WBBSE Class 10 Environment আলো Chapter 5 Solution | Bengali Medium

Class 10 Chapter 2 Solution

আলো

1. Very Short Question Answer

1. গোলীয় দর্পণ কাকে বলে? 

উত্তর কোনো প্রতিফলক তল যদি কোনো গোলকের অংশবিশেষ হয় তবে তাকে গোলীয় দর্পণ বলা হয়।

2. গোলীয় দর্পণ কয় প্রকার ও কী কী?

উত্তর গোলীয় দর্পণ দু-ধরনের① অবতল দর্পণ ও② উত্তল দর্পণ।

3. কোনো গোলীয় দর্পণের পরিসীমার ব্যাসকে কী বলে?

উত্তর কোনো গোলীয় দর্পণের পরিসীমা বৃত্তাকার। এই বৃত্তের ব্যাসকে গোলীয় দর্পণের রৈখিক উন্মেষ বলা হয়।

4. অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র প্রতিফলক তলের সামনে না পিছনে অবস্থিত? 

উত্তর অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র প্রতিফলক তলের সামনে অবস্থিত।

5. উত্তল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র প্রতিফলক তলের সামনে না পিছনে অবস্থিত?

উত্তর উত্তল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র প্রতিফলক তলের পিছনে অবস্থিত।

6. অবতল দর্পণের মুখ্য ফোকাস প্রতিফলক তলের সামনে না পিছনে অবস্থিত?

উত্তর অবতল দর্পণের মুখ্য ফোকাস প্রতিফলক তলের সামনে অবস্থিত।

7. উত্তল দর্পণের মুখ্য ফোকাস প্রতিফলক তলের সামনে না পিছনে অবস্থিত?

উত্তর উত্তল দর্পণের মুখ্য ফোকাস প্রতিফলক তলের পিছনে অবস্থিত।

৪. গোলীয় দর্পণে গৌণ ফোকাস বিন্দুর সংখ্যা কতগুলি?

উত্তর গোলীয় দর্পণে গৌণ ফোকাস বিন্দু অসংখ্য।

9. গোলীয় দর্পণে আপতিত রশ্মি বক্রতা কেন্দ্র অভিমুখী হলে প্রতিফলিত রশ্মির গতিপথ কীরূপ হবে?

উত্তর গোলীয় দর্পণে আপতিত রশ্মি বক্রতা কেন্দ্র অভিমুখী হলে প্রতিফলিত রশ্মি একই পথ ধরে ফিরে যায়।

10. একটি অবতল দর্পণের ফোকাস দৈর্ঘ্য 10cm। জলে নিমজ্জিত করলে ফোকাস দৈর্ঘ্য কত হবে? 

উত্তর জলে নিমজ্জিত করলেও ফোকাস দৈর্ঘ্য অপরিবর্তিত থাকবে, তাই এক্ষেত্রে অবতল দর্পণটির ফোকাস দৈর্ঘ্য 10 cm -ই থাকবে।

11. গোলীয় দর্পণের ফোকাস দূরত্ব কাকে বলে?

উত্তর গোলীয় দর্পণের মেরু থেকে মুখ্য ফোকাসের দূরত্বই হল ফোকাস দূরত্ব।

12. গোলীয় দর্পণের ফোকাস তল কী?

উত্তর গোলীয় দর্পণের প্রধান অক্ষের সঙ্গে লম্ব ও মুখ্য ফোকাস বিন্দুগামী সমতলকে ফোকাস তল বলা হয়।

13. একটি সমতল দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ কত?

উত্তর একটি সমতল দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ অসীম।

14. একটি অবতল দর্পণের সামনে কোনো বস্তুকে কোথায় রাখলে সমান সাইজের সদ্বিম্ব গঠিত হবে?

উত্তর একটি অবতল দর্পণের সামনে কোনো বস্তুকে বক্রতা কেন্দ্রে রাখলে সমান সাইজের সদ্বিম্ব গঠিত হবে।

15. ক্ষুদ্র উন্মেষযুক্ত গোলীয় দর্পণে বক্রতা ব্যাসার্ধ 40 cm হলে দর্পণটির ফোকাস দৈর্ঘ্য কত? 

উত্তর ক্ষুদ্র উন্মেষযুক্ত গোলীয় দর্পণে বক্রতা ব্যাসার্ধ 40 cm হলে দর্পণটির

ফোকাস দৈর্ঘ্য 40 40 বা 20 cm।

16. ক্ষুদ্র উন্মেষযুক্ত গোলীয় দর্পণে ফোকাস ও বক্রতা কেন্দ্রের মধ্যবর্তী ব্যবধান 20 cm হলে দর্পণটির ফোকাস দৈর্ঘ্য কত?

উত্তর ক্ষুদ্র উন্মেষযুক্ত গোলীয় দর্পণে ফোকাস ও বক্রতা কেন্দ্রের মধ্যবর্তী ব্যবধান 20 cm হলে দর্পণটির ফোকাস দৈর্ঘ্য 20 cm-ই হবে।

17. কোনো অবতল দর্পণের ফোকাস দৈর্ঘ্য 15 cm হলে বক্রতা ব্যাসার্ধ কত?

উত্তর দর্পণটির বক্রতা ব্যসার্ধ = 2 × 15 cm = 30 cm |

18. বক্রতা কেন্দ্রগামী কোনো রশ্মি উত্তল দর্পণে আপতিত হলে আপতন ও প্রতিফলন কোণের মান কত হবে? 

উত্তর এক্ষেত্রে আপতন কোণ প্রতিফলন কোণ = 0°।

19. অবতল দর্পণের প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরাল কোনো রশ্মি অবতল দর্পণের দ্বারা প্রতিফলনের পর কোন্ পথে যায়? 

উত্তর অবতল দর্পণের প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরাল কোনো রশ্মি অবতল দর্পণের দ্বারা প্রতিফলনের পর মুখ্য ফোকাসের মধ্য দিয়ে যায়।

20. একটি আলোকরশ্মি অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র দিয়ে গেলে আপতন কোণ কত হবে? 

উত্তর একটি আলোকরশ্মি অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র দিয়ে গেলে আপতন কোণ হবে ০°।

21. একটি উত্তল দর্পণের ফোকাস দূরত্ব 3 cm হলে বক্রতা ব্যাসার্ধ কত হবে? 

উত্তর বক্রতা ব্যাসার্ধ হবে = 2 x 3 cm = 6 cm |

22. অবতল দর্পণে কখন প্রতিবিম্বের বিবর্ধন 1 হয়?

উত্তর অবতল দর্পণের সামনে যখন বস্তু 2f দূরত্বে বা বক্রতা কেন্দ্রে থাকে

তখন প্রতিবিম্বের বিবর্ধন 1 হয়।

23. অবতল দর্পণে কখন প্রতিবিম্বের বিবর্ধন 1 -এর কম হয়?

উত্তর অবতল দর্পণের সামনে যখন বস্তু ২/-এর বেশি দূরত্বে থাকে তখন বিবর্ধন। -এর কম হয়।

24. উত্তল দর্পণ দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্বের আকার ও প্রকৃতি লেখো।

উত্তর উত্তল দর্পণ দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্বের আকার খর্বকায় ও প্রকৃতি অসৎ।

25. কোনো অবতল দর্পণের ফোকাস থেকে একটি বস্তুকে প্রধান অক্ষ বরাবর দূরের দিকে সরালে প্রতিবিম্বের সাইজ বাড়বে না কমবে?

উত্তর এক্ষেত্রে প্রতিবিম্বের সাইজ কমবে।

28. অবতল দর্পণের ফোকাসে কোনো বস্তু অবস্থিত হলে তার প্রতিবিম্ব কোথায় গঠিত হবে?

উত্তর অবতল দর্পণের ফোকাসে কোনো বস্তু অবস্থিত হলে প্রতিবিম্ব অসীমে গঠিত হবে।

27. অবতল দর্পণ যখন কোনো বস্তুর অসদ্বিম্ব গঠন করে তা বিবর্ধিত না খর্বকায় হয়?

উত্তর অবতল দর্পণ যখন কোনো বস্তুর অসদ্বিম্ব গঠন করে তা বিবর্ধিত হয়।

28. অবতল দর্পণ কখন একটি বস্তুর সদ্বিম্ব গঠন করে?

