WBCHSE Class 12 Bangla Chapter 3.2 Solution | Bengali medium

Class 12 Chapter 3.2 Solution

নানা রঙের দিন

1. MCQs Question Answer

১. ‘নানা রঙের দিন’ নাটকটি কোন্ একাঙ্ক নাটকের দ্বারা অনুপ্রাণিত?

(ক) অন দ্য রোেড 

(খ) দ্য সোয়ান সং 

(গ) দ্য সিগাল 

(ঘ) দ্য প্রোপোজাল

২, ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের বয়স ছিল- 

(ক) ৫০ বছর 

(খ) ৬৮ বছর 

(গ) ৬০ বছর 

(ঘ) ৭০ বছর

৩. ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে প্রম্পটার কালীনাথ সেনের বয়স ছিল প্রায়- 

(ক) ৫০ বছর 

(খ) ৫৫ বছর 

(গ) ৬০ বছর 

(ঘ) ৬৫ বছর

৪. ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের পটভূমিতে আছে-

(ক) পেশাদারি থিয়েটার 

(খ) শখের থিয়েটার 

(গ) গ্রুপ থিয়েটার 

(ঘ) গ্রাম্য যাত্রা

৫. “পেশাদারি থিয়েটারের একটি ফাঁকা মঞ্চ।”- মঞ্চটি ফাঁকা থাকার কারণ কী? 

(ক )অনেকক্ষণ আগেই অভিনয় শেষ হয়ে গিয়েছিল

(খ) অভিনয় শুরু  হওয়ার অনেক দেরি ছিল

(গ) সেদিন অভিনয়ের দিন ছিল না 

(ঘ) রজনীবাবু মঞ্চে একা থাকতে চেয়েছিলেন

 ৬. ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে মঞ্চের মাঝখানে কী ওলটানো ছিল? 

(ক) একটি টেবিল 

(খ) একটি চেয়ার (

(গ) একটি বেঞ্চ 

(ঘ) একটি টুল

৭. ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে মাঝরাতে রজনীকান্ত কোন ঐতিহাসিক চরিত্রের পোশাকে ফাঁকা মঞ্চে প্রবেশ করেন ? 

ক) দিলদার

খ) মহম্মদ

(গ) ঔরঙ্গজেব

ঘ) শাজাহান

৮. দিলদারের পোশাক পরিহিত রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের হাতে ছিল-

ক) মোমবাতি 

(খ) প্রদীপ 

(গ) ধূপ 

(ঘ) জ্বলন্ত মোমবাতি 

৯. নাটকের সূচনায় রজনীকান্ত মঞ্চের ওপর দাঁড়িয়ে হাসছিলেন কেন?

(ক) গ্রিনরুম ফাঁকা ছিল বলে 

(খ) হলে কেউ ছিল না বলে 

(গ) গ্রিনরুমে তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন 

(ঘ) সকাল না রাত-বুঝতে না পেরে

১০. রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় সেদিন যে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন-

(ক) শাজাহান

(খ) দিলদার 

(গ) ঔরঙ্গজেব 

(ঘ) মিরজুমলা

১১. রজনীবাবু কোথায় ঘুমিয়ে পড়েছিল?

ক) রঙ্গমঞ্চের উপর

(খ) গ্রিনরুমে

(গ) রাস্তার ধারে 

(ঘ) খাটিয়ায়

১২. রজনীবাবু ‘এতক্ষণ পড়ে পড়ে গ্রিনরুমে’ কী করছিলেন? 

(ক) গান করছিলেন 

(খ) নাক ডাকছিলেন

(গ) স্বপ্ন দেখছিলেন 

(ঘ) হাসছিলেন 

১৩. “বাঃ বাঃ বুঢ়া। আচ্ছাহি কিয়া।” এই ‘বুঢ়া’ হলেন- 

(ক) কালীনাথ সেন

(খ) রামব্রিজ 

(গ) রজনীকান্ড চট্টোপাধ্যায়

(ঘ) শাজাহান

 ১৪. “আরে গেল কোথায় লোকটা?” এখানে লোকটা হল-

(ক) রজনীকান্ত 

(খ) কালীনাথ 

(গ) দিলদার 

(ঘ) রামব্রিজ

১৫. “কোথায় ধেনো টেনে পড়ে আছে ব্যাটা।” এখানে কার কথা বলা হয়েছে? 

(ক) রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় 

(খ) রামব্রিজ

(গ) কালীনাথ সেন 

(ঘ) মোরাদ 

১৬. “কাল রাতেও ঠিক একই ব্যাপার।” ব্যাপারটা হল- 

(ক) দিলদার সেজে অভিনয় 

(খ) মোমবাতি হাতে মঞ্চে প্রবেশ 

(গ) রামব্রিজকে ডেকে না পাওয়া

(ঘ) মদ খেয়ে গ্রিনরুমে পড়ে থাকা

 ১৭. রজনীকান্তবাবু রামব্রিজকে কত টাকা ‘বকশিশ’ দিয়েছিলেন? 

(ক) চার টাকা 

(খ) দু-টাকা 

(গ) তিন টাকা

(ঘ) এক টাকা

১৮. “নগদ তিনটে টাকা বকশিশও দিলুম ওকে।” রামব্রিজকে বকশিশ দেওয়ার কারণ কী? 

(ক) অভিনয় শেষে রজনীবাবুর জন্য ট্যাক্সি ডেকে আনা 

(খ) রজনী- বাবুর জন্য মদ কিনে আনা 

(গ) মদ্যপ রজনীবাবুকে ঘুম থেকে তুলে ট্যাক্সিতে বাড়ি পাঠানো 

(ঘ) দিলদার চরিত্রে রজনীবাবুকে ভালো মেকআপ করা

১৯. “আর তার ফল হল কী?”-ফল কী হল? 

(ক) রামব্রিজ মদ খেয়ে পড়ে রইল

(খ) কালীনাথ মদ গিলে পড়ে রইল 

(গ) কালীনাথ প্রম্পট্ করতে ভুলে গেল  

(ঘ) রজনী রামব্রিজকে বকশিশ দিতে ভুলে গেলেন

২০. “সেই টাকায় তিনি নিজেই আজকে মদ গিলে কোথায় পড়ে আছেন।”- ‘তিনি’ হলেন- 

(ক) রজনীকান্ত চাটুজ্জে 

(খ) কালীনাথ সেন

(গ) রামব্রিজ 

(ঘ) রজনীকান্তের বন্ধু

২১. “সেই আনন্দে আমাকেই দেড় বোতল খাইয়ে গেলেন।” আনন্দের কারণ কী? 

