরত্ন’।

উত্তর: আকবরের।

২.১৩ আকবর      __________            (গোপাল দাস/কালিদাস/মহেশ দাস)-এর নাম দেন বীরবল।

উত্তর: মহেশ দাস।

২.১৪ মুঘল বিরোধী বাংলার স্থানীয় হিন্দু জমিদার ও আফগানরা        __________         (বারো ভূঁইয়া/তেরো ভূঁইয়া/চোদ্দ ভূঁইয়া) নামে পরিচিত।

উত্তর: বারো ভূঁইয়া।

২.১৫                 (আকবর/জাহাঙ্গির/শাহজাহান)-এর আমলে মুঘলরা কান্দাহারের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায়।

উত্তর: শাহজাহান।

২.১৬                 (বাবর/আকবর/ঔরঙ্গজেব)-এর শাসনকালে দাক্ষিণাত্যের বিজাপুর ও গোলকোন্ডা মুঘলদের দখলে আসে।

উত্তর: ঔরঙ্গজেব।

২.১৭ মুঘলরা চট্টগ্রাম বন্দর দখল করে বাংলাকে                (ফরাসি/ পোর্তুগিজ/ইংরেজ) জলদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা করে।

উত্তর: পোর্তুগিজ।

২.১৮ ‘ঔরঙ্গজেব মারাঠা নেতা               (শিবাজি/শম্ভুজি/শাহজি) -কে স্বাধীন রাজা বলে মেনে নেন।

উত্তর: শিবাজি।

২.১৯ খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকে জাহাঙ্গির ও শাহজাহান              (বাবর/হুমায়ুন/আকবর)-এর রাজপুত নীতিকেই অনুসরণ করেছিলেন।

উত্তর: আকবর

২.২০ উচ্চপদস্থ মনসবদারদের বলা হত               (আমির/অমাত্য/জমিদার)।

উত্তর: আমির।

২.২১ আকবরকে ‘দহসালা’ ব্যবস্থা প্রচলন করতে সাহায্য করেছিলেন       (বীরবল/টোডরমল/আবুল ফজল)।

উত্তর: টোডরমল।

২.২২ বাজারের তথ্য সরকারকে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল            (কানুনগো/করোরী/জায়গির)-দের।

উত্তরঃ কানুনগো২(ক) শূন্যস্থান পূরণ করো (SAQ):

২.১ মুঘলরা নিজেদের                (তৈমুরীয়/মোঙ্গলীয়/ইলবারি তুর্কি) বলে ভাবত। 

উত্তর: তৈমুরীয়।

২.২ ১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দে বাবর মাত্র বারো বছর বয়সে             (গজনির/ফরগনা প্রদেশের/তুরস্কের) শাসনভার পান।

উত্তর: ফরগনা প্রদেশের।

২.৩ সফাবিরা ছিল              (ইরানের ইরাকের/আরবের) একটি রাজবংশ।

উত্তর: ইরানের।

২.৪ বাবর ‘পাদশাহ’ উপাধি নিয়েছিল                  (১৫০৭/১৫২৬/১৫১৪) খ্রিস্টাব্দে।

উত্তর: ১৫০৭ খ্রিস্টাব্দে।

২.৫ বাবর ‘পাদশাহ’ উপাধি নেন                 (বেলুচিস্তান/লাহোর/কাবুল)-এ থাকার সময়। 

উত্তর: কাবুল।

২.৬ ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দে চৌসার যুদ্ধে হুমায়ুন পরাজিত হয়েছিলেন            (ইব্রাহিম লোদি/সংগ্রাম সিংহ/শের খান)-এর কাছে। 

উত্তর: শের খান।

২.৭ শের শাহ কৃষককে                (পাট্টা/কবুলিয়ত/দাগ) দিতেন।

উত্তর: পাট্টা।

২.৮ কৃষক রাজস্ব দেওয়ার কথা কবুল করে               নামে একটি দলিল রাষ্ট্রকে দিত। (কবুলিয়ত/পাট্টা/হুলিয়া)

উত্তর: কবুলিয়ত।

২.৯ শের শাহ বাংলার সোনার গাঁ থেকে পেশোয়ার পর্যন্ত যে রাস্তা নির্মাণ করেন তার নাম ছিল              (পেশোয়া রোড/সড়ক-ই আজম/মুঘল-ই আজম)। 

