Class 8 Chapter 2 Solution
অস্থিত পৃথিবী
MCQs
1. ‘প্যানজিয়া’ হল একটি-
(a) মহাদেশ
(b) মহাসাগর
(c) মহীখাত
(d) ভঙ্গিল পর্বত
উত্তর: (a) মহাদেশ।
2. মহীসঞ্চরণ তত্ত্বের প্রবক্তা হলেন-
(a) ম্যাকেঞ্জি
(b) পার্কার
(c) ওয়েগনার
(d) মর্গ্যান
উত্তর: (c) ওয়েগনার।
3. ‘পাত’ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন-
(a) ম্যাকেঞ্জি
(b) উইলসন
(c) জেফ্রি
(d) পিঁচো
উত্তর: (b) উইলসন।
4. আধুনিক পাত সংস্থান তত্ত্বের জনক-
(a) লি পিঁচো
(b) পার্কার
(c) হ্যারি হেস
(d) মরগ্যান
উত্তর: (a) লি পিঁচো।
5. আলফ্রেড ওয়েগনারের মতে প্যানজিয়ার উত্তর অংশের নাম-
(a) আঙ্গারাল্যান্ড
(b) গন্ডোয়ানাল্যান্ড
(c) হিন্টারল্যান্ড
(d) প্যান্থালাসা
উত্তর: (a) আঙ্গারাল্যান্ড।
6. পাত সংস্থান তত্ত্বটির প্রচলন হয়-
(a) 1970-এর দশকে
(b) 1960-এর দশকে
(c) 2060-এর দশকে
(d) 1860-এর দশকে
উত্তর: (b) 1960-এর দশকে।
7. অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারের উয়তা প্রায় সে.।
(a) 1,400° সে.
(b) 2,000° সে.
(c) 2,500° সে.
(d) 3,200° সে.
উত্তর: (a) 1,400° সে.।
৪. পৃথিবীতে মোট ছোটো পাতের সংখ্যা-
(a) 6টি
(b) 10টি
(c) 20টি
(d) 30টি
উত্তর: (c) 20টি।
9. যখন দুটি পাত একে অপরের বিপরীত দিকে চালিত হয়, তখন সেই পাত সীমান্তকে বলে ।
(a) অভিসারী পাত সীমান্ত
(b) অপসারী পাত সীমান্ত
(c) নিরপেক্ষ পাত সীমান্ত
(d) সংরক্ষণশীল পাত সীমান্ত
উত্তর: (b) অপসারী পাত সীমান্ত।
10. যখন দুটি পাত পরস্পরের দিকে অগ্রসর হয়, তখন সেই পাত সীমান্তকে বলে ।
(a) অভিসারী পাত সীমান্ত
(b) অপসারী পাত সীমান্ত
(c) নিরপেক্ষ পাত সীমান্ত
(d) সংরক্ষণশীল পাত সীমান্ত
উত্তর: (a) অভিসারী পাত সীমান্ত।
11. হিমালয় পর্বত যে প্রকার পাত সীমান্তে গড়ে উঠেছে তা হল ।
(a) অপসারী পাত সীমান্ত (b) গঠনকারী পাত সীমান্ত
(c) অভিসারী পাত সীমান্ত (d) নিরপেক্ষ পাত সীমান্ত
উত্তর: (a) অভিসারী পাত সীমান্ত।
12. সর্বাধিক ভূমিকম্প প্রবণ হল ।
(a) অভিসারী পাত সীমান্ত (b) অপসারী পাত সীমান্ত
(c) নিরপেক্ষ পাত সীমান্ত (d) সংরক্ষণশীল পাত সীমান্ত
উত্তর: (c) অভিসারী পাত সীমান্ত।
13. অভিসারী পাতের ক্ষেত্রে নিমজ্জিত পাতের ঢালু অংশকে বলে-
(a) ত্রিপাত সীমান্ত
(b) ট্রান্সফর্ম চ্যুতি
(c) মধ্য মহাসাগরীয় শৈলশিরা
(d) বেনিয়ফ জোন
উত্তর: (d) বেনিয়ফ জোন।
14. পাত গাঠনিক আলোড়নের কারণে আয়তন বাড়ছে ।
(a) প্রশান্ত মহাসাগরের
(b) আটলান্টিক মহাসাগরের
(c) ভারত মহাসাগরের
(d) কুমেরু মহাসাগরের
উত্তর: (b) আটলান্টিক মহাসাগরের।
15. মহাদেশীয় পাত ও মহাসাগরীয় পাতের সংযোগস্থলে সৃষ্টি হয়েছে-
(a) কুয়েনলুন পর্বত
(b) তিব্বত মালভূমি
(c) রকি পর্বত
(d) হিমালয় পর্বত
উত্তর: (c) রকি পর্বত।
16. রিখটার স্কেলের সর্বনিম্ন মান-
(a) 10
(b) 6
(c) 4
(d) 0
উত্তর: (d) ০।
17. হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মৌনালোয়া আগ্নেয়গিরি হল একটি ।
(a) সক্রিয় আগ্নেয়গিরি
(b) নিষ্ক্রিয় আগ্নেয়গিরি
(c) সুপ্ত আগ্নেয়গিরি
(d) মৃত আগ্নেয়গিরি
উত্তর: (a) সক্রিয় আগ্নেয়গিরি।
18. ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ক্ষয়ক্ষতি করতে সক্ষম হয় ।
(a) P তরঙ্গ
(b) S তরঙ্গ
(c) L তরঙ্গ
(d) K তরঙ্গ।
উত্তর: (c) LI
19. ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত গাঢ়, সান্দ্র লাভার স্থানীয় নাম হল ।
(a) ক-ক
(b) অ-অ
(c) পা-হো-হো
(d) আ-আ।
উত্তর: (d) আ – আ
20. সর্বাধিক সুনামি লক্ষ করা যায় ।
(a) জাপানে
(b) ফ্রান্সে
(c) ভারতে
(d) আমেরিকায়।
উত্তর: (a) জাপানে।
21. অ্যাসথেনোস্ফিয়ার অবস্থান করে ।
(a) গুরুমন্ডলের ঊর্ধ্বস্তরে (b) গুরুমণ্ডলের নিরস্তরে
(c) কেন্দ্রমন্ডলের ঊর্ধ্বস্তরে (d) কেন্দ্রমণ্ডলের নিম্নস্তরে।
উত্তর: (a) গুরুমণ্ডলের ঊর্ধ্বস্তরে।
Very Short Question Answer
1. সুদূর অতীতে পৃথিবীর সমগ্র স্থলভাগকে একত্রে কী বলা হত?