(ক) পুরস্কার পাওয়া 

(খ) লটারি পাওয়া 

(গ) প্রশংসা পাওয়া 

(ঘ) বকশিশ পাওয়া 

২২. “এঃ, একেবারে রামধেনো।”-‘রামধেনো’ হল- 

(ক) মদ-বিশেষ

(খ) চরিত্রের বৈশিষ্ট্য 

(গ) বিশেষ ধরনের প্রহার 

(ঘ) একটি ঘোড়ার নাম

২৩. “উফ বুকের ভেতরটা থরথর করে কাঁপছে যে। মুখের ভেতরটা যেন ” 

(ক) শুকিয়ে কাঠ 

(খ) অডিটোরিয়াম

(গ) ওয়েসিস

(ঘ) শূন্য কলশি 

২৪. রজনীবাবু লম্বা লম্বা চুলে প্রতিদিন লাগাতেন- 

(ক) হাফ শিশি কলপ

(খ) এক শিশি কলপ 

(গ) এক বোতল রং

(ঘ) মেকআপ

২৫. “আমি লাস্ট সিনে প্লে করব না ভাই,”-এখানে ‘লাস্ট সিন’ বলতে বোঝানো হয়েছে-

(ক) নাটকের শেষ দৃশ্য

(খ) ব্যক্তিগত সম্পর্কের শেষ 

(গ) মৃত্যুকাল

(ঘ) অভিনয়ের শেষ দৃশ্য

26. ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে কালীনাথ সেনের পরনে ছিল- 

(ক) ময়লা ধুতি 

(খ) ময়লা পাজামা

(গ) পরিষ্কার ধুতি 

(ঘ) পরিষ্কার পাজামা 

27. ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে কালীনাথ সেন ছিলেন-

(ক) প্রম্পটার  

(খ) মেকআপ ম্যান 

(গ) অভিনেতা 

ঘ) একজন দর্শক 

28. ‘-পটার’ বলতে বোঝায়- 

ক) মঞ্চের পর্দা ওঠান যিনি 

(খ) মঞ্চে আলোক প্রক্ষেপণ করেন যিনি 

(গ) নাট্য-পরিচালকের সহায়ক যিনি

(ঘ) অভিনেতার সংলাপ ধরিয়ে দেন যিনি 

29. ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে কালীনাথ রোজ লুকিয়ে ঘুমোতেন-

(ক) মঞ্চে 

(খ) গ্রিনরুমে

(গ) বৈঠকখানায় 

(ঘ) প্রেক্ষাগৃহের সামনে 

30. “গ্রিনরুমে ঘুমোই…”-কে ঘুমোন? 

(ক) কালীনাথ সেন

(খ) রামব্রিজ 

(গ) রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় 

(ঘ) রামচরণ

 31. কালীনাথ রাতে গ্রিনরুমে কী করছিলেন? 

(ক) রজনীবাবুকে খুঁজতে এসেছিলেন 

(খ) তাঁর ফেলে যাওয়া কিছু খুঁজতে এসেছিলেন 

(গ) রাতে গ্রিনরুমে থাকার দায়িত্ব পড়েছিল তাঁর 

(ঘ) রোজ রাতে তিনি গ্রিনরুমে ঘুমোতেন 

32. কালীনাথ কী কারণে রজনীবাবুকে বলেছিলেন যে, ‘মিছে কথা বলব না’? 

(ক) রজনীবাবু সত্যবাদী 

(খ) রজনীবাবু বৃদ্ধ 

(গ) রজনীবাবু ব্রাহ্মণ 

(ঘ) রজনীবাবু সৎ

33. “…এ কথাটা মালিকের কানে তুলবেন না চাটুজ্জেমশাই,” -কারণ- 

(ক) মালিক দুঃখ পাবেন 

(খ) মালিক তাঁর মাইনে কমিয়ে দেবেন 

গ) বক্কা একেবারে বেঘোরে মারা পড়বেন 

ঘ) মালিক তাঁকে তাড়িয়ে দেবেন

34. রজনীকান্ত ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে সেদিনের শো-তে যা পেয়েছিলেন-

(ক) পাঁচটা ক্ল্যাপ্ 

(খ)  প্রীতি উপহার 

(গ) সাতটা ক্ল্যাপ 

(ঘ) তিরস্কার

35. “আসলে যতক্ষণ স্টেজে দাঁড়িয়ে থাকি ততক্ষণ”-কী? 

(ক) আদর 

(খ) কদর 

(গ) ভালোবাসা 

(ঘ) শ্রদ্ধা

36. ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে রজনী চাটুজ্জে ‘ধু-ধু করা দুপুরে জ্বলন্ত মাঠে বাতাস’-এর সঙ্গে নিজের তুলনা করেছেন-   

(ক) একাকিত্ব বোঝাতে

(খ) উত্তাপ বোঝাতে 

(গ) বেপরোয়া স্বভাব বোঝাতে 

(ঘ) জীবনের ঝড়ঝাপটা বোঝাতে 

37. “পাবলিক তো আপনাকে ভালোবাসে চাটুজ্জেমশাই…”-এই ‘পাবলিক’ হল-

(ক) সাধারণ মানুষ 

(খ) সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষ 

(গ) নাটকের সাধারণ দর্শক 

(ঘ) নাটকের সাধারণ কলাকুশলীরা

38. রজনীকান্তের মতে তাঁর শিরায় প্রবাহিত হচ্ছে- 

(ক) অভিনয়ের নেশা 

(খ) সদ্বংশের পবিত্র রক্ত 

(গ) শিল্পের প্রতি শ্রদ্ধা  

(ঘ) প্রায়শ্চিত্ত করার আকাঙ্ক্ষা

39. অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম হয়েছিল- 

(ক) ব্রাহ্মণ বংশে 

(খ) প্রাচীন রাজবংশে 

(গ) কায়স্থ বংশে 

(ঘ) দরিদ্র পরিবারে

40. রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় থিয়েটারে আসার আগে চাকরি করতেন- 

(ক) পুলিশে

(খ) জাহাজে 

(গ) ডাক বিভাগে 

(ঘ) স্কুলে

41. “একদিন একটা মেয়ে থিয়েটার দেখে…।”-রজনীকান্তের থিয়েটার দেখে মেয়েটির প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া কী হয়েছিল? 

(ক) দর্শকাসনে বসে চোখের জল ফেলেছিল 

(খ) তাঁর প্রেমে পড়েছিল 

(গ) রজনীকে চটি ছুড়ে মেরেছিল 

(ঘ) নাটক-শেষে তার পায়ে পড়েছিল

42. রজনীকান্তের প্রেমিকার মধ্যে কী লুকিয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন তিনি? 

