WBCHSE Class 12 Bangla Chapter 2.4 Solution | Benglali Medium

Class 12 Chapter 2.4 Solution

আমি দেখি

1. MCQs Question Answer

1. ‘আমি দেখি’ কবিতাটি যে কাব্যগ্রন্থের-

ক) অঙ্গুরী তোর হিরণ্য জল 

খ) ধর্মেও আছো জিরাফেও আছো 

গ) ভাত নেই পাথর রয়েছে 

ঘ) প্রভু নষ্ট হয়ে যাই

2. গাছগুলো তুলে আনো,”-গাছগুলো তুলে এনে বসাতে বলা হয়েছে-

ক) মাঠে 

খ) টবে 

গ) বাগানে 

ঘ) অরণ্যে

3. “আমার দরকার শুধু” – কবির শুধু কী দরকার? 

ক) গাছ দেখা  

খ) সবুজ দেখা 

গ) জঙ্গল দেখা 

ঘ) আরোগ্য লাভ করা

4. “গাছের শরীরে দরকার”- 

ক) পাতাটুকু 

খ) সবুজটুকু 

গ) ফলটুকু 

ঘ) রসটুকু

5. শরীরের জন্য দরকার- 

ক) সবুজ 

খ) সবুজ গাছ 

গ) গাছের সবুজটুকু 

ঘ) সবুজ বাগান

৬. “সবুজের ভীষণ দরকার”- কারণ-

ক) আরোগ্যের জন্য 

খ চোখের জন্য 

গ) পুষ্টির জন্য 

ঘ) মনের জন্য

7. বহুদিন কবির কোথায় কাটেনি? 

ক) বিদেশে 

খ) গ্রামে 

গ) শহরে 

ঘ) জঙ্গলে

8. বহুদিন ধরে কোথায় না যেতে পেরে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় দুঃখিত? 

ক) পাহাড়ে 

খ) জঙ্গলে 

গ) সমুদ্রে 

ঘ) দেশের বাড়িতে

9. কবি বহুদিন কোথায় আছেন? 

ক) গ্রামে 

খ) জঙ্গলে 

গ) পাহাড়ে 

ঘ) শহরে

10. শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল- 

ক) সব কিছু খায় 

খ) সবুজ খায়

গ) সবুজ চায় 

ঘ) সবুজ ধ্বংস করে

11. “… হাঁ করে কেবল সবুজ খায়”-কে হাঁ করে সবুজ খায়?

ক) শহরের মানুষ

খ) গ্রামের মানুষ 

গ)গৃহপালিত পশু য

ঘ) শহরের অসুখ 

12. “শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায়”-তার ফলে কী ঘটে? 

ক পরিবেশদূষণ ঘটে 

খ) শহর সবুজ হয় 

গ) গ্রাম শহর হয়ে যায় 

ঘ) সবুজের অনটন ঘটে 

13. ‘সবুজের অনটন’-এর অর্থ হল-

ক ফসলের অভাব 

খ তারুণ্যের অভাব 

গ) বৃক্ষনিধন 

ঘ) জমির অভাব

14 ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবির ভাষ্য অনুযায়ী দেহ যা চায়-

ক) জঙ্গল 

খ) সবুজ বাগান 

গ)গাছ 

ঘ) আরোগ্য

15. “তাই বলি….”-কবি কী বলেন? 

ক) সবুজের ভীষণ দরকার 

খ) গাছ তুলে আনো

গ) সবুজের অনটন ঘটে 

ঘ) বাগানে বসাও

16. “গাছ তুলে আনো”-এ কথাটি যাদের উদ্দেশে বলা, তারা হল-

ক) পরিবেশপ্রেমী মানুষ 

খ) বাগানের মালি 

গ) নগরপাল 

ঘ) কবিপুত্র

17. “গাছ তুলে আনো”- তুলে আনার পর সেগুলিকে কী করতে বলেছেন কবি?

