Class 12 Chapter 4 Solution
অমাধ্যম অনুমান
Very Short Question Answer
2. যুক্তিবাক্যের বিধেয়র বিরুদ্ধ পদ সিদ্ধান্তের বিধেয় হয় কোন্ প্রক্রিয়ায়?
▶ বিবর্তন প্রক্রিয়ায়।
3. বিবর্তনের যুক্তিবাক্যকে কী বলা হয়?
▶ বিবর্তনের যুক্তিবাক্যকে ‘বিবর্তনীয়’ বলা হয়।
4. বিবর্তনের সিদ্ধান্তকে কী বলা হয়?
▶ বিবর্তনের সিদ্ধান্তকে বিবর্তিত বলা হয়।
5. বিবর্তনের নিয়ম কয়টি?
▶ বিবর্তনের নিয়ম হল চারটি।
6. বিবর্তনের প্রথম নিয়মটি কী?
▶ যুক্তিবাক্য ও সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য এক হবে।
7. বিবর্তনের দ্বিতীয় নিয়মটি কী?
▶ যুক্তিবাক্যের বিধেয়র বিরুদ্ধ পদ সিদ্ধান্তের বিধেয় হবে।
৪. বিবর্তনের তৃতীয় নিয়মটি কী?
▶ যুক্তিবাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ ভিন্ন হবে।
9. বিবর্তনের চতুর্থ নিয়মটি কী?
▶ যুক্তিবাক্য ও সিদ্ধান্তের পরিমাণ এক হবে।
10. A বচনের বিবর্তনে কোন্ বচন পাওয়া যায়?
▶ E বচন পাওয়া যায়।
11. E বচনের বিবর্তনে কোন্ বচন পাওয়া যায়?
▶ A বচন পাওয়া যায়।
12. 1 বচনের বিবর্তনে কোন্ বচন পাওয়া যায়?
▶ ০ বচন পাওয়া যায়।
13. 0 বচনের বিবর্তনে কোন্ বচন পাওয়া যায়?
▶ I বচন পাওয়া যায়।
14. বস্তুগত বিবর্তনের কথা কে বলেছেন?
▶ তর্কবিদ বেন বলেছেন।
15. বস্তুগত বিবর্তনের মূলভিত্তি কী?
▶ বস্তুগত বিবর্তনের মূলভিত্তি হল বাস্তব অভিজ্ঞতা।
16. জ্ঞান হল পুণ্য (বিবর্তনীয়)
.. অজ্ঞতা হল পাপ (বিবর্তিত)
-এটি কী ধরনের বিবর্তন?
▶ এটি হল বস্তুগত বিবর্তন।
17. বস্তুগত বিবর্তনকে কি প্রকৃত বিবর্তন বলা যায়?
▶ না, প্রকৃত বিবর্তন বলা যায় না।
21. বিবর্তন কোন্ প্রকার অনুমানের আকার?
▶ অমাধ্যম অনুমানের আকার।
22. বিবর্তনে বিবর্তনীয় ও বিবর্তিতের উদ্দেশ্য পদ দুটি কি ভিন্ন হয়?
▶ না, ভিন্ন হয় না, একই থাকে।
23. বিবর্তনীয় ও বিবর্তিতর বিধেয় পদ দুটি একই থাকে না ভিন্ন ভিন্ন হয়?
▶ এক থাকে না, ভিন্ন ভিন্ন হয়।
24. বিবর্তনীয়র কীরূপ পদ বিবর্তিতের বিধেয় পদ হয়?
▶ বিবর্তনীয়র বিরুদ্ধ পদ বিবর্তিতের বিধেয় হয়।
25. বিবর্তনের ক্ষেত্রে বিধেয়র বিরুদ্ধ পদের সৃষ্টি কীভাবে হয়?
▶ বিধেয় পদের সঙ্গে ‘অ’ যোগ করে বিরুদ্ধ পদের সৃষ্টি করা হয়।
26. শীত হয় আরামদায়ক (বিবর্তনীয়) .. গ্রীষ্ম হয় কষ্টদায়ক (বিবর্তিত) -এটি কোন্ ধরনের বিবর্তন?
