WBBSE Class 6 Bangla Chapter 20 Solution | Sahityamela “সাহিত্যমেলা” Bengali Medium

Class 6 Chapter 20 Solution

মোরা দুই সহোদর ভাই

Very Short Question Answer

১. ‘সহোদর’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তরঃ সহোদর শব্দের অর্থ হল- একই মায়ের গর্ভে জন্ম নেওয়া ভাই বা বোন। 

২. হিন্দু ও মুসলিম কার সৃষ্টি?

উত্তরঃ হিন্দু- মুসলিম একই বিধাতা অর্থাৎ, ঈশ্বরের সৃষ্টি।

৩. মড়কের ফলে কারা মারা যায়?

উত্তরঃ মড়কের ফলে হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষই মারা যায়।

৪. দুজনেরই মাঠে কী ঝরে?

উত্তরঃ দুই জনেরই মাঠে সমান পরিমাণ বৃষ্টি ঝরে।

৫. হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে তফাত কোথায়?

উত্তরঃ হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে মূলত বাহ্যিক তফাত দেখা যায়।

৬. “এক বৃন্তে দুটি কুসুম”-এর অর্থ কী?
উত্তরঃ ‘অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর’ অংশের ২.১ প্রশ্নের উত্তরটি দ্যাখো।

৭. ‘দুই সহোদর ভাই’ বলে চিহ্নিত হিন্দু-মুসলমানকে কবি কোন্ উপমা দিয়েছেন?

উত্তরঃ ‘দুই সহোদর ভাই’ বলে চিহ্নিত হিন্দু-মুসলমানকে কবি ‘এক বৃন্তে দুটি কুসুম’ এই উপমা দিয়েছেন।

৮. কবির কথা অনুসারে হিন্দু-মুসলিম কাদের সৃষ্টি?

উত্তরঃ কবির কথা অনুসারে হিন্দু-মুসলিম একই ঈশ্বরের বা আল্লার সৃষ্টি।

৯. ‘দুই সহোদর’ ভাইয়ের মধ্যে কী ঘটেছে?

উত্তরঃ ‘দুই সহোদর’ ভাইয়ের মধ্যে অকারণে বিবাদ-বিসংবাদ কিংবা অহেতুক মনোমালিন্য ঘটেছে বলে কবি মনে করেন।

১০ “খোদার উপর করি যে খোদকারি।”- বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

উত্তরঃ “খোদার উপর করি যে খোদকারি” বলতে কবি ঈশ্বরের সৃষ্টির ওপর অসংগত, অনুচিত হস্তক্ষেপ করাকে বুঝিয়েছেন।

১১.’আমাদের হীন-দশা’ কবির কাছে কী আখ্যা পেয়েছে?

উত্তরঃ ‘আমাদের হীন-দশা’ কবির কাছে ‘ভয়াবহ শাস্তি’ আখ্যা পেয়েছে।

১২. ‘মড়ক’ ও ‘বন্যায়’ কী হয়?

উত্তরঃ ‘মড়ক’ এলে হিন্দু-মুসলমান উভয়ই মারা যায়, আর ‘বন্যায়’ তাদের উভয়েরই ঘরবাড়ি ভেসে যায়।

১৩. হিন্দু-মুসলমানের বাইরের স্বরূপ কী?
উত্তরঃ হিন্দু-মুসলমানের বাইরের স্বরূপ হল-তারা আপাতভাবে আচরণে পৃথক, রঙে স্বতন্ত্র।

১৪. কবি কাজী নজরুল ইসলামের কোন্ কবিতা প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র বাংলায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল?

উত্তরঃ কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র বাংলায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল।

১৫. তাঁর লেখা দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখো।

উত্তরঃ তাঁর লেখা দুটি কবিতার বইয়ের নাম হল- ‘অগ্নিবীণা’ ও ‘বিষের বাঁশি’।

১৬. ‘মোরা দুই সহোদর ভাই’ কবিতায় ‘সহোদর’ কারা?

উত্তরঃ ‘মোরা দুই সহোদর ভাই’ কবিতায় ‘সহোদর’ হল- হিন্দু ও মুসলমান ধর্মাবলম্বী মানুষ।

১৭.’আমাদের হীন-দশা এই তাই’-আমাদের এই ‘হীন- দশা’-র কারণ কী?

উত্তরঃ আমাদের এই ‘হীন-দশা’র কারণ হল নিজেদের মধ্যে বিবাদে শামিল হওয়া।

১৮. “বাইরে শুধু রঙের তফাত ভিতরে ভেদ নাই”- ‘রঙের তফাত’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তরঃ ‘রঙের তফাত’ বলতে কবি মানুষের দৈহিক তথা বাহ্যিক পার্থক্যকে বুঝিয়েছেন।

Short Question Answer

১. “খোদার উপর করি যে খোদকারি।” -এই অংশটি কার লেখা, কোন্ কবিতার অংশ? এর অর্থ কী?

