WBBSE Class 10 History Chapter 4 সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ Solution | Bengali Medium

Class 10 Chapter 4 Solution

সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

1. MCQs Question Answer

1. ‘বেঙ্গল আর্মি’র সদস্য ছিলেন-

(a) তাঁতিয়া টোপি

(b) মঙ্গল পান্ডে

(c ) নানা সাহেব

(d) মৌলবি আহমদউল্লা

উত্তরঃ (b) মঙ্গল পান্ডে

2. সিপাহি বিদ্রোহের প্রথম সূচনা হয়েছিল-

(a) ব্যারাকপুরে

(b) মিরাটে

(c ) দিল্লিতে

(d) লখনউতে

উত্তরঃ (a) ব্যারাকপুরে

3. সিপাহি বিদ্রোহের প্রথম শহিদ ছিলেন-

(a) নানাসাহেব

(b) তাঁতিয়া টোপি

(c ) রানি লক্ষ্মীবাই

(d) মঙ্গল পান্ডে

উত্তরঃ(d) মঙ্গল পান্ডে

4. ভারতে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় স্তরে প্রথম বিদ্রোহ হল-

(a) সিপাহি বিদ্রোহ

(b) নীল বিদ্রোহ

(c ) ইলবার্ট বিল-বিরোধী আন্দোলন

(d) স্বদেশি আন্দোলন

উত্তরঃ(a) সিপাহি বিদ্রোহ

5. লক্ষ্মীবাই সিপাহি বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন-

(a) বাংলায়

(b) কানপুরে

(c ) ঝাঁসিতে

(d) বিহারে

উত্তরঃ (c ) ঝাঁসিতে

6. সিপাহি বিদ্রোহে নানা সাহেব ও তাঁতিয়া টোপি কোথাকার নেতা ছিলেন?

(a) বিহারের

(b) কানপুরের

(c )মিরাটের

(d) ফৈজাবাদের

উত্তরঃ(b) কানপুরের

7. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মহাবিদ্রোহের সময় মোঘল সম্রাট ছিলেন-

(a) বাবর

(b) আকবর

(c ) শাহজাহান

(d) দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ

উত্তরঃ (d) দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ

৪. বিহারে সিপাহি বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন-

(a) কুনওয়ার সিং

(b) নানা সাহেব

(c ) তাঁতিয়া টোপি

(d) মঙ্গল পান্ডে

উত্তরঃ(a) কুনওয়ার সিং

9. অযোধ্যায় সিপাহি বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন-

(a) নানা সাহেব

(b) হজরত মহল

(c ) কুনওয়ার সিং

(d) বাবা রামচন্দ্র

উত্তরঃ(b) হজরত মহল

10. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহকে প্রথম সিপাহি বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন-

(a) লর্ড ক্যানিং

(b) আর্ল স্ট্যানলি

(c ) মহারানি ভিক্টোরিয়া

(d) ডিসরেলি

উত্তরঃ(b) আর্ল স্ট্যানলি

11. ভারতের মধ্যে মহাবিদ্রোহে যোগ দেয়নি-

(a) বিহার

(b) উত্তরপ্রদেশ

(c ) মধ্যপ্রদেশ

(d) পাঞ্জাব

উত্তরঃ (d) পাঞ্জাব

12. এদের মধ্যে কে মহাবিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলেননি?

(a) ডিসরেলি

(b) রবার্টসন

(c ) কার্ল মার্কস

(d) সাভারকর

উত্তরঃ(a) ডিসরেলি

13. ইংল্যান্ডের টোরি দলের নেতা ডিসরেলি ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহদে উল্লেখ করেছেন-

(a) সিপাহি বিদ্রোহরূপে

(b) জাতীয় বিদ্রোহরূপে

(c ) প্রথম স্বাধীনতার যুদ্ধরূপে

(d) সামন্তশ্রেণির ক্ষমতা দখলের প্রয়াসরূপে

উত্তরঃ(a) সিপাহি বিদ্রোহরূপে

14 . মহাবিদ্রোহকে (১৮৫৭) যে ব্রিটিশ লেখক ‘সিপাহি বিদ্রোহ’ আখ্য দিয়েছেন-

(a) চার্লস রেইকস্

(b) নর্টন

(c ) ম্যালেসন

(d) ডিজরেলি                    

উত্তরঃ(a) চার্লস রেইকস্

15. সমাজতন্ত্রবিদ কার্ল মার্কস ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে বলেছেন-

(a) সিপাহি বিদ্রোহ

(b) সামন্ড বিদ্রোহ

(c ) ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ

(d) জাতীয় বিদ্রোহ

উত্তরঃ(d) জাতীয় বিদ্রোহ

16. মহাবিদ্রোহকে সামন্ত বিদ্রোহ বলেছেন-

(a) বিপান চন্দ্র

(b) ইরফান হাবিব

(c ) রোমিলা থাপার

(d) রজনীপাম দত্ত

উত্তরঃ(d) রজনীপাম দত্ত

17. মহাবিদ্রোহকে (১৮৫৭) ‘কৃষক বিদ্রোহ’ আখ্যা দিয়েছেন-

(a) সুরেন্দ্রনাথ সেন

(b) রমেশচন্দ্র মজুমদার

(c ) শশীভূষণ চৌধুরি

(d) বিনায়ক দামোদর সাভারকর         

উত্তরঃ(c ) শশীভূষণ চৌধুরি

18. ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতার যুদ বলেছিলেন-

(a) সুভাষচন্দ্র বসু

(b)জওহরলাল নেহরু

(c ) ভি ডি সাভারকর

(d) রাসবিহারী বসু         

উত্তরঃ(c ) ভি ডি সাভারকর

19. “১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের তথাকথিত প্রথম জাতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম-প্রথম নয়, জাতীয় নয় এবং স্বাধীনতা সংগ্রামও নয়।”- এটি কার উক্তি?

