রসুন শাকের বৈজ্ঞানিক নাম : অ্যালিয়াম স্যাটিভাম

প্রকৃতি: এটি একটি বছর বয়সী ভেষজ উদ্ভিদ। রয়েছে লম্বা পাতা। পাতাগুলি সবুজ এবং নল আকারের। ডালের গোড়ায় একটি পাতলা আচ্ছাদন দিয়ে কন্দ তৈরি হয়। পাতা এবং কন্দ উভয়ই খাওয়া হয়।

গুণাবলী: এই সবজিতে উপস্থিত বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে খনিজগুলি – আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সালফার, তামা, দস্তা, কোবাল্ট ইত্যাদি। এটি একটি সঠিক অবস্থায় রয়েছে এবং এটি আমাদের দেহের জৈব রাসায়নিক ক্রিয়াকলাপের উপর ভাল প্রভাব ফেলে। এগুলি ছাড়াও কিছু অ্যালকালয়েড, ক্র্যাটিনয়েডস, বডি ইমিউন সিস্টেম ইত্যাদি। এসব সবজিতে পাওয়া যায়। অরুচি (খাওয়ার অনিচ্ছা) দূর হয়। রসুন বদহজম দূর করে। যখন একটি কৃমি থাকে, তখন কয়েক ফোঁটা হলে কৃমি মারা যায় (5/6) দুধ রসুন এবং আধা কাপ দুধ দিয়ে সেদ্ধ করা হয়। অথবা কৃমি থাকলে এক চা চামচ মাখনের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা রসুন খেলে উপকার পাওয়া যায়। রসুনের অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি আমাদের বিভিন্ন রোগ ছড়ানো থেকে রক্ষা করতে পারে। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তোলে। রসুন ক্যান্সারের প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি রসুন রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করে। রসুনের ব্যবহার আঠালো, কোষ্ঠকাঠিন্য, প্লীহা বা বর্ধিত প্লীহার মতো রোগেও উপকার করে। ঘরের ভেতর থেকে সাপ তাড়ানোর জন্য ফিনাইলের জায়গায় রসুন ছিটিয়ে তার রস ছিটিয়ে দিতে হবে।

রান্নার স্টাইল: রসুনের কোমল পাতা সবজি হিসেবে রান্না করে খেতে তৃপ্তি দেয়। সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন কাঁচা রসুন খাওয়া উপকারী বলে মনে করা হয়। রসুন পাতা ভাজা করে খাওয়া যেতে পারে। মিলিত ডিম একটি মশলার মতো কাজ করে। যখন তেল দেওয়া হয়, তখন এটি ফোরনের মতো কাজ করে। এটি বিশেষত মাটির খার রান্নায় ব্যবহার করা যেতে পারে।