▶ এটি হল বস্তুগত বিবর্তন।
27. তর্কবিদ মিল বস্তুগত বিবর্তনের কথা বলেছেন-এটি কি যথার্থ?
▶ না, এটি যথার্থ নয়।
28. জ্ঞান হয় আশীর্বাদ (A)→বিবর্তনীয়
.. অজ্ঞতা হয় অভিশাপ (A)→বিবর্তিত -এটি কোন্ ধরনের বিবর্তন? ▶
এটি হল বস্তুগত বিবর্তন।
29. X-এর বিরুদ্ধ পদটি কী হবে?
▶ বিরুদ্ধ পদটি অ-X হবে।
30. নিরপেক্ষ বচনগুলির বিবর্তিত বচনগুলি কী?
► A→E, E→A, I→O, O→I
31. নিরপেক্ষ বচনগুলির সমবিবর্তন কী?
►A→A, E→O, I→ সম্ভব নয়, 0→01
33. তর্কবিদ বেনের বস্তুগত বিবর্তনকে কে সমর্থন করেন?
▶ তর্কবিদ মিল সমর্থন করেন।
34. যুক্তিবাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ ভিন্ন হবে অথচ পরিমাণ এক থাকবে-এটি কোন্ অমাধ্যম অনুমানের নিয়ম?
▶ এটি হল বিবর্তনের নিয়ম।
35. বস্তুগত বিবর্তনের মূলভিত্তি কী?
▶ বস্তুগত বিবর্তনের মূলভিত্তি হল বাস্তব অভিজ্ঞতা।
36. বস্তুগত বিবর্তনকে কেন প্রকৃত অমাধ্যম অনুমান বলা যায় না?
▶ অমাধ্যম অনুমানে বাস্তব অভিজ্ঞতার কোনো মূল্য নেই বলে।
37. ‘মানুষ’ পদটির পরিপূরক পদ কী?
▶ ‘মানুষ’ পদটির পরিপূরক পদ হল অ-মানুষ।
38. ‘অগ্নি দহনকারী’ বাক্যটির বিবর্তিত রূপ কী?
▶ সকল ক্ষেত্রে অগ্নি হয় দহনকারী (A)→ বিবর্তনীয়।
:: কোনো ক্ষেত্রে অগ্নি নয় অ-দহনকারী (E)→ বিবর্তিত।
39. ‘হিংস্রতাই পশুদের ধর্ম’-বাক্যটির বিবর্তন কী হবে?
▶ L.F. সকল পশু হয় হিংস্র (A)→বিবর্তনীয়।
.. কোনো পশু নয় অ-হিংস্র (E)→বিবর্তিত।
40. ‘যুদ্ধ অশান্তি আনে’- বাক্যটির বস্তুগত বিবর্তন কী?
▶ L.F. সকল যুদ্ধ হয় অশান্তিদায়ক (A)→বিবর্তনীয়।
.: মৈত্রী হয় শান্তিদায়ক (A)→বস্তুগত বিবর্তিত।
43. ‘সে বিপ্লবী’ বাক্যটির বিবর্তন কী?
▶ L.F. সে হয় বিপ্লবী (A)→ বিবর্তনীয়।
.:. সে নয় অ-বিপ্লবী (E)→ বিবর্তিত।
44. ‘নীতিহীনতা একেবারেই কদর্য বিষয়’-বাক্যটির সমবিবর্তন কী?
▶ L.F. সকল নীতিহীনতা হয় কদর্য বিষয় (A) → সমবিবর্তনীয়।
.. সকল অ-কদর্য বিষয় হয় অ-নীতিহীনতা (A) → সমবিবর্তিত।
48. বিবর্তনে হেতুবাক্য ও সিদ্ধান্তের পরিমাণ ভিন্ন না অভিন্ন?