(a) ড. রমেশচন্দ্র মজুমদারের

(b) ড. সুরেন্দ্রনাথ সেনের

(c ) সুশোভন সরকারের

(d) হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের

উত্তরঃ(a) ড. রমেশচন্দ্র মজুমদারের

20. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহকে ‘মুসলমানদের ষড়যন্ত্র’ বলেছেন- 

(a) নর্টন

(b) ডিজরেলি 

(c ) আউট্রাম 

(d) নিকলসন

উত্তরঃ(c ) আউট্রাম 

21. “১৮৫৭-এর বিদ্রোহ ছিল অভিজাততন্ত্র ও সামন্ততন্ত্রের মৃত্যুকালীন আর্তনাদ”-এ কথা কে বলেছেন?

(a) ড. সুরেন্দ্রনাথ সেন

(b) সুশোভন সরকার

(c ) ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার

(d) সুমিত সরকার

উত্তরঃ(c ) ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার

22. “The Sepoy Mutiny and the Revolt of 1857′ গ্রন্থটির লেখক হলেন-

(a) ড. সুরেন্দ্রনাথ সেন

(c ) রজনীপাম দত্ত

(b) ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার

(d) অধ্যাপক রণজিৎ গুহ 

উত্তরঃ(b) ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার

23. ১৮৫৭-এর বিদ্রোহকে ‘নৈরাজ্যবাদী’ বলে অভিহিত করেছেন-

(a) সুরেন্দ্রনাথ সেন

(b) রমেশচন্দ্র মজুমদার

(c ) হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়

(d) রাজনারায়ণ বসু

উত্তরঃ(b) রমেশচন্দ্র মজুমদার

24. ‘Eighteen Fifty Seven’ গ্রন্থের লেখক হলেন-

(a) ভি ডি সাভারকর

(b) রমেশচন্দ্র মজুমদার

(c ) ড. সুরেন্দ্রনাথ সেন

(d) শশীভূষণ চৌধুরী

উত্তরঃ(c )ড. সুরেন্দ্রনাথ সেন

25. মহাবিদ্রোহের পর ভারতের শাসনভার গ্রহণ করেন-

(a) মহারানি ভিক্টোরিয়া

(b) লর্ড ক্যানিং

(c )ভারত সচিব

(d) ভাইসরয়

উত্তরঃ(a) মহারানি ভিক্টোরিয়া

26. মহারানি ভিক্টোরিয়ার ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়-

(a)  কলকাতা থেকে

(b) মুম্বই থেকে

(c ) মাদ্রাজ থেকে

(d) এলাহাবাদ থেকে

উত্তরঃ(d) এলাহাবাদ থেকে

27. মহারানির ঘোষণাপত্রের (১৮৫৮) প্রধান উদ্দেশ্য ছিল-

(a) ভারতবাসীর আনুগত্য অর্জন

(b) ভারতে ব্রিটিশদের একচেটিয়া ব্যাবসার অধিকার লাভ

(c ) ভারতীয় প্রজাদের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার প্রদান

(d) মহাবিদ্রোহে (১৮৫৭) বন্দি ভারতীয়দের মুক্তিদান 

উত্তরঃ(a) ভারতবাসীর আনুগত্য অর্জন

28. কবে ভারতে কোম্পানি শাসনের অবসান ঘটিয়ে মহারানি ভিক্টোরিয়া নিজের হাতে ভারতের শাসনভার গ্রহণ করেন?

(a) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে

(b) ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে

(c ) ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে

(d) ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে

উত্তরঃ(b) ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে

29. মহারানির ঘোষণাপত্র (১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দ) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়-

(a) ১ জানুয়ারি

(b) ২৬ জানুয়ারি

(c ) ২ অক্টোবর

(d) ১ নভেম্বর

উত্তরঃ(d) ১ নভেম্বর

30. মহারানি ভিক্টোরিয়া কর্তৃক ভারতের শাসনভার গ্রহণ করেন-

(a) লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক

(b) লর্ড ডালহৌসি

(c ) লর্ড ক্যানিং

(d) লর্ড কার্জন

উত্তরঃ(c ) লর্ড ক্যানিং

31. “An Act for the Better Government of India” আইন বলে যে পদের সৃষ্টি হয়-

(a) ভারতীয় কাউন্সিল

(b) ভারত সচিব

(c ) গভর্নর-জেনারেল

(d) কোনোটিই নয়

উত্তরঃ(b) ভারত সচিব

32. ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অবসান ঘটে-

(a) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে

(b) ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে

(c ) ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে

(d) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে    [Madhyamik 2018]

উত্তরঃ(b) ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে

33. মহারানির ঘোষণাপত্র (১৮৫৮) অনুযায়ী ভারতের ‘রাজপ্রতিনিধি’ হিসেবে প্রথম নিযুক্ত হন-

(a) লর্ড ডালহৌসি

(b) লর্ড ক্যানিং

(c ) .র্ড বেন্টিঙ্ক

(d) লর্ড মাউন্টব্যাটন

 উত্তরঃ(b) লর্ড ক্যানিং

2. Very Short Question Answer

1. কোন্ সময় ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতে জাতীয় স্তরে আন্দোলন শুরু | হয়?

>> ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতে জাতীয় স্তরে আন্দোলন শুরু হয়।

2. কোন্ সিপাহি প্রথম বিদ্রোহ ঘোষণা করেন?

>> ব্যারাকপুর সেনানিবাসের সিপাহি মঙ্গল পান্ডে প্রথম বিদ্রোহ ঘোষণা (২৯ মার্চ, ১৮৫৭ খ্রি.) করেন।

3. মঙ্গল পান্ডে কবে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন?

>> মঙ্গল পান্ডে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯ মার্চ বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।

4. মিরাটে কবে সিপাহি বিদ্রোহ শুরু হয়?

>> ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ১০মে মিরাটে সিপাহি বিদ্রোহ শুরু হয়।

5. দিল্লিতে কবে সিপাহি বিদ্রোহ শুরু হয়?

» ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ১১ মে দিল্লিতে সিপাহি বিদ্রোহ শুরু হয়।

6. প্রথম কবে সিপাহিরা বিক্ষোভ শুরু করে?

>> প্রথম ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৬ ফেব্রুয়ারি বহরমপুরের সেনা ছাউনির ১৯ নং নেটিভ ইনফ্যান্ট্রির সিপাহিরা বিক্ষোভ শুরু করে।

7. কার আমলে কবে সিপাহি বিদ্রোহ সংঘটিত হয়?

>> বড়োলাট লর্ড ক্যানিং-এর আমলে (১৮৫৬-৬২ খ্রি.) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে সিপাহি বিদ্রোহ সংঘটিত হয়।

8. ভারতের প্রথম ভাইসরয় কে ছিলেন?

>> ভারতের প্রথম ভাইসরয় ছিলেন লর্ড ক্যানিং।

9. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ কী ছিল?

» ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ ছিল ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে এনফিল্ড রাইফেল-এর টোটার প্রচলন।

10. কে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে দেশের জনগণের সমর্থনহীন, সহানুভূতিবিহীন একটি নিছক সামরিক বিদ্রোহ বলে বর্ণনা করেছিলেন?

>> সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে দেশের জনগণের সমর্থনহীন, সহানুভূতিবিহীন একটি নিছক সামরিক বিদ্রোহ বলে বর্ণনা করেছিলেন।

11. কারা মনে করেন যে, ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহে স্থানীয় কৃষকদের প্রতিরোধ, জাতীয় প্রতিরোধ প্রভৃতি বিভিন্ন ধারা-উপধারার সংমিশ্রণ ঘটেছিল?

>> অধ্যাপক এরিখ স্টোক্স, বেইলি প্রমুখ মনে করেন যে, ১৮৫৭-এর বিদ্রোহে স্থানীয় কৃষকদের প্রতিরোধ, জাতীয় প্রতিরোধ প্রভৃতি বিভিন্ন ধারা-উপধারার সংমিশ্রণ ঘটেছিল।

12. ১৮৫৭-এর বিদ্রোহকে সামরিক বিদ্রোহ বলে মনে করেন এমন তিনজন ইংরেজ ঐতিহাসিকের নাম লেখো।

>> ১৮৫৭-এর বিদ্রোহকে সামরিক বিদ্রোহ বলে মনে করেন এমন তিনজন ইংরেজ ঐতিহাসিক হলেন স্যার জন লরেন্স, জন সিলি/চার্লস রেকস প্রমুখ।

13. ১৮৫৭-এর বিদ্রোহকে ‘সিপাহি বিদ্রোহ’ বলে উল্লেখ করেছেন এমন চারজন ভারতীয় মনীষীর নাম লেখো।

>> ১৮৫৭-এর বিদ্রোহকে ‘সিপাহি বিদ্রোহ’ বলে উল্লেখ করেছেন এমন চারজন ভারতীয় মনীষী হলেন অক্ষয়কুমার দত্ত, হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, কিশোরীচাঁদ মিত্র, দাদাভাই নওরোজি প্রমুখ।

14. ১৮৫৭-এর বিদ্রোহকে ‘গণবিদ্রোহ’ বলে মনে করেন এমন তিনজন ঐতিহাসিকের নাম উল্লেখ করো।

>> ইংরেজ ঐতিহাসিক নর্টন, ম্যালেসন, বল, জন কে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে ‘গণবিদ্রোহ’ বলে মনে করেন।

15. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে যাঁরা ‘সামন্তশ্রেণির বিদ্রোহ’ বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন তাঁদের তিনজনের নাম উল্লেখ করো।

>> ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার, ড. সুরেন্দ্রনাথ সেন, রজনীপাম দত্ত প্রমুখ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে সামন্তশ্রেণির বিদ্রোহ বলে প্রমাণ করছে চেষ্টা করেছেন।

16. নানা সাহেবের আসল নাম কী ছিল?

>> নানা সাহেবের আসল নাম গোবিন্দ ধন্দু পন্থ।

17. তাঁতিয়া টোপির আসল নাম কী ছিল?

>> তাঁতিয়া টোপির আসল নাম রামচন্দ্র পান্ডুরঙ্গ টোপি।

18. কোন্ আইনের দ্বারা ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসন ঘটে?

» ‘ভারত শাসন আইন’ (১৮৫৮ খ্রি.)-এর দ্বারা ভারতে ইস্ট ইন্ডিয় কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে।

19. ১৮৫৭-এর বিদ্রোহ কোন্ কোন্ অঞ্চলে বিস্তারলাভ করেছিল?

» ১৮৫৭-এর বিদ্রোহ দিল্লি, অযোধ্যা, লখনউ, কানপুর, বেরিলী ঝাঁসি, বিহার প্রভৃতি অঞ্চলে বিস্তার লাভ করে।

20. মহারানি ভিক্টোরিয়া কোন্ আইনের দ্বারা ভারতের শাসনভার নিজ হাতে গ্রহণ করেন?

>> মহারানি ভিক্টোরিয়া ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে ‘ভারত শাসন আইন’ দ্বারা ভারতের শাসনভার নিজ হাতে গ্রহণ করেন।

21. কে নানা সাহেব, আজিমউল্লার মতো বিদ্রোহী নেতাদের ‘অন্যায়কারী দানব’ বলে অভিহিত করেছেন?