উত্তর: প্যানজিয়া।
2. সুদূর অতীতে পথিবীর সমগ্র জলভাগকে একত্রে কী বলা হত?
উত্তর: প্যানথালাসা।
3. আঙ্গারাল্যান্ডের অপর নাম কী?
উত্তর: লরেসিয়া।
4. আজ থেকে কত বছর আগে প্যানজিয়া দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল?
উত্তর: প্রায় 30 কোটি বছর আগে।
5. উইলসন কখন ও কোথায় প্রথম পাত কথাটি ব্যবহার করেন?
উত্তর: 1965 সালে নেচার পত্রিকায়।
6. পাতগুলো গড়ে কত কিমি. পুরু?
উত্তর: 17-150 কিমি.।
7. পাত সঞ্চরণের প্রধান কারণ কী?
উত্তর: ক্ষুব্ধমণ্ডলের ম্যাগমার পরিচলন স্রোত।
৪. পৃথিবীতে মোট বড়ো পাতের সংখ্যা কয়টি?
উত্তর: 6টি।
9. যে পাত সীমানায় পাতের ধ্বংস বা সৃষ্টি কিছুই হয় না, তারে কী বলে?
উত্তর: সংরক্ষণশীল বা নিরপেক্ষ পাত সীমানা।
10. প্রতিসারী পাত সীমানার অপর নাম কী?
উত্তর: গঠনকারী পাত সীমানা।
11. অভিসারী পাত সীমানার অপর নাম কী?
উত্তর: বিনাশকারী পাত সীমানা।
12. সান আন্দ্রিজ চ্যুতি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
13. আগ্নেয় পর্বতের অপর নাম কী?
উত্তর: সঞ্চয়জাত পর্বত।
14. বিদার অগ্ন্যুৎগমের ফলে সৃষ্ট একটি অঞ্চলের নাম লেখো।
উত্তর: ভারতের দাক্ষিণাত্য মালভূমি।
15. মেক্সিকোর পারিকুটিন কোন্ ধরনের আগ্নেয়গিরি?
উত্তর: মৃত আগ্নেয়গিরি।
16. ভারতের একটি জীবন্ত আগ্নেয়গিরির নাম লেখো।
উত্তর: আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের নিকট ব্যারেন আগ্নেয়গিরি।
17. হাওয়াই দ্বীপে পাকানো দড়ির মতো দেখতে জমাটবদ্ধ লাভার স্থানীয় নাম কী?
উত্তর: পা-হো-হো।
18. কত সালের ভূমিকম্পে সানফ্রান্সিসকো শহরটি প্রায় সম্পন ধ্বংস হয়েছিল?
উত্তর: 1906 সাল।
19. রিখটার স্কেলের ভূকম্পনের সর্বোচ্চ সূচক মাত্রা কত?
উত্তর: 10।
20. একটি সুপ্ত আগ্নেয়গিরির উদাহরণ দাও।
উত্তর: জাপানের ফুজিয়ামা।
21. সামুদ্রিক উপকূলীয় বিশালাকৃতির জলোচ্ছ্বাসকে কী বলে?
উত্তর: সুনামি।
22. ‘Tektone’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: গঠন করা।
Short Question Answer
প্রশ্ন 1: পাত সঞ্চালন আমরা বুঝতে পারি না কেন?
উত্তর : বহিঃগুরুমণ্ডলের চারপাশে অবস্থিত অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারে সৃষ্ট ম্যাগমা স্রোত বা পরিচলন স্রোতের প্রভাবে সুবিশাল পাতগুলি অনুভূমিকভাবে সর্বদাই চলমান আছে। পাতগুলির ওজন বা ভর এবং আয়তন বেশি হওয়ায় এরা সুদীর্ঘকাল ধরে অত্যন্ত ধীর গতিতে সঞ্চারিত হচ্ছে। যেমন-আমেরিকান পাত প্রতি বছর 2-3 সে.মি. এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেট প্রতি বছর প্রায় 10 সে.মি. করে পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে চলেছে। এছাড়াও ভারতীয় পাত প্রতি বছর 7-10 সে.মি. করে উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব দিকে সরে যাচ্ছে। খুব ধীরে পাত চলনের জন্য এদের সঞ্চরণ বোঝা যায় না।
প্রশ্ন 2: প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা কী? অথবা, প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় বলয় কী?
উত্তর: ‘মেখলা’ কথাটির অর্থ ‘কোমর বন্ধনী’। পৃথিবীর প্রায় 70 শতাংশ জীবন্ত আগ্নেয়গিরি বৃত্তাকারে প্রশান্ত মহাসাগরকে ঘিরে রেখেছে। এই কারণে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল অঞ্চলকে বেষ্টনকারী আগ্নেয়গিরির সারিকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা অথবা প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয়বলয় বলে। এই মহাসাগরের পূর্ব উপকূলে অর্থাৎ উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে এবং প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম উপকূলে, অর্থাৎ এশিয়ার পূর্ব উপকূলে বেরিং প্রণালী থেকে ইন্দোনেশিয়া হয়ে নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত আগ্নেয়গিরি ঘিরে আছে।
প্রশ্ন 3: ‘শিলামণ্ডলীয় পাত’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর: অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারে অর্ধগলিত বা সান্দ্র ম্যাগমার ওপর ভাসমান ও সঞ্চরণশীল কঠিন, বিভিন্ন অনমনীয়, ভঙ্গুর ভূখণ্ডগুলিকে শিলামণ্ডলীয় পাত (Lithospheric Plate) বলে। উল্লেখ্য, 1965 সালে জে. তুজো. উইলসন নেচার পত্রিকায় ‘পাত’ কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন।
প্রশ্ন 4: ম্যাগমা (Magma) কাকে বলে?
উত্তর: পৃথিবীর অভ্যন্তরে সঞ্চিত উত্তপ্ত গলিত বা অর্ধগলিত তরল পদার্থকে ম্যাগমা বলে। ভূগর্ভে তাপ, চাপ ও রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রভাবে ভূগর্ভের পদার্থের স্থিতিশীলতা নষ্ট হয় এবং এইসব পদার্থসমূহ গলে গিয়ে ম্যাগমার সৃষ্টি হয়। ম্যাগমায় বিষাক্ত গ্যাস, বাষ্প ও নানান ধরনের রাসায়নিক, ধাতব ও অধাতব অর্ধতরল পদার্থ গলিত অবস্থায় থাকে।
প্রশ্ন 5: লাভা (Lava) কাকে বলে?