উত্তর কোনো বস্তু অবতল দর্পণের ফোকাস দূরত্ব থেকে বেশি দূরত্বে থাকলে বা ফোকাস দূরত্বে থাকলে সদ্বিম্ব গঠিত হয়।

29. অবতল দর্পণ কখন একটি বস্তুর অসদ্বিম্ব গঠন করে?

উত্তর কোনো বস্তু অবতল দর্পণের মেরু ও ফোকাসের মধ্যে থাকলে বস্তুর অসদ্বিম্ব গঠন করে।

30. কোনো অবতল দর্পণের সামনে একটি বস্তু 2f অপেক্ষা বেশি দূরত্বে থাকলে প্রতিবিম্ব কোথায় গঠিত হবে?

উত্তর প্রতিবিম্ব অবতল দর্পণের সামনে ফোকাস ও বক্রতা কেন্দ্রের মধ্যে গঠিত হবে।

31. কোনো অবতল দর্পণের ফোকাস ও বক্রতা কেন্দ্রের মাঝে কোনো বস্তু থাকলে প্রতিবিম্ব কোথায় গঠিত হবে?

উত্তর প্রতিবিম্ব দর্পণের সামনে বক্রতা কেন্দ্র থেকে দূরে বা ২-এর বেশি দূরত্বে গঠিত হবে।

32. গোলীয় দর্পণের প্রতিফলন ক্ষমতার সঙ্গে ফোকাস দৈর্ঘ্যের সম্পর্ক কী?

উত্তর গোলীয় দর্পণের প্রতিফলন ক্ষমতা, D = 1 f = 3; যেখানে ও r

হল যথাক্রমে গোলীয় দর্পণের ফোকাস দৈর্ঘ্য ও বক্রতা ব্যাসার্ধ।

33. কোন্ দর্পণের জন্য দৃষ্টিক্ষেত্র সর্বাধিক?

উত্তর উত্তল দর্পণের জন্য দৃষ্টিক্ষেত্র সর্বাধিক।

34. কোনো দর্পণে বস্তুর দৈর্ঘ্যের তুলনায় ছোটো দৈর্ঘ্যের অসৎ প্রতিবিম্ব গঠিত হতে পারে কি?

উত্তর হ্যাঁ পারে, উত্তল দর্পণের, সামনে থাকা কোনো বস্তুর প্রতিবিম্ব সর্বদা বস্তুর দৈর্ঘ্যের তুলনায় সর্বদা ছোটো দৈর্ঘ্যের অসৎ প্রকৃতির হয়।

35. একটি গোলীয় দর্পণে বস্তুর একটি বিশেষ অবস্থানে বস্তুর সমান সাইজের প্রতিবিম্ব গঠিত হল। দর্পণটির প্রকৃতি কীরূপ?

উত্তর এক্ষেত্রে গোলীয় দর্পণটি অবশ্যই অবতল দর্পণ।

36. সমতল দর্পণের প্রতিফলন ক্ষমতা কত?

উত্তর সমতল দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ অসীম তাই এর প্রতিফলন ক্ষমতা শূন্য।

37. কোনো অবতল দর্পণে সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ আপতিত হলে, প্রতিফলিত রশ্মিগুচ্ছ কীরূপ হয়?

উত্তর কোনো অবতল দর্পণে সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ আপতিত হলে প্রতিফলিত রশ্মিগুচ্ছ অভিসারী হয়।

38.  একটি অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্রে রাখা বস্তুর প্রতিবিম্বের বিবর্ধনের মান কত?

উত্তর বস্তুর প্রতিবিম্বের বিবর্ধনের মান ।।

39. কোনো গোলীয় দর্পণে বস্তু ও দর্পণের অবস্থান অপরিবর্তিত রেখে সমগ্র ব্যবস্থাটিকে জলে নিমজ্জিত করলে প্রতিবিম্বের অবস্থানের পরিবর্তন হবে কি?

উত্তর না, প্রতিবিম্বের অবস্থান অপরিবর্তিত থাকবে।

40. একটি সমতল দর্পণের ক্ষমতা কত?

উত্তর  একটি সমতল দর্পণের ক্ষমতা শূন্য।

41. মোটর গাড়ির হেডলাইটে কোন্ ধরনের গোলীয় দর্পণ ব্যবহার করা হয়?

উত্তর  গাড়ির হেডলাইটে অবতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়।

42. মোটরগাড়ির ভিউফাইন্ডারে কোন্ ধরনের দর্পণ ব্যবহৃত হয়?

উত্তর  মোটরগাড়ির ভিউফাইন্ডারে উত্তল দর্পণ ব্যবহৃত হয়।

43. দন্ত চিকিৎসকরা কী ধরনের দর্পণ ব্যবহার করেন?

উত্তর  দন্ত চিকিৎসকরা অবতল দর্পণ ব্যবহার করেন।

44. সমতল, অবতল ও উত্তল দর্পণের মধ্যে কোন্টির দৃষ্টিক্ষেত্র সবচেয়ে বেশি?

উত্তর  উত্তল দর্পণের দৃষ্টিক্ষেত্র সবচেয়ে বেশি।

45. প্রতিফলক টেলিস্কোপে কোন্ ধরনের দর্পণ ব্যবহার করা হয়?

উত্তর  প্রতিফলক টেলিস্কোপে অবতল দর্পণ ব্যবহৃত হয়।

46. স্ট্রিট ল্যাম্পে প্রতিফলক হিসেবে কী ধরনের দর্পণ ব্যবহার করা হয়?

উত্তর স্ট্রিট ল্যাম্পে প্রতিফলক হিসেবে উত্তল দর্পণ ব্যবহার করা হয়।

47. সোলার কুকারে কোন্ ধরনের দর্পণ ব্যবহৃত হয়?

উত্তর  সোলার কুকারে অবতল দর্পণ ব্যবহৃত হয়।

2. Short Question Answer

1. সরল ক্যামেরা দ্বারা কোনো বস্তুর ছবি তোলার নীতি লেখো।

উত্তর উত্তল লেন্সের সামনে দ্বিগুণ ফোকাস দূরত্বের চেয়ে বেশি দূরত্বে একটি বস্তু থাকলে লেন্সের অপর পাশে ফোকাস দূরত্বের চেয়ে বেশি কিন্তু দ্বিগুণ ফোকাস দূরত্বের চেয়ে কম দূরত্বে বস্তুর অবশীর্ষ, খর্বকায়, সদ্বিম্ব গঠিত হয়। লেন্সের এই ধর্মের সাহায্যে ক্যামেরায় ছবি তোলা হয়।

2 ক্যামেরার অভিলক্ষ্যকে এগোনো বা পিছোনোর ব্যবস্থা থাকে কেন?

উত্তর ক্যামেরার সামনে বস্তু বিভিন্ন দূরত্বে থাকে, তাই প্রতিবিম্ব দূরত্বও বিভিন্ন হয়। অভিলক্ষ্যকে এগিয়ে বা পিছিয়ে প্রতিবিম্ব দূরত্বকে পরিবর্তন করা হয় যাতে ফিল্ম-এর ওপর বস্তুর স্পষ্ট প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। সেজন্য ক্যামেরার অভিলক্ষ্যকে এগোনো বা পিছোনোর ব্যবস্থা থাকে।

3 একটি সরল ক্যামেরায় কী ধরনের লেন্স ব্যবহৃত হয়? সরল ক্যামেরায় গঠিত প্রতিবিম্বের বৈশিষ্ট্য কী?

উত্তর সরল ক্যামেরায় উত্তল লেন্স ব্যবহৃত হয়।

[ সরল ক্যামেরা দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্বের বৈশিষ্ট্য-① ক্যামেরায় তোলা ছবির প্রকৃতি হল সৎ। ② প্রতিবিম্ব বস্তু সাপেক্ষে উলটো বা অবশীর্ষ হয়।

③ প্রতিবিম্বের সাইজ বস্তু অপেক্ষা ছোটো হয়।

4 একটি চকচকে চামচের অবতল ও উত্তল দিকের সামনে মুখ রাখলে কী ধরনের প্রতিবিম্ব দেখা যাবে?