>> রাজনারায়ণ বসু নানা সাহেব, আজিমউল্লার মতো বিদ্রোহী নেতাদের ‘অন্যায়কারী দানব’ বলে অভিহিত করেছেন।

22. ১৮৫৭-এর বিদ্রোহে ব্রিটিশদের সহায়তা করেছিল এমন কয়েকটি ভারতীয় সম্প্রদায়ের নাম লেখো।

>> ১৮৫৭-এর বিদ্রোহে ব্রিটিশদের সহায়তা করেছিল এমন কয়েকটি ভারতীয় সম্প্রদায় ছিল মুসলিম, শিখ, গোরখা, রাজপুত, মারাঠা প্রভৃতি।

ঠিক বা ভুল নি

3. Short Question Answer

1.উনিশ শতকে ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের ভারতবাসীর ক্ষোভের কারণ কী ছিল?

উত্তরঃ উনিশ শতকে ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের ভারতবাসীর ক্ষোভের প্রধান কারণগুলি ছিল-[1] ভারতীয়দের ওপর তীব্র অর্থনৈতিক শোষণ, [2] কৃষকদের চরম দুর্দশা, [3] ভারতের শিল্প-বাণিজ্য ধ্বংস, [4] শ্বেতাঙ্গদের দ্বারা ভারতীয় সমাজ-সভ্যতা ও ধর্মকে ঘৃণা করা প্রভৃতি।

2. ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর লোকেরা কেন এনফিল্ড রাইফেল-এর টোটা ব্যবহার করতে অস্বীকার করে?

উত্তরঃ ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে গুজব ছড়ায় যে, এনফিল্ড রাইফেল-এর টোটার খোলসটি গোরু ও শূকরের চর্বি দিয়ে তৈরি। ফলে হিন্দু ও মুসলিম সিপাহিরা ধর্মচ্যুত হওয়ার ভয়ে এই টোটা ব্যবহারে অসম্মত হয়।

3.মঙ্গল পান্ডে কে ছিলেন? 

উত্তরঃ মঙ্গল পান্ডে ছিলেন ব্যারাকপুর সেনানিবাসের ৩৪ নং নেটিভ ইনফ্যান্ট্রির একজন সিপাহি। তিনি ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯ মার্চ বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এর ফলে সরকার মঙ্গল পান্ডেকে গ্রেপ্তার করে। বিচারে তাঁর ফাঁসি হয়।

4.১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে কারা, কেন ‘সামন্ততন্ত্র-বিরোধ কৃষক অভ্যুত্থান’ বলে অভিহিত করেছেন?

উত্তরঃ সুপ্রকাশ রায়, প্রমোদ সেনগুপ্ত প্রমুখ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহবে ‘সামন্ততন্ত্র-বিরোধী কৃষক অভ্যুত্থান’ বলে অভিহিত করেছেন। ১৮৫৭- বিদ্রোহে সারা দেশে কৃষকদের ব্যাপক অংশগ্রহণ লক্ষ করে তাঁরা এরূণ মন্তব্য করেছেন।

5. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের ফলাফল বা গুরুত্বগুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের প্রধান ফলাফল বা গুরুত্বগুলি ছিল- [1] বিদ্রোহের পর ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ‘ভারত শাসন আইন’ (১৮৫৮ খ্রি.) পাস করে। [2] ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটেস [3] মহারানি ভিক্টোরিয়া নিজের হাতে ভারতের শাসনভার তুলে নেন।

6. কীভাবে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের অবসান ঘটে?

উত্তরঃ ব্রিটিশ সরকার তীব্র দমননীতির মাধ্যমে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়। [1] বহু বিদ্রোহী নেতাকে হত্যা করা হয়। [2] ব্রিটিশবাহিনী ২২ সেপ্টেম্বর (১৮৫৭ খ্রি.) দিল্লি দখল করে। [3] বাহাদুর শাহকে বন্দি করে রেঙ্গুনে নির্বাসন দেওয়া হয়। এরূপ তীব্র দমননীতির ফলে ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি বিদ্রোহ থেমে যায়।

7. মহারানির ঘোষণাপত্র কী?

উত্তরঃ ইংল্যান্ডের মহারানি ভিক্টোরিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারতের শাসনভার নিজের হাতে তুলে নেন। তিনি ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১ নভেম্বর এক ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে ভারতীয় শাসনব্যবস্থায় নতুন নীতি ও আদর্শের কথা প্রকাশ করেন। এটি ‘মহারানির ঘোষণাপত্র’ নামে পরিচিত।

8. .মহারানি ভিক্টোরিয়া কর্তৃক নিজ হাতে ভারতের শাসনভার গ্রহণ সম্পর্কে কী জান?

উত্তরঃ ‘ভারত শাসন আইন’ (১৮৫৮ খ্রি.)-এর দ্বারা-[1] মহারানি ভিক্টোরিয়া নিজের হাতে ভারতের শাসনভার তুলে নেন। [2] রানির প্রতিনিধি হিসেবে গভর্নর-জেনারেল ভারতের শাসন পরিচালনার দায়িত্ব পান। [3] গভর্নর-জেনারেলের উপাধি হয় ভাইসরয়। [4] ভারতের প্রথম ভাইসরয় নিযুক্ত হন লর্ড ক্যানিং।

9.কে ভাইসরয় উপাধি লাভ করেন?

উত্তরঃ ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে মহারানি ভিক্টোরিয়া নিজের হাতে ভারতের শাসনভার গ্রহণ করেন। রানির প্রতিনিধি হিসেবে গভর্নর-জেনারেল ভারতের শাসন পরিচালনার দায়িত্ব পান। তাঁর উপাধি হয় ভাইসরয়।

10. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মহারানির ঘোষণাপত্রে দেশীয় রাজাদের প্রতি কী কী ঘোষণা করা হয়েছিল? 

