Class 12 Chapter 2 Solution
বচন
1. MCQs Question Answer
1. ‘মানুষ কদাচিৎ সুখী’-বাক্যটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ হল-
a) সকল মানুষ হয় সুখী
B) কোনো মানুষ নয় সুখী
C) কোনো কোনো মানুষ হয় সুখী
D) কোনো কোনো মানুষ নয় সুখী ✔
2. ‘মানুষ কদাচিৎ সুখী নয়’ বাক্যটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ হল-
a) সকল মানুষ হয় সুখী
b) কোনো মানুষ নয় সুখী ✔
c) কোনো কোনো মানুষ হয় সুখী
d) কোনো কোনো মানুষ নয় সুখী
3. বাক্য মাত্রেই বচন নয়-বাক্যটির L. F. (Logical Form) হবে-
a) A বচন ✔
b) E অথবা
c) O বচন
d) I বচন বচন
4. প্রাকল্পিক বাক্যকে তর্কবিজ্ঞানসম্মতভাবে যে বচনে পরিণত করা যায়-
a) A বচন ✔
b) E বচন
c) O বচন
d) বচন
5. নির্দিষ্ট একটি বাদে সব বললে বাক্যটি যে বচনে রূপান্তরিত হয়-
a) E বচনে
b) A বচনে ✔
c) O বচনে
d) I বচনে
6. ‘ব্যাপ্যতা’ শব্দটি জড়িত হল-
A) শব্দের সঙ্গে
B) পদের সঙ্গে ✔
C) বাক্যের সঙ্গে
D) সংযোজকের সঙ্গে
7. কেবল উদ্দেশ্যপদ ব্যাপ্য হয়-
a) A বচন ✔
b) E বচন
c) I বচন
d) O বচন
8. উদ্দেশ্যকে ব্যাপ্য করে যে বচন-
a) A বচন
b) E বচন
C) A এবং E বচন ✔
D) এবং I বচন
9. ব্যাপ্যতার অর্থ হল-
a) পরিপূর্ণ ব্যক্তর্থের উল্লেখ ✔
b) আংশিক ব্যক্তর্থের উল্লেখ
c) গুণের উল্লেখ
d) আকারের উল্লেখ
10. বিধেয়কে ব্যাপ্য করে যে বচন-
a) E এবং O বচন ✔
b) E এবং A বচন
c) A এবং I বচন
d) I এবং O বচন
11. শুধুমাত্র বিধেয়কে ব্যাপ্য করে যে বচন-
a) A বচন
b) E বচন
c) I বচন
d) O বচন ✔
12. যে বচনে উভয় পদই ব্যাপ্য, তা হল-
a) সার্বিক সদর্থক বচন
b) সার্বিক নঞর্থক বচন ✔
c) বিশেষ সদর্থক বচন
d) বিশেষ নঞর্থক বচন
13. যে বচনের বিধেয় পদ অব্যাপ্য-
a) A বচনের
b) E বচনের
c) O বচনের
d) A এবং I বচনের ✔
14. যে বচনে ব্যাপ্যতার বিষয়টি অনুপস্থিত –
a) I বচনে অনুপস্থিত ✔
b) E বচনে অনুপস্থিত
c) A বচনে অনুপস্থিত
d) O বচনে অনুপস্থিত
15. Ο বচনের যে পদটি ব্যাপ্য হয়, তা হল-
a) উদ্দেশ্য পদ
b) বিধেয় পদ ✔
c) উভয় পদ
d) কোনো পদ ব্যাপ্য নয়
16. আদর্শ নিরপেক্ষ বচনের অংশ হল-
a) দুটি
b) তিনটি
c) চারটি ✔
d) পাঁচটি
17. A বচনের যে পদটি ব্যাপ্য হয়, তা হল-
a) উদ্দেশ্য পদ ✔
b) বিধেয় পদ
c) উভয় পদ
d) কোনো পদ ব্যাপ্য নয়
18. উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ ব্যাপ্য হয়-
a) A বচনে
b) E বচনে ✔
c) I বচনে
d) O বচনে
19. বচনে কেবল বিধেয় পদ ব্যাপ্য হয়।-
a) A
b) E
c) I
d) O ✔
20. উদ্দেশ্য এবং বিধেয় উভয় পদই অব্যাপ্য হয়-
a) O বচনে
b) I বচনে ✔
c) E বচনে
d) A বচনে
21. একটি বচন সর্বদা-
a) বৈধ/অবৈধ
b) সত্য/মিথ্যা ✔
c) নিশ্চিত সম্ভাব্য
d) ব্যাপ্য/অব্যাপ্য
22. একটি আদর্শ নিরপেক্ষ বচনের অংশ হল-
a) দুটি
b) তিনটি
c) চারটি ✔
b) ছয়টি
23. যে বচনে কেবল বিধেয় পদ ব্যাপ্য হয় তা হল-
a) A
b) E
c) I
d) O ✔
24. উদ্দেশ্য পদ অব্যাপ্য হয়-
a) সামান্য বচনের
b) বিশেষ বচনের ✔
c) সদর্থক বচনের
d) নঞর্থক বচনের
25. প্রতিটি নঞর্থক বচনের পদটি অবশ্যই ব্যাপ্য হয়।
a) উদ্দেশ্য
b) বিধেয় ✔
c) উদ্দেশ্য ও বিধেয়
d) এদের কোনোটিই নয়
26. “সকল শিশু হয় সুন্দর”- এটি যে শ্রেণির বচন তা, হল-
A) নিরপেক্ষ শ্রেণির ✔
B) সাপেক্ষ শ্রেণির
C) প্রাকল্পিক শ্রেণির
D) বৈকল্পিক শ্রেণির
27. “সকল ছাত্র হয় বুদ্ধিমান” -এটি যে নিরপেক্ষ বচন, তা হল-
A) সামান্য সদর্থক ✔
B) সামান্য নঞর্থক
C) বিশেষ সদর্থক
D) বিশেষ নঞর্থক
28. “ভালো মানুষ ভালো মন্ত্রী নন”-এটি হল
A) একটি বাক্য ✔
B) একটি বচন
C) একটি যুক্তি