▶ বিবর্তনে হেতুবাক্য ও সিদ্ধান্তের পরিমাণ হল অভিন্ন।
1. সমবিবর্তন কাকে বলে?
▶ সমবিবর্তন হল এক ক্রমিক প্রক্রিয়া যেখানে তর্কবাক্য বিবর্তন আবর্তন বিবর্তন = সমবিবর্তন।
2. আবর্তন ও বিবর্তনকে কি যুগ্মভাবে প্রয়োগ করা যায়?
▶ হ্যাঁ, যুগ্মভাবে প্রয়োগ করা যায়।
3. সমবিবর্তন (contraposition) কোন্ প্রকারের অনুমান?
▶ সমবিবর্তন হল একপ্রকার অমাধ্যম অনুমান।
4. সমবিবর্তন, আবর্তন ও বিবর্তনের কোন্ ধরনের রূপ?
▶ আবর্তন ও বিবর্তনের যুগ্ম প্রয়োগের রূপ।
5. A বচনের সমবিবর্তনের ফলে আমরা কোন্ বচন পাই?
▶ A বচনের সমবিবর্তনে A বচনই পেয়ে থাকি।
6. E বচনের সমবিবর্তনে আমরা কোন্ বচন পাই?
▶ E বচনের সমবিবর্তনে আমরা ০ বচন পাই।
7. 1 বচনের সমবিবর্তনে কোন্ বচন পাওয়া যায়?
▶ 1 বচনের সমবিবর্তন আদৌ সম্ভব নয়।
৪. ০ বচনের সমবিবর্তনে কোন্ বচন পেয়ে থাকি?
▶ ০ বচনই পেয়ে থাকি।
9. কোনো S নয় P(E)-এর সমবিবর্তনের রূপটি কী?
▶ রূপটি হল কোনো অ-P নয় অ-S(O) (সমবিবর্তিত)।
10. সকল S হয় P(A)-বচনটির সমবিবর্তন কী?
▶ বচনটির সমবিবর্তন হল সকল অ-P হয় অ-S(A) (সমবিবর্তিত)।
11. কোনো কোনো S হয় P(I)- বচনটির সমবিবর্তন কী?
> বচনটির সমবিবর্তন সম্ভব নয়।
12. কোনো কোনো S নয় P(O)- বচনটির সমবিবর্তনের রূপ কী?
▶ বচনটির সমবিবর্তন হল কোনো কোনো অ-P নয় অ-S(O) (সমবিবর্তিত)।
13. সমবিবর্তনের যুক্তিবাক্যকে কী বলা হয়?
▶ সমবিবর্তনীয় বলা হয়।
14. সমবিবর্তনের সিদ্ধান্তকে কী বলা হয়?
▶ সমবিবর্তিত বলা হয়।
15. অন্তরাবর্তনের (inversion) উৎস কী?
▶ আবর্তন ও বিবর্তনের যুগ্ম প্রয়োগই হল অন্তরাবর্তনের উৎস।
16. অন্তরাবর্তন কয়প্রকার ও কী কী?
► দু-প্রকার পূর্ণ অন্তরাবর্তন ও আংশিক অন্তরাবর্তন।
17. সমবিবর্তনীয় কী?
• যার সমবিবর্তন করা হয়, তাকেই বলে সমবিবর্তনীয়।
18. সমবিবর্তনে যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্যের কীরূপ পদটি সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্যরূপে গণ্য হয়?
▶ যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্যের বিরুদ্ধ পদটি সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য রূপে গণ্য হয়।
19. কোন্ বচনের সমবিবর্তন সম্ভব নয়?
▶ বিশেষ সদর্থক বা I বচনের সমবিবর্তন সম্ভব নয়।
20. সমবিবর্তন হল এমনই এক প্রক্রিয়া যেখানে
আবর্তন-বিবর্তন আবর্তন করা হয়। এটা কি ঠিক?
▶ না, এটা ঠিক নয়।
10. আবর্তনের দ্বিতীয় নিয়মটি কী?
▶ যুক্তিবাক্যের বিধেয় সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হবে।
11. আবর্তনের তৃতীয় নিয়মটি কী?