উত্তরঃ মহারানির ঘোষণাপত্রে দেশীয় রাজাদের বলা হয় যে- [1] স্বত্ববিলোপ নীতি বাতিল করা হবে। [2] দেশীয় রাজাদের দত্তক গ্রহণের অধিকার দেওয়া হবে। [3] ব্রিটিশরা ভারতে আর সাম্রাজ্য বিস্তার করবে না। [4] দেশীয় রাজ্যগুলির সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি ও সন্ধিগুলি সরকার মেনে চলবে।

 11. মহারানির ঘোষণাপত্র’-এর (১৮৫৮) মূল উদ্দেশ্য কী ছিল? [Madhyamik 2018] 

অথবা, মহারানির ঘোষণাপত্রের (১৮৫৮) প্রকৃত উদ্দেশ্য কী ছিল? [Madhyamik 2023]

উত্তরঃ ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ‘মহারানির ঘোষণাপত্র’-এর মূল উদ্দেশ্য ছিল কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটানো এবং ভারতীয়দের নিজ শাসনাধীনে এনে তাদের বিভিন্ন সুযোগসুবিধা দান। তবে এই সবই ছিল রাজনৈতিক চমক মাত্র। এর ফলে ভারতীয়রা প্রকৃতভাবে লাভবান হয়নি।

4. Long Question Answer

1. ১৮৫৭-এর মহাবিদ্রোহের রাজনৈতিক কারণগুলি কী ছিল?

উত্তরঃ ১৮৫৭-এর মহাবিদ্রোহের রাজনৈতিক কারণ-

ভূমিকা: ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের রাজনৈতিক কারণগুলি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যেমন-

[1] স্বত্ববিলোপ নীতি: লর্ড ডালহৌসি তাঁর স্বত্ববিলোপ নীতির দ্বারা একে একে ঝাঁসি, সাতারা, নাগপুর, সম্বলপুর-সহ বিভিন্ন দেশীয় রাজ্য দখল করেন। ফলে ওইসব রাজ্যের শাসকরা ব্রিটিশদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।

[2] রাজপ্রাসাদ লুন্ঠন: ব্রিটিশরা কুশাসনের অজুহাতে অযোধ্যা ও নাগপুরের রাজপ্রাসাদ লুণ্ঠন করে। এর ফলে এসব রাজ্যের শাসকরা ক্ষুদ্ধ হয়।

 [3] ব্রিটিশ রাজকর্মচারীদের অত্যাচার: উচ্চপদস্থ ব্রিটিশ রাজকর্মচারীরা তাদের অধস্তন ভারতীয় কর্মচারীদের ঘৃণা ও অবজ্ঞা করত। ভারতীয় কর্মচারীরা কারণে-অকারণে ব্রিটিশ কর্মচারীদের কাছে হেনস্থার শিকার হত। অত্যাচারিত এই ভারতীয়দের মনে এভাবে ক্ষোভ বাড়তে থাকে।

[4] ব্রিটিশ-আশ্রিত রাজ্যে ক্ষোভ: ব্রিটিশ সরকার ত্রিবাঙ্কুর-সহ ব্রিটিশ আশ্রিত কয়েকটি রাজ্যের সেনাদের ভাতা কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। ফলে তারা ব্রিটিশদের ওপর ক্ষুদ্ধ হয়।

উপসংহার: এতে সন্দেহ নেই যে, ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল রাজনৈতিক। রাজনৈতিক অধিকারচ্যুত বিভিন্ন ভারতীয় শাসক ও তাঁদের অধীনস্থ জনগণের ক্ষোভ এই বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়।

2. ১৮৫৭-এর মহাবিদ্রোহের অর্থনৈতিক কারণগুলি কী ছিল?

উত্তরঃ ১৮৫৭-এর মহাবিদ্রোহের অর্থনৈতিক কারণ- 

ভূমিকা: ড. এ আর দেশাই বলেছেন যে, “১৮৫৭-র বিদ্রোহ ছিল ব্রিটিশ শাসনে নির্যাতিত বিভিন্ন শ্রেণির অসন্তোষের ফল।” এই বিদ্রোহের প্রধান অর্থনৈতিক কারণগুলি ছিল নিম্নরূপ-

[1] অর্থ-সম্পদ লুন্ঠন: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের অর্থ ও সম্পদ একনাগাড়ে লুণ্ঠন করলে দেশীয় রাজ্যগুলির রাজকোশ শূন্য হয়ে পড়ে। দেশের আর্থিক দুর্দশা ক্রমাগত বাড়তে থাকে।

[2] অবশিল্পায়ন: ব্রিটিশ কোম্পানির শোষণমূলক শিল্প ও বাণিজ্যনীতির ফলে ভারতে অবশিল্পায়ন ঘটে। ব্রিটিশ শিল্পজাত পণ্য বিনাশুল্কে ভারতে ঢুকলে দেশীয় বণিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

[3] বেকারত্ব বৃদ্ধি: ভারতের বস্ত্রশিল্প-সহ বিভিন্ন কুটিরশিল্প ধ্বংস হলে এসব শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক ও কারিগরদের একটি বড়ো অংশ কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়ে। আবার ব্রিটিশদের একচেটিয়া বাণিজ্যের ফলে দেশীয় ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট ক্ষতির শিকার হয়।

[4] রাজস্ব বৃদ্ধি: ব্রিটিশরা ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে সেখানকার প্রজাদের ওপর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব চাপিয়ে দেয়।

[5] ব্রিটিশ সহযোগীদের শোষণ: ব্রিটিশ কোম্পানির সহযোগী দেশীয় জমিদার, মহাজন প্রমুখও প্রজাদের ওপর নানাভাবে শোষণ চালায়। ফলে প্রজাদের ক্ষোভ ক্রমাগত বাড়তে থাকে।

উপসংহার: ব্রিটিশের অর্থনৈতিক শোষণ সাধারণ ভারতবাসীকে দুর্দশাগ্রস্ত করে তুলেছিল। অধ্যাপক শশীভূষণ চৌধুরীর মতে, অর্থনৈতিক ক্ষোভের প্রকোপই সাধারণ মানুষকে সংগ্রামমুখী করেছিল।

3. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের সামাজিক কারণগুলি কী ছিল?

উত্তরঃ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের সামাজিক কারণ-

ভূমিকা: ব্রিটিশ শাসন ভারতীয় সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মনে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি করলে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মহাবিদ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে। এই বিদ্রোহের সামাজিক কারণগুলি ছিল নিম্নরূপ-

[1] শাসক-শাসিত সম্পর্ক: ঔপনিবেশিক ভারতে ইংরেজ শাসক ও শাসিতের মধ্যে ব্যবধান ও বৈষম্য ক্রমাগত বাড়তে থাকে এবং ভারতীয়রা নিজ ভূমে পরবাসী হয়ে পড়ে।

[2] ভারতীয়দের প্রতি ঘৃণা: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত সর্বত্র ইংরেজরা ভারতীয়দের ঘৃণার চোখে দেখত। বহু ইউরোপীয় ক্লাবের দরজায় লেখা থাকত, “কুকুর এবং ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ।” ওয়ারেন হেস্টিংস বলেছেন, “কয়েক বছর আগে পর্যন্ত অধিকাংশ ইংরেজ ভারতীয়দের প্রায় বর্বর মনে করত।”

[3] ভারতীয়দের রক্ষণশীল মনোভাব: ভারতীয়রা এদেশে বিদেশি শ্বেতাঙ্গ শাসন কখনোই মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেনি। মুঘল শাসনের পতন ঘটানোর জন্য মুসলিমরা ব্রিটিশদের ওপর প্রচন্ড ক্ষুব্ধ ছিল। আবার সতীদাহপ্রথা নিষিদ্ধ করা, বিধবাবিবাহের প্রচলন প্রভৃতির জন্যও রক্ষণশীল হিন্দুরা ব্রিটিশদের ওপর যথেষ্ট ক্ষুব্ধ ছিল।

[4] ব্রিটিশ কর্মচারীদের অত্যাচার: ব্রিটিশ প্রশাসনের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের অত্যাচার ও ব্যভিচার ভারতীয়দের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। কোল, ভিল, সাঁওতাল, মুন্ডা প্রভৃতি আদিবাসী সম্প্রদায়গুলিও চরম অত্যাচার আর নির্যাতনের শিকার হত। এই কারণে ভারতবাসী ব্রিটিশদের ওপর প্রচন্ড ক্ষুব্ধ ছিল।

উপসংহার: ভারতবাসীর প্রতি তীব্র অত্যাচার, ঘৃণা, অবমাননা, লাঞ্ছনা প্রভৃতির মাধ্যমে ব্রিটিশরা ভারতীয় সমাজকে বাবুদের স্তূপে পরিণত করে। এই স্তূপে যথা সময়ে অগ্নিস্ফুলিঙ্গের সংযোগ ঘটিয়ে ব্যারাকপুরের মিপতি মঙ্গল পান্ডে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের সূচনা করেন।

4.মহাবিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ কী ছিল?

উত্তরঃ মহাবিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ- 

ভূমিকা: ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এনফিল্ড রাইফেল-এর ব্যবহারকে কেন্দ্র করে সিপাহিরা ক্ষুদ্ধ হয়ে বিদ্রোহ শুরু করে। এই রাইফেলের ব্যবহারই বিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ সৃষ্টি করে।

ধর্মচ্য়ুতির আশঙ্কা ও বিদ্রোহের সূচনা-

ব্রিটিশ কোম্পানি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এনফিল্ড রাইফেল নামে এক সূচনা  এক বিশেষ ধরনের বন্দুকের ব্যবহার শুরু করে। এই রাইফেলে ব্যবহৃত কার্তুজ বা টোটার খোলসটি দাঁত দিয়ে কেটে রাইফেলে ভরতে হত।

সেনাবাহিনীতে গুজব ছড়ায় যে, এনফিল্ড রাইফেলের টোটার খোলসা গোরু ও শূকরের চর্বি দিয়ে তৈরি। ফলে হিন্দু ও মুসলিম সিপাহিরা ধর্মড়ায় মহাবিে হওয়ার ভয়ে এই টোটা ব্যবহারে অসম্মত হয়।

ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ এনফিল্ড রাইফেল ব্যবহারের জন্য ভারতীয় সেনাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করলে সেনারা বিদ্রোহের পথে পা বাড়ায়। ব্যারাকপুর সেনানিবাসের সিপাহি মঙ্গল পান্ডে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ২৯ মার্চ প্রথম বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।

উপসংহার: এনফিল্ড রাইফেল-এর কার্তুজের ঘটনাকে অনেকে মহাবিদ্রোহের প্রকৃত কারণ বলে মনে করলেও ঐতিহাসিক সি বল এই কাতুর্জের ঘটনাকে বিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ বলে মনে করেন না। তিনি দেখিয়েছেন যে, বিদ্রোহের সময় বিদ্রোহী সিপাহিরা এই কার্তুজ ইংরেজদের

বিরুদ্ধে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করেন।

5. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহে কোথায়, কারা নেতৃত্ব দেন?

উত্তরঃ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের নেতৃত্ব-

ভূমিকা: ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯ মার্চ ব্যারাকপুর সেনানিবাসের সিপাহি মঙ্গল পান্ডে প্রথম ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেন। ক্রমে এই বিদ্রোহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা ব্যক্তির নেতৃত্বে ছড়িয়ে পড়ে।

[1] দিল্লি: ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ১১ মে বিদ্রোহী সিপাহিরা দিল্লি দখল করে নেয় এবং সিংহাসনচ্যুত মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ (১৭৭৫-১৮৬২ খ্রি.)-কে বিদ্রোহের নেতা বলে ঘোষণা করে। মুঘল শাসনের উত্তরাধিকারী এবং অখণ্ড ভারতবর্ষের প্রতীক হিসেবে তাঁর নামে বিদ্রোহ পরিচালিত হয়। প্রকৃতপক্ষে ৮০ বছর বয়সের বৃদ্ধ বাহাদুর শাহ ছিলেন নামসর্বস্ব নেতা মাত্র।