D) একটি সংক্ষিপ্ত ন্যায়
29. “সকল তিমি হয় স্তন্যপায়ী”-এটি হল-
A) একটি বাক্য
B) একটি বচন ✔
C) একটি অনুমান
D) একটি যুক্তি
30. “তুমি কি সাধু?”- এটা যে ধরনের বাক্য, তা হল-
A) বিস্ময়সূচক
B) জিজ্ঞাসাসূচক ✔
C) ইচ্ছাসূচক
D) নির্দেশসূচক
31. “আমার শত্রুর সর্বনাশ হোক্” – এটা যে ধরনের বাক্য, তা হল-
A) ইচ্ছাসূচক ✔
B) নির্দেশসূচক
C) জিজ্ঞাসাসূচক
D) ঘোষণাসূচক
32. “আমি কি ডরাই সখি ভিখারি রাঘবে?”- এটি যে ধরনের বাক্য, তা হল-
A) ঘোষণাসূচক
B) জিজ্ঞাসাসূচক ✔
C) বিস্ময়সূচক
D) ইচ্ছাসূচক
33. “হয় তুমি ভালো ফল করবে অথবা ফেল করবে”- যে ধরনের বচন, তা হল-
A) প্রাকল্পিক বচন
B) বৈকল্পিক বচন ✔
C) নিরপেক্ষ বচন
D) সংযৌগিক বচন
34. “যদি বৃষ্টি পড়ে তবে মাটি ভেজে”-এটি যে ধরনের বচন, তা হল-
A) প্রাকল্পিক বচন ✔
B) বৈকল্পিক বচন
C) নিরপেক্ষ বচন
D) সংযৌগিক বচন
35. চারটি অংশ আছে যার, তা হল-
a) বাক্য
b) বচন ✔
c) যুক্তি
d) অনুমান
36. সংযোজকটি যার অংশরূপে গণ্য হয়, তা হল-
a) বাক্য
b) যুক্তি
c) বচন ✔
d) অনুমান
37. অপ্রকাশিত চিন্তা নিয়ে আলোচনা করে-
a) মনোবিজ্ঞান ✔
b) তর্কবিজ্ঞান
c) নীতিবিজ্ঞান
d) সমাজবিজ্ঞান
38. চিন্তার বৈধতা নিয়ে আলোচনা করে-
a) মনোবিজ্ঞান
b) নীতিবিদ্যা
c) তর্কবিদ্যা ✔
d) সমাজদর্শন
39. “সকল মার্জার হয় বিড়াল”-এটি যে ধরনের বচন-
a) পুনরুক্তিমূলক ✔
b) সংজ্ঞামূলক
c) উপমামূলক
d) সাদৃশ্যমূলক
40. “তোমার সুমতি হোক”-এটি যে ধরনের বাক্য-
a) আদেশসূচক
b) ইচ্ছাসূচক ✔
c) বিস্ময়সূচক
d) জিজ্ঞাসাসূচক
41. নিরপেক্ষ বচনের স্বরূপে দেখা যায়-
a) কোনো শর্ত নেই ✔
b) কোনো শর্ত আছে
c) কোনো সাধারণ ঘোষণা আছে
d) এদের কোনোটিই নেই
42. নিরপেক্ষ বচন হল-
a) প্রশ্নসূচক
b) আদেশসূচক
c) ইচ্ছা প্রকাশক
d) ঘোষকমূলক ✔
43. আদর্শ নিরপেক্ষ বচনের অংশ
a) দুটি
b) তিনটি
c) চারটি ✔
d) পাঁচটি
44. যৌগিক বচন-
a) দুই প্রকার
b) তিন প্রকার
c) চার প্রকার
d) পাঁচ প্রকার ✔
45. পরিমাপক অংশটি হল-
a) বাক্যের
d) বচনের ✔
c) যুক্তির ন্যায়
d) মহাবাক্যের
46. উলটোপালটাভাবে যার অংশগুলিকে উপস্থাপন করা যায়, তা হল-
a) বাক্য ✔
b) বচন
c) সদর্থক বচন
d) নঞর্থক বচন
47. “গোলাপ সুন্দর”-এটি হল-
a) বাক্য ✔
b) বচন
c) অনুমান
d) যুক্তি
48. “সব গোলাপ হয় সুন্দর”-এটি হল-
a) বাক্য
b) অনুমান
c) বচন ✔
d) উদ্দেশ্য
49. সংযোজনের রূপটি হল- ‘
a) হওয়া’ ক্রিয়ার বর্তমান কাল ✔
b) ‘হওয়া’ ক্রিয়ার অতীত কাল
c) ‘হওয়া’ ক্রিয়ার ভবিষ্যত কাল
d) ‘হওয়া’ ক্রিয়ার যে-কোনো কাল
50. সংযোজকের কাজ হল-
a) উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের সংযোগ ঘটানো ✔
b) উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের বিচ্ছেদ ঘটানো
c) উদ্দেশ্যের পরিমাণকে নির্দেশ করা
d) • বিধেয়ের পরিমাণকে নির্দেশ করা
51. “সকল দার্শনিক হয় চিন্তাশীল”-এর সংযোজক হল-
a) সকল
b) দার্শনিক
c) হয় ✔
d) চিন্তাশীল
52. “কোনো দার্শনিক নয় চিন্তাশীল”-এর সংযোজক হল-
a) কোনো
b) দার্শনিক
c) নয় ✔
d) চিন্তাশীল
53. “বাক্য মাত্রই বচন” বাক্যটি হল-
a) সত্য
b) মিথ্যা ✔
c) সংশয়াত্মক
d) এদের কোনোটিই নয়
54. “বচন মাত্রই বচন”-এটি হল-
a) সংশয়াত্মক
b) মিথ্যা
c) সত্য ✔
d) অনিশ্চিত
55. “যদি বৃষ্টি পড়ে তবে মাটি ভেজে”-এটি হল-
a) নিরপেক্ষ বচন
b) সাপেক্ষ বচন ✔
c) যুক্তি
d) নির্দেশমূলক
56. “সকল ছাত্র হয় পড়ুয়া”-এটি হল-
a) নিরপেক্ষ বচন ✔
b) অনুমান
c) যুক্তি
d) সাপেক্ষ বচন
57. বচন হল একধরনের
a) ঘোষকবাচক বাক্য ✔
b) জিজ্ঞাসাসূচক বাক্য
c) নির্দেশসূচক বাক্য
d) ইচ্ছাসূচক বাক্য
58. সংযোজকের রূপটি হল-