ক) টবে বসাতে 

খ) বাগানে বসাতে 

গ) ফেলে দিতে

ঘ) ছিঁড়ে ফেলতে

18. “তাই বলি, গাছ তুলে আনো/বাগানে বসাও আমি দেখি”- কারণ- 

(ক) চোখ তো সবুজ চায়

 (খ) বহুদিন জঙ্গলে যাইনি 

(গ) বহুদিন শহরেই আছি 

(ঘ) শহরের অসুখ সবুজ খায়

19. আমি দেখি’ কবিতার কবির চোখ চায়- 

(ক) লাল 

(খ) নীল 

(গ) হলুদ 

(ঘ) সবুজ 

22. সবুজ বাগানের আকাঙ্ক্ষা করে- 

(ক) কবির কল্পনা 

(খ) কবির হৃদয় 

(গ) কৃষকেরা 

(ঘ) কবির দেহ 

21 ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি যা দেখতে চান- 

(ক) বাগানের গাছ 

(খ) পাহাড়ের বিশালতা 

(গ) সমুদ্রের ঢেউ 

(ঘ) মানুষের উচ্ছ্বাস

22. ‘আমি দেখি’ কবিতার শেষ পঙ্ক্তিটি হল 

(ক) আমি দেখি 

(খ) আরোগ্যের জন্য ওই সবুজের ভীষণ দরকার 

(গ) তাই বলি, গাছ তুলে আনো 

(ঘ) গাছ আনো, বাগানে বসাও

23 ‘আমি দেখি’ কবিতায় স্তবক সংখ্যা হল 

ক) ২ 

খ) ১ 

গ) ৩ 

ঘ) ৪

24″গাছগুলো তুলে আনো,”-গাছগুলো তুলে আনতে বলা হয়েছে কেন? 

ক) আগাছা নির্মূল করতে 

খ) আসবাবপত্র তৈরির জন্য 

গ) বাগানে বসানোর জন্য 

ঘ) ওষুধ তৈরির জন্য

 ]

25. শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল যা খায়- 

ক মানুষের মন 

খ) জীবজন্ডুর পরিবেশ 

গ) সবুজ 

ঘ) নীল আকাশ

26 “সবুজের অনটন ঘটে…”- 

ক) অনাবৃষ্টির ফলে 

খ) শহরের অসুখ সবুজ খায় বলে 

গ) বঝড়ে গাছ পড়ে যাওয়ার ফলে 

ঘ) অভিজ্ঞ মালি নেই বলে [উচ্চমাধ্যমিক, ২০১৬]

27 “চোখ তো সবুজ চায়।/ দেহ চায়”- 

ক) সবুজ পাতা 

খ) সবুজ ঘাস 

গ) সবুজ বাগান 

ঘ) সবুজ উঠান

28 “তাই বলি, গাছ তুলে আনো”-কবি গাছ বসাতে চান- 

ক) পথের ধারে 

খ) বাড়ির ছাদে 

গ)বাগানে 

ঘ) টবে

29 “দেহ চায়”- দেহ কী চায়? 

ক) গাছ 

খ) সবুজ গাছ 

গ) বাগান 

ঘ) সবুজ বাগান 

2. Very Short Question Answer

1. ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি গাছগুলো তুলে এনে কোথায় বসাতে বলেছেন?

▶ ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় গাছগুলো তুলে এনে বাগানে বসাতে বলেছেন।

2. “আমার দরকার শুধু…”-‘আমার’ শুধু কী দরকার?

▶ ‘আমি দেখি’ কবিতায় ‘আমার’ অর্থাৎ কবির শুধুই গাছ দেখা দরকার।

3. “আমার দরকার শুধু গাছ দেখা…”-কবির গাছ দেখা দরকার কেন? 

▶ ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবির শরীরের জন্য গাছের সবুজ প্রয়োজন বলে তাঁর গাছ দেখা দরকার।

4. ‘আমি দেখি’-কবি কী দেখতে চান?

▶ ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি শুধু সবুজ গাছ দেখতে চান।

5. ‘আমি দেখি’ কবিতায় কোন্ জীবনের প্রতি কবির অনাস্থা প্রকাশ পেয়েছে?

• ‘আমি দেখি’ কবিতায় নগরজীবনের প্রতি কবির অনাস্থা প্রকাশ পেয়েছে।

6. তাই বলি….”-কবি কী বলেছেন?

▶ ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি গাছ তুলে এনে বাগানে বসাতে বলেছেন।

7. “…গাছ তুলে আনো”-কে, কাকে এ কথা বলেছেন?

• ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় পাঠক বা সাধারণ মানুষের উদ্দেশে এ কথা বলেছেন।

8. . “…বাগানে বসাও”-কে বাগানে কী বা কাকে বসাতে বলেছেন?

> কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘আমি দেখি’ কবিতায় গাছগুলোকে বাগাড় বসাতে বলেছেন।

বলা হয়েছে? 

9. ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবির চোখ ও দেহ কী কামনা করে? 

▶ ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবির চোখ সবুজ কামনা করে এবং কবির দেহ কামনা করে সবুজ বাগানের সান্নিধ্য।

10 “চোখ তো সবুজ চায়!”-চোখ সবুজ চায় কেন?

▶ চোখ সবুজ চায় কারণ, আরোগ্যের জন্য সবুজের অত্যন্ত দরকার।

11. বহুদিন শহরেই আছি”-কবি বহুদিন শহরে আছেন কেন?

