WBBSE Class 6 Bangla Chapter 17 Solution | Sahityamela “সাহিত্যমেলা” Bengali Medium

Class 6 Chapter 17 Solution

বাঘ

MCQ

১.১ বাঘের ছানাটির গায়ের রং ছিল (হলুদ / কালো/ লাল)।

উত্তরঃ হলুদ

১.২ ছোট্ট বাঘের বাসা ছিল (পাখিরালয়ে / চিড়িয়াখানায়/ বাড়ির বাগানে)।

উত্তরঃ পাখিরালয়ে

১.৩ পাখিরা সব পালাত (কিচিরমিচির / কাকা/ বক্-বক্স) করতে করতে।

উত্তরঃ কিচিরমিচির

১.৪ বাঘের ছানাটি নদীর পাড়ে গেল (কাঁকড়া / মাছ/ হরিণ) ধরতে।

উত্তরঃ কাঁকড়া

১.৫ বাঘের ছানা ছোটো মাছ ধরতে এলে লজ্জা পেল (বাঘজননী / বাঘের বাবা / মাছেরা)।

উত্তরঃ বাঘজননী 

১.৬ ‘বাঘ’ কবিতাটি লিখেছেন- (নবনীতা দেব/ নবনীতা দেবসেন / নবমিতা সেন)।

উত্তরঃ নবনীতা দেবসেন

১.৭ “এক যে ছিল ছোট্ট হলুদ বাঘ” -তার বাসা কোথায়? (সন্দেশখালি / বকখালি / পাখিরালয়)।

উত্তরঃ পাখিরালয়

১.৮ “বনটা কেবল পাখি দিয়েই ঠাসা?” – এটি কার প্রশ্ন? (হলুদ বাঘের / ছোট্ট হলুদ বাঘের / ছোট্ট সাদা বাঘের)।

উত্তরঃ ছোট্ট হলুদ বাঘের

১.৯ “তার মনে মনে জমছে কেবল রাগ-” রাগের কারণ কী? (পাখিরালয়ে পাখি ছাড়া কিছু নেই। তার খাবার অন্যেরা খেয়ে ফেলেছে / একই খাবার তার পছন্দ নয়)।

উত্তরঃ পাখিরালয়ে পাখি ছাড়া কিছু নেই

১.১০ “মা-বাবা তার বেছেছেন এই বন”- ‘এই বন’ বলতে কোন্ বন? (সুন্দরবন / আমবন / পাখিরালয়)।

উত্তরঃ পাখিরালয়

১.১১ “ভদ্র বাঘে হেথায় বাঁধে ডেরা?” -‘ডেরা’ কী? (আশ্রয় / জিনিসপত্র / বাড়ি)।

উত্তরঃ আশ্রয়

১.১২ “যতই বাড়াক সব্বোনেশে থাবা” -‘সব্বোনাশ’ কথাটির সঠিক রূপটি কেমন? (সর্বনাশ / সব্যনাশ / সর্বংনাশ)।

উত্তরঃ সর্বনাশ

১.১৩ নবনীতা দেবসেনের লেখা একটি গ্রন্থ- (‘আমি অনুপম’ / ‘খাপছাড়া’ / ‘পথের পাঁচালী’)।

উত্তরঃ ‘আমি অনুপম’

১.১৪ “ছোট্ট বাঘের ছোট্ট শরীর… লাফিয়ে ওঠে” -কী জন্য? (খেলা করার জন্য / পাখির ছানা ধরার জন্য / ছাগল শিকার করার জন্য)।

উত্তরঃ পাখির ছানা ধরার জন্য

১.১৫ পাখিরা সব উড়ে পালায় -কেমনভাবে? (ডানা ছড়িয়ে / মুখ উঁচু করে / মুখে খড়কুটো নিয়ে)।

উত্তরঃ ডানা ছড়িয়ে

১.১৬  “সব কাঁকড়া বেড়ায় হেঁটে”, -কাঁকড়াগুলো কেমন? (লম্বা লম্বা / লালঠেঙো / সামুদ্রিক)।

উত্তরঃ লালঠেঙো

১.১৭ “কাঁকড়া কেমন চিমটে ধরে দাঁড়ায়” -চিমটে দিয়ে কী ধরে? (মাছ / ছোট্ট বাঘের থাবা / বাঘের ল্যাজ)।