উত্তর: সড়ক-ই-আজম।

২.১০               (হুমায়ুন/আকবর/শের শাহ) ঘোড়ার মাধ্যমে ডাক-যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করেছিলেন।

উত্তর: শের শাহ।

২.১১ রানা প্রতাপ সিংহের রাজধানী ছিল                (চিতোর/ কুম্ভলগড়/বুন্দেলগড়)। 

উত্তর: কুম্ভলগড়।

২.১২               (শের শাহের/আকবরের/শাহজাহানের) দরবারে বহু বিশিষ্ট মানুষদের মধ্যে ন-জনকে একত্রে বলা হত ‘নবরত্ন’।

উত্তর: আকবরের।

২.১৩ আকবর                  (গোপাল দাস/কালিদাস/মহেশ দাস)-এর নাম দেন বীরবল।

উত্তর: মহেশ দাস।

২.১৪ মুঘল বিরোধী বাংলার স্থানীয় হিন্দু জমিদার ও আফগানরা                (বারো ভূঁইয়া/তেরো ভূঁইয়া/চোদ্দ ভূঁইয়া) নামে পরিচিত।

উত্তর: বারো ভূঁইয়া।

২.১৫                 (আকবর/জাহাঙ্গির/শাহজাহান)-এর আমলে মুঘলরা কান্দাহারের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায়।

উত্তর: শাহজাহান।

২.১৬                 (বাবর/আকবর/ঔরঙ্গজেব)-এর শাসনকালে দাক্ষিণাত্যের বিজাপুর ও গোলকোন্ডা মুঘলদের দখলে আসে।

উত্তর: ঔরঙ্গজেব।

২.১৭ মুঘলরা চট্টগ্রাম বন্দর দখল করে বাংলাকে                (ফরাসি/ পোর্তুগিজ/ইংরেজ) জলদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা করে।

উত্তর: পোর্তুগিজ।

২.১৮ ‘ঔরঙ্গজেব মারাঠা নেতা               (শিবাজি/শম্ভুজি/শাহজি) -কে স্বাধীন রাজা বলে মেনে নেন।

উত্তর: শিবাজি।

২.১৯ খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকে জাহাঙ্গির ও শাহজাহান              (বাবর/হুমায়ুন/আকবর)-এর রাজপুত নীতিকেই অনুসরণ করেছিলেন।

উত্তর: আকবর

২.২০ উচ্চপদস্থ মনসবদারদের বলা হত               (আমির/অমাত্য/জমিদার)।

উত্তর: আমির।

২.২১ আকবরকে ‘দহসালা’ ব্যবস্থা প্রচলন করতে সাহায্য করেছিলেন       (বীরবল/টোডরমল/আবুল ফজল)।

উত্তর: টোডরমল।

২.২২ বাজারের তথ্য সরকারকে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল            (কানুনগো/করোরী/জায়গির)-দের।

উত্তরঃ কানুনগো২(ক) শূন্যস্থান পূরণ করো (SAQ):

২.১ মুঘলরা নিজেদের                (তৈমুরীয়/মোঙ্গলীয়/ইলবারি তুর্কি) বলে ভাবত। 

উত্তর: তৈমুরীয়।

২.২ ১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দে বাবর মাত্র বারো বছর বয়সে             (গজনির/ফরগনা প্রদেশের/তুরস্কের) শাসনভার পান।

উত্তর: ফরগনা প্রদেশের।

২.৩ সফাবিরা ছিল              (ইরানের ইরাকের/আরবের) একটি রাজবংশ।

উত্তর: ইরানের।

২.৪ বাবর ‘পাদশাহ’ উপাধি নিয়েছিল                  (১৫০৭/১৫২৬/১৫১৪) খ্রিস্টাব্দে।

উত্তর: ১৫০৭ খ্রিস্টাব্দে।

২.৫ বাবর ‘পাদশাহ’ উপাধি নেন                 (বেলুচিস্তান/লাহোর/কাবুল)-এ থাকার সময়। 

উত্তর: কাবুল।

২.৬ ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দে চৌসার যুদ্ধে হুমায়ুন পরাজিত হয়েছিলেন            (ইব্রাহিম লোদি/সংগ্রাম সিংহ/শের খান)-এর কাছে। 

উত্তর: শের খান।

২.৭ শের শাহ কৃষককে                (পাট্টা/কবুলিয়ত/দাগ) দিতেন।

উত্তর: পাট্টা।

২.৮ কৃষক রাজস্ব দেওয়ার কথা কবুল করে               নামে একটি দলিল রাষ্ট্রকে দিত। (কবুলিয়ত/পাট্টা/হুলিয়া)

উত্তর: কবুলিয়ত।

২.৯ শের শাহ বাংলার সোনার গাঁ থেকে পেশোয়ার পর্যন্ত যে রাস্তা নির্মাণ করেন তার নাম ছিল              (পেশোয়া রোড/সড়ক-ই আজম/মুঘল-ই আজম)। 

উত্তর: সড়ক-ই-আজম।

২.১০               (হুমায়ুন/আকবর/শের শাহ) ঘোড়ার মাধ্যমে ডাক-যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করেছিলেন।

উত্তর: শের শাহ।

২.১১ রানা প্রতাপ সিংহের রাজধানী ছিল                (চিতোর/ কুম্ভলগড়/বুন্দেলগড়)। 

উত্তর: কুম্ভলগড়।

২.১২               (শের শাহের/আকবরের/শাহজাহানের) দরবারে বহু বিশিষ্ট মানুষদের মধ্যে ন-জনকে একত্রে বলা হত ‘নবরত্ন’।

উত্তর: আকবরের।

২.১৩ আকবর                  (গোপাল দাস/কালিদাস/মহেশ দাস)-এর নাম দেন বীরবল।

উত্তর: মহেশ দাস।

২.১৪ মুঘল বিরোধী বাংলার স্থানীয় হিন্দু জমিদার ও আফগানরা                (বারো ভূঁইয়া/তেরো ভূঁইয়া/চোদ্দ ভূঁইয়া) নামে পরিচিত।

উত্তর: বারো ভূঁইয়া।

২.১৫                 (আকবর/জাহাঙ্গির/শাহজাহান)-এর আমলে মুঘলরা কান্দাহারের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায়।

উত্তর: শাহজাহান।

২.১৬                 (বাবর/আকবর/ঔরঙ্গজেব)-এর শাসনকালে দাক্ষিণাত্যের বিজাপুর ও গোলকোন্ডা মুঘলদের দখলে আসে।

উত্তর: ঔরঙ্গজেব।

২.১৭ মুঘলরা চট্টগ্রাম বন্দর দখল করে বাংলাকে                (ফরাসি/ পোর্তুগিজ/ইংরেজ) জলদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা করে।

উত্তর: পোর্তুগিজ।

২.১৮ ‘ঔরঙ্গজেব মারাঠা নেতা               (শিবাজি/শম্ভুজি/শাহজি) -কে স্বাধীন রাজা বলে মেনে নেন।

উত্তর: শিবাজি।

২.১৯ খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকে জাহাঙ্গির ও শাহজাহান              (বাবর/হুমায়ুন/আকবর)-এর রাজপুত নীতিকেই অনুসরণ করেছিলেন।

উত্তর: আকবর

২.২০ উচ্চপদস্থ মনসবদারদের বলা হত               (আমির/অমাত্য/জমিদার)।

উত্তর: আমির।

২.২১ আকবরকে ‘দহসালা’ ব্যবস্থা প্রচলন করতে সাহায্য করেছিলেন       (বীরবল/টোডরমল/আবুল ফজল)।

উত্তর: টোডরমল।

২.২২ বাজারের তথ্য সরকারকে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল            (কানুনগো/করোরী/জায়গির)-দের।

উত্তরঃ কানুনগো             (গজনির/ফরগনা প্রদেশের/তুরস্কের) শাসনভার পান।

উত্তর: ফরগনা প্রদেশের।

২.৩ সফাবিরা ছিল              (ইরানের ইরাকের/আরবের) একটি রাজবংশ।

উত্তর: ইরানের।

২.৪ বাবর ‘পাদশাহ’ উপাধি নিয়েছিল                  (১৫০৭/১৫২৬/১৫১৪) খ্রিস্টাব্দে।

উত্তর: ১৫০৭ খ্রিস্টাব্দে।

২.৫ বাবর ‘পাদশাহ’ উপাধি নেন                 (বেলুচিস্তান/লাহোর/কাবুল)-এ থাকার সময়। 

উত্তর: কাবুল।

২.৬ ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দে চৌসার যুদ্ধে হুমায়ুন পরাজিত হয়েছিলেন            (ইব্রাহিম লোদি/সংগ্রাম সিংহ/শের খান)-এর কাছে। 