• জীবন ও জীবিকার তাগিদে কবি বহুদিন যাবৎ শহরেই আছেন।

12. ‘শহরের অসুখ’ বলতে কী বুঝিয়েছেন কবি?

▶ ‘শহরের অসুখ’ বলতে নগরায়ণ অর্থাৎ কংক্রিটের জঙ্গল নির্মাণের কথাই বুঝিয়েছেন কবি।

‘আমি দেখি’ কবিতায় নিজের উজ্জীবনীশক্তি কীভাবে কবি প্রকৃতির মধ্যে খুঁজতে চেয়েছেন?
 > কবি প্রকৃতির সবুজ অর্থাৎ গাছকে নিজের বাগানে এনে উজ্জীবনীশক্তির সন্ধান করেছেন

3. Short Question Answer

1. “গাছের সবুজটুকু শরীরে দরকার” বলা হয়েছে কেন?

▶ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘আমি দেখি’ কবিতায় বলেছেন যে, শারীরিক ও মানসিক আরোগ্যের জন্য গাছের সবুজটুকু শরীরে অত্যন্ত দরকার।

2. ‘আমি দেখি’ কবিতায় গাছের প্রতি কবির আকর্ষণের কারণ কী?

▶ ‘আমি দেখি’ কবিতায় মানসিক সতেজতা ও শারীরিক সুস্থতা অর্থাৎ আরোগ্যলাভের লক্ষ্যে কবি গাছের প্রতি আকর্ষণ বোধ করেছেন।

3. “…ওই সবুজের ভীষণ দরকার”-এ কথার অর্থ কী?

> কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি দেখি’ কবিতায় “… ওই সবুজের ভীষণ দরকার” কথাটির অর্থ হল- কবির জীবনে গাছেদের উপস্থিতি খুব প্রয়োজন।

4. জঙ্গল নিয়ে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় ‘আমি দেখি’ কবিতায় কী আক্ষেপ জানিয়েছেন?

> কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় ‘আমি দেখি’ কবিতায় বহুদিন জঙ্গলে যাওয়া বা জঙ্গলে দিন কাটানো হয়নি-এই আক্ষেপ জানিয়েছেন।

5. “বহুদিন জঙ্গলে কাটেনি দিন”-এ কথার অর্থ কী?

• ‘আমি দেখি’ কবিতায় “বহুদিন জঙ্গলে কাটেনি দিন”-এ কথাটির মাধ্যমে কবি সবুজের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘকালীন বিচ্ছেদের কথা বুঝিয়েছেন।

6. “বহুদিন জঙ্গলে যাইনি”-জঙ্গলে না যাওয়ার ফলে কী হয়েছে?

> কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি দেখি’ কবিতায় বহুদিন জঙ্গলে না যাওয়ার ফল হিসেবে কবি নাগরিক আগ্রাসন ও সবুজের হত্যালীলা দেখেছেন।

7. ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবির যে বিশেষ মানসিকতার প্রকাশ ঘটেছে তাএককথায় লেখো।

▶ ‘আমি দেখি’ কবিতাটিতে নগরজীবনের প্রতি কবির বিতৃয়া এবং তাঁর প্রকৃতির সান্নিধ্যলাভের আকাঙ্ক্ষাই প্রকাশিত হয়েছে।

8. “শহরের অসুখ হাঁ করে…”-‘শহরের অসুখ’ কী খায়?

(হেয়ার স্কুল)

> কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি দেখি’ কবিতায় বর্ণিত ‘শহরের অসুখ’ হাঁ করে শুধু সবুজ খায় অর্থাৎ বাইরে সবুজ প্রকৃতিকে গ্রাস করে।

9. “শহরের অসুখ হাঁ করে…”-শহরের অসুখের কারণে কী ঘটে?

> কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি দেখি’ কবিতায় শহরের অসুখের কারণে সবুজের অনটন অর্থাৎ বৃক্ষনিধন ঘটে।

10. “…কেবল সবুজ খায়”-এ কথার বলার কারণ কী?

অথবা, “…কেবল সবুজ খায়” কথাটির মধ্য দিয়ে কবি কী বোঝাতে [এবিটিএ ইনটার স্কুল টেস্ট।

চেয়েছেন?