a) সদর্থক
b) নঞর্থক
c) সদর্থক বা নঞর্থক ✔
D) সাপেক্ষ
59. নিরপেক্ষ বচনের বিধেয় অংশটি থাকে-
a) প্রথম অংশে
b) শেষ অংশে ✔
c) যে-কোনো অংশে
d) কোনোটিতেই নয়
60. নিরপেক্ষ বচনের সংযোজকের অবস্থানটি হল-
a) দ্বিতীয় অংশে
b) প্রথম অংশে
c) যে-কোনো অংশে
d) প্রথম ও দ্বিতীয় অংশের মাঝে ✔
61. নিরপেক্ষ বচনে পদের সংখ্যা-
a) একটি
b) চারটি
c) দুটি ✔
d) তিনটি
62. “সকল গোলাপ ফুল হয় সুন্দর”-এটি হল-
a) বচন ✔
b) অবধারণ
c) যুক্তি
d) বাক্য
63. উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়তে কোনো কিছু ঘোষণা করা হলে, তা হবে-
a) বিস্ময়সূচক বাক্য
b) ঘোষকবাচক বাক্য ✔
c) প্রশ্নসূচক বাক্য
d) নঞর্থক বাক্য
64. বৈধতার প্রশ্নটি জড়িয়ে আছে-
a) বাক্যের সঙ্গে
b) বচনের সঙ্গে
c) অবধারণের সঙ্গে
d) যুক্তির সঙ্গে ✔
65. সত্যতার প্রশ্নটি জড়িয়ে আছে-
a) যুক্তির সঙ্গে
b) বচনের সঙ্গে ✔
c) অনুমানের সঙ্গে
d) অপ্রকাশিত চিন্তার সঙ্গে
66. যুক্তি নিয়ে আলোচনা করে-
a) নীতিবিজ্ঞান
b) তর্কবিজ্ঞান ✔
c) মনোবিজ্ঞান
d) সমাজবিজ্ঞান
67. যুক্তির কাঠামো গঠিত হয়-
a) বচন দ্বারা ✔
b) বাক্য দ্বারা
c) পদ দ্বারা
d) শব্দ দ্বারা
68. যে বচনে উদ্দেশ্য পদটির অস্পষ্ট উল্লেখ থাকে তাকে বলে-
a) যথার্থ বচন
b) অযথার্থ বচন
c) নৈব্যক্তিক বচন ✔
d) নির্দেশসূচক বচন
69. যে বচনে একটি নির্দেশ বা অনুজ্ঞা থাকে তাকে বলে-
a) জিজ্ঞাসাসূচক বচন
b) বিস্ময়সূচক বচন
c) ঘোষক বচন
d) নির্দেশসূচক বচন ✔
70. যে বচনে কিছু ঘোষণা করা হয়, তা হল-
a) নির্দেশসূচক বচন
b) ঘোষক বচন ✔
c) অনুজ্ঞাসূচক বচন
d) নৈতিক বচন
71. যে বচনে বিধেয় পদটি একটি নঞর্থক পদ হয় তাকে বলে-
a) সসীম বচন
b) অসীম বচন ✔
c) নির্দেশাত্মক বচন
d) প্রশ্নাত্মক বচন
72. যুক্তির অঙ্গবাক্যকে বলা হয়-
a) বাক্য
b) পদ
c) হেতুবাক্য
d) বচন ✔
73. স্বতঃসত্য বচন হল-
a) সবসময়েই মিথ্যা
b) সবসময়েই সত্য ✔
c) সত্য ও মিথ্যা উভয়ই
d) এদের কোনোটিই নয়
74. স্বতঃমিথ্যা বচন হল-
a) সবসময়েই মিথ্যা ✔
b) সবসময়েই সত্য
c) সত্য ও মিথ্যা উভয়ই
d) সত্য বা মিথ্যা কোনোটিই নয়
75. অনির্দিষ্ট মান বচন হল-
a) সবসময় সত্য
b) সবসময় মিথ্যা
c) কখনও সত্য কখনও মিথ্যা ✔
d) এদের কোনোটিই নয়
76. “তুমি তর্কবিজ্ঞান বোঝ অথবা বোঝ না”- বচনটি হল-
a) স্বতঃসত্য ✔
b) স্বতঃমিথ্যা
c) অনির্দিষ্ট মান
d) সত্য ও মিথ্যা উভয়ই
77. “রাম কলেজ যাবে এবং যাবে না” বচনটি হল-
a) স্বতঃসত্য
b) স্বতঃমিথ্যা ✔
b) অনির্দিষ্ট মান
d) এদের কোনোটিই নয়
78. “যদি তর্কবিজ্ঞান পাঠ কর তবে তর্কে দক্ষ হবে”- বচনটি হল-
a) স্বতঃসত্য
b) স্বতঃমিথ্যা
c) অনির্দিষ্ট মান ✔
d) এদের কোনোটিই নয়
79. সব বাক্যই বচন-এটি হল-
a) সত্য
b) মিথ্যা ✔
c) অনির্দিষ্ট
d) এদের কোনোটিই নয়
৪০. সব বচনই বাক্য-এটি হল-
a) সত্য ✔
b) মিথ্যা
c) অনিশ্চিত
d) আপতিক
81. বাক্য অপেক্ষা বচনের পরিসর হল-
a) বেশি
b) অত্যন্ত বেশি
c) কম ✔
d) এদের কোনোটিই নয়
82. বচন অপেক্ষা বাক্যের পরিসর হল-
a) বেশি ✔
b) কম
c) সমান
d) এদের কোনোটিই নয়
83. সক্রেটিস হন জ্ঞানী-এটি হল-
a) সাপেক্ষ বচন
b) বৈকল্পিক বচন
c) সংযৌগিক বচন
d) ব্যক্তিগ্রাহক বচন ✔
84. সকল মানুষ হয় মরণশীল বচনটি হল-
a) সামান্য বচন ✔
b) বিশেষ বচন
c) সাপেক্ষ বচন
d) ব্যক্তিগ্রাহক বচন
85. তর্কবিদ্যায় বচন যে রূপে গণ্য, তা হল-
a) শব্দ
b) বাক্য ✔
c) যুক্তি
d) সংযোজক
86. বচন যুক্তির যে রূপে গণ্য, তা হল-
a) আকার
b) সমার্থক
c) ভিত্তি ✔
d) উদ্দেশ্য
87. যুক্তির অংশ হল-
a) বাক্য
b) শব্দ
c) বচন ✔
d) পদ
৪৪. ‘সংযোজক’ যার অংশ রূপে গণ্য-