উত্তরঃ ছোট্ট বাঘের থাবা

১.১৮ “কান্না শুনে দৌড়ে এলেন ঘাটে’-কার কান্না? (ছোট্ট বাঘের / কুমিরের / মায়ের)।

উত্তরঃ ছোট্ট বাঘের

১.১৯ “কাঁকড়া-দাঁড়া কাটে।” কে কাটে? (মস্ত হলুদ বাবা / চাষি / কামার)।

উত্তরঃ মস্ত হলুদ বাবা

১.২০ “ভোঁদড় তো নোস…” তাকে ‘ভোঁদড়’ বলা হয়েছে, কারণ- (সে মাছ শিকার করতে গিয়েছে / সে বুদ্ধিহীন / সে ভোঁদড়ের মতো দেখতে)।

উত্তরঃ সে মাছ শিকার করতে গিয়েছে

১.২১ “ছানার দুঃখে দুঃখ পেয়ে ভারি” -এই ছানা কী? (ছাগলছানা / দুধ থেকে তৈরি ছানা / বাঘের ছানা)।

উত্তরঃ বাঘের ছানা

১.২২”বাঘ বাবা-মা বদলে নিলেন বাড়ি” বাড়ির বদলে তাঁরা কোথায় গেলেন? (বাঁদিপোতা / সজনেখোলা/ সন্দেশখোলা)।
উত্তরঃ সজনেখোলা


Very Short Question Answer

১.১ নবনীতা দেবসেনের প্রথম প্রকাশিত বইয়ের নাম কী?

উত্তরঃ নবনীতা দেবসেনের প্রথম প্রকাশিত বইয়ের নাম ‘প্রথম প্রত্যয়’।

১.২ তাঁর লেখা একটি ভ্রমণকাহিনির নাম লেখো।

উত্তরঃ নবনীতা দেবসেনের লেখা ভ্রমণকাহিনি বিষয়ক একটি বই হল ‘ট্রাকবাহনে ম্যাকমোহনে’।

২.১ পাখিরালয়ের বাসায় কী পাওয়া যেত না?

উত্তরঃ পাখিরালয়ের বাসায় ছাগল, হরিণ কিংবা ভেড়া পাওয়া যেত না।

২.২ ছোট্ট বাঘ তার খিদে মেটানোর জন্য প্রথমে কী ধরতে গিয়েছিল?

উত্তরঃ ছোট্ট বাঘ তার খিদে মেটানোর জন্য প্রথমে পাখির ছানা ধরতে গিয়েছিল।

২.৩ ছোট্ট বাঘের বাবা-মা বাসা বদলে কোথায় গিয়েছিল?

উত্তরঃ ছোট্ট বাঘের বাবা-মা বাসা বদলে সজনেখালিতে গিয়েছিল।

২.৪ সুন্দরবনের বাঘ কী নামে পরিচিত?
উত্তরঃ সুন্দরবনের বাঘ ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার’ নামে পরিচিত।

১.১ শিশুসাহিত্যের জন্য নবনীতা দেবসেন কোন্ পুরস্কার পান?

উত্তরঃ শিশুসাহিত্যের জন্য নবনীতা দেবসেন ‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার’ পান।

১.২ বাঘের চামড়াকে কী বলা হয়?

উত্তরঃ  বাঘের চামড়াকে বলা হয় কৃত্তি।

১.৩ সজনেখালি এবং পাখিরালয় জঙ্গল দুটি কোন্ বৃহৎ জঙ্গলের অন্তর্গত?

উত্তরঃ সজনেখালি এবং পাখিরালয় জঙ্গল দুটি সুন্দরবনের অন্তর্গত।

১.৪ তোমরা এমন একটি গল্পের নাম করো, যেটি মানবেতর প্রাণী অর্থাৎ, পশুকে কেন্দ্র করে লেখা।

উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘মহেশ’ এমন একটি গল্প, সেটি মানবেতর প্রাণী অর্থাৎ, পশুকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে।

১.৫ ‘ভদ্র’ ও ভাদ্র’ শব্দ দুটির অর্থ পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ ভদ্র-নম্র/সভ্য। ভাদ্র-বাংলা বছরের পঞ্চম মাস।

২.১ বাঘ কোথায় স্বাধীনভাবে থাকতে পারে?

উত্তরঃ বাঘ বনে-জঙ্গলে স্বাধীনভাবে থাকতে পারে।

২.২ পাখিরালয়ে কী থাকে?