উত্তর: শের খান।

২.৭ শের শাহ কৃষককে                (পাট্টা/কবুলিয়ত/দাগ) দিতেন।

উত্তর: পাট্টা।

২.৮ কৃষক রাজস্ব দেওয়ার কথা কবুল করে               নামে একটি দলিল রাষ্ট্রকে দিত। (কবুলিয়ত/পাট্টা/হুলিয়া)

উত্তর: কবুলিয়ত।

২.৯ শের শাহ বাংলার সোনার গাঁ থেকে পেশোয়ার পর্যন্ত যে রাস্তা নির্মাণ করেন তার নাম ছিল              (পেশোয়া রোড/সড়ক-ই আজম/মুঘল-ই আজম)। 

উত্তর: সড়ক-ই-আজম।

২.১০               (হুমায়ুন/আকবর/শের শাহ) ঘোড়ার মাধ্যমে ডাক-যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করেছিলেন।

উত্তর: শের শাহ।

২.১১ রানা প্রতাপ সিংহের রাজধানী ছিল                (চিতোর/ কুম্ভলগড়/বুন্দেলগড়)। 

উত্তর: কুম্ভলগড়।

২.১২               (শের শাহের/আকবরের/শাহজাহানের) দরবারে বহু বিশিষ্ট মানুষদের মধ্যে ন-জনকে একত্রে বলা হত ‘নবরত্ন’।

উত্তর: আকবরের।

২.১৩ আকবর                  (গোপাল দাস/কালিদাস/মহেশ দাস)-এর নাম দেন বীরবল।

উত্তর: মহেশ দাস।

২.১৪ মুঘল বিরোধী বাংলার স্থানীয় হিন্দু জমিদার ও আফগানরা                (বারো ভূঁইয়া/তেরো ভূঁইয়া/চোদ্দ ভূঁইয়া) নামে পরিচিত।

উত্তর: বারো ভূঁইয়া।

২.১৫                 (আকবর/জাহাঙ্গির/শাহজাহান)-এর আমলে মুঘলরা কান্দাহারের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায়।

উত্তর: শাহজাহান।

২.১৬                 (বাবর/আকবর/ঔরঙ্গজেব)-এর শাসনকালে দাক্ষিণাত্যের বিজাপুর ও গোলকোন্ডা মুঘলদের দখলে আসে।

উত্তর: ঔরঙ্গজেব।

২.১৭ মুঘলরা চট্টগ্রাম বন্দর দখল করে বাংলাকে                (ফরাসি/ পোর্তুগিজ/ইংরেজ) জলদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা করে।

উত্তর: পোর্তুগিজ।

২.১৮ ‘ঔরঙ্গজেব মারাঠা নেতা               (শিবাজি/শম্ভুজি/শাহজি) -কে স্বাধীন রাজা বলে মেনে নেন।

উত্তর: শিবাজি।

২.১৯ খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকে জাহাঙ্গির ও শাহজাহান              (বাবর/হুমায়ুন/আকবর)-এর রাজপুত নীতিকেই অনুসরণ করেছিলেন।

উত্তর: আকবর

২.২০ উচ্চপদস্থ মনসবদারদের বলা হত               (আমির/অমাত্য/জমিদার)।

উত্তর: আমির।

২.২১ আকবরকে ‘দহসালা’ ব্যবস্থা প্রচলন করতে সাহায্য করেছিলেন       (বীরবল/টোডরমল/আবুল ফজল)।

উত্তর: টোডরমল।

২.২২ বাজারের তথ্য সরকারকে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল            (কানুনগো/করোরী/জায়গির)-দের।

উত্তরঃ কানুনগো (তৈমুরীয়/মোঙ্গলীয়/ইলবারি তুর্কি) বলে ভাবত। 

উত্তর: তৈমুরীয়।

২.২ ১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দে বাবর মাত্র বারো বছর বয়সে             (গজনির/ফরগনা প্রদেশের/তুরস্কের) শাসনভার পান।

উত্তর: ফরগনা প্রদেশের।

২.৩ সফাবিরা ছিল              (ইরানের ইরাকের/আরবের) একটি রাজবংশ।

উত্তর: ইরানের।

২.৪ বাবর ‘পাদশাহ’ উপাধি নিয়েছিল                  (১৫০৭/১৫২৬/১৫১৪) খ্রিস্টাব্দে।

উত্তর: ১৫০৭ খ্রিস্টাব্দে।

২.৫ বাবর ‘পাদশাহ’ উপাধি নেন                 (বেলুচিস্তান/লাহোর/কাবুল)-এ থাকার সময়। 

উত্তর: কাবুল।

২.৬ ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দে চৌসার যুদ্ধে হুমায়ুন পরাজিত হয়েছিলেন            (ইব্রাহিম লোদি/সংগ্রাম সিংহ/শের খান)-এর কাছে। 

উত্তর: শের খান।

২.৭ শের শাহ কৃষককে                (পাট্টা/কবুলিয়ত/দাগ) দিতেন।

উত্তর: পাট্টা।

২.৮ কৃষক রাজস্ব দেওয়ার কথা কবুল করে               নামে একটি দলিল রাষ্ট্রকে দিত। (কবুলিয়ত/পাট্টা/হুলিয়া)

উত্তর: কবুলিয়ত।

২.৯ শের শাহ বাংলার সোনার গাঁ থেকে পেশোয়ার পর্যন্ত যে রাস্তা নির্মাণ করেন তার নাম ছিল              (পেশোয়া রোড/সড়ক-ই আজম/মুঘল-ই আজম)। 

উত্তর: সড়ক-ই-আজম।

২.১০               (হুমায়ুন/আকবর/শের শাহ) ঘোড়ার মাধ্যমে ডাক-যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করেছিলেন।

উত্তর: শের শাহ।

২.১১ রানা প্রতাপ সিংহের রাজধানী ছিল                (চিতোর/ কুম্ভলগড়/বুন্দেলগড়)। 

উত্তর: কুম্ভলগড়।

২.১২               (শের শাহের/আকবরের/শাহজাহানের) দরবারে বহু বিশিষ্ট মানুষদের মধ্যে ন-জনকে একত্রে বলা হত ‘নবরত্ন’।

উত্তর: আকবরের।

২.১৩ আকবর                  (গোপাল দাস/কালিদাস/মহেশ দাস)-এর নাম দেন বীরবল।

উত্তর: মহেশ দাস।

২.১৪ মুঘল বিরোধী বাংলার স্থানীয় হিন্দু জমিদার ও আফগানরা                (বারো ভূঁইয়া/তেরো ভূঁইয়া/চোদ্দ ভূঁইয়া) নামে পরিচিত।

উত্তর: বারো ভূঁইয়া।

২.১৫                 (আকবর/জাহাঙ্গির/শাহজাহান)-এর আমলে মুঘলরা কান্দাহারের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায়।

উত্তর: শাহজাহান।

২.১৬                 (বাবর/আকবর/ঔরঙ্গজেব)-এর শাসনকালে দাক্ষিণাত্যের বিজাপুর ও গোলকোন্ডা মুঘলদের দখলে আসে।

উত্তর: ঔরঙ্গজেব।

২.১৭ মুঘলরা চট্টগ্রাম বন্দর দখল করে বাংলাকে                (ফরাসি/ পোর্তুগিজ/ইংরেজ) জলদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা করে।

উত্তর: পোর্তুগিজ।

২.১৮ ‘ঔরঙ্গজেব মারাঠা নেতা               (শিবাজি/শম্ভুজি/শাহজি) -কে স্বাধীন রাজা বলে মেনে নেন।

উত্তর: শিবাজি।

২.১৯ খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকে জাহাঙ্গির ও শাহজাহান              (বাবর/হুমায়ুন/আকবর)-এর রাজপুত নীতিকেই অনুসরণ করেছিলেন।

উত্তর: আকবর

২.২০ উচ্চপদস্থ মনসবদারদের বলা হত               (আমির/অমাত্য/জমিদার)।

উত্তর: আমির।

২.২১ আকবরকে ‘দহসালা’ ব্যবস্থা প্রচলন করতে সাহায্য করেছিলেন       (বীরবল/টোডরমল/আবুল ফজল)।

উত্তর: টোডরমল।

২.২২ বাজারের তথ্য সরকারকে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল            (কানুনগো/করোরী/জায়গির)-দের।

উত্তরঃ কানুনগো

Ture And False

(খ) ঠিক না ভুল লেখো:

২.১ খ্রিস্টীয় অষ্টাদশ শতক থেকে মুঘলদের ক্ষমতা অনেক কমে গিয়েছিল।

উত্তর: ঠিক।

২.২ দিল্লির মুঘল শাসকরা ‘সুলতান’ শব্দটি যুবরাজদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করত।