a) বাক্যের
b) বচনের ✔
c) যুক্তির
d) অনুমানের
89. সংযোজকের রূপ হল-
a) এক প্রকারের ✔
b) দুই প্রকারের
c) তিন প্রকারের
d) চার প্রকারের
90. ‘ক্রিয়া’ যার অংশ রূপে গণ্য-
a) যুক্তির
b) অনুমানের
c) বচনের
d) বাক্যের ✔
91. ক্রিয়ার রূপ হল-
a) এক প্রকারের
b) দুই প্রকারের
c) তিন প্রকারের ✔
d) চার প্রকারের
92. কোনো একটি অংশ উহ্য থাকতে পারে-
a) যুক্তির
b) বাক্যের ✔
c) বচনের
d) অনুমানের
93. কোনো অংশই উহ্য থাকতে পারে না-
a) বাক্যের
b) বচনের ✔
c) যুক্তির
d) অনুমানের
94. সমস্ত বচন বলা যায় না।
a) বাক্যকে ✔
b) শব্দকে
c) শব্দসমষ্টিকে
d) উদ্দেশ্যকে
95. প্রত্যেকটি বচনের সত্যমূল্য হল-
a) একটি
b) দুটি ✔
c) তিনটি
d) অসংখ্য
96. বাক্যের সত্যতা যার দ্বারা বিচার্য, তা হল-
a) বুদ্ধি
b) অভিজ্ঞতা ✔
c) যুক্তি
d) বিষয়
97. যা বৈধ অথবা অবৈধ রূপে গণ্য হতে পারে, তা হল-
a) বাক্য
b) বচন
c) যুক্তি ✔
d) সংযোজক
98. নেতাজি সুভাষ হন বীরত্বের প্রতীক-বচনটি হল-
a) E বচন
b) A বচন ✔
C) I বচন
d) O বচন
99. বাক্য হল বচনের-
a) ক্রিয়া
b) উদ্দেশ্য
c) ভিত্তি ✔
d) ভাষা
100. বচনের এক অংশকে আর-এক অংশের সঙ্গে যা যুক্ত করে তাকে বলে-
a) উদ্দেশ্য
b) বিধেয়
c) সংযোজক ✔
d) ক্রিয়া
101. সত্যতা আছে
a) বাক্যের ✔
b) শব্দের
c) তাৎপর্যের
d) যুক্তির
2. Long Question Answer
1. বাক্য ও বচন কাকে বলে? বাক্যের অংশগুলি কী? উদাহরণ-সহ আলোচনা করো।
উত্তর : বাক্য : মানুষ চিন্তাশীল জীব। মানুষের চিন্তার সার্বিক প্রকাশ ঘটে ভাষার মাধ্যমে। ভাষার মাধ্যমে প্রকাশিত চিন্তাকেই ব্যাকরণগত অর্থে বলা হয় বাক্য (sentence)। এই ভাষাগত বাক্য ব্যবহারের মাধ্যমেই আমরা আমাদের চিন্তার আদানপ্রদান করে থাকি।
বচন : বচন হল বাক্যের তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ। এই তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপই হল বাক্যের পরিশ্রুত রূপ। বচন দ্বারাই গঠিত হয় যুক্তি (argument)। এই যুক্তিই হল তর্কবিদ্যার মূল আলোচ্য বিষয়। বচনকে বলা হয় যুক্তির অঙ্গবাক্য। সুতরাং বলা যায়, যুক্তি গঠনের ক্ষেত্রে বাক্য বা বচনের যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে, তাতে কোনো সন্দেহই নেই।
বাক্যের অংশ : বাক্যের মোট তিনটি অংশ থাকে। এই তিনটি অংশ হল যথাক্রমে- উদ্দেশ্য (subject), ক্রিয়া (verb) এবং বিধেয় (predicate)। সাধারণত এই তিনটি অংশ পরস্পর সংযুক্ত হয়ে একটি বাক্যের সৃষ্টি করে। পরিপূর্ণ বাক্যের ক্ষেত্রে এই তিনটি অংশেরই প্রয়োজন ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। যেমন-
2. বাজারে বাবা যায় —- এখানেও বাক্যের অংশ তিনটিকে সাধারণ রীতি অনুযায়ী পরপর উল্লেখ করা হয়নি।
উত্তর বাক্যাংশের অনুপস্থিতিতেও বাক্য
বাক্যের ক্ষেত্রে তিনটি অংশ আছে। এই তিনটি অংশের মধ্যে আমরা প্রথমে উদ্দেশ্যকে, তারপরে ক্রিয়াকে এবং সবশেষে বিধেয়কে সাধারণভাবে উল্লেখ করে থাকি। আবার অনেক সময় এই অংশগুলিকে আমাদের ইচ্ছামতো অন্যভাবেও উল্লেখ করতে পারি। অনেক সময় আবার এই অংশগুলির কোনোটিকে আমরা উহ্য রাখতেও পারি। এর ফলে কিন্তু বাক্যটির মর্যাদার কোনো হানি ঘটে না। যেমন-
বাবা বাজারে-এখানে যায় নামক ক্রিয়াপদের অংশটিকে উহ্য রাখা হয়েছে। এই শব্দটিকে উহ্য রাখলেও আমাদের চিন্তার প্রকাশরূপে বাক্যটির অর্থের কোনো হানি ঘটে না।
প্রশ্ন 2 বচনের বিভিন্ন অংশ বা অবয়বগুলি আলোচনা করো। অথবা, নিরপেক্ষ বচনের অংশগুলি উদাহরণ-সহ আলোচনা করো।
উত্তর বচনের অংশ বা অবয়ব
