Class 6 Chapter 21 Solution
ধরাতল
MCQs
১.১ ‘ধরাতল’ কবিতাটি রচনা করেন (জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর / সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত / রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)।
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১.২ ছোটো (কাব্য/ ভাষা / গীত) আজি মনে আসে।
উত্তরঃ গীত
১.৩ দুঃখ-সুখ (দুই ভাই/ দুই বোন / দুই ভাইবোনে)।
উত্তরঃ দুই ভাইবোনে
১.৪ মোর (মুখপানে / হৃদয়পানে / আকাশপানে) চায় করুণ নয়নে।
উত্তরঃ মুখপানে
১.৫ (দুঃসময়/ প্রেমময় / ছায়াময়) গ্রামগুলি দেখা যায় তীরে।
উত্তরঃ ছায়াময়
১.১ আলোচ্য কবিতায় আজকে কবির মনে আসে-
(ক) ছোটো কথা (খ) ছোটো গীত
(গ) ছোটো কথা ও ছোটো গীত (ঘ) কথা ও গীত
উত্তরঃ (গ) ছোটো কথা ও ছোটো গীত
১.২ আমি যেন চলিয়াছি-
(ক) বাহিয়া তরণী (খ) বাহিয়া ধরণী
(গ) বাহিয়া ডিঙি (ঘ) বাহিয়া নৌকা
উত্তরঃ (ক) বাহিয়া তরণী
১.৩ কূলে কূলে দেখা যায়-
(ক) শ্যামল ধরণী (খ) লাল ধরণী
(গ) পান্ডুর ধরণী (ঘ) তরণী
উত্তরঃ (ক) শ্যামল ধরণী
১.৪ ভাইবোন হল-
(ক) ভালোমন্দ (খ) হাসিকান্না
(গ) দুঃখ-সুখ (ঘ) আলো-অন্ধকার
উত্তরঃ (গ) দুঃখ-সুখ
Very Short Question Answer
১.১ কবি রবীন্দ্রনাথের লেখা একটি গীতিনাট্যের নাম লেখো।
উত্তরঃ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি গীতিনাট্যের নাম ‘শ্যামা’।
১.২ তোমাদের পাঠ্য কবিতাটি তাঁর কোন্ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া?
উত্তরঃ আমাদের পাঠ্য কবিতাটি তাঁর ‘চৈতালি’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া।
২.১ কবির মনে আজ কী ভাবনা এসেছে?
উত্তরঃ কবির মনে আজ ছোটো কথা ও ছোটো গীতের ভাবনা এসেছে।
২.২ যেতে যেতে নদীতীরে কবির চোখে কোন্ দৃশ্য ধরা পড়েছে?
উত্তরঃ যেতে যেতে নদীতীরে কবির চোখে শ্যামল ধরণীর অপরূপ দৃশ্য ধরা পড়েছে।
২.৩ সবাই প্রতি মুহূর্তে কী কথা বলছে?
উত্তরঃ সবাই প্রতি মুহূর্তে বলছে ‘যাই যাই’।
২.৪ যা-কিছু দেখেন তাকেই কবি ভালোবাসেন কেন?
উত্তরঃ অল্প সময় ধরে দেখেন বলে কবি যা-কিছু দেখেন তাকেই ভালোবাসেন।
২.৫ কবি কাদের ভাইবোনের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তরঃ কবি সুখ ও দুঃখকে ভাইবোনের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
২.৬ গ্রামগুলি দেখে কবির কী মনে হয়েছে?
উত্তরঃ গ্রামগুলি দেখে কবির মনে হয়েছে সুগভীর প্রেম যেন গ্রামগুলিকে ঘিরে আছে।
২.৭ পৃথিবীর দিকে তাকালে কবির কী মনে হয়?
উত্তরঃ পৃথিবীর দিকে তাকালে কবির মনে হয়-ভালোমন্দ, সুখ- দুঃখ এবং অন্ধকার-আলো এসব নিয়ে এই ধরণী অর্থাৎ, পৃথিবী ভালো আছে।
২.১ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি নৃত্যনাট্যের নাম লেখো।
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি নৃত্যনাট্যের নাম হল ‘শ্যামা’।
২.২ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন্ দুটি দেশের জাতীয় সংগীত রচনা করেছেন?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত রচনা করেছেন।
২.৩ ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যটির ইংরেজি অনুবাদের নাম কী?