উত্তর: ভূ-অভ্যন্তর থেকে পৃথিবীপৃষ্ঠে বেরিয়ে আসা উত্তপ্ত ও গলিত অর্ধতরল সিলিকেট পূর্ণ পদার্থকে লাভা বলে। উল্লেখ্য, লাভার মধ্যে উদ্বায়ী পদার্থ ও জলীয় বাষ্প থাকে না।
প্রশ্ন 6: অভিসারী পাত সীমানাকে বিনাশকারী পাত সীমানা বলে কেন?
উত্তর: যে পাত সীমানা বরাবর দুটি পাত পরস্পরের দিকে এগিয়ে এসে একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, সেই পাত সীমানাকে অভিসারী পাত সীমানা (Convergent Plate Margin) বলে।
এই পাত সীমানায় অপেক্ষাকৃত ভারী পাতটি হালকা পাতের তলায় অনুপ্রবেশ করে এবং ভারী পাতের নিমজ্জিত অংশের অবলুপ্তি বা বিনাশ ঘটে। সেজন্য এই পাত সীমানাকে বিনাশকারী পাত সীমানা বলে। উদাহরণ: প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত ও আমেরিকা পাতের সংযোগস্থল।
প্রশ্ন 7: অগ্ন্যুদগমকে ভূগাঠনিক প্রক্রিয়া বলে কেন?
উত্তর: অগ্ন্যুৎপাতের ফলে লাভা বা ম্যাগমা সঞ্চিত ও জমাটবদ্ধ হয়ে ভূপৃষ্ঠে বা উপপৃষ্ঠে অনেক ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়। যেমন- নিঃসারী অগ্ন্যুৎপাতের ফলে আগ্নেয়গিরি, আগ্নেয় দ্বীপ, লাভা মালভূমি, সামুদ্রিক শৈলশিরা প্রভৃতি ভূমিরূপ গঠিত হয়। অন্যদিকে, উদ্দ্বধী অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সিল, ডাইক, ল্যাকোলিথ, ফ্যাকোলিথ, ল্যাপোলিথ, ব্যাথোলিথ, কনোলিথ প্রভৃতি ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়। সেজন্য অগ্ন্যুদগমকে ভূগাঠনিক প্রক্রিয়া (Land forming Process) বলা হয়।
প্রশ্ন 8: গুরুমণ্ডলের পদার্থগুলো প্লাস্টিকের মতো আচরণ করে কেন?
উত্তর: ভূঅভ্যন্তরে গভীরতা বৃদ্ধির সাথে সাথে উয়তা বৃদ্ধি পেতে থাকে। সেকারণে পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ অত্যন্ত উত্তপ্ত অবস্থায় আছে। গুরুমণ্ডলের উন্নতা প্রায় 2000°-3000° সে.। এই অতি তীব্র উন্নতায় সমস্ত শিলা গলে যাওয়ার কথা, কিন্তু ওপরের স্তরের প্রচণ্ড চাপে গলনাঙ্ক বেড়ে যায়। ফলে শিলা আংশিক গলে, পিচ্ছিল হয়ে প্লাস্টিকের মতো বা গলিত পিচের মতো আচরণ করে।
প্রশ্ন 9: ‘পা হো হো’ কী?
উত্তর: ‘পা হো হো’ হল এক ধরনের লাভা। অত্যন্ত পাতলা ক্ষারকীয় লাভা আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত হয়ে বহুদূর প্রসারিত হয়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে লাভাক্ষেত্র সৃষ্টি করে। এর উপরিভাগ পাকানো দড়ির মতো দেখতে লাগে। হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় ভাষায় একে ‘পা হো হো’ লাভা বলে।
প্রশ্ন 10: ‘আ-আ’ কী?
উত্তর: ভূপৃষ্ঠের ওপর কোথাও কোথাও অতি সান্দ্র গাঢ় লাভা প্রবাহ দেখা যায়। লাভা গাঢ় হওয়ায় বেশি দূর প্রবাহিত হতে পারে না। এই লাভা দিয়ে তৈরি লাভাক্ষেত্রের পৃষ্ঠদেশ অমসৃণ ঝামা ইটের মতো দেখতে হয় এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চল অপেক্ষা কিছুটা উঁচু হয়ে অবস্থান করে। হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় ভাষায় একে ‘আ-আ’ লাভা বলে।
প্রশ্ন 11: সিসমোগ্রাম বা ভূকম্প পরিলেখ কাকে বলে?
উত্তর: সিসমোগ্রাফ বা ভূকম্পমাপক যন্ত্রে ভূকম্পন তরঙ্গের যে আঁকাবাঁকা রেখাচিত্র কাগজে ফুটে ওঠে, তাকে সিসমোগ্রাম (Seismogram) বলে। এই গ্রাফ বামদিক থেকে ডানদিকে অগ্রসর হয়। এর সাহায্যে ভূমিকম্পের সময়, তীব্রতা, স্থায়িত্ব প্রভৃতি জানা যায়।
প্রশ্ন 12: বিপর্যয় প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে কেন?
উত্তর : প্রাকৃতিক দুর্যোগ অনেক সময় বিপর্যয়ের ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। তার কারণগুলি হল- (i) পৃথিবীব্যাপী জনসংখ্যা অত্যধিক বৃদ্ধি বা জনবিস্ফোরণ, (ii) দুর্বল ভূমিভাগের উপর অপরিকল্পিত নগরায়ণ, (iii) প্রাকৃতিক ভারসাম্যকে বিনষ্ট করে পার্বত্য অঞ্চলে ডিনামাইট বিস্ফোরণ করে রাস্তাঘাট, বাঁধ, জলাধার প্রভৃতি নির্মাণ, (iv) অবৈধ খনি খনন, (v) অপরিকল্পিত বৃক্ষচ্ছেদন ও অনিয়ন্ত্রিত পশুচারণ, (vi) শিল্প ও কলকারখানার সংখ্যা বৃদ্ধি, (vii) বিলাসবহুল জীবনযাপন (এ.সি., ফ্রিজ, এয়ার কুলার প্রভৃতি ব্যবহার), (viii) যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি, (ix) ব্যাপক ভৌমজল উত্তোলন, (x) প্রকৃতিতে সর্বস্তরে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ বৃদ্ধির ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রশ্ন 13: পরিচলন স্রোত কাকে বলে?