উত্তরঃ পাখিরালয়ে পাখি থাকে।

২.৩ কত পাখিরালয়ে কী ছিল না?

উত্তরঃ পাখিরালয়ে ছাগল, হরিণ, ভেড়া ছিল না।

২.৪ বাঘছানা কী ধরতে পারে না? 

উত্তরঃ বাঘছানা পাখি ধরতে পারে না।

২.৫ পাখিরা কীভাবে পালায়?

উত্তরঃ পাখিরা কিচিরমিচির শব্দ করে ডানা মেলে উড়ে পালায়।

২.৬ লালঠেঙো কাঁকড়ারা কোথায় থাকে?

উত্তরঃ লালঠেঙো কাঁকড়ারা নদীর চরের গর্তে থাকে।

২.৭ বাঘছানা গর্তে থাবা দিয়েই কেঁদে ওঠে কেন?

উত্তরঃ বাঘছানা গর্তে থাবা দিয়েই কেঁদে ওঠে কারণ বাঘছানার থাবায় কাঁকড়া চিমটি কেটেছিল বলে।

২.৮ বাঘছানার কান্না শুনে কে দৌড়ে এসেছিল?

উত্তরঃ বাঘছানার কান্না শুনে বাঘছানার বাবা দৌড়ে এসেছিল।

২.৯ বাঘছানা ‘মেনি মৎস্য’ ধরতে গেলে কে লজ্জা পেল?

উত্তরঃ বাঘছানা ‘মেনি মৎস্য’ ধরতে গেলে বাঘজননী লজ্জা পেয়েছিল।

২.১০ কত বাঘছানাকে নিয়ে বাবা-মা কোথায় চলে গেল?

উত্তরঃ বাঘছানাকে নিয়ে বাবা-মা সজনেখোলায় অর্থাৎ, সজনেখালি চলে গেল।

২.১১ “তাদের পাখিরালয় বাসা।” -কাদের বাসা পাখিরালয়?

উত্তরঃ একটা ছোট্ট হলুদ বাঘ এবং তার মা-বাবার বাসা পাখিরালয়।

২.১২ “তার মনে মনে জমছে কেবল রাগ” কার মনে কেন রাগ জমছে?

উত্তরঃ একটা ছোট্ট হলুদ বাঘের মনে রাগ জমছে। কারণ, তারা যে-বনে থাকে, সেটা কেবল পাখি দিয়েই ঠাসা। সেখানে শিকার করার জন্য আর কোনো প্রাণী নেই।

২.১৩ “নেই যেখানে ছাগল হরিণ ভেড়া…” -কোথায় এইসব প্রাণী নেই?

উত্তরঃ একটা ছোট্ট হলুদ বাঘ তার মা-বাবার সঙ্গে যে, পাখিরালয়ে থাকে, সেখানে এইসব প্রাণী নেই।

২.১৪ ঘর “ধরবে বা কী? খাবেই বা কী?”-এখানে কার, কী খাওয়ার কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ এখানে ছোট্ট হলুদ বাঘের ছাগল, হরিণ, ভেড়া ইত্যাদি খাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

২.১৫  “এক মিনিটেই আকাশপথে হাওয়া!” -কার কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ এখানে পাখির কথা বলা হয়েছে।

২.১৬ কারা, কেন উড়ে পালায়?

উত্তরঃ পাখিরালয়ের পাখিরা উড়ে পালায়। কারণ, একটি ছোট্ট বাঘ পাখির ছানা ধরার জন্য লাফিয়ে ওঠে।

২.১৭ “ছোট্ট বাঘের বড্ড খিদে পেটে।”-এইজন্য সে কী করল?

উত্তরঃ খিদে পাবার জন্য ছোট্ট বাঘ নদীর পাড়ে যায়, সেখানে হেঁটে বেড়ানো কিছু লালঠেঙো কাঁকড়া শিকার করতে পারার আশায়!

২.১৮ “বাঘের ছানা জানত না তো মোটে…”- সে কী জানত না?

উত্তরঃ সে জানত না যে, কাঁকড়া ধরতে গেলে কাঁকড়াটি তার দাঁড়া দিয়ে বাঘ ছানাটির থাবা কামড়ে ধরবে।

২.১৯ “বাবা-মা বদলে নিলেন বাড়ি”-কার বাবা-মা? তারা কোথায় বাড়িবদল করলেন?