(ক) আনন্দের ভাব 

(খ) দুঃখের ভাব 

(গ) চাপা সৌন্দর্য 

(ঘ) আগুন 

43. “অন্ধকার রাতে একা একা ভাবলে মনে হত”-প্রেমিকা সম্বন্ধে রজনীকান্তের কী মনে হত? 

(ক) সে যেন কোনো অচেনা দিনের আলো 

(খ) তার চুল সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো 

(গ) সে ভোরের আলোর চেয়েও সুন্দর 

(ঘ) মরে যাব, তবু ভুলব না, তার সেই আশ্চর্য ভালোবাসা

44. “… ভোরের আলোর চেয়েও সুন্দর সে।”-রজনী চট্টোপাধ্যায় কার কথা বলেছেন? 

(ক) তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা 

(খ) বন্ধু

(গ) তাঁর অভিনীত চরিত্র 

(ঘ) রামব্রিজ

45. রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের প্রেমিকা তাঁকে যে চরিত্রে অভিনয় করতে দেখেছিল- 

(ক) শাজাহান 

(খ) দিলদার 

(গ) আলমগির 

(ঘ) ঔরঙ্গজেব

46. ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে অভিনেতাকে যার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে- 

(ক) শিক্ষক 

(খ) অস্পৃশ্য ভাঁড় 

(গ) গাধা

(ঘ) জ্ঞানী

47. রজনীকান্তবাবুর মতে অভিনেতা আসলে- 

(ক) সমাজের শিক্ষক 

(খ) বোকা 

(গ) জ্ঞানী 

(ঘ) অস্পৃশ্য ভাঁড় 

48. “….তা বলে কি তাঁরা তোমার সঙ্গে আলাপ করবেন না, চা সিগারেট খাওয়াবেন না?”- কাদের কথা বলা হয়েছে? 

(ক) নাটকের সাধারণ দর্শক

(খ) আত্মীয়স্বজন 

(গ) নামি অভিনেতা

(ঘ) রুচিশীল ব্যক্তিদের

49. “আর একদিন তাকে দেখে মনে হয়েছিল”- 

(ক) মোমের আলোর চেয়েও পবিত্র 

(খ) চাঁদের আলোর চেয়েও স্নিগ্ধ 

(গ) ভোরের আলোর চেয়েও সুন্দর

(ঘ) গোধূলির আলোর চেয়েও মায়াবী

50. “যারা বলে ‘নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প’- তারা সব”- 

(ক) ভেড়া 

(খ) গাধা 

(গ) বোকা 

(ঘ) চালাক

2. Very Short Question Answer

১. ‘নানা রঙের দিন’ নাটকটি কোন্ বিদেশি নাটকের ছায়ায় রচিত?

▶ ‘নানা রঙের দিন’ নাটকটি আন্তন চেখভের সোয়ান সং নাটকের ছায়া অবলম্বনে রচিত।

২. ‘নানা রঙের দিন’ কত অঙ্কের নাটক?

▶ ‘নানা রঙের দিন’ এক অঙ্কের নাটক।

৩. ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের প্রম্পটারের নাম কী?

▶ ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের প্রম্পটারের নাম কালীনাথ সেন।

৪. ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের প্রেক্ষাপট কোথায় ছিল?

▶ ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের প্রেক্ষাপট ছিল পেশাদারি থিয়েটারের একটি ফাঁকা মঞ্চ।

‘৫. নানা রঙের দিন’ নাটকের শুরুতে মঞ্চে কী ওলটানো ছিল?

▶ ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের শুরুতে মঞ্চে একটি টুল ওলটানো ছিল।

 ‘৬. নানা রঙের দিন’ নাটকের শুরুতে রজনীকান্তের হাতে কী ছিল?

▶ ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের শুরুতে রজনীকান্তের হাতে জ্বলন্ত মোমবাতি ছিল।

 ৭. রজনীবাবু কোথায় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন?

▶ রজনীবাবু গ্রিনরুমে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।

৮. “বাঃ বাঃ বুঢ়া। আচ্ছাহি কিয়া।”-কে কাকে মন্তব্যটি করেছেন?

▶ বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় নিজেই নিজেকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্যটি করেছেন।

৯. মাতালের এই হচ্ছে বিপদ।”-কী বিপদ?

▶ মাতালের বিপদ হল, মাতাল মদ ছাড়তে চাইলেও মদের কাছ থেকে ছাড়ান পায় না সে।

১০. “হ্যাঁ, বুড়ো হয়েছেন বই-কি রজনীবাবু…”-রজনীবাবুর বয়স কত হয়েছিল?

▶ রজনীবাবু অর্থাৎ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের বয়স হয়েছিল আটষট্টি।

১১. “আটষট্টিটা বছর কী নেহাত কম বয়স”-কার বয়সের কথা বলা হয়েছে?

▶ রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের বয়সের কথা এখানে বলা হয়েছে।

১২. আপনি বামুন-মানুষ মিছে কথা বলব না”-বক্তা কোন্ সত্য কথাটি বলেছিল?

▶ বক্তা কালীনাথ রোজ রাত্রে গ্রিনরুমে লুকিয়ে তার ঘুমোনোর কথাটি বলেছিল।

১৩. আর একদিন-আর একদিন তাকে দেখে মনে হয়েছিল”-কার, কাকে দেখে, কী মনে হয়েছিল?

▶ বক্তা রজনীকান্তের একদিন তাঁর প্রেমিকাকে দেখে মনে হয়েছিল সে ভোরের আলোর চেয়েও সুন্দর।

১৪ এই পবিত্রতার নামাবলিটা সেদিন হঠাৎই ফাঁস হয়ে গেল আমার সামনে…” কীসের কথা বলা হয়েছে?

▶ ‘নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প!’-প্রচলিত এই ধারণার কথা এখানে বলা হয়েছে।

১৫. শাহাজাদি! সম্রাটনন্দিনী! মৃত্যুভয় দেখাও কাহারে?”-‘শাহাজাদি’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?

▶ প্রশ্নোদ্ভূত অংশে ‘শাহাজাদি’ বলতে রিজিয়াকে বোঝানো হয়েছে।

১৬. “সম্রাটনন্দিনী! মৃত্যুভয় দেখাও কাহারে?”-কোন্ নাটকে, কার সংলাপ এটি?