▶ যুক্তিবাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ এক হবে।
12. Ο বচনের আবর্তন আদৌ কেন সম্ভব নয়?
• আবর্তনের চতুর্থ নিয়মকে লঙ্ঘন করে বলে ০ বচনের আবর্তন আদৌ সম্ভব নয়।
13. A বচনের সরল আবর্তন কেন সাধারণভাবে সম্ভব নয়?
▶ আবর্তনের চতুর্থ নিয়মকে লঙ্ঘন করে বলে A বচনের সরল আবর্তন সম্ভব নয়।
14. পরিমাণের পার্থক্য দেখা যায় কোন্ ধরনের আবর্তনে?
▶ অসরল আবর্তনে পরিমাণের পার্থক্য দেখা যায়।
15. A বচনের অসরল আবর্তনে কোন্ বচন পাওয়া যায়?
▶ I বচন পাওয়া যায়।
16. E বচনের আবর্তনে কোন্ বচন পাওয়া যায়?
▶ E বচন পাওয়া যায়।
17. I বচনের আবর্তনে কোন্ বচন পাওয়া যায়?
▶ 1 বচন পাওয়া যায়।
18. ০ বচনের আবর্তনে কোন্ বচন পাওয়া যায়?
▶ কোনো বচনই পাওয়া যায় না।
19. সকল মানুষ হয় সুখী (A) -বচনটির আবর্তিত রূপ কী?
▶ এর আবর্তিত রূপ হল, কোনো কোনো সুখী ব্যক্তি হয় মানুষ (1)।
20. সকল অশ্ব হয় ঘোড়া (A)-র আবর্তিত রূপ কী?
▶ এর আবর্তিত রূপ হল, সকল ঘোড়া হয় অশ্ব (A)।
21. আবর্তন কোন্ প্রকার অনুমানের আকাররূপে গণ্য?
▶ অমাধ্যম অনুমানের আকাররূপে গণ্য।
22. সরল আবর্তন কাকে বলে?
▶ যে ধরনের আবর্তনে যুক্তিবাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ ও পরিমাণ এক থাকে, তাকে বলে সরল আবর্তন।
23. অসরল আবর্তন কাকে বলে?
▶ অসরল আবর্তন হল এমন আবর্তন যেখানে যুক্তিবাক্য ও সিদ্ধান্তের পরিমাণ ভিন্ন হয়।
24. সরল আবর্তনে A বচন থেকে A বচন পাওয়া যায়-এটা কি ঠিক?
▶ হ্যাঁ, এটা ঠিক।
25. অসরল আবর্তনে A থেকে E বচন পাওয়া যায়-এটা কি ঠিক?
▶ না, এটা ঠিক নয়।
26. অসরল আবর্তনে A থেকে I বচন পাওয়া যায়-এটা ঠিক না ভুল?
▶ এই বিষয়টি ঠিক।
27. E বচনের আবর্তনে A বচন পাওয়া যায়-ঠিক না ভুল?
▶ এটা ঠিক নয়।
28. E বচনের আবর্তনে E বচনই পাওয়া যায়-এরূপ আবর্তনটি কি ঠিক?
▶ হ্যাঁ, এরূপ আবর্তনটি ঠিক।
29. 1 বচনের আবর্তনে ০ বচন পাওয়া যায়-এটি সঠিক না সঠিক নয়?
▶ এটি সঠিক নয়।
30. 1 বচনের আবর্তনের ফলে। বচন পাওয়া যায়-যথার্থ না যথার্থ নয়?
▶ হ্যাঁ, এরূপ আবর্তনটি যথার্থ।
31. O বচনের আবর্তনে । বচন পাওয়া যায়-ঠিক না ভুল?
▶ এরূপ আবর্তনটি ভুল।
32. ০ বচনের আবর্তন আদৌ সম্ভব নয়-বিষয়টি কি যথার্থ?