তর্কবিদ্যায় নিরপেক্ষ যুক্তির মৌল ভিত্তিই হল নিরপেক্ষ বচন। কারণ, নিরপেক্ষ বচনের সমন্বয়েই গঠিত হয় নিরপেক্ষ যুক্তি। এই নিরপেক্ষ বচনের অংশ হল চারটি। এই অংশগুলি হল① পরিমাণক, ② উদ্দেশ্য, ③ সংযোজক ও ④ বিধেয়। নিরপেক্ষ বচনের যে অংশ ওই বচনের পরিমাণ (Quantity)-কে উল্লেখ করে, তাকে বলে পরিমাণক। যার সম্পর্কে বচনে কিছু ঘোষণা করা হয় তাকে বলা হয় উদ্দেশ্য। যে অংশটি উদ্দেশ্য এবং বিধেয়কে সংযোজন বা যুক্ত করে, তাকে সংযোজক বলে। আমরা বাক্যে যাকে ক্রিয়ারূপে উল্লেখ করি, বচনে তাকেই সংযোজক বলে। অন্যদিকে, উদ্দেশ্য সম্পর্কে যা কিছু বলা বা ঘোষণা করা হয়, তাকেই বিধেয় বলে। যেমন-
3. বচন কাকে বলে? বচনের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।
উত্তর বচন : বচন হল বাক্যের তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ। বাক্যে যেমন উদ্দেশ্য ও বিধেয়র মধ্যে একপ্রকার সম্বন্ধ ঘোষিত হয়, বচনের ক্ষেত্রেও উদ্দেশ্য ও বিধেয়র মধ্যে একপ্রকার সম্বন্ধ ঘোষিত হয়। এরূপ সম্বন্ধ সদর্থকভাবেও ঘোষিত হতে পারে, আবার নঞর্থকভাবেও হতে পারে। এদের সম্বন্ধ আবার শর্তসাপেক্ষও হতে পারে, আবার শর্তহীনও হতে পারে। যাই হোক না কেন, এ কথা বলা যায় যে, বচন হল বাক্যের পরিশ্রুত ও তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ। এই বচনই হল যুক্তির মূল উপাদান।
বচনের বৈশিষ্ট্য :
বচন বাক্যের পরিশ্রুত ও তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ হলেও বচনের কতকগুলি মৌলিক বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। এই বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করা হল-
[1] বচনের মূল উৎস হল বাক্য। সুতরাং, বাক্যকেই বচনের ভিত্তি বলা হয়। বাক্য ছাড়া বচনের কোনো অস্তিত্বই হতে পারে না।
[2] প্রত্যেকটি বচনে একটি উদ্দেশ্য এবং একটি বিধেয় থাকে। শুধু উদ্দেশ্যকে নিয়ে অথবা শুধু বিধেয়কে নিয়ে কখনোই বচন গঠিত হতে
পারে না।
[3] যে-কোনো বচনেই উদ্দেশ্য ও বিধেয়র মধ্যে একটি সম্বন্ধকে ঘোষণা করা হয় অর্থাৎ, উদ্দেশ্য এবং বিধেয় যে পারস্পরিকভাবে বিচ্ছিন্ন নয়, সেই বিষয়টিকেই উল্লেখ করা হয়।
[4] বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয়র সম্বন্ধকে দু-ভাবে স্থাপন করা যেতে পারে-সদর্থকভাবে এবং নঞর্থকভাবে।
[5] বচনে উদ্দেশ্য এবং বিধেয়র মধ্যে যে সম্বন্ধ প্রতিষ্ঠিত হয়, তা শর্তসাপেক্ষভাবেও হতে পারে, আবার তা শর্তনিরপেক্ষভাবেও হতে পারে। অর্থাৎ, উদ্দেশ্য ও বিধেয়র সম্বন্ধ শর্তাধীন অথবা শর্তহীন-দুই-ই হতে পারে।
[6] বচন যুক্তির উপাদান বা অবয়বরূপে গণ্য হয়। কারণ, যুক্তি গঠিত হয়
শুধু বচন দিয়েই। সেকারণেই বচনগুলি যুক্তির অংশরূপে বিবেচিত।
[7] বচনের প্রকৃতি বা স্বরূপের ওপরই যুক্তির স্বরূপ বা প্রকৃতি নির্ভর করে। সেকারণেই বলা হয়, বচন হল যুক্তির প্রকৃতি বা স্বরূপ নির্ণায়ক।
[৪] সমস্ত বচনই বাক্যরূপে গণ্য হলেও, সমস্ত বাক্যকে কখনোই বচনের মর্যাদা দেওয়া যায় না।
[9] বচনের সঙ্গে সত্যতার প্রশ্নটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কারণ, প্রত্যেট
বচনই হয় সত্যরূপে গণ্য হবে অথবা মিথ্যারূপে গণ্য হবে। সত্য ও মিথ্যা হওয়া ছাড়া বচনের আর তৃতীয় কোনো শর্ত নেই।
[10] বচনের সত্যতার ওপর যুক্তির বৈধতা নির্ভরশীল। অর্থাৎ, বচনের সত্য-মিথ্যার সাহায্যেই যুক্তির বৈধতা নির্ণয় করা যেতে পারে।
[11] বচনের প্রয়োগক্ষেত্র বাক্যের প্রয়োগক্ষেত্র অপেক্ষা অনেক কম, কারণ, বচনকে আমরা শুধু তর্কবিদ্যার যুক্তির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে থাকি। আমাদের দৈনন্দিন ব্যাবহারিক জীবনে এর কোনো প্রয়োগ দেখা যায় না।
4. সংযোজক কী? সংযোজকের প্রকৃতি কী?