▶ আলোচ্য সংলাপটি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘রিজিয়া’ নাটকের অন্তর্গত বক্তিয়ারের।

১৭. কাম অন, কুইক! মহম্মদের ক্যাচটা দাও তো”-মহম্মদ কে? কে মহম্মদের ক্যাচ দিয়েছিলেন?

▶ ঐতিহাসিক চরিত্র মহম্মদ ছিলেন ঔরঙ্গজেবের পুত্র।

► মহম্মদের ক্যাচ দিয়েছিলেন প্রম্পটার কালীনাথ সেন।

3. Short Question Answer

১ বাঃ বাঃ বুঢ়া। আচ্ছাহি কিয়া।”-কী করার কথা বলা হয়েছে?

▶ অভিনয় শেষে প্রচুর মদ্যপান করে বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের গ্রিনরুমের চেয়ারে ঘুমে ঢলে পড়ার কথা বলা হয়েছে।

২. . “কাল রাতেও ঠিক একই ব্যাপার।”-কোন্ ব্যাপারের কথা বলা হয়েছে?

▶ এখানে আগের রাতে অভিনয়ের শেষে অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের মদ্যপান করে গ্রিনরুমে ঘুমিয়ে থাকার কথা বলা হয়েছে।

৩. “তার দরুন আজ সন্ধেবেলা নগদ তিনটে টাকা বকশিশও দিলুম ওকে।”-কাকে কী কারণে বকশিশ দেওয়া হয়েছিল? 

▶ রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় মদের ঘোরে সাজঘরে ঘুমিয়ে পড়লে তাঁকে ঘুম থেকে তুলে ট্যাক্সি ডেকে দেওয়ার জন্য রামব্রিজকে তিনি বকশিশ দিয়েছিলেন।

৪. “আর তার ফল হল কী?”-কোন্ কাজের ফলের কথা বলা হয়েছে? 

▶ আগের রাতে রজনীবাবু মদ খেয়ে গ্রিনরুমে পড়ে থাকলে রামব্রিজ তাকে তুলে ট্যাক্সিতে করে বাড়ি পাঠিয়েছিল বলে সেদিন সন্ধ্যায় রজনীবাবু যে তাকে তিন টাকা বকশিশ দিয়েছিলেন, তার ফলের কথাই এখানে বলা হয়েছে।

৫. “আর তার ফল হল কী?”-তার কী ফল হয়েছিল?

▶ সন্ধ্যায় রজনীবাবুর দেওয়া তিন টাকা বকশিশে রামব্রিজ নিজেই হয়তো মদ খেয়ে কোথায় পড়ে আছে বলে মনে করেন রজনীকান্ত।

৬. এতক্ষণ পড়ে পড়ে গ্রিনরুমে নাক ডাকছিলুম।”-গ্রিনরুমে নাক ডাকার কারণ কী?

▶ রজনীবাবু অভিনয়ের বেশ কিছুক্ষণ পরে অতিরিক্ত মদ্য পান করেছিলেন বলেই তিনি গ্রিনরুমে ঘুমিয়ে পড়ে নাক ডাকছিলেন।

৭. “এত টানলে কি আর কাণ্ডজ্ঞান থাকে?”- কীসের কথা বলা হয়েছে?

▶ ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের প্রশ্নোদ্ভূত অংশে প্রবীণ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় নিজের মদ্যপানের কথা বলেছেন।

৮. “আরে, গেল কোথায় লোকটা?”- কোন্ লোকের কথা বলা হয়েছে?

▶ অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় অনূদিত ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের উদ্ধৃতাংশে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় রামব্রিজের কথা বলেছেন।

৯. . ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে মঞ্চসজ্জার কীরকম বর্ণনা দেওয়া আছে?

অথবা, ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের প্রারম্ভে যে মঞ্চসজ্জার বিবরণ আছে, তা নিজের ভাষায় লেখো।

▶ ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে অন্ধকার, ফাঁকা মঞ্চের পিছনের অংশে পূর্বে অভিনীত নাটকের অবশিষ্ট দৃশ্যপট, জিনিসপত্র, যন্ত্রপাতি, মাঝখানে একটা ওলটানো টুল দেখানো হয়েছে।

১০.. ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে দিলদারের পোশাক পরে কে প্রবেশ করেছিলেন?

▶ ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে দিলদারের পোশাক পরে মঞ্চে প্রবেশ করেছিলেন বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়।

১১..হল ফাঁকা, শাজাহান-জাহানারা সব পাত্রপাত্রী ভোঁভোঁ…”- এসময়ে একমাত্র কাকে মঞ্চে দেখা গিয়েছিল?

▶ ফাঁকা হলে, অভিনয়ের পর যখন শাজাহান-জাহানারা-সহ সবাই চলে গিয়েছে তখন একমাত্র দিলদারকেই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল।

১২. আর আপনি রজনীবাবু এসব কী করছেন মশাই?”-বক্তার এই মন্তব্যের কারণ কী?

▶ প্রবীণ মানুষেরা নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে তাঁদের জীবন অতিবাহিত করলেও আটষট্টি বছর বয়সি রজনীকান্তবাবুর নেশাগ্রস্ত হয়ে বেহিসেবি দিন কাটানোর প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে।

১৩. . “মাঝরাতে দিলদারের পোষাক পরে, পেটভর্তি মদ গিলে, এসব থিয়েটারি ভাষায় কী আবোলতাবোল বলছেন বলুন তো?”- ‘দিলদারের পোষাক’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

▶ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় ‘সাজাহান’ নাটকে দিলদারের চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে যে পোশাক পরেছিলেন, এখানে তার কথা বলা হয়েছে।

১৪. ‘নানা রঙের দিন’-এর ‘চরিত্রলিপি’ বয়স-সহ উল্লেখ করো।

▶ নানা রঙের দিনের চরিত্রলিপি: রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়-বৃদ্ধ অভিনেতা (বয়স ৬৮ বছর), কালীনাথ সেন-প্রম্পটার (প্রায় ৬০ বছর)

১৫. ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে কালীনাথ সেনের চেহারা ও পোশাক- পরিচ্ছদ কেমন ছিল?

▶ অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে বৃদ্ধ প্রম্পটার কালীনাথ সেনের পরনে ছিল ময়লা পাজামা, গায়ে কালো চাদর, আর তাঁর চুল ছিল এলোমেলো।

১৬. “রজনীবাবু ভয়ে চিৎকার করে পিছিয়ে যান।” কাকে, কী অবস্থায় দেখে রজনীবাবু ভয় পেয়েছিলেন?