> নগর সভ্যতার বিকাশে শহরজীবন থেকে গাছ অর্থাৎ সবুজ হারিয়ে যাচ্ছে বলে কবি আলোচ্য কথাটি বলেছেন।

11. “সবুজের অনটন ঘটে…”-কোথায়, কী কারণে সবুজের অনটন ঘটে? [নমুনা প্রশ্ন) (সরিষা রামকৃয় মিশন শিক্ষামন্দির (এইচএস)।

> কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি দেখি’ কবিতায় ‘শহরের অসুখ’-এর কারণে অর্থাৎ নগরায়ণের জন্যই শহরে সবুজের অনটন ঘটে।

12. গাছগুলো তুলে আনো…”-গাছগুলো তুলে আনার কথা বলা হয়েছে কেন?

অথবা, “গাছগুলো তুলে আনো…”-কেন এই আহবান?

 > শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘আমি দেখি’ কবিতায় গাছগুলো তুলে আনছে বলেছেন কারণ, সবুজ গাছ দেখা আর তার স্পর্শ কবির শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।

13. গাছ তুলে আনো,/বাগানে বসাও…”-কেন বাগানে গাছ বসায়ে

> শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি দেখি’ কবিতায় গাছগুলোকে বাগানে বসংছে বলা হয়েছে, কারণ কবির চোখ সবুজ দেখতে চায় আর তাঁর দেহ চায় সবুদ্ধ বাগানের সান্নিধ্য।

14. আমি দেখি” বক্তা কেন দেখতে চাইছেন?

▶ ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় বাগানে গাছ দেখতে চাইছেন কারণ তাঁর চোখ এবং দেহ সবুজের আকাঙ্ক্ষা করছে।

15. “বহুদিন শহরেই আছি” শহরে বহুদিন থাকার ফলে কী দেখেছেন কবি?

> ‘আমি দেখি’ কবিতার কবি বহুদিন শহরে বাস করে দেখেছেন যে, শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ আত্মসাৎ করে।

16. সবুজের অনটন ঘটে…” কীভাবে?

▶ কংক্রিটের জঙ্গল নির্মাণ তথা নগরায়ণের ফলেই শহরে নির্বিচারে বৃক্ষচ্ছেদন হয় বলে সেখানে সবুজের অনটন ঘটে।

17. “বহুদিন শহরেই আছি” শহরে থেকে বক্তা কী উপলব্ধি করেছেন।

> শহরে থেকে বক্তা শক্তি চট্টোপাধ্যায় উপলখি করেছেন যে, শহরের অসুখ

হাঁ করে কেবল সবুজ খায়, তাই সবুজের অনটন ঘটে।

4. Long Question Answer

1.  “গাছগুলো তুলে আনো, বাগানে বসাও” -এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গাছেদের সম্পর্কে কবির মনোভাব ‘আমি দেখি’ কবিতা অবলম্বনে আলোচনা করো।

উত্তর গাছেদের সম্পর্কে কবির মনোভাব: প্রকৃতির প্রতি কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের যে আকর্ষণ ও ভালোবাসা, তারই প্রকাশ ঘটেছে ‘আমি দেখি’ কবিতায়। গাছ সেখানে কবির জীবনযাপনের প্রধান অবলম্বন। “আমার দরকার শুধু গাছ দেখা”-নিজের বেঁচে থাকার জন্য কবি গাছের সান্নিধ্য চেয়েছেন। অন্য একটি কবিতায় কবি লিখেছিলেন-“আমি মানবো সাপটে ধরবো নতুন বাগান, নতুন গাছটি / বেঁচে উঠবো সরস ঋজু রোদ্দুরে বৃষ্টিতে।” এই আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সুর মিলিয়েই কবি যেন এই কবিতায় বলেছেন, তাঁর শরীরের জন্য গাছের সবুজ স্নেহস্পর্শ অত্যন্ত জরুরি। আরোগ্যের জন্য গাছের এই সবুজ ছোঁয়াটুকু তাঁর খুবই দরকার। গাছেদের প্রতি এই ভালোবাসা থেকেই কবি জঙ্গলের জন্য আকুলতা অনুভব করেছেন। নাগরিক জীবনে নিরন্তর যে বৃক্ষসংহার ঘটে, তা কবির মনে গভীর বিষাদের সৃষ্টি করে। নগরায়ণের ফলে “শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায়।” সবুজের এই অভাব দূর করার জন্যই জঙ্গল থেকে গাছ তুলে এনে বাগানে বসাতে বলেছেন কবি। তাঁর চোখ যেমন সবুজের মধ্যে শান্তি খোঁজে, তাঁর দেহও চায় সবুজ বাগানের সান্নিধ্য। তাই কবি বাগানে গাছ দেখতে চেয়েছেন। অর্থাৎ, শহরজীবনের যান্ত্রিকতা বা কৃত্রিমতায় ক্লান্ড কবি একদিকে তাঁর শরীরের সুস্থতার জন্য এবং অন্যদিকে মনের সতেজতার জন্য গাছেদের উপস্থিতি একান্তভাবে কামনা করেছেন।

2. “আমার দরকার শুধু গাছ দেখা” বক্তা কে? তার গাছ দেখা

দরকার কেন?  