উত্তর সংযোজক
সংযোজক হল বচনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাক্যে ক্রিয়াপদের যে ভূমিকা থাকে, বচনের ক্ষেত্রে অনুরূপ ভূমিকা দেখা যায় সংযোজকের। সংযোজক উদ্দেশ্য পদকে বিধেয় পদের সঙ্গে সংযুক্ত করে। সুতরাং, বলা যায় যে, বচনের যে অংশ উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে, তাকেই বলা হয় সংযোজক।
সংযোজকের প্রকৃতি
বচনের উপাদানগুলির মধ্যে সংযোজক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সংযোজকের প্রকৃতিকে উল্লেখ করা হল-
সংযোজক সর্বদা ‘ভূ’ ধাতুর লট্ বিভক্তিসম্পন্ন
ব্যাকরণসম্মত বাক্যের যে অংশটিকে ক্রিয়াপদরূপে অভিহিত করা হয়, তার্কিক বচনের ক্ষেত্রে সেই অংশটিকেই সংযোজকরূপে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ক্রিয়াপদের প্রকৃতি এবং সংযোজকের প্রকৃতি সম্পূর্ণ এক নয়। কারণ ক্রিয়াপদ বিভিন্ন রকমের হতে পারে, কিন্তু সংযোজক সবসময়ই একরকম হয়। ক্রিয়াপদ অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ-সমস্ত কালেরই হতে পারে, কিন্তু সংযোজক শুধু বর্তমান কালের রূপেই উপস্থাপিত হয়। সংযোজক সর্বদা ‘ভূ’ ধাতুর লট্ বিভক্তিরূপে গণ্য। ‘ভূ’ ধাতুর লট্ বিভক্তিরূপে গণ্য হওয়ায় ফলে তা সবসময়ই ‘হয়’ অথবা ‘নয়’-এরূপ আকারে উপস্থাপিত হয়।
সংযোজক সর্বদা ‘হওয়া’ ক্রিয়াপদের বর্তমান কালসম্পন্ন
শুধু ‘হওয়া’ নামক ক্রিয়াপদের বর্তমান কালের রূপেই সংযোজক গণ্য হয়। অতীত এবং ভবিষ্যত কালের রূপে সংযোজক কখনোই উপস্থাপিত হয় না।
5. নিরপেক্ষ বচনে গুণের ভূমিকা কীরূপ? গুণ অনুসারে নিরপেক্ষ বচনের শ্রেণিবিভাগ করো।
উত্তর নিরপেক্ষ বচনে গুণের ভূমিকা
নিরপেক্ষ বচনে গুণের যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে, তা আদৌ অস্বীকার করা যায় না। কারণ, যে-কোনো নিরপেক্ষ বচনে উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়তে কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করা হয়। এই স্বীকার বা অস্বীকার করাটাই হল নিরপেক্ষ বচনের গুণের বিষয়। যখন কোনো বচনে উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়তে কিছু স্বীকার করে নেওয়া হয়, তখন তাকে স্বীকৃতিসূচক বা হ্যাঁ-সূচক বচন রূপে গণ্য করা হয়। আবার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়তে যখন কোনো কিছুকে অস্বীকার করা হয়, তখন তাকে অস্বীকৃতিসূচক বা না-সূচক রূপে গণ্য করা হয়। হ্যাঁ-সূচককে হয় শব্দটির দ্বারা এবং না-সূচককে নয় শব্দটির দ্বারা নির্দেশ করা হয়।
গুণ অনুসারে নিরপেক্ষ বচনের শ্রেণিবিভাগ
গুণ অনুসারে নিরপেক্ষ বচনসমূহকে দু-ভাগে ভাগ করা হয়-[1] সদর্থক বা হ্যাঁ-বাচক বচন এবং [2] নঞর্থক বা না-বাচক বচন। গুণের দ্বারা নিরপেক্ষ বচনসমূহকে এই দু-ভাবে ছাড়া আর অন্য কোনোভাবে উল্লেখ করা যায় না। আবার গুণ-নিরপেক্ষভাবেও কোনো বচনকে উল্লেখ করা যায় না।
সদর্থক বা হ্যাঁ-বাচক বচন
যে নিরপেক্ষ বচনে উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়তে কোনো কিছুকে সদর্থকভাবে স্বীকার করে নেওয়া হয়, সেই নিরপেক্ষ বচনকেই বলা হয় সদর্থক বা হ্যাঁ-বাচক বচন। হ্যাঁ-বাচক বচনে সংযোজকের রূপটিকে হয়, হন ইত্যাদি শব্দ দ্বারা উল্লেখ করা হয়। এই শব্দগুলিই হল নিরপেক্ষ বচনের স্বীকৃতিমূলক তথা হ্যাঁ-বাচক চিহ্ন। সুতরাং, কোনো নিরপেক্ষ বচনে এই ধরনের শব্দ ব্যবহৃত হলে তাকে হ্যাঁ-বাচক বা সদর্থক বচনরূপে গণ্য করা হয়।
6. নিরপেক্ষ বচনে পরিমাণের ভূমিকা কীরূপ? পরিমাণ অনুসারে নিরপেক্ষ বচনের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণ-সহ আলোচনা করো।
উত্তর নিরপেক্ষ বচনে পরিমাণের ভূমিকা
সাধারণ বাক্যে পরিমাণের বিশেষ কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা না থাকলেও, নিরপেক্ষ বচনের ক্ষেত্রে পরিমাণের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। কারণ, আমরা নিরপেক্ষ বচনের যে চারটি অংশের পরিচয় পাই, তাদের মধ্যে পরিমাণক (যা পরিমাণকে নির্দেশ করে) হল অন্যতম। শুধু তা-ই নয়, এই পরিমাণের বিষয়টিকেই বচনের প্রথম অংশরূপে উল্লেখ করা হয়। নিরপেক্ষ বচনের কাজই হল উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়তে কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করা। এরূপ স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতির ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যের পরিমাণের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কারণ, সমগ্র উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্বীকার বা অস্বীকার করা অথবা আংশিক পরিমাণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্বীকার বা অস্বীকার করা ঠিক এক জিনিস নয়। উদ্দেশ্য পদের এই সমগ্র অংশ বা অংশবিশেষ-কে নিরপেক্ষ বচনের পরিমাণ রূপে গণ্য করা হয়। সুতরাং দেখা যায় যে, নিরপেক্ষ বচনের ক্ষেত্রে পরিমাণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।
পরিমাণ অনুসারে নিরপেক্ষ বচনের শ্রেণিবিভাগ
তর্কবিদ্যায় পরিমাণ অনুসারে নিরপেক্ষ বচন হল দু-প্রকারের, যথা- [1] সামান্য বা সার্বিক বচন এবং [2] বিশেষ বচন। পরিমাণের দৃষ্টিভঙ্গিতে এই দু-প্রকার বচন ছাড়া আর অন্য কোনোপ্রকার বচনের উল্লেখ করা যায় না।
সামান্য বা সার্বিক বচন
একটি নিরপেক্ষ বচনে উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়তে কিছু ঘোষণা করা হয় এবং উদ্দেশ্য পদ কোনো নির্দিষ্ট বিষয়কে নির্দেশ করে। এরূপ নির্দিষ্ট বিষয়টি একটি সমগ্র জাতি বা শ্রেণি সম্পর্কে হতে পারে অথবা একটি জাতি বা শ্রেণির অংশ সম্পর্কেও হতে পারে। যখন একটি সমগ্র জাতি বা শ্রেণি সম্পর্কে বিষয়টি প্রযুক্ত হয় তখন সকল (all) শব্দটির দ্বারা বিষয়টিকে নির্দেশ করা হয়। আবার যখন পরিমাণের বিষয়টি একটি নির্দিষ্ট শ্রেণি বা জাতির অংশ রূপে বিবেচিত হয়, তখন আমরা কোনো (some) শব্দের দ্বারা তার নির্দেশ করে থাকি।
সুতরাং বলা যায়, যে নিরপেক্ষ বচনের বিধেয়টি সমগ্র উদ্দেশ্যপদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তাকেই বলা হয় সার্বিক বা সামান্য বচন (universal proposition)। এরূপ বচনে তাই বিধেয় পদের দ্বারা নির্দেশিত বিষয়টিকে উদ্দেশ্য পদ দ্বারা নির্দেশিত কোনো জাতি বা শ্রেণির সকল সদস্যের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। উদ্দেশ্য দ্বারা নির্দেশিত সমগ্র জাতি বা শ্রেণিকে বোঝানোর জন্য সকল বা কোনো শব্দ দুটির প্রয়োগ করা হয়।
7. নিরপেক্ষ বচনের স্বরূপ আলোচনা করো। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে নিরপেক্ষ বচনের শ্রেণিবিভাগ করো। 4+4 অথবা, নিরপেক্ষ বচন কী? গুণ ও পরিমাণ অনুসারে নিরপেক্ষ বচনের শ্রেণিবিভাগ করো।
উত্তর নিরপেক্ষ বচনের স্বরূপ
প্রত্যেকটি বচনেই একটি উদ্দেশ্য পদ এবং একটি বিধেয় পদ থাকে। এই দুটি পদের মধ্যে আবার একপ্রকার সম্বন্ধও দেখা যায়। উদ্দেশ্য ও বিধেয়র সম্বন্ধ কখনো-কখনো কোনো শর্তের উপর নির্ভর করে, আবার কখনো-কখনো তা শর্তনিরপেক্ষভাবেও উপস্থাপিত হয়। যে বচনে উদ্দেশ্য এবং বিধেয়র সম্বন্ধ কোনো শর্তের ওপর নির্ভর করে না, সেই বচনকেই বলা হয় নিরপেক্ষ বচন (categorical proposition)। উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যায়-সকল মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব। এরূপ বচনটি একটি নিরপেক্ষ বচনরূপেই গণ্য। কারণ, এক্ষেত্রে উদ্দেশ্যপদ তথা মানুষ এবং বিধেয় তথা বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব-এই উভয়ের মধ্যে যে সম্বন্ধ ঘোষিত হয়েছে, তা কোনো শর্তের উপর নির্ভরশীল নয়। সেই কারণেই বলা যায় যে, এটি হল, একটি শর্তহীন বা নিরপেক্ষ বচন।
বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে নিরপেক্ষ বচনের শ্রেণিবিভাগ
বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে নিরপেক্ষ বচনের বিভাজন করা হয়েছে। এই ধরনের দৃষ্টিকোণগুলি হল যথাক্রমে-[1] গুণের দৃষ্টিকোণ, [2] পরিমাণের দৃষ্টিকোণ এবং [3] গুণ ও পরিমাণের সংযুক্ত দৃষ্টিকোণ।
[1] গুণের দৃষ্টিকোণের বিভাজন: গুণের দৃষ্টিকোণের দিক থেকে নিরপেক্ষ বচনকে সদর্থক বা হ্যাঁ-বাচক এবং নঞর্থক বা না-বাচক রূপে বিভাজন করা হয়। যে বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয়র সম্বন্ধ হল স্বীকৃতিসূচক, তাকে বলা হয় সদর্থক বা হ্যাঁ-বাচক বচন। যেমন-সকল পাখি হয় পাখাযুক্ত, কোনো কোনো মানুষ হয় অসৎ ইত্যাদি। আবার যে বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয়র সম্বন্ধটি হল অস্বীকৃতিমূলক, সেই বচনকেই বলা হয় নঞর্থক বচন। যেমন-কোনো মানুষ নয় সুখী, কোনো কোনো মানুষ নয় ধার্মিক, ইত্যাদি।
[2] পরিমাণের দৃষ্টিকোণের বিভাজন: পরিমাণের দৃষ্টিকোণের দিক থেকে নিরপেক্ষ বচনকে সামান্য বা সার্বিক এবং বিশেষরূপে উল্লেখ করা হয়। যে বচনে বিধেয়র বক্তব্যবিষয়টি উদ্দেশ্য পদ বা শ্রেণির সকল সদস্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়, তাকে বলে সামান্য বা সার্বিক বচন। যেমন-সকল রাজনীতিক হয় ধান্দাবাজ, কোনো ছাত্র নয় অসৎ ইত্যাদি। অন্যদিকে, যে বচনে বিধেয়ের বক্তব্যবিষয়টি উদ্দেশ্য পদ বা শ্রেণির অন্তর্গত সদস্যদের ক্ষেত্রে প্রযুক্ত না হয়ে, বিশেষ বিশেষ কিছু সদস্যের ক্ষেত্রে প্রযুক্ত হয়, তাকেই বলা হয় বিশেষ বচন, যেমন-কোনো কোনো মানুষ হয় ধান্দাবাজ, কোনো কোনো মানুষ নয় সৎ ইত্যাদি।
[3] গুণ ও পরিমাণের সংযুক্ত দৃষ্টিকোণের বিভাজন: তর্কবিদ
অ্যারিস্টট্ল গুণ ও পরিমাণের যৌথ ভিত্তিতে নিরপেক্ষ বচনসমূহকে চার ভাগে বিভক্ত করেছেন। একেই বলা হয় নিরপেক্ষ বচনের চতুর্বর্গ পরিকল্পনা। এই চার প্রকারের নিরপেক্ষ বচন হল যথাক্রমে-[i] সামান্য বা সার্বিক সদর্থক বচন (universal affirmative proposition) বা A বচন, [ii] সামান্য বা সার্বিক নঞর্থক বচন (universal negative proposition) বা E বচন, [iii] বিশেষ সদর্থক বচন (particular affirmative proportion) বা I বচন এবং [iv] বিশেষ নঞর্থক বচন (particular negative preposition) বা O০ বচন।
8. বচন ও বচনাকার কাকে বলে? নিরপেক্ষ ও সাপেক্ষ বচনের আকারগুলিকে উদাহরণ-সহ উল্লেখ করো।
উত্তর বচন : মনের ভাবকে যখন ভাষার মাধ্যমে ব্যক্ত করা হয়, তখন তাকে বলে বাক্য। এই বাক্যকে যখন তর্কবিজ্ঞানসম্মত আকারে উপস্থাপিত করা হয়, তখন তাকেই বলা হয় বচন। যেমন-মানুষ মরণশীল-এটি হল একটি বাক্য। কিন্তু এর তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ হিসেবে যে বচনের কথা বলা হয়, তা হল-সকল মানুষ হয় মরণশীল। এই বচনই হল তর্কবিজ্ঞানের মূলভিত্তি। কারণ, তর্কবিজ্ঞানের মূল আলোচ্য বিষয় হল যুক্তি। আর এই যুক্তি গঠিত হয় বচন দিয়ে।
বচনাকার: তর্কবিদ্যায় বচনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হলেও, আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় বচনের আকারের ওপর। বচনের আকার (proposition form) হল বচনের
একটি নির্দিষ্ট কাঠামো, যার দ্বারা বচনটিকে একটি নির্দিষ্ট আকারে প্রকাশ করা যায়। বচনের এই আকারের একটি নির্দিষ্ট ও সর্বজনীনতা আছে। সেই কারণেই বচনের আকারের সত্যমূল্যের ক্ষেত্রে আমাদের একপ্রকার নিশ্চয়তা থেকে যায়। বচনগুলির বক্তব্যবিষয়ের পরিবর্তন হলেও তার আকারের কোনো পরিবর্তন হয় না। যেমন-সকল মানুষ হয় মরণশীল-এই বচনটির উদ্দেশ্য ও বিধেয় পরিবর্তিত হয়ে অন্য একটি বচনে পরিণত হতে পারে। অর্থাৎ, সকল মানুষ হয় মরণশীল না বলে, আমরা এটাও বলতে পারি যে, সকল কবি হয় দার্শনিক। কিন্তু এদের আকারটি হল সকল S হয় P এবং এর কোনো পরিবর্তন নেই। সেই কারণেই বলা যায় যে, বচনের আকার নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনীয়রূপে গণ্য।
নিরপেক্ষ বচনের আকার
তর্কবিদ্যায় বচন হল মূলত দু-প্রকারের- [1] নিরপেক্ষ বচন এবং [2] সাপেক্ষ বচন। সুতরাং, নিরপেক্ষ ও সাপেক্ষ-এই দু-প্রকার বচনেরই আকার পাওয়া যায়। নিরপেক্ষ বচন হিসেবে মোট চারপ্রকার বচনের উল্লেখ করা হয়। এই চারপ্রকার বচন হল যথাক্রমে-[i] সামান্য সদর্থক বা সার্বিক হ্যাঁ-বাচক বচন, যাকে
সাংকেতিকভাবে বলা হয় A বচন। [ii] সামান্য নঞর্থক বা সার্বিক না-বাচক বচন, যাকে সাংকেতিকভাবে বলা হয় E বচন। [iii] বিশেষ সদর্থক বা বিশেষ হ্যাঁ-বাচক বচন, যাকে সাংকেতিকভাবে। বচন রূপে উল্লেখ করা হয় এবং [iv] বিশেষ নঞর্থক বা বিশেষ না-বাচক বচন, যাকে সাংকেতিকভাবে বলা হয় ০ বচন। এখন এই চারটি নিরপেক্ষ বচন বা তাদের আকারগুলিকে উল্লেখ করা হল-