▶ হ্যাঁ, বিষয়টি অবশ্যই যথার্থ।
33. সকল পুস্তক হয় গ্রন্থ (A) (আবর্তনীয়)
.. সকল গ্রন্থ হয় পুস্তক (A) (আবর্তিত) -এরূপ আবর্তন কি যথাযথ?
▶ হ্যাঁ, এরূপ আবর্তনটি অবশ্যই যথাযথ।
34. কলকাতা হয় পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী (A) (আবর্তনীয়)
.: পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী হয় কলকাতা (A) (আবর্তিত) -এটি কোন্ ধরনের আবর্তন?
▶ এটি হল সরল আবর্তন।
36. সকল মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব-বচনটির কি সরল আবর্তন সম্ভব?
▶ হ্যাঁ, বচনটির সরল আবর্তন সম্ভব।
37. সকল মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব-বচনটির সরল আবর্তন কী হবে?
▶ বচনটির সরল আবর্তন হবে সকল বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব হয় মানুষ (A)।
38. আবর্তনের যুক্তিবাক্যের বিধেয় পদটি কি সিদ্ধান্তে বিরোধী পদ হয়?
► না, বিধেয়টি বিরোধী পদরূপে গণ্য হয় না।
39. আবর্তনীয় ও আবর্তিতের উদ্দেশ্য কি একই থাকে?
▶ না, একই থাকে না।
40. আবর্তনীয় উদ্দেশ্য পদটি আবর্তিতের কোন্ পদ হয়?
▶ বিধেয় পদ হয়।
41. আবর্তনীয় বিধেয় পদটি আবর্তিতের কোন্ পদ হয়?
▶ উদ্দেশ্য পদ হয়।
42. এমন কোনো আবর্তন আছে যেখানে পরিমাণের পরিবর্তন হয়?
▶ হ্যাঁ, অসরল আবর্তনে পরিমাণের পরিবর্তন হয়।
43. আবর্তনের নিয়ম হল দুটি-এটি কি ঠিক?
▶ না, এটি ঠিক নয়।
44. রামকৃয় হন বিবেকানন্দের গুরু (A)→ আবর্তনীয় .: বিবেকানন্দ হন রামকৃষ্ণের শিষ্য (A)→ আবর্তিত
-এটি কোন্ ধরনের আবর্তন?
▶ এটি হল বিপরীত সম্বন্ধভিত্তিক আবর্তন।
আবর্তনের রূপটি কী হবে?
45. শেকসপিয়র হন ওথেলোর স্রষ্টা (A)-এর বিপরীত সম্বন্ধভিত্তিক
▶ রূপটি হবে, ওথেলো হয় শেকসপিয়রের সৃষ্টি (A)।
46. একটি ছাড়া সব ধাতুই কঠিন-বাক্যটির আবর্তন কী হবে?
▶ কোনো কোনো ধাতু হয় কঠিন বস্তু (1) আবর্তনীয়।
.: কোনো কোনো কঠিন বস্তু হয় ধাতু (1) আবর্তিত।
Short Question Answer
1. বিবর্তন কাকে বলে?
▶ যে অমাধ্যম অনুমানে যুক্তিবাক্য ও সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য পদ একই থাকা সত্ত্বেও গুণের পরিবর্তন করে যুক্তিবাক্যের বিধেয়ের বিরুদ্ধ পদ সিদ্ধান্তের বিধেয়রূপে গণ্য হয়ে একটি নূতন সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠিত হয়, তাকে বলে বিবর্তন বা প্রতিবর্তন।
18. সকল মানুষ হয় সুখী (A) -বচনটির বিবর্তিত রূপ কী?
▶ এর বিবর্তিত রূপ হল কোনো মানুষ নয় অ-সুখী (E)।
অনুমানে বাস্তব অভিজ্ঞতার কোনো মূল্য নেই।
20. বিবর্তনের বৈধতার যে-কোনো দুটি নিয়ম উল্লেখ করো।
▶ বিবর্তনের বৈধতার দুটি নিয়ম হল-(1) বিবর্তনীয় ও বিবর্তিতের উদ্দেশ্য এক হবে। (2) বিবর্তনীয় ও বিবর্তিতের পরিমাণ এক হবে।
32. বিরুদ্ধ পদ কাকে বলে?