উত্তর একটি চকচকে চামচের অবতল দিকের খুব সামনে মুখ রাখলে মুখের বিবর্ধিত, সমশীর্ষ প্রতিবিম্ব চামচে দেখা যাবে। এবার চামচ থেকে দূরে সরে গেলে প্রতিবিম্ব অবশীর্ষ ও খর্বকায় হয়। আবার চামচের উত্তল দিকের কাছে মুখ রাখলে সমশীর্ষ ও খর্বকায় প্রতিবিম্ব দেখা যাবে।

5 চিত্রসহ সংজ্ঞা লেখো-গোলীয় দর্পণের প্রধান অক্ষ।

উত্তর কোনো গোলীয় দর্পণের মেরু ও বক্রতা কেন্দ্রগামী সরলরেখাকে প্রধান অক্ষ বলা হয়। চিত্র-19 (a) ও (b)-তে XY হল যথাক্রমে অবতল ও উত্তল দর্পণের প্রধান অক্ষ।

6 গোলীয় দর্পণের রৈখিক উন্মেষ ও কৌণিক উন্মেষ কাকে বলে? চিত্রে দেখাও।

উত্তর গোলীয় দর্পণের রৈখিক উন্মেষ: কোনো গোলীয় দর্পণের পরিসীমা বৃত্তাকার। এই বৃত্তের ব্যাসকে গোলীয় দর্পণের রৈখিক উন্মেষ বলা হয়। গোলীয় দর্পণের কৌণিক উন্মেষ: কোনো গোলীয় দর্পণের প্রধান ছেদের দুটি প্রান্ত বিন্দু বক্রতা কেন্দ্রে যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে গোলীয় দর্পণের কৌণিক উন্মেষ বলা হয়।

7 গোলীয় দর্পণের মুখ্য ফোকাস কাকে বলে?

উত্তর কোনো সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ ক্ষুদ্র উন্মেষযুক্ত কোনো গোলীয় দর্পণের প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরালভাবে আপতিত হলে দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর যদি প্রধান অক্ষের ওপর কোনো বিন্দুতে মিলিত হয় (অবতল দর্পণ) বা প্রধান অক্ষের ওপর অবস্থিত কোনো বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয় (উত্তল দর্পণ), সেই বিন্দুটিকে ওই গোলীয় দর্পণের মুখ্য ফোকাস বলা হয়।

8 উত্তল দর্পণের মুখ্য ফোকাসের চিত্রসহ সংজ্ঞা লেখো।
উত্তর কোনো সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ ক্ষুদ্র উন্মেষযুক্ত কোনো উত্তল দর্পণের প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরালভাবে আপতিত হলে দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর প্রধান অক্ষের ওপর যে বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়, সেই বিন্দুটিকে দর্পণটির মুখ্য ফোকাস বলা হয়

10 কোনো গোলীয় দর্পণকে জলে নিমজ্জিত করলে ফোকাস দৈর্ঘ্যের কোনো পরিবর্তন হবে কি?

উত্তর গোলীয় দর্পণে আলোর প্রতিফলন হয় এবং আলোর প্রতিফলন সংক্রান্ত সূত্রগুলি মাধ্যমের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে না। তাই কোনো গোলীয় দর্পণকে জলে নিমজ্জিত করলে ফোকাস দৈর্ঘ্য অপরিবর্তিত থাকবে।

11 অবতল দর্পণের গৌণ ফোকাস কাকে বলে?

উত্তর অবতল দর্পণের প্রধান অক্ষের সঙ্গে আনতভাবে আপতিত সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ, দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর ফোকাস তলের ওপর যে বিন্দুতে (F’ – \methera{G}) মিলিত হয়, সেই বিন্দুকে দর্পণের গৌণ ফোকাস বলা হয় 

12 উত্তল দর্পণের গৌণ ফোকাস কাকে বলে?
উত্তর [ উত্তল দর্পণের প্রধান অক্ষের সঙ্গে আনতভাবে আপতিত সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ, দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর ফোকাস তলের ওপর কোনো বিন্দু (F’) থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়। এই বিন্দুটিকে দর্পণটির গৌণ ফোকাস বলা হয়

13 অবতল দর্পণে অভিসারী রশ্মিগুচ্ছের প্রতিফলন চিত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো।

উত্তর অবতল দর্পণের অনুপস্থিতিতে অভিসারী রশ্মিগুচ্ছ দর্পণের পিছনে ০ বিন্দুতে মিলিত হত। দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর প্রতিফলিত রশ্মিগুচ্ছ প্রধান অক্ষের ওপর । বিন্দুতে মিলিত হয়। এখানে ০ হল অসদ্বস্তু ও । হল তার সদ্বিম্ব এবং অভিসারী রশ্মিগুচ্ছ প্রতিফলনের পরও অভিসারী থাকে। 

14 উত্তল দর্পণে অভিসারী রশ্মিগুচ্ছের প্রতিফলন চিত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো।

উত্তর উত্তল দর্পণে অভিসারী রশ্মিগুচ্ছ আপতিত হলে কী হবে তা নির্ভর করে দর্পণের অনুপস্থিতিতে রশ্মিগুচ্ছ দর্পণের পিছনে কোথায় মিলিত হবে তার ওপর। যদি দর্পণের অনুপস্থিতিতে অভিসারী 

রশ্মিগুচ্ছ ফোকাস

15 গোলীয় দর্পণে প্রতিফলনের সূত্রগুলি লেখো।

উত্তর গোলীয় দর্পণে প্রতিফলনের সূত্র-① আপতিত রশ্মি, প্রতিফলিত রশ্মি, আপতন বিন্দুতে প্রতিফলকের ওপর অঙ্কিত অভিলম্ব একই সমতলে থাকে।② আপতন কোণ ও প্রতিফলন কোণ সর্বদা সমান হয়।

16 গোলীয় দর্পণ দ্বারা গঠিত সদবিম্বের বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তর কে গোলীয় দর্পণ দ্বারা গঠিত সদবিম্বের বৈশিষ্ট্য-① সদদিদ্বম্ব বস্তু সাপেক্ষে অবশীর্ষ হয়। ② বস্তু ও প্রতিবিম্ব দর্পণের একই পার্শ্বে গঠিত হয়। ③ প্রতিবিম্বের আকার বস্তুর তুলনায় ছোটো, সমান ও বড়ো হতে পারে।

17 গোলীয় দর্পণ দ্বারা গঠিত অসবিম্বের বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তর ( গোলীয় দর্পণ দ্বারা গঠিত অসবিম্বের বৈশিষ্ট্য-① অসদ্বিম্ব বস্তু সাপেক্ষে সমশীর্ষ হয়। ② বস্তু ও প্রতিবিম্ব বিপরীত পার্শ্বে গঠিত হয়। ③ প্রতিবিম্বের আকার বস্তুর তুলনায় ছোটো বা বড়ো হতে পারে।

18 গাড়ির হেডলাইটে কী ধরনের দর্পণ ব্যবহার করা হয় ও কেন?

উত্তর গাড়ির হেডলাইটে অবতল দর্পণ ব্যবহার করা যায়। গাড়ির হেডলাইটে পালিশ করা ধাতব অবতল তল ব্যবহার হয় যা অবতল দর্পণ হিসেবে কাজ করে। এইসব লাইটের বাতি দর্পণের ফোকাসে রাখা হয় ফলে বাতি থেকে নির্গত আলোকরশ্মি অবতল প্রতিফলকে প্রতিফলিত হয়ে সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছে পরিণত হয়। এইজন্য অনেকদূর পর্যন্ত দেখা যায় এবং গাড়ির চালকের খুব সুবিধা হয়।

19 তোমাকে তিনটি দর্পণ দেওয়া হল-একটি সমতল, একটি উত্তলও একটি অবতল। স্পর্শ না করে কীভাবে দর্পণগুলিকে শনাক্ত করবে?