▶ পরনে ময়লা পাজামা, গায়ে কালো চাদর এবং এলোমেলো চুলে বৃদ্ধ কালীনাথ সেনকে মধ্যরাতের ফাঁকা অন্ধকার মঞ্চে প্রবেশ করতে দেখে রজনীবাবু ভয় পেয়েছিলেন।

১৭. “তুমি এত রাতে কী করছিলে এখানে?”-উত্তরে শ্রোতা কী বলেছিলেন?

▶ আলোচ্য প্রশ্নের উত্তরে শ্রোতা কালীনাথ সেন জানান যে, শোয়ার জায়গা না থাকায় তিনি প্রতিদিন গোপনে গ্রিনরুমে ঘুমান।

১৮. …এ কথাটা মালিকের কানে তুলবেন না চাটুজ্জেমশাই,”-কোন্ কথা?

▶ শোয়ার জায়গা না থাকায় প্রম্পটার কালীনাথ সেন যে রোজ রাত্রে লুকিয়ে গ্রিনরুমে ঘুমোন-সেই ‘কথা’ প্রসঙ্গে মন্তব্যটি করা হয়েছে।

১৯’নানা রঙের দিন’ নাটকে কালীনাথ সেনকে কেন গ্রিনরুমে ঘুমোতে হত?

▶ অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে কালীনাথ সেনকে গ্রিনরুমে ঘুমোতে হত, কারণ তাঁর শোয়ার কোনো জায়গা ছিল না।

২০. “…মরা হাতি সোয়া লাখ।”-‘নানা রঙের দিন’ নাটকে কোন্ প্রসঙ্গে কথাটি এসেছে?

▶ অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয়ে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি নিজেই এই মন্তব্যটি করেছেন।

২১…মরা হাতি সোয়া লাখ।”-এমন মন্তব্যের কারণ কী?

▶ রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় বৃদ্ধ বয়সে দিলদারের চরিত্রে অভিনয় করেও। সাতটা ক্ল্যাপ্ আর যে প্রশংসা পেয়েছিলেন, সে কারণেই এই মন্তব্যটি করা হয়েছে।

২২. “কে-ই বা এই বুড়ো মাতালটার খোঁজ করে”-বুড়ো মাতালটি কে?

▶ অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে ‘বুড়ো মাতাল’-টি হলেন বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়।

২৩”…কী হবে বাড়ি ফিরে-একটুও ভালো লাগে না বাড়িতে!” বক্তার এ কথার কারণ কী?

▶ বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তাঁর আপনজন-স্ত্রী- সন্তান, সঙ্গীসাথি কেউ না থাকার জন্যই বক্তার এই অনুভূতি তৈরি হয়েছে।

২৪ ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় নিজের বংশ পরিচয় নিয়ে কী বলেছিলেন?

▶ বৃদ্ধ রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে বলেছেন যে, রাঢ়ের সবচেয়ে প্রাচীন ভদ্র ব্রাহ্মণ বংশে তাঁর জন্ম হয়েছে।

২৫. ‘নানা রঙের দিন’ নাটক অনুসারে অভিনয়ে আসার আগে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় কী চাকরি করতেন?

▶ অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় অভিনয়ে আসার আগে ‘ইস্পেক্টর অফ পুলিশ’ পদে কর্মরত ছিলেন।

২৬ “ছোকরা বয়স তো?”- ‘ছোকরা বয়স’-এর কী বিশেষত্ব ছিল?

▶ ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে ‘ছোকরা বয়স’-এ রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের চেহারায় উজ্জ্বলতা, শরীরে শক্তি এবং মনে সাহস থাকায় তিনি কারও তোয়াক্কা করতেন না।

২৭.”তারপর একদিন, বুঝলে-চাকরিটা ছেড়ে দিলাম।”-বক্তা চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন কেন?

▶ থিয়েটারে অভিনয়ের পেশায় নিজেকে পুরোপুরি নিয়োজিত করার জন্য বক্তা রজনীকান্ত পুলিশের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন।

২৮ “বুঝলে, চাকরিটা ছেড়ে দিলাম”-কে, কোন্ চাকরি ছেড়ে দেবার কথা বলেছেন?

▶ ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় এখানে তাঁর ‘ইস্পেকটর অফ পুলিশ’-এর চাকরি ছেড়ে দেবার কথা বলেছেন।

২৯. “…হঠাৎ আমার মনে হল, কে যেন আমার জীবনের সমস্ত খাতাখানাকে, আমার চোখের সামনে মেলে ধরেছে।”-কখন বক্তার এ কথা মনে হয়েছিল?

▶ মাঝরাতে একা মঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে থিয়েটারের পিছনের দেয়ালের দিকে, কখনো-বা সামনের অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে বক্তা রজনীকান্তের এ কথা মনে হয়েছিল।

৩০”… মেয়েটা বেশ লম্বা, ফরসা, সুন্দর, ছিপছিপে গড়নের…”-মেয়েটি কে?

▶ থিয়েটার দেখে একদিন যে মেয়েটি অভিনেতা রজনীকান্তের প্রেমে পড়েছিল, রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের সেই প্রাক্তন প্রেমিকার কথাই এখানে বলা হয়েছে।

৩১ “সব ভালো তার” রজনীকান্তের প্রেমিকার কী কী ভালো ছিল?

▶ রজনীকান্তের প্রেমিকা ছিলেন ধনী মেয়ে। তাঁর উচ্চতা, রং, মুখশ্রী, শারীরিক গঠন এবং মন ছিল ভালো।

৩২. “…ওরই মধ্যে কোথায় যেন আগুন লুকিয়ে ছিল…”-কোন্ প্রসঙ্গে কথাটি বলা হয়েছে?

▶ লম্বা, ফরসা, সুন্দর, ধনী পরিবারের যে মেয়েটি থিয়েটার দেখে অভিনেতা রজনীকান্তের প্রেমে পড়েছিল, তার বর্ণনা প্রসঙ্গেই বক্তা রজনীকান্ত এই মন্তব্যটি করেছেন।

৩৩. “…কেমন করে দুর্গম পাহাড়কে ধ্বসিয়ে দেয় পাহাড়ি নদীর দুর্গম খরস্রোত”-কী দেখে বক্তার এ কথা মনে হয়েছে?

▶ যৌবনে রজনীকান্তের অভিনয় দেখে প্রেমে পড়েছিল যে মেয়েটি, তার রাশি রাশি ঢেউখেলানো কালো চুল দেখে বক্তা রজনীকান্তের এ কথা মনে হয়েছিল।

৩৪. রজনীকান্তের অভিনয়ে মুগ্ধ হওয়া মেয়েটি তাঁকে কোন্ চরিত্রে অভিনয় করতে দেখেছিল?