▶ সদর্থক ও নঞর্থকভাবে দুটি পদের সম্মিলিতরূপে যদি কোনো শ্রেণির পরিপূর্ণ ধারণা হয় তবে বলা হয় যে, পদ দুটি পারস্পরিকভাবে বিরুদ্ধ। যেমন-‘মানুষ’ পদের বিরুদ্ধ পদ হল ‘অ-মানুষ’।
41. ‘কদাচিৎ ছাত্ররা অলস’-এর বিবর্তিতর আবর্তন দেখাও।
▶ L.F. কোনো কোনো ছাত্র নয় অলস (০)।
বিবর্তিত: :: কোনো কোনো ছাত্র হয় অ-অলস (Ⅰ)।
বিবর্তিতের আবর্তন:: কোনো কোনো অ-অলস ব্যক্তি হয় ছাত্র (I)।
42. আবর্তিতের বিবর্তন দেখাও: ‘কেবলমাত্র গন্ডারই একরোখা প্রাণী’
▶ L.F. সকল একরোখা প্রাণী হয় গন্ডার (A)।
আবর্তিত: কোনো কোনো গন্ডার হয় একরোখা প্রাণী (I)।
আবর্তিতর বিবর্তন: কোনো কোনো গন্ডার নয় অ-একরোখা প্রাণী (০)।
45. নিম্নলিখিত বাক্যগুলির বিবর্তন করো:
(a) চার্বাকরা জড়বাদী।
▶ L.F. সকল চার্বাক হয় জড়বাদী (A)→ বিবর্তনীয়। ..
E কোনো চার্বাক নয় অ-জড়বাদী (E)→ বিবর্তিত। (b) বর্গাকার বৃত্ত নেই।
L.F কোনো বৃত্ত নয় বর্গাকার ক্ষেত্র (E)→ বিবর্তনীয়।
.. সকল বৃত্ত হয় অ-বর্গাকার ক্ষেত্র (A)→ বিবর্তিত।
(c) সাধারণত প্রতিবেশীরা সহানুভূতিশীল।
▶ L.F. কোনো কোনো প্রতিবেশী হয় সহানুভূতিশীল (I)→ বিবর্তনীয়।
.: কোনো কোনো প্রতিবেশী নয় অ-সহানুভূতিশীল (0) বিবর্তিত।
(d) কিছু গ্রন্থ পাঠযোগ্য নয়।
▶ L.F. কোনো কোনো গ্রন্থ নয় পাঠযোগ্য (০) বিবর্তনীয়।
.: কোনো কোনো গ্রন্থ হয় অ-পাঠযোগ্য (1) বিবর্তিত।
46. বিবর্তনের যে-কোনো দুটি নিয়ম উল্লেখ করো।
▶ (a) বিবর্তনীয় ও বিবর্তিতের উদ্দেশ্য এক।
(b) বিবর্তনীয়র বিধেয়র বিরুদ্ধ পদ বিবর্তিতের বিধেয় হবে।
47. নিম্নোক্ত বাক্যটির আবর্তিতের বিবর্তিতরূপ প্রকাশ করো:
‘কোনো চোর নয় সৎ’।
▶ L.F. কোনো চোর নয় সৎ ব্যক্তি (E)।
আবর্তিত: :: কোনো সৎ ব্যক্তি নয় চোর (E)।
আবর্তিতর বিবর্তিত: .: সকল সৎ ব্যক্তি হয় অ-চোর (A)।
49. বিবর্তন করো:
(a) ‘প্রত্যেক চিকিৎসকই দয়ালু’।
▶ L.F. সকল চিকিৎসক হয় দয়ালু (A)→ বিবর্তনীয়।
.. কোনো চিকিৎসক নয় অ-দয়ালু (E)→ বিবর্তিত।
(b) ‘মানুষ সাধারণত বিশ্বাসযোগ্য’।
▶ L.F. কোনো কোনো মানুষ হয় বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তি (1) বিবর্তনীয়।
.. কোনো কোনো মানুষ নয় অ-বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তি (O)→ বিবর্তিত।
50. ‘সব ছাত্র মনোযোগী নয়’- বিবর্তন করো।
▶ L.F. কোনো কোনো ছাত্র নয় মনোযোগী (0) → বিবর্তনীয়।
.. কোনো কোনো ছাত্র হয় অমনোযোগী (1) → বিবর্তিত।
51. “সকল মানুষ হয় অপূর্ণ জীব।”-বচনটির বিবর্তিত বচন কী?