উত্তরঃ ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যটির ইংরেজি অনুবাদের নাম হল ‘Song – Offerings’।
২.৪ ‘আজি মনে আসে।’-কার কী, মনে আসে?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটো কথা, ছোটো গীত মনে আসে।
২.৫ “কূলে কূলে দেখা যায় শ্যামল ধরণী।” বক্তার কখন এমন মনে হয়?
উত্তরঃ বক্তা যখন মানসতরিতে ভেসে কল্পনার পথে যাত্রা করেন, = তখন তার এমন মনে হয়।
২.৬ “মোর মুখপানে চায় করুণ নয়নে।” -কারা বস্তার দিকে চায়?
উত্তরঃ নদীর দুই তীরে ভাই-বোনের মতো সুখ-দুঃখ রয়েছে, তারাই বক্তার মুখের দিকে তাকায়।
২.৭ জানা “মনে ভাবি, কত প্রেম আছে তারে ঘিরে।” -কাকে ঘিরে আছে?
উত্তরঃ নদীতীরে অবস্থিত ছায়াময় গ্রামগুলিকে ঘিরে অনেক প্রেম আছে।
২.৮ “সব নিয়ে এ ধরণী ভালো।” ‘সব নিয়ে’ বলতে বক্তা কী বুঝিয়েছেন?
উত্তরঃ ‘সব নিয়ে’ বলতে বক্তা পৃথিবীর সমস্ত ভালোমন্দ, দুঃখ- সুখ, অন্ধকার-আলো প্রভৃতিকে বুঝিয়েছেন।
২.৯ ‘তরণী’ শব্দটির একটি প্রতিশব্দ লেখো।
উত্তরঃ ‘তরণী’ শব্দটির একটি প্রতিশব্দ হল নৌকা।
২.১০ “আমি যেন চলিয়াছি বাহিয়া তরণী”- বাক্যটিকে চলিত ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ আমি যেন নৌকো বেয়ে চলেছি।
২.১ ‘ধরাতল’ কবিতায় ‘হেরি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ ‘ধরাতল’ কবিতায় ‘হেরি’ শব্দের অর্থ হল- দেখি।
২.২ এখানে যে-ধরণীর উল্লেখ আছে তা কেমন?
উত্তরঃ এখানে যে-ধরণির উল্লেখ আছে তা শ্যামল।
২.৩ যত দুঃখ সুখ দুই ভাইবোন কার মুখের দিকে চায়?
উত্তরঃ দুঃখ-সুখ দুই ভাইবোন কবির মুখের দিকে চায়।
২.৪ তীর থেকে গ্রামগুলিকে কেমন দেখা যায়?
উত্তরঃ তীর থেকে গ্রাম গুলিকে গাছের ছায়ায় ছায়াময় দেখা যায়।
২.৫ ধরণী কী কী নিয়ে ভালো?
উত্তরঃ ভালো-মন্দ, দুঃখ সুখ এবং অন্ধকার-আলো এসব নিয়ে ধরণী ভালো।
৩.২ “মোর মুখপানে চায় করুণ নয়নে।” -এখানে ‘মোর’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? ‘করুণ’ এই শব্দের অর্থ লেখো।
উত্তরঃ এখানে ‘মোর’ বলতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা বলা হয়েছে। ‘করুণ’ এই শব্দের অর্থ হল- কাতর।
Short Question Answer
২.১১ “কূলে কূলে দেখা যায় শ্যামল ধরণী।”-উদ্ধৃত অংশটির অর্থ লেখো।
উত্তরঃ কবি কল্পনায় নদীর বুকের ওপর দিয়ে ভেসে যেতে যেতে নদীতীরবর্তী শ্যামল পৃথিবীর এক অপরূপ সুন্দর দৃশ্য দেখছেন।
৩. দু-একটি বাক্যে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
৩.১ “আমি যেন চলিয়াছি বাহিয়া তরণী,”-এই কথাটি কবি কেন বলেছেন?