উত্তর বক্তা: কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি দেখি’ কবিতায় প্রশ্নোধৃত মন্তব্যটি করেছেন কবি স্বয়ং।

• গাছ দেখার প্রয়োজনীয়তা: প্রকৃতিপ্রেমী কবি মনে করেছেন যে, তাঁর গাছ দেখা দরকার কারণ শরীর-মনের সজীবতার জন্য গাছের সবুজ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শুধু শরীর ভালো রাখার জন্যই নয়, শরীরকে সুস্থ করে তোলার জন্যও গাছের সবুজ রংটুকুর ভীষণ প্রয়োজন। কবির চোখ তার আরামের জন্য স্নিগ্ধ সবুজের সন্ধান করছে। দেহ নিজেকে সুস্থ রাখার জন্যই সবুজের স্পর্শ চাইছে। কবির এই সবুজের সন্ধান শুধুই যে তাঁর ব্যক্তিগত ভালো থাকার জন্য তা নয়, বরং যে অসুখের কথা কবি বলেছেন তা নাগরিক জীবনের ক্লান্ডি, বিচ্ছিন্নতা এবং অবসাদকেও নির্দেশ করে।

বহুদিন শহুরে জীবনে আবদ্ধ থাকার জন্য কবির আক্ষেপ শোনা গেছে ‘আমি দেখি’ কবিতাটিতে। খুব কাছ থেকে নিজের জীবন আর অভিজ্ঞতা দিয়ে কবি বুঝেছেন “শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায়”। অর্থাৎ নাগরিক সভ্যতা

প্রকৃতিকে হত্যা করে। এই অবস্থায় কবির আক্ষেপ ধ্বনিত হয়েছে বহুদিন জঙ্গলে যেতে না পারার জন্য, সেখানে দিন কাটাতে না পারার জন্য। নাগরিক জীবনে আটকে থাকা মানুষের তীব্র হৃদয়যন্ত্রণাই যেন প্রকাশিত হয়েছে কবির এই আক্ষেপে। আর এই আক্ষেপ থেকে মুক্তিলাভের জন্যই কবি তাঁর বাগানে গাছ এনে বসানোর কথা বলেছেন।

3. “আরোগ্যের জন্যে ওই সবুজের ভীষণ দরকার”-কে, কোথায় এ কথা বলেছেন? এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বক্তার কীরূপ মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে? ১+৪ [হাওড়া যোগেশচন্দ্র গার্লস স্কুল]

উত্তর.  বক্তা ও উদ্দিষ্ট স্থান: শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘আমি দেখি’ কবিতায় প্রশ্নোদ্ভূত মন্তব্যটি করেছেন।

▶ বক্তার মনোভাব: শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি প্রকৃতপক্ষে বৃক্ষবন্দনা করেছেন। জঙ্গল থেকে গাছ তুলে এনে বাগানে বসানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। কবিতার একেবারে শুরুতেই কবি বলেছেন, “আমার দরকার শুধু গাছ দেখা।” তাঁর শরীরের জন্য সবুজ গাছেদের সান্নিধ্য একান্ত প্রয়োজন বলে কবি জানিয়েছেন। নাগরিক জীবনের ব্যস্ততা, ক্লান্তি আর একঘেয়েমি থেকে মুক্তির জন্য প্রকৃতির কাছে চলে যাওয়া কবির একটি প্রিয় অভ্যাস। অন্য একটি কবিতায় কবি লিখেছিলেন-“গাছের ভিতরে গিয়ে বসি আমি, গাছ/কথা বলে।” প্রকৃতিপ্রেমী কবির জীবনযাপনের কৃত্রিমতা স্বাভাবিকভাবেই তাঁর অসুখের কারণ বলে মনে হয়। এক জায়গায় তিনি নিজেই লিখেছেন

 “সারাদিন কাজ করে সন্ধ্যায় মৃত্যুর/ভিতরে সেঁধিয়ে যাওয়া শ্রেণীবদ্ধভাবে-/এভাবেই কি দিন যাবে? এভাবেই কি যাবে?” বহুদিন জঙ্গলে না যাওয়ার বেদনা তাই কবির মনে তীব্র আক্ষেপ তৈরি করে। তাই প্রকৃতির বুকে নিজেকে মেলে ধরতে না পেরেই কবির মনে হয়েছে বাগানে গাছ বসানো প্রয়োজন। এই প্রয়োজন তাঁর চেতনাকে সজীব করার জন্য, মনের সতেজতার জন্য, শারীরিক ও মানসিক আরোগ্যলাভের জন্য।

4. “বহুদিন জঙ্গলে কাটেনি দিন” কেন কবি এ কথা বলেছেন? এই অভাবপূরণের জন্য কবি কী চেয়েছেন?  

উত্তর…। কবির বক্তব্যের কারণ: শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি দেখি’ অন্তরায় শহরের যান্ত্রিক ও কৃত্রিম পরিবেশে কবি হাঁফিয়ে উঠেছেন। তাই তিনি চেয়েছেন এর থেকে মুক্তি পেতে। শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কাছে জঙ্গল হল সেই জায়গা যা মনকে ভালো রাখে। অথচ সেই জঙ্গলের সঙ্গেই ঘটে গেছে কবির দীর্ঘ বিচ্ছেদ। ‘বহুদিন শহরেই আছি কবির বিচ্ছেদের স্পষ্ট স্বীকারোক্তি। করি শহরের বুকে দেখেছেন ‘সবুজের অনটন’। তাই কবির মনে সবুজ প্রকৃতির সঙ্গে বিচ্ছেদের জন্য তীব্র আক্ষেপ জমা হয়েছে। অসুস্থ, ক্লান্ত নাগরিক জীবন থেকে মুক্তির জন্যই কবি জঙ্গলে অর্থাৎ সবুজ প্রকৃতির মাঝে যেতে চেয়েছেন। সেই ইচ্ছার পুরণ না হওয়াতেই তীব্রতর হয়েছে কবির আক্ষেপ।

• সবুজের অভাব পূরণে কবির আকাঙ্ক্ষা। এই অভাবপূরণের জন্য কবি চেয়েছেন তাঁর বাগানে গাছ এনে বসানো হোক। চোখ যে সবুজের সন্ধান করে কিংবা দেহ যে সবুজের স্পর্শ চায়, জঙ্গলের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতার কারণে কবি সেই সবুজকেই চেয়েছেন নিজের বাগানে। প্রকৃতির বুকে নিজের আশ্রয় না পাওয়ার যন্ত্রণা থেকেই কবি তাঁর বাগানে সবুজকে দেখতে চেয়েছেন। শহর যত বাড়ছে, নগরায়ণের দাবি মেনে সবুজ ততই ধ্বংস হচ্ছে। এই অবস্থায় কবির আর্তি- “গাছ আনো, বাগানে বসাও।”

5. “শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায়” কবির এই মন্তব্যের তাৎপর্য লেখো।

উত্তর.. কবির মন্তব্যের তাৎপর্য: শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘আমি দেখি’ কবিতায় প্রকৃতির প্রতি নিজের প্রবল আকর্ষণের কথা অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় প্রকাশ করেছেন। কবি লক্ষ করেছেন, নাগরিক আগ্রাসন ধীরে ধীরে গ্রাস করেছে প্রকৃতিকে। শহরে নির্বিচারে চলেছে সবুজের হত্যালীলা। এই আগ্রাসনকেই কবি ‘শহরের অসুখ’ বলেছেন, যা ধ্বংস করে চলেছে সবুজ প্রকৃতিকে। এই নগরায়ণের অসুখ থেকে মুক্তির পথ হিসেবে কবি গান্ধোই সহায়তা চেয়েছেন। তিনি প্রকৃতিকে শহরের মধ্যে নতুনভাবে স্থাপন করতে চেয়েছেন। এই ইচ্ছা থেকেই কবির আবেদন “গাছগুলো তুলে আনো, বাগানে বসাও কবিতার প্রথম পঙক্তিতেই কবির প্রকৃতির ছোঁয়া পাওয়ার প্রবল আকাঙ্ক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। এরই সঙ্গে জঙ্গলে দীর্ঘদিন না যাওয়ার আক্ষেপও কবির মনে তীর হয়েছে। “বহুদিন জঙ্গলে যাইনি” বলার সঙ্গে সঙ্গেই কবি লিখেছেন, “বহুদিন শহরেই আছি”। শহরের আর-এক বৈশিষ্ট্য ‘সবুজের অনটন’। নগরসভ্যতার বিকাশের শর্ত মেনেই কংক্রিটের জঙ্গলে সবুজকে বিদায় নিতে হয়। নাগরিক আড়ম্বর ও বিলাসের কারণে নির্বিচারে গাছ কাটা হয়। এভাবে ‘শহরের অসুখ’ গিলে খায় প্রকৃতির সবুজকে।