উত্তর সমতল দর্পণ কোনো বস্তুর সমান সাইজের অসদ্বিম্ব গঠন করে।। উত্তল দর্পণ সর্বদা কোনো বস্তুর খর্বকায় অসদ্বিম্ব গঠন করে এবং অবতল। দর্পণের ফোকাস দূরত্বের কম দূরত্বে একটি বস্তু রাখলে বস্তুটির বিবর্ষিত অসদ্বিম্ব গঠিত হয়।

একটি পেনসিলকে কোনো দর্পণের খুব কাছে ধরলে যদি সমান সাইজের অসদ্বিম্ব গঠিত হয় তাহলে দর্পণটি সমতল, যদি খর্বকায় অসদ্বিম্ব গঠিত হয় তাহলে দর্পণটি উত্তল এবং যদি বিবর্ধিত অসদ্বিম্ব গঠিত হয় তাহলে দর্পণটি অবতল।

20 সূর্যালোকে একটি অবতল দর্পণকে রেখে ফোকাসে একটুকরো কাগজ রাখলে কী হবে?

উত্তর সূর্য থেকে আগত আলোকরশ্মিগুচ্ছকে সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ ধরে নিলে অবতল দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর রশ্মিগুচ্ছ ফোকাসে মিলিত হয়। দর্পণের ফোকাসে একটুকরো কাগজ রাখলে কাগজে রশ্মিগুচ্ছ মিলিত হয় এবং কাগজের উন্নতা বাড়তে থাকে এবং একসময় কাগজটি পুড়ে যায়।

21 একটি উত্তল দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ 20 cm হলে ফোকাস দৈর্ঘ্য কত?

উত্তর উত্তল দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ (r) = 20cm

.. উত্তল দর্পণটির ফোকাস দৈর্ঘ্য, f = r/2 = 20/2 = 10cm

22 সূর্যালোকে কোনো অবতল দর্পণকে রাখলে দর্পণের সামনে 15 cm দূরে সূর্যের প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। অবতল দর্পণটির বক্রতা ব্যাসার্ধ কত?

উত্তর [ সূর্য থেকে আসা আলোকরশ্মিগুচ্ছকে সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ ধরে নিলে সূর্যের প্রতিবিম্ব অবতল দর্পণের ফোকাসে গঠিত হয়।

:: অবতল দর্পণের ফোকাস দৈর্ঘ্য (f) = 15cm

বক্রতা ব্যাসার্ধ, r = 2f = 2 * 15cm = 30cm

23 একটি অবতল দর্পণের ফোকাস দৈর্ঘ্য 15cm । অবতল দর্পণের সামনে কোথায় একটি বস্তু রাখলে [1] বিবর্ধিত সদ্বিম্ব ও [ii] বিবর্ধিত অসদ্বিম্ব গঠিত হবে?

উত্তর [ অবতল দর্পণের ফোকাস দৈর্ঘ্য, f = 15cm

r = 2f = 2 * 15 = 30cm মনে করি, বস্তু দূরত্ব = u

i] বিবর্ধিত সদ্বিম্ব পেতে হলে, f < u < 2f

বা, 15cm < u < 30cm হতে হবে।

ii] বিবর্ধিত অসদ্বিম্ব পেতে হলে, u < f

24 আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে?

উত্তর আলোকরশ্মি কোনো সমসত্ত্ব স্বচ্ছ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে যেতে যেতে অন্য কোনো দনসত্ত্ব স্বচ্ছ মাধ্যমে তির্যকভাবে আপতিত হলে দুই মাধ্যমের বিভেদতলে আলোকরশ্মির গতির অভিমুখের পরিবর্তন হয়, এই ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলা হয়। বিভিন্ন আলোকীয় মাধ্যমে আলোর গতিবেগ আলাদা হওয়ার জন্য আলোর প্রতিসরণ হয়।

25 আলোক সাপেক্ষে ঘন মাধ্যম ও পাদার্থিক ঘনত্বের বিচারে ঘন-দুটি কি একই?

উত্তর আলোক সাপেক্ষে ঘন মাধ্যম ও পাদার্থিক ঘনত্বের বিচারে ঘন- এই দুটি বিষয় আলাদা। যেমন-জল ও তার্পিন তেলের ঘনত্ব যথাক্রমে 1g/cm³ ও 0.87g/cm³ এবং জল ও তার্পিন তেলের পরম প্রতিসরাঙ্ক যথাক্রমে 1.33 ও 1.47। এক্ষেত্রে পাদার্থিক ঘনত্বের বিচারে জল, তার্পিন তেলের চেয়ে ঘন কিন্তু আলোক সাপেক্ষে জল হল লঘুতর মাধ্যম ও তার্পিন তেল হল ঘনতর মাধ্যম।

26 আলোকরশ্মি [1] লঘু থেকে ঘন 2022] [ii] ঘন থেকে লঘু মাধ্যমে তির্যকভাবে প্রতিসৃত হলে অভিমুখের যে পরিবর্তন হয় তা চিত্রের সাহায্যে দেখাও। অথবা, [1] লঘু থেকে ঘন মাধ্যমে এবং [ii] ঘন থেকে লঘু মাধ্যমে আলোর প্রতিসরণ চিত্রসহ দেখাও। [প্রতিটি চিত্রের মান 2]

উত্তর [১] আলোকরশ্মি লঘু মাধ্যম থেকে ঘন মাধ্যমে প্রবেশ করলে প্রতিসৃত রশ্মি অভিলম্বের দিকে সরে যায় [চিত্র 52(a)]।

ii] আলোকরশ্মি ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে প্রবেশ করলে প্রতিসৃত রশ্মি অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যায় [চিত্র 52(b)]।

27 প্রতিসরণের সময় আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ও কম্পাঙ্কের কীরূপ পরিবর্তন হয়?

উত্তর আলোর প্রতিসরণের সময় কম্পাঙ্কের পরিবর্তন হয় না কিন্তু তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তন হয়। আলো লঘুতর থেকে ঘনতর মাধ্যমে প্রবেশ করলে তরঙ্গদৈর্ঘ্য হ্রাস পায়। যেমন-শূন্যস্থান থেকে । তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কোনো আলোকরশ্মি প্রতিসরাঙ্কের কোনো মাধ্যমে প্রবেশ করলে ওই মাধ্যমে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য, lambda_{1} = lambda/mu 

28 কোনো মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্ক মাধ্যমের তাপমাত্রার ওপর কীভাবে নির্ভরশীল?

উত্তর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে কোনো মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্ক হ্রাস পায়। কঠিন মাধ্যমের ক্ষেত্রে একই তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে এই পরিবর্তন সবচেয়ে কম ও গ্যাসীয় মাধ্যমের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি।

29 পরম প্রতিসরাঙ্ক কাকে বলে? আপেক্ষিক প্রতিসরাঙ্ক কাকে বলে? 1+1

উত্তর শূন্যস্থান থেকে আলোকরশ্মি কোনো স্বচ্ছ ও সমসত্ত্ব মাধ্যমে তির্যকভাবে আপতিত হয়ে প্রতিসৃত হলে আপতন কোণের sine ও প্রতিসরণ কোণের sine-এর অনুপাতকে ওই মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্ক বলা হয়।  যখন কোনো আলোকরশ্মি একটি মাধ্যম (শূন্যস্থান ব্যতীত) থেকে অন্য মাধ্যমে প্রতিসৃত হয় তখন আপাতন কোণের sine ও প্রতিসরণ কোণের sine-এর অনুপাতকে প্রথম মাধ্যম সাপেক্ষে দ্বিতীয় মাধ্যমের আপেক্ষিক প্রতিসরাঙ্ক বলা হয়।

30 কোনো মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্ক । অপেক্ষা কম হতে পারে কি?

উত্তর [ না, কোনো মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্ক । অপেক্ষা কম হতে পারে না। শূন্যস্থানে ও কোনো মাধ্যমে আলোর বেগ যথাক্রমে ও হলে ওই মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্ক, হয়। mu = c/upsilon সর্বদা c v হয় তাই সর্বদা mu > 1

31 দেখাও, যে-কোনো মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্কের মান 1-এর বেশি?