▶ সকল মানুষ হয় অপূর্ণ জীব (A) -বচনটির বিবর্তিত রূপ হল: কোনো মানুষ
নয় পূর্ণ জীব (E)।
(a) পাখি চতুষ্পদ নয়।
▶ L.F. কোনো পাখি নয় চতুষ্পদ জীব (E)→ আবর্তনীয়।
.. কোনো চতুষ্পদ জীব নয় পাখি (E)→ আবর্তিত।
63. একটি সংজ্ঞাবাচক বচনের আবর্তনের উদাহরণ দাও।
▶ L.F. সকল মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব (A) → (আবর্তনীয়)।
.. সকল বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব হয় মানুষ (A) → আবর্তিত।
64. বিবর্তন করো:
‘খোলা মনের মানুষ কখনোই কুসংস্কারাচ্ছন্ন নয়’।
▶ L.F. কোনো খোলা মনের মানুষ নয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন ব্যক্তি (E) → বিবর্তনীয়।
.: সকল খোলা মনের মানুষ হয় অ-কুসংস্কারাচ্ছন্ন ব্যক্তি (A)→বিবর্তিত।
Long Question Answer
প্রশ্ন 1 অমাধ্যম ও মাধ্যম অনুমান কাকে বলে?
উত্তর অমাধ্যম ও মাধ্যম অনুমান
অনুমান হল একপ্রকার মানসিক প্রক্রিয়া যার সাহায্যে আমরা জ্ঞাত কোনো বিষয় থেকে অজ্ঞাত বা অজানা কোনো বিষয়ে জ্ঞান লাভ করি।
অনুমানকে যখন ভাষায় প্রকাশ করা হয় তখন তাকে বলা হয় যুক্তি (argument)। অনুমান ও যুক্তির মধ্যে পার্থক্য থাকলেও, তর্কবিদ্যায় অনুমান
ও যুক্তিকে সাধারণত সমার্থকরূপে উল্লেখ করা হয়। তর্কবিদ্যায় অনুমান বা যুক্তিকে দু-ভাগে ভাগ করা হয়েছে-অবরোহ যুক্তি বা অনুমান (deductive argument) এবং আরোহ যুক্তি বা অনুমান (inductive argument)। অবরোহ যুক্তি বা অনুমানকে আবার দু-ভাগে ভাগ করা হয়েছে-[1] অমাধ্যম অনুমান (immediate inference) এবং [2] মাধ্যম অনুমান (mediate inference)।
অমাধ্যম অনুমান
যে অবরোহ অনুমানে সিদ্ধান্তটি একটিমাত্র যুক্তিবাক্য থেকে সরাসরি ও
অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় এবং এদের মাঝখানে সাহায্যকারী আর কোনো যুক্তিবাক্য থাকে না, তাকে বলা হয় অমাধ্যম অনুমান। এই ধরনের অনুমানে সিদ্ধান্তটি কখনোই যুক্তিবাক্যের চেয়ে অধিক ব্যাপকতর নয়।
অমাধ্যম অনুমানের উদাহরণে আবর্তন, বিবর্তন, সমবিবর্তন ও বিরোধানুমান প্রভৃতি উল্লেখ করা যায়।
মাধ্যম অনুমান
যে অবরোহ অনুমানে একাধিক যুক্তিবাক্য থেকে সিদ্ধান্তটি অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় এবং সিদ্ধান্তটি কখনোই যুক্তিবাক্যের ব্যাপকতাকে অতিক্রম করে না, সেই অবরোহ অনুমানকেই বলা হয় মাধ্যম অনুমান।