উত্তরঃ একটি ছোট্ট হলুদ বাঘের বাবা-মা।

 তারা পাখিরালয় থেকে সজনেখোলায় বাড়ি বদল করলেন।

২.২০ “সবাই মিলে থাকে সজনেখোলায়”- ‘সবাই’ বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ ‘সবাই’ বলতে একটি ছোট্ট হলুদ বাঘ ও তার মা-বাবার কথা বলা হয়েছে।

Short Question Answer

৩.১ “ভদ্র বাঘে হেথায় বাঁধে ডেরা”-বাঘছানার এমন মনে হয়েছিল কেন?

উত্তরঃ একটি ছোট্ট হলুদ বাঘ তার বাবা ও মায়ের ওপর একদিন খুব রেগে গিয়েছিল, কারণ তার বাবা-মা বাস করার জন্য পাখিরালমে আস্তানা বেছেছে, যেখানে ছিল শুধু পাখি আর পাখি- খাওয়ার জন্য কোনো ছাগল, হরিণ বা ভেড়ার চিহ্নমাত্র ছিল না। তাই ছোট্ট বাঘ ভীষণ আক্ষেপের সাথে বলে-এমন জঙ্গলে কোনে ভদ্র বাঘরা আস্তানা বাঁধে না।

৩.২ ছোট্ট বাঘ পাখির ছানা ধরতে পারেনি কেন?

উত্তরঃ ছোট্ট হলুদ বাঘ পাখির ছানা ধরতে পারেনি। কারণ পাখির ছানারা অনেক বেশি চতুর, দুরন্ত এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন তা ছাড়া পাখির ছানারা হাঁটে না বা ছোটে না। তারা আকাশপত্রে উড়ে যায়। তাই বাঘ যতই তার সর্বনাশা, ভয়ংকর থাবা তাদের দিকে বাড়িয়ে দিক-না-কেন, তারা নিমেষের মধ্যেই নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। ফলে ছোটো বাঘ আর কোনোভাবেই তালে ধরতে পারেনি। আকাশপে

৩.৩ বাঘের ছানা গর্তে থাবা দিয়েই কেঁদে উঠেছিল কেন?

উত্তরঃ পাখিরালয়ে বসবাসকারী ছোট্ট হলুদ বাঘ কোনো হরিণ, ছাগল বা ভেড়ার সন্ধান না-পেয়ে খিদে মেটানোর জন্যে বাধ্য হয়ে নদীর ঘাটে লাল ঠ্যাংওয়ালা কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল। কাঁকড়ার গর্তে তাদের ধরার জন্য থাবা ঢোকানোমাত্র কাঁকড়া তার দাঁতযুক্ত লম্বা ঠ্যাং দিয়ে বাঘের থাবা কামড়ে ধরে। ফলে যন্ত্রণায় চিৎকার করে ছোট্ট বাঘের ছানাটি কেঁদে উঠেছিল।

৩.৪ আবাঘছানাকে বাবা কীভাবে কাঁকড়ার হাত থেকে রক্ষা করল?

উত্তরঃ বাঘের ছানাটি কাঁকড়া ধরে খাওয়ার জন্য কাঁকড়ার গর্তে থাবা ঢোকাতেই কাঁকড়া তার দাঁতযুক্ত লম্বা ঠ্যাং দিয়ে বাঘের থাবা কামড়ে ধরে। ছোট্ট বাঘ যন্ত্রণায় আর্তনাদ করে উঠলে তার বাবা এসে ভয়ংকর ও মস্ত থাবা দিয়ে কাঁকড়ার দাঁড়াটিকে ভেঙে দিয়ে বাঘছানাকে রক্ষা করে।

৩.৫ বাঘজননী লজ্জা পেয়েছিল কেন?
উত্তরঃ ছোট্ট হলুদ বাঘছানাটি নদীর পাড়ে কাঁকড়া ধরে খেতে ব্যর্থ হয়ে শেষে কাদার মধ্যে মেনি মাছ ধরতে যায়। এতে মা ছোট্ট বাঘের এই আচরণে খুব লজ্জাবোধ করল। সে তার ছানাটিকে মনে করিয়ে দিল যে, সে ভোঁদড় অর্থাৎ, বিড়াল জাতীয় মাছলোভী প্রাণী নয়- সে হচ্ছে বাঘ। সুতরাং, তার আভিজাত্য আছে, মর্যাদা আছে শিকার করাতে। ছোটো ছোটো মাছ ধরে খাওয়া তাদের শোভা পায় না। তাই ছোট্ট বাঘ মেনি মাছ ধরতে গেলে ছোট্ট বাঘের মা খুব লজ্জিত হয়েছিল।