▶ অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে রজনীকান্তের অভিনয়ে মুগ্ধ হওয়া মেয়েটি তাঁকে ‘আলমগির’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখেছিল।

৩৫ “…কিন্তু তার আগে তুমি ওই থিয়েটার করা ছেড়ে দাও।”-কখন বক্তা এ কথা বলেছেন?

▶ যৌবনে যখন অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় তাঁর প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তখনই সে উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছিলেন।

৩৬. “সেই রাত্রেই জীবনে প্রথম মোক্ষম বুঝলুম…”-বক্তা কী বুঝেছিলেন?

▶ বক্তা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় বুঝেছিলেন যে, যাঁরা বলেন ‘নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প’ তাঁরা হয় ‘গাধা’, না হয় মিথ্যে কথা বা বাজে কথা বলেন।

৩৭. “সেই রাত্রেই জীবনে প্রথম মোক্ষম বুঝলুম যে, যারা বলে ‘নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প’-তারা সব গাধা-গাধা।”- কোন্ রাত্রে বক্তা এ কথা বুঝেছিলেন?

▶ যেদিন রজনীকান্তের প্রেমিকা তাঁকে বিয়ের শর্ত হিসেবে থিয়েটারে অভিনয় ছেড়ে দিতে বলেছিলেন, সেদিন রাত্রে মঞ্চে অভিনয়ের সময় বক্তা রজনীকান্তের এ কথা মনে হয়েছিল।

৩৮. ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে ‘অভিনেতা’ সম্বন্ধে রজনীকান্তের দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দাও।

▶ ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে নিজে অভিনেতা হয়েও রজনীকান্তের মনে হয়েছিল মানুষের মনোরঞ্জনকারী একজন অভিনেতা হলেন চাকর, জোকার কিংবা ক্লাউনের-ই নামান্তর।

৩৯. “আর সেইদিনই বুঝলুম পাবলিকের আসল চরিত্রটা কী।”- কোন্দিনের কথা বলা হয়েছে?

▶ অভিনয় ছাড়তে না পারার জন্য প্রেমিকা জীবন থেকে সরে যাওয়ার দিনে রাতের বেলা একটা বাজে হাসির বইয়ে অভিনয়ের দিনের কথা বলা হয়েছে।

৪০ “মরে যাব তবু ভুলব না”-কে, কী ভুলবে না?

▶ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় ভুলবেন না তাঁর জীবনের একদা এবং একমাত্র প্রেমিকার তাঁর দিকে অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে থাকা এবং আশ্চর্য ভালোবাসাকে।

৪১. “…এসব বাজে কথায় আমি বিশ্বাস করি না।”-বক্তা কোন বিষয়গুলিকে ‘বাজে কথা’ বলেছেন?

▶ দর্শকদের ফাঁকা হাততালি, খবরের কাগজের প্রশংসা, মেডেল, সার্টিফিকেট, ‘নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প’র মতো প্রশস্তিবাক্য-এগুলিকে অভিনেতা রজনীকান্ত ‘বাজে কথা’ বলেছেন।

৪২”… আমি, কাউকে বিশ্বাস করি না।”-বক্তা কাদের বিশ্বাস না করার কথা বলেছেন?

▶ বক্তা অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় ‘পাবলিক’ অর্থাৎ থিয়েটারের টিকিট কেনা খদ্দেরদের বিশ্বাস না করার কথা বলেছেন।

4. Long Question Answer

প্রশ্ন ১ “আচ্ছা পাগলের পাল্লায় পড়া গেছে যা হোক।”-‘পাগল’ বলতে এখানে কার কথা বলা হয়েছে? কোন্ পরিস্থিতিতে এই মন্তব্য করেছিলেন?

উত্তর উদ্দিষ্ট ব্যক্তি: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুবাদ-নাটক ‘নানা রঙের দিন’-এ ‘পাগল’ বলতে রামব্রিজের কথা বলা হয়েছে।

▶ মন্তব্যের প্রেক্ষিত: আলোচ্য নাটকে গভীর রাতে অভিনয়ের শেষে শূন্য প্রেক্ষাগৃহে মঞ্চের ওপরে একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর হাতে ছিল একটা জ্বলন্ত মোমবাতি, পরনে ছিল দিলদারের পোশাক। রজনীকান্তের স্বগতোক্তি থেকে জানা যায় যে,

 অতিরিক্ত মদ্যপানের জন্য সেদিন অভিনয়ের পর তিনি গ্রিনরুমেই ঘুমিয়ে। পড়েছিলেন। নিঝুম, অন্ধকার রাতে কেবল নিজের গলাটাই ঘুরেফিরে কানে আসে রজনীকান্তের। তাই তিনি একটু ভয়ও পেয়ে যান। আগের রাতেও ঠিক একই ঘটনা ঘটলেও রামব্রিজ এসে তাঁকে ঘুম থেকে তুলে ট্যাক্সি ডেকে বাড়ি পৌঁছোনোর ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। এই কাজের জন্য সন্ধেবেলাতে রজনীকান্ত তাকে নগদ তিন টাকা বকশিশও দেন। আর এর ফলেই ঘটে বিপত্তি। রজনীকান্তের থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে রামব্রিজ প্রচুর পরিমাণে ধেনো মদ খেয়েছে। তাই সে-ও আজ নেশার ঘোরে আচ্ছন্ন এবং অজ্ঞান হয়ে কোথাও পড়ে আছে। তাই অনেক ডাকার পরও রামব্রিজের দেখা না পাওয়ায় গভীর রাতে রজনীকান্তের পক্ষে বাড়ি যাওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। আর এই পরিস্থিতিতেই রজনীকান্ত আলোচ্য মন্তব্যটি করেছিলেন।

প্রশ্ন ২ “মুখের ভেতরটা যেন অডিটোরিয়াম-ইন্টারভ্যালে সব দর্শকরা হাঁটাহাঁটি লাগিয়ে দিয়েছে…”-মন্তব্যটির প্রেক্ষাপট আলোচনা করো।