উত্তর: ভূঅভ্যন্তরের উত্তপ্ত গলিত পদার্থ হালকা হয়ে ওপরের দিকে উঠে আসে এবং দুপাশে প্রবাহিত হয়ে শীতল ভারী হয়ে নীচে নেমে আসে, এভাবে উল্লম্ব চক্রাকারে স্রোতের মাধ্যমে তাপ পরিবহণ সৃষ্টি হয়, তাকে পরিচলন স্রোত বলে।
প্রশ্ন 14: ভূতাত্ত্বিক কাল কাকে বলে?
উত্তর: পৃথিবী সৃষ্টির সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত কাল পরিসরকে ভূতাত্ত্বিক কাল। ভূতাত্ত্বিক সময় সাপেক্ষে 40 লক্ষ বছর প্রায় নগণ্য। পৃথিবী সৃষ্টির সময় ধরা হয় প্রায় 460 কোটি বছর।
প্রশ্ন 15: কর্দম প্রবাহ কাকে বলে?
উত্তর: ঢালযুক্ত পর্বত গাত্র বেয়ে জলের সহায়তায় সূক্ষ্ম দানাযুক্ত মৃত্তিকার প্রবাহকে কর্দম প্রবাহ বলে। আগ্নেয় ভস্ম, বৃষ্টির জল, তুষারগলা জলের সঙ্গে মিশে অনেক সময় বিপজ্জনক কর্দম প্রবাহ সৃষ্টি করে বিস্তীর্ণ এলাকাকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়।
Long Question Answer
প্রশ্ন 1: ভূমিকম্পের কারণগুলি সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ভূমিকম্পের নানাবিধ কারণগুলিকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলি হল-
(ক) প্রাকৃতিক কারণ:
(1) পাত সঞ্চালন: আধুনিক ভৌগোলিক মতে ভূত্বক কতকগুলি সঞ্চরণশীল পাতের সমন্বয়ে গঠিত। গতিশীল পাতগুলি যখন পরস্পর থেকে দূরে সরে যায়, বা পরস্পরের কাছে এলে বা পাশাপাশি চলনের ফলে ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়।
(2) ভূআলোড়ন: ভূঅভ্যন্তরে ম্যাগমা গহ্বরের পরিচলন স্রোতের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠের কোথাও সংকোচন, আবার কোথাও প্রসারণে ভূপৃষ্ঠের স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়ে ভূমিকম্প সংঘঠিত হয়।
(3) অগ্ন্যুৎপাত: অগ্নুৎপাতের সময় আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে উত্তপ্ত লাভার প্রবল চাপে ভূমিকম্প হয়।
(4) নবীন ভঙ্গিল পর্বতমালা: নবীন ভঙ্গিল পার্বত্য অঞ্চলে গঠন প্রক্রিয়া চলায় ভূপৃষ্ঠের স্থিতিশীলতা এখনও না আসায়, মাঝে মাঝে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
(5) ধস: সুউচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে ধস নামলে ভূমিকম্প হয়।
(6) বাষ্পরাশিতে চাপ: কোনো কারণে ভূগর্ভে সঞ্চিত বাষ্পরাশিতে চাপের কম বা বেশিতে ভূমিকম্প হয়।
(7) হিমানী সম্প্রপাত: পার্বত্য অঞ্চলে হিমানী সম্প্রপাতের ফলে ভূ মিকম্প হয়।
(৪) কার্স্ট অঞ্চলে ছাদের ধস: চুনাপাথর যুক্ত অঞ্চলে ভূঅভ্যন্তরের জলধারা ক্ষয়ে পাতলা হওয়া গুহার ছাদ ধসে পড়ে, ভূমিকম্প ঘটায়।
(9) উল্কাপাত : উল্কা বা ধুমকেতুর মতো বিশাল বস্তুর সঙ্গে পৃথিবীপৃষ্ঠের সংঘাতের ফলে ভূমিকম্প হয়।
(10) ভূগর্ভস্থ তাপ বিকিরণ : ভূগর্ভ ক্রমাগত তাপ বিকিরণ করে সংকুচিত হচ্ছে। ফলে শিলাস্তরের উপরে টান ও পীড়নের পরিমান বৈশি হলে ফাটলের সৃষ্টি হয় ফলে ভুপৃষ্ঠের স্থিতিশীলতা না ও ভূমিকম্প ঘটে।
(খ) অপ্রাকৃতিক বা মনুষ্যসৃষ্ট কারণ:
(1) জলাধার নির্মাণ: নদীতে বাঁধ নির্মাণের ফলে পৃষ্ঠ জলাধারে জলরাশির চাপে ভূকম্পন হতে পারে।
(2) পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ: বর্তমানে বিভিন্ন রাষ্ট্র ভূ-অভ্যন্তরে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নানা ধরনের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবার সময় পার্শ্ববর্তী অঞ্চয়ে ভূমিকম্প হয়।
(3) অন্যান্য: প্রকৃতিকে মানুষ নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে গিয়ে কৃত্রিমভাবে ভূমিকম্পের সৃষ্টি করে। যেমন-ডিনামাই দিয়ে পাহাড় ফাটিয়ে পাহাড় কেটে রাস্তা, গিরিপথ, সুড়ঙ্গ তৈরি করার সময় বা, অবৈজ্ঞানিকভাবে খনিজ পদার্থ উত্তোলন করার সময়ও ভূমিকম্প হয়ে থাকে।
প্রশ্ন 2: বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে?