Long Question Answer

১০.১ কবিতাটিতে দেখলাম কাঁকড়ার দাঁড়া থাকে, তোমার দেখা আর যে প্রাণীর দাঁড়া আছে তার সম্পর্কে দু-একটি বাক্য লেখো।

উত্তরঃ আমার দেখা একটি দাঁড়াযুক্ত প্রাণী হল গলদা চিংড়ি। গলদা চিংড়ির বিজ্ঞানসম্মত নাম হল-ম্যাক্রোব্রাকিয়াম রোজেনবার্গি (Macrobrachium rosenburghi)। এদের দেহে কাইটিননির্মিত একটি খোলক থাকে। এদের মুখের সামনে রসট্রাম নামক অঙ্গ থাকে। এরা সন্ধিপদী পর্বের প্রাণী। এদের দেহে হিমোসায়ানিন নামক রঞ্জকযুক্ত রক্ত উপস্থিত থাকে।

১০.২ ছোট্ট বাঘ ও তার বাবা-মা পাখিরালয়ে খাবারের অভাব থাকায় সজনেখালি চলে গিয়েছিল। সারা পৃথিবীতেই আজ মানুষ বন কেটে ফেলায়, নির্বিচারে প্রাণীদের মেরে ফেলায় শুধু বাঘ নয়, সমস্ত প্রাণীদেরই খাবারের অভাব তৈরি হচ্ছে। কীভাবে এগুলো বন্ধ করে সমস্ত প্রাণীদের ভালোভাবে বাঁচিয়ে রাখা যায়, এ সম্পর্কে তোমার মতামত জানিয়ে একটি অনুচ্ছেদ লেখো।
উত্তরঃ বন্যপ্রাণীর ক্রমহ্রাসমান পরিস্থিতিতে প্রাণী সংরক্ষণের সুব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি। সংরক্ষণ ছাড়া কোনো বন্যপ্রাণীর অবলুপ্তি রোধ করা কোনোমতেই সম্ভব নয়। বন্যপ্রাণীকে রক্ষা করতে না-পারলে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য কখনই বজায় থাকবে না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বন্যপ্রাণীদের রক্ষা করার বিষয়ে সরকারি উদ্যোগ দেখা দিয়েছে। বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণের জন্য দেশে দেশে গড়ে উঠেছে অনেক ন্যাশনাল পার্ক বা জাতীয় উদ্যান। ভারতবর্ষও এই উদ্যোগ থেকে পিছিয়ে থাকেনি। সারা ভারতে আছে চারশোটি অভয়ারণ্য এবং সত্তরটি জাতীয় উদ্যান গড়ে উঠেছে। বনসৃজনের ব্যাপক প্রচেষ্টাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে সরকারি মহলে। বন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য এই সরকারি উদ্যোগ নিশ্চয়ই প্রশংসনীয়। তবে, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে শুধু সরকারি উদ্যোগ কিন্তু যথেষ্ট নয়। এর পাশাপাশি প্রতিটি সাধারণ মানুষকেও এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। চোরাশিকারকে যারা জীবিকা করে তোলে, যারা জঙ্গলের গাছ কেটে পাচার করে, তাদের আটকাতে না-পারলে শুধু আইন প্রণয়ন করে কিংবা জাতীয় উদ্যান বা অভয়ারণ্য গড়ে তুলে প্রকৃতপক্ষে কোনো কিছুই করা যাবে না। সুতরাং, সমগ্র পৃথিবীজুড়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সম্পর্কে চাই সার্বিক সচেতনতা ও সক্রিয় উদ্যোগ।

Fil in the blanks

২.১ এক যে ছিল ছোট্ট হলুদ বাঘ তাদের   বাসা।

উত্তরঃ পাখিরালয়

২.২                     বাঘে হেথায় বাঁধে ডেরা?

উত্তরঃ ভদ্র

২.৩                        আকাশপথে হাওয়া।

উত্তরঃ এক মিনিটেই

২.৪                          সব কাঁকড়া বেড়ায় হেঁটে।

উত্তরঃ  লালঠেঙো

২.৫                        লজ্জা পেলেন তখন।
উত্তরঃ বাঘজননী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *