Class 6 Chapter 11 Solution
ঘাটির ঘরে দেয়ালচিত্র
১.Very Short Question Answer
১. লেখক তপন করের লেখা একটি বই-এর নাম লেখো।
উত্তর: লেখক তপন করের লেখা একটি বইয়ের নাম হল ‘অসামান্য মানভূম’।
২.পাঠ্য রচনাংশটি কোন্ বিষয়ে লেখা?
উত্তর: পাঠ্য রচনাংশটি লোকসংস্কৃতির বিষয়ে লেখা।
৩. দেয়ালচিত্র এঁকে থাকেন সাধারণত গ্রামের (পুরুষেরা/মেয়েরা/বালকেরা)।
উত্তর: দেয়ালচিত্র এঁকে থাকেন সাধারণত গ্রামের মেয়েরা।
৪. মূলত (বৃত্তাকার/সরলরৈখিক/জ্যামিতিক) আকার- আশ্রিত বর্ণসমাবেশেই রচিত হয় সাঁওতালী দেয়ালচিত্রণ।
উত্তর: মূলত জ্যামিতিক আকার-আশ্রিত বর্ণসমাবেশেই রচিত হয় সাঁওতালী দেয়ালচিত্রণ।
৫. সাধারণত মাটি থেকে (ছ-ফুট/চারফুট/আটফুট) পর্যন্ত উচ্চতায় চিত্রণটি বিস্তৃত হয়।
উত্তর: সাধারণত মাটি থেকে ছ-ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় চিত্রণটি বিস্তৃত হয়। চিত্রের প্রতীক বলা হয়।
৬. (শালুকটিকে/পদ্মটিকে/গোলাপটিকে) মানভূম দেয়াল-
উত্তর: পদ্মটিকে মানভূম দেয়ালচিত্রের প্রতীক বলা হয়।
৭. এই মাটির রং ঈষৎ হরিদ্রাভ। এই মাটির রং ঈষৎ সাদাটে।
উত্তর: এই মাটির রং ঈষৎ হরিদ্রাভ এবং সাদাটে।
৮. দূর থেকে দৃশ্য হিসেবে মানানসই হওয়া চাই। এইভাবেই দেয়ালগুলি নির্বাচন করা হয়।
উত্তর: যাতে দূর থেকে দৃশ্য হিসেবে মানানসই দেয়ালগুলিকে নির্বাচন করা হয়।
৯. ঘরের চতুষ্পার্শ্ব ঘিরে থাকে একটি বেদি। তার রং কালো।
উত্তর: ঘরের চতুষ্পার্শ্ব ঘিরে একটি কালো রঙের বেদি থাকে।
১০. বাংলার কৃষিজীবী সমাজের কিছু প্রাচীন উৎসব আছে।
উত্তর: এগুলি হল গো-বন্দনা, কাঁড়াখুঁটা, গোরুখুঁটা প্রভৃতি। গো-বন্দনা, কাঁড়াখুঁটা, গোরুখুঁটা প্রভৃতি হল বাংলার কৃষিজীবী সমাজের কিছু প্রাচীন উৎসব।
১১. তোমার জানা কোন্ অঞ্চলের লোকসমাজে দেয়ালে ছবি আঁকার চল আছে?
উত্তর: পুরুলিয়া জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের লোকসমাজে, বিশেষত পূর্বতন মানভূম জেলার সীমানাতে দেয়ালে ছবি আঁকার চল আছে।
১২. মানভূম জেলাসংলগ্ন আর কোন্ কোন্ জেলায় দেয়ালচিত্রণ হয়ে থাকে?
উত্তর:মানভূম জেলাসংলগ্ন মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বর্ধমান জেলার পশ্চিমাংশ এবং বীরভূম জেলাতে প্রচুর দেয়ালচিত্রণ হয়ে থাকে।
১৩. ভাত মানভূম জেলায় কোন্ কোন্ আদিবাসী গোষ্ঠীর বাস?
উত্তর: মানভূম জেলায় সাঁওতাল, হো, অসুর, ভূমিজ, মুন্ডা, ওরাওঁ, খেড়িয়া, শবর, কোল, বীরহড় প্রভৃতি আদিবাসী গোষ্ঠীর বাস আছে।
১৪. মাটির দেয়ালচিত্রগুলি সাধারণত কোন্ কোন্ উৎসবে আঁকা হয়?
উত্তর: মাটির দেয়ালচিত্রগুলি আঁকা হয় সাধারণত আশ্বিনের দুর্গাপুজো এবং কার্তিকের অমাবস্যা বা দীপাবলি উৎসবে।
১৫. দেয়ালচিত্র করার জন্য কী কী উপাদান ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: সাধারণভাবে গিরিফল চোবানো লালচে গিরিমাটি বা গৈরিকবর্ণের মৃত্তিকাই দেয়ালচিত্র আঁকার উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
১৬. মাটির দেয়ালচিত্র কারা এঁকে থাকেন?
উত্তর: সাধারণত গ্রামের মেয়েরাই মাটির দেয়ালচিত্র এঁকে থাকেন।
১৭. ‘পুরুল্যা’ শব্দটিকে সাধুভাষায় কী বলে?
উত্তর: ‘পুরুল্যা’ শব্দটিকে সাধুভাষায় পুরুলিয়া বলা হয়।
১৮. এত কাদের দেয়ালচিত্রণ যথেষ্ট উন্নত?
উত্তর: ভূমিজ ও খেড়িয়াদের দেয়ালচিত্রণ যথেষ্ট উন্নত।
১৯. মাটির ঘরের দেয়ালচিত্রণের অন্যতম বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: মাটির ঘরের দেয়ালচিত্রণের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল- এগুলি সবই অস্থায়ী।
২০.মাটির ঘরের দেয়ালচিত্রগুলি কোন্ সময়ের জন্যে অঙ্কিত হয়?