উত্তরঃ এই কথাটি এখানে বলার কারণ হল, বক্তা সত্যি সত্যি নৌকো বেয়ে যাচ্ছেন না, এটি তাঁর ‘মনে হচ্ছে’ শুধু। অর্থাৎ মনে হওয়াটা বোঝানোর জন্য কবি এই কথাটি এখানে ব্যবহার করেছেন।
৩.২ “ক্ষণকাল দেখি ব’লে দেখি ভালোবেসে।” -এর অর্থ কী?
উত্তরঃ এই পৃথিবীর সৌন্দর্য অত্যন্ত স্বল্প সময়ের জন্য আমরা উপভোগ করি। কবি জানেন যে, তাঁর আয়ু সীমিত। সেই কারণে। এই নির্ধারিত সময়ে যা-কিছু তিনি দ্যাখেন, তার সবকিছুই সমগ্র সত্তা দিয়ে তিনি উপভোগ করতে চান।
৩.৩ “কত প্রেম আছে তারে ঘিরে।”-‘তারে ঘিরে’ বলতে এখানে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ কবির মানসপটে কল্পনার জগতে প্রকৃতির সৌন্দর্যের অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে। কবি এখানে ছায়া-সুনিবিড় গ্রামগুলিকে ঘিরে প্রেম, ভালোবাসা ও সুখ লুকিয়ে আছে বলে ভাবছেন।
৩.৪ “মনে হয়, সব নিয়ে এ ধরণী ভালো।”-কবি এই উদ্ধৃতিটির মধ্যে দিয়ে কী বলতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ কবির মনে হয়েছে জীবনে সুখ-দুঃখ, ভালোমন্দ ও আলো-অন্ধকার বাস্তবিক সত্য। দৈনন্দিন জীবনে এরা একে অন্যের পরিপূরক। এইসব নিয়েই কবি ধরণিকে ভালো হিসেবে উপলব্ধি করেছেন।
Long Question Answer
৮.১ “আমি যেন চলিয়াছি বাহিয়া তরণী,”-এখানে ‘যেন’ শব্দটি কেন ব্যবহার হয়েছে লেখো।
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথের মানসপটে এই ধরণির অনেক দৃশ্য এবং ছোটোখাটো কথা-গান আজ ভেসে উঠেছে। কবি কল্পনার ওপর ভর করে সেগুলিকে নিজের হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছেন। নদীপথে নৌকা বেয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় যেমন নদীর তীরে অবস্থিত বিভিন্ন দৃশ্য একের পর এক চোখে পড়ে, তেমনই কবির মানসচক্ষেও আজ সেরকম এই ধরণির বহু দৃশ্য ও ছোটো ছোটো সুখ-দুঃখের কথা একের পর এক আসা-যাওয়া করছে। তাই তিনি সংশয়বাচক ‘যেন’ শব্দটি প্রয়োগ করে নিজেকে সেই তীরের দৃশ্য দেখা নৌকাযাত্রীর সঙ্গে তুলনা করেছেন।
৮.২ কবি কল্পনার নৌকাযাত্রায় কী কী দৃশ্য তিনি দেখছেন?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথের কাল্পনিক নৌকাযাত্রায় এ ধরণীর বহু এ চোখভোলানো এবং মনজুড়ানো দৃশ্য ধরা পড়েছে। তিনি মানসচক্ষে দেখেছেন, এই ধরণির শস্যশ্যামল রূপ এবং ছায়া-সুশীতল ছোটো – ছোটো গ্রামগুলিকে। কবি এই সমস্ত দৃশ্য অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে প্রত্যক্ষ করেছেন। কবির আন্তরিকতাপূর্ণ দৃষ্টিতে ধরা পড়েছে, 1 নদীর কিনারা থেকে সুখ-দুঃখ যেন দুই ভাই-বোনের মতো তাঁর দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। কবি খুব আগ্রহের সঙ্গে এই গ্রাম্য দৃশ্যগুলিকে অবলোকন করেছেন।
৮.৩ অত সুখদুঃখকে কবির ভাইবোন মনে হয়েছে কেন?