উত্তর মন্তব্যের প্রেক্ষাপট: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুবাদ-নাটক ‘নানা রঙের দিন’-এ এক পেশাদারি থিয়েটারের ফাঁকা মঞ্চে অন্ধকার রাতে শূন্য প্রেক্ষাগৃহে দেখা যায় আটষট্টি বছরের বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়কে। রজনীকান্তের পরনে দিলদারের পোশাক, হাতে জ্বলন্ত মোমবাতি। রজনীকান্তের কথা থেকে জানা যায়, অভিনয়ের পরে অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে নেশার ঘোরে তিনি গ্রিনরুমে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ঘুম থেকে জেগে উঠে তিনি দেখেন শাজাহান-জাহানারা-সহ বাকি সব চরিত্রাভিনেতা চলে গিয়েছে। গভীর রাতে মঞ্চে তিনি একা রয়েছেন। নিঝুম রাতের শূন্য প্রেক্ষাগৃহে ট্যাক্সি ডেকে দেওয়ার জন্য রামব্রিজকে ডেকেও সাড়া পান না তিনি। তাঁর মনে পড়ে যায় আগের রাতে তাঁকে বাড়ি যাবার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য রামব্রিজকে তিনি তিন টাকা বকশিশ দিয়েছেন। সেই টাকাতেই ‘রামধেনো’ কিনে তাঁকে দেড় বোতল খাইয়ে গেছে রামব্রিজ এবং সে নিজেও হয়তো কোথাও নেশার ঘোরে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে আছে। অসহায় প্রবীণ রজনীকান্তের মনে হয় অতিরিক্ত মদ্যপানে তাঁর বুকের ভেতরটা থরথর করে কাঁপছে আর শারীরিক কষ্ট হচ্ছে। থিয়েটারে নিবেদিতপ্রাণ রজনীকান্তের অবচেতন মনেও কাজ করে চলে থিয়েটারের দৃশ্যপট। তাই মুখের ভিতরটা শুকিয়ে আসার যে কষ্ট তিনি অনুভব করেছেন, তার সঙ্গে তুলনা করেছেন অডিটোরিয়ামে ইন্টারভ্যাল চলাকালীন দর্শকদের হাঁটাহাঁটির মতো বিশৃঙ্খলার দৃশ্যকে।।

প্রশ্ন ৩ “…জীবনে ভোর নেই, সকাল নেই, দুপুর নেই, সন্ধেও ফুরিয়েছে-এখন শুধু মাঝরাত্তিরের অপেক্ষা”- এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বক্তার যে মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছে তা আলোচনা করো।

উত্তর উদ্দিষ্ট মন্তব্যের আলোকে বক্তার মনোভাব:

অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুবাদ-নাটক ‘নানা রঙের দিন’-এ প্রধান চরিত্র বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থিয়েটার শেষে ফাঁকা মঞ্চের উপরে দাঁড়িয়ে নিজের মুখোমুখি হয়েছেন। জীবনের আটষট্টিটা বছর পার করে যৌবনে অভিনয়ের সোনালি দিনগুলির কথাই তাঁর বারেবারে মনে পড়ে। জীবনের শ্রেষ্ঠতম মুহূর্তগুলিকে পেছনে ফেলে আসার যন্ত্রণা অভিনেতা রজনীকান্তকে কষ্ট দেয়। তিনি উপলব্ধি করেন যে, নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছেন তিনি। এভাবে জীবন-সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে অভিনেতা রজনীকান্ত চূড়ান্ত হতাশার মুখোমুখি হয়েছেন। এই হতাশা শুধু তাঁর ব্যক্তিজীবনেরই নয়, অভিনয় জীবনেরও। অভিনেতা হিসেবে যখন অতীতই শুধু সম্বল, জীবনের সব স্বপ্নগুলো ক্রমশ মুছে যেতে চলেছে মৃত্যুর অন্ধকারে-নেশার ঝোঁকে সেই নির্মম বাস্তবেরই যেন মুখোমুখি হয়েছেন রজনীকান্ত। বৃদ্ধ বয়সে যখন সবাই নিশ্চিন্ত জীবনযাপন করতে চান, মাপজোখ করে খাওয়াদাওয়া করেন, নাম- সংকীর্তন আর ভগবানে আশ্রয় খোঁজেন, তখন রজনীকান্তের ভিতরে যে অস্থিরতা তা যেন শিল্পীসত্তার জীর্ণ হৃদয়ের যন্ত্রণা। ভালো কাজের ইচ্ছে থাকলেও সুযোগ আর বেশিদিন তাঁর কাছে নেই-সেই আক্ষেপ আর আশঙ্কাই রজনীকান্তকে হতাশ করে তুলেছে।

প্রশ্ন ৪ “আমি লাস্ট সিনে প্লে করব না ভাই…” -বক্তা কে? কোন্ প্রসঙ্গে বক্তা মন্তব্যটি করেছেন আলোচনা করো। 

উত্তর বক্তা: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুবাদ-নাটক ‘নানা রঙের দিন’-এ বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় মধ্যরাতে ফাঁকা মঞ্চে মদ্যপান করে নিজেই নিজেকে উদ্দেশ করে আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন।

▶ প্রসঙ্গ: নেশাগ্রস্ত রজনীকান্ত তাঁর বৃদ্ধাবস্থায় উপলব্ধি করেন যে, তাঁর আন্তরসত্তা যেন জেগে উঠেছে। সে তাঁকে শরীরের দিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছে। অন্যদিকে, বাইরের মানুষটা অর্থাৎ তাঁর বাহ্যিক সত্তা অনুভব করে যে, প্রতিদিন অর্ধেক শিশি কলপ লাগিয়ে বয়সকে হয়তো কিছুটা আড়াল করা যায়, কিন্তু সময়ের সঙ্গে যা চলে যায় তা আর কখনও ফেরে না। এইভাবে রজনীকান্তের দুটি সত্তার অন্তর্দ্বন্দ্বের মধ্যে তিনি দেখতে পান বয়সের সঙ্গে মৃত্যুর দিকে তাঁর স্পষ্ট এগিয়ে চলা-“… জীবনে ভোর নেই, সকাল নেই, দুপুর

নেই, -সন্ধেও ফুরিয়েছে-এখন শুধু মাঝরাত্তিরের অপেক্ষা….। অথচ মৃত্যুর প্রান্তে দাঁড়িয়েও তাঁর ভিতরের শিল্পীসত্তা মরতে চায় না। তাই জীবনের শেষ দৃশ্যের অভিনয় করতে তিনি রাজি নন। অথচ বাইরের মানুষটা বুঝতে পারে যে, জীবনের অন্তিম পর্যায়ে শ্মশানঘাটের দৃশ্যের অভিনয়ে থাকবে পরিচিত বন্ধুবান্ধবেরা আর উইংসে উপস্থিত হবে পরপারের দূত। এটি নিয়তির অব্যর্থ বিধান, তাই না চাইলেও জীবনের শেষ দৃশ্যে অভিনয় করতেই হবে তাঁকে। মৃত্যুর নিশ্চিত হাতছানিতে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়েই অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন।

 প্রশ্ন ৫ “আমি রোজ লুকিয়ে লুকিয়ে গ্রিনরুমে ঘুমোই চাটুজ্জে মশাই-কেউ জানে না”-কোন্ নাটকের অংশ? বক্তা কে? তিনি কেন গ্রিনরুমে ঘুমান?