উত্তর [ কোনো মাধ্যমে আলোর বেগ, শূন্যস্থানে আলোর বেগ হলে ওই মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্ক, mu = c/v * 1 আলোর বেগ শূন্যস্থানে সর্বোচ্চ তাই সর্বদা v < c অর্থাৎ c > v হয়, তাই যে-কোনো মাধ্যমের ক্ষেত্রে mu > 1 ।

32 দেখাও যে, a^ mu b = 1/(b ^ mu) a

উত্তর মনে করি, একটি আলোকরশ্মি

AO, a মাধ্যমের মধ্য দিয়ে ৮ মাধ্যমে OB পথে প্রতিসৃত হয়েছে। ০ হল আপতন বিন্দু। N_{1}N_{2} হল আপতন বিন্দুতে দুই মাধ্যমের বিভেদতলের ওপর C অঙ্কিত অভিলম্ব। এখানে, আপতন কোণ, angle AON_{1} = i ও প্রতিসরণ কোণ, angle BO*N_{2} = rI a^ mu b = (sin i)/(sin r)

33 কাচের পরম প্রতিসরাঙ্ক 1.5 বলতে কী বোঝ?

উত্তর কাচের পরম প্রতিসরাঙ্ক 1.5 বলতে বোঝায় শূন্যস্থান থেকে কোনো আলোকরশ্মি কাচ মাধ্যমে তির্যকভাবে আপতিত হয়ে কাচ মাধ্যমে প্রতিসৃত হলে আপতন কোণের sine ও প্রতিসরণ কোণের sine-এর অনুপাত 1.5 হয়।

34 প্রতিসরাঙ্কের মান কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর নির্ভর করে?

উত্তর প্রতিসরাঙ্কের মান নিম্নলিখিত বিষয়গুলির ওপর নির্ভরশীল- ① মাধ্যম দুটির প্রকৃতি ② আপতিত আলোর বর্ণ ও মাধ্যম দুটির উয়তা।

35 আলোকরশ্মির এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে যাওয়ার সময় কোন্ ক্ষেত্রে স্নেলের সূত্রটি প্রযোজ্য হয় না?

উত্তর আলোকরশ্মি দুই মাধ্যমের বিভেদতলে লম্বভাবে আপতিত হলে স্নেলের সূত্রটি প্রযোজ্য হয় না। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় মাধ্যমে আলোকরশ্মির অভিমুখের কোনো পরিবর্তন হয় না, তবে দ্বিতীয় মাধ্যমে আলোকরশ্মির গতিবেগের মানের পরিবর্তন হয়।

36 কোনো আলোকরশ্মি লঘু থেকে ঘন মাধ্যমে প্রবেশ করলে গতিবেগ, তরঙ্গদৈর্ঘ্য ও কম্পাঙ্কের কীরূপ পরিবর্তন হয়?

উত্তর লঘু থেকে ঘন মাধ্যমে প্রবেশ করলে আলোকরশ্মির গতিবেগ ও তরঙ্গদৈর্ঘ্য হ্রাস পায়, কিন্তু কম্পাঙ্ক অপরিবর্তিত থাকে।

37 কোনো আলোকরশ্মি ঘন থেকে লঘু মাধ্যমে প্রবেশ করলে গতিবেগ, তরঙ্গদৈর্ঘ্য ও কম্পাঙ্কের কীরূপ পরিবর্তন হয়?

উত্তর কোনো আলোকরশ্মি ঘন থেকে লঘু মাধ্যমে প্রবেশ করলে আলোকরশ্মির গতিবেগ ও তরঙ্গদৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায় কিন্তু কম্পাঙ্ক অপরিবর্তিত থাকে।

38 লঘু থেকে ঘন মাধ্যমে আলোর প্রতিসরণে চ্যুতিকোণ নির্ণয় করো। ধরে নাও, আপতন কোণ। এবং প্রতিসরণ কোণ = ৮।

উত্তর [ 54 নং চিত্রে আলোকরশ্মি লঘু মাধ্যম থেকে ঘন মাধ্যমে প্রতিসৃত হয়েছে। দুই মাধ্যমের বিভেদতলে যদি রশ্মির অভিমুখ পরিবর্তিত না হত তাহলে রশ্মি OC পথে যেত; তাই angle BOC = delta হল চ্যুতিকোণ। আলোকরশ্মির লঘু থেকে ঘন মাধ্যমে প্রতিসরণে [চিত্র 54] r < i হয়। চিত্র থেকে পাই, angle BOC = angle NOC- angle NOB

ঘনতর মাধ্যমNB

37 চোখের উপযোজন কাকে বলে?

উত্তরাও সিলিয়ারি মাংসপেশির সাসপেন্সরি লিগামেন্টের সংকোচন ও প্রসারণের ফলে চক্ষুলেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি ও হ্রাস করে দূরেরও কাছের বস্তুর প্রতিবিম্বকে রেটিনায় গঠন করার ক্ষমতাকে চোদ্ধে। উপযোজন বলা হয়।

38 চোখের নিকট বিন্দু কী?

উত্তর ও বিনা শ্রান্তিতে অর্থাৎ কষ্ট না করে চোখ থেকে সর্বাপেক্ষা নিকট। যে বিন্দু পর্যন্ত একটি বস্তুকে স্পষ্টভাবে দেখতে পাওয়া যায় তাকে চোদ্দে নিকট বিন্দু বলে।

39 চোখের দূর বিন্দু কী?

উত্তর কে বিনা শ্রান্তিতে অর্থাৎ কষ্ট না করে চোখ থেকে সর্বাপেক্ষা দূত্রের যে বিন্দু পর্যন্ত একটি বস্তুকে স্পষ্টভাবে দেখতে পাওয়া যায় তাকে চোখের দুর বিন্দু বলে।

3. Long Question Answer

1 গ্লিসারিনের মধ্যে কাচদণ্ড ডোবালে তা আর দেখা যায় না কেন?

উত্তর কাচের প্রতিসরাঙ্ক 1.5 এবং গ্লিসারিনের প্রতিসরাঙ্কও প্রায় 1.5। মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক পরিবর্তিত না হলে আলোকরশ্মির প্রতিসরণ হয় না। তাই দুই মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক প্রায় সমান হওয়ার জন্য আলোকরশ্মি প্রায় কোনোরকম বিচ্যুতি ছাড়াই এদের বিভেদতল অতিক্রম করে সেইজন্য পুরোটাই একটি স্বচ্ছ মাধ্যম বলে মনে হয় অর্থাৎ এক্ষেত্রে আলোর প্রতিফলন বা প্রতিসরণ হয় না। এই জন্য গ্লিসারিনের মধ্যে কাচদণ্ড ডোবালে তা আর দেখা যায় না।

2 নক্ষত্রগুলো আকাশে মিটমিট করে কেন?

উত্তর [ নক্ষত্রগুলো পৃথিবী থেকে অনেক দূরে আছে। তাই নক্ষত্র থেকে আসা আলোর পরিমাণ খুব কম হয়। এই আলোকরশ্মি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে এসে আমাদের চোখে পৌঁছোয়। বায়ুমন্ডলের বিভিন্ন স্তরের উন্নতা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন হওয়ার জন্য প্রতিসরাঙ্কও আলাদা হয়। এই কারণে নক্ষত্র থেকে আসা আলোকরশ্মির গতিপথ অনবরত বদলাতে থাকে এবং আমাদের চোখে আসা নক্ষত্রের আলোর তীব্রতাও পরিবর্তিত হয়, কখনও বেশি কখনও কম হয়। তাই নক্ষত্রগুলো আকাশে মিটমিট করছে বলে মনে হয়।

3 অবতল দর্পণের ফোকাসকে অভিসারী ফোকাস ও উত্তল দর্পণের ফোকাসকে অপসারী ফোকাস বলে কেন?