উত্তরঃ কবির দৃষ্টিতে এই ধরিত্রীর দুই সন্তান হল সুখ ও দুঃখ- এরা যেন দুই ভাই-বোন। দুই ভাই-বোনের মধ্যে যেমন মধুর ভালোবাসার সম্পর্ক বিরাজ করে, তেমনই সুখ ও দুঃখের মধ্যেও যেন এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক বিদ্যমান। এরা যেন একে অপরের পরিপূরক। একটি ছাড়া অন্যটি গুরুত্বহীন। তীর থেকে সুখ ও দুঃখের করুণ নয়নে কবির দিকে তাকানো দেখেই তাদেরকে কবির দুই ভাইবোন বলে মনে হয়েছে।
৮.৪ “মনে হয়, সব নিয়ে এ ধরণী ভালো”-কখন পৃথিবীকে ভালো মনে হয়? এরকম মনে হওয়ার কারণ কী?
উত্তরঃ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখনই আগ্রহপূর্ণ দৃষ্টিতে নিজের জীবন থেকে এই ধরণির প্রাণের দিকে তাকান, তখন তাঁর পৃথিবীকে ভালো বলে মনে হয়।
ভালোমন্দ, সুখ-দুঃখ এবং অন্ধকার-আলো-এ সবই পৃথিবীর অপরিহার্য অঙ্গ। পৃথিবীতে অবস্থানকারী সবার কাছে এদের গুরুত্ব আছে। এদেরকে গ্রহণ করেই প্রত্যেকটি জীবন কাটাতে হয়। জীবনে যেমন সুখের প্রয়োজন আছে, তেমনই দুঃখেরও প্রয়োজন আছে। সেইসঙ্গে ভালো-মন্দ এবং প্রকৃতির আলো-অন্ধকারও জীবনকে পরিপূর্ণ করে তোলে। তাই ভালোমন্দ, সুখ-দুঃখ, আলো-অন্ধকার নিয়ে সব মিলিয়ে এই পৃথিবীকে কবির ভালো বলে মনে হয়েছে।
৮.৫ ট্রেন, নৌকো বা দূরপাল্লার বাসে করে যেতে যেতে পথের দু-ধারে যা দেখেছ তার বর্ণনা দিয়ে একটি অনুচ্ছেদ লেখো।
উত্তরঃ দূরপাল্লার বাস থেকে দেখা দৃশ্য: আমি মা-বাবার সঙ্গে গতবছর গরমের ছুটিতে দীঘা বেড়াতে গিয়েছিলাম। ধর্মতলা থেকে ভোর সাতটায় দীঘা যাওয়ার বাসে চড়ে আমাদের যাত্রা শুরু হয়। প্রথমে বাস চলছিল ধীরে ধীরে, ক্রমশ তার গতিবেগ বাড়তে থাকে। বাড়িঘর, ধানখেত, গাছপালা প্রভৃতিকে পিছনে ফেলে বাস ছুটে চলে সামনে। ক্রমশ হাওড়া, আন্দুল পেরিয়ে কোলাঘাটে প্রবেশ করলাম। নদীর পাড়ে সবুজ প্রান্তরের ওপর সূর্যালোক খেলা করছে। মাঝবেলাতে সে-দৃশ্য আরও মনোরম লাগল। মেদিনীপুরে গ্রামের অনেক বাড়িই মাটির, তা বাস থেকে দেখা যাচ্ছিল। কোথাও তালগাছের পাশে বড়ো জলাশয়, তাতে শাপলা ফুল ফুটে রয়েছে। এইভাবে একের পর এক সুন্দর দৃশ্যসম্ভার যেন চোখের সামনে দিয়ে সরে সরে যাচ্ছিল। আমি সেগুলি অবাক হয়ে দেখতে দেখতে বিকালবেলায় দীঘায় পৌঁছে গেলাম।
৬.১ চোখে পড়ে যাহা কিছু হেরি চারি পাশে।
উত্তরঃ যাহা কিছু – বহুবচন।
৬.২ কূলে কূলে দেখা যায় শ্যামল ধরণী।
উত্তরঃ কূলে কূলে – বহুবচন।
৬.৩ চত ক্ষণকাল দেখি বলে দেখি ভালোবেসে।
উত্তরঃ দেখি- একবচন।
৬.৪ সবই বলে, ‘যাই যাই’ নিমেষে নিমেষে।
উত্তরঃ নিমেষে নিমেষে – বহুবচন।
৬.৫ যবে চেয়ে চেয়ে দেখি উৎসুক নয়ানে।
উত্তরঃ চেয়ে চেয়ে বহুবচন।