মাধ্যম অনুমানের দৃষ্টান্তরূপে ন্যায় অনুমানের উল্লেখ করা যায়।
3 অমাধ্যম অনুমানের স্বরূপ বা প্রকৃতি আলোচনা করো।
উত্তর অমাধ্যম অনুমানের স্বরূপ বা প্রকৃতি
অমাধ্যম অনুমানের স্বরূপ বা প্রকৃতিকে নিম্নোক্তভাবে উল্লেখ করা যায়-
[1] অমাধ্যম অনুমানে যুক্তিবাক্যের সংখ্যা একটি। সেখানে মাধ্যমকারী বা সাহায্যকারী দ্বিতীয় কোনো যুক্তিবাক্য থাকে না।
[2] অমাধ্যম অনুমানে সিদ্ধান্তটি যুক্তিবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়। সিদ্ধান্তে তাই এমন কোনো বিষয়ের অনুমান করা হয় না যা যুক্তিবাক্যের মধ্যে নেই।
[3] অমাধ্যম অনুমানে সিদ্ধান্তটি কখনোই যুক্তিবাক্যের চেয়ে ব্যাপকতর নয়। অর্থাৎ, সিদ্ধান্তের বক্তব্য বিষয়টি কখনোই যুক্তিবাক্যের বক্তব্য বিষয়কে অতিক্রম করে না। ব্যাপকতার দিক থেকে যুক্তিবাক্য ও সিদ্ধান্ত তাই সমান।
[4] অমাধ্যম অনুমানে পদের সংখ্যা হল মোট দুটি-উদ্দেশ্য পদ এবং বিধেয় পদ। এই দুটি পদ ছাড়া তৃতীয় কোনো পদের উল্লেখ থাকে না।
[5] অমাধ্যম অনুমানের যুক্তিবাক্যে যে দুটি পদের উল্লেখ করা হয়, সেই দুটি পদকেই সিদ্ধান্তেও উল্লেখ করা হয়। যুক্তিবাক্যে এবং সিদ্ধান্তে পদের সংখ্যা তাই একই।
[6] অমাধ্যম অনুমানে সরাসরিভাবেই যুক্তিবাক্য থেকে সিদ্ধান্তটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সে কারণেই সিদ্ধান্তটি নিশ্চিতরূপে গণ্য হয়। অমাধ্যম অনুমানের সিদ্ধান্তে তাই কোনো সংশয় বা সন্দেহ থাকে না।
[7] একটিমাত্র যুক্তিবাক্য থেকে সিদ্ধান্তটিকে প্রতিষ্ঠা করা হয় বলে, অমাধ্যম অনুমানের প্রয়োগের ক্ষেত্রটি অত্যন্ত সংকীর্ণ।
[৪] অমাধ্যম অনুমান বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। মোট নয় প্রকারের অমাধ্যম অনুমানের কথা বলা হয়েছে। সেকারণেই অমাধ্যম অনুমানের নিয়মগুলি তার প্রকারভেদের ওপর নির্ভর করে।
[9] অমাধ্যম অনুমানে বিরুদ্ধ পদেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। অর্থাৎ, যুক্তিবাক্যে যে দুটি পদের উল্লেখ করা হয়, সিদ্ধান্তে অনেক সময় তার বিরুদ্ধ পদকেও স্বীকার করে নেওয়া হয়।
[10] অমাধ্যম অনুমানের ক্ষেত্রে আকার এবং অর্থ-উভয়েরই ওপর সবিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। অর্থাৎ, অমাধ্যম অনুমানে আকারের ভিন্নতাকে স্বীকার করে নিয়েও, অর্থের বিষয়টিকে একই রাখা হয়।