উত্তর কোনো সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ অবতল দর্পণের প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরালভাবে আপতিত হলে দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর [চিত্র 24(a)] মুখ্য ফোকাস, F বিন্দুতে মিলিত হয়। এক্ষেত্রে প্রতিফলিত রশ্মিগুচ্ছ অভিসারী হয় বলে অবতল দর্পণের ফোকাসকে অভিসারী ফোকাস বলা হয়। আবার কোনো সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ উত্তল দর্পণের প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরালভাবে আপতিত হলে দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর [চিত্র 24(b)] মুখ্য ফোকাস, F বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়। এক্ষেত্রে প্রতিফলিত রশ্মিগুচ্ছ অপসারী হয় বলে উত্তল দর্পণের ফোকাসকে অপসারী ফোকাস বলা হয়।

4 গোলীয় দর্পণে অপসারী রশ্মিগুচ্ছ আপতিত হলে প্রতিফলিত রশ্মিগুচ্ছের গতিপথ কেমন হবে তা চিত্রসহ দেখাও।

উত্তর [ 34(a) নং চিত্রে একটি অবতল দর্পণের প্রধান অক্ষের ওপর একটি বিন্দু-বস্তু ০ থেকে আগত অপসারী রশ্মিগুচ্ছ দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর দর্পণের সামনে প্রধান অক্ষের ওপর । বিন্দুতে মিলিত হয় অর্থাৎ এখানে অপসারী রশ্মিগুচ্ছ প্রতিফলনের পর অভিসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত হয় তবে অবতল দর্পণে আপতিত অপসারী রশ্মিগুচ্ছ প্রতিফলনের পর অভিসারী, সমান্তরাল না অপসারী হবে তা নির্ভর করে বিন্দু-বস্তুর অবস্থানের ওপর। বিন্দু-বস্তু, ফোকাসের বেশি দূরত্বে থাকলে প্রতিফলিত রশ্মিগুচ্ছ হবে অভিসারী, বিন্দু-বস্তু ফোকাসে থাকলে প্রতিফলিত রশ্মিগুচ্ছ হবে সমান্তরাল এবং ফোকাসের কম দূরত্বে থাকলে প্রতিফলিত রশ্মিগুচ্ছ হবে অপসারী। আবার 34(b) নং চিত্রে উত্তল দর্পণের প্রধান অক্ষের ওপর অবস্থিত একটি

বিন্দু-বস্তু ০ থেকে আগত অপসারী আলোকরশ্মিগুচ্ছ দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর আরও অপসারী হয় এবং দর্পণের পিছনে। বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়।

5 ক্ষুদ্র উন্মেষযুক্ত উত্তল দর্পণের ক্ষেত্রে ফোকাস দূরত্ব ও বক্রতা ব্যাসার্ধের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করো।

উত্তর ক্ষুদ্র উন্মেষযুক্ত MPM₁ D

উত্তল দর্পণের P ,F\$C হল যথাক্রমে E

মেরু, মুখ্য ফোকাস ও বক্রতা কেন্দ্র।

.: ফোকাস দূরত্ব, PF = f ও বক্রতা

ব্যাসার্ধ, PC =r1

উত্তল দর্পণের প্রধান অক্ষের সঙ্গে

সমান্তরালভাবে AB আলোকরশ্মি B

বিন্দুতে আপতিত হয়ে BD পথে

6 উত্তল দর্পণ দ্বারা একটি বিস্তৃত বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠন চিত্রসহ বর্ণনা করো। 

উত্তর ক্ষুদ্র উন্মেষযুক্ত একটি উত্তল দর্পণের MPM₁ হল প্রধান ছেদ। P. F ও C হল যথাক্রমে উত্তল দর্পণটির মেরু, মুখ্য ফোকাস ও বক্রতা কেন্দ্র। উত্তল দর্পণটির সামনে প্রধান অক্ষের ওপর লম্বভাবে অবস্থিত O*O_{1} হল একটি বিস্তৃত বস্তু। O_{1} থেকে প্রধান অক্ষের সমান্তরাল O_{1}*A রশ্মি দর্পণে প্রতিফলনের পর AB পথে যায়। রশ্মিটিকে পিছনদিকে বাড়ালে

যেন মুখ্য ফোকাস থেকে আসছে বলে মনে হয়। বক্রতা কেন্দ্রের দিকে পরিচালিত অপর একটি রশ্মি O_{1}*D দর্পণের ওপর লম্বভাবে আপতিত হয়ে

হওয়ায়

একই পথে ফিরে যায়। প্রতিফলিত রশ্মি দুটি অপসারী প্রতিফলনের পর মিলিত হয় না। রশ্মি দুটিকে পিছনদিকে বাড়ালে I_{1} বিন্দুতে মিলিত হয় অর্থাৎ থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়। I_{1} থেকে প্রধান অক্ষের ওপর I_{1}*I লম্ব

7 উত্তল দর্পণের ব্যবহার লেখো।

উত্তর। উত্তল দর্পণের ব্যবহার হল-① মোটর সাইকেল, বাস, লরি ইত্যাদি গাড়িতে ভিউফাইন্ডার হিসেবে উত্তল দর্পণ ব্যবহৃত হয়। উত্তল দর্পণ তার সামনে থাকা কোনো বস্তুর সর্বদা খর্বকায় অসদ্বিম্ব গঠন করে। ফলে কোনো গাড়ির চালক তাঁর পিছনে অনেক দূরের কোনো গাড়ি বা বস্তু বা ব্যক্তির খর্বকায় অসদ্বিম্ব উত্তল দর্পণে দেখতে পান এবং দুর্ঘটনা না ঘটিয়ে গাড়ি চালাতে সুবিধা হয়। ② স্ট্রিট ল্যাম্পের প্রতিফলক হিসেবে উত্তল দর্পণ ব্যবহৃত হয়। এই দর্পণ, স্ট্রিট ল্যাম্পের আলোকে অনেকটা এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে দেয়।

8 অবতল দর্পণের ব্যবহার লেখো।

উত্তর অবতল দর্পণের কয়েকটি ব্যবহার হল-① টর্চ, সার্চলাইট বা গাড়ির হেডলাইটে পালিশ করা ধাতব অবতল তল ব্যবহার করা হয় যা অবতল দর্পণ হিসেবে কাজ করে। এইসব লাইটের বাতি দর্পণের ফোকাসে রাখা হয় ফলে বাতি থেকে নির্গত আলোকরশ্মি অবতল প্রতিফলকে প্রতিফলিত হয়ে সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছে পরিণত হয়। এইজন্য অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যায় এবং গাড়ির চালকের খুব সুবিধা হয়। ② দন্ত চিকিৎসকেরা (dentists) দাঁত পরীক্ষার সময় অবতল দর্পণ ব্যবহার করেন। এই দর্পণ দাঁতের বড়ো এবং সোজা প্রতিবিম্ব গঠন করে, ফলে দাঁতে কোনো গর্ত বা ফাটল থাকলে তা স্পষ্টভাবে দেখা যায়। ও অবতল দর্পণের ফোকাসের মধ্যে কোনো বস্তু থাকলে তার বিবর্ধিত অসদ্বিম্ব গঠিত হয়, এই ধর্মকে কাজে লাগিয়ে দাড়ি কামানোর কাজে বা বিউটি পার্লারে অবতল দর্পণ ব্যবহৃত হয় জেনে রাখো বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মোটরগাড়ির হেডলাইট এবং সার্চলাইটে অবতল দর্পণ ব্যবহার না করে অধিবৃত্তাকার দর্পণ ব্যবহার করা হয়।

9. প্রতিফলক টেলিস্কোপে অবতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়।

উত্তরঃ  কোনো গোলীয় দর্পণের ফোকাস দূরত্ব = f ও বক্রতা ব্যাসার্ধ = r হলে f = r/2 * 1

• গোলীয় দর্পণে বা সমতল দর্পণে আলোর প্রতিফলনে আপতন কোণ = i ও প্রতিফলন কোণ = r হলে

i = r • অবতল দর্পণের সামনে কোনো বস্তু থাকলে যদি বস্তু দূরত্ব = u , ফোকাস দৈর্ঘ্য = f, বিবর্ধন = m হয় তাহলে-

① f < u < 2f হলে প্রতিবিম্ব সৎ এবং m > 1 হবে।

② u = 2f হলে প্রতিবিম্ব সৎ এবং m = 1 হবে।

③ u > 2f হলে প্রতিবিম্ব সৎ এবং m < 1 হবে।

④ u < f হলে প্রতিবিম্ব অসৎ এবং m > 1 হবে।

10 আলোর প্রতিসরণ সংক্রান্ত সূত্র দুটি বিবৃত করো। অনুরূপ প্রশ্ন: আলোর প্রতিসরণের স্নেলের সূত্রটি লেখো। দ্বিতীয় সূত্রের গাণিতিক রূপটিও লেখো। 2+1

উত্তর আলোর প্রতিসরণের সূত্র দুটি হল① আপতিত রশ্মি, প্রতিসূত রশ্মি ও আপতন বিন্দুতে দুই মাধ্যমের বিভেদতলের ওপর অঙ্কিত অভিলম্ব একই সমতলে থাকে। ② দুটি নির্দিষ্ট মাধ্যম ও নির্দিষ্ট বর্ণের আলোকরশ্মির প্রতিসরণের ক্ষেত্রে আপতন কোণের sine ও প্রতিসরণ কোণের sine-এর অনুপাত ধ্রুবক হয়। এটি স্নেলের সূত্র নামে পরিচিত।

[ মনে করি, 1 নং মাধ্যম থেকে কোনো নির্দিষ্ট বর্ণের আলোকরশ্মির 2 নং মাধ্যমে প্রতিসরণের ক্ষেত্রে আপতন কোণ। ও প্রতিসরণ কোণ হলে,

sin i

=

142

Sir

যেখানে 1 ^ mu_{2} হল একটি ধ্রুবক যাকে 1 নং মাধ্যম সাপেক্ষে ২ নং মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক বলা হয়।

11 কোনো মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক কাকে বলে?

উত্তর প্রতিসরণের সময় তির্যক আপতনের ক্ষেত্রে আপতন কোণের (1- এর) sine ও প্রতিসরণ কোণের (৮-এর) sine-এর অনুপাতকে প্রথম মাধ্যম সাপেক্ষে দ্বিতীয় মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক বলা হয়।

অর্থাৎ, (sin l)/(sin r) =1^ mu 2 যেখানে 1 ^ mu_{2} হল 1 নং মাধ্যম সাপেক্ষে ২নং মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক।

জেনে রাখো

৫ ও ৮ মাধ্যম দুটিতে আলোর বেগ যথাক্রমে va ও vbl a মাধ্যমের সাপেক্ষে ৮ মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্কের সঙ্গে এই বেগের সম্পর্ক নিম্নরূপ:

a^ mu b = nu_{a}/nu_{b} a^ mu b = (sin i)/(sin r) আবার, …(2) লম্ব আপতনের i = r = 0 হওয়ায় (2) নং সমীকরণ অনুযায়ী a^ mu b = (sin 0)/(sin 0) = 0 0 – অর্থহীন। কিন্তু সমীকরণটি যে-কোনোরকম আপতনের জন্যই প্রযোজ্য। এইজন্য লম্ব আপতনের ক্ষেত্রে রশ্মির চ্যুতি না হলেও আলোর বেগের পরিবর্তন হয়।

12 কোনো আলোকরশ্মি mu_{1} প্রতিসরাঙ্কের কোনো মাধ্যম থেকে mu_{2} প্রতিসরাঙ্কের কোনো মাধ্যমে প্রবেশ করল। এই দুই মাধ্যমে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যথাক্রমে এ₁ ও এ₂ হলে দেখাও, mu_{1}*lambda_{1} = mu_{2}*lambda_{2} দ্বিতীয় মাধ্যমে আলোর বেগ = V_{2} হলে,

উত্তর শূন্যস্থানে আলোর 64 ^ 5 * 1 = c প্রথম মাধ্যমে আলোর বেগ = V_{1} ও

mu_{1} = c/V_{1}

বা, mu_{1}*V_{1} = c

…(1)

এবং #2 = V2 বা, 42V2 = C …(2)

(1) নং ও (2) নং তুলনা করে পাই,

(3)

M1V1 = 42V2 আলোর কম্পাঙ্ক = ৮ হলে V₁ = v₁ ও V₂ = υλ₂ সুতরাং, (3) নং সমীকরণ থেকে পাই, μινλι = με υλ₂ বা, ₁₁ = 1422 (প্রমাণিত)

13 নক্ষত্রগুলো আকাশে মিটমিট করে কেন?

উত্তর [ নক্ষত্রগুলো পৃথিবী থেকে অনেক দূরে আছে। তাই নক্ষত্র থেকে আসা আলোর পরিমাণ খুব কম হয়। এই আলোকরশ্মি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে এসে আমাদের চোখে পৌঁছোয়। বায়ুমন্ডলের বিভিন্ন স্তরের উন্নতা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন হওয়ার জন্য প্রতিসরাঙ্কও আলাদা হয়। এই কারণে নক্ষত্র থেকে আসা আলোকরশ্মির গতিপথ অনবরত বদলাতে থাকে এবং আমাদের চোখে আসা নক্ষত্রের আলোর তীব্রতাও পরিবর্তিত হয়, কখনও বেশি কখনও কম হয়। তাই নক্ষত্রগুলো আকাশে মিটমিট করছে বলে মনে হয়।

14 সমান্তরাল কাচফলকের মধ্য দিয়ে আলোকরশ্মির প্রতিসরণ চিত্র অঙ্কন করো। দেখাও আপতিত রশ্মি ও নির্গম রশ্মি পরস্পরের সমান্তরাল।

উত্তর চিত্রে PQRS একটি আয়তাকার কাচের ফলক। এই ফলকের PQ || SR এবং PS || QR। এই আয়তাকার ফলকের PQ পার্শ্বের ওপর একটি আলোকরশ্মি AB

তির্যকভাবে আপতিত হল। N_{1}*N_{2} হল B বিন্দুতে দুই বিভেদতলের

ওপর অঙ্কিত অভিলম্ব। কাচ বায়ু সাপেক্ষে ঘনতর মাধ্যম। তাই কাচ মাধ্যমে প্রতিসৃত

রশ্মি BC, অভিলম্বের দিকে বেঁকে

যায়। B বিন্দুতে আলোর প্রতিসরণে আপতন কোণ

angle AB*N_{1} = i_{1} ও প্রতিসরণ কোণ angle N_{2}*BC = r_{1}

BC রশ্মি কাচের মধ্য দিয়ে গিয়ে C

বিন্দুতে আপতিত হয়ে CD পথে বায়ুতে নির্গত হয় এবং অভিলম্ব (N_{3}*N_{4}) থেকে দূরের দিকে সরে যায়। C বিন্দুতে আলোর প্রতিসরণে

15 লেন্স দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্বের রৈখিক বিবর্ধন কাকে বলে কীরূপে প্রতিবিম্ব দূরত্ব ও বস্তু দূরত্বের সাহায্যে রৈখিক বিবর্ধন পরিমাপ করা যায়? 1+2

উত্তর [ লেন্সের প্রধান অক্ষের ওপর লম্বভাবে অবস্থিত কোনো বস্তুর প্রতিবিম্বের উচ্চতা ও বস্তুর উচ্চতার অনুপাতকে রৈখিক বিবর্ধন বলা হয়। [* রৈখিক বিবর্ধনকে m দ্বারা প্রকাশ করা হয়। বস্তু ও প্রতিবিম্বের উচ্চতা যথাক্রমে hi ও h₂ হলে রৈখিক বিবর্ধন, m = h2 190 ও 85 নং চিত্রে 190 যথাক্রমে একটি অবতল লেন্স ও উত্তল লেন্সের প্রধান অক্ষের ওপর লম্বভাবে অবস্থিত ০,০₂ বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠন দেখানো হয়েছে। এখানে 1112 হল প্রতিবিম্ব।

ধরা যাক, আলোককেন্দ্র ০ থেকে বস্তু দূরত্ব ০০₁ = u ও প্রতিবিম্ব দূরত্ব, 01₁ = v চিত্র থেকে পাই, ∆ΟΙ₁₂ ও ১০০,০₂ সদৃশ। সুতরাং 112 = 011 0102 001

এখানে বস্তুর উচ্চতা, 0102 = h₁ ও প্রতিবিম্বের উচ্চতা, 1112 = h₂

(1) নং সমীকরণ থেকে পাই, h h₁ = 1 u

υ m =

16 ক্যামেরায় ফোকাস করা (focusing) বলতে কী বোঝ? ক্যামেরার লেন্সটির অবস্থান নির্দিষ্ট থাকলে যে-কোনো দূরত্বের বস্তুর স্পষ্ট ছবি তোলা সম্ভব হত কি না তা বুঝিয়ে লেখো। 1+2

উত্তর [ ক্যামেরার লেন্সের সাহায্যে এর ফিল্মের ওপর প্রতিবিম্ব গঠন হল ক্যামেরার ফোকাসিং।

[ সঠিক ফোকাসিং হলে গঠিত প্রতিবিম্বটি সর্বাপেক্ষা সুস্পষ্ট হয়। লেন্স থেকে বিভিন্ন দূরত্বে অবস্থিত বস্তুর সুস্পষ্ট প্রতিবিম্ব গঠন করার জন্য পৃথকভাবে বস্তুগুলিকে ফোকাসিং করাটা অবশ্যই প্রয়োজনীয়। ফোকাসিং করার জন্য ক্যামেরার লেন্সটিকে সামনে-পিছনে সরানোর ব্যবস্থা থাকে। লেন্সটিকে এইভাবে সরানোর ব্যবস্থা না থাকলে শুধু একটি নির্দিষ্ট দূরত্বের

বস্তুরই স্পষ্ট ছবি উঠত।

40 চোখের অভিযোজন কাকে বলে?

চোখের মণি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছোটো বা বড়ো হয়ে চোখে প্রবিষ্ট

আলোর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। চোখের এই ক্ষমতাকে অভিযোজন বলে।

17 মানুষের চোখের বিভিন্ন অংশের গঠন ও কাজ সংক্ষেপে বর্ণনা করো।

উত্তর মানুষের চোখের বিভিন্ন অংশগুলি হল-

অক্ষিগোলক: মানুষের চোখ প্রায় গোলকাকার, একে অক্ষিগোলক বলা হয়। এটি মাথার খুলির শক্ত চক্ষুকোটরের (eye socket) মধ্যে ছয়টি পেশির দ্বারা এমনভাবে আটকানো থাকে যাতে স্বাধীনভাবে অক্ষিগোলককে

ঘোরানো যায়। শ্বেতমণ্ডল: অক্ষিগোলককে ঘিরে একটি সাদা, অস্বচ্ছ তকুময় কলার আবরণ থাকে, একে শ্বেতমণ্ডল বলা হয়।

কর্নিয়া: শ্বেতমণ্ডলের সামনে, মোটামুটি চোখের মাঝের স্বচ্ছ অংশ এবং

এর বক্রতা বাকি অংশের তুলনায় বেশি। এই অংশের প্রতিসরাঙ্ক প্রায়

1.33, একে কর্নিয়া বলা হয়। কর্নিয়ার মধ্য দিয়ে চোখে আলো প্রবেশ করে। অ্যাকোয়াস হিউমার: কর্নিয়ার পিছনে একটি প্রকোষ্ঠ আছে যা 1.33 প্রতিসরাঙ্কের একটি স্বচ্ছ, নোনতা জলীয় পদার্থ দ্বারা পূর্ণ, এই জলীয় পদার্থকে অ্যাকোয়াস হিউমার বলে। এটি চোখকে ফুলিয়ে রাখে।

আইরিস: এটি একটি গোলাকার রঙিন ঝিল্লির পর্দা যার কেন্দ্রে একটি গোলাকার ছিদ্র বা তারারন্ধ্র থাকে। চোখে কতটা আলো প্রবেশ করবে তা

আইরিস নিয়ন্ত্রণ করে।

চোখের লেন্স: আইরিসের ঠিক পিছনে থাকে চোখের লেন্স যা স্বচ্ছ ও

নমনীয় পদার্থ দিয়ে গঠিত। এটি একটি উভোত্তল লেন্স যার গড় প্রতিসরাঙ্ক

1.45। এই লেন্সের সামনের তলের বক্রতা ব্যাসার্ধ পিছনের তলের তুলনায় বেশি। এই লেন্সকে সঠিক অবস্থানে আটকে রাখে সাসপেন্সরি লিগামেন্ট। সিলিয়ারি পেশি, সাসপেন্সরি লিগামেন্টের সাহায্যে চোখের লেন্সের বক্রতা পরিবর্তন করে ফোকাস দৈর্ঘ্যের পরিবর্তন ঘটায়।

রেটিনা: অক্ষিগোলকের ভিতরের স্তর যা আলোকসংবেদী কোশ, তন্ত্র ইত্যাদি দ্বারা গঠিত তাকে রেটিনা বলা হয়। চোখের লেন্স ও রেটিনার মধ্যবর্তী প্রকোষ্ঠ স্বচ্ছ, জেলির মতো পদার্থ বা ভিট্রিয়াস হিউমার দ্বারা পূর্ণ। রেটিনা চক্ষু নার্ভের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। রেটিনায় কোনো বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হলে সেই অনুভূতি চক্ষু নার্ভের মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছোয় এবং দেখার অনুভূতি জাগায়।

46 দীর্ঘ দৃষ্টি কী? চিত্রসহ ব্যাখ্যা করো।

উত্তর যদি চোখ দূরের জিনিস দেখতে পেলেও কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখতে না পায় তাহলে চোখের ত্রুটিকে দীর্ঘ দৃষ্টি (long sightedness) বা হাইপারমেট্রোপিয়া (hypermetropia) বলা হয়।

[* কোনো ব্যক্তির চোখের নিকট বিন্দু দূরে সরে গেলে এই ত্রুটি দেখা যায়। মনে করি, N হল স্বাভাবিক চোখের নিকট বিন্দু। এখানে N বিন্দুর প্রতিবিম্ব রেটিনায় গঠিত না হয়ে রেটিনার পিছনে গঠিত হয় [চিত্র 100] এবং চোখ সর্বোচ্চ উপযোজন প্রয়োগ করে সর্বাপেক্ষা নিকটতম N’ বিন্দুর প্রতিবিম্ব রেটিনায় করে। N’ হল দীর্ঘ দৃষ্টি ত্রুটিসম্পন্ন চোখের নিকট বিন্দু।

4. Ture And False

1. প্রধান অক্ষের সঙ্গে উপাক্ষীয় রশ্মির নতি বেশি হয়।

উত্তর মিথ্যা

2. মুখ্য ফোকাস স্থির বিন্দু হলেও গৌণ ফোকাস স্থির বিন্দু নয়।

উত্তর সত্য

3. উত্তল দর্পণ দ্বারা সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছ প্রতিফলিত হয়ে অভিসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত হয়।

উত্তর মিথ্যা

4.অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্রগামী রশ্মি সর্বদা লম্বভাবে দর্পণের ওপর আপতিত হয়।

উত্তর সত্য

5.গোলীয় দর্পণের পরিসীমা বর্গাকার হয়।

উত্তর মিথ্যা

6.অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্রে রাখা বস্তুর প্রতিবিম্ব বক্রতা কেন্দ্রেই গঠিত হয়।

উত্তর সত্য

7. অবতল দর্পণে গঠিত প্রতিবিম্বের সাইজ সর্বদাই বস্তু অপেক্ষা বড়ো হয়।

উত্তর মিথ্যা

৪. উত্তল দর্পণে গঠিত প্রতিবিম্বের সাইজ সর্বদাই বস্তু অপেক্ষা ছোটো হয়।

উত্তর সত্য

9. উত্তল দর্পণ অসৎ বস্তুর ক্ষেত্রে সদ্বিম্ব গঠন করে যখন অসৎ বস্তুর দূরত্ব ফোকাস দৈর্ঘ্য অপেক্ষা বেশি হয়।

উত্তর মিথ্যা

10. অবতল দর্পণ সামনে থাকা কোনো বস্তুর সদ্বিম্ব ও অসদ্বিম্ব দু-ধরনের প্রতিবিম্ব গঠন করতে পারে।

উত্তর সত্য

11. অবতল দর্পণের মেরু ও ফোকাসের মাঝে থাকা বস্তুর প্রতিবিম্ব অবশীর্ষ হয়।

উত্তর মিথ্যা

12. অবতল দর্পণ যখন কোনো বস্তুর অসদ্বিম্ব গঠন করে তখন বস্তু ও প্রতিবিম্ব মুখ্য ফোকাসের একইদিকে থাকে।

উত্তর সত্য

13. প্রতিফলক টেলিস্কোপে উত্তল দর্পণ ব্যবহার করা হয়।

উত্তর মিথ্যা