 উত্তর উৎস: প্রশ্নোদ্ভূত উক্তিটি অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের অংশ।

▶ বক্তা: উদ্ধৃতিটির বক্তা হলেন থিয়েটারের প্রম্পটার কালীনাথ সেন।

▶ গ্রিনরুমে ঘুমানোর কারণ: প্রায় ষাট বছর বয়সি বৃদ্ধ কালীনাথ সেন ময়লা পাজামা পরে, কালো চাদর গায়ে দিয়ে, এলোমেলো চুল নিয়ে গভীর রাতে মঞ্চে প্রবেশ করেছিলেন। নেশাগ্রস্ত রজনীকান্ত তাঁকে দেখে অবাক হয়ে গেলে কালীনাথ প্রশ্নোদ্ভূত উক্তিটি করেন। এরপরই হতদরিদ্র প্রম্পটার কালীনাথ রজনীকান্তকে গ্রিনরুমে ঘুমোনোর কারণটা বলেন। কালীনাথ নেহাতই হাঘরে, তার শোওয়ার কোনো জায়গা নেই। একারণেই তিনি রাতে থিয়েটার- হলের গ্রিনরুমেই ঘুমান। কালীনাথের এই গোপন আস্তানার কথা কেউ জানে না

প্রশ্ন ৬ “ধু-ধু করা দুপুরে জ্বলন্ত মাঠে বাতাস যেমন একা যেমন সঙ্গীহীন-তেমনি…”-বক্তা কে? কোন্ প্রসঙ্গে বক্তা এ কথা বলেছেন আলোচনা করো।  

উত্তর বক্তা: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছেন।

▶ প্রসঙ্গ: নাটকের অভিনয় শেষে প্রেক্ষাগৃহ যখন নিস্তব্ধ ও জনশূন্য, তখন মঞ্চের উপরে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় যেন নিজেরই মুখোমুখি হয়েছেন। নিজের বৃদ্ধবয়স, অভিনয়ের সোনালি দিনগুলির সময় ক্রমশ পিছনে চলে যাওয়া-এসব অভিনেতা রজনীকান্তকে চঞ্চল করে তুলেছে।

মনের যন্ত্রণাকে ভুলে থাকার জন্যই নেশার ঘোরে ডুবে যান তিনি। আটষট্টি বছরের রজনীকান্তবাবু এক নিদারুণ একাকিত্বের মুখোমুখি হন, যে একাকিত্বের দোসর অভিনেতার যন্ত্রণা। তিনি উপলব্ধি করেন, যতক্ষণ একজন অভিনেতা মঞ্চে অভিনয় করেন ততক্ষণই তাঁর কদর। তার বাইরে অভিনেতার খোঁজ কেউই রাখে না। গভীর রাতে মাতাল অবস্থায় মঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়কে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাই কেউই থাকে না। ব্যক্তিগত জীবনে নিঃসঙ্গ রজনীকান্ত উপলব্ধি করেন যে, আদর করে কথা বলার মতো এই বিশাল পৃথিবীতে তাঁর নিজের কেউই নেই। মরার সময় দু-ফোঁটা জল দেওয়ার জন্যও কেউ নেই তাঁর। এই একাকিত্বের তীব্র হতাশা আর নিরাশ্রয়তার বোধ থেকে যে যন্ত্রণা সৃষ্টি হয় রজনীকান্তের মনে, তার উল্লেখ প্রসঙ্গেই তিনি ধু-ধু করা দুপুরে জ্বলন্ত মাঠে একা, নিঃসঙ্গ বাতাসের সঙ্গে নিজের তুলনা করেছেন।

প্রশ্ন ৭.”আমিও তো মানুষ, কালীনাথ।”-প্রসঙ্গ উল্লেখ করো। বক্তা কেন এরূপ মন্তব্য করেছেন?

উত্তর প্রসঙ্গ: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় যখন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মাঝরাতে শূন্য প্রেক্ষাগৃহের ফাঁকা মঞ্চে বিলাপ করছেন তখন সেখানে প্রম্পটার কালীনাথের আগমন ঘটে। হতাশ রজনীকান্তকে সে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু তাতে রজনীকান্তের বিলাপ আরও তীব্রতর হয়ে ওঠে। একদিকে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের নিঃসঙ্গতা, অন্যদিকে এক নাট্য অভিনেতার সামাজিক অবস্থান- এই দুইয়ে মিলে তাঁর হতাশা গভীরতর হয়। রজনীকান্তের এই দুঃখ কালীনাথকে বিস্মিত করে, আর তার বিস্ময়ের উত্তরেই রজনীকান্ত এই মন্তব্যটি করেন।

▶ উদ্দিষ্ট মন্তব্যের কারণ: ফুরিয়ে আসা অভিনয় জীবন: আটষট্টি বছর বয়সে এসে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় ব্যক্তিগত এবং অভিনয় জীবন নিয়ে গভীর হতাশার শিকার হয়েছেন। এখনও তাঁর অভিনয় দর্শকদের প্রশংসা কুড়োলেও অভিনয়ের সোনালি দিনগুলি এখন অতীত। নিঃসঙ্গ জীবন: দীর্ঘ অভিনয়জীবনে রজনীকান্ত উপলব্ধি করেছেন যে, অভিনেতার যাবতীয় কদর

মঞ্চের উপরেই। তারপরে কেউ আর তাকে মনে রাখে না। কোনো অভিনেতার এই অবস্থায় একমাত্র আশ্রয় হতে পারে তার পরিবার। কিন্তু রজনীকান্তের সেটাও নেই। “মরবার সময় মুখে দু-ফোঁটা জল দেয় এমন কেউ নেই আমার।” দর্শক তার জন্য কিছু করবে না, স্ত্রী-সন্তান, সঙ্গীসাথি কেউই নেই তার। অথচ একদিন এই অভিনয়ের জন্যই তিনি পুলিশের চাকরি ছেড়েছিলেন, অভিনয় ছাড়তে পারবেন না বলেই তাঁর জীবনের একমাত্র প্রেম-সম্পর্কটিও ভেঙে গিয়েছিল। জীবনের শেষপ্রান্তে এসে এই একাকিত্ব এবং হতাশা রজনীকান্তের কাছে যেন অসহনীয় হয়ে উঠেছে।