উত্তরঃ ৩.২ এই অংশটি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘মোরা দুই সহোদর ভাই’ কবিতার অংশ। এর অর্থ হল হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই নিজেদের মধ্যে বিবাদ করে ও ঈশ্বরের সৃষ্টির ওপর অনুচিত হস্তক্ষেপ করে থাকে।

২. “চাঁদ সুরুষের আলো কেহ কম-বেশি কি পাই” -এই অংশের মধ্যে দিয়ে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ আলোচ্য কবিতার এই অংশে ‘সুরুষের’ অর্থ হল সূর্য। হিন্দু ও মুসলিম এই দুই জাতি সমানভাবে চাঁদ ও সূর্যের আলো পায়, কেউ কম বা বেশি লাভ করে না। এটাই এই অংশের মধ্যে দিয়ে কবি বোঝাতে চেয়েছেন।

Long Question Answer

১. “এক বৃন্তে দুটি কুসুম এক ভারতে ঠাঁই”-পঙ্ক্তিটিতে প্রদত্ত উপমাটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ  ‘এক বৃন্তে দুটি কুসুম’ কথার অর্থ হল একই বোঁটায় ফুটে ওঠা দুটি ফুল। কবিতায় এই দুটি ফুল হল হিন্দু ও মুসলমান ধর্মাবলম্বী ভারতবাসী। কারণ, এরা সবাই ভারতবর্ষ নামক বৃত্ত-রূপ রাষ্ট্রে অবস্থান করে। ভারতীয়ত্বের বোধ এদেরকে পারস্পরিক বন্ধুত্বের আবহে অক্ষুণ্ণ রাখে। মনুষ্যত্ববোধে উদ্বুদ্ধ কবি কাজী নজরুল ইসলামও মানুষের মধ্যেকার ধর্মকেন্দ্রিক এই ক্ষুদ্র বিভাজনকে স্বীকার করেন না। বরং, তিনি ভারতীয়ত্ব ও মানবধর্মকে মেনে নেন। আর এ কারণেই কবি ভারতবাসী হিসেবে হিন্দু-মুসলমানকে ভারতবর্ষরূপ বৃন্তে ফুটে ওঠা দুটি ফুলের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

২. “সব জাতিরই সকলকে তাঁর দান যে সমান করে”-কার, কোন্ দানের কথা এখানে বলা হয়েছে?

উত্তরঃ আলোচ্য পঙ্ক্তিটিতে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের দানের কথা বলা হয়েছে। পৃথিবীর সর্বজাতি, সর্বশ্রেণির মানুষ ঈশ্বরের করুণা লাভ করে বেঁচে থাকে। তিনি যেমন চাঁদ ও সূর্যের আলো সবাইকে সমানভাবে দেন, তেমনই সবাইকে সমান পরিমাণে বৃষ্টি দান করেন। আবার মারণরোগ মড়ক, কিংবা ধ্বংসরূপ বন্যাও দেন এবং এ-দুইয়ের ভয়াবহ প্রভাবে হিন্দু-মুসলমান সমান হারে মারা যায়। ঈশ্বরের এইসব দান থেকে কেউ বঞ্চিত হয় না। হিন্দু-মুসলমান, ধনী-দরিদ্র সবাই সমানভাবে ঈশ্বরের করুণা বা ঘৃণা লাভ করে থাকে। ঈশ্বর মানুষের মধ্যে কোনো ভেদ রাখেননি। কবি ঈশ্বরের সেই ঝড়- বৃষ্টি-বন্যা-মড়ক, চাঁদ, সূর্যের আলো, ভালো-মন্দ, কল্যাণ-অকল্যাণ রূপ দানের কথা বলেছেন।

৩. “চাঁদ সুরুষের আলো কেহ কম-বেশি কি পাই”- ‘চাঁদ সুরুষের আলো’ কী? কবির এই প্রশ্নটির অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝিয়ে দাও।

উত্তরঃ ‘চাঁদ সুরুষের আলো’ হল চাঁদ ও সূর্যের আলো। চাঁদের আলোকে আমরা জ্যোৎস্না এবং সূর্যের আলোকে রৌদ্র বলি।

বিশ্বচরাচরে চাঁদ ও সূর্য একটাই। তারা পৃথিবীর সব মানুষকে সমানভাবে আলো দেয়। পশুপাখি, গাছগাছালি থেকে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কীট-কেউই এই আলো থেকে বঞ্চিত হয় না। ঈশ্বর বা খোদার কাছে জগতের সবাই সমান। হিন্দু বা মুসলমানও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু মানুষ নিজেরাই নিজেদের মধ্যে বিভেদ টেনে বিচ্ছিন্ন থাকে। কবি তাই বলতে চেয়েছেন- চাঁদ সূর্য যেমন সবাইকে সমানভাবে আলো দেয়, তারা যেমন একই আকাশে অবস্থান করে, তেমনই হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই ভারতে পারস্পরিক সহোদর ভাইয়ের মতো থাকুক। তারা দুজনে যেন একে অন্যকে পর না-ভাবে, কারণ তারা দুজনেই একই ভারতমাতার সন্তান।

Grammar

‘বি’ উপসর্গ যোগে পাঁচটি শব্দ তৈরি করো:

উত্তরঃ বিনাশ, বিকাশ, বিহার, বিমান, বিলুপ্ত।

১. মোরা বিবাদ করে খোদার উপর করি যে খোদকারি।

উত্তরঃ করে-অসমাপিকা ক্রিয়া।

করি-সমাপিকা ক্রিয়া।

২. দুই জাতি ভাই সমান মরে মড়ক এলে দেশে।

উত্তরঃ এলে-অসমাপিকা ক্রিয়া।

মরে-সমাপিকা ক্রিয়া।

৩. সব জাতিরই সকলকে তাঁর দান যে সমান করে।
উত্তরঃ করে-সমাপিকা ক্রিয়া।