[2] কানপুর: কানপুরে মহাবিদ্রোহের নেতা ছিলেন পেশোয়া দ্বিতীয় বাজীরাও-এর দত্তক পুত্র নানা সাহেব (প্রকৃত নাম গোবিন্দ ধন্দু পন্থ)। তিনি কানপুর থেকে ইংরেজদের বিতাড়িত করে নিজেকে ‘পেশোয়া’ বলে ঘোষণা করেন। তাঁর বিশ্বস্ত অনুচর তাঁতিয়া টোপি (প্রকৃত নাম রামচন্দ্র পান্ডুরঙ্গ টোপি) এবং হাকিম আজিমুল্লা-ও এই বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন।

[3] অযোধ্যা: অযোধ্যার বিদ্রোহের অন্যতম নেত্রী ছিলেন বেগম হজরত মহল। তিনি লখনউয়ের সিপাহি এবং অযোধ্যার জমিদার ও কৃষকদের সহায়তায় এক সর্বাত্মক বিদ্রোহী সংগঠন গড়ে তোলেন।

[4] ঝাঁসি: ঝাঁসিতে সিপাহি বিদ্রোহের নেত্রী ছিলেন বিধবা রানি লক্ষ্মীবাই। ইংরেজ সেনাপতি হিউ রোজ ঝাঁসি আক্রমণ করলে তিনি প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। শেষপর্যন্ত ইংরেজ বাহিনীর বিরুদ্ধে কাল্লির যুদ্ধে তিনি নিহত হন। তাঁর বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ নেতৃত্ব পরবর্তীকালে ভারতবাসীকে স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রেরণা দিয়েছিল।

(5) বিহার: বিহারে সিপাহি বিদ্রোহের অন্যতম নেতা ও সংগঠক ছিলেন রাজপুত বীর কুনওয়ার সিং। ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে তিনি গুরুতর আহত হন এবং এর পরে মারা যান।

[6] ফৈজাবাদ: ফৈজাবাদের মৌলবি আহম্মদুল্লা সিপাহি বিদ্রোহের সময় ইংরেজদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তাঁকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে ব্রিটিশরা ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে। অবশেষে তিনি ইংরেজদের অনুগত এক রাজার হাতে নিহত হন।

উপসংহার: ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানের নেতৃবর্গ মহাবিদ্রোহে নেতৃত্ব দিলে সারা দেশে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে। তাঁদের নেতৃত্বদানের মধ্য দিয়ে ১৮৫৭-র মহাবিদ্রোহ সর্বভারতীয় চরিত্র নেয়।

6. ১৮৫৭-এর মহাবিদ্রোহকে কি সামন্ত শ্রেণির বিদ্রোহ বলা যায়? [Madhyamik 2018]

উত্তরঃ 3 নং ব্যাখ্যামূলক উত্তরভিত্তিক প্রশ্নের উত্তরটি দ্যাখো।

7. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের কীরূপ মনোভাব ছিল? [Madhyamik 2017, 2020]

অথবা, শিক্ষিত বাঙালি সমাজ কেন ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে সমর্থন করেনি?

উত্তরঃ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব-

ভূমিকা: উনিশ শতকের প্রথমার্ধে বাংলাদেশে আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তার ঘটে এবং এই শিক্ষা গ্রহণ করে একদল শিক্ষিত বাঙালি মধ্যবিত্ত শ্রেণির উত্থান ঘটে। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের প্রতি এই শ্রেণির মনোভাব সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হল-

[1] ব্রিটিশ শাসনের ওপর আস্থা: শিক্ষিত বাঙালি মধ্যবিত্তদের একটি বড়ো অংশ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ব্রিটিশ শাসনের ওপর অগাধ আস্থা রাখত। তারা ব্রিটিশ শাসনকে ভারতের পক্ষে কল্যাণকর বলে মনে করত এবং ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহেরও বিরোধী ছিল।

[2] সিপাহিদের সাফল্যে অবিশ্বাস: বিদ্রোহের মাধ্যমে ইংরেজদের বিতাড়নের পর কেউ ভারতে জাতীয় রাষ্ট্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে কি না এই বিষয়ে শিক্ষিত বাঙালি সমাজ সন্দিহান ছিল। তাই তারা ১৮৫৭-এর বিদ্রোহকে সমর্থন করেনি।

[3] খ্যাতনামা বাঙালিদের অভিমত: [i] হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় তাঁর ‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট’ পত্রিকায় বিদ্রোহীদের নৃশংস, বর্বর এবং নরহত্যাকারী দস্যু বলে অভিহিত করেন। [ii] রাজনারায়ণ বসু ১৮৫৭-এর বিদ্রোহকে ‘নৈরাজ্যবাদী’ এবং নানা সাহেব, আজিমউল্লার মতো বিদ্রোহী নেতাদের ‘অন্যায়কারী দানব’ বলে অভিহিত করেন।

[iii] সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে, এই বিদ্রোহে জনগণের সমর্থন ছিল না।

[4] বাংলায় বিদ্রোহের দুর্বলতা: ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অত্যন্ত তীব্র হলেও শিক্ষিত বাঙালি সমাজের সমর্থনের অভাবে এই বিদ্রোহ বাংলায় খুব একটা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারেনি।

[5] পরিণাম: শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙালিরা প্রথমদিকে বিদ্রোহকে সমর্থন না করলেও বিদ্রোহ দমনে সরকার যে নিষ্ঠুর দমননীতির আশ্রয় নেয় তা শিক্ষিতদের চোখ খুলে দেয়। তারা উপলব্ধি করে যে, ব্রিটিশ শাসন কখনও ভারতীয়দের কল্যাণ করবে না। এই চেতনা পরবর্তীকালে জাতীয়তাবাদকে শক্তিশালী করে।

উপসংহার: সব শিক্ষিত বাঙালিই মহাবিদ্রোহের বিরুদ্ধে ছিল এবং ইংরেজদের সমর্থন বা সহযোগিতা করেছিল-এ কথা বলা ভুল হবে। এই যুগে বিদ্যাসাগরের মতো কিছু ব্যতিক্রমী চরিত্র অবশ্যই ছিল।

৪. টীকা লেখো: মহারানির ঘোষণাপত্র।

উত্তরঃ মহারানির ঘোষণাপত্র-

ভূমিকা: মহাবিদ্রোহ (১৮৫৭ খ্রি.) শেষপর্যন্ত ব্যর্থ হলেও এই বিদ্রোহ ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের ভিত কাঁপিয়ে দেয়।

[1] ভারত শাসন আইন: মহাবিদ্রোহের পর ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ‘ভারত শাসন আইন’ (১৮৫৮ খ্রি.)-এর দ্বারা ভারতে কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটায় এবং মহারানি ভিক্টোরিয়া নিজের হাতে ভারতের শাসনভার তুলে নেন।

[2] ঘোষণাপত্র প্রকাশ: মহারানি ভিক্টোরিয়া ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১ নভেম্বর এক ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে ভারতীয় শাসনব্যবস্থায় নতুন নীতি ও আদর্শের কথা প্রকাশ করেন।

[3] ঘোষণাপত্রের বক্তব্য: মহারানির ঘোষণাপত্রের দ্বারা জানানো হয় যে-[i] ব্রিটিশ সরকার ভারতীয়দের সামাজিক ও ধর্মীয় বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। [ii] স্বত্ববিলোপ নীতি বাতিল করা হবে। [iii] দেশীয় রাজাদের দত্তক গ্রহণের অধিকার দেওয়া হবে। [iv] ব্রিটিশরা ভারতে আর সাম্রাজ্য বিস্তার করবে না। [v] জাতিধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে প্রতিটি যোগ্য ভারতীয়কে সরকারি

চাকরিতে নিযুক্ত হওয়ার অধিকার প্রদান করা হবে। [vi] সরকার দেশীয় রাজ্যগুলির সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি ও সম্বিগুলি মেনে চলবে।

উপসংহার: মহারানির ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত প্রতিশ্রুতিগুলি ঘোষণাপত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তাই ক্রমশ ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে ভারতবাসীর ক্ষোভ, হতাশা, ঘৃণা বাড়তেই থাকে।

5. Fill in The Blanks

1. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে প্রথম সেনা বিক্ষোভ শুরু হয়____।

উত্তরঃ বহরমপুরে 

2. প্রথম সিপাহি বিদ্রোহ ঘোষিত হয়____।

উত্তরঃ ব্য়ারাকপুরে।

3. লরেন্স, সিলি প্রমুখ ১৮৫৭-এর বিদ্রোহকে____বলে অভিহিত করেছেন।

উত্তরঃ সামরিক বিদ্রোহ ।

4. অক্ষয়কুমার দত্ত, হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, কিশোরীচাঁদ মিত্র, দাদাভাই নওরোজি প্রমুখ ১৮৫৭-এর বিদ্রোহকে_____বলে অভিহিত করেছেন। 

উত্তরঃ সিপাহি বিদ্রোহ।

5. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে বিদ্রোহীরা দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে_____বলে ঘোষণা করে।

উত্তরঃ    ভারতের সম্রাট ।

6. নর্টন, ম্যালসন, বল, জন কে প্রমুখ ১৮৫৭ খ্রিস্টব্দের বিদ্রোহকে_____বলে মনে করেন।

উত্তরঃ গণবিদ্রোহ ।

7. আউট্রাম, ডাফ, রবার্টসন প্রমুখ ১৮৫৭-এর বিদ্রোহকে_____ বলে অভিহিত করেছেন। 

উত্তরঃ জাতীয় বিদ্রোহ ।

৪. নানা সাহেব, আজিমউল্লার মতো সিপাহি বিদ্রোহের নেতাদের ‘অন্যায়কারী দানব’ বলেছিলেন____।

উত্তরঃ রাজনারায়ণ বসু ।

9. ব্রিটিশরা_____স্বত্ববিলোপ নীতি বাতিল করার কথা জানায়।

উত্তরঃ মহারানির ঘোষণাপত্রে ।

6. True and False

1. ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে এনফিল্ড রাইফেলের টোটার প্রচলন হয়।

উত্তরঃ ঠিক।

2. বিচারে ব্যারাকপুর সেনানিবাসের সিপাহি মঙ্গল পান্ডের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।

উত্তরঃভুল ।

3. বিদ্রোহী সিপাহিরা দিল্লি দখল করে নেয় এবং সিংহাসনচ্যুত মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে ‘ভারতের সম্রাট’ বলে ঘোষণা করে।

উত্তরঃঠিক।

4. অধ্যাপক হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, অধ্যাপক সুশোভন সরকার প্রমুখ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে ‘ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধ’ ও ‘জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম’ বলে অভিহিত করেছেন।

উত্তরঃ ভুল ।

5. ড. সুরেন্দ্রনাথ সেন তাঁর ‘Eighteen Fifty Seven’ গ্রন্থে দেখিয়েছেন যে, জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অপরিহার্য উপাদানগুলি ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহে ছিল।

উত্তরঃভুল ।

6. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত বাঙালি সমাজের একটি অংশ ব্রিটিশ শাসনকে ভারতের পক্ষে কল্যাণকর বলে মনে করত।

নির্ধারণ করো

উত্তরঃঠিক।

7. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের ব্যর্থতায় শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙালি সমাজ হতাশ হয়েছিল।

উত্তরঃ ভুল ।

৪. ‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট’ পত্রিকার সম্পাদক হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় সিপাহি বিদ্রোহের সমর্থক ছিলেন।

উত্তরঃ ভুল ।