6. “চোখ তো সবুজ চায়!/দেহ চায় সবুজ বাগান” কবির এই মন্তব্যটির সার্থকতা কবিতা অবলম্বনে আলোচনা করো।

উত্তর.. কবির মন্তব্যের সার্থকতা… কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি দেখি’ কবিতাটি হল গাছকে ভালোবেসে, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে সেই গাছকে আঁকড়ে কবির বেঁচে থাকার ইচ্ছার প্রকাশ। এই বৃক্ষপ্রেম বা প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা তাঁর কবিতার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। “আমি মানবো সাপটে ধরবো নতুন বাগান, নতুন পাছটি/বেঁচে উঠবো সরস ঋজু রোদ্দুরে বৃষ্টিতে।” এই বেঁচে ওঠার জন্যই ‘আমি দেখি’ কবিতাতেও কবি গাছের জন্য আকুলতা প্রকাশ করেছেন, বাগানে গাছ দেখতে চেয়েছেন। কারণ শরীরের জন্য গাছের সবুজ

সান্নিধ্য দরকার। জঙ্গলের মুক্তজীবনে বহুদিন না যেতে পারার দুঃখ থেচ্ছে বাগানে গাছ দেখতে চেয়েছেন কবি। নাগরিক জীবনের ক্লান্ডি আর বিষাদদে ভুলে থাকার জন্য, মানসিক সতেজতার জন্য গাছেদের একান্ত প্রয়োজন করি অন্য একটি কবিতায় কবি লিখেছিলেন- “খুঁটিয়ে দেখেছি বন, বনাঞ্চল, পাজে শিখয়ে/ আমোদ বিন্যস্ত থাকে লতায় পাতায়।” এই কারণেই কবি গাছেদে সান্নিধ্য চেয়েছেন। সবুজের বিস্তারে তাঁর চোখ আরাম খুঁজে পায়, শরীর সতেজ হয় আর মানসিক আরোগ্যলাভ সম্ভব হয়। এভাবেই জীবনজুড়ে গাছেদের জন কবির আকাঙ্ক্ষা তীব্রভাবে উচ্চারিত হয়েছে আলোচ্য কবিতায়।

7. “আমি দেখি।।” পঙক্তিটি সমগ্র কবিতার পরিপ্রেক্ষিতে কীভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে আলোচনা করো।

উত্তর “আমি দেখি” পজিটির তাৎপর্য: শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘আর্দ্র দেখি’ কবিতাটি প্রকৃতিপ্রেমী কবির ব্যক্তিগত ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ। যদিও

সেইসঙ্গে যুক্ত থাকে তাঁর সমাজ সম্পর্কিত মনোভাবও। দুষিত নাগরির জীবনের অংশীদার কবি চেয়েছেন তাঁর বাগানে গাছ বসানো হোক, কারণ শরীর এবং মনের সতেজতার জন্য গাছের সবুজের খুব দরকার। এই সবুজ উদ আরোগ্যকে নিশ্চিত করবে।

কবিতার দ্বিতীয় স্তবকে আছে জঙ্গলে বহুদিন না যেতে পারার জন্য কত্তি আক্ষেপ। শহরে গাছ কেটে ফেলাই হল কবির চোখে শহরের অসুধ। নগরসভ্যতার বিকাশের সঙ্গেই এই ‘সবুজের অনটন’ নিশ্চিত হয়ে যায়। ফলে সুস্থভাবে বেঁচে থাকা যখন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে, সেই পরিপ্রেক্ষিতেই কবির কাতর অনুরোধ-বাগানে গাছ বসানো হোক। কবির চোখ এবং দেহ এই সবুজ চায় অর্থাৎ সবুজের জন্য একইসঙ্গে কবির শারীরিক ও মানসিক চাহিদা তীব্রজ হয়েছে। কবির সবুজ গাছে ভরা বাগান দেখার বাসনা প্রকাশিত হয়েছে ‘আটি দেখি’ কথাটির মধ্য দিয়ে। ‘আমি’ উত্তমপুরুষে একবচনের ব্যবহার স্পষ্ট করে কবির নিজেকে, আর ‘দেখি’ স্পষ্ট করে সেই নিজের উপভোগের ক্ষেত্রকে কবিতার নামকরণে তো বটেই, শেষ পঙ্ক্তিতেও এই শব্দবন্ধের ব্যবহার যেন কবির মনের বাসনাকে তীব্রতর করে তোলে।

8. ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবির নিজস্ব কবিস্বভাবের কী পরিচয় পাওয়া যায় আলোচনা করো।

উত্তর.. কবির নিজস্ব কবিস্বভাবের পরিচয়: কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা সম্পর্কে কবি শঙ্খ ঘোষ লিখেছিলেন- “ভালোবেসেছিলেন তিনি সংসারছুট অরণ্যপ্রান্তর সমুদ্র পাহাড়, প্রকৃতির সঙ্গে মিশে গিয়ে তিনি নিজেই হয়ে উঠেছিলেন প্রকৃতি।” শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা তাই হয়েছে প্রকৃতিময়। প্রকৃতি হয়েছে তাঁর আশ্রয়। জঙ্গলের প্রতি এক নিবিড় টান অনুভব করেছে কবি আর প্রকৃতির প্রতীক হয়ে গাছ বারেবারে উঠে এসেছে তাঁর কবিতায়। ‘আমি দেখি’ কবিতাটিও গাছকে কেন্দ্র করে রচিত। নিজের জীবনে গাছের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছেন কবি। নাগরিক জীবনের ব্যস্ততা শরীরের সতেজতাকে নিংড়ে নেয়। তাই সুস্থ শরীরের প্রয়োজনেই সবুজ প্রকৃতির ছোঁয়া দরকার। শুধু শরীর নয়, কবির মনও চায় সবুজের সান্নিধ্য। বহুদিন ধরে বৃক্ষনিধনের সাক্ষ্য বহন করে চলা শহরে থাকার জন্য তাই কবির আক্ষেপ- “বহুদিন জঙ্গলে যাইনি” অন্য একটি কবিতায় কবি লিখেছিলেন- “প্রকৃতির কাছে ফেরো, মানুষ যেভাবে/শূন্য ভালোবাসা থেকে কাছে ফেরে সম্পূর্ণ কলমে…।” এই আকর্ষণ থেকেই নগরজীবনে বিষণ্ণ কবি গাছ তুলে এনে বাগানে বসাতে বলেছেন। এটি কবির কোনো ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা নয়, এ যেন সমা বিশ্বের মানুষের হয়ে কবির প্রার্থনা-সবুজ, সুস্থতা আর সজীবতার জন্য।

9. ‘আমি দেখি’ কবিতাটির গঠনবৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।

উত্তর ‘আমি দেখি’ কবিতার গঠনবৈশিষ্ট্য: কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য হল তাঁর সংযম ও পরিমিতিবোধ। তৎসম শব্দের প্রয়োগ: ‘আমি দেখি’ কবিতাটিতেও সহজসরল ভাষায় অন্ত্যজ শব্দের পাশে মাত্রার ভারসাম্য বজায় রেখে কবি অবলীলায় তৎসম শব্দ ব্যবহার করেছেন। যেমন-“আরোগ্যের জন্যে ওই সবুজের ভীষণ দরকার।” প্রকৃতি নির্ভরতা: তাঁর কবিতা প্রসঙ্গে ধ্রুবকুমার মুখোপাধ্যায় লিখেছেন-“শক্তির কবিতা গড়ে ওঠে নিসর্গের বুকে আশ্রয় কামনায়।” ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবির প্রকৃতিনির্ভরতা প্রাধান্য পেয়েছে। পঙ্ক্তি বিন্যাস: গঠনগত দিক থেকে অসম মাত্রার পঙ্ক্তিতে বিন্যস্ত এই কবিতাটিতে মোট পঙ্ক্তি সংখ্যা ষোলোটি। পাঁচটি পঙ্ক্তি নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রথম স্তবক। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তবকটির পঙ্ক্তি সংখ্যাও তাই। শেষে একটি পঙ্ক্তিতে বলা হয়েছে, “আমি দেখি”। এই শেষ পঙ্ক্তিটির মধ্য দিয়ে কবি জোরালো বক্তব্য রেখেছেন। ভণিতার ব্যবহার না করা: এখানে কবির দেখাটা আর-পাঁচজনের একান্ত ইচ্ছার সঙ্গে মিলে যায়। আলোচ্য কবিতায় শহরের মতো একটি অচেতন বস্তুতে মানবত্ব অর্পণ করেছেন কবি-“শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায়।” শহরগুলো যত বাড়ছে, নগরায়ণের দাবি মেনে ততই সবুজ ধ্বংস হচ্ছে। মানুষের বেঁচে থাকার প্রয়োজনে সবুজ খুবই দরকার। তাই কোনোপ্রকার ভণিতা না করে কবির সরাসরি নির্দেশ-“গাছ আনো, বাগানে বসাও।” কবিতার শুরুতে, কবিতার মাঝে এবং কবিতার শেষে এই একই ভাব কবি ব্যক্ত করেছেন।