উত্তর: মাটির ঘরের দেয়ালচিত্রগুলি আশ্বিনের দুর্গাপূজা ও কার্তিকের অমাবস্যা বা দীপাবলি এই দুই উৎসবের জন্যেই অঙ্কিত হয়।
২১. দেয়ালচিত্রণগুলি কতটা উচ্চতায় বিস্তৃত হয়?
উত্তর: দেওয়ালচিত্রণগুলি মাটি থেকে ছ-ফুট উচ্চতায় বিস্তৃত হয়।
২২. ‘মাটির ঘরে দেয়ালচিত্র’ রচনায় আলোচিত কয়েকটি আদিবাসী গোষ্ঠীর মানুষের নাম লেখো।
উত্তর: ‘মাটির ঘরে দেয়ালচিত্র’ রচনায় আলোচিত কয়েকটি আদিবাসী গোষ্ঠীর মানুষের নাম হল- সাঁওতাল, হো, অসুর, ভূমিজ, মুন্ডা, ওরাওঁ, খেড়িয়া, শবর প্রভৃতি।
২৩.’দেয়ালচিত্র’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর: ‘দেয়ালচিত্র’ বলতে বোঝায়, দেয়ালে আঁকা নানা-রকমের ছবি।
২৪. ‘মাটির ঘরে দেয়ালচিত্র’ রচনায় বর্ণিত দেয়াল-চিত্রের কোন উপাদানটি পশ্চিমবঙ্গে সর্বত্র সুলভ?
উত্তর: আলোচ্য রচনায় বর্ণিত দেয়ালচিত্রের অন্যতম উপাদান হল মাটি, যা পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র সুলভ।
২৫. মাটির ঘরের দেয়াল চিত্রিত করার অন্যতম উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: মাটির ঘরের দেয়াল চিত্রিত করার অন্যতম উদ্দেশ্য হল গৃহের সৌন্দর্যসাধন বা ঘরদোরকে সুন্দর করে তোলা।
২৬. কার্তিকের অমাবস্যায় রাঢ়বঙ্গের কৃষিজীবী সমাজের প্রাচীন উৎসবগুলি কী?
উত্তর: কার্তিকের অমাবস্যায় রাঢ়বঙ্গের কৃষিজীবী সমাজের না প্রাচীন উৎসবগুলি হল- গো-বন্দনা, অলক্ষ্মী বিদায়, কাঁড়াখুঁটা, গোরুখুঁটা প্রভৃতি।
২৭. কার্তিকের অমাবস্যায় প্রাচীন উৎসব পালনের সময় কোথায় কোথায় আলপনা দেওয়া হয়?
উত্তর: কার্তিকের অমাবস্যায় প্রাচীন উৎসব পালনের সময় * গৃহাঙ্গনের প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে উঠোন, গোয়াল, ধানের মরাই, মূল বাসগৃহ সর্বত্রই আলপনা দেওয়া হয়।
২৮. সাঁওতালি দেয়ালচিত্রের বর্ণ সমাবেশ কেমন?
উত্তর: সাঁওতালি দেয়ালচিত্রের বর্ণসমাবেশ মূলত জ্যামিতিক আকার আশ্রিত।
২৯. মাটির ঘরের দেয়ালচিত্র রচনায় কোন্ মাটির প্রলেপে কেমন ছবি আঁকার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ‘মাটির ঘরে দেয়ালচিত্র’ রচনায় বেলেমাটি (দুধেমাটি)-র ভিজে প্রলেপের ওপর হাতের আঙুলের ডগা দিয়ে দাগ টেনে ছবি আঁকার কথা বলা হয়েছে।
৩০. কোন্ কোন্ জাতির দেয়াল চিত্রের সাধারণ লক্ষণ পদ্ম?
উত্তর: সাঁওতাল ছাড়াও ভূমিজ, কুর্মি ও অন্যান্য জাতির দেয়ালচিত্রের সাধারণ লক্ষণ হল পদ্ম।
৩১. দুধেমাটির ওপর কীভাবে চিত্রণ করা হয়?
উত্তর: দুধেমাটির প্রলেপটি ভিজে থাকতে থাকতেই এর ওপর হাতের আঙুলের ডগা দিয়ে দাগ টেনে চিত্রণ করা হয়।
৩২. মোরগঝুঁটির চালচিত্রে আর কী কী নকশা থাকে?
উত্তর: মুরগা ঝাড়, উদীয়মান সূর্যের নকশা, আধফোটা পদ্ম, ইস্কাবন, হরতনের চিহ্ন ও সাধারণ লতাপাতা, পাখি, ময়ূর ইত্যাদির নকশা মোরগঝুঁটির চালচিত্রে থাকে। এ ছাড়াও থাকে কদম ঝাড় এবং শালুক লতার নকশা।
২. Short Question Answer
১.কোন্ তিথিতে কৃষিজীবীরা কীভাবে তাদের গৃহসজ্জা করে তা লেখো।
উত্তর: সাঁওতাল, ভূমিজ, মাহাত বা কুর্মি, বাউরি, শবর ইত্যাদি গোষ্ঠীর মানুষজন কালীপূজা অর্থাৎ, কার্তিকের অমাবস্যাকেই গৃহ-মার্জনা ও অলংকরণের জন্যে নির্দিষ্ট করেছেন। সমগ্র ঘরবাড়ি। মেরামতি, লেপা-মোছা করার পর গৃহাঙ্গনের প্রবেশদ্বার থেকে উঠোন, গোয়াল, ধানের গোলা বা মরাই এবং মূল বাসগৃহ সর্বত্রই ( আলপনা দিয়ে সাজানো হয়।