উত্তর: ঠিক।

২.৩ ভারতবর্ষের ক্ষমতাশালী রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে মুঘলদের সংঘাত ও মৈত্রী দুই-ই ছিল।

উত্তর: ঠিক।

২.৪ বাবরের রণকৌশল ব্যবহার করে তুরস্কের অটোমান তুর্কি সেনাবাহিনী ১৫১৪ খ্রিস্টাব্দে চল্-দিরানের যুদ্ধে সফাবিদের সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করে।

উত্তর: ঠিক।

২.৫ ১৫২৮ খ্রিস্টাব্দে জামের যুদ্ধে উজবেকরা সফাবিদের হারিয়ে দেয়।

উত্তর: ভুল।

সঠিক উত্তর: ১৫২৮ খ্রিস্টাব্দে জামের যুদ্ধে সফাবিরা উজবেকদের হারিয়ে দেয়।

২.৬ রানা প্রতাপ সিংহ ‘রানা সঙ্গ’ নামে পরিচিত।

উত্তর: ভুল।

সঠিক উত্তর: রানা সংগ্রাম সিংহ ‘রানা সঙ্গ’ নামে পরিচিত।

২.৭ খানুয়ার যুদ্ধ একটি ধর্মীয় যুদ্ধ ছিল।

উত্তর: ভুল।

সঠিক উত্তর: খানুয়ার যুদ্ধ একটি ধর্মীয় যুদ্ধ ছিল না।

২.৮ ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে বিলগ্রামের যুদ্ধে শের শাহের কাছে পরাজিত হয়ে হুমায়ুনকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছিল।

উত্তর: ঠিক।

২.৯ ‘সড়ক-ই-আজম’ পরবর্তীকালে ‘গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড’ নামে পরিচিত হয়।

উত্তর: ঠিক।

২.১০ শের শাহের আত্মীয় আদিল শাহ দিল্লিতে আফগান শাসন ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছিলেন।

উত্তর: ঠিক।

২.১১ রাজপুত রাজাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল চিতোর দুর্গ।

উত্তর: ঠিক।

২.১২ খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকের গোড়ার দিকে মুঘল রাষ্ট্রকাঠামোয় জাহাঙ্গির আকবরের নীতিকেই অনুসরণ করেছিলেন।

উত্তর: ঠিক।

২.১৩ মেওয়াড়ের রানা জাহাঙ্গিরের আধিপত্য মেনে নেননি।

উত্তর: ভুল।

সঠিক উত্তর: মেওয়াড়ের রানা জাহাঙ্গিরের আধিপত্য মেনে নেন।

২.১৪ শিখদের সঙ্গে মুসলমানদের সম্পর্ক খুব ভালো ছিল।

উত্তর: ভুল।

সঠিক উত্তর : শিখদের সঙ্গে মুঘলদের সম্পর্ক ভালো ছিল না।

২.১৫ মথুরায় জাঠ কৃষকরা এবং হরিয়ানায় সৎনামি কৃষকরা মুঘল শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে।

উত্তর: ঠিক।

২.১৬ জাহাঙ্গিরের আমলে মেওয়াড়ে মুঘলদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।

উত্তর: ঠিক।

২.১৭ আকবরের আমলে রাজপুত সর্দাররা দূর মধ্য এশিয়াতে লড়াই করতে গিয়েছিল।

উত্তর: ভুল।

সঠিক উত্তর: শাহজাহানের আমলে রাজপুত সর্দাররা দূর মধ্য এশিয়াতে লড়াই করতে গিয়েছিল।

২.১৮ অম্বরের মির্জা রাজা জয়সিংহ ছিলেন ঔরঙ্গজেবের বিশ্বস্ত অভিজাতদের মধ্যে একজন।

উত্তর: ঠিক।

২.১৯ আকবরের প্রশাসনিক আদর্শ ‘তৈমুরীয়’, পারসিক এবং ভারতীয় রাজতন্ত্রের সংমিশ্রণ বলা চলে।

উত্তর: ঠিক।

২.২০ মনসবদারি ব্যবস্থায় সবচেয়ে ওপরের পদগুলি কেবল রাজপরিবারের সদস্যদের জন্য থাকত।

উত্তর: ঠিক।