উত্তর: যে সব ঘটনায় মানুষ ও প্রকৃতির ব্যাপক ক্ষতি, জীবের মৃতু ঘটে, বাইরের সাহায্যের প্রয়োজন হয় এবং পরিবেশের ক্ষতি সহজেই মেটে না তা হল বিপর্যয়। বিপর্যয় প্রশমনের জন বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করা যেতে পারে, সেগুলি হল-
(i) জরুরিকালীন জিনিসপত্র যেমন খাদ্য, ঔষধ, আলো, শুকনে খাবার, চাল-ডাল, জামা-কাপড়, পানীয় জল ইত্যাদি গুছিয়ে রাখা।
(ii) বাড়ির ঝুঁকিপূর্ণ ও দুর্বল স্থান চিহ্নিত করা এবং মেরামত করা।
(iii) ভূমিকম্প চলাকালীন বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসা, অথবা শস্ত আসবাবপত্রের নীচে আশ্রয় নেওয়া।
(iv) রেডিয়ো ও টিভির মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়/বন্যার আগাম সতর্কবার্তা জারি করা ও বিপর্যয় সংক্রান্ত গুজব প্রতিরোধ করা।
(v) অঞ্চলভেদে ধরণ, সম্ভাবনা বিপর্যয়ের ধরন, সম্ভাবনা ও তার ফলাফল সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।
(vi) প্রচুর বৃক্ষরোপণ করা, মৃত্তিকা সংরক্ষণ করা ও বনভূমিতে পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ করা।
(vii) বিপর্যয় প্রশমনে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনাও পরিকল্পনা গ্রহণ বাস্তবায়ন করা।
(viii) বিপর্যয় প্রতিরোধে যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দল গঠন করতে হবে। বিপর্যয় মোকাবিলায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলা।
(ix) বিপর্যয় পরবর্তী প্রভাব ও ক্ষয়ক্ষতির অনুসন্ধান করা।
প্রশ্ন 3: অগ্ন্যুৎপাতের কারণগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তর: সংজ্ঞা: যে প্রক্রিয়ার দ্বারা ভূঅভ্যন্তরের গলিত ম্যাগমা, গ্যাস, ধোঁয়া, বাষ্প, রাসায়নিক উপাদান ভূত্বকের কোনো ফাটল বা দুর্বল স্থানের মধ্য দিয়ে নিঃশব্দে বা বিস্ফোরণ সহকারে ধীরে গতিতে বা প্রচন্ড দ্রুতবেগে ভূপৃষ্ঠে নির্গত হয়ে সঞ্চিত হয় বা ভূত্বকের বিভিন্ন ফাটলে অনুপ্রবেশ করে বিভিন্ন ভূমিরূপ গঠন করে, সেই প্রক্রিয়াকে অগ্ন্যুৎপাত বলে।
অগ্ন্যুৎপাতের বা অগ্ন্যুদ্গমের কারণসমূহ:
1. পাত সঞ্চালন: ভূবিজ্ঞানী জেভিয়া লি পিঁচো-র ‘পাত সংস্থান তত্ত্ব’ অনুসারে বলা যায় যে, একটি মহাসাগরীয় পাত ও একটি মহাদেশীয় পাত যখন অভিসারী হয়, তখন উভয় পাতের মিলন স্থলে প্রবল চাপের বৃদ্ধির ফলে সেখানকার তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে নিম্নগামী মহাসাগরীয় পাতসহ সেই স্থানের ম্যাগমা গলে গিয়ে অধিক তরল হয়ে হালকাও প্রসারিত হয়ে ওই তরল ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের দুর্বল স্থান দিয়ে নির্গত হয়ে এসে সঞ্চয়জাত পর্বত বা আগ্নেয় পর্বতের সৃষ্টি হয়।
2. উয়তা বৃদ্ধি: ভূঅভ্যন্তরে গভীরতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উন্নতা বৃদ্ধির প্রভাবে সেখানে অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারের পদার্থসমূহ আরও তরল এবং গ্যাসীয় বাষ্পে পরিণত হয়ে এবং আয়তনে প্রসারিত ও হালকা হয়ে ভূপৃষ্ঠের ফাটল দিয়ে নির্গত হয়।
3. চাপের হ্রাসবৃদ্ধি: ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে কোথাও ক্ষয় ও কোথাও সঞ্চয় কাজ হলে তার প্রভাব ভূগর্ভের ম্যাগমার উপর পড়ে। চাপের ফলে ম্যাগমার গলনাঙ্ক বৃদ্ধিতে ঘনত্ব বাড়ে এবং চাপমুক্ত হলে ঘনত্ব কমে ম্যাগমা প্রসারিত প্রসারিত ও হালকা হয়। চাপের হ্রাসবৃদ্ধি ঘটলে শিলাস্তরে ফাটল সৃষ্টি হয় এবং সেখান থেকে অগ্ন্যুৎপাত ঘটে।
4. ভূমিকম্প: প্রবল শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে ভূপৃষ্ঠে সৃষ্ট ফাটল পথে ম্যাগমা নির্গত হয়।
5. তেজস্ক্রিয় পদার্থ: ভূঅভ্যন্তরের তেজস্ক্রিয় পদার্থের ভাঙনে সৃষ্ট তাপ বিকিরণের ফলে ম্যাগমা গলে গিয়ে আয়তনে বৃদ্ধি পায় ও প্রসারিত হয়ে পার্শ্ববর্তী অর্ধগলিত শিলার তুলনায় হালকা বলে ওপরের দিকে উঠতে শুরু করে।
6. ভূত্বকের দুর্বল স্থান: ভূত্বকের দুর্বল স্থান বা ফাটল বা চ্যুতির উপস্থিতি থাকলে সেখান থেকে অগ্ন্যুৎপাত হয়।
7. ম্যাগমার প্রকৃতি: ম্যাগমা ক্ষারকীয় হলে তা আয়তনে বৃদ্ধি পেয়ে হালকা হয়ও ঊর্ধ্বমুখী চাপ দেয়। ক্রমে তা ভূপৃষ্ঠে নির্গত হয়।
৪. ভূগর্ভে জলের অনুপ্রবেশ: ভূগর্ভে জল প্রবেশ করলে সেখানকার অক্ষোকৃত বেশি তাপে জল বাষ্পে পরিণত হয় ও ঊর্ধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি করে। যা ভূত্বকের দুর্বল স্থান দিয়ে নির্গত হয়ে অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়।
9. প্লিউমের অবস্থান: ভূগর্ভের তপ্ত অঞ্চল (Hotspot) থেকে ম্যাগমার ঊর্ধ্বমুখী প্রবাহের ফলে ভূত্বক প্রথমে ফুলে ওঠে। তারপর ভূত্বকে সৃষ্ট একাধিক ফাটল থেকে ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা নির্গত হয়ে অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়।
প্রশ্ন 4: পাত সংস্থান তত্ত্বটি (Plate Tectonic Theory) বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: মহাসাগর ও মহাদেশের উৎপত্তি ও বণ্টন, পর্বত, পর্বতশ্রেণি মালভূমি, আগ্নেয়গিরি, অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিকম্প প্রভৃতি বিষয়ে সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়ার সর্বাধুনিক ও সর্বজনগ্রাহ্য তত্ত্বটি হল পাত ভূগাঠনিক তত্ত্ব।
(i) প্রবক্তা : কানাডার প্রখ্যাত ভূপদার্থবিদ জে. তুজো, উইলসন (সর্বপ্রথম ‘প্লেট’ কথাটি ব্যবহার করেন), ডি.পি. ম্যাকেঞ্চি আর.এল পার্কার, উইলিয়াম জে. মরগ্যান, বি. ঈশাক, হোমস, জে অলিভার, ফ্রান্সের জেভিয়া লি. পিঁচো প্রমুখ এই তত্ত্বটিকে সমৃশ করেন। উল্লেখ্য, জেভিয়া লি পিঁচোকে ‘পাত সংস্থান তত্ত্বের প্রকৃত জনক বা স্রষ্টা বলা হয়। কারণ তিনি এই তত্ত্বকে সরলীকৃর করেন।
(ii) তত্ত্বের মূল বিষয় : এই তত্ত্ব অনুসারে সমগ্র শিলামন্ডল 6টি বৃহদাকার প্রধান পাত, ৪টি মাঝারি পাত ও 20টি ছোটো ছোটো পাতের সমন্বয়ে গঠিত। প্রত্যেকটি পাত অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারের উপর ভাসমান ও সঞ্চরণশীল অবস্থায় আছে।
(iii) পাতের গতিশীলতার কারণ: অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারে সান্দ্র ম্যাগমায় সৃষ্ট পরিচলন স্রোতের প্রভাবে পাতগুলি গতিশীল হয়। পরিচলন ঊর্ধ্বমুখী অপসারী স্রোতে পাতগুলি দুদিকে সরে যায় এবং নিম্নমুখী টানে পাতগুলি একে অপরের কাছাকাছি আসে। ভূগর্ভে তেজস্ক্রিয় পদার্থের ভাঙনের ফলে সৃষ্ট তাপশক্তির দ্বারা সৃষ্ট পরিচলন স্রোত পাতের সঞ্চলন ঘটায়।
(iv) পাত সীমান্তের (Plate Boundary) উৎপত্তি: পাতগুলির সঞ্চরণশীলতার বৈচিত্র্য অনুসারে তিন ধরনের সীমানা গঠন করে। সেগুলি হল- (1) পাতগুলি পরস্পরের দিকে এগিয়ে আসলে তাকে (→), যা অভিসারী পাতসীমানা, (2) পাতগুলি কখনো কখনো পরস্পরের থেকে দূরে (←→) সরে যায়, যা অপসারী পাত সীমানা, (3) কখনো কখনো পাতগুলি পরস্পরের সমান্তরালে ধাক্কা না খেয়ে (৫) বিপরীত দিকে যায়, যা নিরপেক্ষ পাত সীমানা বলে।
প্রশ্ন 5: সুনামি কী?
উত্তর: সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্পের ফলে উৎপন্ন বিশাল সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসকে বলে সুনামি। [জাপানি শব্দ ‘সু’ (Tus) অর্থে পোতাশ্রয়, ও ‘নামি’ (Nami) অর্থে তরঙ্গ বা ঢেউকে বোঝায়।
সমুদ্রের তলদেশে পাতের পরস্পর ধাক্কা, ধস, অগ্ন্যুৎপাত, বা ভূমিকম্পের প্রভাবে সমুদ্র জলের আলোড়নে 30-40 মি. উঁচু ঢেউ, 300-1000 কিমি./ঘণ্টা বেগে উপকূলে প্রবল শক্তিতে আছড়ে পড়ে তাকে সুনামি বলে। জাপানে প্রায়ই বন্দর ও পোতাশ্রয় সংলগ্ন প্রবল জলোচ্ছাসে ব্যাপক ক্ষতি হয়। 26 ডিসেম্বর 2008 সালে সুমাত্রা দ্বীপের নিকট উৎপন্ন 8.9 মাত্রার ভূকম্প ভয়ংকর সুনামির ভারতসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার 11 টা দেশে বহু ক্ষয়ক্ষতি ও 3,00,000 প্রাণহানি হয়।
প্রশ্ন 6 : আগ্নেয়গিরির শ্রেণিবিভাগ করো।
উত্তর: অগ্ন্যুৎপাতের সক্রিয়তার ভিত্তিতে আগ্নেয়গিরি তিনপ্রকার হয়, যেমন-সক্রিয়, সুপ্ত ও মৃত।
(1) সক্রিয় আগ্নেয়গিরি – যে সকল আগ্নেয়গিরিগুলো সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে অবিরামভাবে বা প্রায়শই অগ্ন্যুৎপাত হয়। তাকে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি বলে। যেমন-সিসিলির স্ট্রম্বলি, এটমা হাওয়াই দ্বীপের মৌনালোয়া, ভারতের ব্যারেন।
(ii) সুপ্ত আগ্নেয়গিরি-যে সকল আগ্নেয়গিরিতে একবার অগ্নুৎপাতের পর দীর্ঘকাল নিষ্ক্রিয় থেকে হঠাৎ সক্রিয় হয়ে ওঠে বা ভবিষ্যতে অগ্ন্যুৎপাতের সম্ভাবনা থাকে, তাকে সুদ্ধ আগ্নেয়গিরি বলে। যেমন জাপানের ফুজিয়ামা ইন্দোনেশিয়ার ক্রাকাতোয়া, ইতালির ভিসুভিয়াস।
(iii) মৃত আগ্নেয়গিরি-যে সকল আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপায় বহুকাল পূর্বে বন্ধ হয়ে গেছে এবং ভবিষ্যতে অগ্নুৎপাতে সম্ভাবনা খুব কম বা থাকে না তাকে মৃত আগ্নেয়গিরি বলে। যেমন-মেক্সিকোর পারকুটিন, মায়ানমারের পোপো।
প্রশ্ন 7: তপ্তবিন্দু (Hotspot) কী?
উত্তর: সংজ্ঞা: ভূঅভ্যন্তরে পাতের মধ্যস্থলে অবস্থিত কোনো কোনো স্থানের উয়তা পার্শ্ববর্তী স্থান বা অঞ্চলের উন্নতার তুলনায় অনেক বেশি হয়। এইরূপ অধিক উত্তপ্ত স্থান বা অঞ্চলগুলিকে তপ্তবিন্দু বা Hotspot বলে। পৃথিবীর 5% পাতের মধ্যস্থলে তপ্তবিন্দুর ওপর অবস্থান করবে।
আবিষ্কারক: ভূবিজ্ঞানী জেমস মরগ্যান (1971 সাল)।
কারণ: তেজস্ক্রিয় মৌলের আণবিক বিদারণজনিত কারণে উত্তাপ বৃদ্ধি ঘটে।
• অবস্থান: তপ্তবিন্দুগুলি স্থির বা এদের অবস্থান নির্দিষ্ট তাই পাত সঞ্চারণের এর স্থান পরিবর্তন হয় না।
• সংখ্যা: ভূবিজ্ঞানীরা পৃথিবীতে 21টি তপ্তবিন্দুর খোঁজ পেয়েছেন।
• ফলাফল: অধিক উত্তাপের কারণে শিলাসমূহ গলে ম্যাগমার উৎপত্তি ঘটায়। তপ্তবিন্দুগুলি আসলে ম্যাগমার নিঃসরণ বিন্দু। তপ্তবিন্দু থেকে ম্যাগমার ঊর্ধ্বমুখী প্রবাহ প্লিডম সৃষ্টি করে এবং ঊর্ধ্বমুখী পরিচলন স্রোতের মাধ্যমে ম্যাগমার মৌনাকেয়া এইরকম তপ্তবিন্দুর ওপরে রয়েছে।
প্রশ্ন 8: ভূমিকম্পের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কী কী করা উচিত?
উত্তর: ভূমিকম্পের পূর্বাভাস তেমন সঠিকভাবে দেওয়া যায় না। হঠাৎ করে আসে বলে এই দুর্যোগ বা বিপর্যয়ের ফলাফল মারাত্মক হয়। মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য করণীয় বিষয়গুলি হল-
(i) ভূমিকম্পের সময় দ্রুত বাড়ি বা স্কুল থেকে বেরিয়ে খোলা জায়গায় আসতে হবে।
(ii) বাইরে বেরিয়ে আসা সম্ভব না হলে বাড়ির মধ্যে দ্রুত কোনো টেবিল বা শক্ত আসবাবের তলায় ঢুকে পড়তে হবে।
(iii) গাড়িতে থাকলে গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
(iv) ভূমিকম্প চলাকালীন বহুতল বাড়ির ঝুলবারান্দা, সিঁড়ি, লিফ্ট-এর ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে।
(v) বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে ভূমিকম্প প্রতিহত করতে ভূকম্প-প্রতিরোধী নির্মাণ করতে হবে।
(vi) বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে সম্ভব হলে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিতে হবে।
(vii) ভূমিকম্প অনুভূত হলে প্রাচীন অথচ অত্যন্ত কার্যকরী পদ্ধতি হিসাবে শাঁখ, কাঁসর, ঘণ্টা, বাসন বাজিয়ে প্রতিবেশীদের সতর্ক করে দিতে হবে।
(viii) কোনো দেওয়ালের (কাঁচা/পাকা) পাশে দাঁড়ালে হবে না।
(ix) বিদ্যুৎ-এর খুঁটির কাছে বা ইলেকট্রিক সুইচের কাছে না যাওয়া উচিত নয়।
(x) বাড়ির গৃহপালিত পশুর গলার দড়ি খুলে দেওয়া উচিত যাতে তারা কোথাও সরে গিয়ে প্রাণরক্ষা করতে পারে।
প্রশ্ন 9: নিরপেক্ষ পাত সীমানার বৈশিষ্ট্য লেখো। অথবা, ট্রান্সফর্ম পাত সীমা কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: সংজ্ঞা: যে পাত সীমানা বরাবর দুটি পাত পরস্পরের সমান্তরালে বিপরীত দিকে পাশাপাশি সরে যায় সেই পাত সীমানাকে নিরপেক্ষ পাত সীমানা বলে।
> বৈশিষ্ট্য:
(i) সংরক্ষণশীলতা: দুটি পাত পরস্পরের সমান্তরালে সঞ্চারিত হওয়ায় উভয়ের মধ্যে কোনো সংঘর্ষ হয় না। পাত সীমানায় কোনো গঠনমূলক বা ধ্বংসাত্মক ঘটনা ঘটে না। তাই এই সীমান্তকে সংরক্ষণশীল বা নিরপেক্ষ পাত সীমানা (Conservative Plate Boundary) বা ট্রান্সফর্ম পাত সীমানা বলে।
(ii) ট্রান্সফর্ম চ্যুতি: দুটি পাত পাশাপাশি পরস্পরের বিপরীতে গতিশীল হওয়ায় পাত সীমানায় ফাটল ও চ্যুতির সৃষ্টি হয়। একে ট্রান্সফর্ম চ্যুতি বলে। উদাহরণ: ক্যালিফোর্নিয়া অঞ্চলের চ্যুতি।
(iii) ভূমিকম্প: দুটি পাতের প্রবল ঘর্ষণের ফলে অগভীর উৎসে ভূমিকম্প ও সুনামির সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন 11: ‘L’ বা পৃষ্ঠ তরঙ্গ বলতে কী বোঝো? এর শ্রেণিবিভাগ করো।
উত্তর: সংজ্ঞা: যে ভূকম্পীয় তরঙ্গ ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র থেকে কেবলমাত্র কঠিন ভূত্বকের মধ্য দিয়ে ধীর গতিতে ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগ দিয়ে প্রসারিত হয়, তাকে ‘Lateral Wave’ বা ‘L wave’ বা পৃষ্ঠ তরঙ্গ (Surface Wave) বলে। উল্লেখ্য, ‘L’ তরঙ্গ সবচেয়ে ধীরগতিসম্পন্ন, তবে সর্বাধিক ধ্বংসাত্মক তরঙ্গ। এর গতিবেগ প্রায় 3.5-5 কিমি./প্রতি সেকেন্ডে।
শ্রেণিবিভাগ: ‘L’ বা পৃষ্ঠ তরঙ্গ দুই প্রকার, যথা-
(a) র্যালে তরঙ্গ (Rayleigh Wave): L যে প্রকার তরঙ্গ বস্তুকণার ওঠানামা ও সংকোচন প্রসারণ এই দুই পদ্ধতির সমন্বয়ে ভূপৃষ্ঠ বরাবর প্রসারিত হয়, তাকে র্যালে তরঙ্গ বলে।
(b) লাভ তরঙ্গ (Love Wave): L তরঙ্গের মধ্যে যে তরঙ্গ ‘S’ তরঙ্গের মতো বস্তুকণার ওঠানামার মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে ক্রমশ অনুভূমিকভাবে সর্পিল গতিতে অগ্রসর হয়, তাকে লাভ তরঙ্গ বলে।
প্রশ্ন 12: পৃথিবীর প্রধান প্রধান ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলির নাম লেখো।
উত্তর: পৃথিবীতে প্রধান চারটি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল আছে। সেগুলি হল-
(i) প্রশান্ত মহাসাগরীয় বলয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা বরাবর এই বলয়টি বিস্তৃত। এখানে পৃথিবীর সর্বাধিক ভূমিকম্প (70%) হয়।
(ii) মধ্য মহাদেশীয় বা আল্পীয় হিমালয় বা টেথিস বলয়: ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশের ভঙ্গিল পর্বতশ্রেণি এই ভূকম্পীয় বলয়ের অন্তর্গত। আল্পস-পন্টিক-টরাস-ককেসাস-এলবুর্জ-জাগ্রোস, হিন্দুকুশ-হিমালয় অঞ্চলে পৃথিবীর 21% ভূমিকম্প হয়।
(iii) মধ্য আটলান্টিক শৈলশিরা বলয়।
Fill in the blanks
1. পাতগুলি ভূপৃষ্ঠ থেকে পর্যন্ত বিস্তৃত।
উত্তর: অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার।
2. পাত সীমান্তে নতুন ভূত্বক গঠিত হয়।
উত্তর: অপসারী।
3. টেথিসের পলি ভাঁজ খেয়েছে প্রকৃতির পাত সীমানায়।
উত্তর: অভিসারী।
4. অপসারী পাত সীমানাকে পাত সীমানা বলা হয়।
উত্তর: গঠনাত্মক।
5. সান আন্দ্রিজ চ্যুতি পাত সীমানার উদাহরণ।
উত্তর: নিরপেক্ষ।
6. লাভার রাসায়নিক ধর্ম হলে আগ্নেয়গিরি শঙ্কু আকৃতির হয়।
উত্তর: আম্লিক।
7. শান্তভাবে লাভা নির্গত হয় অগ্ন্যুদ্গম ক্রিয়ার ফলে।
উত্তর: বিদার।
8. সালে ভারতের ব্যারেন আগ্নেয়গিরি থেকে সর্বশেষ অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছিল।
উত্তর: 2017।
9. ভূমিকম্পের ‘S’ তরঙ্গের গতিবেগ সেকেন্ডে কি.মি.।
উত্তর: 3-5।
10. ‘L’ তরঙ্গ দুই ধরনের হয়। একটি লাভ তরঙ্গ, অন্যটি তরঙ্গ।
উত্তর: র্যালে।
11. সিসমোগ্রাফ যন্ত্রে ভূমিকম্পের সময় যে রেখাচিত্রটি তৈরি হয় তাকে বলে ।
উত্তর: সিসমোগ্রাম।
12. ভারতের একমাত্র জীবন্ত আগ্নেয়গিরি হল দ্বীপ।
উত্তর: ব্যারেন
True and False
1. পৃথিবীর স্থলভাগ খুবই শান্তভাবে অবস্থান করে।
উত্তর: অশুদ্ধ।
2. প্যানজিয়ার দক্ষিণ অংশকে গন্ডোয়ানাল্যান্ড বলে।
উত্তর: শুদ্ধ।
3. কার্বনিফেরাস যুগে প্যানজিয়া অখণ্ড ভূখণ্ডরূপে ছিল।
উত্তর: শুদ্ধ।
4. মেসোজোয়িক যুগে প্যানজিয়ার ভাঙন শুরু হয়।
উত্তর: শুদ্ধ।
5. অভিসারী পাত সীমানায় ট্রান্সফর্ম চ্যুতি সৃষ্টি হয়।
উত্তর: অশুদ্ধ।
6. আম্লিক লাভায় সিলিকার পরিমাণ খুব কম।
উত্তর: অশুদ্ধ।
7. লাভার তুলনায় ম্যাগমা ভারী।
উত্তর: অশুদ্ধ।
৪. ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা সর্বাধিক হয়।
উত্তর: শুদ্ধ।
9. S তরঙ্গ শব্দ তরঙ্গের অনুরূপ।
উত্তর: অশুদ্ধ।
10. ভারতের হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলটি সর্বাধিক ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল।
উত্তর: শুদ্ধ।
11. জে. টি উইলসন হলেন পাত সংস্থান তত্ত্বের সঙ্গে যুক্ত একজন বিজ্ঞানী। (পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)
উত্তর: অশুদ্ধ।
12. ক্রাকাতোয়া একটি মৃত আগ্নেয়গিরি।
উত্তর: অশুদ্ধ
বেমানান শব্দটি চিহ্নিত করো:
1. ভূমিকম্প, ধস, উল্কাপতন, হিমানী সম্প্রপাত
উত্তর: উল্কা পতন।
2. উইলসন, পার্কার, মরগ্যান, ওয়েগনার
উত্তর: ওয়েগনার।
3. নদী, হিমবাহ, ভূমিকম্প, সমুদ্রতরঙ্গ
উত্তর: ভূমিকম্প।
4. এটনা, ফুজিয়ামা, স্ট্রোম্বলি, কিলাওয়া
উত্তর: ফুজিয়ামা।
5. রকি, আন্দিজ, আরাবল্লি, আল্পস
উত্তর: আরাবল্লি।
ভুল সংশোধন করো লেখো।
1. মুম্বাই-এর কাছে একটি নতুন কাদার দ্বীপ গড়ে উঠেছে।
উত্তর: করাচির কাছে একটি নতুন কাদার দ্বীপ গড়ে উঠেছে।
2. মেক্সিকোর পারিকুটিন একটি সুপ্ত আগ্নেয়গিরি।
উত্তর: মেক্সিকোর পারিকুটিন একটি আগ্নেয়গিরি।
3. ভূমিকম্প একটি বহির্জাত শক্তি/প্রক্রিয়া।
উত্তর: ভূমিকম্প একটি অন্তর্জাত শক্তি/প্রক্রিয়া।
4. ভারতের নরকোন্ডাম একটি মৃত আগ্নেয়গিরি।
উত্তর: ভারতের নরকোন্ডাম সুপ্ত আগ্নেয়গিরি।
5. প্রায় 30 কোটি বছর আগে প্যানজিয়া দ্বিখণ্ডিত ছিল।
উত্তর: প্রায় 20 কোটি বছর আগে প্যানজিয়া দ্বিখণ্ডিত ছিল।
H. আমি কে?
1. আমি প্যানজিয়াকে দুইভাগে বিভক্ত করেছি। আমি কে?
উত্তর: টেথিস মহীখাত।
2. আমার জন্য ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত, ধস প্রভৃতি ঘটনা ঘটে। আমি কে?
উত্তর: ম্যাগমার পরিচলন স্রোত।
3. লাভার মধ্যে আমি থাকি, সেজন্য লাভা সঞ্চিত হয়ে মালভূমি অথবা সমভূমি সৃষ্টি হয়। আমি কে?
উত্তর: ক্ষারীয় উপাদান।
4. আমি ভূঅভ্যন্তরে গলিত ও সান্দ্র অবস্থায় থাকি। ভূত্বকের উপরে এলেই আমার নাম লাভা। আমি কে?
উত্তর: ম্যাগমা।
5. আমি ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের ঠিক উপরে ভূত্বকে অবস্থান করি। আমি কে?
উত্তর: ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র।