WBCHSE Class 12 Bangla Chapter 1 Solution | কে বাঁচায়, কে বাঁচে |

কে বাঁচায়, কে বাঁচে

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়


নির্দেশ ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো।

প্রশ্ন

১. “… আজ চোখে পড়ল প্রথম।”-আজ মৃত্যুঞ্জয়ের প্রথম চোখে পড়ল-

ক) তার চাকর বাজার করছে

খ) তার এলাকায় ফুটপাথ বেশি নেই

গ) খবরের কাগজে মন্বন্তরের রিপোর্ট ছাপা হয়েছে

ঘ) অনাহারের ফলে মৃত একজন মানুষ✓

২. “বাড়িটাও তার শহরের…।” মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি শহরের-

ক) কেন্দ্রস্থলে

খ) একপ্রান্তে

গ) বাইরে

ঘ) এক নিরিবিলি অঞ্চলে✓

৩. “… চলতে থাকে শারীরিক কষ্টবোধ।”- মৃত্যুঞ্জয়ের শরীরে কষ্ট বোধ হওয়ার কারণ-

ক) সে আঘাত পেয়েছে

খ) তার খাওয়া হয়নি

গ) তার মনে আঘাত লেগেছে✓

ঘ) তার খাওয়া বেশি হয়ে গেছে

৪. ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পের প্রেক্ষাপট হল-

ক) ১৯৪৩-এর মন্বন্তর✓

খ) ভারত ছাড়ো আন্দোলন

গ) ৭৬-এর মন্বন্তর

ঘ) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ

[হালিশহর হাই স্কুল]

৫. “সংসারে তার নাকি মন নেই।”-এখানে যার কথা বলা হয়েছে, সে হল-

ক) মৃত্যুঞ্জয়

খ) নিখিলের স্ত্রী

গ) নিখিল✓

ঘ) মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী

৬. “অন্য সকলের মতো মৃত্যুঞ্জয়কে সেও খুব পছন্দ করে।”-মৃত্যুঞ্জয়কে নিখিলের পছন্দ করার কারণ-

ক) মৃত্যুঞ্জয় অত্যন্ত বন্ধুবৎসল

খ) মৃত্যুঞ্জয় অত্যন্ত নিরীহ ও ভালোমানুষ

গ) মৃত্যুঞ্জয় আদর্শবাদের কল্পনা-তাপস✓

ঘ) মৃত্যুঞ্জয় অন্যের বিপদে পাশে দাঁড়াতে জানে

৭. “মৃদু ঈর্ষার সঙ্গেই সে তখন ভাবে যে নিখিল না হয়ে মৃত্যুঞ্জয় হলে মন্দ ছিল না।”-নিখিল এমনটি ভাবে, যখন-

ক) মৃত্যুঞ্জয় আপন শক্তিপ্রয়োগে তৎপর হয়ে ওঠে

খ) মৃত্যুঞ্জয়ের কাছে সে কাবু হয়ে পড়ে✓

গ) সকলে মৃত্যুঞ্জয়ের প্রশংসা করে

ঘ) সে দেখে, মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি অফিসের সকলে নির্ভর করে

৮. “মৃত্যুঞ্জয়ের রকম দেখেই নিখিল অনুমান করতে পারল…।”-নিখিল অনুমান করল-

ক) মৃত্যুঞ্জয়ের শরীর ভালো নেই

খ) বড়ো একটা সমস্যার সঙ্গে মৃত্যুঞ্জয়ের সংঘর্ষ হয়েছে✓

গ) মৃত্যুঞ্জয়ের মন ভালো নেই

ঘ) মৃত্যুঞ্জয়ের উপর সে রাগ করে আছে

৯. “আনমনে অর্ধ-ভাষণে যেন আর্তনাদ করে উঠল মৃত্যুঞ্জয়।”-তার এই আর্তনাদের কারণ-

ক) সে মৃত মানুষকে দেখে ভয় পেয়েছে

খ) সে অনাহারে মৃত মানুষটিকে দেখে দুঃখ পেয়েছে✓

গ) সে মৃত মানুষটিকে দেখে চিনতে পেরেছে

ঘ) মানুষটির মৃত্যু তাকে অন্য কোনো বিপদের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে

১০. “… মৃত্যুঞ্জয়ের ভিতরটা সে পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছে।”-নিখিলের এ কথা মনে হল, যখন-

ক) মৃত্যুঞ্জয় তার কোনো কথারই ঠিক উত্তর দিল না

খ) মৃত্যুঞ্জয়কে সে কয়েকটি প্রশ্ন করে যথাযথ উত্তর পেল না✓

গ) মৃত্যুদৃশ্য দেখে মৃত্যুঞ্জয় অত্যন্ত মর্মাহত হয়ে পড়েছিল

ঘ) মৃত্যুঞ্জয় আর্তনাদ করে উঠল

১১. “সেটা আশ্চর্য নয়।”-এখানে যে বিষয়টিকে নিখিলের আশ্চর্য বলে মনে হয়নি, তা হল-

ক) অনাহারে মানুষের মারা যাওয়া

খ) অনাহারে মৃত মানুষকে পথের পাশে পড়ে থাকতে দেখা✓

গ) মৃত মানুষকে দেখে বিমর্ষ হয়ে পড়া

ঘ) সমাজের দুর্দশা নিয়ে ভাবিত হয়ে পড়া [সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুল]

১২. “…এ অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কী?”-বক্তা এখানে অপরাধ মনে করেন-

ক) নিজের বেঁচে থাকাকে

খ) নিজের চারবেলা করে ভাত খাওয়াকে✓

গ) যথাযথ রিলিফ ওয়ার্ক না হওয়াকে

ঘ) নিজের উদাসীন থাকাকে

১৩. মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের থেকে মাইনে বেশি পায়-

ক) ৩০ টাকা

খ) ৪০ টাকা

গ) ৫০ টাকা✓

ঘ) ৬০ টাকা

১৪. নিখিল দেখেছিল যে মৃত্যুঞ্জয় শার্সিতে আটকানো মৌমাছির মতো-

ক) উড়ে বেড়াচ্ছে

খ) মধু খাচ্ছে

গ) গুনগুন করছে

ঘ) মাথা খুঁড়ছে✓

১৫. মৃত্যুঞ্জয় অফিসে যায়-

ক) ট্রেনে

খ) ট্রামে✓

গ) বাসে

ঘ) হেঁটে

১৬. “কী হল হে তোমার?”-মৃত্যুঞ্জয়কে এই প্রশ্ন করেছিল-

ক) অফিসের বস

খ) নিখিল✓

গ) লঙ্গরখানার মালিক

ঘ) নিখিলের দাদা

১৭. “…শার্সিতে আটকানো – মতো সে মাথা খুঁড়ছে…।”

ক) মশার

খ) পতঙ্গের

গ) পাখির

ঘ) মৌমাছির✓

১৮. “নিখিল সন্তর্পণে প্রশ্ন করল।”-প্রশ্নটি ছিল-

ক) তোমার কী হল?

খ) কী হল তোমার?

গ) কী হল হে তোমার?✓

ঘ) কী হয়েছে তোমার? [মিশন গার্লস হাই স্কুল]

১৯. ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পটি প্রকাশিত হয়েছিল-

ক) আনন্দবাজার পত্রিকায়

খ) বঙ্গদর্শন পত্রিকায়

গ) কল্লোল পত্রিকায়

ঘ) ভৈরব পত্রিকায়✓

২০. “নিখিল রোগা, তীক্ষ্ণবুদ্ধি এবং একটু -।”

ক) আলসে প্রকৃতির লোক✓

খ) সাহসী প্রকৃতির লোক

গ) ভীরু প্রকৃতির লোক

ঘ) চালাক প্রকৃতির

২১. “ফুটপাথে হাঁটা তার বেশি প্রয়োজন হয় না।”-কার প্রয়োজন হয় না?

ক) নিখিলের

খ) টুনুর মার

গ) মৃত্যুঞ্জয়ের✓

ঘ) টুনুর

২২. “কয়েক মিনিটে মৃত্যুঞ্জয়ের সুস্থ শরীরটা অসুস্থ হয়ে গেল।” কারণ-

ক) অফিসে কাজের প্রবল চাপ ছিল

খ) প্রচণ্ড গরমের মধ্যে হেঁটে সে অফিসে গিয়েছিল

গ) প্রথমবার অনাহারে মৃত্যু দেখে সে প্রবল আঘাত পেয়েছিল✓

ঘ) বেশি খাবার খেয়ে ফেলায় তার বমি হচ্ছিল [উচ্চমাধ্যমিক, ২০১৯] [নমুনা প্রশ্ন]

২৩. মৃত্যুঞ্জয় অনাহারে মৃত্যু দেখেছিল-

ক) অফিস থেকে ফেরার পথে

খ) অফিস যাওয়ার পথে✓

গ) সকালে প্রাতঃভ্রমণে

ঘ) বাজার করতে যাওয়ার সময়

২৪. মৃত্যুঞ্জয় ও নিখিলের দাম্পত্যজীবন যথাক্রমে-

ক) ছয় ও আট বছরের✓

খ) চার ও পাঁচ বছরের

গ) আট ও নয় বছরের

ঘ) ছয় ও সাত বছরের

২৫. বাড়ি থেকে কতটা হেঁটে মৃত্যুঞ্জয় ট্রামে চড়ত?

ক) ১০০ মিটার

খ) ১০০ গজ

গ) দু-পা✓

ঘ) ১০০ পা

২৬. “একটু বসেই তাই উঠে গেল কলঘরে।”-মৃত্যুঞ্জয় কলঘরে গিয়েছিল-জন্য

ক) জল খাওয়ার জন্য

খ) চোখে-মুখে জল দেওয়ার জন্য

গ) বমি করার জন্য✓

ঘ) বাথরুম করার

২৭. “পাশের কুঠরি থেকে নিখিল যখন খবর নিতে এল,”- মৃত্যুঞ্জয় তখন-

ক) বমি করছিল

খ) টিফিন খাচ্ছিল

গ) জল খাচ্ছিল✓

ঘ) চুপ করে বসেছিল

২৮. মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের থেকে পঞ্চাশ টাকা বেশি মাইনে পেত, কারণ-

(ক) মৃত্যুঞ্জয়ের চাকরি বেশিদিনের

(খ) মৃত্যুঞ্জয় ওপরওয়ালার প্রিয়পাত্র ছিল

(গ) মৃত্যুঞ্জয় অফিসে বাড়তি দায়িত্ব পালন করত✓

(ঘ) মৃত্যুঞ্জয়ের বয়স বেশি ছিল

২৯. “অন্য সকলের মতো মৃত্যুঞ্জয়কে সেও খুব পছন্দ করে।”- ‘সে’ কে?

(ক) তার অফিসের বস

(খ) নিখিল✓

(গ) টুনুর মা

(ঘ) টুনু

৩০. “আনমনে অর্ধ-ভাষণে যেন আর্তনাদ করে উঠল মৃত্যুঞ্জয়।”-কী কথা বলে?

(ক) সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেল

(খ) কেউ কথা রাখল না

(গ) মরে গেল! না খেয়ে মরে গেল!✓

(ঘ) কী স্বার্থপর আমি

অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর [শব্দসীমা কমবেশি ২০]

১. “ফুটপাথে হাঁটা তার বেশি প্রয়োজন হয় না।” -কেন?

▶ বাড়ি থেকে অল্প হাঁটলেই মৃত্যুঞ্জয় অফিসের ট্রাম পায়। নামেও অফিসের সামনে। তার পাড়ায় ফুটপাথ কম; তাকে বাজারহাটেও যেতে হয় না। তাই ফুটপাথে হাঁটা তার বেশি প্রয়োজন হয় না।

২. মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির বাজার ও কেনাকাটা কে করত?

[সেন্ট জন্স ডায়োসেশান গার্লস এইচএস স্কুল]

▶ বাড়ির বাজার ও কেনাকাটার কাজ মৃত্যুঞ্জয় নিজে কখনও করত না। সেই কাজ করত বাড়ির চাকর ও তার ছোটোভাই।

৩. “নইলে দর্শনটা অনেক আগেই ঘটে যেত সন্দেহ নেই।”-কীসের দর্শন?

▶ উদ্ধৃত অংশে ফুটপাথের উপর দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের অনাহারে মৃত্যু হয়েছে, এমন একটি দৃশ্য দর্শনের কথা বলা হয়েছে।

৪. মৃত্যুঞ্জয় কোথায় প্রথম অনাহারে মৃত্যু দেখেছিল?

[বাঁকুড়া গার্লস হাই স্কুল]

▶ ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পে মৃত্যুঞ্জয় একদিন বাড়ি থেকে অফিস যাওয়ার পথে প্রথম অনাহারে মৃত্যু দেখেছিল।

৫. নিজের চোখে অনাহারে মৃত্যু দেখার আগে মৃত্যুঞ্জয় সেই ব্যাপারে কীভাবে জেনেছিল?

▶ নিজের চোখে অনাহারে মৃত্যু দেখার আগে মৃত্যুঞ্জয় শুধু খবরের কাগজ পড়ে আর লোকের মুখে শুনেই সেই ব্যাপারে জেনেছিল।

৬. মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি কেমন জায়গায় অবস্থিত ছিল?

▶ মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি ছিল শহরের এক নিরিবিলি পাড়ায়, যেখানে ফুটপাথও বেশি ছিল না।

৭. মৃত্যুঞ্জয় বাড়ি থেকে কীভাবে অফিসে যেত?

▶ মৃত্যুঞ্জয় বাড়ি থেকে বেরিয়ে দু-পা হেঁটে রাস্তায় গিয়ে ট্রামে উঠত এবং ট্রাম থেকে প্রায় অফিসের দরজায় নামত।

৮. মনে আঘাত পেলে মৃত্যুঞ্জয়ের শরীরে মনে কী হয়?

▶ মনে আঘাত পেলে মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক বেদনাবোধের সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক কষ্টবোধও চলতে থাকে।

৯. অনাহারে মৃত্যু দেখার দিন অফিসে পৌঁছে মৃত্যুঞ্জয় কী করেছিল?

অনাহারে মৃত্যু দেখার দিন শারীরিক ও মানসিকভাবে বিদ্ধস্ত মৃত্যুঞ্জয় অফিসে পৌঁছে বাড়ি থেকে খেয়ে-আসা খাবারের সমস্তটাই বমি করে দিয়েছিল।

১০. “তখন সে রীতিমতো কাবু হয়ে পড়েছে।”-উদ্দিষ্ট ব্যক্তির কাবু হয়ে পড়ার কারণ কী?

[যাদবপুর বিদ্যাপীঠ; বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল]

▶ ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র মৃত্যুঞ্জয় ফুটপাথে একদিন অনাহার-মৃত্যু দেখার পর অফিসে গিয়ে রীতিমতো কাবু হয়ে পড়েছিল।

১১. নিখিল অবসরজীবনটা কীভাবে কাটাতে চায়?

[এবিটিএ ইনটার স্কুল টেস্ট]

▶ নিখিল বই পড়ে এবং নিজস্ব একটা চিন্তাজগৎ গড়ে তুলে তার

অবসরজীবনটা কাটাতে চায়।

১২. নিখিলের সমপদস্থ মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের থেকে কত টাকা বেশি মাইনে পায় এবং কেন?

[উচ্চমাধ্যমিক, ২০১৫] [নমুনা প্রশ্ন]

▶ নিখিলের সমপদস্থ মৃত্যুঞ্জয় একটি বাড়তি দায়িত্ব পালনের জন্য নিখিলের থেকে পঞ্চাশ টাকা বেশি মাইনে পায়।

১৩. নিখিলের চেহারা এবং প্রকৃতি কেমন ছিল?

▶ নিখিলের চেহারা ছিল রোগা। প্রকৃতিগত দিক থেকে সে ছিল তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন এবং একটু অলস।

১৪. “সংসারে তার নাকি মন নেই।” -তার মন কীসে ছিল?

▶ নিখিল মৃত্যুঞ্জয়ের দু-বছর আগে বিয়ে করলেও সংসারে তার মন ছিল না

বরং তার মন বইপত্র এবং চিন্তাজগতেই ডুবে থাকত।

১৫. মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি নিখিলের ব্যবহার কেমন ছিল?

▶ আদর্শবাদী মৃত্যুঞ্জয়কে নিখিল পছন্দ করত। মৃদু অবজ্ঞার সঙ্গে তাকে ভালোও বাসত। মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি নিখিল ছিল সম্পূর্ণ সহানুভূতিশীল।

১৬. মৃত্যুঞ্জয় দুর্বলচিত্ত ভাবপ্রবণ আদর্শবাদী হলেও কীভাবে সে নিখিলের কাছে ‘অবজ্ঞেয়’ হত?

► দুটো খোঁচা দিয়ে তাকে উত্ত্যক্ত করলেই মৃত্যুঞ্জয়ের মনের ভেতরকার সব অন্ধকার বেরিয়ে আসত এবং সে নিখিলের কাছে অবজ্ঞেয় হত।

১৭. “মৃদু ঈর্যার সঙ্গেই সে তখন ভাবে যে…।”-কখন ভাবে?

▶ মাঝেমধ্যে যখন মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক শক্তির কাছে নিখিল কাবু হয়ে পড়ে, তখনই সে মৃদু ঈর্ষার সঙ্গে ভাবে।

১৮ . “মৃদু ঈর্ষার সঙ্গেই সে তখন ভাবে যে…।”-কী ভাবে?

▶ মৃদু ঈর্ষার সঙ্গে তখন নিখিল ভাবে যে, সে যদি নিখিল না হয়ে মৃত্যুঞ্জয় হত, তাহলে খারাপ হত না।

১৯. “মৃত্যুঞ্জয়ের রকম দেখেই নিখিল অনুমান করতে পারল…।”-নিখিল কী অনুমান করতে পারল? [কারমেল হাই স্কুল]

▶ নিখিল অনুমান করতে পারল যে, মৃত্যুঞ্জয় বড়ো একটা সংকটের মুখোমুখি হয়েছে এবং সেই সংকটের অর্থহীন কঠোরতায় সে শার্সিতে আটকে-পড়া মৌমাছির মতো মাথা খুঁড়ছে।

২০. “মরে গেল! না খেয়ে মরে গেল!” -এই কথাটা মৃত্যুঞ্জয় নিখিলকে কীভাবে বলেছিল?

▶ প্রশ্নোদ্ভূত কথাটি মৃত্যুঞ্জয় অন্যমনস্কভাবে, অস্ফুটবাক্যে আর্তনাদের মতো করে নিখিলকে বলেছিল।

২১. “আরও কয়েকটা প্রশ্ন করে নিখিলের মনে হল…।”-কী মনে হয়েছিল নিখিলের?

▶ মৃত্যুঞ্জয়কে আরও কয়েকটি প্রশ্ন করে নিখিলের মনে হয়েছিল যে, মৃত্যুঞ্জয়ের মনের ভেতরটা যেন সে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে।

২২. “সেটা আশ্চর্য নয়।” -কোন্টা আশ্চর্য নয়?

▶ ফুটপাথের অনাহার-মৃত্যুর মতো সাধারণ এবং সহজবোধ্য ব্যাপারটা যে মৃত্যুঞ্জয় ধারণায় আনতে পারছে না, নিখিলের কাছে তা আশ্চর্য নয়।

২৩. নিখিল মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি কোন্ কোন্ নেতিবাচক মনোভাব মৃদুভাবে পোষণ করত?

▶ নিখিল মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি অবজ্ঞা এবং ঈর্ষা-এই দুই নেতিবাচক মনোভাব মৃদুভাবে পোষণ করত।

২৪. ‘আদর্শবাদ’-এর বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পে কী বলা হয়েছে?

▶ ‘আদর্শবাদ’ হল মানবসভ্যতার সবচেয়ে পুরোনো এবং সবচেয়ে পচা ঐতিহ্য-গল্পটিতে আদর্শবাদ সম্বন্ধে এমন কথাই বলা হয়েছে।

২৫. ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পে লেখক কীসের সম্বন্ধে বলেছেন যে, তা ‘শ্লথ, নিস্তেজ নয়’?

▶ ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পে লেখক মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে বলেছেন যে, তা ‘শ্লথ, নিস্তেজ নয়।’

২৬. “মৃত্যুঞ্জয়কে সেও খুব পছন্দ করে”-মৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ করার কারণ কী ছিল?

[নমুনা প্রশ্ন] [এবিটিএ ইনটার স্কুল টেস্ট]

অথবা, নিখিল কেন মৃত্যুঞ্জয়কে ‘হয়তো মৃদু একটু অবজ্ঞার সঙ্গে ভালোও বাসে’?

▶ মৃত্যুঞ্জয় নিরীহ, শান্ত, সহজসরল এবং সৎ হওয়ার পাশাপাশি মানবসভ্যতার প্রাচীনতম পচা ঐতিহ্য আদর্শবাদের কল্পনা-তাপস বলে নিখিল মৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ করত।

২৭. বাড়ি থেকে বেরিয়ে কত পা হেঁটে মৃত্যুঞ্জয়কে ট্রামে উঠতে হত?

▶ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পে মৃত্যুঞ্জয়কে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দু-পা হেঁটে ট্রামে উঠতে হত।

২৮. মৃত্যুঞ্জয় বাড়ি থেকে কী কী খেয়ে এসেছিল?

▶ মৃত্যুঞ্জয় বাড়ি থেকে ভাজা, ডাল, তরকারি, মাছ, দই আর ভাত খেয়ে এসেছিল।

২৯. মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?

মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া মোটেও শ্লথ বা নিস্তেজ ছিল না,

শক্তির একটা উৎস ছিল তার মধ্যে।

৩০. “…এ অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কী?”-অপরাধটি কী ছিল?

[হরিপুর হাই স্কুল]

▶ মৃত্যুঞ্জয় পেটভরে খেয়ে বেঁচে আছে, আর একটা লোক না খেতে পেয়ে মরে গেল। এই ভাবনা মৃত্যুঞ্জয়ের মনে অপরাধবোধ জাগিয়ে তুলেছে বলেই সে এমন উক্তি করেছে।

বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর [শব্দসীমা কমবেশি ১৫০]

প্রশ্ন ১

প্রশ্ন ১”সেদিন আপিস যাবার পথে মৃত্যুঞ্জয় প্রথম মৃত্যু দেখল- অনাহারে মৃত্যু।”-এই দেখার ফলে মৃত্যুঞ্জয়ের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া কী হয়েছিল? [নমুনা প্রশ্ন] [দেপাড়া বিষুপুর হাই স্কুল]

উত্তর

প্রশ্ন ২’কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ ছোটোগল্প অবলম্বনে প্রথম অনাহার- মৃত্যু দেখার দিন মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে নিখিলের যে সাক্ষাৎকার হয়েছিল, তা নিজের ভাষায় বিবৃত করো।

উত্তর

প্রশ্ন ৩”…শার্সিতে আটকানো মৌমাছির মতো সে মাথা খুঁড়ছে সেই স্বচ্ছ সমস্যার অকারণ অর্থহীন অনুচিত কাঠিন্যে।”- ‘মৌমাছি’ বলতে এখানে কাকে বোঝানো হয়েছে? উদ্ধৃতিটি ব্যাখ্যা করো। ১+৪

উত্তর

প্রশ্ন ৪ “অন্য সকলের মতো মৃত্যুঞ্জয়কে সেও খুব পছন্দ করে।”— কার কথা বলা হয়েছে? তার মৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ করার যে কারণ লেখক আলোচনা করেছেন এই প্রসঙ্গে সেটির বিবরণ দাও। ১+৪

[রামকৃষ্ণ মিশন বয়েজ হোম হাই স্কুল (এইচএস), রহড়া]

উত্তর

প্রশ্ন ৫ “অথচ নিখিল প্রশ্ন করলে সে জবাবে বলল অন্য কথা।”— নিখিল মৃত্যুঞ্জয়কে কেন প্রশ্ন করেছিল? মৃত্যুঞ্জয় কেন ‘অন্য কথা’ বলে? ৩+২

উত্তর

প্রশ্ন ৬ “মরে গেল! না খেয়ে মরে গেল!”-বক্তা কে? এর মধ্য দিয়ে বক্তার চরিত্রের কোন্ দিক ফুটে উঠেছে? ১+৪ [কারমেল হাই স্কুল]

উত্তর

প্রশ্ন ৭”এ অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কী?”- কোন্ অপরাধের কথা বলা হয়েছে? বক্তার এই অপরাধবোধের কারণ কী? অথবা, “এ অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কী?”-কে, কোন্ অপরাধের প্রায়শ্চিত্তের কথা বলেছেন? বক্তা নিজেকে অপরাধী মনে করেছেন কেন? ১+২+২ [উচ্চমাধ্যমিক, ২০২০] ২+৩

উত্তর

বহুবিকল্পীয় প্রশ্ন [MCQ] ও উত্তর

প্রশ্ন

১. “…নিখিল চুপ করে থাকে।”-নিখিলের এই চুপ করে থাকার কারণ-

(ক) সে তার ভুল বুঝতে পেরেছে

খ) মৃত্যুঞ্জয় তাকে চুপ করতে বলেছে

(গ) সে নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে

(ঘ) মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছলছল করে উঠেছে✓

২. “অন্নের বদলে বরং সমিধে পরিণত হয়ে যাবে।”-‘সমিধ’ শব্দের অর্থ-

(ক) ক্ষুধার আগুন

(খ) সমাধি

(গ) হোমের কাঠ✓

(ঘ) অগ্নি

[কাটোয়া ডিডিসি গার্লস এইচএস স্কুল]

৩. “…সেটা হয় অনিয়ম।”-এই অনিয়মটি হল-

(ক) বাস্তব নিয়ম উলটে মধুর আধ্যাত্মিক নীতিতে পরিণত করা✓

(খ) নিজের কাজকর্ম ছেড়ে রিলিফে অংশ নেওয়া

(গ) দুস্থ অনাহারী মানুষদের কথা ভাবা

(ঘ) ভিন্ন মতাদর্শের মানুষের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাওয়া

৪. “বিক্ষুদ্ধ চিত্তে এই সব কথা ভাবতে ভাবতে”-

(ক) মৃত্যুঞ্জয় টাকাগুলো টেবিলে রাখল

(খ) টুনুর মা বিছানা নিল

(গ) নিখিল সংবাদপত্রটি তুলে নিল✓

(ঘ) মৃত্যুঞ্জয় ঘরে এসে বসল

৫. “নিখিল সংবদপত্রটি তুলে নিল।”-সংবাদপত্রে যে বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তা হল-

(ক) প্রবল অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে

(খ) শহরের পথেঘাটে বহু অনাহারী মানুষের মৃত্যু ঘটেছে

(গ) সরকারের পক্ষ থেকে অনাহারী মানুষদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

(ঘ) গোটা কুড়ি মৃতদেহের ভালোভাবে সঙ্গতির ব্যবস্থা করা হয়নি ✓

৬. “নিখিল ভাবছিল বন্ধুকে বুঝিয়ে বলবে…।” বুঝিয়ে বলার কথাটি হল-

(ক) নিজে কষ্ট করেই শুধু অন্যকে বাঁচানো যাবে না✓

(খ) মাইনের পুরো টাকাটা ত্রাণে দেওয়া কোনো কাজের কথা নয়

(গ) স্ত্রীর স্বাস্থ্যের প্রতি মৃত্যুঞ্জয়ের যত্ন নেওয়া উচিত

(ঘ) নিজে না খেয়ে পরকে খাইয়ে সান্ত্বনা পাওয়ার কোনো কারণ নেই

৭. “…না খেয়ে মরাটা উচিত নয় ভাই।” কথাটি বলেছে-

(ক) মৃত্যুঞ্জয়

(খ) নিখিল✓

(গ) মৃত্যুঞ্জয়ের ছোটো ভাই

(ঘ) টুনুর মা

[বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল]

৮. “ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা।” মৃত্যুঞ্জয় যে বিষয়টিকে ‘পাশবিক স্বার্থপরতা’ বলেছে, তা হল-

(ক) বেঁচে থাকার জন্য উপযুক্ত আহার গ্রহণের মানসিকতাকে✓

(খ) অনাহারী মানুষের কথা একেবারেই চিন্তা না করাকে

(গ) স্ত্রীর স্বাস্থ্যকে উপেক্ষা করাকে

(ঘ) ত্রাণকার্যে বন্ধুর চরম উদাসীনতাকে

৯. “নিখিলকে প্রতি মাসে… কিছু কিছু টাকা পাঠাতে হয়।” কত জায়গায়?

(ক) দুই জায়গায়

(খ) তিন জায়গায়✓

(গ) চার জায়গায়

(ঘ) পাঁচ জায়গায়

[ঝাড়গ্রাম কুমুদ কুমারী ইন্সটিটিউশন]

১০. “দশজনকে খুন করার চেয়ে নিজেকে না খাইয়ে মারা বড়ো পাপ।” -এই কথাটি নিখিল বলেছিল-

ক) নীতিধর্মের বিচারেখ

(খ) রাজধর্মের বিচারে

(গ) সমাজধর্মের বিচারে✓

ঘ) হিন্দুধর্মের বিচারে

১১. নিখিল অর্থসাহায্য কত টাকা করে কমানোর কথা ভেবেছিল?

ক) দু-টাকা

খ) পাঁচ টাকা✓

গ) আট টাকা

ঘ) দশ টাকা

১২. মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে থাকে কতজন লোক?

ক) আটজন

খ) পাঁচজন

গ) সাতজন

ঘ) নয়জন

[নমুনা প্রশ্ন] [এবিটিএ ইনটার স্কুল টেস্ট]

১৩. “ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা।” -বক্তা হলেন-

(ক) নিখিল

(খ) মৃত্যুঞ্জয়

(গ) টুনুর মা

(ঘ) টুনু

[মালদা উমেশচন্দ্র বাস্তুহারা বিদ্যালয়]

১৪. নিখিলের স্বার্থপরতাকে মৃত্যুঞ্জয় কোন্ বিশেষণে ভূষিত করেছিল?

(ক) অমানবিক

(খ) অমানুষিক

(গ) নীচ

(ঘ) পাশবিক✓

১৫. “এ ভাবে দেশের লোককে বাঁচানো যায় না।”-এই ভাবনাটি কার?

(ক) মৃত্যুঞ্জয়ের

(খ) টুনুর মার

(গ) নিখিলের✓

(ঘ) মৃত্যুঞ্জয়ের ভাইয়ের

১৬ “টুনুর মার যা স্বাস্থ্য,”- তাতে একবেলা খেয়ে বাঁচতে পারবে-

(ক) ১৫-২০ দিন✓

(খ) ১২-১৫ দিন

(গ)১০ দিন

(ঘ) ৭-৯ দিন

[মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল।

১৭. “মরে তো মরবে না খেয়ে।”-যার সম্পর্কে এই উক্তি তিনি হলেন-

(ক) মৃত্যুঞ্জয়

(খ) নিখিল

(গ) টুনুর মা✓

(ঘ) দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষ

১৮. “মৃত্যুঞ্জয় একতাড়া নোট নিখিলের সামনে রাখল।”- টাকাটা-

(ক) নিখিলকে ধার দেবে

(খ) রিলিফ ফান্ডে দেবে✓

(গ) নিখিলকে ঘুস দেবে

(ঘ) অফিসের সকলকে ভূরিভোজ করাবে

১৯. মৃত্যুঞ্জয় নিখিলকে রিলিফ ফান্ডে দিতে বলেছিল-

(ক) সমস্ত মাইনেটা✓

(খ) মাইনের [উচ্চমাধ্যমিক, ২০১৫] অর্ধেক

(গ) মাইনের এক-চতুর্থাংশ

(ঘ) মাইনের দুই-তৃতীয়াংশ

২০. নিখিল চুপ করে থাকে কেন?

(ক) ফুটপাথের অনাহার-মৃত্যুর কথা শুনে

(খ) খবরের কাগজে মৃত্যুর খবর পড়ে

(গ) মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছলছল করছে দেখে✓

(ঘ) মৃত্যুঞ্জয় জল খাচ্ছিল দেখে

২১. “সেদিনের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের মুখ বিষণ্ণ গম্ভীর হয়ে আছে।”-কোন্ দিনের পর থেকে?

(ক) মাইনের দিনের পর থেকে

(খ) ফুটপাথের অনাহার- মৃত্যু দেখার দিনের পর থেকে✓

(গ) টুনুর মা শয্যাশায়ী হওয়ার পর থেকে

(ঘ) যেদিন নিখিলের সঙ্গে ঝগড়া হয়, তারপর থেকে

২২. “এ ভাবে দেশের লোককে বাঁচানো যায় না।” কারণ-

(ক) রিলিফ মানে একজনের বদলে আর-একজনকে খাওয়ানো✓

(খ) একজন-দুজন মানুষের দানধ্যানে দুর্ভিক্ষ কমে না

(গ) সরকার চায় দুর্ভিক্ষ

(ঘ) দেশের লোক সচেতন ও সহৃদয় নয়

২০. “বলে মৃত্যুঞ্জয় উঠে গেল।”-কী বলে?

ক) কথা রাখিস নিখিল, কথা রাখিস।

খ) টাকাটা পৌঁছে দিস নিখিল, পৌঁছে দিস।

গ) তুই পাগল নিখিল। বদ্ধ পাগল।✓

ঘ) তুই স্বার্থপর নিখিল। তুই স্বার্থপর।

২৪. ‘গ্রুয়েল’ কথাটির অর্থ হল-

ক) ভাতের ফ্যান✓

খ) ফলের শরবত

গ) এক ধরনের টনিক

ঘ) এক ধরনের তরল সুস্বাদু খাবার

[তমলুক হ্যামিল্টন হাই স্কুল]

২৫. “একটা কাজ করে দিতে হবে ভাই।”-এখানে উল্লিখিত কাজটি হল-

(ক) মানি-অর্ডারে টাকা পাঠানো

(খ) অফিসে কিছু বাড়তি দায়িত্ব পালন

গ) সাংসারিক বিষয়ে কোনো উপকার

(ঘ) মাইনের পুরো টাকা রিলিফে দিয়ে আসা✓

অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

১. কোথায় তীক্ষ্ণধার হা-হুতাশ করা মন্তব্য করা হয়েছে?

▶ অফিসে নিখিল যে সংবাদপত্রটি অন্যমনস্কভাবে তুলে নিয়েছিল, তারই এক জায়গায় তীক্ষ্ণধার হা-হুতাশ করা মন্তব্য করা হয়েছে।

২. কেন তীক্ষ্ণধার হা-হুতাশ করা মন্তব্য করা হয়েছে?

কুড়িটির মতো মৃতদেহের যথাযথ সৎকার করে তাদের স্বর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়নি বলে সংবাদপত্রের একস্থানে হা-হুতাশ করা মন্তব্য করা হয়েছিল।

৩. মাইনের দিন মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের ওপর কোন্ কাজের দায়িত্ব দিয়েছিল?

▶ মাইনের দিন মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের ওপর তার মাইনের পুরো টাকা কোনো ত্রাণ-তহবিলে দান করার দায়িত্ব দিয়েছিল।

৪. মৃত্যুঞ্জয় মাইনের পুরো টাকাটা রিলিফ ফান্ডে দেওয়ার কথা জানালে সেই প্রসঙ্গে নিখিল তাকে কী বলেছিল?

মৃত্যুঞ্জয় মাইনের পুরো টাকাটা রিলিফ ফান্ডে দেওয়ার কথা জানালে নিখিল তাকে বলেছিল যে, পরিবারের ন-জনের ভরণ পোষণের জন্য এমনিতেই মাইনের টাকায় মৃত্যুঞ্জয় সংসার চালাতে পারে না, প্রতিমাসেই তাকে ধার করতে হয়।

৫. “আমায় কিছু একটা করতে হবে ভাই।”-কী কারণে বক্তা কিছু করার তাগিদ অনুভব করেছিল?

▶ ফুটপাথের উপর এক অনাহারক্লিষ্ট মানুষের মৃত্যু দেখার পর তীব্র দুঃখে এবং প্রবল অপরাধবোধে জর্জরিত হয়েছিল মৃত্যুঞ্জয়। তাই সে অনাহারী মানুষদের জন্য কিছু একটা করার তাগিদ অনুভব করেছিল।

৬. “এক বেলা খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি।” বক্তার এ কাজের উদ্দেশ্য কী ছিল?

▶ মন্বন্তরগ্রস্ত লোকদের খাবার বিলিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বক্তা মৃত্যুঞ্জয় সস্ত্রীক এক বেলা খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল।

৭. “এ অন্যায় নয়? অত্যাচার নয়?”-বক্তা কাকে অন্যায় এবং অত্যাচার বলেছে?

▶ সে না খেলে তার অসুস্থ স্ত্রী যে অন্ন গ্রহণ করে না, বক্তা মৃত্যুঞ্জয় তাকেই অন্যায় এবং অত্যাচার বলেছে।

৮. মৃত্যুঞ্জয় তার স্ত্রী সম্বন্ধে কেন বলেছিল, “মরে তো মরবে না খেয়ে।”?

  • মৃত্যুঞ্জয় না খেলে তার অসুস্থ স্ত্রী অন্ন গ্রহণ করত না। তার আচরণে ক্ষুব্ধ এবং তার স্বাস্থ্যের বিষয়ে উৎকণ্ঠায় মৃত্যুঞ্জয় এ কথা বলেছিল।

৯. অনাহার মৃত্যু দেখার আগে করা নিজের কোন্ কোন্ কাজের জন্য মৃত্যুঞ্জয় নিজেকে ধিক্কার জানিয়েছিল?

▶ ভয়ংকর দুর্ভিক্ষ জেনেও চারবেলা পেটপুরে খাওয়া এবং ত্রাণকার্যে লোকাভাব থাকলেও সে কাজে অংশ না নিয়ে অবসর কাটানোর চিন্তায় মশগুল হয়ে থাকার জন্য মৃত্যুঞ্জয় নিজেকে ধিক্কার জানিয়েছিল।

১০. মাইনের দিন নিখিল মানি-অর্ডারের ফর্ম আনিয়ে কলম ধরে কী ভাবছিল?

▶ নিখিল প্রতিমাসে তিন জায়গায় যে অর্থসাহায্য করে, সেই তিনটি সাহায্য পাঁচ টাকা করে কমিয়ে দেবে কি না সে কথাই ভাবছিল নিখিল।

১১. দুর্ভিক্ষের জন্য নিখিল তার জীবনযাত্রার কোন পরিবর্তন ঘটিয়েছিল?

> দুর্ভিক্ষের জন্য নিখিল তার খাওয়াদাওয়া যতদূর সম্ভব কাটছাঁট করে কমিয়ে দিয়েছিল।

১২. মৃত্যুঞ্জয় নিখিলকে কোন্ কোন্ বিশেষণে তিরস্কার করেছিল?

[এবিটিএ ইনটার স্কুল টেস্টা ▶ মৃত্যুঞ্জয় নিখিলকে ‘পাশবিক স্বার্থপর’ এবং ‘বন্ধ পাগল’ বলে তিরস্কার করেছিল।

১৩. ‘জীবনধারণের অন্নে মানুষের দাবি’ যে জন্মাচ্ছে না, নিখিল তার মূল কারণ কী বলে মনে করে? [এবিটিএ ইনটার স্কুল টেস্ট)

▶ ভিক্ষা দেওয়ার মতো অস্বাভাবিক পাপ আজও পুণ্য বলে পরিগণিত হয় বলেই ‘জীবনধারণের অগ্নে মানুষের দাবি’ জন্মাচ্ছে না বলে মনে করে নিখিল।

১৪. নিখিলের মতে কী হলে ‘অন্ন থাকতে বাংলায় না খেয়ে কেউ মরত না’?

▶ অনাহারী মানুষদের এক কাপ অখাদ্য ফ্যান দেওয়ার বদলে যদি তাদের স্বার্থপর করে তোলা যেত, তবে নিখিলের মতে ‘অন্ন থাকতে বাংলায় না খেয়ে কেউ মরত না’।

১৫. “সেদিনের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের মুখ বিষণ্ণ গম্ভীর হয়ে আছে।” কোন্ দিনের পর থেকে?

▶ ফুটপাথে যেদিন মৃত্যুঞ্জয় অনাহারে মৃত্যু দেখেছিল, সেদিনের পর থেকেই সে বিষণ্ণ, গম্ভীর হয়ে আছে।

১৬. নিখিলের মতে, অনাহারীরা স্বার্থপর হলে কী কী সত্ত্বেও ‘অন্ন থাকতে বাংলায় না খেয়ে কেউ মরত না’?

▶ অনাহারীরা স্বার্থপর হলে অন্ন হাজার মাইল দূরে থাকলেও অথবা একত্রিশটা তালা লাগানো গুদামে থাকলেও অন্ন না পেয়ে মরত না।

১৭. মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে কতজন লোক ছিল? [মিত্র ইন্সটিটিউশন (মেন))

▶ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পের মুখ্য চরিত্র

মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে ন-জন লোক ছিল।

১৮. “… ভূভুরিভোজনটা অন্যায়, কিন্তু না খেয়ে মরাটা উচিত নয় ভাই।”- উক্তিটি কার?

▶ প্রশ্নে উদ্ধৃত উক্তিটি মৃত্যুঞ্জয়ের অফিসের সহকর্মী-বন্ধু নিখিলের।

১৯. “ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা।”-এখানে কোন্ স্বার্থপরতার কথা বলা হয়েছে?

[গড়িয়া বরদা প্রসাদ হাই স্কুল।

► দশজনকে খুন করার চেয়ে নিজেকে না খাইয়ে মারা বড়ো পাপ-এই বক্তব্যকে মৃত্যুঞ্জয় একধরনের ‘পাশবিক স্বার্থপরতা’ বলে উল্লেখ করেছে এখানে।

২০. ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পের নিখিল সংবাদপত্রে চোখ বুলিয়ে কী দেখতে পেল?

▶ নিখিল সংবাদপত্রে চোখবুলিয়ে দেখতে পেল ভালোভাবে সদ্‌গতির ব্যবস্থা করে গোটা কুড়ি মৃতদেহকে স্বর্গে পাঠানো হয়নি বলে একস্থানে তীক্ষ্ণধার হা- হুতাশ করা মন্তব্য করা হয়েছে।

২১. “একটা কাজ করে দিতে হবে ভাই।”-কাজটি কী? [অ্যান্ড্রুজ হাই স্কুল (এইচএস); এবিটিএ ইনটার স্কুল টেস্ট]

▶ মৃত্যুঞ্জয় অফিসের মাইনের দিন নিখিলের হাতে একতাড়া নোট দিয়ে সেগুলি রিলিফ ফান্ডে জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল। এখানে সেই কাজের কথাই বলা হয়েছে।

২২. কোন্ যুক্তিতে নিখিল ভেবেছিল যে, ভিক্ষা দেওয়া ‘অস্বাভাবিক পাপ’?

▶ ভিক্ষা দিয়ে মানুষের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের সমস্যাকে বাইরে থেকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে নিখিল ভিক্ষা দেওয়াকে ‘অস্বাভাবিক পাপ’ বলে ভেবেছিল।

২৩. “…কিন্তু সেটা হয় অনিয়ম।”-কাকে ‘অনিয়ম’ বলা হয়েছে?

▶ মন্বন্তরে বা স্বাভাবিক অবস্থায় ভিক্ষা দিয়ে রূঢ় বাস্তব নিয়মকে উলটে যে মধুর আধ্যাত্মিক নিয়ম তৈরি করা হয়, তাকেই নিখিল ‘অনিয়ম’ বলে ভেবেছে।

২৪. “…তিনটে সাহায্যই এবার পাঁচ টাকা করে কমিয়ে দেবে…।”-কোন্ সাহায্যের কথা বলা হয়েছে?

▶ নিখিল প্রতি মাসে তিন জায়গায় কিছু কিছু করে যে অর্থসাহায্য পাঠাত, সেই সাহায্যের কথাই এখানে বলা হয়েছে।

২৫. “আমার আর টুনুর মা’র”-টুনুর মা কে?

টুনুর মা হলেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পের নায়ক মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী।

২৬. “মন্তব্য শুনে মৃত্যুঞ্জয় ঝাঁঝিয়ে উঠল।”- কোন্ মন্তব্য?

[এবিটিএ ইনটার স্কুল টেস্ট)

▶ নিখিল যখন মৃত্যুঞ্জয়কে জানিয়েছিল যে, টুনুর মার যা স্বাস্থ্য, তাতে একবেলা খেলে সে পনেরো-কুড়ি দিন টিকবে, তখন সেই মন্তব্য শুনে মৃত্যুঞ্জয় ঝাঁঝিয়ে উঠেছিল।

২৭. “…এ ভাবে দেশের লোককে বাঁচানো যায় না।”-এটা কার ভাবনা?

প্রশ্নোদ্ভূত উদ্ধৃতিটি নিখিলের ভাবনা।

২৮. “…এ ভাবে দেশের লোককে বাঁচানো যায় না।”-কীভাবে?

▶ মৃত্যুঞ্জয় যে সস্ত্রীক একবেলা খাবার না খেয়ে সেই খাবার দুর্ভিক্ষপীড়িতদের বিলিয়ে দেয়, তা করে দেশের লোককে বাঁচানো যায় না বলে মনে করে নিখিল।

২৯. “এক কাপ অখাদ্য গ্রুয়েল দেওয়ার বদলে…।”-‘গ্রুয়েল’ কী?

[মালদা উমেশচন্দ্র বাস্তুহারা বিদ্যালয় (এইচএস)]

জলে সেদ্ধ করা তরল খাদ্য বা ভাতের ফ্যান-ই হল ‘গ্রুয়েল’।

৩০. ‘এক কাপ অখাদ্য গ্রুয়েল দেওয়ার বদলে’ কী করলে ভালো হত বলে মনে করে নিখিল?

প্রশ্ন ১ “নিখিল ভাবছিল বন্ধুকে বুঝিয়ে বলবে, এ ভাবে দেশের লোককে বাঁচানো যায় না।”-কোন্ প্রসঙ্গে নিখিলের এই ভাবনা? এই ভাবনার মাধ্যমে নিখিলের চরিত্রের কোন্ বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে? ১+৪ [উচ্চমাধ্যমিক, ২০১৬] [মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল]

উত্তর

প্রশ্ন ২ “সেদিনের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের মুখ বিষণ্ণ গম্ভীর হয়ে আছে।”-কোন্ দিনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে? সেদিনের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের মুখ কেন বিষণ্ণ গম্ভীর হয়ে গিয়েছিল? ১+৪ [সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুল]

উত্তর

প্রশ্ন ৩”ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা।” বক্তা কে? কোন কাজকে পাশবিক স্বার্থপরতা বলা হয়েছে? ১+৪ [ব্যারাকপুর রাষ্ট্রীয় উচ্চবিদ্যালয়; রামকৃয় মিশন বিদ্যালয়, নরেন্দ্রপুর; বালিগঞ্জ গভঃ হাই স্কুল]

উত্তর

প্রশ্ন ৪ “মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছল ছল করছে দেখে নিখিল চুপ করে থাকে।”-মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছলছল করতে থাকার কারণ কী? চুপ করে থাকা সত্ত্বেও নিখিল মনে মনে কী ভাবতে লাগল?

উত্তর

প্রশ্ন ৫ “কদিন পরেই মাইনের তারিখ এল।”-মাইনের দিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিখিল ও মৃত্যুঞ্জয়ের বক্তব্য ও মনোভাব বিশ্লেষণ করো।

উত্তর

প্রশ্ন ৬ “দরদের চেয়ে ছোঁয়াচে কিছুই নেই এ জগতে।”-কে, কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলেছে? মন্তব্যটির কারণ কী? ৩+২

উত্তর

প্রশ্ন ৭ “ভুরিভোজনটা অন্যায়, কিন্তু না খেয়ে মরাটা উচিত নয় ভাই।”বক্তা কে? এই বক্তব্যের মধ্যে বক্তার চরিত্রের কোন্ দিক আভাসিত হয়েছে? ১+৪ [উচ্চমাধ্যমিক, ২০১৯]

উত্তর

বহুবিকল্পীয় প্রশ্ন [MCQ] ও উত্তর


ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো।

১. “খানিক পরেই আসছে।” আসছে-

ক) নিখিল

খ) মৃত্যুঞ্জয়✓

গ) ডাক্তার

ঘ) পুলিশ

[এবিটিএ ইনটার স্কুল টেস্ট)

২. “আমাকে দু’তিন দিন সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন।” মৃত্যুঞ্জয় তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল-

ক) তার অফিসে

খ) নিখিলের বাড়িতে

গ) ফুটপাথের লোকগুলোর কাছে✓

ঘ) লঙ্গরখানায়

৩. মৃত্যুঞ্জয়ের ধূলিমলিন সিল্কের জামা এখন-

ক) পরিচ্ছন্ন হয়েছে

খ) ছিঁড়ে গেছে

গ) অদৃশ্য হয়েছে✓

ঘ) নতুন হয়েছে

৪. ‘টুনুর মাকে মিথ্যা করে বলে যে…”-

ক) নিখিল আসছে

খ) মৃত্যুঞ্জয় আসছে✓

গ) ধনঞ্জয় আসছে

ঘ) রামজয় আসছে [এবিটিএ ইনটার স্কুল টেস্ট)

৫. মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রীর কোন্ কথা ‘কেবলি মনে পড়ে’?

ক) ছেলেমেয়েদের কথা

খ) সংসারের অভাবের কথা

গ) স্বামীর কথা

ঘ) ফুটপাথের লোকগুলোর কথা✓

৬. “একেবারে মুষড়ে যাচ্ছেন দিনকে দিন।”-বক্তা কে?

ক) মৃত্যুঞ্জয়

খ) নিখিল

গ) টুনু

ঘ) টুনুর মা✓

৭. “গাঁ থেকে এইছি। খেতে পাইনে বাবা।”-বক্তা কে?

ক) মৃত্যুঞ্জয়✓

খ) নিখিল

গ) মৃত্যুঞ্জয়ের ভাই

ঘ) টুনুর মা

৮. “কারো বুকে নালিশ নেই, কারো মনে প্রতিবাদ নেই।”-কাদের কথা বলা হয়েছে?

ক) মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির লোকজনদের

খ) মৃত্যুঞ্জয়ের সহকর্মীদের

গ) শহরের উচ্চবিত্তদের

ঘ) দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষদের✓

৯. “কারো বুকে নালিশ নেই, কারো মনে প্রতিবাদ নেই।”-কারণ

ক) দুঃখে তারা বোবা হয়ে গিয়েছে

খ) তারা দুর্ভাগ্যকে মেনে নিয়েছে✓

গ) কার কাছে নালিশ-প্রতিবাদ করবে, তা তারা জানে না

ঘ) তারা দুর্বল এবং ভীতু

১০. “কিছুক্ষণ বাইরে কাটিয়ে তারা ফিরে আসে,”-ফিরে এসে কী বলে?

ক) নিখিল আসছে

খ) মৃত্যুঞ্জয় আসছে✓

গ) মৃত্যুঞ্জয় ভালো আছে

ঘ) দুর্ভিক্ষ আর নেই

১১. মৃত্যুঞ্জয়ের ছেলেমেয়েগুলি চেঁচিয়ে কাঁদে-

ক) অনাহারে, অবহেলায়, ক্ষুধার জ্বালায়✓

খ) মৃত্যুঞ্জয়ের অস্বাভাবিক আচরণ দেখে

গ) টুনুর মার কড়া শাসনে

ঘ) বাবাকে না দেখতে পেয়ে

১২. “টুনুর মা তাকে সকাতর অনুরোধ জানায়,”-কাকে?

ক) নিখিলকে✓

খ) টুনুকে

গ) মৃত্যুঞ্জয়ের ভাইকে

ঘ) মৃত্যুঞ্জয়দের চাকরকে

১৩. টুনুর মা নিখিলকে কী অনুরোধ জানিয়েছিল?

(ক) একবেলার খাবার বিলিয়ে দিতে

খ) মাইনের অর্থ দান করতে

গ) আর্থিক সাহায্য করতে

(ঘ) মৃত্যুঞ্জয়ের খেয়াল রাখতে✓

১৪. “দারুণ একটা হতাশা জেগেছে ওর মনে।”-কারণ-

ক) টুনুর মা অসুস্থ

খ) দিনদিন অনাহার-মৃত্যু বাড়ছে

গ) যথাসর্বস্ব দান করলেও সে দুর্ভিক্ষপীড়িতদের ভালো করতে পারবে না ✓

ঘ) অফিসে যেতে তার ইচ্ছাই করে না

১৫. “ক্রমে ক্রমে নিখিলকে হাল ছেড়ে দিতে হয়।”-কারণ –

ক) নিখিল নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল

খ) মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী মৃত্যুঞ্জয়কে সমর্থন করছিল

গ) নিখিল তার সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল

ঘ) নিখিলের যুক্তি মৃত্যুঞ্জয়ের অভিজ্ঞতার কাছে অর্থহীন হয়ে পড়ে✓

১৬. “মৃত্যুঞ্জয়ের গা থেকে ধূলিমলিন সিল্কের জামা”- কী হয়?

ক) অদৃশ্য হয়ে যায় ✓

খ) পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়

গ) ছিড়ে যায়

ঘ) নতুন হয়ে যায় [

১৭. “নিখিলকে বারবার আসতে হয়।”-নিখিল বারবার কোথায় আসে?

ক) মৃত্যুঞ্জয়কে খুঁজতে

খ) মৃত্যুঞ্জয়কে দেখতে

গ) মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি ✓

ঘ) মৃত্যুঞ্জয়ের পিসির বাড়ি

১৮. মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির অবস্থা কীরকম?

ক) দুঃস্থ

খ) শোচনীয়✓

গ) ভালো

ঘ) মন্দ

১৯. মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রীর ‘কেবলি মনে পড়ে’-

(ক) সংসারের অভাবের কথা

খ) স্বামীর কথা

গ) ফুটপাথের লোকগুলোর কথা✓

(ঘ) ছেলেমেয়েদের কথা

অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

১. “তারপর দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল মৃত্যুঞ্জয়।” -কবে থেকে?

▶ অফিসে মাইনের দিনে সহকর্মী নিখিলের সঙ্গে আদর্শগত মতবিরোধের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয় দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল।

২. মাইনের দিনের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের পেশাজীবনে কী পরিবর্তন এসেছিল?

▶ মাইনের দিনের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয় অফিসে দেরি করে আসত এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বেরিয়ে যেত, কাজে ভুল করত, আর প্রায়সময়েই অফিসে বসে বসে ভাবত।

৩. অনাহারীরা সারাদিন কোথায় কোথায় পড়ে থাকত?

▶ অনাহারীরা সারাদিন খোলা ফুটপাথে, বড়ো কোনো গাছের তলায়, ডাস্টবিনের ধারে পড়ে থাকত।

৪. অনাহারীরা শহরের দোকানপাট বন্ধ হলে রাতে কী করত?

▶ আশ্রয়হীন অনাহারীরা অনেক রাতে শহরের দোকানপাট বন্ধ হলে হামাগুড়ি দিয়ে নিকটবর্তী রোয়াকে উঠে আশ্রয় গ্রহণ করত।

৫. অনাহারীরা ভোর চারটে থেকে কী করত?

▶ অনাহারীরা ভোর চারটে থেকে লঙ্গরখানায় অন্নের প্রত্যাশায় লাইন দিত।

৬. “নিখিলকে বার বার আসতে হয়।” – নিখিলকে বার বার আসতে হয় কেন? [যোধপুর পার্ক গার্লস হাই স্কুল]

▶ পথে পথে ঘুরে বেড়ানো বন্ধু মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির লোকেদের খোঁজখবর নিতে নিখিলকে মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে বার বার আসতে হয়।

৭. “টুনুর মা তাকে সকাতরে অনুরোধ জানায়,…।”-কী অনুরোধ?

▶ টুনুর মা নিখিলকে সকাতরে অনুরোধ জানায় যে, নিখিল যেন মৃত্যুঞ্জয়ের দিকে খেয়াল রাখে, সে যেন একটু মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে থাকে।

৮. টুনুর মা নিখিলকে মৃত্যুঞ্জয়ের দেখভাল করার অনুরোধ করলে নিখিল তাকে কী বলে?

টুনুর মার অনুরোধে নিখিল তাকে জানায় যে, সে যদি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে পরিবারের বাকি সকলের দেখভাল করে তবেই সে মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে থাকবে।

১. “এই ভাবনাতেই ওঁর মাথাটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।”-কোন্ ভাবনায়?

▶ টুনুর মার মতে অনাহারীদের জন্য কিছুই কি করা যায় না- সেই ভাবনাতেই মৃত্যুঞ্জয়ের মাথাটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।

১০. “কেমন একটা ধারণা জন্মেছে,…।”- কার, কোন্ ধারণার কথা বলা হয়েছে?

▶ যথাসর্বস্ব দান করেও সে অনাহারীদের কিছুমাত্র ভালো করতে পারবে না-মৃত্যুঞ্জয়ের এই ধারণার কথাই এখানে বলা হয়েছে।

১১. মৃত্যুঞ্জয় দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষগুলির সঙ্গে কথা বলে তাদের হৃদয়ে কোন্ কোন্ বৈশিষ্ট্যের অনুপস্থিতি লক্ষ করে?

▶ মৃত্যুঞ্জয় দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষগুলির সঙ্গে কথা বলে তাদের হৃদয়ে অভিযোগ ও প্রতিবাদের অনুপস্থিতি লক্ষ করে।

১২. ফুটপাথবাসী হয়ে যাওয়ার আগে মৃত্যুঞ্জয় কী পরত?

▶ ফুটপাথবাসী হয়ে যাওয়ার আগে মৃত্যুঞ্জয় ধুতি এবং সিল্কের জামা পরত।

১৩. ফুটপাথে পাকাপাকিভাবে থাকার পর মৃত্যুঞ্জয়ের সাজসজ্জার কী পরিবর্তন হয়েছিল?

▶ পাকাপাকিভাবে ফুটপাথবাসী হলে মৃত্যুঞ্জয়ের ধুতির বদলে ছেঁড়া কাপড় জোটে, গা থেকে সিল্কের জামা অদৃশ্য হয়ে যায়, গায়ে মাটি জমা হয়, তার মুখ দাড়িগোঁফে ভরে যায়।

১৪. ফুটপাথবাসী হয়ে যাওয়ার পর মৃত্যুঞ্জয়ের চেহারার কী পরিবর্তন হয়েছিল?

▶ ফুটপাথবাসী হয়ে যাওয়ার পর খালি গায়ে ঘুরে বেড়ানোর ফলে মৃত্যুঞ্জয়ের সারা গায়ে মাটির স্তর পড়ে যায় এবং তার মুখ গোঁফদাড়িতে ভরে যায়।

১৫. মৃত্যুঞ্জয় অনাহারী মানুষগুলির সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দিয়েছিল কেন?

▶ অনাহারী মানুষগুলি ছিল প্রতিবাদহীন। তাদের সবার বক্তব্য, ভাষা এবং বাচনভঙ্গি একইরকম বিরক্তিকর হওয়ায় মৃত্যুঞ্জয় তাদের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দিয়েছিল।

১৬. সুস্থ থাকলে টুনুর মা কী করত বলে জানায় নিখিলকে?

▶ সুস্থ থাকলে টুনুর মা যে তার স্বামী মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে ফুটপাথে ঘুরে বেড়াত, সেকথাই সে নিখিলকে জানায়।

১৭. “একেবারে মুষড়ে যাচ্ছেন দিনকে দিন।”-উক্তিটি কার?

‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পে প্রশ্নোদ্ভূত এই উক্তিটি মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রীর অর্থাৎ টুনুর মার।

১৮. ফুটপাথে পড়ে থেকে মৃত্যুঞ্জয় আর দশজন ভিখিরির মতো কী বলে? [বাঁকুড়া গার্লস হাই স্কুল],

▶ ফুটপাথে পড়ে থেকে আর দশজন ভিখিরির মতো মৃত্যুঞ্জয় বলে-“গাঁ থেকে এইছি। খেতে পাইনে বাবা। আমায় খেতে দাও!”

১৯. “সকলে এক কথাই বলে।”—কী কথা বলে?

▶ দুর্ভিক্ষপীড়িত সকলে অভিযোগহীন এবং প্রতিবাদহীনভাবে ঝিমানো সুরে তাদের দুর্ভাগ্যের কথা, দুঃখের কাহিনি বলে।

২০. “খবর দিয়ে বাড়ির সকলে কেউ গম্ভীর, কেউ কাঁদ কাঁদ মুখ করে বসে থাকে….।” কাকে, কী খবর দেয় বাড়ির সকলে?

▶ মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির অন্য সবাই মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রীকে এই খবর দেয় যে, মৃত্যুঞ্জয় খানিক পরেই আসছে।

২১. “…তার অভিজ্ঞতার কাছে কথার মারপ্যাঁচ অর্থহীন হয়ে গেছে।”-কার কোন্ অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে?

▶ মৃত্যুঞ্জয় বেশ কিছুদিন ধরে শহরের দুর্ভিক্ষপীড়িতদের দুর্বিষহ জীবনের যে অভিজ্ঞতা লাভ করেছে, সেই অভিজ্ঞতার কথাই এখানে বলা হয়েছে।

২২. “তারপর মৃত্যুঞ্জয়ের গা থেকে ধূলিমলিন সিল্কের জামা অদৃশ্য হয়ে যায়।”-কেন তার এই অবস্থা হয়েছিল?

▶ ফুটপাথে অনাহার-মৃত্যু দেখার পর অনাহারক্লিষ্ট মানুষদের সঙ্গে দিন কাটাতে কাটাতে ক্রমে তাদের দলে যোগদান করায় মৃত্যুঞ্জয়ের গায়ের জামা ক্রমশ অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল।

২৩. “এখন সেটা বন্ধ করে দিয়েছে।”-কে, কী বন্ধ করে দিয়েছে?

► দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষদের একঘেয়ে অভিযোগ শুনে শুনে বিরক্ত হয়ে মৃত্যুঞ্জয় তাদের সঙ্গে আলাপ-পরিচয় করা বন্ধ করে দিয়েছে।

২৪. “…তার চোখ দেখেই টের পাওয়া যায়…।”-কী টের পাওয়া যায়?

▶ মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ দেখে নিখিল টের পায় যে তার কোনো কথার মানেই মৃত্যুঞ্জয় বুঝতে পারছে না। তার অভিজ্ঞতার কাছে কথার মারপ্যাঁচ অর্থহীন হয়ে গেছে।

২৫. মৃত্যুঞ্জয়ের ছেলেমেয়েগুলি চেঁচিয়ে কাদে কেন?

[অ্যান্ড্রুজ হাই স্কুল (এইচএস)]

▶ অনাদরে, অবহেলায় এবং ক্ষুধার জ্বালায় মৃত্যুঞ্জয়ের ছেলেমেয়েগুলি চেঁচিয়ে কাঁদে।

২৬. “মৃত্যুঞ্জয় অফিসে যায় না”-কোথায় যায়?

[একে ঘোষ মেমোরিয়াল স্কুল]

▶ মৃত্যুঞ্জয় কলকাতা শহরের ফুটপাথে ও লঙ্গরখানাগুলিতে ঘুরে বেড়ায়।

২৭. “ক্রমে ক্রমে নিখিলকে হাল ছেড়ে দিতে হয়।”-কেন? [পাঠভবন]

▶ অনেক বুঝিয়েও বিকারগ্রস্ত মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবর্তন ঘটাতে নিখিল অক্ষম হয়, তাই সে হাল ছেড়ে দেয়।

২৮. “মৃত্যুঞ্জয় শোনে কিন্তু চোখ দেখেই টের পাওয়া যায়”-কী টের পাওয়া যায়?

[উচ্চমাধ্যমিক, ২০২০]

▶ মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের কথাবার্তা শোনে কিন্তু তার চোখ দেখেই বুঝতে পারা যায় যে, সেই কথার অর্থ সে বুঝতে পারছে না। তার অভিজ্ঞতার কাছে ‘কথার মারপ্যাঁচ অর্থহীন হয়ে গেছে’।

বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১ “…তার অভিজ্ঞতার কাছে কথার মারপ্যাঁচ অর্থহীন হয়ে গেছে।”- কার অভিজ্ঞতা? এমন বলার কারণ কী?

উত্তর

প্রশ্ন২”মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির অবস্থা শোচনীয়।”-মৃত্যুঞ্জয় কে? তার বাড়ির অবস্থা শোচনীয় কেন?

[সেন্ট জন্স ডায়োসেশান এইচএস স্কুল; মিত্র ইন্সটিটিউশন (মেন)]

উত্তর

প্রশ্ন৩ “কারো বুকে নালিশ নেই, কারো মনে প্রতিবাদ নেই।”- মন্তব্যটির প্রসঙ্গ আলোচনা করো। ভাবনাসূত্রটি বিশ্লেষণ করো।

উত্তর

প্রশ্ন ৪ “কারো বুকে নালিশ নেই, কারো মনে প্রতিবাদ নেই।”-‘কারো’ বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? কার, কীভাবে এ কথা মনে হয়েছে? এই নালিশ ও প্রতিবাদ না থাকার কারণ কী? ১+২+২ [মিশন গার্লস হাই স্কুল]

উত্তর

প্রশ্ন১ “দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল মৃত্যুঞ্জয়।”- মৃত্যুঞ্জয় কেমন হয়ে যেতে লাগল? তার এমন হয়ে যাওয়ার কারণ কী?

উত্তর

প্রশ্ন ২ ফুটপাথে অনাহার-মৃত্যু দেখার পর থেকে মৃত্যুঞ্জয় কীভাবে সম্পূর্ণ পালটে গেল, তা ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ ছোটোগল্প অবলম্বনে লেখো।

অথবা, “তারপর দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল মৃত্যুঞ্জয়।”- মৃত্যুঞ্জয় ধীরে ধীরে যেভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল তা গল্প অবলম্বনে লেখো।

[সেন্ট লরেন্স হাই স্কুল]

অথবা, “তারপর মৃত্যুঞ্জয়ের গা থেকে ধূলিমলিন সিল্কের জামা অদৃশ্য হয়ে যায়।”-মন্তব্যটির আলোকে ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পের মৃত্যুঞ্জয়ের ভূমিকা বিশ্লেষণ করো। [নব নালন্দা]

উত্তর

প্রশ্ন ৩ ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ ছোটোগল্পের নিখিল চরিত্রটি পর্যালোচনা করো।

উত্তর.

প্রশ্ন ৪ ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ ছোটোগল্পের টুনুর মা চরিত্রটি পর্যালোচনা করো।

উত্তর.

প্রশ্ন ৫ “ধিক। শত ধিক্ আমাকে।”-বক্তা কে? বক্তার চরিত্র সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো। ১+৪ [তারাসুন্দরী বালিকা বিদ্যাভবন]

উত্তর.

প্রশ্ন ৬ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ ছোটোগল্পটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।

উত্তর ‘নামকরণ’ অংশটি দ্যাখো।

প্রশ্ন ৭ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ ছোটোগল্পে মন্বন্তরজনিত অনাহার এবং অনাহার-মৃত্যু সম্বন্ধে নায়ক মৃত্যুঞ্জয়ের ভাবনাচিন্তাগুলি লিপিবদ্ধ করো।

উত্তর.

প্রশ্ন ৮ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ ছোটোগল্পটির সম্বন্ধে সমালোচক বলেছেন যে, এটি ‘মৃত্যুঞ্জয়ের বিকারের সার্থক শিল্পরূপ’-মন্তব্যটি পর্যালোচনা করো।

উত্তর.

প্রশ্ন ৯ ছোটোগল্প হিসেবে ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ কতখানি সার্থক তা আলোচনা করো।

[টেকনো মডেল স্কুল, সল্টলেক]

উত্তর :

প্রশ্ন ১০ “…মানবসভ্যতার সবচেয়ে প্রাচীন ও সবচেয়ে পচা ঐতিহ্য আদর্শবাদের কল্পনা-তাপস বলে।”-নিখিল কার সম্পর্কে এরকম ভেবেছে? এই ভাবনার প্রসঙ্গ কী? তার ভাবনা যথার্থ ছিল কি না উল্লেখ করো।

উত্তর